![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নিহত হওয়ার ৪১ বছরেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশের একটি যুদ্ধাপরাধ আদালত তার প্রথম রায় দিয়েছে। ১৯৭১ সালের নয়-মাসব্যাপী যুদ্ধে গণহত্যা ও হত্যাযজ্ঞের দায়ে আদালতটি গত ২১ জানুয়ারি আবুল কালাম আযাদকে তার অনুপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের জন্য এ রায়কে একটি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। শেখ হাসিনা এ বিচারকে তার চলতি মেয়াদের শাসনকাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের জনগণ কয়েক দশক ধরে (১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধের) বিচারের জন্য অপেক্ষা করেছে এবং এ আদালত প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মিত্রদের টার্গেট করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ বিচার প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ ছাড়া, এ আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়েও এরইমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। গত ডিসেম্বরে বেলজিয়ামে অবস্থানরত একজন আইনজীবীর সঙ্গে ইমেইল ও স্কাইপের মাধ্যমে দুই ট্রাইব্যুনালের একটির প্রধান বিচারকের যোগাযোগ সম্পর্কে দ্য ইকোনমিস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই আইনজীবী সরকারিভাবে এ ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ নন। শেষ পর্যন্ত ওই বিচারক পদত্যাগ করেন এবং অন্য একজনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। তবে আযাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে অন্য ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে আযাদকে জামায়াতে ইসলামীর যুব শাখার একজন সাবেক নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী তৎলীন পূর্ব পাকিস্তানে এবং বর্তমান বাংলাদেশের প্রধান ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে এবং পাকিস্তানের সমর্থনে (১৯৭১ সালে) যেসব আধাসামরিক বাহিনী গঠিত হয়েছিল সেগুলোর সদস্যদের মূলত নেওয়া হয়েছিল এ দলের যুব শাখা থেকে। এর সদস্যরা বহু বেসামরিক মানুষকে অপহরণ করে হত্যা করেছিল বলে অভিযোগ করা হয়। আযাদ নিজে ১২ জনকে হত্যা ও ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে তিনি বাংলোদেশের একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং টেলিভিশনের জনপ্রিয় ইসলামি অনুষ্ঠানের উপস্থাপকে পরিণত হন। তিনি গত বছর দেশ থেকে পালিয়ে যান এবং ধারণা করা হয়, তিনি পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।
খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামী থেকে নিজের দলকে দূরে রাখাকে অসম্ভব বলেই মনে করছেন। পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করতে চাইলে জামায়াতের সমর্থন প্রয়োজন হবে; এ নির্বাচন চলতি বছরই অনুষ্ঠিত হতে পারে। (জামায়াতের) আরও যে ১০ সিনিয়র নেতার বিচার চলছে তাদের মধ্যে রয়েছেন দুজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। এ দুজনই বেগম জিয়ার ২০০১-২০০৬ সালের সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনের আগেই জামায়াতের প্রায় পুরো নেতৃত্বের ফাঁসি কার্যকর হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ফাঁসি হতে পারে বেগম জিয়ার দলের দুই নেতার যাদের একজন তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা। শেখ হাসিনা আশা করছেন, ১৯৭১ সালের যে কলঙ্ককালি তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের গায়ে লেপটে দিতে পেরেছেন তার ফলে ভোটারদের কাছে এ দুই দল ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে এবং তিনি আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবেন।
ইকোনমিস্ট ২৬ জানুয়ারি শনিবার ২০১৩
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৫
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
গুড নিউজ !! অপেক্ষায় থাকলাম !!
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১০
খেয়া ঘাট বলেছেন: পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার যুদ্ধে ------বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার যুদ্ধ মানে কি?
৩০ লাখ মানুষের জীবন বিনিময়ে যে স্বাধীনতার মহাসংগ্রাম এটাকে বিচ্ছিন্নতাবাদ বলার মাহাত্ম্য কি বুঝলাম না।
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৪
রাজদ্রোহী বলেছেন: রাজনীতি বুঝার সময় নেই ,আমরা পূর্বপুরুষের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৭
রিওমারে বলেছেন: জামাত নেতাদের ফাসি হবে এটা নির্চিত।সুতারং জামাতের তরুন নেতাদের এই সুযোগ টাকে কাজে লাগানো উচিত। তরুন দের উচিত এই ফাসির পক্ষে সমর্থন জানানো তাতে করে জামাতের যুদ্ধ অপরাধী অপবাদ টা অন্তত নিপাত যায়।জামাতের রাজনীতি বাংলায় বৈধতা পায়। এটাই শেষ সুযোগ।।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৭
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ভালো লাগলো ! আমরা তো এটাই চাই !
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০০
াহো বলেছেন: Click This Link