![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিবিসিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্লাসফেমি (ধর্ম অবমাননা) আইনের আদলে নতুন কোনো আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এ কথা জানান। সাক্ষাত্কারটি আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ প্রচলিত আইনেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনা হস্তক্ষেপের বিষয়টিও তিনি নাকচ করেছেন।
হেফাজতে ইসলাম এ ধরনের আইন প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে লংমার্চের পর গত ৬ এপ্রিল ঢাকায় মহাসমাবেশ করেছে। একই দাবিতে আজ দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করছে সংগঠনটি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের অভাব নেই। তথ্য-প্রযুক্তি আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং ফৌজদারি বিধিতেও বিষয়টাতে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। কাজেই নতুন আইনের প্রয়োজন হবে না বলে তিনি মনে করেন।
তবে শেখ হাসিনা বলেন, নতুন আইন না করলেও হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলো নিয়ে তাঁর সরকার আলোচনা করবে। তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলোর মধ্যে কিছু গ্রহণযোগ্য হলে, তা গ্রহণ করব। আর যেগুলো গ্রহণযোগ্য হবে না, সেগুলো গ্রহণ করব না।’
ব্লগারদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে
হেফাজতের দাবি অনুযায়ী ৬ এপ্রিলের লংমার্চের আগে চারজন ব্লগারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁদের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, এর সঙ্গে লংমার্চের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ব্লগ ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্কে কে কী লিখছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিষয়ে কিছু আছে কি না, সেসব খতিয়ে দেখতে সরকার আগেই একটি তদন্ত কমিটি করেছিল। সেই প্রক্রিয়াতেই ওই গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।
ব্লগারদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রচলিত আইনে গ্রেপ্তার করেছি, সেই আইনেই বিচার করা যাবে। তবে এখন সবাই সবার মৃত্যুদণ্ড চায়। মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়ার মালিক তো আর আমি না। দেশে কোর্টকাচারি রয়েছে। তারাই ঠিক করবে, কার মৃত্যুদণ্ড হবে বা কার হবে না। সেটা আমরা করব কীভাবে। এটা সরকার করবে না, সরকারের দায়িত্ব নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মতো কোনো কথা যদি লেখায় থাকে, অবশ্যই আমাদের তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা খুব স্বাভাবিক। আমি একজন মুসলমান। এখন নবী করিম (সা.) সম্পর্কে কেউ যদি আজেবাজে কথা লেখে, আমরা তো চুপ করে বসে থাকতে পারি না। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কেউ হয়তো ধর্ম না মানতে পারে, তার মানে এই নয় যে, তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কথা বলবে। নোংরা কথা লিখবে।’
ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ব্লগারদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় সমালোচনা উঠেছে। এমনকি ক্ষমতাসীন জোটের শরিকেরাও অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সরকার একদিকে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলছে। অন্যদিকে হেফাজতের দাবির প্রতি সরকার নমনীয় অবস্থান দেখাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নবী করিম (সা.) সম্পর্কে কেউ যদি আজেবাজে কথা লেখে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমি অন্যের কথা শুনলাম, মোটেও না। আমি নিজেও ধর্মে বিশ্বাস করি। কাজেই আমার নিজেরও অনুভূতিতে আঘাত লাগে, কেউ যদি বাজে কথা লেখে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মত দেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হচ্ছে, সমান অধিকার। প্রতিটি ধর্মের মর্যাদা রক্ষা করা। কেউ একটা ধর্ম সম্পর্কে যা খুশি লিখবে, এটা ধর্মনিরপেক্ষতা নয়। সমালোচকেরা সঠিক কাজ করছেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সব ধর্মের সমান অধিকার
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের সমান অধিকার আছে। কোনো ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অধিকার কারও নেই।
ইসলাম ধর্ম এবং ধর্মনিরপেক্ষতা—এই দুইভাগে দেশের মানুষ বিভক্ত নয় বলেও তিনি মনে করেন। তিনি উল্লেখ করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষ-বিপক্ষ, এ দুটি ভাগ বা ধারা কাজ করছে।
হেফাজতকে ধন্যবাদ
হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ কর্মসূচি নিয়ে সরকারের দিক থেকে এর আগে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে নানা আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু জামায়াতের ফাঁদে পা না দেওয়ায় হেফাজতে ইসলামকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই দেখেছেন, ১৮ দলের পক্ষ থেকে মঞ্চে গিয়ে সমর্থন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আশঙ্কা অমূলক ছিল না। তবে আমি ধন্যবাদ জানাব যে, হেফাজতে ইসলাম কিছু কর্মসূচি নিলেও তারা যথারীতি তাদের সমাবেশ শেষে ফিরে গেছে। জামায়াতের ফাঁদে পা দেয়নি।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নাকচ
বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিও নাকচ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেত্রী দেশকে সেই ২০০৭ সালের পরিবেশে কেন নিতে চাইছেন?’
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে দাবিতে আন্দোলন করছে, সে ব্যাপারে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নে পুরোনো অবস্থানই তুলে ধরেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিরোধী দল সংসদে এসে দাবি তুলে ধরতে পারে।
সেনা হস্তক্ষেপ নয়
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করবে কি না, এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা রয়েছে। তবে শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সেনাবাহিনী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করবে না।
বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি যদি আশা করে থাকেন যে কিছু মানুষ খুন করলেই, একেবারে আর্মি ঝাঁপিয়ে পড়বে আর ওনাকে ক্ষমতায় নেবে, বর্তমান আর্মি তা করবে না।’
গণহত্যার অভিযোগ নাকচ
সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনেক মানুষ হতাহতের যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে। এমন অভিযোগ নাকচ করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন শেখ হাসিনা
Click This Link
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
াহো বলেছেন: Bangladesh PM Sheikh Hasina rejects blasphemy law
By Anbarasan Ethirajan
BBC News, Dhaka
http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-22058462
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
মেহমুদ সিদ্দিক বলেছেন: Video link: http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-22060402
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
াহো বলেছেন: ব্লাসফেমি আইনের পরিকল্পনা নেই: প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2013-04-08 03:16:55.0 Updated: 2013-04-08 05:35:19.0
হেফাজতের দাবি অনুযায়ী ইসলাম অবমাননার অভিযোগ বিচারের জন্য নতুন কোনো আইন করার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
1009
5
0
সোমবার সকালে বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “তারা এটা দাবি করেছে। তবে এ রকম কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। কারণ আমাদের বিদ্যমান আইনেই এ বিষয়ে বলা আছে।”
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সরকার সব সময়ই সব ধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করে যাবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটি গত শনিবার রাজধানীতে মহাসমাবেশ করে ১৩ দফা দাবিতে সোমবার হরতালের ঘোষণা দেয়, যার মধ্যে ‘ইসলাম ধর্মের অবমাননা’ রোধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন পাসের দাবিও রয়েছে।
সরকার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করছে কি না- জানতে চাইলে চাইলে বিবিসির আনবারাসান এথিরজনকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি গ্রহণ করা বা প্রত্যাখ্যানের বিষয় নয়। আমি বলব, এটা এই মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন নেই।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার হেফজতের সবগুলো দাবিই দেখবে। এর মধ্যে কোনোটি গ্রহণযোগ্য হলে তা পূরণ করা হবে। আর যেসব দাবি ‘গ্রহণযোগ্য নয়’, বা বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার ‘উপোযোগী নয়’, সেগুলো পূরণ করা হবে না।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনাও উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে চারজন ব্লগারদের গ্রেপ্তার করা হলো কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আইনভঙ্গ হয় এমন লেখালেখির কারণেই ব্লগাররা গ্রেপ্তার হয়েছে।
“কেউ যদি অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার চেষ্টা করে- সে বিষয়ে আমাদের আইন আছে। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। আমরা ইতোমধ্যে একটি কমিটি কেরছি। এই কমিটি ফেইসবুক, ব্লগসহ ইন্টারনেটে খেয়াল রাখছে। তারা যদি কারো অপরাধের প্রমাণ পায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
ইসলামপন্থীদের মোর্চা হেফাজতের দাবির প্রেক্ষিতে ব্লগারদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে- এমন অভিযোগও উড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ তার ‘ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য’ থেকে সরে যাচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা দৃঢ় কণ্ঠে বলেন- “অবশ্যই না।”
“বরং আমরা সংবিধান সংশোধন করে সব ধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় বিশ্বাস করে, সবারই নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াত-বিএনপির বিক্ষোভ-সহিংসতা এবং গুলিতে হতাহতের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অতিরিক্ত বল প্রয়োগের’ যে অভিযোগ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা এনেছে- সে বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিবিসি।
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পদক্ষেপ নিয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে বলেই তারা গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছে।
জামায়াতের সহিংসতার মধ্যে আইনশঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যকেও হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমাদের দল, দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরও হামলা হয়েছে।... পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। তারা যখন আক্রান্ত হয়, তখন তাদের কী করা উচিৎ বলে আপনি মনে করেন?”
যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে যে অভিযোগ বিএনপি-জামায়াত জোট করেছে- তাও নাকচ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “যাদের বিচার হচ্ছে তারা? তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ করেছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। এ দেশের নারীদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তারা যা করেছে তা যুদ্ধাপরাধ।
“তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে যে তারা যুদ্ধাপরাধী। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের বিরোধী দল এই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে কেন?”
এই বিচার নিয়ে দেশের মানুষ ‘বিভক্ত’ হয়ে পড়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বিবিসিকে বলেন, “এটাকে কোনোভাবেই বিভক্তি বলা যাবে না। হাতে গোণা কিছু লোক ট্রাইব্যুনালের বিরোধিতা করছে। তারা খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ। পুরো জাতি নয়। বরং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল এবং মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছিল। আপনি জানেন ভোটের ফল কি হয়েছিল। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, এই বিচার জনদাবি।”
বিবিসি প্রতিবেদক আনবারাসান এথিরজন বলেন, “বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে প্রায় ৬ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে এলেও গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উদ্বেগ ও দ্বিধায় ভুগছেন। বিশ্বকে আপনি কি বলবেন? বাংলাদেশ আসলে কি হচ্ছে?”
এর উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নতির ধারায় আছে এবং এ ধারা চলবে। আমরা জানি পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিতে হয়। সুতরাং উদ্বেগেরে কিছু নেই।”
বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের কোনো উদ্যোগ শেখ হাসিনা সরকার নেবে কি না জানতে চাইলে এ বিষয়ে বিরোধী দলের নেতিবাচক অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমার দরজা খোলা। আর আপনারা জানেন, এরই মধ্যে আমরা তাদের প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের দিক থেকে যখন প্রস্তাব গেছে তখন তারা প্রত্যাখ্যান করেছে।”