নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

াহো

াহো › বিস্তারিত পোস্টঃ

যা আছে ব্লাসফেমি আইনে--- ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের সহায়তায় জনগণের ওপর ধর্মের নামে যে অত্যাচার করেছিল তার নামই দেওয়া হয় ব্লাসফেমি।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১০

যা আছে ব্লাসফেমি আইনে

ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের সহায়তায় জনগণের ওপর ধর্মের নামে যে অত্যাচার করেছিল তার নামই দেওয়া হয় ব্লাসফেমি।



সম্প্রতি ব্লাসফেমি আইন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবির মধ্যে কিছু দাবির কারণে এ আইন আলোচনায় আসে। কিছু মানুষ আইনটি সম্পর্কে জানলেও অনেকেরই বিষয়টি নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। কী পরিপ্রেক্ষিতে, কবে এবং কারা করেছিল এ আইন, এমন প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক। এ আইনের সাজা সম্পর্কেও আগ্রহ থাকা অস্বাভাবিক কিছুই নয়। এদিকে গতকাল সকালে বিবিসিতে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘দেশে ব্লাসফেমি আইনের পরিকল্পনা নেই।’



উইকিপিডিয়া, আল জাজিরা ও পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১ হাজার ৪৫০ বছর আগে রোমের সামন্ত রাজারা খ্রিস্টান ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের সহায়তায় জনগণের ওপর ধর্মের নামে যে অত্যাচার করেছিল তার নামই দেওয়া হয় ব্লাসফেমি। তবে ইসলামের ইতিহাসে এ ধরনের আইনের কোনও ধারণা নেই। ব্লাসফেমি মানে, ‘ধর্ম নিন্দা’ বা ‘ঈশ্বর নিন্দা’। সামন্ত রাজাদের আমলে রাজা-বাদশাহদের বলা হতো ঈশ্বরের প্রতিনিধি। তাই তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা মানেই ‘ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বলা’ বলে দাবি করা হতো। সে সময় রাজা-বাদশাহদের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে যাতে কোনও আন্দোলন গড়ে উঠতে না পারে, সেজন্য ব্লাসফেমি নামের ওই কালো আইন তৈরি করা হয়েছিল।



জানা যায়, পাকিস্তানের স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউল হক ইসলাম ধর্মের নামে স্বৈরশাসন টিকিয়ে রাখতে মধ্যযুগের এই আইনটিকে ধার করে। পাকিস্তানের দণ্ডবিধিতে তা সংযুক্ত করা হয়। পাকিস্তান পেনাল কোড চ্যাপ্টার ১৫-এর বিভিন্ন ধারায় তা উল্লেখ করে এর শাস্তির পরিমাণ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত রাখা হয়। পেনাল কোডের ২৯৫ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে কোনো ধর্মীয় উপাসনালয় আক্রমণ করা বা হেয় করা, ২৯৫(ক) কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বা তাদের বিশ্বাসকে আঘাত করা বা অপমান করার জন্য কোনো কিছু বলা বা করা, ২৯৫(খ) কোনো ধর্মগ্রন্থের অপমান, যেমন কোরআন, ২৯৫(গ) মহানবী (সা.) সম্পর্কে অপমানসূচক বা ঘৃণ্য বক্তব্য দেওয়া, (২৯৬) কোনো ধর্মীয় সমাবেশে বাধা সৃষ্টি করা, (২৯৭) কোনো ধর্মীয় কবরস্থানে বেআইনি অনুপ্রবেশ করা, (২৯৮) ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কোনো কথা বলা, ২৯৮(ক) কোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে অপমানসূচক কোনো উপাধি দেওয়া, ২৯৮(খ) কোনো ধর্মীয় ব্যক্তি বা স্থান সম্পর্কে প্রচলিত সম্মানিত বিশ্বাসের অপব্যবহার করা বা হেয় করা, ২৯৮(গ) আহমদিয়া বা কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের কেউ যদি নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দেয় অথবা তার ধর্ম প্রচার করে।’ এ আইনে অনেককেই যাবজ্জীবন এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। পাকিস্তানে চালু করা ব্লাসফেমি থেকে নেওয়া আইনের দুটি ধারা কিছুটা পরিমার্জন করে বাংলাদেশের সংসদে বিল আকারে পেস করেছিলেন জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী। ধারা দুটি ছিল, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোরআন কিংবা এর কোনো অংশের কোনো অবমাননা, ক্ষতিসাধন ও পবিত্রতাহানি করবে, তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হবে এবং যে ব্যক্তি মৌখিক কিংবা লিখিতভাবে, ইঙ্গিতে বা বাহ্যিক ব্যবহারের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পবিত্র নামের অবমাননা করবে সে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবে কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করবে এবং তাকে জরিমানাও করা যেতে পারে।



হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবির মধ্যে দুটি দাবি ব্লাসফেমির আইনের ন্যায়। এর মধ্যে একটি হলোÑ ‘আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।’ অপরটি হলোÑ ‘কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।’

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১২

াহো বলেছেন: যা আছে ব্লাসফেমি আইনে --------ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের সহায়তায় জনগণের ওপর ধর্মের নামে যে অত্যাচার করেছিল তার নামই দেওয়া হয় ব্লাসফেমি।

Click This Link

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

তুহিন সরকার বলেছেন: ধিক্কার জানাচ্ছি ধর্মের নামে ক্যাথলিকদের প্রণয়ন করা আইন চাচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। যে আইনের কোন অস্তিত্ব নেই ইসলামে এরাই হচ্ছে প্রকৃত ধর্ম ব্যবসায়ী।
শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.