নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বইপোকা

ফ্লেভার অব বুক

বই পোকা

ফ্লেভার অব বুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুড়া শিল্পীদের আর্থিক সাহায্যের দরকার কী?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৪৫



খবরে দেখলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্পী আলাউদ্দিন আলীকে ২৫ লাখ, আকবরকে ২২ লাখ টাকা সাহায্য দিয়েছেন। news এছাড়া এর আগে অভিনেতা আমজাদ হোসেনকে ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য ৪২ লাখ টাকা সাহায্য দিয়েছেন।news আবদুল জব্বারকে শেখ হাসিনা দিলেন ২০ লাখ টাকা news দেশের কোটি কোটি টাকা মেরে দিলেও মিলিয়নিয়ার খালেদা অভিনেতা আনোয়ার হোসেনকে অনুদান দিয়েছিল সর্বসাকুল্যে মাত্র একলাখ টাকা news অভিনেতা আনোয়ার হোসেনকে শেখ হাসিনা সাহায্য দিয়েছিলেন ১৫ লাখ টাকা news

লিস্টে এরকম আরও অনেক বুড়া শিল্পী অভিনেতা আছে যাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাহায্য দিয়েছেন। কিন্তু কী জন্য এই অনুদান? শেষ বয়সে মিডিয়ার এইসব বুড়া শিল্পীদের এই অবস্থা কেন যে সাহায্যের টাকায় চিকিৎসা করাতে হবে? তাদের এই অবস্থার জন্য আসলে দায়ী কে?

এইসব বুড়া শিল্পীদেরকে ফোন করলে শিডিউল পাওয়া যায়না। চল্লিশবার ফোন করলে একবার ধরে। ভাবের ঠেলায় বাঁচেনা। আমি কী বিশাল হনুরে টাইপ কথাবার্তা তাদের।

আবার এফডিসি'র এইসব অভিনেতারা টিভিতে অ্যাংটিং করতে নারাজ। তারা যদি সব মিডিয়াতেই কাজ করতেন, তাদের উপার্জন কম থাকতোনা। কিন্তু টিভিতে কাজ করতে তাদের ইগোতে লাগে। ভাবস আরকি।

আরও আছে। মিডিয়ায় কাজ করার বদৌলতে তারা দিন-রাত মদের সাগরে সাঁতার দিয়ে বেড়িয়েছেন। ফুর্তিফার্তা করেছেন। নিজের শরীরের ক্ষতি করেছেন। আর সেই ক্ষতিগুলো টাকার অঙ্ক দিয়ে পোষাচ্ছেন দয়ার সাগর বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা? তারা টাকা উড়িয়ে ফূর্তি করবেন, আর আমাদের নেত্রী কষ্ট করে তাদেরকে টাকার যোগান দেবেন? হাইস্যকর! পুরাই হাইস্যকর!

বাংলাদেশের এই বুড়া 'শিল্পীগোষ্ঠী' আজকে 'ভিক্ষাবৃত্তি গোষ্ঠী'তে পরিণত হয়েছে। অথচ এদের পিছনে এই বিশাল অংকের টাকা কিন্তু দু:স্থ-এতিম শিশু কিংবা ক্যানসারে আক্রান্ত ছোট ছোট বাচ্চাদের পিছনে ব্যয় করলে বহুগুণে লাভ হতো। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যত। কোন মদখোর মাতাল শিল্পী নয়।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২৫

এম এ কাশেম বলেছেন: একমত।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৬

ফ্লেভার অব বুক বলেছেন: এদের জীবন এমনিতেই শেষ। অথচ এদের পিছনে কোটি কোটি অর্থ ব্যয় হয়েছে। আর সব টাকা চিকিৎসায় লেগেছে কী? মৃত্যুর পর বাকী টাকার হিসাব কই?

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২২

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৮

ফ্লেভার অব বুক বলেছেন: সরকারী তহবিলের কোটি কোটি টাকা বুড়া শিল্পীদেরকে না দিয়ে অসহায় রোগগ্রস্থ শিশুদেরকে দেওয়া হোক।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

বাংলার মেলা বলেছেন: এগুলো টাকার খেলা। একটা দালাল চক্র এই টাকা পাইয়ে দিতে কাজ করে। শিল্পী যদি ২০ লাখ টাকা পায়, তবে সেই দালালচক্র মিনিমাম ৫ লাখ টাকা হাতায়। যে হাসপাতালে ঐ রোগির চিকিৎসা হবে সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও প্রভাবশালীকে ধরে এই অনুদানের ব্যবস্থা করে দেয়। আমি সিঙ্গাপুর গিয়ে এরকম দু'চারটা ঘটনা শুনেছি। বিস্তারিত বললাম না - যাদের ঠ্যাকা - তারা তদন্ত করে আসল ঘটনা জানুক।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

ফ্লেভার অব বুক বলেছেন: কি সাংঘাতিক! এই কথা তো জানতামনা?! প্রধানমন্ত্রী যদি এইগুলা জানেন, তাহলে তিনি টাকা দ্যান কেন?

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই বেহায়াগুলো প্রায় পুরো কর্মজীবন ভোগ বিলাসে মত্ত ছিল। আর শেষ জীবনে চিকিৎসার সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাত পাতে। তারা নিজেদের কর্মের বিনিময়ে অর্জিত টাকাকে(অন্য যে কোন পেশার চেয়ে বেশী ইনকাম) ঠিকভাবে সঞ্চয় করতে পারেনি সেটা তাদের ব্যর্থতা। যদিও বেশীরভাগের সন্তান এস্টাবলিশড। বেশীরভাগের নিজের বাড়িও আছে ঢাকাতে। তাই সরকারী কোষাগার থেকে তাদের সাহায্য করা(এক্সেপশনাল ছাড়া) গ্রহণযোগ্য নয়...

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ফ্লেভার অব বুক বলেছেন: হাতেগোণা কিছু মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ছাড়া বাকী এমন কাউকে খুঁজে পাইনা যে মদ, মেয়ে, পুরুষ, নেশা, স্ক্যাণ্ডাল এগুলো ছাড়া আছে।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দু একজন শিল্পিকে সাহায্য করলে ুটকি জ্বলার কিছু নেই। বাকিগুলো জানলে পুরো শরীর অংগার হয়ে যাবে।

রাষ্টের আর্থিক সক্ষমতা বহুগুন বেড়েছে।
বিভিন্ন ভাতাও বাড়ছে, প্রতি বছরই বাড়ছে।
মামুলি দুএকজন শিল্পি নয়, বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক সামাজিক কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ও বিধবা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক সামাজিক কর্মসূচির আওতায় ১৪৫ টি খাতে ৭৮ লাখ উপকারভোগী সরকারের কাছ থেকে সরাসরি নির্ধারিত অঙ্কের মাসিক আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন।
এর মধ্যে বয়স্ক, বিধবা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি; ক্যান্সার, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তথা বেদে সম্প্রদায় ও তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি, হিজড়া জনগোষ্ঠী ও চা বাগানের শ্রমিকদের, ইলিশ ধরা জেলে ইত্যাদি ১৪৫ ধরনের গোষ্ঠিদের বিভিন্ন অঙ্কের মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
কোন দালালি কমিশন নেই, সরাসরি মোবাইল একাউন্টে ডাইরেক্ট ডিপোজিট।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ফ্লেভার অব বুক বলেছেন: একজনকে ২৫ লাখ দিলে আরেকজন বলবে আমি কী দোষ করলাম? সবাইকে গণ ২৫ করে দেবার রেওয়াজ চালু হয়েছে। মাঝখান থেকে আমজাদ হোসেন ৪২ লাখ লুট করে নিয়ে গেল। তার বামরুনগ্রাদের এয়ার এম্বুলেন্স ফীসহ আরও অনেক খরচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তামশাই তামশা।

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

বাংলার মেলা বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী সাহায্য দেন, কারণ হয়তো তিনি এই দালালচক্রের কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত হন। হলেও তিনি দান করবেন, কারণ তিনি লৌকিকতা বা লোক দেখানো দরদমূলক কাজ খুব পছন্দ করেন।
@কালবৈশাখী, সরকারের সক্ষমতা যদি আসলেই বেড়ে থাকে, তাহলে দেশে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেন না কেন? দেশের সিংহভাগ ইন্ডাস্ট্রি ব্যাংক দেনার দায়ে ডুবতে বসেছে - এগুলোকে সহায়তার জন্য কিছু করেননা কেন? সব উপজেলা শহরে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা করেনা কেন? উন্নয়ন কেবল রাস্তাঘাটে করলে তো হবেনা।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০

ফ্লেভার অব বুক বলেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন লোক দেখানোর জন্যে কাজ করেননা। তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ভালোবাসেন। তাই বুড়া শিল্পীীগুলোকে দানখয়রাত করেন। যদিও তিনি ভালো বোঝেন যে, এই বুড়াধুরা গুলাকে লাখ লাখ টাকা দিয়ে তার ভোট ব্যাংকে কিছু বেশি ভোট আসবে কিনা।

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

ট্রাভেলার মাসুদ বলেছেন: ব্লাক/রেড/গ্রিন/সুপার ব্লাক লেবেলে, ভদকা, সিভাস রিগেল, বাকারদি, রয়েল স্টেজ সহ আরও নাম অজানা যত প্রকার মদ আছে সেকলের নাম তারা এক যোগে বলতে পারবে।

কি, পারবে কি না বলেন?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

ফ্লেভার অব বুক বলেছেন: তারা তো পারবেই সাথে সিরাজউদেদৌলা আনোয়ারের বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার আমজনতাও পারবে।

৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

সাইন বোর্ড বলেছেন: যে শিল্পীকে শেষ বয়সে এসব সাহায্য নিতে হয়, আমি মনে করি এরা সবাই অপরিনামদর্শী মানুষ, কারণ এদের প্রত্যেকেরই একটা সময় প্রচুর ইনকাম ছিল, কিন্তু তা তারা উড়িয়ে দিয়েছে ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ফ্লেভার অব বুক বলেছেন: তারা উড়িয়ে দিয়েছে কিনা জানিনা, কিন্তু তারা মদের সাগরে বাটারফ্লাই স্ট্রোক দিয়েছে পুরা জীবন। এইসব নাটক মাটক সিনেমা'র ব্যাকগ্রাউণ্ডে শ্যুটিং আর ক্যামেরার পিছনে মদ মেয়ের খেলা চলে।

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

অনল চৌধুরী বলেছেন: এর প্রত্যেকেই ইংল্যান্ডের দামী মদখোর এবং লম্পট।
এদেরে এভাবে সাহায্য করে জনগণের করের টাকার অপচয় না করে তাদের জন্য একটা ব্যাংক স্থাপন করলে ভালো হতো।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ফ্লেভার অব বুক বলেছেন: যে ট্রেণ্ড চালু হয়েছে, তাতে মিউজিক ইণ্ডাস্ট্রি, নাটক মাটক, সিনেমা হাবিজাবি যত নামী বেনামী শিল্পী আছে, তাদের প্রত্যেককে টাকা দিতে হলে সিরাজউদদৌলা আনোয়ার হোসেনকে আবার ডেকে আনতে হবে। অথচ দু:স্থ শিশু, ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে, চোখের পানি ফেলছে।

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০৭

নাগা০০ বলেছেন: Vai apni basi lafai an na ai foinni atta(teer atta , moida ) makhoina company akon ai foinni gusti kholar skim loise , sabdan- PARMANENT Fokir giri

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৪৫

ফ্লেভার অব বুক বলেছেন: ফকিরধকির দিয়ে দেশটা ভরে গেল। দু:খজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.