নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুল গল্প!

কে বলেগো সেই প্রভাতে নেই আমি!

শুঁটকি মাছ

এই আছি, আবার নাই!!!!

শুঁটকি মাছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদ,আমিও কম বিপদে ছিলাম না!!!!!!!!

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৯

হুমায়ূন আহমেদ বরাবরই আমার প্রিয়।মাঝখানে কিছুদিন হুমাহূন আহমেদকে ফাউল লেখক বলার একটা চল এসেছিল।আমি তখনও তার লেখা পড়তাম।তার বই পড়া মানে সেই বইয়ের আগ-গোড়া সব পড়া।কোনো দাড়ি কমাই যেন বাদ না যায়।সেদিন বসে বসে বাদশা নামদারের প্রিফেসটা পড়ছিলাম।সেখানে একটা কথাকে খুব দামী মনে হল।লেখাটা এমন ছিল,



“আমার নিজের নাম হুমায়ূন হওয়ায় ক্লাস সিক্স-সেভেনে শুধু নামের কারনে আমার মধ্যে একধরনের হীনমন্যতা তৈরী হয়।সেই সময় পাঠ্যবইয়ে মোঘল ইতিহাস ছিল খানিকটা,তাতে শের-শাহ’র হাতে হুমায়ূনের একের পর এক পরাজয়ের কাহিনী।হুমায়ূনের পরাজয়ের দায়ভার খানিকটা আমাকে নিতে হয়েছিল।ক্লাসে আমাকে ডাকা হত হারু হুমায়ূন।কারণ আমি শুধু হারি।আমি কার কাছে হারি?মহান সম্রাট শের শাহ’র হাতে-যিনি ঘোড়ার ডাকের প্রচলম করেন,গ্রান্ডটাংক রোড বানান।আমি শুধু পালিয়েই বেড়াই।হায়রে শৈশব!”



এইটুকু লেখা পড়ে আমার প্রচন্ড মন খারাপ হয়ে গেল।আমিও শৈশবে প্রচন্ড হীনমন্যতায় ভুগেছি।আমার গায়ের রঙ কখনই দুধে আলতা ছিল না।আমি কালো!এই নিয়ে আমার সেকি বিপদ!বিপদ থাকাটাই স্বাভাবিক।কারণ আমার আম্মু-আব্বু দুইজনই প্রায় সিনেমার নায়ক-নায়িকা ধরনের চেহারার অধিকারী ছিলেন।তাদের মেয়ের এই চেহারা কিভাবে হল সেটাই একটা বড় চিন্তার বিষয়!অনেক গবেষনার পর বের হল,আমি আমার খালার মত দেখতে।তার মত কোকড়া চুল,তার মত রঙ ইত্যাদি ইত্যাদি।ছোটবেলা থেকেই আমাকে নিয়ে এই অতি গবেষনা আমার ভালো লাগত না।

আমার বয়স যখন পাচ-ছয় তখন মাঝে মাঝেই আমাকে একটা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হত।তা হলঃ



“তোমার মা-বাবা কত্ত সুন্দর!তুমি দেখতে এত কাল হলে কিভাবে?”



এই প্রশ্নের কি উত্তর করা উচিত আমার তা জানা ছিল না।আমি বোকার মত হাসতাম আর ভিতরে ভিতরে চুপসে যেতাম।মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পাউডার মেখে ভাবতাম,আসলেই কি আমি খুব কালো?

একটু বড় হওয়ার পর এটা নিয়ে একবার খুব কেদেছিলাম আম্মুর সাথে।আম্মু তখন বলেছিল, “তুমি দেখতে বড় হলে আমার মত হবা।দেখো!এখন কারো কথা কানে নেয়ার দরকার নাই।”



আমি আম্মুর এই কথা একদমই বিশ্বাস করিনি।এটা আসলে বিশ্বাসযোগ্য কথাও না।আমি আম্মুর মত সুন্দরী হওয়ার আশা করলে সেটা হয়তো আরো বোকামী হয়ে যেত!



ক্লাস সিক্স-সেভেনে পড়ার সময় আমিও হুমায়ূন আহমেদের মত পালিয়ে বেড়ানো শুরু করলাম।বাসায় মেহমান আসলে ভুলেও তাদের সামনে যেতাম না।কেউ টানাটানি করেও আমাকে তাদের সামনে নিতে পারত না।স্কুল-টিচার আর গল্পের বই বাদে আর কোনো পৃথিবী আমার ছিল না।এই ভয়াবহ নিসঙ্গতার কারণ একটাইঃআমি কালো!



গল্পের বই খুব পড়তাম।ক্লাস সেভেনে গল্পগুচ্ছ,শেষের কবিতা,দুই বোনের মত লেখা পড়তাম।হয়তো বুঝতাম না তেমন।তবুও পড়তাম।কারন আমাকে সময় পার করতে হবে।বারান্দাতেও যেতাম না।যদি আবার কেউ আমার কালো চেহারাটা দেখে ফেলে!!

একটা সময় খুব অদ্ভুত কিছু কাজ করতাম।এমন কোন গল্পের বই পড়তে চাইতাম যেখানে নায়িকার গায়ের রঙ কালো কিংবা নায়িকা অসুন্দর।শরৎচন্দ্রের অরক্ষনীয়া গল্পটা বেশ ভাল লেগেছিল।নায়িকা আমার থেকেও দেখতে বাজে!আহ কি যে শান্তি!!!কত বার যে ঐ গল্পটা পড়তাম!



এই গল্পটা পড়তে পড়তেই ভিতরে হয়তো আত্মবিশ্বাস জন্ম নিচ্ছিল।ক্লাসের সবার সাথে মেশা শুরু করলাম।ভাল করে তাকিয়ে দেখলাম,ক্লাসের অনেক মেয়েরই প্রায় আমার মত রঙ।



ষোল বছর বয়স হওয়ার আগে আমি কখনও শুনিনি আমার চেহারায় কোনো সুন্দর অংশ আছে।এস-এস-সি পরীক্ষার সিট পড়েছিল ধানমন্ডি বয়েজে।পরীক্ষা শুরুর আগে হঠাৎ এক অপরিচিত মহিলা এসে আম্মুকে বলল, “এইটা কি আপনার মেয়ে?”আম্মু বলল-জ্বি

মহিলাটা বলল, “আমি কয়েকদিন ধরে আপনার মেয়েকে দেখেছি।আপনার মেয়ের চোখটা বেশ সুন্দর।”

মহিলার কথা শুনে আমি তড়াক করে মহিলার দিকে তাকালাম।এই মহিলার চেহারা হয়তো আমি জীবনে ভুলব না।উনি আমার অত্মবিশ্বাস সেদিন বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।কেন তিনি এটা করেছিলেন জানিনা।

কিন্তু সেদিন বাসায় এসে আমি প্রথমেই আয়নায় নিজেকে দেখেছিলাম।সেই একই চোখ।কোন পরিবর্তন দেখিনি!সব আগের মতই।

একটু সামান্য প্রশংসা যে আমার ভিতর কত পরিবর্তন এনেছিল তা আমিই জানি!এরপর থেকে আমার এক মুহূর্তের জন্য আমার মনে হয়নি আমি অসুন্দর।

একটা সময় যে কালো বলে আমার হীনমন্যতা ছিল তা আমি মাঝে মাঝেই ভুলে যাই।বাদশা নামদারের প্রিফেস পড়ে সেটা আবার মনে পরল।

লেখাটা পড়ে মনে হল, হুমায়ূন আহমেদকে বলি, “হীনমন্যতায় অনেকেই ভোগে।সেটা কাটাতে সবাই পারেনা।আপনি পেরেছিলেন কিনা আমি জানি না।কিন্তু আমি পেরেছি।আমি হয়তো এদিক দিয়ে আপনার থেকেও শক্তিশালী!!!!”

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

চানাচুর বলেছেন: তাও ভালো তুমি তোমার সমস্যাটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছো। ছোটবেলা থেকে আমরা অনেকেই লোকজনের কাছে ভুল ধারণা নিয়ে নিজেদের নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। বাবা-মায়েদের উচিত শিশুরা যাতে লোকমুখ থেকে ভুল ধারণা নিয়ে না থাকে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১২:০২

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভুল কি ঠিক জানিনা।।হয়তো এসব কথা শুনতে শুনতে বাবা-মা-রাও এমনটা বিশ্বাস করে ফেলে!

২| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: খুব ছুঁয়ে যাওয়া একটি লেখা আপু!
ছোট বেলা থেকেই মেয়েরা বর্ণবৈষম্যর শিকার হয়। হীনমন্যতা ঢুকে যায়!!!

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১২:১০

শুঁটকি মাছ বলেছেন: একটা কথা আগে খুব শুনতাম,ছেলের গায়ের রঙ কালো হলেও সবাই মুখ বড় করে বলত,হীরার আংটি বাকা হলেও হীরার আংটিই!

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৯:০২

খেয়া ঘাট বলেছেন: বাদশা নামদার -হুমায়ুন আহমেদের এক কালজয়ী সৃষ্টি।
আপনাকে ধন্যবাদ-নিজেকে এগিয়ে নেয়ার জন্য।
"কালো আর ধলো বাহিরে কেবল , ভিতরে সবার সমান রাঙা।"

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১২:১২

শুঁটকি মাছ বলেছেন: এই কথাগুলো সবাই জানে।কিন্তু সত্যিকারের কয়জন এটা মানে?
কষ্ট করে পড়ার জন্য এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ!!!!!!

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩২

বোকামন বলেছেন:
কিন্তু আমি পেরেছি।আমি হয়তো এদিক দিয়ে আপনার থেকেও শক্তিশালী!!!!
আপনাকে স্যালুট জানাচ্ছি

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!
ভাল থাকবেন!

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সাহিত্যের বিশাল গণ্ডির মধ্যে হুমায়ূনীয় সাহিত্য সামান্য অংশমাত্র। তাই হুমায়ূনীয় সাহিত্যের গণ্ডি থেকে আপনাকে বের হওয়ার আহবান জানাই। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৭

শুঁটকি মাছ বলেছেন: হুমায়ূনীয় সাহিত্য আসলেই সামান্য,তবে অবহেলা করার মত তুচ্ছও নয়।আমার ব্যাপারটা আসলে এমন না যে হুমায়ূন আহমেদ বাদে আর কারো লেখা পড়ি না।আমি আসলে সর্বভুক ধরনের।তবে হুমায়ূন আহমেদের লেখা আমার আসলেই ভাল লাগে!

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

চতুরঙ্গ বলেছেন: বহুকাল পর লগইন করলাম কেবল মাত্র আপনার লেখায় কমেন্ট করার জন্য। অনেক ভাল লিখেছেন আপু। আপনার সাহসীকতার জন্য আপনার প্রতি অনেক অনেক শ্রদ্ধাবোধ রইল। বাহ্যিক বিষয়টা খুবই তুচ্ছ আপু। শরীরটা কেবলই অন্তরের ধারক।

আমার মা, বোন, ভাই, স্ত্রী, সন্তান কালো কদাকার যাই হোউক সম্পর্কটা কিন্তু অটুট। তাতে বাহ্যিক বিষয়টা একটুও মলিন করেনা। আমরা কোনদিন কাছের মানুষগুলো দেখতে ভাল কিনা সেটা মনে করে তাকিয়েছি বলেও মনে পড়েনা। কারন সম্পর্কটা যে ভালবাসার, মনের। সেখানে রং কিংবা রূপ কোন প্রভাব ফেলেনা।

ভাল থাকবেনা আপু। অনেক শুভ কামনা রইল।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

শুঁটকি মাছ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!!!

কিন্তু এখনও বিয়ে করার সময় সবাই ফরশা রঙের মানুষ খোজে!সদ্যজাত কন্যাসন্তানটা সুস্থ্য ভাবে জন্মেছে কিনা সেটা দেখার আগে আমরা দেখি যে মেয়েটার রঙ কালো নাকি ফরশা!এখোনো রঙ ফরশা কারী ক্রীমের বিজ্ঞাপনদাতারা কালো রঙটাকে অসম্মান করে!!!!
আমরা একা একা চেষ্টা করলেই সব পরিবর্তন করে ফেলতে পারব না।সবাইকে উদার হতে হবে!

অনেক অনেক ভাল থাকবেন!!!!!!

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: Click This Link

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৩২

ভাইটামিন বদি বলেছেন: ছুয়ে গেল.....

০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

শুঁটকি মাছ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!

৯| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ছুঁয়ে যাওয়া গল্প। আমারো একটা সমস্যা ছিল, আমি ছিলাম প্রচন্ড শুকনা। যেখানে যেতাম সেই এক কথা শুনতে হতো, তুমি এত শুকনা কেন! সত্যি বলতে কি এই স্বাস্থ্যহীনতা বিষয়ক কথাগুলো আমার মধ্যে বিশাল হীনমন্যতাও তৈরী করেছিল।

০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

শুঁটকি মাছ বলেছেন: আমার খালাতো বোন এক সময় খুব মোটা ছিল(এখন অবশ্য প্রায় জিরো ফিগার)!এটা নিয়ে তাকে প্রচুর কথা শুনতে হত!তখন সে ক্লাস থ্রী বা ফোরে পড়ত!একবার এক লোক জিজ্ঞাসা করেছিল, "এই তুমি এত মোটা কেনো?"
সে জবাব দিয়েছিল,"আমি বেশী খাই,তাই আমি মোটা!"
আমি আবার আমার খালাতো বোনের মত এত চাল্লু ছিলাম না!তাই কোনো উওর দিতে পারতাম না!

১০| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৯

অচিন.... বলেছেন: আমিও কালো, এবং এই কারনে কত যে হীনমন্যতায় ভুগছি। এখন আর সেসব খুব বেশি ভাবায় না। মনে মনে ধরে নিছি যে আমার চেহারার কারনে সম্পর্ক খারাপ করলো তার মত মানুষের সাথে আমার সম্পর্ক রাখাটাই ঠিক না।

০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: আসলে ব্যাপারটা সম্পর্ক রাখা কিংবা না রাখার না!আমার মতে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হল সম্পর্ক!কিন্তু খুব কাছে মানুষজনদের কাছ থেকে অপ্রিয় কথা শোনাটা আসলেই দুঃখজনক।হয়তো যিনি অপ্রিয় কথাটা বলছেন তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না যে এতে মানুষটা কষ্ট পাচ্ছে।
আমরা আসলে ততক্ষন পর্যন্ত মানুষের দুঃখ অনুভব করতে পারিনা,যতক্ষন না সেই দুঃখের সাথে আমাদের আগে পরিচয় না থেকে থাকে!!!!!

১১| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১১

তুষার আহাসান বলেছেন: ৮ নং ভাল লাগা।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২০

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ!!!!!!!

১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৫

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেলো । আমার এক মামাতো বোনকে এই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় । জানি , ওই কষ্টটা আমার পক্ষে বোঝা কোনোদিনও সম্ভব না । প্রার্থনা করি, মানুষকে তার গায়ের রং নয়, মানসিকতা দিয়ে বিচার করার মানসিকতা বাড়ুক । আপনি যে বেরিয়ে এসেছেন , সেটা দেখে অনেক ভালো লাগলো । শুভেচ্ছা , ভালো থাকুন সবসময় :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

শুঁটকি মাছ বলেছেন: আমার ভেতরে এখন আর সেই সমস্যা নাই।
লেডী গাগার একটা গান শুনেছেন?
I’m beautiful in my ways
cz God makes no mistakes
I am on right track baby
I am gonna be great!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.