![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাধা তার ভার্সিটির ফ্যাকাল্টিতে বেশ জনপ্রিয় ছিল।ক্লাসের সবাই ছিল গাধা বলতে অজ্ঞান।গাধা পড়াশুনার সাথে সাথে ক্লাস প্রতিনিধি হিসাবেও ভালই দায়িত্ব পালন করছিল।তবে তার একটাই সমস্যা,সব কিছুতেই তার মেলা ফুটানি।সেই ফুটানির প্রমান মিলত তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে।সেই সব স্ট্যাটাস দেখে গাধার ডিপার্টমেন্টের এক জুনিওর বাঘিনী বেশ বিরক্ত।কিন্তু বাঘিনীর প্রতি গাধার কেমন একটা দূর্বলতা।গাধা মাঝে মাঝেই বাঘিনীর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য আশে-পাশে ঘুরাঘুরি করে।কিন্তু সমস্যা করে বাঘিনীর বন্ধুরা।তারা সব সময় বাঘিনীকে ঘিরে রাখে।গাধাটা একটু চান্সই পায় না।বাঘিনীরও হয়ত মাথায় একটু সমস্যা আছে।তা নাহলে সেই বা কেন গাধার ভাবভঙ্গি দেখেও গাধার খায়েশ বুঝলনা।
বাঘিনী গাধার খায়েশ না বুঝলেও বাঘিনীর বন্ধু খরগোশ কিন্তু গাধার খায়েশ বুঝে ফেলে।খরগোশ আর বাঘিনী একদিন ভার্সিটি বাসে পাশাপাশি বসে হেডফোনে গান শুনতে শুনতে আসছিল।গাধাও সেই বাসেরই পিছনের সিটে বসে ছিল।খরগোশ আর বাঘিণীর এত দহরম মহরম দেখে গাধা ভাবল,খরগোশ হয়ত বাঘিনীর বয়ফ্রেন্ড!!!গাধার মাথা গরম হয়ে গেল।জুনিওর হয়ে কিনা খরগোশ তার বাঘিনীর দিকে হাত বাড়ায়?পরদিন খরগোশকে ডেকে গাধা বলল, “কিরে তুই দেখি মেয়েদের সাথে খুব মেলামেশা করিস।নেক্সট টাইম যদি মেয়েদের সাথে বেশি লাফাইতে দেখি তাইলে কিন্তু খবর আছে।”
খরগোশ আবার বিশাল ঝানু লোক।সে খুব সহজে গাধার নাখোশ হওয়ার কারণ বুঝে ফেলে।ওইদিন বাঘিনীর কাছে এসে খরগোশ বলল, “দোস্ত,তোর প্রেমে একজন খুব দিওয়ানা হইয়া গেছে।”
বাঘিনীঃকেডা?
খরগোশঃসেকেণ্ড ইয়ারের গাধা ভাই তো তোর প্রেমে পাগল।গতকাল তোর লগে বাসে বসছি বইলা সে আমারে হেভি ঝাড়ি দিছে।
বাঘিনীঃইন্নালিল্লাহ।শেষ কালে কিনা আমারে একটা গাধা পছন্দ করল।থাক ব্যাপার না।পরে চান্স পাইলে ওরে বাশ দিমুনে!!
এভাবেই দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল।গাধা নানান উপায়ে বাঘিনির মন পেতে চায়।কিন্তু কিছুতেই বাঘিনীর নাগাল পায় না।একদিন গাধা দেখল,বাঘিনি একা একা বসে আছে।গাধা বাঘিনীর কাছে মনের কথা বলতে এগিয়ে যেতেই বাঘিনি মুখ ঘুরিয়ে চলে গেল।এতে আবার গাধা ভীষন অপমান বোধ করল।
গাধা এবার নতুন পন্থা ধরল।ফার্সট ইয়ারে তার বান্ধবী সর্পিনী আছে।গাধা তাকে সব কথা খুলে বলল।সর্পিনী তাকে আশ্বস্ত করে বলল, “দোস্ত এইটা কোনো বিষয়ই না।তুই এখন থেকে বান্দ্র স্যারের ক্লাসে আমাদের সাথে ক্লাস করা শুরু কর।তুই তো জানিস,বান্দর স্যার তার ক্লাসে সবাইকে ঢুকতে দেয়।”
পরদিন থেকে গাধা আবার জুনিওর ব্যাচের সাথে ক্লাস করা শুরু করল।সে যা করছিল,তার সবটুকুই ছিল ভালাবাসার নিদর্শন।কিন্তু বোকা বাঘিনি তা বুঝলনা।বরং সে পদে পদে গাধাকে বাশ মারতে লাগল।বাঘিনি গাধাকে এতোই বাশ মারল যে দেশে বাশের সংকট চরম আকার ধারন করল।পান্ডা সমাজ বাশ না পেয়ে দূর্ভিক্ষে পতিত হল।এমন অবস্থা দেখে এক লেডি পান্ডা বাঘিনির কাছে এসে বলল, “তোমার কি হল বোন বাঘিনী?তুমি গাধাকে এত বাশ মারছো কেন?”
বাঘিনি লেডি পান্ডাকে সব খুলে বলল।লেডি পান্ডা আবার গাধার ক্লাসমেট।সুতরাং তার পক্ষে গাধাকে বাশ মারা আরো সহজ।সেদিন থেকে লেডি পান্ডা আর বাঘিনি একত্রে গাধাকে বাশ মারতে লাগল।কিন্তু গাধা তো অতি পিছলা প্রানী।তাকে খুব একটা সহজে বাশ দেয়া যায়না।
ইতি মধ্যে বাঘিনীর সাথে এক সিংহ-র বেজায় বন্ধুত্ব হয়েছে।বাঘিনি সিংহকে গাধার সকল টাল্টি-বাল্টির কথা খুলে বলল।সিংহ সব শুনে বলল,আসো আমরা কিছুদিন এমন ভাবে ঘোরাফেরা করি যেন গাধা ভাবে আমাদের রিলেশন হয়ে গিয়েছে।বাঘিনির কাছেও প্রস্তাবটা মন্দ লাগল না।যেই কথা সেই কাজ।পরদিন থেকে তারা এক সাথে চলাফেরা শুরু করে দিল।এই দৃশ্য দেখে তো গাধার মাথা পুরাই হট।তার দুদিন পর গাধা দেখল বাঘিনির আসে পাশে সিংহ নাই।সে বাঘিনির কাছে গিয়ে বলল, “তুমি কি আজকে ভার্সিটি বাসে চড়ে বাসায় ফিরবে?”
বাঘিনি, “হুম”
বাঘিনির কথা শুনে গাধা আর কোনো কথা না বাড়িয়ে চলে যায়।মনেমনে একটা দুষ্ট বুদ্ধি আটে।তার কুমির নামে এক বন্ধু আছে।গাধা তাকে ফোন দিয়ে বলে কুমির যেন বাসে দুইটা সিট রাখে।আর কুমির নিজেও যেন বাসে থাকে।গাধার ধারনা,বাঘিনি কুমিরকে একটু ভয় পেলেও পেতে পারে।আর সিংহ যেহেতু আসে পাশে নাই,এখনি সে কুমিরকে সামনে দাড় করিয়ে বাঘিনিকে ভালোবাসার প্রস্তাবটা আনুষ্ঠানিক ভাবে দিয়ে দেবে।কুমিরকেন দাঁড়ানো দেখলে হয়ত ভয়ের চোটে বাঘিনি রাজিও হয়ে যেতে পারে।
ওইদিন বাসে ওঠার সাথে সাথে গাধা বাঘিনিকে তার পাশে বসতে আদেশ দিল।বাঘিনি যেই গাধাকে ঝাড়ি দিতে যাবে ওমনি দেখল,পাশেই কুমির দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিড়ি ফুকছে আর হাসছে।বাঘিনি আসলেই কুমিরকে একটু ভয় পায়।কিন্তু এখন তো ভয় পেলে হবে না।তাছাড়া বাসে তারা ছাড়াও আরো অনেকে আছে।এদের সামনে কুমির তার কিবা করতে পারবে।সব চিন্তা করে বাঘিনি দিল একটা হুংকার।
“ওই মিয়া আমি আপনার পাশ বসতে যাবো কোন দুঃখে?”
গাধা কল্পনাও করতে পারেনি যে বাঘিনি সবার সামনে তাকে এভাবে অপমান করবে।কুমিরও বাঘিনির আস্পর্ধা দেখে তাজ্জব।কুমির বলল, “ওই বাঘিনি তুমার এত্ত বড় সাহস তুমি জুনিওর হইয়া সিনিওর ভাইদের সাথে বেয়াদবি কর!!”
বাঘিনিঃচুপ করেন মিয়া কুমির।আপ্নে এই খানে কথা কন ক্যান?সরেন সামনে দিয়া।
কুমির দেখল বাঘিনি আজকে আসলেই ক্ষেপে গিয়েছে।তাকে ঘাটানো ঠিক হবে না।তাই সে তাড়াতাড়ি সেই স্থান ত্যাগ করল।গাধা এবার পড়ে গেল বিপদে।কুমির তো কেটে পড়ল।এখন যদি বাঘিনি তাকে একটা থাপ্পরও মারে তাহলেও তার কিছছু করার নাই।সুতরাং সে চুপ হয়ে গেল।এরপর দিন থেকে বাঘিনিকে দেখলেই গাধা দৌড়ে সেই জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যায়।আর সেই দৃশ্য দেখে বাঘিনি,সিংহ,খরগোশ আর লেডি পান্ডা হেসে কুটিকুটি হয়ে পড়ে।
মোরালঃআজাগায়-কুজাগায় ভালোবাসা দেখাইতে যাবেন না।এতে বেইজ্জতি হওয়ার পসিবিলিটি আছে।
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন:
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
হাসমত০০৯ বলেছেন: অস্থির লিখেছেন ! কোন ভার্সিটির কাহিনি এইসব??
সেই সময়ের কথা খুব মনে পড়ে, কত দেখলাম এমন গাধা-বাঘিনীর প্রেম প্রচেষ্টা !
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাই,এটা কোনো নির্দিষ্ট স্থানের কাহিনী না।এটা খুবই স্বাভাবিক একটা কাহিনী।সব জায়গাতেই কম বেশি এই প্রক্রিয়া চলে!!!!!!
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অদ্ভুত চিড়িয়াখানা!
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: তা আর কইতে
৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
একজন বাংলার ছেলে বলেছেন: ও আপনিই কি সেই গাধা ছিলেন
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপনার কি নিজেরে বাঘিনী মনে হইতেছে?
৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন:
২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এইডা কেডা?অপ্সরা সিজেল নাকি?
৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: খুব মজা করে লিখেছেন ।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ সিনিওর ভাই!!!!!!!
৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মোরালঃআজাগায়-কুজাগায় ভালোবাসা দেখাইতে যাবেন না।এতে বেইজ্জতি হওয়ার পসিবিলিটি আছে।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন:
৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন:
২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন:
৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
হাহাহ, এটা জোস হৈসে।
রিপোস্ট দেখে এদ্দিন পড়িনাই, আমার আগে পড়া হয়নাই ||
২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: তাও তো ভাই শেষ-মেশ পড়ছেন।থ্যাংকু!!!!!!!!!!
১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হুমম বুঝলাম গাধা আর বাঘিনী হলে চলবেনা। বাঘ আর গাধী হতে হবে ! সেজন্যেই তো বলি সব ছেলের কপালেই খালি গাধী জোটে কেন!
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কি যে বলেন না ভাই!!!!!!
আমি তো দেখি বাঘের কপালে জোটে সিংহী।আর বাঘিনীদের কপালে জোটে ইদুর!!!
গাধার কোনো জায়গাই হয়না!!!!!!!
১১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
বুঝলাম !
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কি বুঝলেন?
১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: মজা পাইলাম। হিহিহি।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: থ্যাংকিউ আপু!!!!!!!!!!!!
১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪১
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: সেকেন্ড ইয়ারে আমিও কিসুদিন গাধার মত কাম করতে গেসিলাম। কিন্তু আমি ফ্যাকাল্টি না, চায়ের টঙ্গে ফেমাস ছিলাম। সঙ্গে ছিলনা সিজিপিএ। জুনিয়ার পছন্দ হইলে বেশ ঝামিলা। তবে আমার সিনিয়ররা কেমতে আমগো ব্যাচের বাঘিনিদের সাথে ড্যান্স করে, এইডা এখনো ফাইস্তে ফারি না।
তয় বাঁশ খাওনের আগেই বাঁশঝাড়ে চড়ার এক্সফারিয়েন্স থাকাই সেইবার বেইজ্জত হইতে হইতে হইনাই।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: বাট বাঘিনী একটা বাশ দিছিল বটে!!!!!!!!!!!
তবে এখনও গাধা মাঝে মাঝে বাঘিনীর সামনে পড়ে যায়।মনে মনে সে হয়তো বাঘিনীর মা-বাপ তুলে গালি দেয় কিনা সে ব্যাপারে বাঘিনী অবহিত নয়!!!!!!!!!!
১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: জীবন থেকে নেওয়া ??
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হাহাহহা। বাঘিনীর জীবন থেকে নেয়া!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৯
আদার ব্যাপারি বলেছেন: মোরালঃআজাগায়-কুজাগায় ভালোবাসা দেখাইতে যাবেন না।এতে বেইজ্জতি হওয়ার পসিবিলিটি আছে।