নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুল গল্প!

কে বলেগো সেই প্রভাতে নেই আমি!

শুঁটকি মাছ

এই আছি, আবার নাই!!!!

শুঁটকি মাছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ পতিত নারী কিংবা ব্যর্থ মানুষের গল্প

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রিটার সাথে আমার সাক্ষাৎঃ



আমি জানি রিটা আমাকে নিয়ে কিছুটা কনফিউজড। ও প্রথমে আমাকে ওর কাস্টোমার ভেবেছিল। যখনই ঘনিষ্ট হতে চেয়েছে, আমি একটা নির্দিষ্ট দূরত্বে চলে গিয়েছি। আমার কাছে পাত্তা না পেয়ে আমাকে কয়েকটা গালি দিয়ে ও অন্য কাস্টোমার খুজতে চলে গেল। ঐদিনই আমি রিটাকে প্রথম দেখেছিলাম। অষ্টাদশী এই কিশোরীর যখন মা বাবার আদরে ছায়ায় কথা, যখন বন্ধুদের সাথে দুষ্টমী করার কথা,তখন সে পতিতা হয়ে কাস্টোমার খুজতে ব্যস্ত।একটু পরেই দেখলাম সে একজন কাস্টোমার বাগিয়ে বারের পিছনের খুপরিগুলোর ভিতর চলে গেল। কাজ থেকে অবসর নেয়ার পর বারে মাঝেমাঝেই আমি বেশী সময় কাটাই। মানুষের কর্মকান্ড দেখি। মাতাল হলে মানুষের ভিতরের পশুটা যেমন মাঝেমাঝে বের হয়ে আসে, তেমনি সত্যিটাও বেড়িয়ে যায়।আমার এসব দেখতে ভাল লাগে। সময়টা কেটে যায়।

কিছুক্ষণ পর দেখলাম রিটা চিৎকার করে তার কাস্টোমারকে গালি দিচ্ছে।কাস্টোমার নাকি তার টাকা ঠিকভাবে পরিশোধ করেনি।কিছুক্ষন চিৎকার করার পর দেখলাম রিটা ভিতরে গিয়ে ভদ্রস্থ পোষাক পরে কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে কই যেন যাচ্ছে। আমার কি হল জানিনা। আমি ওর পিছন পিছন চলতে শুরু করলাম।আমার এই বয়সে এই ছ্যাবলামো মানায় না।তাও কেন যে করলাম কে জানে?



আমাকে পেছন পেছন আসতে দেখে রিটা আমার দিকে চোখ-মুখ কুচকে বলল, “দেখো, অযথা আমাকে বিরক্ত করবে না।”

আমি কথা না বাড়িয়ে ফিরে আসলাম। এরপর প্রতিদিনই আমি ঐ বারে যেতে শুরু করি। রিটার সাথে কথা বলি না।কিন্তু আমার সমস্ত সময় দৃষ্টি থাকে রিটার উপর। আমার এই আগ্রহ রিটারও চোখে পড়েছিল। একদিন সে নিজে থেকেই আমার সাথে কথা বলল।

-তোমার কি স্ত্রী কিংবা বান্ধবী নেই?

-স্ত্রী ছিল, ১৭ বছর আগে মারা গিয়েছে।

-এভাবে সব সময় আমার দিকে তাকিয়ে থাকো কেন? আমাকে বিয়ে করতে চাও?

রিটার কথা শুনে আমার হাসি এসে গেল। আমার হাসি হাসি মুখ দেখে সে আবার বলল, “ দেখ, তোমাকে আমি বিয়ে করতে পারব না। এটলিস্ট বন্ধু হতে পারো।কিন্তু বিয়ে করা সম্ভব না।”

_তোমার নাম রিটা,তাইনা?

-হ্যা।

-তোমার সাথে আমার পরিচিত একজন মেয়ের মিল আছে। যাই হোক,তোমার কাজ শেষ হয়েছে?

-নাহ।আরো একজন কাস্টোমার ডিল করে বাড়ি ফিরব।

-আমার সাথে ডিনার করবে?

-আমাকে পাউন্ড পে করলে ডিনার করব,অযথা সময় নষ্ট করতে পারব না।

-আচ্ছা দেব।

-আগে দাও।



রিটার মাঝে শিউলির ছায়াঃ

আমি রিটাকে তার পাউন্ড বুঝিয়ে দিতেই সে আমার সাথে ডিনার করতে চলে আসল। আসলে রিটার কাজই তো এটা। রিটার সাথে ডিনার করতে করতে আমার শিউলির কথা মনে পরে গেল। বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসার কিছুদিন আগে আমার শিউলির সাথে পরিচয় হয়েছিল। প্রচন্ড অসহায় একটা মেয়ে।তারপরেও তার কি ভীষন আত্মবিশ্বাস! শিউলির সাথে পরিচয় হয়েছিল বোটানিক্যাল গার্ডেনে। শিউলি তখন মাধুকর খুজতে ব্যস্ত। আমাকে একা বসে থাকতে দেখে আমার পাশে বসে বলল, “ কোনো সেবা যত্ন লাগবে?”

আমি বললাম , “হু, লাগবে।এক প্লেট ভাত খাওয়াইতে পারবা?গতকালকে রাতের পর কিছু খাইনাই!”

-বুঝছি আপনের কাছে পোষাইব না।

-হ সেইটাই। অন্য জায়গায় যাও।আমার পকেটে যদি টাকা থাকত তাইলে এখন ভাত খাইতাম।

এরপর শিউলি কিছুক্ষণ আমার পাশে চুপচাপ বসে থাকল। তারপর আবার বলল, “ চেহারা সুরতে তো বুঝা যায় না যে এইরকমের ফকির।

-আমি ফকির তাতে তোমার সমস্যা? তুমি যদি ভাত খাওয়াইতে পারো তাইলে খাওয়াও, না হইলে দূরে যাও।

-ওরে বাবা,ফকিরটা দেখি ছ্যানছ্যান করে। বাপের কেনা জায়গা নাকি যে অন্য কেউ বসতে পারবো না?



আমি বুঝলাম এই মেয়ের সাথে কথা বাড়ালে কথা বাড়তেই থাকবে। পেটে ক্ষুধা থাকলে আমার মাথা গরম হয়ে যায়। গতকাল রাতে বড় ভাই তার বাসা থেকে এক কাপড়ে বের করে দিয়েছে। এরপর আর কিছু খাওয়া হয়নি।

একটু পর দেখলাম শিউলি আমার পাশ থেকে চলে গিয়েছে। বোটানিক্যাল গার্ডেন হল পতিতা আর আমার মত উদ্বাস্তুদের একটা আশ্রয়বিশেষ।

শিউলি চলে যাবার পর আমি বেঞ্চে পেট লাগিয়ে শুয়ে থাকার চেষ্টা করি। ক্ষুধার সময় পেটটা কিছুর সাথে চেপে ধরে রাখলে ক্ষুধা কমে।এভাবে ঘন্টাখানেক শুয়ে থাকার পর সম্ভবত আমার তন্দ্রা চলে এসেছিল। একটু পর দেখি শিউলি এসে আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে।

-ঐ মিয়া উঠেন।ভাত খাইতে চলেন।

আমি কোনো কথা না বাড়িয়ে শিউলির পিছন পিছন হাটা শুরু করলাম। শিউলি আমাকে একটা ছুপড়ি ঘরে নিয়ে আসল। তারপর একটা প্লেটে ভাত আর পেপে রান্না দিয়ে খেতে দিল।আমি কোনো কথা না বলে খেতে লাগলাম। শিউলিকে দেখলাম চকচকে শাড়ি পালটে একটা পুরোনো শাড়ি জড়িয়ে এসেছে। এবার ওকে আমার একদম আপন কেউ একজন মনে হল। ওকে কৃতজ্ঞতা জানানো দরকার।কিন্তু কি কথা বলা যায়?

-তুমি খুবই ভাল মেয়ে।

-কেন খাওয়াইছি দেইখা?

-হুম।তোমার মনে মায়া দয়া আছে। তোমার কপালটাও অবশ্য ভাল।

-কোনদিক দিয়া কপাল ভাল দেখলেন?

-এই যে তুমি মেয়ে হয়ে জন্মাইছো, তাই তুমি এই কাজ করতে পারতেছো।আর আমারে দেখ,কি একখান কপাল নিয়া জন্মাইছি! মেয়ে মানুষ হইলে তো তোমার মত এই লাইনে ঢুকতাম,কিন্তু এই রকম জোয়ান পুরুষ হইছি দেখে ভিক্ষাও করতে পারিনা।

আমার কথা শুনে শিউলি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, “ হ আমার আমার ভাগ্যডা খুব ভাল।এক্কেরে রাজকপাল নিয়া জন্মাইছি।”

আমি আর কোনো কথা না বলে খেতে থাকি। শিউলি আবার কথা বলে।

-বাড়ি কই?

-বাড়ি নাই। ভাইয়ের বাড়ি থাকতাম।কালকে রাত্রে বের করে দিছে।

-কেন?

-ভাইয়ের শালীও ভাইয়ের বাড়ি থাকত। কিভাবে কিভাবে জানি ভাইয়ের শালীর পেটে বাচ্চা আসছে,এখন সবাই বলে ঐ বাচ্চা নাকি আমার। আমারে বিয়া করতে বলছিল। আমি যেই অস্বীকার করছি,আমারে ঘাড় ধইরা নামায়ে দিল।

-হ জানি তো, আকাম করার পর সব পুরুষ এই একটা কথাই কয়।সে কিছু জানে না।সে এক্কেরে পাক-সাফ!

-আমি আসলেই করিনাই।

-তাইলে করল কে?

-জানিনা। কিন্তু আমি যে করিনাই তা একদম নিশ্চিত।

ঐদিন শিউলির কাছ থেকে ভাত খেয়ে আমি ওর বাড়িতেই এক চোট ঘুমিয়ে নেই।একটু পর ও আমাকে বের করে দেয় বাড়ি থেকে। ওর নাকি কাস্টোমার আসবে।

পরের দুইদিন এক বন্ধুর বাসায় থাকি। কিন্তু দুই দিনের বেশী তো থাকা আসলে একটা লজ্জার ব্যাপার।তাই চলে আসলাম বন্ধুর বাড়ি থেকে। আমার আসলে তেমন কোনো বন্ধুও নেই যে গিয়ে থাকব। মাস ছয় আগে এমএসসি পাশ করে তখনও চাকরী জোটাতে পারিনি। এমএসসি পাশ করা একটা ছেলে তো রিক্সা চালাতে পারেনা! তারপরেও কাজের আশায় ঘুরতে লাগলাম।

দুইদিন পর আমি আবার শিউলির কাছে গেলাম। সাথে করে নিয়ে গেলাম এক প্যাকেট পাউরুটি আর কলা। আমাকে দেখে ও একটু অবাক হল।

-আবার আসছেন কেন?

-এমনেই।

-এমনেই মানে কি? আজকে ভাত রান্ধি নাই।

-ভাত খাইতে আসি নাই। তোমার সাথে দেখা করতে আসছি।ঐদিন খুব ক্ষুধা ছিল। তার মধ্যে খাওয়াইলা,তাই দেখা করতে আসলাম।

-ভাল করছেন। কাজ না থাকলে এখন চইলা যান। আমার কাস্টোমার আসবে।ভাল কথা,কাজ কাম জুটছে?

-আজকে বালি টানছি।কিন্তু এই কাজ করা যাবে না।

-কেন?সমস্যা কি?

-আমার বন্ধু বান্ধব দেখলে হাসবে। বলবে,পড়া লেখা শিখ্যা বালি টানি!

-বন্ধুরা ভাত খাওয়াইবো?তা তো খাওয়াইবো না। তাইলে হাসলে হাসুক।

আমি কিছু বলি না। চাকরীর ইন্টারভিউ দিয়েছি কয়েকটাই। এপয়েন্টমেন্ট লেটার আসলে ভাইয়ের বাসাতেই আসবে। কিন্তু সেই খবর পাওয়ার কোনো সম্ভবনা আমার নাই।ঐ বাসায় ফিরে যাওয়া সম্ভব না।সুতরাং গত কয়েক মাসে দেয়া ইন্টারভিউগুলো মাঠে মারা গেল।

-শিউলি তোমার বাড়ির ঠিকানাটা যদি আমি কোথাও দেই তোমার আপত্তি আছে?

-আমার এই রাজমহলের ঠিকানা আবার কারে দিবেন?

-চাকরী চিঠিতে তোমার বাসার ঠিকানা দেই? আমার আর কোন ঠিকানা এখন নাই।

-দেন। কিন্তু আমারে আবার ঝামেলায় ফালায়েন না।

এরপর মাঝে মাঝেই আমার শিউলির বাড়িতে যাতায়াত হয়। কখনও আমি হাতে করে এটা ওটা নিয়ে যাই,আবার কোনোদিন ও আমাকে ভাত খাওয়ায়। বলতে গেলে একটা আত্মীক বন্ধন তৈরী হয়ে গিয়েছে।

শিউলি যে পতিতা হিসাবে খুব নাম ডাকওয়ালা তা বলা যায় না। মাঝেমাঝেই সে কোনো কাস্টোমার পায়না। দালালকে টাকা দিতে সে ইচ্ছুক না। একদিন শিউলি আমাকে জিজ্ঞাসা করে যে আমি তার দালাল হতে চাই কিনা।

প্রোস্টিটিউটের দালাল হওয়ার চাইতে বালি টানা ঢের ভালো।আমি তার প্রস্তাব নাকচ করে দিলাম। তাতে শিউলি বেশ রেগে গেল। গালি দিয়ে আমাকে বাসা থেকে বের করে দিল।

আমিও আর ওর বাসায় গেলাম না।মাঝে মাঝে পেপার ঘেটে ঘেটে দেখি কোথাও চাকরির ইন্টারভিউ দেয়া যায় কিনা। এরই ভিতর আমি একটা ইন্টারভিউ দিতে গেলাম। ইন্টারভিউ দেয়ার সাথে সাথেই ফল জানিয়ে দেয়া হল। আমি পাশ করেছি। একজন মাত্র প্রার্থীকে নেয়া হয়েছে, সেখানে আমার পাশ করা রীতিমত অপ্রত্যাশিত। তারপরেও আমি পাশ করেছি। আমি এবার লন্ডন চলে যাব!



খবরটা শিউলিকে দেয়া দরকার।বিপদের দিনে এই মেয়েটা অনেক সাহায্য করেছে। তাকে খবরটা না দিলে অকৃতজ্ঞের মত কাজ হবে। এক প্যাকেট মিষ্টি নিয়ে শিউলিকে দেখতে গেলাম।আমাকে দেখে শিউলি খুশি হয়ে গেল।

-কি খবর এতদিন পর? মিষ্টি কেন?চাকরিবাদা হইছে নাকি?

-ঠিক চাকরী না। তবে ঐরকমই আরকি?

-কিরকম?

-মানে বিয়া করতেছি।

-কারে?

-লন্ডনের এক মহিলারে বিয়া করতেছি। পাত্রীর বয়স একটু বেশী।স্বামী মারা গেছে, সন্তানাদি নাই। আমারে লন্ডন নিয়া যাবে।

কথাটা শুনে শিউলি চুপ হয়ে গেল।তারপর বলল- পাত্রীর চেহারা কেমন?আমার থেকে ভাল?

-আরে বয়স্ক মহিলা! চেহারা ভাল হবে কিভাবে?

-ওহ।

এরপর পুরোটা সময় শিউলি কোনো কথা বলেনি।আমি যখন ফিরে আসব তখন আমাকে জিজ্ঞেস করল, “আর কোনোদিন আসবেন না?”

-নাহ,মনে হয় না আর আসা হবে।

-আচ্ছা এক কাজ করা যায় না?

-কি?

-নাহ কিছু না।

-অর্ধেক কথা বল কেন? যা বলবা ডাইরেক্ট বলবা।

-আচ্ছা, আপনে এইখানে সারাজীবনের জন্য থাকতে পারেন না? আপনের কোনো কাজ করনের দরকার নাই।আমিই আপনারে খাওয়াইতাম।

আমি অবাক হয়ে শিউলির দিকে তাকিয়ে থাকি।মেয়েটা আমাকে ভালবেসে ফেলেছে। আমি এর জবাব দিতে পারিনা।

-আমি যাই শিউলি।

-আচ্ছা যান। একটা কথা শুনেন, আমি জানতাম আপনে আমারে ভালবাসেন না।

-শিউলি পাগলের মত কথা বইল না।আমারে যেতে দাও।

-আহা,কিছু হবে না।কথাটা একটু শুনেন। আমার কথা শেষ হইলেই আপনে চইলা যাইয়েন।আটকামু না।

আমি চুপ করে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ওর কথা শুনি।

-কেমনে আমি বুঝলাম যে আপনে আমারে ভালবাসেন না শুনবেন? আমি দেখছি, আমার কাস্টোমার আসবে শুনার পরেও আপনে ব্যাজার হইতেন না। আমারে ভালবাসলে তো আর আপনে আমারে অন্য কারো কাছে যাইতে দিতেন না।আমার কথা শেষ।আপনে এখন যাইতে পারেন।

আমি শিউলির দিকে তাকিয়ে দেখি ওর চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। কাজল আর চোখের জল একত্রে মিশে একাকার অবস্থা। কিন্তু চোখের জলটা মুছে দেয়ার অবকাশ আমার নেই।



এরপর আমি লন্ডনে চলে আসলাম। আমার স্ত্রী আমার থেকে ২১ বছরের বড়। লন্ডনে তার অনেক সম্পত্তি। সেই সম্পত্তি সে খুব বেশী দিন ভোগ করতে পারল না। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে দশ বছরের মাথায় মারা গেল। আমাদের কোন সন্তান না হওয়ায় সব সম্পত্তি আমার মালিকানায় চলে আসল। একটা সময় যে আমি না খেয়ে থাকতাম,সেই আমার এখন কোটি পাউন্ডের সম্পত্তি। আমার সব আছে,কিন্তু আমার আশে পাশে কোনো মানুষ নেই। চরম একাকীত্ব আমাকে কুড়ে খায়। মাঝেমাঝেই আমার শিউলির কথা মনে পরে। কই আছে এখন শিউলি? মাঝে মাঝে শিউলিকে খুজতে বাংলাদেশে যেতে ইচ্ছা করে।কিন্তু ২৭ বছর পর ওকে খুজে বের করা অসম্ভব।



আজকাল রিটার ভিতর আমি শিউলির ছায়া খুজে পাই। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়- ওকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাই। ওকে এই পেশা থেকে ছাড়িয়ে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেই।



রিটাকে একটা বেশ ভাল রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলাম। রেস্টুরেন্ট আর খাবার দেখে ও অবাক।

-তোমার মা-বাবা কোথায় রিটা?

-আমার বাবা কখনই ছিল না। বছর খানেক আগে মা মারা গিয়েছে।

-এখন একাই থাক?

-হ্যা।

-তোমাকে একটা প্রস্তাব দেই।মনোযোগ দিয়ে শোন।

-কি প্রস্তাব?

-আমার তোমাকে আমার বাড়িতে নিয়ে যেতে চাই। তোমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেব। কাগজে কলমে আমি তোমাকে সন্তান হিসাবে দত্তক নিতে চাই।কেন এটা করব জানো?কারণ, অনেক বছর আগে,আমি একজনার সাথে ভয়াবহ আবিচার করেছিলাম। সেও তোমার মত একই কাজ করত।আমি চাইলে তাকে সেই পেশা থেকে ছাড়িয়ে আনতে পারতাম। কিন্তু আমি করিনি। তাই,তোমাকে দত্তক নিয়ে সেই অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পেতে চাই।তুমি রাজী?



রিটা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।বিস্ময়ে সে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।



পরিশেষে,

রিটা আর আমি নদীর পাড়ে পাশাপাশি একটা বেঞ্চে বসে আছি। রিটা এখন আমার কন্যা। আমরা দুজন ব্যর্থ মানুষ মিলে আজ থেকে রঙ্গীন একটা পৃথিবী গড়ে তুলব। পিতা কন্যার ভুবনে আর কোনো ব্যর্থতা কিংবা হতাশার কাব্য রচিত হবে না।

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভয়াবহ মানবিকতার গল্প !
ভালো লাগলো !

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অভি ভাই।

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: অসাম একটা গল্প পড়লাম ভাই। আপনার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ওবায়েদুল ভাই। আমি ভেবেছিলাম এত বড় গল্প তেমন কেউ পড়বে না।
অটঃআমি ভাই না।আপু হই!!!! :D

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন গল্প!!

আহা কত স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে গেল!!

জীবনটা কেন গল্পের মতো হয় না!!;)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই।
কিন্তু আপনার আবার কি স্বপ্ন?

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

মামুন রশিদ বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভয়াবহ মানবিকতার গল্প !


আপনার গল্প-ভাবনাকে স্যালুট । এত চমৎকার একটা প্লট, আর এত সুন্দর তার ডিটেইলিং- সত্যি অসাধারণ!

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। আমি গল্পটা লিখে মূলত আপনার কমেন্টের জন্যেই অপেক্ষা করছিলাম। আপনার কমেন্টগুলো বেশ অনুপ্রেরণাদায়ক।

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: এত সুন্দর একটা গল্পে 'লাইক' না দিলে অন্যায় হবে । ++

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৭

সুমন কর বলেছেন: গল্প দারুণ হয়েছে। বেশ লাগল। প্লাস++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন দা!!!!!!!!!!!!!!!!

৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর...ফিনিশিংটা বেশি ভালো লেগেছে :) :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ শুকনোপাতা।আপনাকে ভাই বলব নাকি বোন বলব বুঝতে পারছি না!!!! :|

৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অসাম, ডাবল অসাম ||

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: থ্যাংক্স,ডবল থ্যাংক্স মুন ভাই!!!!!!!!

৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

শৌভিক শেরনিয়াদ বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে। অনেক!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শৌভিক ভাই!!!!!!!!

১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০

না পারভীন বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেল

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১

শুঁটকি মাছ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ পারভীন আপু!

১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০

রুপ।ই বলেছেন: ভালো লেগেছে +++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১

শুঁটকি মাছ বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ রুপ।ই ভাই!

১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: এরকম কিছু পোস্ট চাই। এমন কিছু পরিবর্তন চাই সমাজে। গল্পকারের গল্পে একিসাথে আবেগ এবং বিদ্রোহ চাই।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৩

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তোমাকে ছোট্ট আপু,। তোমার লেখাও আমি পড়েছি। যথেষ্ট ম্যাচিউরড লেখো তুমি!!!!!

১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: আপু দারুন লিখেন ।++++++++++++++++++

আপনার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।


আপনার উত্তর কামনা করছি ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই!!!!
ভাল থাকবেন।

১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

এজেপি অর্ক বলেছেন: অসাধারন লেগেছে, এই মানবিকতা বার বার দেখার আশা নিয়েই মানুষ বেঁচে থাকে... :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: হ্যা।সবার ভিতরেই মানবতাটুকু বেচে থাকুক-এমনটাই প্রত্যাশা করি।
অনেক ধন্যবাদ এজেপি ভাই!

১৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৭

ইয়েন বলেছেন: ভাল লাগল ...+

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২১

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইয়েন ভাই!!!!!!

১৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: দারুণ একটা গল্প পড়লাম।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্যাঙ ভাই!!!!!!!!!

১৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৪

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: ওরে সর্বনাশ, এতো দেখি সাহিত্যে নোবেল পাওয়ার মতো গল্প। অবশ্য আমি ঠিক জানি না কোন রকমের সাহিত্যকর্ম নোবেল পুরস্কার পেয়ে থাকে। :) :) :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

শুঁটকি মাছ বলেছেন: খাইচে!!!!! :|| :|| :||
এইটা কি শুনাইলেন? বহুকাল আগে বাংলা সাহিত্যে রবিঠাকুর নোবেল পাইছিল!!!!তিনি যদি আপনার কথা শুনে্ন, তাইলে কাইন্দা কূল পাইব না!!!

১৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। এর চেয়ে বেশী আর কী বলা যায়। মুগ্ধ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপনারা কষ্ট করে গল্পটা পড়ে প্রশংসা করছেন এতে আসলেই আমি কৃতজ্ঞ ভাই!ভাল থাকবেন।

১৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৬

বৃতি বলেছেন: বাহ, চমৎকার লিখেছেন!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি আপু।ভাল আছেন তো?

২০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো। শেষটা বিশেষ করে , একদম রূপকথার মত একটা এন্ডিং। ++++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

শুঁটকি মাছ বলেছেন: থ্যাংকিউ ছো মাচ তনিমা আপু। প্লাসের জন্য বেশী বেশী ধন্যবাদ!!!

২১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অনুভূতিময় গল্প।

অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপনার মত গল্পকারের কাছ থেকে মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগছে ভাই!!!!!!!ধন্যবাদ।

২২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: মুগ্ধ ! মুগ্ধ ! মুগ্ধ !


কেমনে আমি বুঝলাম যে আপনে আমারে ভালবাসেন না শুনবেন? আমি দেখছি, আমার কাস্টোমার আসবে শুনার পরেও আপনে ব্যাজার হইতেন না। আমারে ভালবাসলে তো আর আপনে আমারে অন্য কারো কাছে যাইতে দিতেন না।আমার কথা শেষ।আপনে এখন যাইতে পারেন।
আমি শিউলির দিকে তাকিয়ে দেখি ওর চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। কাজল আর চোখের জল একত্রে মিশে একাকার অবস্থা। কিন্তু চোখের জলটা মুছে দেয়ার অবকাশ আমার নেই।


কোথায় যেনও নারিয়ে দিয়ে গেলো! ভয়াবহ মুগ্ধ !

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আদনান ভাই।পুরো গল্পে সত্যি বলতে এই অংশটা আমারো বেশ প্রিয়।
ভাল থাকবেন ভাই।

২৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব ভালো লাগছে যে আপনি নিয়মিত লিখছেন। চমৎকার একটি ব্যাপার। প্রতিনিয়তই আপনার লেখাগুলো ভালো থেকে আরো ভালো হচ্ছে। এটা খুবই আনন্দের।

এই গল্পটি আমার খুব ভালো লেগেছে। বর্ননা, কাহিনী বিন্যাস, এবং সামগ্রিক ভাবে লেখা পড়ে পাঠকের মনে অনুভুতি সৃষ্টি করাটা গল্পকার হিসেবে গল্পের সাফল্যের কথাই বলে।

অনেক শুভ কামনা রইল।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাল লিখছি কিনা জানিনা ভাই।তবে ভাল কিছু লেখার চেষ্টায় আছি। জানিনা,কতটা পারছি।তবে সত্যি বলতে কি আপনাদের অনুপ্রেরণা আছে বলেই কিছুটা পারছি।অনেক অনেক ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য!!!!!

২৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

শ্রাবণধারা বলেছেন: বেশ চমৎকার, পড়তে ভাল লাগলো।

তবে কি, কোটি ডলারের সম্পত্তি ওয়ালারা ঠিক এতটা মানবিক হয়না সাধারণত। আর বাঙালী হলে তো কথাই নেই, বাঙালী বড়লোক মাত্রই ভয়াবহ ধর্ষক। আর রিটা/ শিউলিকে ভালবাসতে পারে চালচুলোহীন ভাদাম রাই..........।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ওয়ারেন বাফেটের নাম নিশ্চয়ি শুনেছেন? তার গল্প বলার প্রয়োজন বোধ করছি না। আর আমাদের বাঙ্গালীদের ভাই এভাবে অপবাদ দেবেন না।কষ্ট পাই।হয়তো এটা কেবলই গল্প,কিন্তু গল্প কখনও কখনও বাস্তবতারও অংশ।খুব কি অবাস্তব যদি সত্যিই একজন কোটিপতির মনেও মনুষ্যত্ব থেকে থাকে?
কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।ভাল থাকবেন।

২৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: মুগ্ধ হলাম পড়ে। শিউলির অংশটুকু বেশ আবেগময়।
রিটার অংশটুকু মানবিকতাময়....
পাঠক অনুপ্রেরণা পাবেন, মানবিকতার।

ব্লগে বেশ ক’জন ভালো গল্পকার আছেন। আমি তাদের ভক্ত।
আজ পেলাম আরেকজন।


লেখককে অনেক শুভেচ্ছা :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: হ্যা এটা সত্যিই ব্লগে বেশ কয়েকজন অসাধারণ গল্পকার আছেন।নাম বলতে চাইনা।তবে আমি নিজেও তাদের অনেকের ভক্ত। এত গুণী ব্লগারদের সাথে আমাকে সামিল করার জন্য সত্যিই কৃতজ্ঞ।তবে বেশী খুশি হব,তাদের কাতারে আমাকে আরো কিছুদিন পরে ফেললে।কারণ আমি কেবলই লেখালেখি শুরু করেছি। আপনাদের অনুপ্রেরণাই লেখায় আগ্রহী করে তুলছে আমাকে। সব সময় আপনাদের পাশে পার এমনটাই কামনা করি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।ভাল থাকবেন।

২৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

htusar বলেছেন: ভাল লাগলো ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার ভাই।

২৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অন্ধকার ঊষর প্রান্তরে আলোর ফুল ফোটালেন। এই আলো সবখানে ছড়িয়ে যাক...

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

শুঁটকি মাছ বলেছেন: চমৎকার বলছেন ।ধন্যবাদ হামা ভাই!

২৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে যতটা আশাবাদী হয়েছিলাম, মন্তব্য পড়ে ততটাই হতাশ হলাম।

"ওয়ারেন বাফেটের নাম নিশ্চয়ি শুনেছেন?"
লক্ষ করুন - "কোটি ডলারের সম্পত্তি ওয়ালারা ঠিক এতটা মানবিক হয়না সাধারণত।"

ওয়েরেন বাফেটের উদাহরণটা বেশ অপ্রাসঙ্গিক। আপনি যদি কখনও বার্কশায়ার হাথওয়ার এজিএমে শেয়ার হোল্ডারদের উদ্দেশ্যে তার দেওয়া বক্তৃতাগুলো (যেগুলো খুব বুদ্ধিদীপ্ত এবং মজার) পড়তেন তাহলেবুঝতে পারতেন, তার philanthropist পরিচয়ের চেয়ে বড় পরিচয় investor হিসেবে।
আপনি যদি বাংলাদেশী কোন কঠিন বড়লোকদের থেকে উদাহরনটা দিতেন, তাহলে আমি তো আপনার কথা মানতামই, বরং এটা জেনে আমি অনেক খুশী হতাম যে বাঙালী বড়লোক সম্পর্কে আমার ধারণা ভুল।

"আমাদের বাঙ্গালীদের ভাই এভাবে অপবাদ দেবেন না। কষ্ট পাই।"
অপবাদ বাঙ্গালীদের দেইনি কিন্তু, কঠিন বড়লোক বাঙ্গালীদের (!) দিয়েছি। কি করবো বলেন, কঠিন বড়লোক বাঙ্গালী (!) মনে করতেই যে কয়টা নাম মনে পরলো, তাদের কথা ভাবতেই শিউরে উঠলাম।

যাক, আপনার লেখালেখি শুভ হোক........।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

শুঁটকি মাছ বলেছেন: আমার পরিচিত এমন একজন আছেন যাকে আমি অনেক মানবিক আচরণ করতে দেখেছি। এসব নিয়ে তর্ক করতে ভাল লাগে না ভাই। ভাল থাকবেন।

২৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

অশ্রু কারিগড় বলেছেন: আবেগতো আর ধইরা রাখতে পারতেছি না । একটু আগে বস ঝাড়ি দিয়া কান্দাইছে এখন আপনে কান্দাইলেন :(( :( :(( । কই যামু ?

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: বস এতু খারাপ কেনু?
ওনাকে আমার পক্ষ থেকে এত্তগুলা পচা বলে দেবেন।ওকে? :P
গল্প পইড়া কাইন্দা অফিসের টিস্যু বক্স শেষ করলে কতৃপক্ষ দায়ী না। :#)

৩০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সব জাদরেল গল্পকারদের ভালোলাগা জানিয়ে দিচ্ছে কতটা দারুন লিখেছেন। খুবই ভালো লাগলো।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

শুঁটকি মাছ বলেছেন: নিজেকে বাদ দিলেন কেন ভাই?আপনিও তাদের বাইরে নন। আপনাদের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই!

৩১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: একটা কম্পলিট গপ। কোন গ্যাপ নাই। অনেক ভালো লাগছে।

*যেহেতু লন্ডন তাহলে ডলার না লিখে পাউন্ড লিখলে মানানসই হবে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: থ্যাংক্স মাসুম ভাই।
পাউন্ডের কথা লেখার সময় খেয়াল ছিল না।কারেক্ট করি।খাড়ান।

৩২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫

চানাচুর বলেছেন: দারুণ হয়েছে গল্পটি। থ্যাংকস 8-|

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

শুঁটকি মাছ বলেছেন: তুমাকেও খ্যাংচ চানাদা!!!!!!! ;)

৩৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গল্পের শেষটা অসম্ভব সুন্দর হয়েছে :) এমন একটা ফিনিশিংই আশা করছিলাম :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নাজিম ভাই।ভাল থাকবেন।

৩৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

মশিকুর বলেছেন:
হায়রে! আগেই সন্দেহ করছিলাম আপনি ভালো লেখেন। এখন সময় করে আগের গুলো পড়তে হবে। গল্পে ভালোলাগা।

+

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

শুঁটকি মাছ বলেছেন: হাহাহাহ।
আপনার কমেন্ট পড়ে মজা পেয়েছি।অনেক অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে লেখাটা পড়ার জন্য।
আমার ব্লগে সবসময় আমন্ত্রণ রইল!!!!!!!

৩৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাল লিখেছেন। অনেক ভাল।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মহা ভাই।ভাল থাকবেন!!!!

৩৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

হিমু্_017 বলেছেন: খুব সুন্দর

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হিমু ভাই!!!!!

৩৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০২

কথক পলাশ বলেছেন: অনেকদিন পর একটা অন্যরকম গল্প পড়লাম। গতানুগতিক প্রবাহের বাইরে।
অসাধারণ!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

শুঁটকি মাছ বলেছেন: এতটা প্রশংসা এত তাড়াতাড়ি আশাতীত ছিল।অনেক ধন্যবাদ পলাশ ভাই।ভাল থাকবেন।

৩৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ ভাল গল্প
সময়ের লিখন
ভাল থাক সব সময়
শুভঅভিনন্দন ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু!

৩৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

ত্রিশোনকু বলেছেন:
হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প।

ভাল্লাগলো খুব।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার!!!!!!!!!!

৪০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

চানাচুর বলেছেন: তুমার কথা সত্যি! ভন্দু আমার পোস্টে আসে না :(

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-))

৪১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

কালীদাস বলেছেন: গল্পটা আমার ভাল লাগছে।
কিপিটাপ :#)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১

শুঁটকি মাছ বলেছেন: থ্যাংকিউ কালীদাস ভাই!!!!!!!!!!
অনেক দিন পরে আমার ব্লগে আসলেন।

৪২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শিউলির সাথে কথোপকথন, ভাত খেতে চাওয়া ঐ অংশটুকু উপভোগ করেছি। বাস্তবতা এমন এক ব্যাপার যা আবেগকে বেঁধে ফেলে, মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত সেন্টিমেন্ট এমন এক ব্যাপার যা লোকলজ্জার বেড়াজালে আটকে পড়ে শ্বাস রুদ্ধ হয়ে থাকে সময়ে আর অসময়ে ব্যথিত করে নিজেকে।

শুভেচ্ছা তোমাকে

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: দারুন একটা কথা বলেছেন আপু!
বাস্তবতা এমন এক ব্যাপার যা আবেগকে বেঁধে ফেলে, মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত সেন্টিমেন্ট এমন এক ব্যাপার যা লোকলজ্জার বেড়াজালে আটকে পড়ে শ্বাস রুদ্ধ হয়ে থাকে সময়ে আর অসময়ে ব্যথিত করে নিজেকে।

খুব বেশী সত্যি কথা।
অনেক ধন্যবাদ আপু।

৪৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন: ভয়াবহ মানবিকতার গল্প !
ভালো লাগলো !

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ।অসংখ্য ধন্যবাদ প্রেইস ভাই!!!!!!!!!!

৪৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
ব্লগে পড়া অন্যতম সেরা গল্প। রেস্পেক্ট। হ্যাটস অফ ।।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

শুঁটকি মাছ বলেছেন: প্রশংসাটা মনে হয় যতটা প্রাপ্য ছিল তার চেয়ে বেশী পেয়েছি।অনেক অনেক ধন্যবাদ।ব্লগে আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

৪৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০১

ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: ভয়ঙ্কর একটা মাস্টার পিস!!!!!!

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫০

শুঁটকি মাছ বলেছেন: হাহাহাহ!!!!!!
এতটা প্রশংসার ভার কি বইতে পারবো বলেন?
অনেক অনেক ধন্যবাদ!!!!!!!

৪৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: অসাধারণ গল্প। গল্পের নায়কের নিকট থেকে শিউলি আরো কিছু পেতে পারতো। কিন্তু পায়নি। এখন রিটাকে যতই দেওয়া হোক না কেন শিউলি বঞ্চিতই থেকে যাবে। শিউলিকে খোজার জন্য একটা চেষ্টাও কি করা যেত না?

যদিও সবকিছু গল্পের কাহিনী অনুসারেই এগিয়েছে তারপরেও মনকে বুঝ দেওয়া কঠিন। গল্পে একরাশ ভালোলাগা।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপনার কমেন্টগুলো পড়ে খুব ভালো লাগে। লেখাটা আসলেই সার্থক মনে হয়।|ভালো থাকবেন। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.