![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম অংশঃ
লাইভ টক শো শুরু হবে ক্ষাণিক পরেই। অতিথিরা যার যার মেক-আপ নিতে শুরু করেছেন। তিনজন অতিথির ভেতরে একমাত্র মহিলা হোমায়রা রহমান বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা। ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দিতে তিনি জীবন দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বস্তিতে বস্তিতে ঘুরে অসচেতন মানুষগুলোকে শিক্ষার ব্যাপারে সচেতন করে চলেছেন অবিরত। হোমায়রা রহমানের অবদান এখন এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
“গালের ব্লাসনটা কি একটু ভারী হয়ে গেল না?”-ব্যক্তিগত মেক-আপ ম্যানকে জিজ্ঞাসা করলেন হোমায়রা।
-ম্যাম ক্যামেরার সামনে অতটা বোঝা যাবে না। জাস্ট মনে হবে যেন আপনার গালটা প্রাকৃতিক ভাবেই গোলাপি।
মেক-আপ ম্যানের আশ্বাসে ভরসা পান না হোমায়রা। সবাই তো জানেই যে হোমায়রা রহমান পথে পথে ঘুরে পথ শিশুদের শিক্ষার ব্যাপারে সচেতন করেন। যে মানুষ রোদ-বৃষ্টিতে পথে পথে ঘুরে বেড়ায়,তার গাল তো গোলাপী হবে না। তার শরীর হবে তামাটে কিংবা বাদামী। তাই তিনি মেক আপ ম্যানকে আদেশ করলেন, “ না বাবা, গোলাপী ব্লাসনটা মুছে ফেল। তুমি বরং বাদামী রং-টা লাগাও। ওটাই আমাকে স্যুট করে।”
আরেক অতিথি নাজমুল ওয়াদুদ নারী স্বাধীনতা ও উন্নয়নে বিভিন্ন কাজ করে দেশে ও বিদেশে ভীষণভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। তার কাজের ভেতর সবচেয়ে প্রশংসিত ছিল নিজ পোশাক কারখানায় প্রায় হাজার খানেক পতিতাকে চাকরী প্রদান করা। এত বড় কাজের জন্য বাহবাও নেহাত কম পাননি। অনেকেতো মাঝে মাঝে বলে বসে- একদম শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার মত একটা কাজ করেছেন নাজমুল সাহেব। এসব কথায় নাজমুল সাহেব খানিকটা লজ্জিতই হন। তিনি বরাবরই বিনয়ী মানুষ হিসাবে পরিচিত। আজকের এই টক শোতেও তার আসার একদম সময় ছিল না। তাও বিনয়ী মানুষ বলেই অনুরোধে ঢেকি গিলতে হল। এই টক শো গুলোতে আসার আরেক সমস্যা হল-এই মেক আপ নেয়ার ঝামেলা। তার মেক-আপ নিতে খুবই বাজে লাগে। মেক-আপ ম্যান আসতেই তিনি ভ্রু কুচকে বললেন- এই বস্তুটা না নিলে হয়না?
তার কথা শুনে মেক আপ ম্যান কিছু বলার আগেই ক্যামেরাম্যান বলে উঠল- স্যার, মেক আপ কই দেখলেন? এতো সামান্য পাউডার! সাধারণ ভাবে মুখে লাইট ফেললে স্কিনটা তেলতেলে দেখা যায়। এই পাউডারটুকু মাখলে মুখে সতেজ ভাব আসবে। নিন মেখে নিন।”
আরেক অতিথি ফাদার থমাস রড্রিক্স! তিনি যে দেশে বাস করেন, সে দেশে তার ধর্মের লোকেরা সংখ্যালঘু বলে পরিচিত। তারপরেও দেশের সকল ধর্মে্র লোকেরাই তাকে মন থেকেই সম্মান দেয়। এই সম্মানটুকু সে ধর্মীয় নেতা বলে পায়নি। বরং সম্মানটুকু কর্মগুণেই পেয়েছেন। চার্চের পাশেই দরিদ্র শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন একটা চিকিৎসালয়। সেই সাথে চার্চের ভেতরে একটা নাইট স্কুলও চালান। এখানে সকল ধর্মে্র শিশুরাই সমান সুযোগ পান। এমন উদার চিন্তার থমাস রড্রিক্সকে মানুষ দেবতার আসনে বসাবে- সে তো প্রশ্নের অতীত!
খানিক পরেই কে একজন এসে অতিথিদের প্রস্তুত হতে বলল। এখনই টক শো লাইভ টেলিকাস্ট হবে। আজকের বিষয়- “নারী ও শিশু উন্নয়নের অগ্রযাত্রা।”
অতিথিরা আসন গ্রহন যখনই করতে যাচ্ছেন ঠিক তখনই “আগুন-আগুন” বলে চিৎকার শোনা গেল। এমন চিৎকারে স্বাভাবিকভাবেই অতিথিদের দিকে কারো নজর দেয়ার কথা নয়। সবাই হুলুস্থূল করে আগুন থেকে বাচার পথ খুজতে লাগল। অতিথিরাও নিজের জীবন বাচানোর জন্য দৌড়াতে শুরু করেছেন। এদিকে আগুনের শিখা লক-লক করে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। দম আটকে আসছে ধোয়ার গন্ধে আর থেমে আসছে দৌড়ের গতি। হাল ছেড়ে দিয়ে অজ্ঞান হয়ে একটা সময় লুটিয়ে পড়ছে আগুন আক্রান্ত মানুষগুলো। একটা সময় পুরো বিল্ডিংটায় আগুন ধরে গেল। মারা গেল শ’খানেক মানুষ। সেই মানুষদের ভেতরে আছেন টক-শো-এর তিন অতিথি- হোমায়রা, নাজমুল এবং ফাদার রড্রিক্স।
যে সময়ে তাদের টকশোতে আলাপ আলোচনায় ব্যস্ত থাকার কথা ছিল, তখন তাদের হলেন টিভি চ্যানেলগুলোর খবরের অংশ!
দ্বিতীয় অংশঃ
এদিকে কিছুসময় পর নাজমুল চোখ খুলে দেখলেন তিনি একটা অন্ধকার গুহায় শুয়ে আছেন। শরীরে কেমন পিনপিনে ব্যাথা। পাশেই হোমায়রা শারমিন বসে আছেন। একটু দূরে গুহার মেঝেতে ফাদার রড্রিক্স-এর দেহটা পড়ে আছে। নাজমুল অবাক চোখে চারপাশ দেখতে লাগলেন। তারপর এগিয়ে গেলেন রড্রিক্সের কাছে। রড্রিক্সকে কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করার পর তিনি জেগে উঠলেন এবং সাথে সাথেই প্রশ্ন করলেন, “আমরা কোথায়?”
নাজমুল জবাব দেয়ার আগেই হোমায়রা বললেন- বুঝতে পারছিনা। আমরা টক শোতে গিয়েছিলাম। ওখানে আগুন ধরল। তারপর চোখ খুলে দেখি আমরা এখানে। কিভাবে এই গুহায় আসলাম বুঝতে পারছিনা।
নাজমুলও চিন্তা করে বের করতে পারল না কিভাবে তারা এ জায়গায় আসল। কে আনল তাদের? কোনো বড় চক্রের কাজ হতে পারে এটা। তারা তিনজনই সমাজের ক্ষমতাবান মানুষ। তাদের অপহরণ করে মুক্তিপন চাইলে তার ব্যবস্থা সরকারই করবে হয়তো।
“আমরা হয়তো অপহৃত হয়েছি”-নাজমুল রড্রিক্সকে বললেন।
এরপর আর কেউ কোনো কথা খুজে পেল না। অদ্ভুত আতংকের ছায়া সবার মুখে এসে লাগল।
তারা তিনজন অপেক্ষা করতে শুরু করল কেউ তাদের কাছে আসে কিনা। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, কেউ আসল না।গুহার এপাশ ওপাশ ঘুরে পালানোর পথ খুজলো সেটাও খুজে পেল না। খাচাবন্দী পাখির মত গুহার এপ্রান্তে ও প্রান্তে পালানোর জন্য পথ খুজে খুজে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ল। একটা সময় হোমায়রা, নাজমুল এবং ফাদার রড্রিক্স কেমন ঝিম মেরে বসে রইলেন।
হঠাৎ হোমায়রা কি মনে করে সোজা হয়ে বসে দু’জনকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “জানেন, আমার বাসায় কুসুম নামে একটা কাজের মেয়ে ছিল। ওর বয়স ছিল ১২ বছর।”
ফাদার রড্রিক্স ও নাজমুল হোমায়রার অপ্রাসঙ্গিক কথা শুনে কিছুটা বিরক্তই হলেন। কিন্তু ঐদুজনের চোখে ফুটে ওঠা বিরক্তিকে তেমন পাত্তা দিলেন না হোমায়রা। তিনি আপন মনে বলে চললেন, “ওর বাবা ছিল না। ওর মা যখন ওকে আমার কাছে দিয়ে গেল তখন খুব কাকুতিমিনতি করে বলেছিল যেন আমি ওকে পড়া লেখা শিখাই। কিন্তু আমার ওরকম সময় কই বলেন? সমাজ সেবা নিয়ে প্রতি মুহূর্তে আমাকে কি পরিমান ব্যস্ত থাকতে হয় তাতো আপনারা সকলেই জানেন। তাছাড়া প্রতিদিন আমি কিরকম শাড়ি-গহনা পরব তার জন্যেও তো একটা লোক প্রয়োজন। কুসুমের কাজ ছিল আমার শাড়ি আর গহনাগুলো কোনটা কবে পড়ব তা গুছিয়ে রাখা। কত সামান্য কাজ দেখেছেন? অথচ এই সামান্য কাজটাও ও করতে পারেনা। তারউপর মুখে মুখে কথা বলার অভ্যাস তো ছিলই। সারাদিন শিশুদের শিক্ষার জন্য সচেতন করে তুলতে শহরময় ঘুরে যখন রাতে ফিরতাম তখন প্রতিদিন সে একই ভ্যাজর-ভ্যাজর করত। বলত, “খালা আমারে কবে স্কুলে ভর্তি করবেন?” আমি ওর এই বেয়াদবিটুকু কিন্তু মাফ করে দিতাম। কিন্তু মেজাজ খারাপ হল কবে জানেন? একদিন গোসলের সময় ডায়মণ্ডের ইয়ার রিং বেসিনে রেখেছিলাম। গোসলের পর ওটা আনতে আর মনে নেই। রাতে বাড়ি ফিরে আমার দুল-জোড়ার কথা মনে হতেই ওয়াশরুমে গিয়ে দেখি ওখানে দুলজোড়া নেই। কুসুমকে জিজ্ঞাসা করলাম। সেও নাকি দেখেনি। অথচ আমার রুমে বাইরের লোক বলতে কুসুমই কেবল ঢোকে। আমি নিশ্চিত হলাম- ওই দুলদুটো কুসুমই সরিয়েছে। ওকে বেধরক পেটালাম। তাও দেখি ও দুলদুটো দিচ্ছে না। মেজাজ এত খারাপ হল, কি আর বলব। সামনে ছিল কাটা চামচ। ওটাই ওর বাম চোখে ঢুকিয়ে দিলাম। ব্যাথায় কুসুম শুয়োরের মত গো-গো শব্দ করতে লাগল। কিন্তু তখন আমি হুশ ফিরে পেয়েছি। ওকে এরকম আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে আমার ইমেজের কেমন ক্ষতি হবে ভাবতে পারেন? সাথে সাথে আজগরকে ফোন দিলাম। আজগর আমার স্বামীর ক্লায়েন্ট ছিল। জানেন তো আমার স্বামী যে ব্যারিস্টার! আজগরকে বললাম-কুসুমকে গুম করে ফেলতে আর সাথে কিছু টাকা ধরিয়ে দিলাম। আজগরও কৃতজ্ঞতা ভালোই দেখালো। কুসুমকে কই হাপিস করে ফেলল তা কেউ জানলো না। পরদিন কাজের মেয়ে হারিয়ে গিয়েছে-এই মর্মে থানায় ডায়েরী করলাম। থানা থেকে ফিরে ওয়াশরুমে গিয়ে দেখি বেসিনের নিচে এক কোনায় দুল-জোড়া পড়ে আছে।”
হোমায়রা অনুতপ্ত কন্ঠে কনফেশ করে অপরাধী দৃষ্টি নিয়ে নাজমুল আর রড্রিক্সের দিকে তাকালেন।
নাজমুল বললেন, “এটা তেমন কোনো বড় অপরাধ নয় হোমায়রা। আমি কি করতাম তা শুনলে তো আপনি আমাকে আপনার থেকেও বড় অপরাধী ভাববেন। আপনারা সবাই জানেন, আমি আমার পোষাক তৈরীর কারখানায় অসংখ্য পতিতাদের চাকরী দিয়েছি। তবে এর পিছনে কিন্তু আমার একটা উদ্দেশ্য ছিল। ঐ পতিতাদেরকে আমি নিজের জন্য ব্যবহার করতাম। আচ্ছা আপনারাই বলুন, আমার মত এমন একজন মানুষের কি নিয়মিত পতিতালয়ে যাওয়া সাজে? লোকে জানাজানি হলে কি হবে ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন? তারচেয়ে বরং ব্যক্তিগত রক্ষিতা রাখাই কি নিরাপদ না? এখন আপনারা আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন যে এতজন পতিতাকে ব্যবহার করার কি দরকার ছিল আমার? আসলে হয়েছেটা কি, আমি আবার প্রতিদিন এক নারীতে আনন্দ পাই না। আমার একটু ভেরিয়েশন লাগে। এই জন্যেই আরকি এসব করতাম। এই জৈবিক চাহিদাটা কি আমার দোষ বলুন- আপনারাই?”
নাজমুল দোষ কাটাতে এসব যুক্তি দিলেও বাকি দুজন স্পষ্ট দেখলেন নাজমুল সাহেবের চোখে অপরাধ বোধ এসে জমা হয়েছে। তিনি চাইলেও এটা ঢাকতে পারছেন না।
হোমায়রা হঠাৎ করুন কন্ঠে ফাদার রড্রিক্সকে বললেন- ফাদার সব ধর্মে্র মূল কথা তো একই। আপনিই বলুন আমরা কিভাবে এই অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাবো?
হোমায়রার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ফাদার বলতে শুরু করলেন অন্য কথা।
“আমার চার্চের নাইট স্কুলটায় একজন অসম্ভব মেধাবী শিক্ষক ছিল। ওর নাম জোহান । ওর একাডেমিক রেজাল্ট এত ভালো থাকার পরেও কেন যে ও সব ছেড়ে সন্ন্যাসী হতে চাইল সেটাই জানিনা। ওর আচার-আচরণ, চেহারা, চলাফেরা সব মিলিয়ে আমার মনে হত সাক্ষাত যিশু! রাতের বেলা শিশুদের ওর পরম যত্নে শিশুদের পড়ানো দেখলে যে কারো মনে হবে ঈশ্বর স্বর্গীয় উদ্যানে দেব শিশুদের শিক্ষা দিচ্ছেন। জোহানকে আমি নিজেও পুত্র জ্ঞান করতাম। কিন্তু দুঃখের কথা কি বলব- ছেলেটা সেই ভালোবাসার মূল্যটুকু দিল না। আমার আবার একটু বদ অভ্যাস ছিলো, বুঝলে! মাঝে মাঝে নাইটস্কুলে আসা ছোটো ছোটো মেয়েগুলোকে আমি আমার ঘরে নিয়ে যেতাম। বাচ্চাগুলো কিছু বুঝত না। কান্না কাটি করলে হাতে দামী চকলেট ধরিয়ে দিলেই কান্না থেমে যেত। বোঝোই তো, গরীবের ছেলে মেয়ে অল্পতেই খুশি। সব ঠিকই ছিল। কিন্তু ঝামেলা বাধল ঐ ব্যাপারটা জোহানের চোখে পড়াতে। সে সবার কাছে ব্যাপারটা জানিয়ে দিতে চাইল। আচ্ছা, আমার এখানে অপরাধটা কি বলতো। দিন শেষে আমি তো একজন পুরুষ। আমার ভেতরে একটা কামুক জীব যদি থাকে সেটা কি আমার অপরাধ? সেই ক্ষুধা মেটাতে আমি যদি কয়েকটা শিশুকে হাত করি তাতে তো দোষের কিছু নেই। বরং তার বিনিময়ে আমিও তো তাদের শিক্ষা-চিকিৎসার ব্যবস্থাটা করেছি। তাইনা? ঐদিন রাতেই আমি জোহানকে খুনের সিদ্ধান্ত নিলাম। ওর খেয়াল যখন কিছুটা অন্য দিকে চলে গেল আমি সামনে রাখা ফলের ছুড়িটা ওর গলায় বসিয়ে ফেলি। আর লাশটা গুম করতেও তেমন কষ্ট হল না। চার্চের ভেতরেই সমস্যাটার একটা সমাধান হয়ে গেল।”
রড্রিক্স কথা শেষ করে দেখলেন তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে হোমায়রা আর নাজমুল। রড্রিক্সের দেবতাসুলভ মুখোশের পেছনে যে এতটা শয়তানী থাকতে পারে তা তারা ভাবতে পারেনি।
তারপর আবার গুহাময় নীরবতা ছড়িয়ে গেল। হঠাৎ রডিক্স দেখলেন- হোমায়রা নিজের চোখের ভেতর আঙ্গুল ঢুকিয়ে চোখের মনি বের করার চেষ্টা করছে। চোখ থেকে রক্ত ঝড়ছে তাও হোমায়রা থামছে না।
ব্যাপারটা নাজমুল আর রড্রিক্সের কাছে তেমন অস্বাভাবিক লাগল না। বরং মনে হল- যে বিবেকের দংশনে তারা আক্রান্ত হয়েছে তা থেকে মুক্তি পেতে তাদের দুজনকেও হোমায়রার মত কিছুই করতে হবে। সাথে সাথেই নাজমুলকে দেখা গেল কোথা থেকে একটা ছুড়ি খুজে পেয়েছে। তারপর গায়ের কাপড় চোপড় খুলে নিজের যৌনাঙ্গে ছুড়ি চালাতে লাগল ক্রমাগত।
এদিকে রড্রিক্সের মাথার ভেতর কি যেন ভন-ভন শব্দ করে চলেছে। হাজার হাজার মৌমাছি একত্র হলে যে শব্দ করে ঠিক সেই শব্দ। রড্রিক্স পাগলের মত গুহার এদিক ওদিন ছুটতে লাগল। হঠাত তার মনে হল, মাথার ভেতরের মৌমাছিগুলোকে আগুনে পোড়ালে তবেই তার শান্তি হবে। এক জীবনের সব পাপ মুছবে ঐ মাথার ভেতরের মৌমাছিগুলোকে হত্যা করলে। তবেই সে রক্ষা পাবে অপরাধবোধ হতে। গুহার কোনায় কিভাবে যেন সে আগুন ধরিয়ে ফেলল। তারপর নিজ মাথা ঢুকিয়ে দিল সেই আগুনে। আগুনের ফুলকি ছুড়িয়ে পড়েছে গুহাময়। তিন পাপী সেই গুহায় দাঁড়িয়ে নিজেদের গ্লানী দূর করতে চাইছে, যে অপরাধবোধ তাদের হিংস্র কুকুরের মত ছিড়ে খাচ্ছে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তারা নিজেদের শাস্তি দিতে শুরু করেছে। বিবেক নামক সাপটার লকলকে জ্বিহবা তাদের ক্রমাগত পেচিয়ে ধরেছে। পাপীদের সর্বাঙ্গে আগুন। ব্যাথায় তারা উন্মাদের মত চিৎকার করছে। তবুও চাইছে যে কোনো শাস্তির বিনিময়ে তারা তাদের কৃতকর্ম হতে মুক্তি পাক!
একটা সময় তারা বুঝতে পারে তারা এক অন্তবিশে জর্জরিত কারাগারে বন্দী । পৃথিবীতে যাকে তারা নরক বলে জানতো । পাপীরা বুঝতে পারে, নিজ কর্মবিষে বারবার জর্জরিত হবে তারা । এই ভয়াল নরকের বন্দিগণের মুক্তি নেই অনন্তকালেও ।
(অঃটঃ বিশেষ সহযোগীতার জন্য সামুতে আমার অন্যতম প্রিয় লেখক আদনান শাহরিয়ার ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ । এই লোকটাকে লেখা নিয়ে সময়ে অসময়েই জ্বালাতন করা হয়!)
২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: থ্যাংকিউ আপু!!
অনেক দিন পর প্রিয় ব্লগারকে পেলাম!
২| ২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
নীল জোসনা বলেছেন: বিবেকের দংশনে পুড়ে অংগার হোক পাপাত্মা গুলো সব কিন্তু বিবেক কি সবার আছে ?
এই প্রশ্নটাই মাথায় ঘুরছে ।
২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আমার মতে আমাদের সবার ভেতরেই বিবেক সুপ্ত অবস্থায় থাকে। হয়তো এই বিবেকটা আমাদের সবচেয়ে বড় কারাগার!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু গল্পটা পড়ার জন্যে। ভালো থাকবেন।
৩| ২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লাস্ট যে কয়টি গল্প পড়েছিলাম আপনার, তার মধ্যে এটা খুব ভালো লেগেছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে বেশ সুন্দর, সাবলীল এবং পরিনত লেখা মনে হয়েছে। এবারের লেখায় তাড়াহুড়া তেমন একটা চোখে ধরা পড়েনি।
আর একটি বিষয়, বোল্ড করা অংশগুলো পড়তে গিয়ে চোখে লাগছে, আমার মনে হয়, বোল্ডা না থাকলেও ঐ অংশগুলো ঠিকই পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হবে। এটা নিতান্তই ব্যক্তিগত মতামত।
যাইহোক, গল্প ভালো লেগেছে। অনেক শুভ কামনা রইল।
২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আজকে সারাদিন বসে আস্তে ধীরে এই গল্পটা লিখেছি যাতে কোনো তাড়াহুড়া না আসে। কিন্তু সমস্যা হল- খুব তাড়াতাড়ি আমার ভিতরে অস্থিরতা চলে আসে। অস্থিরতা কমানোর জন্য এদিক ওদিক ঘুরলে আবার গল্পের পরিবেশের সাথে নিজেকে মিলাতে পারিনা। ব্যাপক সমস্যা!
যা হোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার প্রশংসার জন্য। ভালো থাইকেন।
৪| ২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
আপেক্ষিক বলেছেন: সুন্দর লিখেছ শুঁটকি। ভালই হয়েছে। ভরাট লেখা। কোন শুন্যস্থান ছিল না।
২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: থ্যাংকিউ ক্ষিক !
মাইয়াগো ছবি দিলা কেন? মাইয়া হইয়া গেছো নাকি?
৫| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৩
সুমাইয়া আলো বলেছেন: শুটকি আপুর গল্পে মজা আর মজা
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপনি মজার মানুষ, এই কারণেই এইরকম খড়খড়া লেখায় মজা পাইছেন ভাই!!
৬| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুব প্রাণবন্ত হয়েছে নানী !
গল্পের মেসেজটাও চমৎকার !
শেষের দিকে ওদের নরকে নয় , আমি ভেবে নিয়েছিলাম ওনারা আছেন টিভি ক্যামেরার সামনেই ! যেখানে ওদের মতিভ্রম করে দেয়া হয়েছে ! আর মনের অজান্তেই দেশের মানুষের কাছে নিজেদের মুখোশ খুলে দিয়েছে
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: থ্যাংকিউ নাতি গল্পটা পড়ার জন্য।
আপনি যেটা ভেবেছেন সেটা পড়ে মনে হল- এরকম করে লিখলেও খারাপ হত না! সুতরাং নাতি খুব তাড়াতাড়ি গল্প লিখে ফেলেন একটা!
৭| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১৮
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
গপটা পড়লাম। প্রথমত টক-শো শিরোনাম দিয়ে যে বিরক্তিকর জিনিসের আভাস দিয়েছিলেন তাই পাই নাই।
এখন গল্প প্রসঙ্গে আসি, গল্পের প্রথেমেই আমি শেষটা অনুমান করতে পারছি। গল্পের শেষে এসে ঈশপের গল্পের মতো মোরাল এড করা কিন্তু পাঠককে বোকা মনে করার সামিল।
আর গল্প কবিতায় কিছু অংশ বোল্ড করে গুরুত্বপূর্ণ করে পাঠকের কাছে উপস্থাপনের কোন মানে হয় না। পাঠক তার নিজ গরজেই পড়ে নেবে।
একটা প্লাস দিলাম!
শুভকামনা রইল।
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: টকশো নামটা কি আসলেই বিরক্তিকর হয়ে গেল?
অনেক অনেক ধন্যবাদ আলাউদ্দিন ভাই গল্পটা পড়ার জন্য!!!!!!
৮| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
একটু দেরি হয়ে গেছে পড়তে
সুন্দর থীমের উপর সুন্দর করে উপস্থাপিত শিক্ষনীয় একটি গল্প।
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: দেরী হলেও পড়েছেন তার জন্যই অনেক অনেক ধন্যবাদ!
ভালো থাকবেন ঘুনপোকা ভাই!
৯| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একটা সময় তারা বুঝতে পারে তারা এক অন্তবিশে জর্জরিত কারাগারে বন্দী । পৃথিবীতে যাকে তারা নরক বলে জানতো । পাপীরা বুঝতে পারে, নিজ কর্মবিষে বারবার জর্জরিত হবে তারা । এই ভয়াল নরকের বন্দিগণের মুক্তি নেই অনন্তকালেও ..........চরম সত্য।
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক
কে বলে তা বহুদূর
মানুষৈরই মাঝে স্বর্গ নরক
মানুষেই সুর অসুর....কবিতাটার কথা মনে পড়ে গেল।
++++++++++++++++++++++
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এই লাইনগুলো লিখতে সাহায্য করেছন আদনান ভাই!
বিদ্রোহী ভৃগু, অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার কমেন্ট এবং প্লাসের জন্য!
১০| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৯
চটপট ক বলেছেন: এতকাল কোন বিবেক ছিল না, হটাত করে বিবেক আসলো ক্যামনে ?
গল্পের মেসেজটা ভাল্লাগসে
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আরে বুঝনাই চোর পালাইলে বুদ্ধি বাড়ে! মরছে এই কারণে এত বিবেক আসছে!!
১১| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১০
সুইট এঞ্জেল বলেছেন: এই ছেলে তোমার নাম এত পচা রেখেছ কেন? শুটকি মাছ আমি অনেক ডিজলাইক করি।
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ওরে তোরা কে কোথায় আছিস, দেখে যা সুইটিসোনা আমার পোস্টে এসেছে!!!!
তুমি যতই শুটকি হেট করনা কেন, আমি তোমাকে অন্নেক অন্নেক লাভ করি!!!!
১২| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১৪
মামুন রশিদ বলেছেন: মুখোশটা খুব ভালো ভাবে খুলেছেন । গল্পে কনফেস টেকনিক বেশ সুন্দর ভাবে কাজে লাগিয়েছেন ।
গল্পে ভালোলাগা ।
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: থ্যাংকিউ মামুন ভাই ।
কিন্তু আপনি কেন? :-& :-&
১৩| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
আম্মানসুরা বলেছেন: চমৎকার লিখেছ! অসাধারন!
মুখ ও মুখোশ এই বিষয়টা আমাকেও ভাবায়, তোমার লেখায় চমৎকার ভাবে বিষয়টা ফুটিয়ে তুলেছ।
২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: প্রশংসার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকু আপু!!!!!
তবে নামটা হয়তো মুখ ও মুখোশও দেয়া যেতে পারত!
১৪| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ব্লগার বন্ধু শুঁটকি মাছ, আপনার গল্প ভাল লেগেছে!
আপনার লেখনী আগের চেয়ে অনেক সাবলীল হয়েছে, শব্দের সিলেকশানও যথেষ্ট পরিণত , সবচেয়ে ভাল লেগেছে আপনি আপনার সমাজ সংক্রান্ত নিজস্ব মতামত গুলো আপনার গল্পে নিয়ে এসেছেন। গল্প মানেই খালি রোম্যানটিসাইজ করা না। মানুষ প্রেমের গল্প অবশ্যই লিখবে, তার সাথে সাথে সমাজের কালি মাখা দিকগুলোও উঠে আসতে হবে তাদের লেখায়। আপনার ভেতরে এ পরিবর্তন আশায় আপনাকে বিশেষ অভিনন্দন!
একটা বন্ধুসুলভ পরামর্শ দিতে চাই, গল্পকারের মাথা তো আস্ত একটা ম্যাড হাউজ, মানে পাগলের কারখানা। কাজেই কল্পনাকে উড়তে দেই স্বাধীন ভাবে। কিন্তু কল্পনাকে ঘষে মেজে বাস্তবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে নেয়াটাও গুরুত্তপূর্ণ। এটা মাথায় রেখে লিখলে দেখবেন গল্পের মান কোথা থেকে কোথায় গিয়ে পৌঁছায়!
সর্বদা শুভকামনা।
২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অসাধারণ কিছু কথা বলেছেন আবির ভাই!!!
আমার সমস্যা হল, আমার মাথায় যতই আইডিয়া থাকুক না কেন, গল্প লিখতে বসলেই আমাকে অস্থিরতা তাড়া করতে শুরু করে। হয়তো এই কারণেই সেটা পরিপূর্ণতা পায় না। এখন থেকে ভাবছি ভাবনা গুলোকে আরো ধীর স্থির ভাবে প্রকাশ করার অনুশীলন করব।
ধন্যবাদ।
১৫| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০২
আমি সাজিদ বলেছেন: হাহাহ
২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হাসছুইন কেন?
১৬| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: চমৎকার একটা শিক্ষণীয় গল্প। ভাল লাগলো পড়ে।
২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: থ্যাংকিউ আপু!!!!!!!!!!
১৭| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যা লিখেছো অনেকাংশেই তা হয়তো বাস্তবতা। সমাজ সেবকদের ঘরের গৃহকর্মীরাই এখন চরম নির্যাতিত। পরিবারের ভার অন্যদের হাতে দিয়ে যে হাই মেকাপ দিয়ে ক্যামেরার সামনে সমাজ সেবা করে বেড়ায় তার থেকে এটাই অবশ্য প্রত্যাশিত। আর চার্চগুলোর অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে অনেক ধামাচাপা দিয়েও শেষ রক্ষা হচ্ছেনা
২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাল বলছেন ভাই!!!
জানিনা আসলেই কতটা ফুটায়ে তুলছি, তবে সামান্য চেষ্টা করলাম আরকি!
১৮| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩০
জাফরুল মবীন বলেছেন: মানুষের অন্তরাত্মা ও বাহ্যিক রূপের বৈপরীত্ব দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।এরা সমাজের ঘূণপোকা।আপনার মনোজাগতিক ভাবনা যথেষ্ট পরিপক্ক।ধন্যবাদ এ রকম একটি সমসাময়িক বাস্তবচিত্র তুলে ধরার জন্য।
২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপনাকে আমার পোস্টে আবার পেয়ে খুশি হলাম। আপনার লেখাগুলো আমার ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনার প্রশংসার জন্য। ভালো থাকবেন।
১৯| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪১
সুমন কর বলেছেন: সাবলীল ও গোছানো লেখা। সমাজের কিছু সত্য, লেখায় তুলে আনায় ভাল লাগল। আসলে এ রকম অনেক ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে।
গল্প ভালো লাগল।
২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার প্রশংসার জন্য।
অনেকদিন পর আপনার দেখা পেলাম। ভালো আছেন নিশ্চয়ই?
২০| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১:২৮
মশিকুর বলেছেন:
গল্পটা নাড়া দিয়েছে! আমাদের সকলের ক্ষেত্রেই এই গল্পের থিমটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সকলের বিবেক জাগ্রত হোক। আমরা যা; তাই যেন সকলের কাছে প্রকাশ করি...
+
ভালো থাকুন।
*********************************************************************
//গল্পের নামটা বিবেক সংক্রান্ত কিছু হলে ভালো হতো। টকশো গল্পের প্রেক্ষাপট, আর জাগ্রত বিবেক মূল বিষয় হিসেবে বর্ণনায় ফুটে উঠেছে//
২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: গল্পের নামটা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা ভাবনা, আলোচনা করার পরেও নামটা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারলাম না। পরে এটাই দিয়ে দিয়েছি। গল্প লেখার পর মেইন ভ্যাজাল এইটাই।
যা হোক পরের বার আরো বেশী সময় ভেবে একটা নাম দিবো। ভালো থাইকেন।
২১| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৩৬
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মুখোশের আড়ালে মানুষের কুৎসিত রূপটাকে ঢেকে রাখা যায় কিন্তু বিবেকের আদালতে দাঁড়ালে মুখোশগুলো ভেঙ্গে যায়। বিবেকের দংশনে পুড়ে ছাই হোক সকল পাপাত্মা।
২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: খুব দামী কথা বলেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার লেখা পড়ার জন্য প্রবাসী ভাই। ভাল থাকবেন।
২২| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৩:১২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বেশ ভাল লাগল সব মিলিয়ে।
২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: প্রিয় লেখকের মন্তব্য পেয়ে দারুন খুশি হলাম।
২৩| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
সুইট এঞ্জেল বলেছেন: এই ছেলে তোমার নাম এত পচা রেখেছ কেন? শুটকি মাছ আমি অনেক ডিজলাইক করি। :-& :-&
টক-শো শিরোনামটা বিরক্তিকর হয় নাই।
২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: সুইটিকে আমি ভালোবাসি বুঝেছেন!
সে যদি আমাকে ভালো না বাসে তাহলে আমি তাকে ইভটিজিং করতে বাধ্য হব। আমি খুব খারাপ ছেলে-এটাতো জানেনই!!!!!
২৪| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: আমরা আসলেই নিজেদের শুধু কথার মাধ্যমেই প্রচার করতে পছন্দ করি কিন্তু বাস্তবতা হল আমাদের ভেতরটা অন্যরকম।
২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: যা আমরা নই, তা মুখে বলা আমাদের অনেকেই স্বভাব। কি আর করা!
২৫| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১১
সময়ের ডানায় বলেছেন: সুমন কর বলেছেন: সাবলীল ও গোছানো লেখা। সমাজের কিছু সত্য, লেখায় তুলে আনায় ভাল লাগল। আসলে এ রকম অনেক ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে।
২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:২০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সময়!
২৬| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে। কনফেশন, অপহরণ, সেল্ফ স্যাডিজম এসবের কোন ব্যাখ্যা না দেয়ায় একটা ম্যাজিক রিয়ালিস্টিক ভাব এসেছে।
২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:২৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এই গল্পটা ম্যালা দিন ধরে লিখতে চাইতেছিলাম। যা হোক, আপনার প্রশংসা পেয়ে বোঝা গেল যে-জিনিসটা কিছু একটা হইছে। ধন্যবাদ হামা ভাই।
২৭| ২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো গলপ - গল্পের নাম টাও ভাল লেগেছে - আগেও টক
মইরাও টক। পুরাই টক শো !
ভালো থাকুন "" হুটকি "" মাছ
২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: মাহমুদ মামু যেহেতু বলছে যে গল্প ভালো লাগছে- তারমানে গল্প খারাপ হয় নাই।
থ্যাংকু সো মাচ মামু!!!!!!!!
২৮| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫
ফা হিম বলেছেন: হুম, মুখোশের আড়ালে মানুষগুলো এমনই হয়।
২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হ্যা। তবে আমার ধারনা , আমাদের সবারই বোধহয় একটা মুখোশ আছে।
২৯| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: কোনোদিন যদি এই গল্প পাঠ্যপুস্তকে যায় আর প্রশ্ন আসে, এই গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো তাহলে ছাত্রদের ঘাম ছুটে পাবে । পচা হয়েছে নামটা । :-< গল্প কেমন লেগেছে সেটা তো আগেই বলেছি । এখন আরেকটা বুদ্ধি দেই, লিখার সময় প্রচণ্ড অস্থিরতা লাগবে, যত অস্থির লাগবে ততো হাঁটবেন । হাঁটবেন আর নিজেকে চরিত্রগুলোর গভীরে ঢুকতে চেষ্টা করবেন । যত গভীরে ঢুকবেন ততো মাচুরিটি পাবে আপনার গল্প ।
আর হ্যাঁ, গল্প শেষে যে দুইটা লাইন লিখছেন সেটা গল্পের চেয়েও অসাধারণ হয়েছে । খিকজ !
আট নম্বর ভালো লাগা ।
২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হই মিয়া, গল্প শুনাইলাম প্রথম আপনারে আর আপ্নে আসছেন সবার লাস্টে কমেন্ট দিতে? যাউক গা, নিজ গুণে ক্ষমা দিলাম। নাম আজকে আবার চেঞ্জ করছি।।
থ্যাংকু ফর ইওর আট নম্বর ভালোলাগা!
৩০| ২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুঁটকি কিপ ইট আপ ........
২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এই মাত্র আপনার পোস্ট দিয়া আইসা দেখি আপনেও আমার পোস্টে এসে গেছেন/।
থ্যাংকু কান্ডারি ভাই!!!!
৩১| ২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আরিব্বাহ! খাসা গল্প দেখি
পুরোটা পড়তে পারছিনা আপাতত ....
সময় করে পড়বো ....
ধন্যবাদ
২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ আমার পোস্টে আসার জন্য। পরে কিন্তু অবশ্যই পড়ে দেখবেন।
৩২| ২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বেশ লাগলো। অনুশোচনা মানুষকে শুদ্ধতা দেয়। আসল কথা এটাই যে মানুষ সৎ থাকতে চায়। গোপন রাখতে চায় না কৃতকর্ম। এক সময় না এক সময় তার বিবেক জেগে উঠবেই। যেহেতু তারা মানুষ।
তবে যাদের ভেতরে অপরাধ বোধ নেই। বিবেকের কাছে জবাবদিহি নেই তারা আসলে ক্লীব শ্রেণির।
কাহিনী লেখা অনেক আনন্দের ব্যাপার।
মোরাল: শুঁটকি হইলেও আসলে তো মাছই।
২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৪১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আসলে আমাদের সবচেয়ে বড় কারাগার হল আমাদের বিবেক। বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতাই আমাদের খারাপ কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।
মোরাল দেখে এমন ইমুশুনাল হইছি কি আর বলপো!!!
৩৩| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১২
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: গল্পটা পড়ে প্রথম যে কথাটা মাথায় এসেছে -" শালারা সব কয়টাই তো খুব খারাপ!"
পরে ভেবে দেখলাম আমাদের আশে পাশে এই ধরনের প্রচুর শয়তান আছে। কিন্তু তাদের দেখে যায় না ঐ মুখোশ/মেকআপের জন্যই।
রাইটার তো ঝিনিয়াস!
২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হুম সবার সাথেই একটা মুখোশ থাকে।
বুঝেনই তো আমি নিতান্ত শুটকি মাছ! ঝিনিয়াস আর হতে পারলাম কই! :#> :#> :#> :!> :!>
৩৪| ২৮ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার লেখাটি খুব প্রাণবন্ত হয়েছে বলেই আমি মনে করি। ভালো লেখার জন্য ধন্যবাদ।
০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: লেখা পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দেশপ্রেমিক ভাই!!!!
৩৫| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পের দ্বিতীয় অংশ শুরুর পরেই ধারনা করতে পেরেছিলাম কাহিনী কোনদিকে এগুচ্ছে।খারাপ না।
০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আমি তুমি আমরা!!!!!!!! ভালো থাকবেন।
৩৬| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
মদন বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++
০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধইন্য বাদ!
আপনার প্রোফাইল পিকটা যেই পছন্দ না আমার!
৩৭| ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
জেরিফ বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা , এগিয়ে যান । শুভ কামনা রইলো
সুইট এঞ্জেল বলেছেন: এই ছেলে তোমার নাম এত পচা রেখেছ কেন? শুটকি মাছ আমি অনেক ডিজলাইক করি।
নিক টা ***** হইলেও সেরাম বিনোদন দিতে পারবে ।
০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: থ্যাংকু জেরিফ!!!!
সুইটিকে ***** বইলেন না। সে একটা ছোট্ট বাবু!
৩৮| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
কালীদাস বলেছেন: সেম থিমের গল্প/সিনামা দেখছি কয়েকটা। তয় আপনার ফিনিশিংটা অন্যরকম হইছে, যদিও তাড়াহুড়ার ছাপ চোখে পড়ে।
চালায়া যান
০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এইডা খুব আস্তে ধীরে লিখছিলাম, তাও তাত্তারির ছাপ আছে!
কি আর করা? আমি মানুষটাই কিছুটা অস্থির কিসিমের!!!!!
ভালো থাইকেন ভাই!
৩৯| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:১৭
গাঁয়ের ছেলে বলেছেন: ++++++++
০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ!
৪০| ০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
আর্টিফিসিয়াল বলেছেন: +++++++,শিক্ষনীয় গল্প,
০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!
৪১| ০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯
আমি ইহতিব বলেছেন: আজকে কয়েকটা ভালো লেখা পড়লাম, এই গল্পটাও ভালো লাগলো।
উপস্থাপনা বেশ ভালো হয়েছে।
০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু!
আমার পোস্টে অনেক দিন পর আসলেন আপু। কেমন আছেন?
৪২| ০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৬
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: গল্পটা বেশ বাস্তবিক এবং শিক্ষণীয়
শুভ কামনা
০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:১২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: রাসেল ভাই, গল্পটা পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!
ভালো থাকবেন।
৪৩| ১২ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১
নাসীমুল বারী বলেছেন: ধন্যবাদ।
মৃত্যুর পর বিবেকের উত্থান রূপকে সত্যের প্রকাশ 'টক শো' গল্পটিকে ভিন্নতা দিয়েছে। গল্পের মধ্যে সমাজবাস্তবতার কালো অধ্যায়টা তুলে ধরা হয়েছে। সমাজের এ চিত্রটা এখন খুব বেশি দেখা যায়। সুন্দর কর্মের আড়ালে অসুন্দরের বিকাশ শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বেও অনেক। এ বাস্তবতাটাই 'শুঁটকি মাছ' তার 'টক শো' গল্পে তুলে ধরেছেন। ভাল লাগল সচেতনমূলক গল্পটির জন্যে।
তবে ঈশপের গল্পের মতো নীতি কথার প্রচলণ কেউ কেউ নেতিবাচক দেখলেও সাধারণ পাঠক কিন্তু সেভাবে দেখে না। বরং এ নীতির প্রভার ক্ষণিকের জন্য হলেও পাঠককে ভাবায়- এটা শুধুই আমার কথা নয়, আমার দেখা ও জানা থেকেই বলছি। লেখায় একটা ম্যাসেজ থাকতে পারে। ঈশপ লিখেছে বলে আমরা আর লিখব না, এমনটা নয়।
ধন্যবাদ গল্পটির জন্যে।
১৩ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাটা পড়ার জন্য। এবং একই সাথে দারুন একটা কমেন্টের জন্যেও ধন্যবাদ।
আসলে গল্পটাতে আমি নিজের চিন্তাগুলোকে উগড়ে দিয়েছি। তবে মেসেজ দিতে যতটা জ্ঞান থাকা দরকার অতটা আমার নেই। অবশ্য আমার মনে হয় গল্পটাই তো মেসেজ।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন!
৪৪| ১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
জুন বলেছেন: পাপীরা বুঝতে পারে, নিজ কর্মবিষে বারবার জর্জরিত হবে তারা । এই ভয়াল নরকের বন্দিগণের মুক্তি নেই অনন্তকালেও ।
মন ছুয়ে যাওয়া লেখা শুটকি মাছ। আমাদের সমাজে এই সব হোমায়রা রহমান পর্যাপ্ত পরিমানেই পরিলক্ষিত হয়। প্রদীপের নীচেই অন্ধকার বলে যে কথা আছে সেটাই প্রযোজ্য।
অনেক অনেক ভালোলাগলো ।
+
২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক দিন পর আমার ব্লগে আসলেন। কেমন আছেন আপু?
৪৫| ২০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৭:৩৯
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এই গপ ভালা হইছে। যদিও গপের থিমটা কমন। এই থিমে প্রচুর নাটক/ সিনেমা আছে !
সব কিছু ভালা লাগছে..... ++
২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: থ্যাংকু মাসুম ভাই। প্লাসের জন্যেও থ্যাংক্স।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
না পারভীন বলেছেন: সুন্দর গল্প, শিক্ষনীয়