নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের প্রতিধ্বনি

সত্য ও সুন্দরের পক্ষে আমি।

ফাহিম মুনতাসির

সত্য ও সুন্দরের পক্ষে আমি। সত্য-ই সুন্দর, সুন্দর-ই স্বপ্ন, স্বপ্ন-ই জীবন। ফেইসবুকে আমি http://www.facebook.com/fmjewel

ফাহিম মুনতাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্ত্র হাতে বস্ত্রহীন!!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩২

যৌন নির্যাতন ঠেকাতে ভারতের মুম্বাই

শহরে নারীদের মধ্যে ছুরি ও মরিচের

গুঁড়া বিতরণ করেছে সেখানকার ক্ষমতাসীন

কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল শিব সেনা। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধান বিরোধী দল বিজেপির সহযোগী শিব সেনা বলেছে, শহরে নারীদের মধ্যে তারা তিন ইঞ্চি (সাত সেন্টিমিটার) ফলাবিশিষ্ট ২১ হাজার ছুরি বিতরণ করেছে।

আজ যদি মুসলমান এই কাজটি করত তাহলে বিশ্ব মিডিয়া মুসলমানদের বলত ইসলাম সন্ত্রাসবাদের ধর্ম, বর্বর ধর্ম, অমানবিক ধর্ম ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু আজ ওরা মুসলিম ধর্ম অনুসারী না হয়ে অন্য ধর্ম অনুসারী বিদায় তাহাদের এই উদ্যোগ কে অনেকেই বাহ বাহ দিচ্ছে কি চমৎকার! আমাদের তথাকথিত চুশীল শুধু মাত্র মুসলিম ও ইসলাম নিয়ে মাথা ব্যথা কিন্তু কেন? আসলে তথাকথিত প্রগতিশীলদের মূল

উদ্দেশ্য নারীদের ভোগ করা। তাই তারা উন্নয়নের নামে, সংস্কৃতির নামে, প্রগতির নামে, আধুনিকতার নামে নারীদের উলঙ্গ করতে চায়। তারা নারীদের নিয়ে নাচানাচি করতে চায়, নিজের

হাতে নিয়ে ঘুরাতে চায়, সুযোগ বুঝে সবকিছু

লুটতে চায়। আর তাদের এ কুপ্রবৃত্তির

পথে বাঁধা হলো ধর্ম ও পর্দা। তাই তারা ছলে-বলে-কৌশলে পর্দার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

নতুন প্রজন্মকে নৈতিকতাহীন ও লজ্জ্বাহীন

করে ভোগবাদী জীবে পরিণত করা চুশীলদের মূল উদ্দেশ্য। সে উদ্দেশ্যেকে সামনে রেখেই

নৈতিকতা রক্ষার মূল হাতিয়ার পর্দা প্রথার

বিরুদ্ধে সেকুলারিজম যুদ্ধ শুরু করেছে। আসলে পর্দা লম্পটদের লালসা পূরণে সমস্যা! নাকি ইসলাম মদ্যপানকে, বেশ্যাবৃত্তি, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, ইত্যাদির মত জঘন্য প্রথাকে হারাম করেছে এই জন্য কি? ইসলাম যেমন পর্দার কথা বলেছে অন্যান্য ধর্মও পর্দার কথা কিন্তু তারা এই বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না কিন্তু কেন? হিন্দু ধর্মেও পর্দার কথা বলা আছে যেমনঃ ঋগ্বেদে আছে, "হে নারী! তুই নীচে দৃষ্টি রাখ, উর্ধ্বে দৃষ্টি করিস না। আপন পদযুগল একত্রে মিলিয়ে রাখ। তোর নাক যেন কেউ দেখতে না পায়, যদি এমনি লজ্জাবতী হতে পারিস তাহলে নারী হয়েও তুই সম্মানের পাত্র হতে পারবি"

এছাড়া "হিন্দু মনীষীদের উপদেশাঅবলীলায়" গ্রন্থে বলা আছে "ওহে কুমারী সকল, তোমরা নিজেদেরকে বহু পুরুষের ভোগের বস্তুতে পরিণত করিওনা" আরও বলা হয়েছে "তোমরা তোমাদের ঐ শরীরকে বহু পুরুষের চক্ষু ইন্দ্রিয় হইতে সর্বদা আগলিয়া রাখিবে"

এমন আরও বহু কথা বলা হয়েছে নারীর পর্দার স্বপক্ষে কিন্তু আজ তারা পর্দা নামক শালীনতায় নিজের না রক্ষিত করে এই কী আজিব কান্ড শুরু করছে? এই ভাবে কি একজন নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি করা হচ্ছে নাকি নারীর মর্যাদা হনন করা হচ্ছে?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১

খাইয়া কামনাই বলেছেন: ভাল লিখেছেন!!!

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

বাতায়ন এ আমরা কজন বলেছেন:
অস্ত্র হাতে বস্ত্রহীন!
---হা হা হা....................।

সত্যিই অসাম হেডিং।

ভালো লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.