নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের প্রতিধ্বনি

সত্য ও সুন্দরের পক্ষে আমি।

ফাহিম মুনতাসির

সত্য ও সুন্দরের পক্ষে আমি। সত্য-ই সুন্দর, সুন্দর-ই স্বপ্ন, স্বপ্ন-ই জীবন। ফেইসবুকে আমি http://www.facebook.com/fmjewel

ফাহিম মুনতাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগের ভিতর সে সত্য লুকিয়ে আছে!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৪

রোহিঙ্গা গনহত্যা চলাকালীন সময়ে যখন সাহায্যের জন্য হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ

পানি সীমান্তে আসে তখন বাংলাদেশে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়না। হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে মৃত্যুর

মুখে ফিরিয়ে দেওয়া হয় । বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ

হাসিনা বলে যে রোহিঙ্গা গনহত্যার জন্য বাংলাদেশের কিছু করনীয় নাই । এটা বাংলাদেশের সমস্যা না। সেখানে কোন

গনত্যা হচ্ছেনা। আর হলেও সেটা সেই দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এই ছিল বাংলাদেশের

প্রধানমন্ত্রী মানবতাবোধ। সেদিন যে গনহত্যা থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে এসেছিল সেই

একই গনহত্যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত হয়। পাকিস্তানী আর্মীর দ্বারা পরিচালিত গনহত্যা নয় মাস

ধরে চলতে থাকে। এই গনহত্যার কারন ছিল পাকিস্তানকে বিভক্তি থেকে রক্ষা করা ও পূর্ব বাংলার মানুষের

মনে ত্রাস সৃষ্টি করা যাতে তারা কোনদিন স্বাধীন হবার চিন্তাভাবনা করতে না পারে। সেই সময় বাংলাদেশের মানুষ

নিজেদের জীবন ও দেশ বাঁচানোর জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার পররাষ্ট্র

মন্ত্রী হেনরী কিসিঙ্গার তার বই White House Years তে লেখেন মাত্র ৪০ হাজার আর্মী দিয়ে ইয়াহিয়া খান ৭৫

মিলিয়ন পূর্ব বাংলার মানুষকে নিয়ন্ত্রন করতে চেয়েছিল। এদিকে ভারতের ভিডিও ক্লিপ থেকে জানা যায়

আত্মসমর্পনের সময় পাক আর্মীদের সংখ্যা ছিল ৯৩,০০০। এই পাকিস্তানী আর্মী পূর্ব বাংলাতে গনহত্যা চালায়।

সেইসময়ে পূর্ব বাংলার মানুষ প্রানের ভয়ে ভারতে যেয়ে রিফিউজী হিসাবে আশ্রয় নেয়। এই রিফুইজীদের খরচ বহন

করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক শত মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১০০,০০০,০০০ ডলার তখন মার্কিন ডলার

ঈন্ডিয়ান রুপীর হিসাবে ছিল ১,৫০০,০০০,০০০ রুপী ) ভারতের হাতে তুলে দেয় ।এই অনুদানের তদারক ও বন্টনের

জন্য হেনরী কিসিঞ্জার অন্য একটি তৃতীয় সংস্থার উপরে দায়িত্বভার তুলে দিতে চাইলে ইন্দিরা গান্ধী সেই

ব্যবস্থাপনাকে মেনে না নিয়ে নিজেরা এই টাকা হরফ করে। এখন শেখ হাসিনার বর্বরতায় ফিরে আসি।

নির্বাচনী প্রচারনা চলাকালিন সময়ে বাংলাদেশের ভোটারদের শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দেয় যে সে যুদ্ধাপরাধিদের বিচার

করবে । যুদ্ধাপরাধি হিসাবে গোলাম আজম, নিজামী, সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরি প্রমুখকে গ্রেফতার করে বিচারের

কাজ শুরু করে। এদিকে কাদের মোল্লা নামের জামাতের এক কর্মী অনেকের সাতেই এই গ্রেফতারের প্রতিবাদ

মিছিলে অংশ নেয় । এই প্রতিবাদের স্থান থেকেই কাদের মোল্লা গ্রেফতায় হয় যুদ্ধাপরাধি হিসাবে।

বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামীলীগ টাকা দিয়ে মূকানিভয় করার জন্য কতগুলো ভুয়া সাক্ষী সাবুদ এনে আর

অনভিজ্ঞ কেস সাজানোর পরে এই বিচারকার্য এক সার্কাসে পরিনত হয়। মামলা যখন ক্রেডিবিল্টি হারিয়ে বেশামাল

অবস্থা তখন শেখ হাসিনা এক “সাপও মরবে লাঠিও ভাঙ্গবে না” এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নিল।

পুলিশরে বলো ধরো ধরো চোরকে বলো চুরি করো – ফলে সবার সব ব্যবসা চলতে থাকলো সমান গতিতে। এদিকে কিছু

ছেলেমেয়েকে আগে থেকেই ঠিক করে রাখা ছিল যারা এই বিচারের রায় শোনার সাথে সাথে আন্দোলনে যাবে।

ক্রশফায়ারে লোক হত্যা, পুলিশের নির্যাতন ও জনগনের উপরে গুলিবর্ষন ও হত্যা, রাস্তায় পিটিয়ে মানুষ হত্যা,

হাসিনার গুন্ডাদের রাস্তায় জবাই করে মানুষ হত্যা ইত্যাদি কারনে সারা বিশ্বে হাসিনার ভাবমূর্তি ধ্বংস হয়ে যায়।

এইভাবে রোহিঙ্গা রিফুইজীদের উপরে অমানবিক ব্যবহার এই ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অনেকটা দায়ী।

এছাড়া আছে সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা । গনতান্ত্রিক সরকার এই কথাটা বার বার উচ্চস্বরে ঘোষনা দেবার

ফলে যারা সরকারী আমলা, সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী সমাজ, চাটুকার সুশীল সমাজ ছাড়া আর কেউ হাসিনার এই গনতন্ত্র

বোঝেনা। এদিকে হাসিনা ঘুষ খেয়েছে কানাডিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী এসএনসি লাভালিন্স এর

কাছে থেকে ফলে পদ্মাসেতু করার জন্য বিশ্বব্যাংক যে ঋন দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা বাতিল ঘোষনা করে।

কারন কানাডিয়ান কোর্টে শুনানী হয় ও লাভালিন্সএর ঘুষ প্রদানকারী কর্মকর্তা যাদের হাতে ঘুষ দিয়েছে তাদের নাম

উল্লেখ করে । এইসময়ে রয়াল মাউন্ট পুলিশ শেখ হাসিনার কন্যার পাসপোর্ট জব্দ করে। বিদেশেই কূটনৈতিক তদবির

বিশেষ করে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতালয় থেকে চাপ সৃষ্টি হলে এই কেসটি লাভালিন্স মেনে না নিলেও চুপচাপ

আছে। এইজন্য যে বিশ্বের অনেক দেশেই এই কোম্পানীর ঘুষ খাবার বদনাম আছে। এইভাবে সারা বিশ্বে হাসিনার

ভাবমূর্তি খান খান হয়ে গেলে হাসিনা এই প্রজন্ম চত্বরের বুদ্ধি আটে। এইখানে হাসিনা প্রথমে ব্যবহার

করে ছোটখাটো নিঃস্কর্মা রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন গুলোকে সামনে দাড়

করিয়ে দিয়ে সবাইকে দিয়ে বলাতে থাকে । এটি একটি রাজনীতিমুক্ত আন্দোলন। এটা জনগনের আন্দোলন।

সারা বাংলাদেশ থেকে জনগন নিজের ইচ্ছায় স্বতস্ফুর্তভাবে এই আন্দলনে শরীক হতে এসেছে। রাস্তার

ভিখারী থেকে শুরু করে রাজপ্রাসাদের মালিক (১৯৭০ তে যারা ভিখারী ছিল ) । যখন এই “জনগনের আন্দোলন “

ব্রান্ডটি বাজারে চালু হয়ে গেল তখন এই ছোট আর নিস্কর্মা রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলোর একজন

নেত্রী লাকির মাথায় আঘাত করা হলো যখন সে শ্লোগান দিচ্ছিল।

যদি শেখ হাসিনা প্রথমেই ছাত্রলীগকে এই আন্দোলন করাতে পাঠাতো তাহলে অনেক বামরাজনৈতিক

সংগঠনগুলো এই চত্বরে যেতে রাজী হতোনা। সারা বাংলাদেশে অনেকে এখনও আশা করে যে আওয়ামীলীগে যেহেতু

অনেকেরই কপাল ফিরিয়েছে তাই তাদের পালা আসলে তাদের কপালও ফিরে যাবে। তাই সব আওয়ামীলীগের সমর্থক ও

অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করা জনগন এসে ভীর করে এই শাহবাগ চত্বরে। যাক শেখ হাসিনা এখন

বিশ্বকে বলতে পারবে যে এই আন্দলনে তিনি গুলি চালাননি। কোন মানুষকে হত্যা করা হয়নি এই আন্দোলনে। কোন

মানুষকে জবাই করা হয়নি। কোন মানুষকে ধর্ষন করা হয়নি। এইটা ছিল এক শান্তিপূর্ন জনগনের আন্দোলন।

তবে সমস্যা করেছে এই আন্দোলনের মান্ডেট। এই আন্দোলনকারীরা কি স্লোগান দিচ্ছে ?

জোরে বলো ফাঁসী চাই

আর কোন কথা নাই

ফাঁসী চাই ফাঁসী চাই

জামাত শিবির নিষিদ্ধ করো

জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও

জামাত শিবিরের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও

জামাত শিবিরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করো

দুই একটা জামাত ধরো

সকাল বিকাল জবাই করো

এখানে সব স্লোগানই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথে হুবহু মিলে যায়। আগুন জ্বালা, ধ্বংস করা,

বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করা, সাক্ষী সাবুদ কোর্ট কাছারী কিছু নাই । আর কোন কথা নাই । ফাঁসী চাই । ফাঁসী চাই। এই

ফাঁসী চাইবার দরকার কি? বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষকে ক্রশফায়ারে হত্যা করা হচ্ছে। অপরাধ প্রমানিত হবার

আগেই এই চারজন মানুষকে হত্যা করা শেখ হাসিনার কাছে কোন ব্যাপারনা সেটা রাস্তার গারবেজের

পাশে বসে থাকা শিশুটিও জানে। অথচ চারটা গুলি করতে পারছেনা শেখ হাসিনা। এই ফাঁসীর জন্য সারা বাংলাদেশের

মানুষ এনে জড়ো করতে হলো। সেদিন হরতালে চট্রগ্রামের রাস্তায় খোলা আকাশের নীচে জামাত শিবিরের কর্মিদের

গুলি করে হত্যা করলো পুলিশ। আশ্চর্য সেই একই জামাত শিবিরের নেতাদের গুলি করা গেল না ? এ দেখি সেই একই

ব্যাপার যা হয়েছিল শেখ মুজিবের ক্ষেত্রে। পাক আর্মী ত্রিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা করতে পারলো শুধু শেখ

মুজিবকে হত্যা করতে পারলোনা যেহেতু শেখ মুজিব তখন পাকিস্তান আর্মীর

বৈটকখানাতে বসে হালুয়া রুটি পায়া খাচ্ছিল আর নূর জাহানের গজল শুনছিল।

যদি কেউ জন্মান্ধ হয় তাহলে আমরা বুঝতে পারি। এই অন্ধকে আলো দেবার জন্য বা চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দেবার

জন্য চিকিৎসা, গবেষনা , ইত্যাদি করতে পারি কিন্তু যদি কেউ অন্ধ হবার অভিনয় করে তাহলে সে তার অভিনয়ের

দিকেই বেশী খেয়াল রাখবে । অর্থাত নিখুঁত অভিনয় করলে সে অভিনেতা বা অভিনেত্রি হিসাবে নাম করতে পারবে। তাই

আজ যারা হাসিনার “গনতন্ত্র” নাটকে “জনগনের” ভূমিকা পালন করে এইসব সাম্প্রদায়িক, বিষাক্ত ও ঘৃনাপূর্ণ

শ্লোগানে দেশকে মুখরিত করে রেখেছেন তারা আসলে সেই অন্ধের ভূমিকাতে অভিনয় করছেন। এই ভূমিকার নৈপুন্যের

জন্য পুরস্কার আছে। কিন্তু এই অন্ধের ভূমিকায় অভিনয় করলে জন্মান্ধ হয়ে যাবার ঝুকি আছে সেটা তারা ভাবছেন

না।

সারা বাংলাদেশের চোখে ঠূলি লাগিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা মিট মিট করে হাসছেন। বিজয় উনার হবেই। সব চোর ডাকাত

খুনী ধর্ষকরাই বিজিত হয় আর যারা এইসব না করে তারা হেরে যায় । তারা হেরে যায় এই কারনে যে তারা এ্যাত

নীচে নামতে পারেনা। তাদের বিবেক বলে এক অসুখ আছে।



* হেনরী কিসিঞ্জার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব ছিল।

** সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ পাবার জন্য এসএনসি লাভালিন্স এই ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানীর ঘুষ দেবার

বদনাম আছে







কথা গুলো আমার এক ফেইসবুক ফ্রেন্ড লিখেছেন যার নাম শান্তি অশান্তি

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

দূর্বার বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। পিলাচ ।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

রাফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেছেন: এখানে সব স্লোগানই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথে হুবহু মিলে যায়।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

এম আর ইকবাল বলেছেন: আমাদের দেশে আতেলের অভাব নেই । এই আতেলরা কেউ মধ্য রাতের পণ্ডিতের ভূমিকায় নামেন , কেউ ব্লগে ............... ।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: তোর এই বাল্পুস্ট রিপোর্টেড।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: আমিও ত কৈ এই লেখা তোর গোবরে ভরা মাথা থিকা বাইর হৈব না । তুই তো এর আগেও শান্তি অশান্তির লেখা কপি দিছিলি তাইনা ?

শোন রহিংগা নিয়া যখন আম্রা কথা কৈছিলাম তখন তুই কৈয়াছিলি তোর শান্তি কৈয়াছিল ?

হা রে কাদের খানকির পোলারে তরা কছ নিরাপরাধ কি আর কবি বাপরে তো আর কেউ গালি দেয় না তোরাও দিলিনা । যা ভাগ আবাল X(

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: রিপোর্ট কমপ্লিট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.