![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য ও সুন্দরের পক্ষে আমি। সত্য-ই সুন্দর, সুন্দর-ই স্বপ্ন, স্বপ্ন-ই জীবন। ফেইসবুকে আমি http://www.facebook.com/fmjewel
এবার মাদরাসার পাঠ্য বইয়ে আল্লাহর সাথে শরিক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মাদরাসা শিা বোর্ডের অধীনে দাখিল নবম-দশম
শ্রেণীর ‘বাংলা সাহিত্যের’ ১৯ নম্বর গদ্যাংশের ৯৪ নম্বর
পৃষ্ঠায় মোহাম্মদ আকরম খাঁ রচিত ‘বিদায় হজ্ব’
অধ্যায়ে ‘অসাম্যের প্রতিবাদ’ প্যারার ৯৬ পৃষ্ঠার দ্বিতীয়
লাইনে ‘আল্লাহর সকল সন্তানকে’ (নাউজুবিল্লাহ)
লেখা হয়েছে “কুলপতি হজরত এব্র্রাহিম এই সহানুভূতি শিা ও
সাম্যের শিাদানের জন্যই ‘ইতর-ভদ্র’ নির্বিশেষে ‘আল্লাহর
সকল সন্তানকে’ আরাফাত ময়দানে সমবেত হইবার জন্য
আহ্বান করিয়াছিলেন।” আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক
করা সম্পূর্ণ শিরক। পবিত্র আল কুরআনে শিরক (আল্লাহর
সাথে কাউকে শরিক করা) কবিরা গুনাহ হিসেবে উল্লেখ
করা হয়েছে। বিভিন্ন মাদরাসার শিকেরা পাঠদানের সময়
লেখাটি নজরে পড়ে। লেখাটি দেখে শিকেরা বিব্রত হওয়ার
পাশাপাশি তাদের মধ্যে ােভের সৃষ্টি হয়েছে। আল্লাহর
সাথে শরিক করে এমন লেখা দেখে অভিভাবকদের মধ্যে ােভের
সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এ প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন,
‘তাদের সন্তানদের পাঠ্য বইয়ে এমন লেখা মোটেই গ্রহণযোগ্য
নয়। তারা অবিলম্বে এই বইয়ের সাথে যারা জড়িত তাদের
শাস্তি দাবি করেন।’
বাংলাদেশ মাদরাসা শিা বোর্ডের অধীনে দাখিল নবম-দশম
শ্রেণীর পাঠ্য বই বাংলা সাহিত্য সঙ্কলন, রচনা ও
সম্পাদনা করেন ড. এস এম লুৎফর রহমান ও আবদুল মান্নান
মিয়া। বইটি প্রথম মুদ্রণ হয়েছে ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে,
সংশোধীত ও পরিমার্জিত মুদ্রণ হয়েছে ২০০৯ সালের
নভেম্বর মাসে, পরিমার্জিত সংস্করণ হয়েছে ২০১১ সালের
জুলাই মাসে, পুনর্মুদ্রণ হয়েছে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর
মাসে। বইটির ভূমিকা লেখেন বাংলাদেশ মাদরাসা শিা বোর্ডের
চেয়ারম্যান মো: আবদুন নূর।
এ বিষয়ে একটি দাখিল মাদরাসার (মাদরাসার নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক) বাংলা শিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান,
আমি দশম শ্রেণীতে ছাত্রদের পাঠদানের সময় লেখাটি আমার
চোখে পড়ে। তখন আমি আর না পড়িয়ে থেমে যাই। তাৎণিক
বইটি নিয়ে শিকদের কে গিয়ে লেখাটি তাদের দেখাই।
তারা দেখে এই লেখাকে শিরক হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, এ ধরনের লেখা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত
করে। আমি বিষয়টি উপজেলা অ্যাকাডেমিক
সুপারভাইজারকে অবহিত করি।
এ বিষয়ে মিরসরাইয়ের আবুতোরাব ফাজিল মাদরাসার অধ্য
মাওলানা শফিকুল ইসলাম নিজামী বলেন, ‘দাখিল নবম-দশম
শ্রেণীর বাংলা সাহিত্যের ৯৬ পৃষ্ঠায় লেখাটি দেখেছি। যদি এই
লেখাটি ইচ্ছাকৃতভাবে লিখে থাকে তাহলে সে ‘নাস্তিক’
হয়ে যাবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয় তাহলে অন্যকথা।’
তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক
শিা কর্মকর্তা লেখাটি শুদ্ধ করে পাঠদানের জন্য বলেছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ মাদরাসার অধ্য
মাওলানা সৈয়দ আবু নোমান বলেন, ‘আমি লেখাটি দেখিনি।
যদি বাংলা সাহিত্যে এ ধরনের
লেখা হয়ে থাকে তাহলে এটা শিরক হয়ে গেছে। কুরআনে স্পষ্ট
উল্লেখ আছে আল্লাহর কোনো সন্তান নেই।’
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিা কর্মকর্তা মোহাম্মদ
ইউনুছ বলেন, আমি লেখাটি দেখেছি এবং বিভিন্ন মাদরাসার
অধ্যরে সাথে কথা বলেছি। বিষয়টি চট্টগ্রাম
জেলা শিা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন
সব শিাপ্রতিষ্ঠানে ওই লেখার ‘আল্লাহর সকল সন্তানকে’
স্থলে ‘আল্লাহর সকল বান্দাকে’ শিার্থীদের পাঠদান দিতে।
আমি বিষয়টি সব মাদরাসা প্রধানকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা শিা কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম
নয়া দিগন্তকে বলেন, মিরসরাই উপজেলা মাধ্যমিক
শিা কর্মকর্তা মাদরাসার দাখিল নবম-দশম শ্রেণীর পাঠ্য বই
বাংলা সাহিত্যে ‘আল্লাহর সকল সন্তানকে’
লেখা সম্পর্কে আমাকে জানিয়েছেন।
আমি বিষয়টি এনসিটিবি (ন্যাশনাল কারিকুলাম টেক্সট বুক
বোর্ড) কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। এ ছাড়া বিভিন্ন
উপজেলা শিা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাদরাসা শিা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুন
নূরের সাথে মুঠোফোনে (নম্বর ০১৭১৩০০১২৩২) যোগাযোগ
করা হলে তিনি বলেন, ‘আপনি বইটি নিয়ে আমার
সাথে দেখা করবেন। বইটি আমার কাছে নেই। তাই আমি এখন
ফোন রাখলাম।’
বিস্তারিতঃ http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=143436
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
মদন বলেছেন: বইএর পাতার ছবি দরকার ছিলো।
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০০
প্রেম_হীন_পথিক বলেছেন: শিক কোন ভাষার শব্দ???
আরে ভাই, মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মান দিবেন কবে??
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৫
তথই বলেছেন: একটা কথার উত্তর দেন প্রগতিশীল মুসলিম আর গোঁড়া মুসলিমের পার্থক্য কি ?
৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২০
সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: সুরা আল ফুরকান আয়াত ১-২
পরম কল্যাণময় তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফয়সালার গ্রন্থ অবর্তীণ করেছেন, যাতে সে বিশ্বজগতের জন্যে সতর্ককারী হয়,।
তিনি হলেন যাঁর রয়েছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব। তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি। রাজত্বে তাঁর কোন অংশীদার নেই। তিনি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে শোধিত করেছেন পরিমিতভাবে।
৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২১
আইআইচকিবরিয়া বলেছেন: হেডিং টা Change করেন রে ভাই।
৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২১
আইআইচকিবরিয়া বলেছেন: হেডিং টা Change করেন রে ভাই।
৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৮
দিশার বলেছেন: আচ্ছা ভাই ক্রিষ্টান রা তো বিসসাস করে , যিশু , আল্লাহর সন্তান, এটার বেপারে আপনার মতামত কি ?
৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
নায়করাজ বলেছেন: সংশোধন হয়েছে কি ?
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪২
সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: লেখাটি ইচ্ছাকৃতভাবে লিখে থাকে তাহলে সে ‘নাস্তিক’
হয়ে যাবে কথাটি ‘নাস্তিক’ না হয়ে মূরতাদ হবে এডিট করুন এবং পোস্টটি মুছে দিন।
নাস্তিক বলতে ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতা বুজায় মনেকরা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৫ম/৬ষ্ঠ শতাব্দীতে এই বিশ্বাসের প্রসার লাভ করে। আর মুরতাদ বলতে ইসলাম ধর্মবিশ্বাস থেকে ফিরেআশাকে বোজায়।