নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের প্রতিধ্বনি

সত্য ও সুন্দরের পক্ষে আমি।

ফাহিম মুনতাসির

সত্য ও সুন্দরের পক্ষে আমি। সত্য-ই সুন্দর, সুন্দর-ই স্বপ্ন, স্বপ্ন-ই জীবন। ফেইসবুকে আমি http://www.facebook.com/fmjewel

ফাহিম মুনতাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী এবং আরব রাষ্ট্র দখলে ইহুদীদের নীলনকশা!!

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের উষ্কানীদাতা ছিল ইহুদীরা। ইহুদীদের গোপন দলীল (Protocol of Jews) এ তিনটি মহাযুদ্ধ বাধানোর পরিকল্পনা রয়েছে তন্মধ্যে ২ টি শেষ হয়েছে। ইহুদীদের বিশ্বাস, পরবর্তী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে তারা বিশ্বব্যাপী ইহুদী রাষ্ট্র কায়েম করবে।

ইহুদীদের গোপন পরিকল্পনায় একটি মানচিত্র রয়েছে। উক্ত মানচিত্রে সমগ্র বিশ্ব শাসনে ইহুদীরা নিদৃষ্ট কিছু ভূখণ্ড দখল করতে বদ্ধপরিকর। ইহুদীদের দখল তালিকায় রয়েছে প্রায় সমগ্র ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, ইরানের কিছু অংশ, মক্কা বাদে সৌদি আরবের বাকি অংশ ও সমগ্র মিশর! এই নিদৃষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত যে শক্তি বা জাতিকে ইহুদীরা নিজেদের পথের কাঁটা মনে করবে ইহুদীরা তাদেরকে উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় ইহুদীরা ইতিমধ্যে জাতিসংঘের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছে এবং আফগানিস্তান ও ইরাককে ধ্বংস্তূপে পরিণত করেছে। বর্তমান আরব বিশ্বের অধিকাংশ সরকারই ইহুদীদের আজ্ঞাবাহক। ব্যতিক্রমীদের মধ্যে রয়েছে সিরিয়া, সুদান, ও লিবিয়া। বর্তমান আমেরিকা মূলত ইহুদী শাসিত খ্রিস্টানদের দেশ। আমেরিকার গুরুত্বপূর্ন সরকারি বেসরকারি পদে ইহুদীরা অধিষ্ঠিত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংবাদপত্র ও মিডিয়া ইহুদীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে ইহুদীবাদ আমেরিকাকে পৃথক করা যাবেনা। খ্রিস্টান আমেরিকায় ইচ্ছায় অনিচ্ছায় বিশ্বব্যপী ইহুদী স্বার্থ ও মার্কিন স্বার্থের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। এছাড়া বৃটেন, নরওয়ে ও প্রাক্তন কমিনিস্ট বিশ্ব পুরোপুরিভাবে ইহুদবাদীদের দ্বারা পরিচালিত। ফলে ইহুদীরা কোন দেশে আক্রমণের সিদ্বান্ত নিলে মার্কিন নেতৃত্বে সামরিক জোট গঠনে বিলম্ব হয় না এবং জাতিসংঘ ইহুদীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।

ইহুদীদের ব্যপক ষড়যন্ত্রে বর্তমান বিশ্ব সভ্যতা হুমকির মুখে। জার্মানি ও ফ্রান্স ব্যতীত খ্রিস্টান বিশ্ব ইহুদীবাদ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। হিন্দু ধর্ম ও ইহুদী ধর্ম, উভয়ের মধ্যে দুইটি প্রধান বিষয় মিল হলো উভয় ধর্মই গোত্রীয় ধর্ম এবং উভয় ধর্মের অনুসারীরাই মুসলমান নিধনে বদ্ধপরিকর। এমতাবস্থায় বর্তমান বিশ্বসভ্যতাকে রক্ষা করার জন্য জার্মানি, চীন ও মুসলিম বিশ্বের ঐক্য সময়ের দাবি। এ দাবি উপেক্ষিত হলে বিশ্ব সভ্যতা ধ্বংস হতে বাধ্য। কেননা বিশ্ব সভ্যতার ধ্বংস্তূপের উপর ইহুদীরা তাদের স্বপ্নের সাম্রাজ্য কায়েম করতে চাই।

আরও অধিক শক্তি সঞ্চয়ের লক্ষে ইহুদীবাদীরা বিশ্বের সমস্ত সম্পদ বিশেষ করে তেল সম্পদ কুক্ষিগত করতে চাই। মধ্য এশিয়ার বিপুল পরিমাণে তেল ও গ্যাস কুক্ষিগত করার মানসে ইহুদীরা আফগানিস্তানের উপর দিয়ে পাকিস্তানের সমুদ্র পথ পর্যন্ত পাইপ লাইন নির্মাণ করতে চাই। আফগানিস্তানের তালেবান সরকার তাদের এই উদ্যোগে বাধা সৃষ্টি করায় আমেরিকা আফগানিস্তান দখল করে। আফগানদের প্রতিরোধের দরুন পাইপ লাইন স্থাপন অনিশ্চিত হওয়ার ঠুনকো অজুহাতে তেল সমৃদ্ধ ইরাক দখল করে। ইরাক দখল দীর্ঘস্থায়ী করার প্রধান বাধা হচ্ছে ইরান। তাই বর্তমানে আমেরিকা ইরান দখলের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। ইরান দখল হলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পথে আর কোন অবশিষ্ট বাধা থাকবেনা।





বলে রাখা ভাল যে আমি এই জন ইতিহাসের ছাত্র এই তথ্য গুলো সংগ্রহ করতে আমাকে সহায়তা নিতে হয়েছে:



♦Protocol of the Jews, সম্পাদনা-আব্দুল খালেক।

♦চেপে রাখা ইতিহাস, গোলাম আহমদ মোর্তাজা।

♦বর্তমান বিশ্ব সমস্যা ও সম্ভাবনা, আকরামুজ্জামান।

♦আন্তজাতিক সংকট ও আজকের রাজনীতি, ইকবাল কবির মোহন।

♦জাতির উত্থান-পতনের সূত্র, এস.এম নজরুল ইসলাম।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমিরিকায় গড়ে প্রতিদিন ১৯ জন লোক আত্মহত্যা করে
এর মধ্য অধিকাংশই যুদ্ধাপরাধী মেরিন সৈনিক ।
আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারা পড়ে অসংখ্য অধিবাসী , ১২ র পরিসংখ্যানে এর পরিমান ৫০০০ ছাড়িয়ে ।
আল্লাহর বিজয় অবশ্যই মুসলিম দের জন্য অবধারিত ।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

আহলান বলেছেন: কতটা সত্য কে জানে? কোন রেফারেন্স তো দিলেন না .... তবে এমন কথা আমি আগেও শুনেছি .........

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

ইলুসন বলেছেন: খুব সুন্দর থ্রিলার লিখতে পারবেন আপনি। চালিয়ে যান!

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

পাগলাগরু বলেছেন: আজাইরা পোস্ট

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

নায়করাজ বলেছেন: ইহুদী সম্পর্কে বলতে হলে আগে জায়নবাদ সম্পর্কে পড়েন। কোন মহাযুদ্ধই ইহুদীরা করে নাই। বরং দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ইহুদীরা গণহত্যার শিকার হয়।

তৌরাত গ্রন্থে একটি আয়াত আছে - হে ইসরাইল, তোমার সীমানা নীল নদ হতে ফোরাত পর্যন্ত।

এই আয়াতটি ইসরাইলের সংসদ ভবনের সামনে লেখা আছে। এই ভুখণ্ডকে তারা 'প্রতিশ্রুত ভূমি' বলে মনে করে। যেমন তার মনে করে জেরুজালেম 'পবিত্র নগরী'। খৃষ্টান এবং মুসলমানরাও জেরুজালেমকে 'পবিত্র নগরী' মনে করে। তিন ধর্মের লোকের তীর্থ ভূমি হওয়ার কারণেই জেরুজালেমের উদ্ধারের নামে এক হাজার বছর ধরে ইউরোপীয় খৃষ্টানরা 'ক্রসেড' নামে ধর্মযুদ্ধ করেছে। এই যুদ্ধগুলোকে লক্ষ কোটি নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

আর এখন গায়ের জোরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ধর্মরাষ্ট্র - ইসরায়েল।

তবে একটা কথা মনে রাখবেন - ইহুদী , খ্রিস্টান এবং মুসলিম এই তিন ধর্মকে বলা হয় ইব্রাহিমীয় ধর্ম । এই তিন ধর্মের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ)। এই তিন ধর্মের ধর্মগ্রন্থ আল্লাহর প্রেরিত বলে বিশ্বাস করতে হয় - নইলে মুসলিম হিসেবে আপনারও ইমান থাকবে না। সুতরাং সমস্যাটা অন্য জায়গায়।

একই আল্লাহর একাধিক ধর্মগ্রন্থ প্রেরণ এবং সেগুলো পরস্পর বিরোধী বলে এই ধর্মের লোকগুলোও পরস্পরকে ঘৃণা করে। যেমন আপনি ইহুদীদের ঘৃণা করে এই লেখাটা লিখেছেন - যার মধ্যে অনেক কথাই মিথ্যা। এই ঘৃণাটা ধর্মগ্রন্থ থেকেই সৃষ্ট। দুঃখজনক হলেও সত্য, মানব জাতিকে বিভক্ত করার মহান দায়িত্বটি এই ধর্মগ্রন্থগুলিই গ্রহণ করেছে। এই ধর্মগ্রন্থগুলির কারণেই একজন ইহুদী নবজাতক যে তার ধর্মের জন্য কোনভাবেই দায়ী নয়, আপনার ঘৃণার শিকার হচ্ছে। অন্য দিকে একজন আরব শিশু ইহুদীদের অকারণ ঘৃণার শিকার হচ্ছে।

একই আল্লাহর এতগুলি ধর্ম প্রেরণ না করলে কি চলত না ?

এই ধরনের লেখার আগে একটু বেশি পড়াশোনা করবেন। ঘৃণা নয়, মানুষকে ভালোবাসতে শিখুন।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

নায়করাজ বলেছেন: বর্তমান বিশ্বসভ্যতাকে রক্ষা করার জন্য জার্মানি, চীন ও মুসলিম বিশ্বের ঐক্য সময়ের দাবি।
.............................................................................
জার্মানী এবং চীন কেন মুসলমানদের সঙ্গে আসবে ? ওরা তো আর মুসলিম না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.