নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুক্তির মাঝেই সমাধান খুঁজি।

উড়ন্ত বাসনা

জীবন কে ভালবাসি।

উড়ন্ত বাসনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় ঐক্য ও জোট থাকা না থাকা

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

একাদশ সংসদ নির্বাচন

ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে চলছে নানান গুঞ্জণ, বিশেষ করে চায়ের দোকানগুলো মজে উঠে নির্বাচন এলে। বিএনপি ও আ' লীগের উভয়ের জনসমর্থন রয়েছে প্রায় সমানে সমান। তবে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার আর লাগামহীন অত্যাচারে বিপর্যয়ে ক্ষমতাসীন আ' লীগ।


নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও বেশ প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আ' লীগের উঁচু পর্যায়ের নেতাদের সুর ভিন্ন রকম। মিডিয়ার সামনে ওদের কথার ধরণ বেশ ভিন্নই মনে হয়। জামায়াত নিয়ে একটা সংশয় দেখা দিচ্ছে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে! জোট নিয়ে প্রশ্ন! থাকবে কী থাকবে না। আবার নতুন জাতীয় ঐক্য হলে জামায়াত কী পদক্ষেপ নিবে তাও স্পষ্ট নয়। জামায়াত এখন পর্যন্ত নিরবেই আছে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিকল্পধারা সভাপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাতে বিএনপির যুক্ত হওয়ার পথে প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে জামায়াত। বি. চৌধুরী, ড. কামাল ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সাফ কথা- এই ঐক্যে জামায়াত থাকতে পারবে না। তবে বিএনপি এ ব্যাপারে ‘হাঁ’ ‘না’ কোনটিই বলতে পারছে না।
তিউনেশিয়া, তুরষ্ক বা মিসরের মতো জামায়াত আসবে এমনও নয়। আসতেও পারে তবে সময়ের কথা এখন বলা যাবে না। মানবতাবিরোধী বা যুদ্ধাপরাধী যে নামেই হোক না কেনো ওদের শরীরের গন্ধ এখন নেই। অভিযুক্তদের বিচার হয়ে গেছে। নতুন প্রযন্মও বেশ আকৃষ্ট এ দলটির ওপর। পরিছন্ন রাজনীতিতে দশে দশ এরা।


জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি এখনো প্রায় ১৬ মাস। সংবিধানের আলোকে যদি সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে যদি নির্বাচন হয়। আর যদি কোনো কারণে ডিসেম্বরে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ভেঙে দেওয়ার পরবর্তী ৯০ দিন, অর্থাৎ ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যেও ভোট হতে পারে।
ভোট যখনই হোক, সেটি দেশের দুটি বড় দলের অন্যতম বিএনপিকে ছাড়াই, অর্থাৎ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির আদলে হবে নাকি বিএনপির অংশগ্রহণে, সেটিই এখন আগ্রহের বিষয়।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট শরিক জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার কথা বলার পাশাপাশি আরও দুটি ইস্যুকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ঐক্যের অন্য উদ্যোক্তারা। বি. চৌধুরীর বিকল্পধারা, আ.স.ম আবদুর রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্ট আগামী নির্বাচনে বিএনপির কাছে ১৫০টি আসনে ছাড় চায়। তারা বলছেন, রাজনীতিতে ভারসাম্য আনতে এবং আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টির লক্ষ্যেই তারা আসনের এই সমতা চান।

বি. চৌধুরীর বাসায় বৈঠককে প্রধান দুই দলের শীর্ষ নেতারা বেশ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রের শত ফুল ফুটছে, এটা ভালো। তবে এই জোট কতদূর যায়, তা দেখতে হলে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনৈতিক এবং অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে কেউ উদ্যোগ গ্রহণ করলে বিএনপি তাতে সমর্থন জানাবে।

বর্তমান সরকার বিদায় নিলে নতুন সরকার এসেও যেন স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, বিএনপির কাছে সেই প্রতিশ্রুতি চান অন্যরা। উদাহরণ হিসেবে সামনে আনছেন মালয়েশিয়ায় ড. মাহাথির মোহাম্মদ ও আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির কথা।
নির্বাচনে জামায়াত কিন্তু বড় ইস্যু! এটা অস্বীকার করার মতো নয়। জামায়াতের একটি বিশাল ভোট ব্যাংক আছে ওদের তরুন সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরে। জোট থাকুক আর নাই থাকুক এই ভোটগুলো কখনোই নৌকার প্রতীকে পড়বে না, এটা শতভাগ নিশ্চিত।

বিএনপির চেয়ারপারসন বিচারিক রায়ে প্রায় ছয়মাস কারাবন্দি। আরেক নেতা তারেক রহমানও দেশের বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন! সংবিধানের মান বাঁচাতেও সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। কেয়ারটেকার সরকার বিলুপ্ত! কোন দিকে যাবে দেশ?


একএগারোর গন্ধকে অনেকে পরিবেশ পাল্টানো বা দৃষ্টি ফিরানোর পয়গাম মনে করছে। বোকা বানানোর এক নয়া কৌশল! সহায়ক সরকারের পদ্ধতিও নিরেপেক্ষ নয়। একেবারেই পুরো সরকারের মতোই।

আ' লীগ চিন্তিত নয় নির্বাচন নিয়ে এমন কিন্তু নয়। বাহিরের চাপও কিন্তু আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত যদিও সরকারের পক্ষে কাজ করবে কিন্তু সফল হবে এমনটাও বলা যায় না। অা'লীগে দীর্ঘ প্রার্থীতার তালিকা রয়েছে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে। দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষমতা বেশ বেকায়দায় নিয়ে গেছে দলটিকে। মনোনয়ন নিয়েও বেশ চিন্তিত ওরা! কাকে দিয়ে কাকে দিবে।

ব্যপক দুর্নীতি আর দুঃশাসন আর কায়েমী স্বার্থে দলটির প্রতি অনাস্থা মানুষের দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে ছাত্রলীগের অপকর্ম দলটির পতনে যথেষ্ট। মানুষকে মন ভুলানোর কথা অার কানে ঢুকানো যাবে না। মানুষ সচেতন। কথায় আছে না মিঠে কথায় চিড়া নাকি ভিজে না।
আ' লীগে তরুণদের তেমন টানতে পারছে না যেমনটা পারছে জামায়াত। তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির তরুণদের বেশ আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়েছে। ওদের কাজ থেমে যায়নি দমন না পীড়নেও। নির্বাচনে এবার জামায়াতের ভোট ব্যংক বেড়েছে গতবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।


জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে নতুন কৌশল বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে কেন্দ্র থেকে গোপনে গ্রিন সিগন্যাল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো। এমন ভাবেই খবরগুলো এসেছে প্রিন্ট মিডিয়াতে।

দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, প্রত্যেক নির্বাচনি আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন-প্রত্যাশী। তারা সবাই নিজ নিজে এলাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কে মনোনয়ন পাবেন, তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেও যারা মনোনয়ণ পাবেন না, তারা মাঠে থাকবেন না। চূড়ান্ত প্রার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করতে শুরু করবেন। এর ফলে মারামারিতেও গড়াতে পারে। তাই গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে এই কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে আওয়ামী লীগ।


দৈনিক ভোরের পাতা ২৯ অাগস্ট এমন খবর ছাপে। তারমানে হলো মনোনয়ণ নিয়েও বেশ উৎকণ্ঠায় আছে তারা। সূত্রগুলো বলছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, যাচাই-বাছাইয়ের আগমুহূর্তে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে জানানো হবে। এর ফলে বিশৃঙ্খলার মাত্রা অনেকাংশে কমবে বলে মনে করে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা।

এবার আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত মনোনয়ন যিনি পাবেন, তার নাম শেষ সময়ে প্রকাশ্যে আসবে। কারণ চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম আগে থেকে জানা গেলে নির্বাচনি আসনগুলোয় বিশৃঙ্খলা বেড়ে যেতে পারে। তাই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। কৌশলী হলেও কী কাজে আসবে তা প্রশ্নবিদ্ধ?

দেশের প্রতিটি সংসদ আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছে। এমনকী বিদ্রোহী প্রার্থীও সংখ্যা একাধিক! এবার আসি জামায়াত প্রসঙ্গ নিয়ে। জামায়াত রাজনৈতিকভাবে দেওলিয়া এমন কথা মানতে নারাজ খোদ আওয়ামী লীগ ও রাজনৈতিক বিশ্লষকরা। হাইকোর্টের আদেশে নিবন্ধন ও প্রতীক হারিয়ে দলটি এখন নিরবেই আছে আগের মতো মাঠে ময়দানে আর দেখা যায় না। আন্দোলনে গিয়ে আর শক্তি খোয়াতে চায় না। এমনি দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হারিয়ে অভিবাবক শূণ্য হয়ে পড়েছে
ভোট ব্যাংক নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, দাঁড়ি পাল্লার ভোট কখনো নৌকায় যাবে না। আর আ' লীগের সাথেও জোট বাঁধবে না জামায়াত। কোনো কারণে ঐক্যজোট ভাঙ্গন ধরলে জামায়াতের প্রায় আড়াই কোটি ভোট কোথায় যাবে?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.