![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার লিখার শিরঃনাম দেখে কেহ হয়তবা উপহাসের হাসি হেসে থাকতে পারেন। কিন্তু বাস্তব সত্যটুকু হচ্ছে - আমার এ লেখাটুকু সত্যিকার অর্থে কোন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নয়। বিজ্ঞান আমাদের কাছে আজ শুধুমাত্র আশির্বাদই নহে- আমাদের জীবন কে প্রতিনিয়ত সাজিয়ে দেয়ার এবং রাঙ্গিয়ে দেয়ার বিধাতা প্রদত্ত যেন এক প্রত্যক্ষ দুত। বিজ্ঞান সর্বদাই আমাদের ধারনাকেও হার মানাচ্ছে। আমরা বিজ্ঞানকে নিয়ে যে মহা স্বপ্নে বিভোর - বিজ্ঞান কিন্তু আমাদেরকে তার চেয়েও সফলতার শীর্ষে নিয়ে যাচ্ছে। মানুষ একদিন স্বপ্ন দেখেছিল - মহাসাগরের এক প্রান্তে দাড়িয়ে, তার যুক্ত করে অন্য প্রান্তের সাথে কথা বলছে। এ স্বপ্নকে আমরা আজ ছাড়িয়ে গিয়েছি। আমরা তার বিহীন ভাবেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের সাথে কথা বলছি - হ্যা, এ সবই হচ্ছে শুধু বিজ্ঞানেরই কল্যানে।
চার পাচ শত বছর - এ আর এমন বেশী কি ? এ আর কী এমন বেশী চাওয়া বিজ্ঞানের কাছে। বড়র কাছে যে বড় কিছুই চাইতে হয় - নতুবা যে বড়র মুল্য থাকে না। আমার এ লেখাটুকু কল্প কাহিনীর মত শুনালেও, ' কল্প' শব্দটি নির্ধিদায় বাদ দেয়া যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে আলোচনায় আসতে হলে প্রথমেই আমাদেরকে একটু ধারনা নিতে হবে ''জীবন'' সম্পর্কে। আমাদের জীবন প্রকৃত অর্থে কেবল দেহ নির্ভর নয়। দেহ কেবল শীত গ্রীষ্ম ইত্যাদির অনুভুতি টুকুন নিতে পারে- আর কিছু নয় ! আমাদের প্রাণ, দেহ নামক যন্ত্রটিকে কেবল টাটকা রাখে - বলতে পারেন ' ফ্রিজিং' করে রাখে।
বিজ্ঞান আমাদেরকে আজ চিকিৎসা ক্ষেত্রে চমকের পর চমক উপহার দিয়ে যাচ্ছে। ''অরগান'' ট্রান্সফার এর মধ্যে একটি অন্যতম সাফল্য। আজ একজনের দেহের অরগান বা পার্টস সহজেই অন্যের দেহে প্রতিস্থাপন হচ্ছে। যেমন কিডনি, চোখ এমনকি হার্ট পর্যন্ত। একজন মৃতপ্রায় মানুষের একটি অঙ্গ অন্যের দেহে দিব্যি আরো অনেকগুলো বছর বেচে থাকছে - এ যেন ডাবল জীবন । এ ব্যাপারে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা শেষ হয়ে যায়নি - চালিয়ে যাচ্ছে নিরলস ভাবে আরো সফলতার গবেষনা। হচ্ছে নিত্য সফল।
এখন আসা যাক কোন অঙ্গে আমাদের ধারন করা হয় চিন্তা, বিবেক, বুদ্ধি , ভাল লাগা না লাগার অনুভুতি। হ্যা অবশ্যই তা হচ্ছে আমাদের ''মস্তিস্ক।'' মস্তিস্কই ধারন করে আমাদের সকল চিন্তা চেতনা, আপন জনকে চেনার মত ক্ষমতা। অতীতের স্মৃতি ধারন করা হয় আমাদের এ মস্তিস্কেই। বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান, ভাল ,মন্দ ইত্যাদি সবই কপি হয়ে থাকে এ অংশে। সুতরাং বেশী দুরে নয় - যেদিন সম্ভব হবে ''ব্রেইন ট্রান্সফার''। এক দেহ থেকে আরেক দেহে মৃত্যুকালীন সময়ে চলে যাবে সে মস্তিষ্ক। আরেক জীবন বেচে থাকবে। এভাবে হয়ত আবার এবং আবার এবং আবার- চলতেই থাকবে । আপনিও বাচতেই থাকবেন। হয়ত শত শত বছর। সকল স্মৃতি নিয়ে - হারানোর অতৃপ্তি নিয়ে নয় - পাওয়ার তৃপ্তি নিয়ে।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৩
বালাম সিটিকে বলেছেন: ধন্যবাদ
তবে আমাদের গড় আয়ু এমনিতেই বেড়ে চলেছে
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৫
জাহিদ হাসান বলেছেন: তাহলে আমার দেহের মৃত্যু হবে!
আমার মৃত্যু হবে না !!
৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৮
বালাম সিটিকে বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া
ধন্যবাদ
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৪৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি একটু ভিন্ন ভাবেই বলতে চাই, কেউ যদি নিজের দেহটাকেই উইল করতো, তাহলেই এটা সম্ভব।। অনেক ধন্যবাদ।।
৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এত বছর বাঁচার দরকারটা কী?
৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৭
বালাম সিটিকে বলেছেন: হেনা ভাইয়া, আমরা আসলে কেউই পারিনা জীবনের সিকি ভাগ স্বপ্নও এক জীবনে পুর্ণ করতে ---- আর তাই বাচার প্রয়োজন যে অবশ্যই আছে ভাইয়া--------
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষের হাড্ডির যায়গায় টিটানিয়াম, মাংসের যায়গায় প্লাস্টিক লাগানোর পর, সর্বাধিক হাজারে ২/৩ জন ১৫০ বছর অবধি বাঁচবে।