নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শখের অখ্যাত অক্ষরজীবি হয়ে লিখি বাউন্ডুলে মনের এলোমেলো কথাগুলো।।জীবন ফুরালে সময়ের নির্মম অত্যাচারে হয়তো আজকের লিখাগুলো রূপ নিবে ধূসর পান্ডুলিপিতে,নয়তো কোনো ডায়েরির ছেড়া পাতায়!!সেদিনও আমি বেচে থাকবো লিখাগুলো বিবর্ণ অক্ষর হয়ে!!

মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন পারবেজ

মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন পারবেজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

!!বোধোদয়!!

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

শান্ত প্রকৃতি,বৃষ্টিভেজা নির্জন পথ ধরে বালক হেটে চলেছে ধীরলয়ে।
গায়ে আটপৌড়ে টি-শার্ট পরনের জিন্সটা হাটুতে ছেড়া।
আধুনিকতা ভেবে ভুল করবেন না।বারংবার ব্যাবহারের অত্যাচার সইতে সইতেই কবে ছিড়ে গেছে বালক নিজেও জানেনা।
পায়ে সেই স্নিকারগুলো কবে যে কিনেছিল তার ইয়ত্তা নেই।
চারিদিকে থমথমে অন্ধকার,কোথাও কোনো আলো নেয়।
রাস্তার ধারে সোডিয়াম লাইটগুলো কি তাহলে আলো দিচ্ছি না?
বালকের কাছে উত্তরটা না হবে।
সোডিয়াম লাইটগুলো রাতের সম্পত্তি।
না সম্পত্তি বললে ভুল হবে,রাতের সম্পদ হবে।
রাতের নির্জনতা যখন খুব জেকে বসে সোডিয়াম লাইটগুলো তার মুঠি মুঠি আলো বিলিয়ে সাজাতে চায় রাতের ঘনকালো অন্ধকারটিকে।
বালক হাটছেই আগের চেয়ে মন্থর গতিতে।
কোনো লক্ষ্য হয়তো ঠিক নেই তাই হয়তো তাড়াও নেই।
সকাল থেকেই বৃষ্টি পড়ছে,কেমন যেন থেমে থেমে।
তার রেশ ধরেই এখনো পড়ছে তবে তেমন বেশি না।
কিন্তু বালকের উসকু-খুসকো চুল গুলো ভিজিয়ে নেতিয়ে দিতেই এতে যথেষ্ট।
সোডিয়াম লাইটের আলো ছাড়া অন্য কোনো আলো নেই।
বালকের হাতে ওইটা কিসের আলো?
কোনো জোনাকি পোকা কি বালকের সঙ্গী হলো?
না,অস্পষ্ট আলোয় কেমন যেন স্পষ্ট হয়।
পাতলা সাদা কাগজে মোড়া জ্বলন্ত নিকোটিন?
বালকের পথ দেখাতে তো নিকোটিনের আলোটি যথেষ্ট নয়,তবে?
বালক কি আজ বালিকার চুমু খাওয়া কোমল ঠোটটিকে নিকোটিনের সবুজ ফিল্টারের স্পর্শ নিবে?
কিন্তু কেন?
কোনো অপূর্নতা নাকি অনিয়ন্ত্রিত আবেগ?
বাস্তবতা কি আজ মাথা খুড়েই মরবে?
বালক,কাপা হাতে হাটুর উপরে দুলতে থাকা অনামিকা আর শাহাদাত আঙ্গুলের চাপে পিষ্ট হওয়া জ্বলন্ত নিকোটিনে মুখ লাগাতে গিয়েই থমকে যায়।
তবে কি বালকের ভাবোদয় হল?
বালককি বুঝতে পেরেছে কল্পবালিকার দেওয়া কষ্টের নীল বিষে জর্জরিত হৃদয়টিকে নিকোটিনের কালো ধোয়ায় পুড়িয়ে কয়লা করে ফেলা বড়ই নির্মম হবে?
হয়তো?
নতুবা নিকোটিন মোড়া কাগজটি অন্ধকারে ছুড়ে ফেলবে কেনো?
সোডিয়াম লাইট গুলো খলখলিয়ে হাসে,আলোর ঝলকানিতেই যেন বরণ করে নিতে চায় একাকি বালকটিকে।
বালকও কষ্টগুলো কে ভাগ করে দিতে চায় রাতের নির্জনতায়,সোডিয়াম লাইটের হলুদ আলোয় আর ঘনকালো অন্ধকারে।
যদি এভাবেই চলে তবে ক্ষতি কি???
অনিয়ন্ত্রিত আবেগগুলো নাহয় দূরেই থাক।।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: চমৎকার আখ্যান।পড়তে বেশ ভালোই লাগল :)

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন পারবেজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.