![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শনিবারের ঘটনাটা স্নেহাকে ব্যাপক ভাবে নাড়া দিয়েছে। সে ছোট বেলা থেকে কখনোই কারো কাছে এতটা প্রশ্নবিদ্ধ হয় নি। রাইফ তাকে বলেছে - সে নাকি ফেইক!!! শুধু বললেও একটা কথা ছিল, রীতিমতো ফেইসবুক থেকে আনফ্রেন্ড ও করে দিলো ! তার মানে এতদিনের যে ফেইসবুক আলাপনি , তার কোনো গুরুত্ব নেই !
ফেইসবুক বন্ধু হোক /এমনি বন্ধু হোক কিংবা অন্য কিছু , রাইফকে তার কখনোই এতটা খারাপ লাগে নি, বরং অন্যান্য ফেইসবুক বন্ধুদের থেকে একটু আলাদা ই মনে হয়েছে। রাগ, দু:খ , অভিমান সবকিছু মিলিয়েই এক ধরণের মিশ্র অনুভূতি কাজ করছে স্নেহার মনে। নিজের আনমনেই রাইফের সাথে হয়ে যাওয়া আগের চ্যাট হিস্ট্রি ঘেটে চলছে স্নেহা। কি কিউট ছিল আলাপনগুলো ! চ্যাট হিস্ট্রি দেখতে দেখতেই হটাৎ চোখে পড়লো - রাইফ তার এক বন্ধুর কথা স্নেহাকে বলেছে যে কিনা স্নেহার খুব কাছাকাছি ই থাকে /কাজ করে। আনমনেই স্নেহার মনে একটা জেদ চেপে বসলো। এভাবে উপেক্ষিত হওয়ার পর আর বসে থাকা যায় না।
........................................
রবিবার সকালে রেডি হয়ে স্নেহা বাসা থেকে বের হলো। বড় বাজার এলাকায় এসে আর বি ব্যাংক এর সিঁড়ির সামনে এসে একটু যেন থমকে দাঁড়ালো। একটু ভেবে উপরে উঠে গেলো সে।
স্নেহা : আচ্ছা এ অফিসে হাসান সাহেব কে ?
দারোয়ান : জি মেডাম। ..ওই যে উনি হাসান স্যার।
হাসান তার ডেস্কে ভীষণ ব্যস্ত। এর মাঝেই স্নেহা তার সামনে গিয়ে বললো -
স্নেহা : হাসান ভাই। ...
হাসান : (একটু অবাক হয়ে ) জ্বি বলেন। ....
স্নেহা : ভাইয়া - আপনার সাথে একটু কথা ছিল। একটু সময় হবে ?
হাসান : আচ্ছা। আপনি ওই সোফায় বসুন , আমি হাতের কাজ টা সেরে আসছি। ৫ মিনিট।
একটু পর ,......
হাসান : সরি আপনাকে বসিয়ে রাখলাম। আপনাকে তো ঠিক ,......
স্নেহা : আপনি আমাকে চিনবেন না। কাছেই থাকি আমি। আপনার বন্ধু রাইফের কাছে এই টা একটু পৌঁছে দিবেন প্লিজ। আর আপনার বন্ধু কে বলবেন - স্নেহা এসেছিলো।
এটা বলেই স্নেহা হাসানের হাতে একটা নীল খাম তুলে দিলো আর দ্রুত বের হয়ে গেলো।
ঘটনার আকস্মিকতায় হাসান কিছুটা থ: হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। মনে মনে চিন্তা করলো - শালার রাইফ , তোর পেটে কয়টা ভাত আছে সেই খবর ও আমার জানা, আর এই সুন্দরী তোকে প্রেম পত্র দেয় -!!! আমি জানি না !!!
সাথে সাথেই হাসান ফোন দিলো রাইফকে।
রাইফ : হ্যালো। ..
হাসান : কি রে ??? ডুইব্বা ডুইব্বা জল কায়ালছস?
রাইফ : কি ? বুঝলাম না। ডিটেইল বল।
হাসান : তোর একটা প্রেম পত্র আছে আমার হাতে।
রাইফ : প্রেম পত্র ! কি কস উল্টা পাল্টা ?
হাসান : শোন , আমি একটু বিজি, স্নেহা নামের এক সুন্দরী মেয়ে আসছিলো আমার ব্যাংক এ। একটা চিঠি দিয়ে বললো তোকে দিতে। আমি একটু পর ই কুরিয়ার করে দিচ্ছি তোকে। পরে কথা বলবো। রাখি।
মাথাটা কেমন যেন ঝিম ঝিম করে উঠলো রাইফের। বুকের ভেতর ও একটু যেন ধ্বক করে উঠলো। এত সাহসিকতাপূর্ণ কাজ স্নেহা করে বসবে তা সে চিন্তাই করেনি।
সেদিন চাইলেই রাইফ স্নেহার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারতো। কিন্তু সে তা করেনি , চিঠির জন্যে ছিল তার অসহনীয় অপেক্ষা। পরদিন সকালেই কুরিয়ারে হাতে চিঠি পেলো রাইফ। চিঠিটা খুলতেই একটা সাদা কাগজে লিখা - " আমি ফেইক নই জনাব , আমি ই রিয়েল স্নেহা। আপনি এখন চাইলে আপনার বন্ধুকে আমার ছবি দেখিয়ে যাচাই করে নিতে পারেন আমি ই সেই মেয়ে টি কিনা। ও আরেকটি বিষয় - আমি কিন্তু আমার ফেসবুকে আইডি অফ করে দিয়েছি। যেখানে এত সন্দেহ , সেখানে আমি না থাকাটাই স্বাভাবিক নয় কি ?
বি: দ্র: আমি যতদিন ফেইসবুক আইডি না খুলছি, আমাকে খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করবেন না। অপেক্ষা করতে হবে। এটাই আপনার শাস্তি। হু :"
রাইফের হাত কাঁপছে , এ ছিল এক মিশ্র অনুভূতি যেখানে মেশানো ছিল - আনন্দ, কোনো কিছু হারিয়ে পুনরায় ফিরে পাওয়ার তৃপ্তি, অদ্ভুত এক শিহরণ !
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সাজ্জাতুল ইমরান ফয়সাল বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২
ভাবুক কবি বলেছেন: ফেইসবুকে আমি আছি কিন্তু আপনায় খুজলাম না।
চমৎকার লিখেছেন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সাজ্জাতুল ইমরান ফয়সাল বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২
রুপালী তারা বলেছেন: ভালো লাগলো