![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠক ভাবি। পড়িই বেশী। মাঝে মাঝে লেখার ব্যর্থ চেষ্টা করি।
সেই কৈশোর থেকে আমি সাহিত্যের পোকা। সাহিত্য পেলেই গোগ্রাসে গিলি। উইকিপিডিয়ার সহযোগী প্রতিষ্ঠান উইকিসোর্স চমৎকার একটি উদ্যোগ গ্রহন করেছে। উইকিসোর্স বাংলা সাহিত্যের সকল লেখকের কপিরাইটমুক্ত লেখাগুলো একত্রে প্রকাশ করছে। বলা চলে এটা একটি অনলাইন মুক্ত পাঠাগার। অনেকদিন থেকে ইচ্ছা ছিলো উইকিসোর্সে অবদান রাখার। আজ কিছু ফ্রি সময় পেয়ে বসে গেলাম। উইকিসোর্সের জন্য বাংলা সাহিত্যের প্রতিথযশা সাহিত্যিক ভাই গিরীশচন্দ্র সেনের সাহিত্যকর্মের তালিকা তৈরী করলাম।
গিরিশচন্দ্র সেন (জন্ম: ১৮৩৪ - মৃত্যু: ১৯১০)। ভাই গিরিশচন্দ্র সেন নামে তিনি অধিক পরিচিত। তাঁর প্রধান পরিচয় ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন- এর প্রথম বাংলা অনুবাদক হিসেবে। তখন প্রায় ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল যে, মূলভাষা থেকে অনূদিত হলে গ্রন্থটির পবিত্রতা ক্ষুণ্ন হবে। পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও এমন ধারণা ছিল। এ কারণে অনেক মুসলিম মনীষী এর বঙ্গানুবাদ করতে সাহস পাননি। গিরিশচন্দ্র সেনই অন্য ধর্মালম্বী হয়েও এই ভয়কে প্রথম জয় করেন। শুধু কুরআন শরীফের অনুবাদ নয় তিনি ইসলাম ধর্ম বিষয়ক অনেক গ্রন্থ অনুবাদ করেন। তিনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক গবেষণাও করেন।
সাহিত্যকর্ম
* ব্রহ্মময়ী-চরিত (১৮৬৯, জীবনী)
* হিতোপদেশমালা ১৮৭১
* ধর্ম ও নীতি ১৮৭৩
* ধর্মবন্ধু (আকসিরে হেদায়েত' থেকে অনুবাদ ১৮৭৬)
* পারস্যের কবি হাফিজের জীবনী, নৈতিক উপদেশ ও বাণীসমূহের অনুবাদ (প্রথম খন্ড ১৮৭৭, দ্বিতীয় খন্ড ১৮৯০, তৃতীয় খন্ড ১৮৯৮)
* তাজকিরাতুল আউলিয়া (১৮৭৭) '
* নীতিমালা (১৮৭৭)
* দরবেশদের ক্রিয়া (তাসাউফ) (১৮৭৮)
* দরবেশদিগের সাধন প্রণালী (১৮৭৯)
অনুবাদকর্ম
* আল কুরআন (অখন্ড, ১৮৮৬)
* হাদিস-পূর্ব-বিভাগ (১ম খন্ড) (১৮৮২)
* হাদিস-উত্তর-বিভাগ (৪র্থ খন্ড) (১৯০৮)
জীবনী গ্রন্থমালা
মহাপুরুষ চরিত প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয় ১৮৮৩ সালে। প্রথম ভাগে ছিল হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও হযরত দাউদ (আ.)-এর জীবনী। দ্বিতীয় ভাগে ছিল হযরত মুসা (আ.)-এর জীবনী। এটি ১৮৮৪ সালের ৬ জানুয়ারি। তৃতীয় ভাগে আছে ইহুদী রাজা কিং ডেভিডের জীবনী।
তাঁর 'জীবনচরিতমালা'-র আরেকটি বড় গ্রন্থ হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী। এর প্রথমখন্ড প্রকাশিত হয় ১৮৮৬ সালের ২৩ জানুয়ারি। দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশিত হয় ১৮৮৭ সালের ২৪ জানুয়ারি। তৃতীয় ও শেষ খন্ড প্রকাশিত হয় ১৮৮৭ সালের ২৮ মে।
* পরমহংসের উক্তি ও জীবনী। এই গ্রন্থে ১৮৪ টি বাণী আছে। প্রকাশকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৩।
* ইমাম হাসান ও হোসাইন। প্রকাশকাল ১ জানুয়ারি, ১৯০১।
* বিশ্বাসী সাধক গিরিন্দ্রনাথ। প্রকাশকাল ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯০৩।
* চারিজন ধর্মনেতা [ প্রথম চার খলিফা, তথা হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.), হযরত ওমর (রা.), হযরত ওসমান (রা.) এবং হযরত আলী (রা.)]-এর জীবনী। প্রকাশকাল ২৫ জুলাই, ১৯০৬।
* সতীচরিত্র ( মহারাণী শরৎ সুন্দরী দেবী-র জীবনী। প্রকাশকাল ২৫ জানুয়ারি, ১৯১১। মৃত্যুর পর প্রকাশিত।
* চারি সাধ্বী মোসলমান নারী ( হযরত খোদেজা, ফাতেমা, আয়েশা ও রাবেয়ার জীবনী। মৃত্যুর পর প্রকাশিত।
অন্যান্য গ্রন্থ
* তত্ত্ব কুসুম (ধর্মবিষয়ক প্রবন্ধ সংকলন)। প্র্রকাশকাল ২০ এপ্রিল, ১৮৮২।
* তত্ত্বরত্নমালা (ফার্সি ভাষা থেকে ধর্মীয় নীতিকথার অনুবাদ)। প্রকাশকাল ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৮৮২।
* ১৮৮৫ সালের ৮ আইনের সহজ বাংলা অনুবাদ (দুখন্ড)। প্রকাশকাল ২৪ নভেম্বর, ১৮৮৫।
* নববিধান প্রেরিতগণের প্রতিনিধি (ব্রাহ্মধর্মের নববিধান সংঘের কার্যক্রমবিষয়ক গ্রন্থ)। প্রকাশকাল ২৪ জানুয়ারি, ১৮৮৭।
* নববিধান কি?। প্রকাশকাল ২৪ ব্জানুয়ারি, ১৮৮৭।
* তত্ত্ব সন্দর্ভমালা (নববিধানের মূলতত্ত্ব)। প্রকাশকাল ২৭ আগস্ট, ১৮৯৩।
* কাব্যলহরী (পাঠ্যপুস্তক : কবিতা)। প্রকাশকাল ১৮ জুন, ১৮৯৭।
* দরবেশী (তাসাউফ)। প্রকাশকাল ১৯ এপ্রিল, ১৯০২।
* ধর্মবন্ধুর প্রতি কর্তব্য (বিবিধ)। প্রকাশকাল ২২ মার্চ, ১৯০৬।
* আত্নজীবনী। প্রকাশকাল ১৯০৭।
* মহালিপি (পারস্যের শরাফত-আল-দীন আহমদ মালিরির পত্রাবলীর অনুবাদ। প্রকাশকাল ১৯০৯।
সম্পাদনা কর্ম
ঢাকা থেকে প্রকাশিত 'বঙ্গবন্ধু' ও 'সুলভ সমাচার' নামের দুটি পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক ছিলেন। তৎকালীন পশ্চাৎপদ নারী সমাজের জাগরণে নিজউদ্যোগে প্রকাশ করেছিলেন 'মহিলা' নামের একটি পত্রিকা। তিনি নিজেই এর সম্পাদক ছিলেন।
লেখাটির উইকিসোর্স লিংকঃ Click This Link
উইকিসোর্সে আমার পাতাঃ Click This Link
বরাবরেই মত লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় আমার ব্যক্তিগত ব্লগে।
http://www.frahaman.com
©somewhere in net ltd.