![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠক ভাবি। পড়িই বেশী। মাঝে মাঝে লেখার ব্যর্থ চেষ্টা করি।
বাংলা মা (Mother Bengal) বাংলা রেঁনেসার যুগে বঙ্গভূমির কল্পিত একটি ব্যক্তি রূপ। পরবর্তীতে বাঙালী জাতীয়বাদীরা এই '''বাংলা মা''' বিষটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু করে। বাংলা কবিতা, সাহিত্য, দেশাত্ববোধক গানে '''বাংলা মা''' প্রজাতন্ত্রের স্বরূপ হিসেবে চিত্রিত হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার বিভিন্ন লেখায় একাধিকবার বাংলাকে মা হিসেবে সম্বোধন করেছেন। ভারতে [[ভারত মাতা]] বলে একই ধরণের একটি চরিত্র বর্ণনা করা হয়। অনেকসময় চিত্র শিল্পে ভারত মাতাকে শারিরীকভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়। মাদার ইন্ডিয়া তেমনি এক উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্ম। কিন্তু বাংলা মা কে সেভাবে কোন শিল্পকর্ম মাধ্যমে শারিরীকভাবে দৃশ্যায়িত করা হয় নাই।
ইতিহাস
বঙ্গভঙ্গ
১৯০৫ সালে ব্রিট্রিশ ভারতের শাসকগণ বাংলাকে ভেঙে দুই টুকরো করার উদ্যোগ নেয়। অনেক বাঙালী সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী স্বাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয় এবং বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা করে। সেই সময় থেকে বাংলা দেশাত্ববোধক গানে বাংলা মা গুরুত্ব পেতে শুরু করে। [[দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]] রচিত ''ধন ধান্য পুষ্পে ভরা'' এবং ''বঙ্গ আমার জননী আমার'' সহ বহু দেশাত্ববোধক সংগীত রচিত হয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অস্থায়ী সম্প্রচারণ কেন্দ্র, '''[[স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র]]''' দেশাত্ববোধক বাংলা সংগীত প্রচার করে মুক্তিযুদ্ধদের অনুপ্রাণিত করতে থাকে। এই উদ্যোগ সেই সময় ব্যাপক সাড়া পায়। কিছু গান যেমন, ''জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো'', ''বাংলা মোদের বাংলা মা, আমরা তোমার কোটি সন্তান'', ''একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে মোরা যুদ্ধ করি'' ইত্যাদি গানগুলোতে বাংলা মায়ের ভাবনা ফুঁটে ওঠে। এই কালজয়ী গান গুলো এখনো বাংলার আপামর জনসাধারণকে মুক্তির জন্য উজ্জীবীত করে। বাংলা মা এখন সকল ধরণের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক।
©somewhere in net ltd.