![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৫৯৪ সনে আলীকুলি খাঁ ওরফে শের আফগানের সঙ্গে মেহেরুন নিসা ওরফে নূর জাহান বিয়ে দেয়া হয় মাত্র ১৭ বছর বয়সে।
শের আফগানের সরকারী বাসভবনে মেহেরুন নিসার বাসর সাজানো হয়। বাসর ঘরে নববধুর দায়িত্ব ও র্কতব্য সর্ম্পকে মেহেরুন পরিবারে বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলারা মেহেরুনকে যথাসম্ভব শিখিয়েদিচ্ছিল। প্রথম বাসরে স্বামী-সঙ্গমে কি কি অসুবিধা হতে পারে তাও মেহেরুনকে শেখানো হয়েছিল। মোঘল হেরেমে বেড়ে ওঠা অন্যান্য রাজকুমারীর মতো মেহেরুনও জীবনে বাবা, ভাই, সম্রাট এবং যুবরাজের সম্মুখে দাঁড়ানো ব্যতিরেকে অন্য কোনো পুরুষকে দেখা বা কথা বলার সুযোগ পাইনি, বিশেষত বয়স ১০ বছর র্পূণ হবার পর। কাজেই বাসর ঘরে মেহেরুন গালিচার ওপর প্রস্তত বাসর শয্যায় বসে থরথর করে কাঁপছিল।
আসুন মেহেরুনির কথায় শোনা যাক।
কিছুক্ষণ পর শের আফগান ঢুকলেন। আমি ভয়ার্ত চোখে তার দিকে তাকালাম। প্রায় ৭ ফিট উচ্চতার পেটানো বলিষ্ঠ শরীরের দূর্ধর্ষ সৈনিক তিনি। খালি হাতে বাঘের সঙ্গে লড়ে একাধিক বাঘ হত্যার বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে তার। গম্ভীর মুখে তিনি কামরায় ঢুকে আমাকে দাঁড়াবার নির্দেশ দিলেন। আমি দাঁড়ালাম এবং মাথা নুইয়ে কুর্নিশ করলাম। তিনি আমার সকল পরিধেয় বস্ত্র এবং অলংকার খুলে উদোম হয়ে তার সামনে দাঁড়াবার হুকুম দিলেন। আমি তাই করলাম। একটু পর তিনিও উদোম হলেন। এতো বিশাল আকৃতির একজন সিংহপুরুষ আমার সামনে উদোম হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আমি ভাবতেই পারছিলাম না। আমার মাথায় চক্কর দিচ্ছিল এবং শরীর বেয়ে ঘাম ঝরছিল। মনে হচ্ছিল আমি বোধহয় জ্ঞান হারাতে যাচ্ছি। এরই ফাঁকে ভয়ার্ত হরিনীর মতো আমি শের আফগানের বিশেষ অঙ্গটির দিকে তাকালাম। সেটি তখন বিশাল আকার ধারণ করে আমাকে আক্রমন করার জন্য লাফালাফি শুরু করেছিল। আমি স্থির থাকতে পারলাম না। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারালাম। আমার যখন জ্ঞান ফিরলো তখন বোধ করি বেলা দ্বিপ্রহর। শিয়রে আম্মাজান পরিবারের নিকটাত্মীয মহিলারা উৎকন্ঠিত হায় দাঁড়িয়ে আছেন। বৃদ্ধ শাহী হেকিম ও তার স্ত্রীও উপস্থিত। ব্যাথায় সারা শরীর নাড়াতে পারছিলাম না। আমার লজ্জা স্থানটি ছিঁড়ে গিয়েছিল। প্রচুর রক্তপাত হবার পর আমার সারা শরীর ফুলে উঠেছে। সবাই ধারনা করেছিল আমি বোধ হয় মরে গিয়েছি। কিন্তু আমি মরিনি। বোধ হয় আজকের এই রাতটির জন্যই বেঁচেছিলাম।
২য় বাসর ঘরে প্রথম বাসরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মোঘল সম্রাট নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী, মেধাবী এবং চৌকস রমনী মেহেরুন নিসা ওরফে নূর জাহান বলেছিলেন "কিন্তু আমি মরিনি। বোধ হয় আজকের এই রাতটির জন্যই বেঁচেছিলাম"।
আসুন আমরা ইতিহাস নিয়ে মুক্ত আলোচনা করি। আলোচনা সবার জন্য উন্মুক্ত।
২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস - উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি বলেছেন: সত্যিই আপনি এই পোষ্টে ইতিহাস হয়ে গেলেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ভাল থাকবেন।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস - উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি বলেছেন: এবার সত্যিই আমি নিরাশ হয়ে যাচ্ছি; প্রথম পোষ্টে যেমন সাড়া পেয়েছিলাম তেমন সাড়া এই পোষ্টে পেলাম না। কারণ কী তা আমার জানা নেই তারপরেও মনে হচ্ছে আবারও মিষ্টি নিয়ে হাজির হই, তাতে যদি কিছু সাড়া মেলে!
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস - উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি বলেছেন: ভেবেছিলাম প্রথম লেখাটির মতই হয়ত সাড়া পাব কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। একদম নিরাশ হয়ে পড়েছি। কোন ব্লগারের কোন খবর নেই। অন্ততপক্ষে একবার করে আপনারা ঢু মারতে পারতেন?
যদিও লেখার হাত নেই তবুও লেখার চেষ্টা করা একটি ব্যর্থ প্রয়াশ মাত্র। আপনারা যদি উৎসাহ না দেন তাহলে আপনাদের সাথে থাকব কেমন করে?
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: টপিকটা পছন্দ হয়নাই।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস - উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি বলেছেন: হ ভাই বুঝছি কেউই খাইতাছেনা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
মাক্স বলেছেন: এইমাত্র যে মন্তব্যখানা করিলাম সেটাই ইতিহাস!