![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতীত হলেও সে দিনের কথা নিশ্চয়ই আমাদের সবার মনে আছে যখন বাংলা ছিনেমা দেখার জন্য আমরা দিন গুনতাম কবে আসবে সেই শুক্রবার। এগুলো ছিল ২০০০ সালের কাছাকাছি বা আগের সময়ের দৃশ্য। সেটা ছিল আমাদের স্বর্ণযুগ। আবার তার পরের অন্ধকার যুগের কথাও আমদের মনে আছে নিশ্চয়ই। এইতো মাত্র কয়েক বছর আগের কথা, ছিনেমা হলের আশেপাশে আমাদের দেখা গেলেই রাম ধোলাই খেতে হত হয়ত বাবার কাছে অথবা স্কুল শিক্ষকের কাছে। মা নিরবে চোখের জল ফেলতেন এই ভেবে, ছেলেটা আমার বখে যাচ্ছে।
এবার আসি একেবারে ঘটমান বর্তমানে। আমাদের অনন্ত জলিল। টিভি চ্যানেল, পত্রিকা, অনলাইন, অফলাইন খুব কম জায়গাই আছে যেখানে লোকটাকে নিয়ে তামাশা করা হয়নি। অবশ্য অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও তিনি নিজেই এগুলোর রাস্তা বের করে দিয়েছেন। তবে মানুষটা কিন্তু সত্যি আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক কিছু করেছেন।
আসুন একটু দেখে নেয়া যাক তার মোস্ট ওয়েলকাম ছিনেমা কেন সত্যি আমাদের প্রতি মোস্ট ওয়েলকাম। ছিনেমাতিতে আমরা কি দেখতে পাব-
প্রথমত ফান। মজাই মজা। প্রত্যেকটি গানই উপভোগ করতে পারবেন চরম ভাবে। গ্রাফিক্সগুলো নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করলেও ভালোই হয়েছে। আপনি যদি মন খুলে উপভোগ না করতে পারেন তবে পয়সা ফেরত। মনের অজান্তেই দেখবেন সিটি বাজাচ্ছেন।
ছিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আছে অ্যাকশন। হলিউড, তামিল, দেশি সব স্টাইলের অ্যাকশনই পাবেন। এবং সেগুলো ভালও লাগবে।
এবার আসি ডায়লগ এ। অসাধারণ কিছু ইউনিক ডায়লগ আছে। কিছু যেমন আপনাকে আনন্দ দিবে তেমনি কিছু নিয়ে যাবে অনেক গভীরে। ছিনেমার ভিতরে ঢুকিয়ে ফেলবে।
বাংলাদেশকে যথারীতি অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন, দেশ নিয়ে স্বপ্নের বহিঃপ্রকাশ, দেশপ্রেম, ভিনদেশী চক্রান্ত এসব ছিনেমার কাহিনীটাকে আকর্ষণীয় করতে সাহায্য করেছে।
সাউন্ড কোয়ালিটি, প্রিন্ট সব কিছু অনন্তীয় স্ট্যান্ডার্ড। এসবের আর নতুন করে প্রশংসা করার কিছু নেই।
বাংলা ছিনেমা থেকে অশ্লীলতা দূর করার যে উদ্যোগ অনন্ত নিয়েছে সেটা বিদ্যমান আছে। গানগুলোতে হালকা রোমান্টিকতা দেখালেও সেটা লিমিটের মাঝেই আছে। নিঃসঙ্কোচে এটা পরিবার নিয়ে দেখা যায়।
ছিনেমার শেষের দিকে হঠাৎ করেই চলে আসবে সিরিয়াস মোমেন্ট। যেই হলে একটু আগেও ছিল উৎসবের আমেজ সেখানে হঠাৎ করেই চলে আসবে পিন পতন নিরবতা। ছিনেমায় কষ্টের দৃশ্যে যাদের কাঁদার অভিজ্ঞতা আছে তারা কৈলাস খেড়ের গানের সময় কেঁদেও ফেলতে পারেন।
সব মিলিয়ে ছিনেমাটি ভালো লাগার মত। অনেকক্ষণ লাইন ধরে, টিকেটের গায়ে লেখা দামের থেকে বেশি দামে টিকেট কিনে ছিনেমা শেষে বের হওয়ার সময় গালি দিতে হবে না। বরং, নিজের অজান্তেই বলবেন, "ভালোই তো করেছে ছিনেমাটা।"
০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৬
ফজলে রাব্বি জেমস বলেছেন: হুম। তবুও যা করছে তাও অনেক। বাংলা ছিনেমা থেকে মানুষ যেভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো, এখন আবার মানুষ হলে ফিরতে শুরু করেছে। সব থেকে বড় কথা হল, যারা এতদিন ছিনেমার গুনগত মান উন্নয়নের চিন্তা না করেই শুধু মুনাফার লোভে কাজ করে গেছে তারাও আজ নড়ে-চড়ে বসতে বাধ্য হচ্ছে। এভাবেও যদি প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাও খারাপ না।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১২
রাজিব বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে লাগলো। অনন্ত জলিল সম্পর্কে লিখেছলাম বেশ কিছু দিন আগেঃ
আমি অনন্ত জলিলের একদমই ভক্ত নই। বাংলা সিনেমা কবে শেষ দেখেছি তাও মনে করতে পারছিনা। এমনকি বলিউডের ছবিরও ভক্ত নই। সময় ও সুযোগ পেলে হলিউডের ছবি দেখি। তবে অনন্ত জলিল বাংলাদেশের সিনেমার জন্য যা করেছে তার জন্য বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি কৃতজ্ঞ।
লক্ষ লক্ষ টাঁকা নিজের পকেট থেকে বিনিয়োগ করেছে। তার ছবিতে অশ্লীলতা নেই। গৎবাঁধা কাহিনী হয়তো রয়েছে কিন্তু নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটিয়েছে সে। নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছে। তার ছবির গান আর নাচ একটু অন্যরকম বলে মনে হয়েছে আমার। আর অনেক দর্শক তার ছবি দেখছে- শিক্ষিত ও অশিক্ষিত উভয় শ্রেণির।
যারা অনন্তকে বিভিন্ন ভাবে পচানোর চেষ্টা করেন তাদের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই। যেখানে আমি নিজেই এই লোকটির ভক্ত নই সেখানে যারা তাকে অপছন্দ করেন তাদের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলার নৈতিক অধিকার নেই একথা আমি হাসিমুখে স্বীকার করছি। তবে যারা অনন্তকে পচাতে ভালবাসেন তাদের মধ্যে দু একজন ধনী ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পে নিজের পকেট থেকে কয়েক কোটি টাঁকা বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসতেন তাহলে বোধহয় ভাল হত।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৪
ফজলে রাব্বি জেমস বলেছেন: হম। কথা সত্য।
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো রিভিউ......+++
০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭
ফজলে রাব্বি জেমস বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
ঘাষফুল বলেছেন: +
০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭
ফজলে রাব্বি জেমস বলেছেন:
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: অনন্ত জলিল বাংলাদেশের সিনেমার জন্য যা করেছে তার জন্য বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি কৃতজ্ঞ
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১১
বালক বন্ধু বলেছেন: এই ছবির আগে তার বের হওয়া সব ছবিই আমি হলে গিয়ে দেখেছি। আমা তার চেষ্টাকে শ্রদ্ধা করি। তিনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন শুধু টাকার কথা চিন্তা করলেই হয় না, দেশের কথাও চিন্তা করতে হবে। তিনি দেশের ছবি নিয়ে শুধু ভাবেননি, কাজও করে দেখাচ্ছেন।
তবে সে নিজেকে তুলতে গিয়ে নিজের ছবির মানটা খারাপ করে দিয়েছে।