নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেউ না জানুক।

নূরূল ইমরান

বেবাক বিবাগী

নূরূল ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মারিশাস ভিসার ইতিকথা

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৬



আইল্যান্ড ওফ ইডেন, নামে খ্যাত ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপ দেশ; মারিশাস। ভ্রমনপিপাসু, রোমান্টিক এস্কেপ এবং হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসেবে অনেকেরই ব্যাপক পছন্দের জায়গা। সম্প্রতি নিয়মিত খই ভাজার অংশ হিসেবে খোজ নিচ্ছিলাম, বাংলাদেশিদের জন্য মারিশাসের ভিসার ব্যাপারে। আগে থেকে জানতাম, মারিশাসে বাংলাদেশীদের জন্য অন অরাইভাল ভিসা দেওয়া হয়। দেখলাম ইন্টারনেটে মারিশাসের ভিসা নিয়ে অনেক রকম মিসলিডিং তথ্য আছে। কোথাও পড়েছি, ভিসা লাগে না, কোথাও শুনেছি লাগে। আমার প্রশ্ন ছিলো, মারিশাসের ট্যুরিস্ট ভিসা ফি কত, আবেদন প্রক্রিয়া কি, কি কি ডকুমেন্ট লাগবে, কোথায় আবেদন করতে হবে, প্রসেসিং টাইম কত ইত্যাদি। সঠিক তথ্য কোথাও না পেয়ে সরাসরি যোগাযোগ করেছিলাম মারিশাস ইমিগ্রেশনের সাথে। গত ২৭ শে অক্টোবর মারিশাস ইমিগ্রেশন, আমাকে নিচের তথ্যগুলো জানিয়েছে। আমার বিশ্বাস হয়তো মারিশাসের ভিসা নিয়ে সংশয়গুলো দূর হবে।

১। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের মারিশাস ভ্রমণের ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট/বিজনেস ভিসার প্রয়োজন হবে।
২। নয়া দিল্লীতে মারিশাস হাই কমিশনে ভিসার জন্য এপ্লাই করতে হবে। চাইলে সরাসরি মারিশাসের পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন অফিসেও ভিসার জন্য এপ্লাই করা যাবে। মারিশাস হাই কমিশনে ভিসার জন্য এপ্লাই করলে নিচের ডকুমেন্ট গুলো লাগবেঃ
ক) ভিসা ফর্ম (ফিল আপড এবং এপ্লিকেন্টের সিগনেচার সহ যা নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করা যাবে)
খ) সম্প্রতি তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
গ) পাসপোর্টের বায়ো পৃষ্ঠার ফটোকপি। (বিঃদ্রঃ অরিজিনাল পাসপোর্ট লাগবে না)
ঘ) কনফার্মড ফ্লাইট ডিটেইলস ( ঢাকা-মারিশাস-ঢাকা রিটার্ন এয়ার টিকেট। ফ্লাইট বুকিং প্রযোজ্য নয়। ভিসা আবেদনের আগেই টিকেট কনফার্মড করতে হবে।)
ঙ) কনফার্মড হোটেল বুকিং/স্পন্সরশীপ লেটার
চ) ব্যাংক স্টেটমেন্ট/ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড কপি/অন্যান্য ফিনান্সিয়াল ডকুমেন্টস
ছ) এডমিনিস্ট্রেটিভ ফি ৬৩৬ রুপি যা ব্যাংক ড্রাফট করে মারিশাস হাই কমিশন, নয়া দিল্লি অথবা ব্যাংক ট্রান্সফার করে পাঠাতে হবে।

ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম এবং উপরের ডকুমেন্টগুলো কুরিয়ার/সরাসরি নিচের ঠিকানায় সাবমিট করতে হবে।

Mauritius High Commission
EP-41, Jesus & Mary Marg,
Chanakyapuri,
New Delhi - 110021.

জানা থাকা প্রয়োজনঃ
১) বাংলাদেশি পাসপোর্টের মেয়াদ মারিশাস থেকে বাংলাদেশে ফেরত আসা পর্যন্ত ভ্যালিড হতে হবে।
২) ভ্যালিড রিটার্ন এয়ার টিকেট থাকতে হবে।
৩) পর্যাপ্ত ফান্ড দেখাতে হবে। স্পন্সরশীপ না থাকলে মারিশাসের অবস্থানকালীন প্রতি রাতের জন্য নূন্যতম $১০০ ইউ এস ডলার হিসেব করে সমপরিমান টাকা ব্যাংক স্টেটমেন্টে দেখাতে হবে।
৪) কনফার্মড হোটেল বুকিং থাকতে হবে। যদি মারিশাস কোনো নাগরিকের স্পন্সরশীপের থাকে তা হলে স্পন্সরের কাছ থেকে নিচের ডকুমেন্ট দেখাতে হবেঃ
ক) নাম এবং ঠিকানা
খ) টেলিফোন নাম্বার
গ) স্পন্সরের প্রফেশন
ঘ) এপ্লিকেন্টের সাথে সম্পর্ক
ঙ) জাতীয় পরিচয় পত্র
চ) ইউটিলিটি বিলের কপি (এড্রেস প্রফের জন্য)

৫) বাংলাদেশে ফেরত আসার জন্য এলিজিবল হতে হবে।
৬) ভ্যালিড ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কোনধরনের গেইনফুল কাজ/ব্যাবসায় লিপ্ত হওয়া যাবে না।

মারিশাসের কোনো ভিসা ফি নেই। প্রসেসিং টাইম ১/২ দিন। সবকিছু ঠিক থাকলে হাই কমিশন দিল্লী থেকে একটি “ওকে টু বোর্ড) লেটার ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশ থেকে এই লেটার নিয়ে ফ্লাই করা যাবে। মারিশাসের ল্যান্ড করার পরে এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন হোটেল বুকিং, রিটার্ণ টিকেট, ফান্ড এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট ক্রস চেক করা ফাইনাল এন্ট্রি পারমিট (ভিসা) দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে টার্কিশ এয়ারওয়েজ, এমিরাটস, ইতিহাদ, কাতার মারিশাসে ফ্লাই করে থেকে। সাধারণত রিটার্ন এয়ার টিকেট ৯০-১১০ হাজার বা তার বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনেক ট্রাভেল এজেন্সী এই ভিসার ব্যাপারে সার্ভিস দিয়ে থাকে। এয়ার মারিশাসের অফিস থেকেও ভিসা প্রসেসিং করা যায়।

তথ্যসূত্র এবং মারিশাস ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকেঃ
https://goo.gl/SCSTOd

আরো কিছু প্রয়োজনীয় ঠিকানাঃ

Passport and Immigration Office
Sterling House,
9-11, Lislet Geoffroy Street,
Port Louis, Mauritius
Tel - (230) 2109312
Fax - (230) 2109322
E-mail " [email protected] "

Mauritius High Commission, New Delhi - [email protected]

http//:passport.govmu.org



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



পুর্নাংগ ভালো তথ্য

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

নূরূল ইমরান বলেছেন: এখন কারো কাজে লাগলেই হয়। দুইটা কিডনী ছাড়া আমার আর কিছুই নাই। কেউ যদি ঘুরে এসে একটা থ্যাংকিঊ দেয়, তাহলেই শান্তি।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

কালীদাস বলেছেন: বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে আর ফ্লাইট খরচও অনেক বেশি। ভ্রমণেচ্ছুদের জন্য উপকারী পোস্ট অবশ্য :)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৬

নূরূল ইমরান বলেছেন: সঙ্গত কারনেই মারিশাস আমদের দেশের ভ্রমনপিপাসুদের প্রথম সারির পছন্দের তালিকায় নেই। মালদ্বীপের মত্অন বিলাশবহুল গন্তব্যের মত্অন মারিশাসও একটি। ভিসার ব্যাপারটা অস্পস্ট ছিলো, কিছুটা ধোয়া মাছা করার চেস্টা নিলাম আর কি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.