![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকালকে একটি লেখা দিয়েছিলাম। একজন সম্মানিত মানুষের জন্য কিছু জড় পদার্থ কিংবা অপর কোনো মানুষ কি প্রভু হতে পারে?
এতে একজন প্রশ্ন করেছেন যে তাহলে সবাই কেন মুসলিম হলো না?
এ বিষয়টি নিয়ে অনেকের মাঝেই কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেক মুসলিম ভাইকেও অনেক সময় বলতে শোনা যায়, ‘তাহলে আল্লাহ কি চাইলে সবাইকে মুসলিম বানাতে পারতেন না?’
আমরাও তখন অজ্ঞতার কারণে সাথে সাথে বলি, ‘আসলেই তো!’ সুতরাং আল্লাহই যেহেতু মানুষকে বিভিন্ন ধর্ম গ্রহণের কিংবা ভিন্ন মত অবলম্বনের অনুমতি বা সুযোগ দিয়েছেন তাহলে আমরা কেনো তাদেরকে ইসলামের কথা বলতে যাবো?
এক্ষেত্রে অনেকে একধাপ এগিয়ে সুরায়ে কাফিরুনের মূল অংশ গুলো বাদ দিয়ে কেবলমাত্র বিচ্ছিন্নভাবে শেষ আয়াতটি উল্লেখ করে পান্ডিত্য ঝাড়েন। বলেন দেখেন আল্লাহই সূরায়ে কাফিরুনে বলেছেন, ‘তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার।’
এই কথা বলে তারা মারাত্মক দু’টি অন্যায় করেন। এক, পুরো সূরার মূলভাবকে গোপন করে বিচ্ছিন্নভাবে কেবলমাত্র শেষের আয়াতটিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা। আর শেষের আয়াতে মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ‘দীন’ শব্দের স্থলে ‘ধর্ম’ শব্দ বসিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে চান। (দীন ও ধর্ম বিষয়ে বিস্তারিত আমার “প্রেক্ষিত ধর্মনিরপেক্ষতা : ইসলাম কি ধর্ম না দীন?” পোষ্টে বলা হয়েছে।)
অথচ সূরায়ে কাফিরুনের পুরোটা পড়লে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য নষ্ট হতে বাধ্য। এ নিয়ে বিস্তারিত অন্য সময় আলোচনা করা যাবে। এ ব্যাপারে আজ শুধু পুরো সূরাটি উল্লেখ করে দিচ্ছি।
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ (১) لا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ (২) وَلا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ (৩) وَلا أَنَا عَابِدٌ مَا عَبَدْتُمْ (৪) وَلا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ (৫) لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ (৬)
অর্থ: “হে নবী আপনি বলুন, হে কাফির সম্প্রদায়। তোমরা যার ইবাদাত কর আমি তার ইবাদাত করি না। এবং আমি যার ইবাদাত করি তোমরা তার ইবাদাতকারী নও। আর তোমরা যার ইবাদত করছ আমি তার ‘ইবাদাতকারী হব না। আর আমি যার ইবাদাত করি তোমরা তার ইবাদাতকারী হবে না। তোমাদের জন্য তোমাদের দীন আর আমার জন্য আমার দীন।” (সূরা কাফিরুন ১০৯, আয়াত ০৬)
এবার আসল কথায় আসা যাক। কাউকে কোনো কাজে বাধ্য না করা আর তাকে অন্যায় করতে সুযোগ দেয়া এক কথা নয়।
একমাত্র জিন ও মানুষ ছাড়া এই মহাবিশ্বের আসমান, যমীন, পাহাড়, সাগর, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, নিহাড়িকাপুঞ্জসহ সকল সৃষ্টি প্রকৃতিগতভাবেই মহান আল্লাহর পুরোপুরি অনুগত। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন,
أَفَغَيْرَ دِينِ اللَّهِ يَبْغُونَ وَلَهُ أَسْلَمَ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَإِلَيْهِ يُرْجَعُونَ.
অর্থ: “তারা কি আল্লাহ্র দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন তালাশ করছে?
অথচ আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে ¯ে¦চছায় হোক বা অনিচছায় হোক, সব সৃষ্টি একমাত্র আল্লাহরই অনুগত হয়ে মুসলিম হয়ে গেছে এবং তাঁর দিকেই সবাই ফিরে যাবে। (সূরা আল ইমরান : আয়াত ৮৩)
এই সকল সৃষ্টির কোনো একটি সামান্যতমও ব্যতিক্রম করে না। মহান আল্লাহর নির্দেশনার বাইরে যায় না। প্রত্যেকটি সৃষ্টি তার জন্য মহান আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া নির্ধারিত নিয়ম ও বিধান অনুযায়ী চলে। নির্দিষ্ট দায়িত্ব যথাযথভাবে আদায় করে। ইরশাদ হয়েছে,
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ. وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ. لا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ.
অর্থ: “সূর্য তার নিজ কক্ষপথে ঘুর্ণয় করে। এটা তার জন্য মহান পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর পক্ষ থেকে সুনির্ধারিত। আর চন্দ্রের জন্য আমি কিছু পথ নির্দিষ্ট করে দিয়েছি সুতরায় সে সেই পথে ঘুরে ঘুরে (মাসের শেষ সময়ে) একেবারে ক্ষীনকায় হয়ে যায়। সুর্যের ক্ষমতা নেই চন্দ্রকে ধরার আর রাতও দিবসের আগে চলে যেতে পারবে না। মূলত: প্রত্যেকটি সৃষ্টিই তার নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।” (সূরা ইয়াসীন, আয়াত ৩৮-৪০)
এই সকল সৃষ্টি পরিপূর্ণভাবে একমাত্র আল্লাহর অনুগত। তারা আল্লাহর দাসত্ব মেনে নিয়েছে শর্তহীনভাবে। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত কোনভাবেই তাদের ক্ষমতা নেই আল্লাহর বিধানে বাইরে যাবার। তারা সর্বদা আল্লাহর আনুগত্য করে এবং প্রশংসা করে। ইরশাদ হয়েছে,
وَلِلَّهِ يَسْجُدُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهً.
অর্থ: “আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে আছে ইচছায় অথবা অনিচছায়।” (সূরা রা’দ ১৩, আয়াত ১৫)
আরো ইরশাদ হচ্ছে,
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ.
অর্থ: “তোমরা কি লক্ষ্য করনি যে, বস্তুত ঃ আল্লাহই এক সত্তা যাকে সেজদা করে সকলেই, যারা আছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে এবং সেজদা করে সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি, পাহাড়, পর্বত, বৃক্ষরাজি, চতুষ্পদ জন্তু ও বহুসংখ্যক মানুষ। (সূরা হজ্জ ২২, আয়াত ১৮)
উপরোক্ত আলোচনার দ্বারা এটা পরিস্কার হয়ে গেলো যে, মহান আল্লাহ চাইলে পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্টির মতো মানুষ ও জিন সম্প্রদায়কেও প্রকৃতিগতভাবেই তার অনুগত ও বাধ্য করতে পারতেন। মহান আল্লাহ ইচ্ছা করলে পৃথিবীর সব মানুষকে মুসলিম হতে বাধ্য করতে পারতেন। তিনি চাইলে সকল মুসলমানকেও তার সকল নিয়মাবলী যথাসময়ে এবং যথাযথভাবে পালন করতে বাধ্য করতে পারতেন। কিন্তু তিনি এটি করেন নি।
কিন্তু কেনো এটা করা হয় নি?
বিচক্ষণদের জন্য এটিই হচ্ছে তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহ নিজেই বলেন,
وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ عَمَّا جَاءَكَ مِنَ الْحَقِّ لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنْكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلَكِنْ لِيَبْلُوَكُمْ فِي مَا آَتَاكُمْ فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ إِلَى اللَّهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ (৪৮)
অর্থঃ “সুতরাং আপনি তাদের মধ্যে ফয়সালা করুন আল্লাহ যা নাযিল করেছে তদনুসারে এবং আপনার কাছে যে সত্য এসেছে তা ছেড়ে তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না। আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছি নির্দিষ্ট শরীয়ত ও নির্দিষ্ট পন্থা। আর যদি আল্লাহ্ চাইতেন, তবে অবশ্যই তিনি তোমাদের সাইকে এক জাতি করে দিতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে চান যা তিনি তোমাদের দিয়েছেন তাঁর মাধ্যমে। অতএব নেক কাজের প্রতি ধাবিত হও। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তারপর তিনি তোমাদের অবহিত করবেন সে বিষয়ে যাতে তোমরা মতভেদ করতে।” (সূরা মায়িদাহ ৫ ঃ ৪৮)
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা এই সমগ্র মহাবিশ্বকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি সুন্দরতমভাবে সৃষ্টি করেছেন মানুষ। অনেক আদর ও মমতায় তিনি তৈরী করেছেন আমাদেরকে। তিনি ইরশাদ করছেন,
لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ (৪)
অর্থ: “অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম গঠনে।” (সূরা তীন ৯৬, আয়াত ০৪)
এই পৃথিবী ও তার সকল সম্পদরাজি এবং তার মধ্যকার সকল উপায় উপকরণ মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র মানুষের জন্য। এই মানুষের জন্যই তিনি সৃষ্টি করেছেন চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র। মানুষের সেবায় তিনি নিয়োজিত করেছেন সকল মাখলুকাতকে। সকল মাখলুকাত ও সৃষ্টির মাঝে তিনি মানুষকে এভাবে করেছেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোচ্চ সম্মানিত। ইরশাদ করেন,
وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آَدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُمْ مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيلًا (৭০)
অর্থ: “আর আমি তো আদম সন্তানদের সম্মানিত করেছি এবং আমি তাদেরকে স্থলে ও সমুদ্রে বাহন দিয়েছি এবং তাদেরকে দিয়েছি উত্তম রিয্ক। আর আমি মানুষকে আমার অনেক সৃষ্টির উপর অনেক মর্যাদা দিয়েছি।” (সূরা ইসরা ১৭, আয়াত ৭০)
এবার চিন্তা করুন। এতো সম্মানিত মানুষকে যদি মহান আল্লাহ বাধ্য করেন, তাহলে কি তার সম্মান থাকে? কোনো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে অনেক সম্মান দিয়ে এনে তারপর যদি তাকে বলা হয় যে, আপনি ঠিক ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে কথা বলবেন। এক মিনিট কম-বেশি করতে পারবেন না। এই এই কথা বলতে হবে। এর বাইরে কিছু বলতে পারবেন না।...
এভাবে বিভিন্ন ব্যাপারে যদি তাকে প্রকৃতিগতভাবেই বাধ্য করা হয় তাহলে প্রধান অতিথির সম্মান কি আর বাকি থাকে?
প্রধান অতিথির সামনে বা সম্মানিত ব্যক্তিদের সামনে মূলনীতি পেশ করা যায়। এলাকার কে কেমন, কার সাথে কেমন ব্যবহার করা উত্তম-মন্দ তা তাকে জানানো যায়। কিন্তু তাকে নির্দিষ্ট কোনো কাজের ক্ষেত্রে বাধ্য করা যায় না।
একইভাবে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলাও তার এই বিশাল সৃষ্টির মধ্যে মানুষকে প্রধান অতিথি করে পাঠিয়েছেন। এই মহাবিশ্বের সকল সৃষ্টির উপর মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। এরপর মানুষকে তার দেয়া পথে ও পদ্ধতি অনুসারে চলতে বলেছেন। কিন্তু প্রকৃতিগতভাবে তাদেরকে বাধ্য করেন নি। এটাই মানুষের জন্য পরীক্ষা। কারা তার রবের এতো নিয়ামত পেয়ে কৃতজ্ঞ হয় আর কারা অকৃতজ্ঞ হয় -এখন এটিই দেখার বিষয়। মানবজাতির মধ্যে যারা এই বিশ্ব ও মহাবিশ্বের এতো নিয়ামত পেয়ে তার প্রতিপালক ও স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ ও শ্রদ্ধাশীল হবে তাদের জন্য পরকালে রয়েছে অফুরন্ত নিয়ামত। আর অকৃতজ্ঞদের জন্য আযাব।
تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ (১৩) وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُهِينٌ (১৪)
অর্থ: “এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে আল্লাহ তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতসমূহে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর এটা মহা সফলতা। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করে এবং তাঁর সীমারেখা লঙ্ঘন করে আল্লাহ তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর তার জন্যই রয়েছে অপমানজনক আযাব।” (সূরা নিসা, আয়াত ১৩-১৪)
মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে বোঝার এবং সঠিক পথ বেছে নেয়ার তাওফীক দিন। আমীন।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৪৭
মাহফুজুর রহম।ন বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:০৭
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:০৯
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: মাশা'আল্লাহ্! অসাধারন যুক্তিপূর্ণ। আল্লাহ্ আপনার উত্তম প্রতিদান দিন!
যুগ যুগ ধরে মুর্তিপুজারিদের সাথেই হয়েছে আল্লাহর প্রেরিত নবী-রাসুলদের বিরোধ। এই অঞ্চলে মূর্তিপূজকরা হিন্দু নামে চিহ্নিত। তাই এদের কালচার থেকে মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদের বেশি বেশি সতর্ক থাকা উচিৎ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বরঞ্চ তা-ই। কিন্তু আজকাল আমরা যা করছি তা অনেকটা ধর্মান্তরের মত।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৫৭
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: এই অঞ্চলে মূর্তিপূজকরা হিন্দু নামে চিহ্নিত। তাই এদের কালচার থেকে মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদের বেশি বেশি সতর্ক থাকা উচিৎ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বরঞ্চ তা-ই। কিন্তু আজকাল আমরা যা করছি তা অনেকটা ধর্মান্তরের মত।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন।
আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:০১
ফারহাত৮৮৯ বলেছেন:
মাশা'আল্লাহ্! খুব সুন্দর পোস্ট।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:২৪
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: পড়া এবং সুন্দর মন্তব্য করে যাওয়ার জন্য আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:০৮
সাদ্হান বলেছেন: ৪ বছর যাবত আমি এই সামু ব্লগ পড়ি। সেই সুবাদে অনেক ধর্মের ভাইদের সাথেই পরিচয় আছে।
পড়তে আমার বেশ ভালই লাগে। তবে তেমন কিছুই লেখা হয় না। মাঝে মাঝে কারো কারো পোষ্ট ভাল লাগলে মন্তব্য করার চেষ্টা করি। আজ আপনার এই পোষ্টটি পড়ে মনে হয়েছে আর কিছু না হউক অন্তত মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবানই মনে করা যায়। ইসলামের ভিতর কিছু খুজতে হলে অনেক অনেক গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় (মানে অনেক অনেক পড়ালেখার প্রয়োজন পরে।) যেমন হীরা উত্তোলন করার জন্য ভূমির অনেক গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়।
সবশেষে যা বলতে পারি উপরোক্ত যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য আপনার অসাধারন জ্ঞান এর পরিচয় বহন করে। আল্লাহ্ আপনার উত্তম প্রতিদান দিন! আর কিছু না হউক ভালো কিছু করার জন্য হলেও ভাল থাকবেন এই কামনায়...........।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:২৩
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: প্রতিটি সুন্দর মন্তব্য মন্তব্যকারীর সুন্দর মনের পরিচয়ই তুলে ধরে।
তবে আপনি যতটা বলেছেন, আমি হয়তো তার অনেক কম। তবে আপনাদের মতো প্রিয় ভাইদের দোয়া পেলে আল্লাহ হয়তো কবুল করতেও পারেন।
আমার অন্যান্য লেখা পড়ে দেখার অনুরোধ থাকলো।
আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:২১
রাসেল মেটামোরফোজ বলেছেন: বাংলাদেশের কিছু মানুষ সুরা কাফিরুনের মূল অংশ গুলো বাদ দিয়ে কেবলমাত্র বিচ্ছিন্নভাবে শেষ আয়াতটি উল্লেখ করে পান্ডিত্য ঝাড়েন। বলেন দেখেন আল্লাহই সূরায়ে কাফিরুনে বলেছেন, ‘তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার।’
এদেরকে আমরা খুব ভাল করে চিনি।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:২৫
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: শুধু চিনলেই হবে না।
সত্যের সাহসী উচ্চারণও অব্যাহত রাখতে হবে।
আল্লাহ আমাদেরকে এই সকল বিভ্রান্তি থেকে বাঁচার তাওফীক দিন।
৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:২১
অদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বলেছেন: ভাই , আসল কথাটা সহজ ভাষায় সংক্ষেপে বললে ভাল হয় । কুরআনের আয়াত এর বাংলা পড়ে অর্থ বোধ গম্য করা বেশ কঠিন । আরবি আর বাংলা ব্যাকরণগত অমিল ই এর জন্য দায়ী ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:২৭
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করি যথাসাধ্য সংক্ষিপ্ত করার। তবে অনেক সময় বেশি সংক্ষিপ্ত হে গেলে মূল বিষয় বোঝানো কষ্টসাধ্য হয়ে পরে।
আমার লেখাটি একটু কষ্ট করে পড়লে আশা করি উপকৃত হবেন। ধন্যবাদ।
৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪
অদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বলেছেন: ভাই , আমি কোথাও শুনেছিলাম একবার , পৃথিবী থেকে প্রথম আসমানের দূরত্ব নাকি ৫০০ বছরের হাঁটা পথ । পবিত্র কুরআনে কি এ রকম কোন কথা লেখা আছে ?
যদিও ৫০০ বছরের হাঁটা পথ ( আক্ষরিক অর্থে সত্যি হলে ) বৈজ্ঞানিক ভাবে গ্রহণ যোগ্য না ।
সর্বোপরি আপনার কাছ থেকে " কুরআন ও বিজ্ঞান " সম্পর্কিত অনেক গুলা ধারাবাহিক পোস্ট কামনা করি । আমি এটা দেখতে আগ্রহী যে কুরআন এবং বিজ্ঞান উভয়ই পারালেল । পরস্পর বিরোধী নয় । আমি এটা বিশ্বাস ও করি । উল্লেখ্য আমি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:০৯
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: আমি এ পর্যন্ত এমন কিছু কুরআন-হাদীসের কোথাও পাই নি। এটি কাল্পনিক গাল-গল্প হতে পারে।
বিজ্ঞান দ্বারা কুরআনকে যাচাই করতে যাওয়াটা অবিবেচক কাজ। কারণ বিজ্ঞান দিন দিন পরিবর্তনশীল। আজকের ধারণা ও সিদ্ধান্ত আগামী কালই বাতিল হচ্ছে। কারণ এগুলো স্বল্প মেধা সম্পন্ন এবং অতীত ও ভবিষ্যত সম্পর্কে অনবহিত মানুষের সীমিত তথ্যের আলোকে গৃহীত সিদ্ধান্ত। এর দ্বারা সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাবান মহান আল্লাহর বক্তব্যকে যাচাই করতে যাওয়া চরম মূর্খতা।
বিজ্ঞান কুরআনের সাথে মিললে সেটা বিজ্ঞানের সৌভাগ্য। কোনো বিষয় কুরআনের সাথে না মিললে সেটা বিজ্ঞানের ভুল।
৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:০৪
সমাধানদাতা বলেছেন: আচ্ছা যে লোকটি সারাজীবন মূর্তিপূজা করল কিন্তু জীবনে চলার পথে কখনই কোনভাবেই অন্যায় করেনি,বরং তার দ্বারা সকল মতের মানুষ সমানভাবে উপকৃত হয়েছে এবং যে কখনও কোন অপরাধকে সমর্থন করেনি,এককথায় আগাগোড়া ভাল লোক,এরপরেও কি হাসরের ময়দানে আল্লাহতায়ালা তার উপর রাগ করে থাকবেন?
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:১২
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: একজন মানুষের সবচেয়ে বড় জুলুম হলো নিজ স্রষ্টাকে না চিনা, বা চিনেও তাকে না মানা। অথবা আপন প্রতিপালকের সাথে অন্য কাউকে শরীক সাব্যস্ত করা।
যেই ব্যক্তি এই রকম অন্যায় করবে, মৃত্যুর আগে এর থেকে তওবা না করলে তার জন্য শাস্তির কথাই কুরআন ও হাদীসে বলা হয়েছে।
তবে অমুসলিম কিংবা অবিশ্বাসীদের দুনিয়ার জীবনে ভালো কাজ ও ন্যায়পরায়নতার জন্য দুনিয়ার জীবনেই তাদেরকে প্রতিদান দিয়ে দেয়া হয়।
১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৫৩
নিক টা আমার বলেছেন: তবে অমুসলিম কিংবা অবিশ্বাসীদের দুনিয়ার জীবনে ভালো কাজ ও ন্যায়পরায়নতার জন্য দুনিয়ার জীবনেই তাদেরকে প্রতিদান দিয়ে দেয়া হয়।
এই কথাটাই অনেকে বুঝে না ।
লেখককে ধন্যবাদ ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৭
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:১৫
খইকাঁটা বলেছেন: সমাধানদাতা বলেছেন: আচ্ছা যে লোকটি সারাজীবন মূর্তিপূজা করল কিন্তু জীবনে চলার পথে কখনই কোনভাবেই অন্যায় করেনি,বরং তার দ্বারা সকল মতের মানুষ সমানভাবে উপকৃত হয়েছে এবং যে কখনও কোন অপরাধকে সমর্থন করেনি,এককথায় আগাগোড়া ভাল লোক,এরপরেও কি হাসরের ময়দানে আল্লাহতায়ালা তার উপর রাগ করে থাকবেন?
লেখক যথেষ্ট ভাল উত্তর দিয়েছেন। আমি একটু মাঝখান থেকে নাক গলাই। আমরা বিভিন্ন সীম কোম্পানীর কাছ থেকে নানান পরিসেবা সহ বোনাস পেয়ে থাকি। ধরেন এরকম একটা সেবা হল যে যত ব্যবহার করবেন অর্থাৎ উনাদেরকে ব্যবহার করবেন সে তার ব্যবহৃত অর্থের উপর একটা বোনাস পাবেন। এটা পেতে reg লিখে ৩৩৩৩ এ পাঠাতে হয়। আপনি পাঠালেন আমি পাঠাইনি। আপনি আগের মাসে ব্যবহার করলেন ৫০০ টাকা বোনাস পেলেন ৫০, আর আমি ব্যবহার করলাম ১২৭০ টাকা বোনাস নাই। রাগ করে লাভ কি রেজিস্ট্রেশন করা হয় নাই যে। মুসলিম হওয়ায় প্রধান শর্ত এক আল্লাহ-তে বিশ্বাস আনা, যার কোন পিতা বা পুত্র নাই, যার সাথে কোন কিছুর তুলনা চলে না। এই রেজিস্ট্রেশন থাকলে তবেই তো পয়েন্ট যোগ হবে। অন্যথা সেই সব ব্যাক্তিকে আল্লাহ হয়ত দুনিয়াবী শান্তি সুখ সম্মান দেবেন। তবে দোয়া করি এসকল মানুষরা যেন হেদায়াত প্রাপ্ত হন।
অদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বলেছেন: ভাই , আসল কথাটা সহজ ভাষায় সংক্ষেপে বললে ভাল হয় । কুরআনের আয়াত এর বাংলা পড়ে অর্থ বোধ গম্য করা বেশ কঠিন । আরবি আর বাংলা ব্যাকরণগত অমিল ই এর জন্য দায়ী ।
যে ভাষায় এটার মুল আগমন সে ভাষা সম্পর্কে সেটার ব্যকরণ না জানা থাকলে অর্থ বোঝা কিছুটা দুরুহতো বটেই। তবে এ ছুতায় আমরা আবার থেমে না যাই। আপনার আমার কাছ থেকে বিশেষ করে আপনার মত বিজ্ঞানমনস্ক যুবক মানুষের কাছ থেকে ইসলাম ও এর পন্থীগন অনেক বেশী কিছু আশা করে।
আপনার ২য় মন্তব্যের উত্তরে আসি, আসমান পৃথিবীর দুরত্বের মত আরো এরকম অনেক কথা আমদের সমাজের স্বল্পজ্ঞানী মোল্লারা অশিক্ষিত মুসলমানদের মনযোগ আকর্ষনের জন্য এবং উনার জ্ঞানের বিস্তৃতি দেখানোর জন্য নানান কায়দা করে অতি উদ্ভট মাত্রার কথাবার্তা বলে ইসলামকে নিয়ে পাঁকে ফেলে দিয়েছে। এসব মোল্লাদের কাছ থেকে আল্লাহ আমাদের ইসলামকে হেফাজত করুন।
লেখকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য। আপনার থেকে যাওয়াতে আমার চরম আপত্তি থাকবে। আল্লাহ আপনার পথ সুগম করুন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৮
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো লেখা অব্যাহত রাখার জন্য বাকি আল্লাহর ইচ্ছা। তবে আপনাদের মতো ভাইদের দোয়া পেলে আশা করি আল্লাহ রহমত করবেন।
আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ।
১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:১৮
খইকাঁটা বলেছেন: লেখকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য। আপনার থেকে যাওয়াতে আমার চরম আপত্তি থাকবে। আল্লাহ আপনার পথ সুগম করুন
সংশোধন
লেখককে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য। আপনার থেমে যাওয়াতে আমার চরম আপত্তি থাকবে। আল্লাহ আপনার পথ সুগম করুন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৯
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:০৬
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: শালীন ও যুক্তিপূর্ণ সুন্দর আলোচনায় সকলকে স্বাগতম।
অশালীন শব্দ ও ভাষা ব্যবহার না করার অনুরোধ রইলো সবার প্রতি। ধন্যবাদ।