![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশকে ভাল বাসুন, আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করুন ঘুষ,দুর্নীতির সাথে নিজেকে সম্প্রক্ত করবেন না,এটা আপনার আমার নৈতিক দায়িত্ব।
রাজধানীতে কোটি টাকার বিলবোর্ড ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, হঠাৎ করে তাঁদের ভাড়া নেওয়া বিলবোর্ডগুলো বেদখল হয়ে গেছে। তাঁরা বুঝতে পারছেন না ‘হৃত সম্পদ’ ফিরে পেতে সরকারের কাছে যাবেন, না কি আওয়ামী লীগের ‘ওপর’ মহলে যোগাযোগ করবেন।
আওয়ামী লীগ অফিস সূত্র বলছে, রাজধানী আড়াইশটির মতো বিলবোর্ড করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ বিলবোর্ড মালিক সমিতির সদস্যরা বলছেন, বেদখল হওয়া বিলবোর্ডের সংখ্যা শ চারেক। শহরঘুরে দেখা গেছে বিলবোর্ডে বিভিন্ন খাতে সরকারের অগ্রগতির তথ্য প্রচার করা হয়েছে। আর আড়ালে চাওয়া হয়েছে ভোট।
বিভিন্ন বিলবোর্ড নিয়মিত ভাড়া নেন এমন বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্মকর্তারা বলেছেন, বিলবোর্ড বেদখল হওয়ায় মাসে তাদের আনুমানিক এক কোটি ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি গুণতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তাঁরা ছয়মাস/একবছরের জন্য ভাড়া নেন এবং আগাম টাকা পরিশোধ করেন।
এদিকে বিলবোর্ড মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. রাশেদ বলেছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাঁদের চাপ দিচ্ছে। আমরা তাদের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করেছি। একটা আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংগঠনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য বলেন, ‘ভাই বিলবোর্ডগুলো তো মাগনা পাই নাই। কোটি টাকার বিলবোর্ডে ২৫ লাখ টাকা সরকারের ঘরে ভ্যাট/ট্যাক্স জমা হয়। র্বোডগুলো যে দখল হলো, এ ক্ষতি কে গুণবে’?
কার নির্দেশে রাতারাতি আড়াইশ বিলবোর্ড বেদখল হয়েছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের উপপ্রচারসম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেছেন, ‘বিলবোর্ড তো আমরা করিনি, করেছে সরকার’। প্রচার বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ দায়িত্ব আগেই তথ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, এ কাজ আওয়ামী লীগের, সরকারের না। তথ্য মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে সরকারের চার বছরের উন্নয়ন নিয়ে প্রচারের বিষয়ে কাজ শুরু করবে। কিন্তু বিলবোর্ডগুলো এর অংশ নয়।
আওয়ামী লীগের গবেষণা সেলের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকার করলে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা থাকত না। এটা দলীয়ভাবে করা হয়েছে। সাফল্য প্রচারে আওয়ামী লীগ দুর্বল—দলের ভেতর থেকে এমন অভিযোগ ওঠার পর থেকে প্রচার বিভাগ ভীষণ চাপে কথা ছিল। তখন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে দিয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের প্রচারের বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সংস্থার কর্ণধার ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ। শেষ পর্যন্ত ওই সংস্থাকে কাজ দেওয়া হয়নি। প্রচার সেলের যে কর্মকর্তারা পোস্টার, লিফলেটের নকশা করে তারাও কাজটা করেনি। ওই সূত্রটি বলছে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাঁর নির্বাচনী এলাকায় যুবলীগের এক নেতাকে দিয়ে করিয়েছেন। যুবলীগের ওই নেতার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে বিন্দুবিসর্গও তিনি জানেন না। হাছান মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। অপর একটি সূত্র জানাচ্ছে, গোটা বিষয়টি তদারক করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ‘বুদ্ধিটা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে আসতে পারে। কিন্তু কাজটা ঠিক কে করেছে বলা যাচ্ছে না। তবে যা হয়েছে ভালোই হয়েছে। প্রচারের দরকার আছে’।
রাজধানীর বিজয়সরণী, ফার্মগেট খামারবাড়ি মোড়, কারওয়ান বাজার, রূপসী বাংলা মোড়, কাকরাইল, মগবাজার, গুলশান, বনানী, মহাখালীতে যে বিলবোর্ডগুলো রয়েছে তাদের এক একটির আকৃতি এক এক রকমের। কোনোটি চওড়া ৪০ ফুট, উচ্চতা ২০ ফুট, কোনোটি চওড়া ৩০ ফুট উচ্চ ১৫ ফুট, কোনোটি এর চেয়েও ছোটো। এলাকাভেদে বিলবোর্ডের খরচ একেক রকম। এয়ারপোর্ট রোড, বনানী, গুলশানসহ অভিজাত এলাকাগুলোয় ৪০ ফুট চওড়া, ২০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এক একটি বিলবোর্ডের জন্য বাত্সরিক খরচ পাঁচ-ছয় লাখ টাকার মতো। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বনানী ডিওএইচএস থেকে মহাখালী পর্যন্ত বিলবোর্ড আছে ২৬টি।
সূত্রগুলো বলছে, এক একটি বিলবোর্ডে ডিজিটাল ব্যানার ছাপাতে গড়ে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আওয়ামী লীগ অফিস থেকে যে আড়াইশটি বিলবোর্ডের কথা বলা হয়েছে, সেগুলোয় বিজ্ঞাপন ছাপাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
গ্রামীণ ফোন, ইউনিলিভার, পারটেক্সসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিলবোর্ড ছিনতাই হলেও কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দিতে রাজী হননি। তবে, পারটেক্সের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করলে আমরা সানন্দে বিলবোর্ড ছেড়ে দিতাম। কিন্তু কোনো কিছু না জানিয়ে আচমকা আমাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন সরিয়ে দিয়ে সরকারের অগ্রযাত্রা প্রচারের কারণ বুঝলাম না। কবে বিলবোর্ডগুলো আমরা ফেরত পাব তা-ও বুঝতে পারছি না। কার কাছে যাব তা-ও বুঝতে পারছি না’।
গ্রামীন ফোন ও ইউনিলিভারের দায়িত্বশীলসূত্রগুলো জানায়, তাঁরা এখনও নিশ্চিত নন ঠিক কটা বিলবোর্ড খোয়া গেছে। তাঁরা যাঁদের থেকে ভাড়া নিয়েছেন তাঁরাই কিছুক্ষণ পরপর জানাচ্ছেন, এখানে বিলবোর্ড নেই, ওখানে নেই।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০
মেহেদী হাসান '' বলেছেন: বিলবোর্ডে সুন্দরী মেয়েদের ছবি থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে,
তাইতো অসুন্দরের আগমন। যা হোক, সড়ক দুর্ঘটনা কবল থেকে দেশ রক্ষা পেল।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
ফুরব বলেছেন: সড়ক দুর্ঘটনা কবল থেকে দেশ রক্ষা পেলেও হাসিনার আর রক্ষা নাই।।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: আম্লীগের বিলবোর্ড উন্নয়ন নিয়ে একটি বিলবোর্ড ছবি এলব্যাম দেখুন
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
ফুরব বলেছেন: আওয়ামিলিগ মানেই হল নির্লজ্জ বেহায়া।। বেহায়া না হলে এই কাজ করতে পারে????
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: আম্লীঘ মানেই ব্যাংক ডাকাত, সেতু ডাকাত, শেয়ার মার্কেট ডাকাত, বিদেশ ভ্রমন ডাকাত, গ্রামীন ব্যাংক লুটের ডাকাত ইত্যাদি আর এখন বিলবোর্ড ডাকাত। দেশটারে লুটে পুটে খেল! যাবার ক'দিন বাকি?
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ফুরব বলেছেন: এই বেহায়া রাজনৈতিক দলকে যারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তারা বিশ্ব বেহায়া।।
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
রিয়াজ৩৬ বলেছেন: শেষ সময়ে এসে আরেকটা বাটপারি করলো।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪০
ফুরব বলেছেন: নৌকা তো ডুবে ডুবে তাই শেষ চিকিতস্যা বইঠা নিয়া টানাটানি।।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০১
বাগসবানি বলেছেন: কিছুদিন পর পর আমজনতাকে ইন্টারটেইন না করলে যেন ভালই লাগে না
আমলীগ তো বেহায়া-ই
এখন আমাদের লুঙগী উঠানো হুজুর দরকার, যারা বোরখা দিয়ে হায়া ঢাকবে
চুরি, বাটপারী, রাজনীতি, হরতাল আর ছিনতাই ছাড়া দেশের লোকের তো এখন আর কাজ নাই ।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
ফুরব বলেছেন: ফুরব বলেছেন: বাগসবানি বলেছেন: কিছুদিন পর পর আমজনতাকে ইন্টারটেইন না করলে যেন ভালই লাগে না
এই এন্টারটেইনটা চরম হইছে।।
৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
বিচিত্র জিসান বলেছেন: আওয়ামীলীগের মত এমন রাজনীতি হিটলার নিজেও করতে পারেনাই,
এত অপকর্ম করার পরেও একটু অনুসুচনা, দুঃখ প্রকাশ নেই
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
ফুরব বলেছেন: এরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল ।।
সারা দেশ এদের হাতে জিম্মি এমনকি দলীয় এমপি পর্যন্ত এদের হাতে নিরাপদ নয়।
বিরোধী মতবাদের কথা না হয় বাদই দিলাম।
আসুন সবাই মিলে এই জারজদের আবার ভোট দেই।।