![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশকে ভাল বাসুন, আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করুন ঘুষ,দুর্নীতির সাথে নিজেকে সম্প্রক্ত করবেন না,এটা আপনার আমার নৈতিক দায়িত্ব।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে তিনিসহ এই জামায়াত নেতার আত্মীয়-স্বজনদের কারাগারে ঢোকার আধা ঘণ্টা আগেই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু জানান, রাতের মধ্যেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ফরমান আলী সাংবাদিকদের জানান, কাদের মোল্লার পরিবারের ২৩ সদস্য দেখা করতে ঢোকেন। এর মধ্যে ছেলে, চার মেয়ে, তাদের জামাতা, কাদের মোল্লার ভগ্নিপতিও ছিলেন।
রাত পৌনে ৯টার দিকে তারা সবাই কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। একাত্তরে খুন-ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত কাদের মোল্লার চার মেয়েকে এই সময় কাঁদতে দেখা যায়।
বিমর্ষ অবস্থায় বেরিয়ে আসার সময় কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল সাংবাদিকদের বলেন, “এটা একটি পলিটিক্যাল কিলিং।
“জেল কোড এখানে মানা হয়নি। উনি এখনো রায়ের পূর্ণাঙ্গ কোনো কপি পাননি। উনার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।”
কাদের মোল্লা কিছু বলেছেন কি না- জানতে চাইলে ছেলে বলেন, “তিনি শান্ত থাকতে বলেছেন, উনার জন্য দোয়া করতে বলেছেন।”
কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনেও কাদের মোল্লার স্ত্রী বলেছিলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তার স্বামীকে ফাঁসিতে ঝোলানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে আলোচনার মধ্যে সন্ধ্যায় কারা কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠায় কাদের মোল্লার স্ত্রীর কাছে।
ওই চিঠিতে রাত ৮টার মধ্যে কারাগারে গিয়ে জামায়াত নেতার সঙ্গে দেখা করতে তার পরিবারকে বলা হয়।
হাসান জামিল চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “পরিবারের নিকট আত্মীয়দের খবর দেয়া হয়েছে। আমরা দেখা করতে যাচ্ছি।”
চিঠিতে সানোয়ারা জাহানকে বলা হয়- “আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আপনার স্বামী জনাব আব্দুল কাদের মোল্লা, পিতা সানাউল্লাহ মোল্লা, মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বন্দি হিসেবে অত্র কারাগারে অন্তরীণ। আপনি ও আপনারার নিকট আত্মীয়-স্বজনকে জরুরি ভিত্তিতে অদ্য ৮ ঘটিকার মধ্যে আপনার স্বামীর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।”
এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি মাইক্রোবাস এবং একটি জিপে করে কারাফটকে উপস্থিত হন কাদের মোল্লার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা।
কারাগারের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রায় তিন শতাধিক র্যাব-পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দেখা যাচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার আবিদা সুলতানা বলেন, “নিরাপত্তার বন্দোবস্ত যথেষ্ট রয়েছে।”
কারাগারের সামনে নাজিমউদ্দিন সড়কে সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজার রায় দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় শাহবাগে গড়ে ওঠা আন্দোলন থেকে এই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবি ওঠে।
এরপর আপিলের রায়ে সর্বোচ্চ আদালত এই জামায়াত নেতাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়। গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রোববার ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে।
এরপর শুরু হয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি। কাদের মোল্লা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে রাজি হননি বলে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
ফুরব বলেছেন: সব মৃত্যুই দুঃখ জনক। বিচার প্রক্রিয়ার সচ্ছতা কতটা সত্য মিথ্যা আল্লাই ভাল জানেন।
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জয় বাংলা!
কাদের মোল্লার ফাসির জন্য গনজাগরন মঞ্চের আন্দলনের অবদান বিশাল।
এমনকি গনজাগরন মঞ্চের আন্দলন না হইলে মেশিন সায়েদির ফাসির রায়ও হইত না।
এত সহজেও বিচার কাজ হইতো না, রাষ্ট্রযন্ত্র বিচার চালানোর মত এত মানসিক বলও পাইত না।
Click This Link
Click This Link
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
ফুরব বলেছেন: এক কাদের মোল্লার ফাসি আর কত মৃত্যুর কারন হয় তা আল্লাই ভাল জানেন। শেখ হাসিনা বাংলার জনতা নিয়ে হলি খেলতেছে।।
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
পথহারা নাবিক বলেছেন: @নুরুল অমিন মুসলমান মারা কোন ইসলামি আন্দোলন??
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২
ফুরব বলেছেন: আজ ক্ষমতার জন্য আওয়ামীলিগ বিএনপির কর্মীদের মারছে কাল বিএনপি আওয়ামী কর্মিদের মারবে এটা কেমন রাজনীতি??? ৭১ সালের ব্যাপার টাও তেমনই ছিল।।
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
নুরুল অমিন বলেছেন: পথহারা দের মারতে দোষ নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১
নুরুল অমিন বলেছেন: "ইসলামী আন্দোলন করার কারনে আজ তার মৃত্যুদন্ড"----মিয়া এটা তো কোট করেন নাই।