নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

✋কইতাম নাহ ☻☻

গেম চেঞ্জার

আগামীকালের দিনটা বাকি আছে। না? ধুর!! আগামীকাল কি হবে ঐটা নিয়া তো যথেষ্ট তথ্য নাই বোকা । ঐটার জন্য হা করে তাকাস না । ঐটা রহস্য । গত হয়ে গেল যে দিনটা ঐটা ইতিহাস । ঐটা নিয়া পড়ে থাকলে চলবে ?? তবে জেনে রাখ আজকে যে দিনটা চলে যাবে এটাই তোর পালা। সো বুঝে নে কি করা দরকার ☺ ☺........... ░░░░░░░░░░░░░░░░░ (gamechangerbd.blogspot.com)

গেম চেঞ্জার › বিস্তারিত পোস্টঃ

☼ ☀ মুক্তমনা, মুক্তচিন্তা ও তৎসংক্রান্ত প্রহেলিকা এবং প্রেক্ষিত বাংলাদেশে

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬



মুখবন্ধঃ
মুক্তচিন্তা ব্যাপারটা চিরায়ত বিজ্ঞানের কোন অংশ না হলেও দর্শনের একটি অংশ। বাংলাদেশে এই মুক্তচিন্তা নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা সমালোচনা চলছে। সাধারণভাবে আমরা চিনি মুক্তমনা তারাই যারা মুক্তচিন্তা ধারণ ও লালন করেন। ২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলনে স্মরণাতীতকালের মধ্যে মুক্তমনা ও মুক্তচিন্তা বিষয়টি জনগণের সামনে চলে আসে। যদিও সেই আন্দোলনের মূলে ছিল যুদ্ধাপরাধী ইস্যু। তথাপি ঐ তরুন যুবারা সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক বৈপ্লবিক কিছু করবে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। শাহবাগের আন্দোলন যখন তুমুল পর্যায়ে ঠিক তখনই রাজিব হায়দার নামীয় এক তরুণের জীবনলীলা সাঙ করে দেয় একদল ঘাতক।
পরের ঘটনাগুলো পাঠক নিশ্চয়ই অবগত। থাবা বাবা'র ছদ্মনামে লেখা এই ব্লগারের ব্যাপারে কয়েকটি ডান ধারার মিডিয়া তোড়জোড় শুরু করে। পরবর্তী অধ্যায়ে রচিত হয় ডানপন্থী বুদ্ধিজীবীদের গ্রেফতার ও মিডিয়া বন্ধ করা সহ নাটকীয়ভাবে সুপারফ্লপে পড়ে যায় শাহবাগ আন্দোলন। নাস্তিক ব্লগারের আন্দোলন বলে যে প্রচারণা চালানো হয় সেই প্রচারণা সম্পুর্ণভাবেই সফল হয়েছে। মৃত্যু হয়ে গেছে একটি আন্দোলনের। সলিলে একাকার হয়ে গেছে শত স্বপ্ন আর সম্ভাবনার।
সে যাই হোক, বাঙালী সংষ্কৃতি ও ঐতিহ্যের নবজাগরণের পথে যারা এগিয়ে এসেছিলেন তাদেরকে রুখে দেয়া হলো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায়। কথাটি জটিল শোনালেও সচেতন যেকোন পাঠকই আমার এ বাক্যের যথার্থতা নিরুপণ করে ফেলবেন। সেদিকে যাওয়াটা অপ্রাসঙ্গিকই হবে বিধায় আর যাচ্ছি না। আমাদের আলোচনা মুক্তচিন্তা ও এর বাংলাদেশ ইফেক্ট নিয়েই সীমাবদ্ধ থাকুক।
বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার ধারক হিসেবে কতিপয় তরুণ কিছু ফেসবুক পেজ ও বাংলা ভাষার ব্লগে নিজেদের জ্ঞানগর্ভ চিন্তার উপস্থাপন করে যাচ্ছিল যা কথিত ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে এক অভূতপুর্ব ধারা পরিদৃশ্য হয়।
বাংলাদেশের জন্য যেকোনও থিওরী তৈরি করা হলে ধর্ম বিষয়টি কান টানলে মাথা আসার মতোই চলে আসে। যে সকল তরুন চিন্তাবিদ মুক্তভাবে চিন্তা করতে চেয়েছিলেন তাদের ওপর একটি প্রতিক্রিয়ামূলক সাড়া দেখা গেল। ধর্মের নামে অপকর্ম দেখেই হোক ধর্মের ওপর বিরক্ত হয়েই হোক কিংবা ধর্মের উপর বিদ্বেষের কারণেই হোক তাদের লেখায় ও আলোচনায় আপত্তিকর এবং উদ্দ্যেশ্যমুলকভাবে ধর্ম নিয়ে বিশেষত ইসলাম ও সনাতন ধর্ম নিয়ে এক ধরণের অ্যালার্জি দেখা গেল। আলোচনার সুবিধার্থে আমি ধরে নিলাম যে এটা তাদের প্রতিক্রিয়াই (ধর্মের ওপর)।
প্রকৃত বাস্তবতা হলো, এইসব আপত্তিকর শব্দচয়ন জনসাধারণ ও ধর্মীয়ভাবে অনুরাগী সাধারণ মানুষদের ক্ষেপিয়ে তুলেছিল। যার ফলশ্রুতিতে একটি বিশেষ গোষ্টি সূযোগ নিয়ে ধর্মবিদ্বেষী ব্লগারদের উপর চাপাতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নিঃসন্দেহে বলা চলে এইসব খুনী সাধারণ মানুষদের নিকট নিগৃহীত হয়নি এত বড় বড় নৃশংস খুন করার পরও কারণ সিংহভাগ জনগণ এইসব ব্লগারদের ওপর বিরক্ত ও ক্ষিপ্ত।
মুসলিম জনগণের মধ্যে একধরণের তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া আছে যে, আল্লাহ ও রসূলকে নিয়ে যারা কটুক্তি করবে তাদেরকে হত্যা করায় কোনই দোষ নাই। তারা মুরতাদ। মুরতাদদের হত্যা করতে ইসলামে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। এই প্রচারণা জনগণের নিকট ব্লগারদের উপর আক্রমণকে জায়েয করে ফেলেছে।
মূলকথা থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বিচ্যুত হলাম। আশা করি পাঠকবৃন্দ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এ প্রবন্ধে আমি চেষ্টা করব মুক্তমনা ও এর স্বরুপ বের করতে, মুক্তচিন্তা কি ও এর প্রয়োগের জায়গাগুলো কি, মুক্তচিন্তার প্রভাব, নাস্তিক ও মুক্তমনার পার্থক্য, ধর্ম ও মুক্তচিন্তার দ্বন্ধ, বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার অবস্থা প্রভৃতি।

মুক্তমনা ও মুক্তচিন্তার ডেফিনেশনঃ (Meaning of “freethinker”)
শুনে তব্দা যেতে পারেন, স্বয়ং মুক্তমনা ব্লগে ঘেটেও আমি মুক্তচিন্তা'র কোন সংজ্ঞা পাইনি। এটা আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এখনো বাংলায় নির্ভরযোগ্য কোন ব্যখ্যাও দেয়া নেই। আমাকে শরণাপন্ন হতে হলো বিদেশীদের কাছে যেতে।

(Mariam Webster)
"A person who forms his or her own opinions about important subjects (such as religion and politics) instead of accepting what other people say."
OR
"One who forms opinions on the basis of reason independently of authority; especially : one who doubts or denies religious dogma."

(Cambridge English Dictionary)
"Someone who ​forms ​their own ​opinions and ​beliefs, ​especially about ​religion or ​politics, ​rather than just ​accepting what is ​officially or ​commonly ​believed and ​taught"

(Def. by Leo Tolstoy)
“Freethinkers are those who are willing to use their minds without prejudice and without fearing to understand things that clash with their own customs, privileges, or beliefs. This state of mind is not common, but it is essential for right thinking...”

(Def. by Dan Barker in FFRF)
"A person who forms opinions about religion on the basis of reason, independently of tradition, authority, or established belief. Freethinkers include atheists, agnostics and rationalists."

(মুক্তমনা ব্লগেঃ-)
1. free-think-er n. A person who forms opinions about religion on the basis of reason, independently of tradition, authority, or established belief. Freethinkers include atheists, agnostics and rationalists.

2. freethinker n. One who has rejected authority and dogma, especially in his religious thinking, in favour of rational inquiry and speculation. -The American Heritage Dictionary

“মুক্তমনাদের আস্থা মুক্তবুদ্ধিতে – অন্ধবিশ্বাসে নয়। কোন আপ্তবাক্য বংশ-পরম্পরায় প্রচলিত হয়ে এসেছে বলেই সেটাকে অবলীলায় বিশ্বাস করতে হবে এমন যুক্তি মুক্তমনারা মানেন না। তাঁরা মুক্তমনে প্রতিটি ধারনাকে যাচাই-বাছাই করতে চান। তারা বিজ্ঞানমনস্ক সংশয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিটি মিথ এবং অতিকথাকে বিশ্লেষণ করার পরে সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
..
নাস্তিক (atheist), অজ্ঞেয়বাদী (agnostic), সংশয়বাদী (skeptic), মানবতাবাদীদের (humanist) সাধারণভাবে ‘মুক্তমনা সদস্য’ হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রশ্ন উঠতে পারে – ধার্মিকেরা কি তাহলে মুক্তমনা হতে পারেন না? কোন ধার্মিক যদি মুক্তমনে তাঁর ধর্মবিশ্বাসকে বিশ্লেষণ করতে পারেন, তবে তাঁর নিজেকে মুক্তমনা বলতে আপত্তি থাকার কথা নয়।”


নিম্নের তিনটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় ধারণা রাখা আবশ্যকঃ--
১. ধার্মিক তথা বিশ্বাসী
২. অবিশ্বাসী তথা নাস্তিক
৩. অজ্ঞেয়বাদী
পাঠকরা প্রথম দুটি বিষয়ে জানলেও তৃতীয় বিকল্পে ভ্যাবাচ্যাকা খেতে পারেন। সেজন্য বিশেষভাবে আমি অজ্ঞেয়বাদ নিয়ে মৌলিক ধারণা দেব।

Routledge Encyclopedia of Philosophy. হইতে-
In the popular sense, an agnostic is someone who neither believes nor disbelieves in God, whereas an atheist disbelieves in God. In the strict sense, however, agnosticism is the view that human reason is incapable of providing sufficient rational grounds to justify either the belief that God exists or the belief that God does not exist. In so far as one holds that our beliefs are rational only if they are sufficiently supported by human reason, the person who accepts the philosophical position of agnosticism will hold that neither the belief that God exists nor the belief that God does not exist is rational. (Routledge Encyclopedia of Philosophy)


OED 3rd ed.(Oxford)
(n) A person who believes that nothing is known or can be known of immaterial things, especially of the existence or nature of God.
In extended use: a person who is not persuaded by or committed to a particular point of view; a sceptic. Also: person of indeterminate ideology or conviction; an equivocator.
(a) Of or relating to the belief that the existence of anything beyond and behind material phenomena is unknown and (as far as can be judged) unknowable. Also: holding this belief.


সহজ করে বললে যেটা হয়ঃ ঐশ্বরিক বা অবস্তুগত বিষয়ে তথা সৃষ্টার অস্তিত্ব বিষয়ে সিদ্বান্ত গ্রহণ করা মানুষের অসাধ্য। এইগুলো নিয়ে ভাবা অযৌক্তিক। তারচেয়ে বৈষয়িক চিন্তাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।

সংজ্ঞা নিরুপনঃ
বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে হবে যে, কোনো শব্দের অর্থ কেবল আক্ষরিক নয়, বরং অর্থ প্রদানের সময় সমসাময়িক, প্রথা-ভিত্তিক, সামাজিক ধারণার ওপর গুরুত্বারোপ আবশ্যক।
আমরা সবাই সমাজে প্রতিষ্ঠিত প্রথার ‘ভিতরেই’ থাকি, আমাদের ভাব বিনিময় (communication) গোটা ভাষা ব্যবস্থা (system of language) নির্ধারণ করে।

মুক্ত মানে আমরা জানি। বাঁধন/দড়ি দিয়ে বাঁধা একটি গরু বা ছাগলকে মুক্ত করে দিলে সেটা একধরণের মুক্তি। মানুষকে জেল/কারাগার/বন্দি অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি দেয়া হলে সেটাকে বলে মুক্তি। আমরা যখন বলি ‘মুক্ত আকাশের পাখি’, তখন ‘মুক্ত’ অবস্থার কথা বুঝি। এখানে মূলত ইচ্ছার স্বাধীনতাই প্রকাশ পায়। আমরা যদি কারাগারের কোন লোকের ব্যাপারে বলি, সে এখন ‘মুক্ত’, তখন বুঝায় যে এখন স্বাধীনতা ভোগ করছে। সে এখন যেখানে ইচ্ছা বিচরণ করতে পারে।
কিন্তু যে ব্যক্তি কোন কারাগারে আবদ্ধ ছিল না, এবং এখনও নয়, সে যদি বলে যে ‘আমি এখন মুক্ত’ তাহলে নিশ্চিত হতে হবে যে, শব্দটি রূপক(metaphor)।
যেহেতু ‘মুক্ত’ শব্দটি স্বাধীনতা নির্দেশ করে সেহেতু মুক্তমনা চিন্তার স্বাধীনতা বুঝাতেই ব্যবহৃত হচ্ছে। উপরের সংজ্ঞাগুলোয় দেখা যাচ্ছে, মুক্তচিন্তক বা মুক্তমনা বলতে তাদের বুঝাচ্ছে যারা জীবনবোধ সংক্রান্ত স্বাধীন চিন্তা করে থাকেন। তবে সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাস, আচার, দর্শন অগ্রাহ্য করেই তাঁরা চিন্তা করে থাকেন। বিশেষত নিজের মতো করে মানবজীবন সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে চিন্তা করেন। এখন মুক্তচিন্তার মানে এই নয় যে একটি গন্ডি পেরিয়ে আরেকটি গন্ডির মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।
একটি গন্ডি ধর্ম। যেটা আমাদের চিন্তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে। যেমন "খোদা বিষয়ক চিন্তা"। অনেক মুসলিম প্রবীণকে বলতে শুনা যায় যে, আল্লাহ নিয়ে চিন্তা করলে নাস্তিক হওয়া ছাড়া কোনই উপায় নাই। অতএব ধর্মীয় কতিপয় বিধিবিধান রয়েছে, যা মানুষকে একটি শৃংখলার মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলে। জাগতিক বিষয় নিয়ে তাকে ভাবতে তথা চিন্তা করতে বারণ করে। এগুলোই গন্ডি।

এখন মুক্তচিন্তার মানে এই নয় যে, ধর্মীয় চিন্তার গন্ডির বাইরে গিয়ে আরেকটি গন্ডি ইশ্বরহীন নীতিতে আবদ্ধ হয়ে যেতে হবে। তাহলে তো মুক্ত হয়ে চিন্তা করা আর হলো না। আপনি একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নড়ছেন না, সেটা আপনাকে আবদ্ধ করে রাখছে আরেকটি বাঁধায়। অতএব মুক্তভাবে বা ফ্রি-লি চিন্তা করার মানে নিশ্চয়ই হবে সর্বপ্রকার বন্ধন/প্রভাবন/গোঁড়ামি থেকে মুক্ত হওয়া, সহজ হওয়া, স্বাচ্ছন্দ্যবোধ অর্জন করা। তাহলে-

মুক্তচিন্তা ডেফিনেশন দেয়া যায়ঃ যে-কোন থিওরেম/ঐশী জ্ঞান/উপলদ্ধ জ্ঞান/বাঁধাকে গৌন হিসেব করে প্রয়োজনে অস্বীকার করে সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে কোন তত্ত্বের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে একান্তভাবে নিজস্ব চিন্তা পদ্বতি দিয়ে বিচার/বিবেচনা/যাচাই/লালন করা।
সহজ করে বললেঃ জ্ঞানার্জনের উদ্দ্যেশ্যে যেকোন মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে চিন্তা করাই মুক্তচিন্তা।
মুক্তমনা(Freethinker) একটি বিশেষ্য পদ। আর মুক্তচিন্তা(Freethought) একটি বিশেষণ পদ।

তাহলে মুক্তমনা কারা?
"যে-কোন থিওরেম/ঐশী জ্ঞান/উপলদ্ধ জ্ঞান/চিন্তার বাঁধাকে গৌন হিসেব করে/অস্বীকার করে তথা কোন তত্ত্বের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে যিনি নিজস্ব চিন্তা পদ্বতি দিয়ে বিচার/বিবেচনা/যাচাই/লালন করতে পারেন তাঁকেই মুক্তমনা বলে।"
সহজে বললে "যিনি মুক্তচিন্তা করেন তিনিই মুক্তমনা"।


চিন্তার বাঁধাঃ
প্রকৃতির স্বরুপ বিবেচনা করলে দেখবেন যে, মানুষ জন্মের পর থেকে সম্পুর্ণতই নির্ভরশীল একটি প্রাণি। তাঁর এ নির্ভরশীলতার জট খুলতে থাকে বড় হবার সাথে সাথে। কিন্তু পৃথিবীর মানুষেরা নিজেদের একগোত্র/পরিবারে একই মত/ধর্ম অনুসরণ করতে দিতে চায় তাঁদের অধঃস্থনদের(জুনিয়রদের)। আর এক্ষেত্রে তাঁকে চিন্তা করার কলা কৌশল না শিখিয়ে গৎবাঁধা পুর্বের মত ও বিঃশ্বাসকে মেনে নিতে বলা হয়।
মানুষের এ প্রবণতার কারণে, নবীন মানুষেরা নিজেদের মতো করে ভাবার স্বাধীনতা হারায়। আত্মস্থ হয়ে পড়ে অন্যের চিন্তাকে মনেপ্রাণে ধারণ করার। বংশানুক্রমে চলে পরিবার ও সমাজ। একই ধর্ম/চিন্তা পদ্ধতি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় সবাইকে।
একটা সময়ে এমন হয় যে, সে বাপদাদার ধর্ম ও জাগতিক বিঃশ্বাস ভঙ্গ করাকে তাঁদের অমর্যাদা মনে করে। নিজের সম্মানহানি মনে করে। একটা ভ্রান্তির ছলে সে নিজের সবটুকু স্বাতন্ত্র‌ খুইয়ে ফেলে। সঠিক চিন্তার বা আলোর রেখা দেখেও নিজেকে গুটিয়ে রাখে। একটা চাপ তাঁর মষ্তিষ্কে সর্বদাই ভর করে থাকে।
এইরুপ ব্যক্তি যে কেবল দর্শনের পরিবর্তনের ভয় করেন বিষয়টি আসলে তেমন না। বাস্তবিক জীবনে তিনি নিজের সামাজিক চ্যুতির আশংকা করেন। নিজের মত পরিবর্তনের জানাজানির কারণে বৈষয়িক, আর্থিক ক্ষতির শংকাপ্রাপ্ত হন।
এইভাবে আরো অনেক কারণ আছে যা মানুষকে চিন্তার পরিবর্তনে বাঁধা দেয় অথবা চিন্তা করতে বাঁধা দেয়।

মুক্তমনার স্বরুপঃ
মুক্তমনা হবার শর্ত হলো নিজের বা অন্যের বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া। তাই এ কাজটি সবার দ্বারা করা অসম্ভব। মানুষের চিন্তার পদ্ধতিটা সাধারণত তাকে যেকোনও একদিকে ঠেলে দেয়। যা তার কার্যে প্রতিফলিত হয়।
বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেলায়ই দেখুন না, তাঁর অমর সৃষ্টি গীতাঞ্জলী'তে সনাতনী ধর্মের অনেক কিছুই চলে এসেছে। এগুলো তো নিজের বিশ্বাসকে ভালবাসার কারণেই আসছে। নাকি?
মানুষ নিজের বিশ্বাসকে ভালবাসে। ধরে রাখতে চায়। তাই মুক্তমনা হতে গেলে সবার আগে নিজের বিশ্বাসকে একটা জায়গায় ফেলে রাখতে হয়। ছেড়ে আসলে তো আরো ভাল। কথা হচ্ছে আপনার ভাবনাকে যেন বিভ্রান্ত না করে।

যদিও মুক্তমনার শর্ত এমন নয় যে, নিজের দর্শন তথা চিন্তার বিলোপ করে নতুন আদর্শের জন্য ছুটতে হবে। তারপরও বাস্তবিক জীবনে খুব কম মানুষকেই আমি মুক্তমনা হতে দেখেছি। এদের বেশিরভাগই নিজের আবেগ ও ধর্ম/বিশ্বাস/সিদ্বান্তকে প্রাধান্য দিয়ে ফেলেন নিজের অজান্তেই। এমনকি টেরই পান না যে তিনি একটি অনুঘটক দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়েছেন।

মুক্তমনারা বিজ্ঞানমনস্ক। বিজ্ঞানসিদ্ধ যুক্তির ওপর নির্ভর করে তিনি চিন্তা করবেন নাকি দর্শনের আলোকে চিন্তা করবেন নাকি নিজের মৌলিক ভাবনাকে প্রশ্রয় দিবেন সেটা তাঁর ব্যাপার। তাই বলে মনগড়া কোনকিছু তিনি তৈরি করে উপস্থাপন করবেন আর সবাই তা মেনে নেবেন বিষয়টা মোটেও সেরকম নয়।
মুক্তমনার প্রবণতা হবে যেকোনও মানব দর্শনের জন্য তাঁকে ধর্মের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। তিনি ধার্মিক নাকি নাস্তিক সেটা মুখ্য নয়। চিন্তার স্বাধীনতা তিনি পাচ্ছেন কি না সেটাই মুখ্য।
মুক্তচিন্তকরা প্রতিহিংসাপরায়ণ হন না বরং উদার এবং স্পষ্টবাদী। তাঁরা নিজেরা কোন সময়েই উত্তেজিত হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে চিন্তুার দূর্বলতা প্রকাশ করে ফেলেন না। আদর্শের বিপরীত কোনকিছু পেলে প্রথমেই সেটা নিয়ে বিশ্লেষণে লেগে পরেন। সেটা খন্ডনের উদ্দ্যেশ্য নয়। তিনি লেগে যান সেটায় জ্ঞানলদ্ধ কোনকিছু আছে কি না সেটা খুঁজতে। যদি কোন যুক্তিপূর্ণ কিছু না পান তবে সেটার অসারতা প্রমাণ করেন নিজের বিশ্লেষণী শক্তি ও উদ্ভাবনী চিন্তার সাহায্যে।

মুক্তচিন্তা, মানবধর্ম, নাস্তিক্যবাদ ও ধর্মঃ
মুক্তচিন্তা ও নাস্তিক্যবাদের মধ্যে পার্থক্য মূলত এটাই যে, নাস্তিক্যবাদ মানুষকে চিন্তার জগতে ইশ্বরবিহীন নীতি থেকে চিন্তা করতে বলে আর মুক্তচিন্তা একজন মানুষকে যেকোনও তত্ত্ব/দর্শনের জন্য নিজের মতামত থেকে চিন্তা করতে বলে।
একজন নাস্তিক কিংবা একজন আস্তিক মুক্তচিন্তা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁর নিজের বিঃশ্বাসকে গৌন জ্ঞান করতে হবে। ইশ্বর নেই' থেকে যদি একজন নাস্তিক মুক্তচিন্তা করতে শুরু করেন তবে সেটা নিতান্তই মুক্তচিন্তা হতে পারে না বরং সেটা হবে নাস্তিক্যবাদী চিন্তা।
একইভাবে একজন আস্তিক ব্যক্তি যদি ইশ্বরের অস্তিত্ব আছে ভেবে নিজের চিন্তাকে বাঁধাগ্রস্থ করেন তবে সেটা কোনভাবেই মুক্তচিন্তা নয়।

মুক্তচিন্তার অধিকারী ব্যক্তি মানবিক বিভেদের চেয়ে মানবীয় ঐক্যের চিন্তা করেন বেশি। কল্যাণমূলক চিন্তার অধিকারী হোন তিনি। যেকোন বিষয়ে মানুষের চাহিদা, চাওয়া, পাওয়াকে প্রাধান্য দেন তবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়গুলো অবলম্বন করেন বেশি।
একটি উদাহরণ দিইঃ একজন নারী নিজের অংগ ব্যবহার করে জীবিকা নির্বাহ করার ব্যাপারটা বস্তুবাদী দৃষ্টিতে বৈধ। কিন্তু অবস্তুগত দৃষ্টিতে গেলে?
পতিতা বিষয়ে ধর্মের মূলকথা হচ্ছে অবৈধ। নাস্তিক্যবাদী লোকদের মতে এটা বৈধ। এখন মুক্তমনা হিসেবে আপনি এক্ষেত্রে মানব সম্প্রদায়ের চাহিদা ও কল্যাণকে মুখ্য ধরে এটার বৈধতা/অবৈধতার সীমানা নিরুপণ করতে পারবেন।

মুক্তমনা কেন হবেন?
মানুষের সঠিকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা সামাজিক ব্যবস্থার কারণে সম্ভব নয়। হিন্দু পরিবারে জন্ম নিয়ে একজন মানুষ নিজেকে হিন্দু বলেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে এটাই স্বাভাবিক। মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তি কোন সময়ই নিজেকে সর্বাগ্রে মুসলমান বৈ পরিচয় দেবে না।
চিন্তার এই বাঁধা দুর করতে মুক্তমনা হওয়ার বিকল্প থাকতে পারে মনে হয় না।
মুক্তমনা হবার দরকার হবে ঠিক তখনই যদি আপনি চান কোনও বিষয়ে সত্যতা নিরুপণ করতে। ইশ্বর, সৃষ্টিজগত, ব্যোম, মহাশুন্য, অপরাবাস্তবতা, পরলোক, বিচার, স্বর্গ, নরক, শুন্যতা, অসীমতা, কাল্পনিক বাস্তবতা, পরম অস্তিত্ব, জীবনের লক্ষ্য, অর্থ-ব্যবসা ও বৈষয়িক জীবনের নৈতিকতা, জীবনের সার্থকতা, মানবীয় সম্পর্ক, পরিবার, সমাজ, বন্ধুত্ব সর্বোপরি পরাবাস্তবের সাথে বিশ্লেষণ।
যদি আপনি বর্তমানের বিঃশ্বাস নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন তবে আপনার মুক্তমনা হবার দরকার নেই। তবে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে সিদ্বান্ত নিতে হলেও আপেক্ষিভাবে কেবল ঐ বিষয়ে নিজেকে মুক্তমনা হিসেবে ভাবতে কোনই অসুবিধে নেই।

প্রহেলিকাঃ
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মুক্তমনা বিষয়টি কি অবস্থায় আছে সেটা বুঝা যদি জরুরী কিছু মনে করেন তবে আপনাকে কয়েকটি বিকল্পের দিকে নজর রাখতে হবে।
☆ মিডিয়ার ধারাসমুহ(পক্ষ) কি কি
☆ মুক্তমনার দাবিদার কারা?
☆ সামাজিক অবস্থান
☆ নৈতিক চিন্তার উৎস
☆ তাদের লেখার প্রবণতা কোন কোন বিষয়ে?
☆ তাঁদের লেখার লক্ষ্য কী?
☆ তাঁদের উৎস কী?
☆ সভ্যতার সাথে তূলনা করলে তাঁদের অবস্থান কোন জায়গায়?
☆ এ পর্যন্ত তাঁদের সাফল্য কি?
বাংলাদেশে বামধারার মিডিয়া এখন পর্যন্ত ভাল গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতে পেরেছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের ধর্মের প্রতি স্পর্শকাতরতা থাকলেও বামধারার মিডিয়ার অগ্রগতি ব্যহত হয়নি। বামধারা সাধারণত মুক্তমনাদের পজেটিভ হিসেবেই উপস্থাপন করে। আর মুক্তমনাদের প্রবণতা হচ্ছে ধর্মের অসারতা ও আধুনিক জীবনে ধর্মের অপ্রয়োজনীয়তাকে তূলে ধরা।

blog.mukto-mona.com এ সহস্র তরুণ তরুণীর লেখা আছে আপনি দেখতে পাবেন। উনারা নিজেদের মুক্তমনা বলে দাবী করেন। তবে লেখাগুলোর বেশিরভাগই যুক্তিবাদ, মৌলবাদ, ধর্মের অসংগতি, লেনিন ও এঙ্গেলেসের বস্তুবাদ দর্শনের আলোকে লেখা রাজনৈতিক সমালোচনামূলক লেখা, যুদ্ধাপরাধী ইস্যু,বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে লেখা।
আসুন মুক্তমনা ব্লগে তাঁদের লক্ষ্য ও নৈতিকতা সম্পর্কে জেনে আসিঃ

মুক্তমনা কারা?
‘মুক্তমনা’ শব্দটি ইংরেজি ‘ফ্রি থিঙ্কার’ শব্দটির আভিধানিক বাংলা পরিভাষা।
মুক্তমনাদের আস্থা মুক্তবুদ্ধিতে – অন্ধবিশ্বাসে নয়। কোন আপ্তবাক্য বংশ-পরম্পরায় প্রচলিত হয়ে এসেছে বলেই সেটাকে অবলীলায় বিশ্বাস করতে হবে এমন যুক্তি মুক্তমনারা মানেন না। তাঁরা মুক্তমনে প্রতিটি ধারনাকে যাচাই-বাছাই করতে চান। তারা বিজ্ঞানমনস্ক সংশয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিটি মিথ এবং অতিকথাকে বিশ্লেষণ করার পরে সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
নাস্তিক (atheist), অজ্ঞেয়বাদী (agnostic), সংশয়বাদী (skeptic), মানবতাবাদীদের (humanist) সাধারণভাবে ‘মুক্তমনা সদস্য’ হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রশ্ন উঠতে পারে – ধার্মিকেরা কি তাহলে মুক্তমনা হতে পারেন না? কোন ধার্মিক যদি মুক্তমনে তাঁর ধর্মবিশ্বাসকে বিশ্লেষণ করতে পারেন, তবে তাঁর নিজেকে মুক্তমনা বলতে আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা তা না করে নিজের ধর্মটিকেই আরাধ্য মনে করেন, কোন কিছু চিন্তা না করেই নিজের ধর্মগ্রন্থকে ‘ঈশ্বর-প্রেরিত’ বলে ভেবে নেন। স্রেফ ঘটনাচক্রে পৈত্রিক-সূত্রে পাওয়া যে ধর্মটিকে ‘নিজের’ বলে মনে করেন সেটাকেই ঈশ্বরের মনোনীত একমাত্র ধর্ম বলে বিশ্বাস করেন। আমাদের মতে কোন ব্যক্তি শুধুমাত্র শোনা কথার ভিত্তিতে বাইবেল, কোরান বা বেদকে অন্ধভাবে অনুসরণ করে, বা নবী-রসুল-পয়গম্বর-মেসীয়তে বিশ্বাস করে নিজেকে কখনোই ‘ফ্রি থিঙ্কার’ বা মুক্তমনা বলে দাবি করতে পারেন না। মুক্তমনাদের আস্থা তাই বিশ্বাসে নয়, বরং যুক্তিতে।

মুক্তমনার লক্ষ্যঃ
মুক্তমনার মাধ্যমে আমরা – একদল উদ্যমী স্বাপ্নিক- দীর্ঘদিনের একটি অসমাপ্ত সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে পরিচালনা করছি, যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠছে ‘চেতনামুক্তির’ লড়াই – যার মাধ্যমে জনচেতনাকে পার্থিব সমাজমুখী করে তোলা, প্রতিটি শোষণ ও বঞ্চনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে সচেতন করে তোলা সম্ভব। মুক্তমনার পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ভিত তৈরীতে ব্যাপক জোর দেয়া হয়েছে তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক মন-মানসিকতা গঠনের উপর। মুক্তমনা মনে করে বিজ্ঞানমনস্ক মন-মানসিকতা এমনি এমনি গড়ে ওঠে না, গড়ে ওঠে যুক্তির পথ ধরে, নিরন্তর এবং ব্যাপক বিচার-বিতর্কের মাধ্যমে। আজ ইন্টারনেটের কল্যাণে বিশ্বাস এবং যুক্তির সরাসরি সংঘাতের ভিত্তিতে যে সামাজিক আন্দোলন বিভিন্ন ফোরামগুলোতে ধীরে ধীরে দানা বাঁধছে, মুক্তমনারা মনে করে তা প্রাচীনকালের ব্রাক্ষ্মণ-চার্বাকদের লড়াইয়ের মত বিশ্বাস ও যুক্তির দ্বন্দ্বেরই একটি বর্ধিত, অগ্রসর ও প্রায়োগিক রূপ। এ এক অভিনব সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যেন বাঙালীর এক নবজাগরণ।
..
‘নৈতিকতা’ ব্যাপারটিকে মুক্ত-মনারা কোন গায়েবী-বস্তু বলে মনে করে না। নৈতিকতা বিষয়টি মূলত জৈববিবর্তনীয় পথেই উদ্ভূত। সমাজে চারিদিকে চোখ রাখলেই দেখা যাবে, বহু নাস্তিক, ধর্মে-অবিশ্বাসী মানুষজন আছেন যারা অন্য সবার মতই রাষ্ট্রের আইন-কানুন মেনে চলেন, এবং ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে কেউ স্নেহময়ী মা অথবা দায়িত্ববান বাবা। অন্য মানুষের দুঃখ দেখে তারাও কাতর হন, দুস্থ মানুষের সেবায় তারাও অন্য সবার মতই এগিয়ে আসেন। কাজেই ধর্ম কোনভাবেই নৈতিকতার একমাত্র দাবিদার হতে পারে না। আসলে সামাজিক গবেষণায় দেখা গেছে, কোন বিশেষ ধর্মের আনুগত্যের উপর মানুষের নৈতিক চরিত্র-গঠন নির্ভর করে না, নির্ভর করে একটি দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট আর সমাজ-সাংস্কৃতিক পরিবেশের উপর। অধিকাংশ আস্তিকই ‘ধর্ম’ এবং ‘নৈতিকতা’কে এক করে ফেলেন। ভাবেন ধর্মে আনুগত্য না থাকলে বা ঈশ্বরের ভয় না থাকলে সমাজ বুঝি উচ্ছন্নে যাবে। কিন্তু ঈশ্বরের ভয় দেখিয়েই যদি মানুষকে পাপ থেকে বিরত রাখা যেত, তা হলে তো রাষ্ট্রে পুলিশ, আইনকানুন, কোর্ট-কাচারি কোন কিছুরই আর প্রয়োজন হত না।
..
নাস্তিক বা মুক্তমনারা কি ধার্মিকদের থেকে কম নৈতিক? এটা নির্ভর করছে ‘নৈতিকতা’ বলতে আসলে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে। যদি বিধাতার প্রতি বা ধর্মীয় আইন কানুনের প্রতি অন্ধ আনুগত্যকে ‘নৈতিকতা’ হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করা হয়, তবে তো মুক্তমনারা অবশ্যই ‘অনৈতিক’। তবে সাধারণভাবে কেউ যখন নৈতিকতার কথা বলেন তিনি মূলত মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ন্যায়-অন্যায়ের কথাই মূলত বলতে চান। আর সে হিসেবে মুক্তমনারা মোটেও অনৈতিক নন। অন্তত গবেষণায় তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। অধিকাংশ মুক্তমনাই মূলত মানবতাবাদী। অধিকাংশ মুক্তমনা ধর্মবিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ধর্মের মধ্যে বিরাজমান নিষ্ঠুরতা আর অমানবিকতা উপলব্ধি করেই। তাই চুরি-ডাকাতি-খুন-ধর্ষণের মত সামাজিক অপরাধকে অপরাধ বলেই গণ্য করেন তারা।
- - - - - - - - - - - - - - - - -- - - - - - - - - - - - -
মুক্তমনারা কি ধর্ম বিরোধী?
মুক্ত-মনারা ধর্ম-বিরোধী নয়, বলা যায় অনেক মুক্তমনাই ধর্মের কঠোর সমালোচক। কারণ তাঁরা মনে করেন ধর্ম জিনিসটা পুরোটাই মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। মুক্তমনারা সর্বদা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি আস্থাশীল, আজন্ম লালিত কুসংস্কারে নয়। কুসংস্কারের কাছে আত্মসমর্পণ আসলে নিজের সাথে প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। তবে মুক্তমনাদের ধর্ম-বিরোধী হওয়ার একটা বড় কারণ হল, ধর্মগুলোর মধ্যে বিরাজমান নিষ্ঠুরতা। প্রতিটি ধর্মগ্রন্থের বিভিন্ন আয়াত এবং শ্লোকে বিধর্মীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়েছে ঢালাওভাবে, কখনো দেয়া হয়েছে হত্যার নির্দেশ। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ধর্ম আসলে জ্বিহাদ, দাসত্ব, জাতিভেদ, সাম্প্রদায়িকতা, হোমোফোবিয়া, অ-সহিষ্ণুতা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, নারী নির্যাতন এবং সমঅধিকার হরণের মূল চাবিকাঠি হিসেবে প্রতিটি যুগেই ব্যবহৃত হয়েছে।"


লক্ষ্য করে দেখলে আপনার কাছে মনে হবে মুক্তমনাদের নিয়ে একটা প্রহেলিকা সৃষ্টি হয়েছে। ঐ ব্লগে মুক্তমনা বলতে চিন্তার প্রকারভেদে তিনটি শ্রেণির মানবদলকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। নাস্তিক (atheist), অজ্ঞেয়বাদী (agnostic), সংশয়বাদী (skeptic)। অবশ্য এরপরে বলা হয়েছে যে ধর্ম পালন করেও মুক্তমনা হওয়া যায় তবে বেশিরভাগই মুক্তমনার শর্ত পূরণ করতে অক্ষম থাকেন।

অজুহাত হিসেবে-
“প্রশ্ন উঠতে পারে – ধার্মিকেরা কি তাহলে মুক্তমনা হতে পারেন না? কোন ধার্মিক যদি মুক্তমনে তাঁর ধর্মবিশ্বাসকে বিশ্লেষণ করতে পারেন, তবে তাঁর নিজেকে মুক্তমনা বলতে আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা তা না করে নিজের ধর্মটিকেই আরাধ্য মনে করেন, কোন কিছু চিন্তা না করেই নিজের ধর্মগ্রন্থকে ‘ঈশ্বর-প্রেরিত’ বলে ভেবে নেন”

এই ব্যাপারটি তাঁরা তুলে ধরেছেন। সন্দেহ নেই যে তাঁদের উত্থাপিত প্রশ্ন যৌক্তিক। তবে যদি কোন বিঃশ্বাসী মুক্তমনে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হন তবে? এই সম্ভাবনাকে সম্পুর্ণরুপে কি অস্বীকার করা যায়?
না, যায় না। এছাড়া ঐ তিন শ্রেণির চিন্তকগণ নিজেদের মত নিয়ে সুদৃঢ়ভাবে যদি অটল থাকেন তবে সেটা কি করে মুক্তচিন্তা হয়??
এই প্রহেলিকা তথা ধাঁধার অবসান হওয়া জরুরী। মুক্তচিন্তা মানে যেহেতু চিন্তার স্বাধীনতা অতএব কেবল একটি বা তার অধিক চিন্তাগোষ্টীই যে চিন্তার স্বাধীনতা ভোগ করবে তেমনটি নয়। মুক্তমনা শব্দটিকে কোনও বিশেষ শ্রেণির নিজস্ব মতভুক্ত করা উচিত নয়। তাই কোনও ধার্মিক, নাস্তিক মুক্তমনা টার্মটি নিজেদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন ঠিক তখনই যখন তিনি চিন্তার বিশ্লেষণে প্রভাবিত না হন।
মুক্তমনা ব্লগে মুক্তমনা কারা শিরোনামে যেভাবে দল পাকানো হয়েছে সে অর্থ অগ্রহণীয়। কারণ মুক্ত শব্দটিই সেক্ষেত্রে একটি বৃহৎ মানবগোষ্টির বিপরীতে নিজেদের সীমিত করে বিশেষ মানব সম্প্রদায়ের কাতারে ফেল দেয়া হয়েছে।

আসলে মুক্তচিন্তা হচ্ছে চিন্তার একটি সার্বজনীন উপায়। যেখানে দল, মত, আদর্শ, ধর্ম, শ্রেণি নির্বিশেষে সবাই-ই এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতে পারেন।
মুক্তচিন্তকরা উদার এবং স্পষ্টবাদী। তাঁরা কোন সময়েই নিজেদের উত্তেজিত হয়ে চিন্তুকের দূর্বলতা প্রকাশ করে ফেলেন না।

প্রেক্ষাপট বাংলাদেশঃ
মুক্তমনা ব্লগে একশ্রেণির সভ্য ও উদার চিন্তুক শ্রেণির পদচারণা দেখা যায়। তবে ঐ ব্লগ ছাড়াও কতিপয় ব্যক্তিগত ব্লগে ও লেখায় দেখা যায় নিজেদের মুক্তমনা পরিচয় দিয়ে বিশেষত হিন্দু ও ইসলাম ধর্মকে তুলোধুনো করতে।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে ওখানে ধর্মের ওপর যত রাগ ও বিরক্তি আছে সব যেন উগড়ে ফেলা হচ্ছে অবলীলায়। ধর্মের মূলে কুঠারাঘাত করে মানুষকে ধর্মবিমূখ করাই যেন তাঁদের এক ও অভিন্ন লক্ষ্য। সনাতন ও ইসলামের বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীর খন্ডাংশ নিয়ে সর্বশক্তি নিয়ে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন।
এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা নাস্তিক ট্যাগ নেন সন্তুষ্টচিত্তে। উল্লেখ অনুপযোগী ভাষায় শিব, বিষ্ণু, রাম, রাবণ, দুর্গা, অবতার, ভগবান, ইশ্বর, কোরআন, আল্লাহ, রাসূল, ঈমান, নবী নিয়ে কটুক্তি করেন।

অভিযোগ আছে এইসমস্ত মুক্তমনা নামদারীদের অনেকেই পশ্চিমা দেশগুলোতে মাইগ্রেশনের জন্য নিজেদের এইসব কার্যাদি পেশ করেন। আর বিদেশে বসে বসে চিন্তার নামে অকথ্য উপভাষার লালন করেন। এইসব দুর্বৃত্তায়নের জন্য পাশ্চাত্যের বেশ কয়েকটি সংস্থা কাজ করে চলেছে এমনও গুজব শোনা যায়।

পরিশেষঃ
মানব জাতির মধ্যে বিশেষত বাঙালিরা পর্যাপ্ত মাত্রায় সহনশীল না। হুজুগে একটা ছুঁতো পেলেই হলো। চিলে কান নিয়েছে কি নেয় নি সেটার তোয়াক্কা না করে দৌড় শুরু করে। মত প্রকাশের ক্ষেত্রেও দেখা যায় বিচার বিবেচনা না করেই সমর্থন/বিরোধীতা শুরু হয়ে যায়। আমি কেবল ধর্মান্ধদের নিয়ে বলছি যে তা না। প্রগতিশীল দাবীদার গোষ্টীর কাছ থেকেও পরমত সহিষ্ণুতা কি আমরা পাই?

প্রায়ই আমরা ট্যাগিং দেখি। অন্যের মতকে অশ্রদ্ধা করে ইচ্ছেমত গালিবাজি যা অতীতেও আমরা দেখেছি, এখনো দেখছি। যারা নিজেকে নির্দিষ্ট আদর্শের অনুসারী বলতে ভাল লাগে, তাঁরা কি আয়নার সম্মুখে নিজের চৈন্তিক সনশীলতার সূরত দেখেছেন কখনো? আপনার মতের সাথে অমিল/বিরোধ থাকার কারণে যে গালিবাজি করেছেন সেটা নিয়ে কি অনুতপ্ত হয়েছেন কোন সময়?
বস্তুবাদের কিংবা ধর্মের ত্রুটি নিয়ে কথা বলা যেতেই পারে তবে তা নিয়ে যুক্তিযুক্ত আলোচনাটাই শ্রেয়। কেবল অন্যকে কিংবা তার মতকে হেয় করার মাঝে সাফল্য থাকা সম্ভব নয়। একজন চিন্তকের নিজের আদর্শের শক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটা আত্মঘাতি পদক্ষেপ হলো ট্যাগিংবাজি ও গালিবাজি। আপনি যখন রেগে যাচ্ছেন তখন নিজের অজান্তেই যে হেরে যাচ্ছেন সে ব্যাপারে কি খবর রাখেন? আপনার লজিকসমূহ যদি শক্তিশালী হয় তবে আপনি কিন্তু এর নিরীখেই আর্গুমেন্ট পেশ করবেন। তাই নয় কি?
অন্যের দেয়া লজিক তো লজিকের সাহায্যেই খণ্ডন করতে হবে। যত নিকৃষ্ট ভাষায়ই আক্রমণ করা হোক মাথা ঠাণ্ডা রেখে তার ভদ্রোচিত জবাব দেয়া সর্বোত্তম পন্থা।
যাইহোক, বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে এঁরা যে এগিয়ে নিতে ভূমিকা পালন করছেন সেটা মোটেও অস্বীকার করা যায় না। চাপাতির সাহায্যে যারা মুক্তমনাদের থামাতে চেয়েছেন তারা প্রকৃতপক্ষে মুক্তচিন্তা‘র পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন। তরুণেরা যোগ দিয়েছেন নতূনভাবে, তাঁদের মধ্যে সাড়া পড়ে গেছে, অভিজিত দা‘র মতো মুক্তচিন্তকের হননে।
প্রকৃতপক্ষে আদর্শিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার কিংবা পেশিশক্তির আক্রমণ বোকামী বৈ কিছু নয়। আদর্শের বিরুদ্ধে গায়ের জোরের সফল হওয়া সম্ভব নয় কারণ এক্ষেত্রে আক্রমণের প্রতিক্রিয়া নিউক্লয়ার ফিউশনের ন্যায় বহুগুনে ছড়িয়ে পড়ে। আপনার আদর্শের মূলে কেউ যদি কুঠারাঘাত করে আর আপনি আদর্শের সাহায্যে তা প্রতিহত করতে না পারেন তবে বুঝা উচিত যে, আপনার মধ্যে বিভ্রান্তি আছর করেছে। আপনার পথ ভূল। যে গন্তব্য দেখানো হয়েছে সেটায় পৌঁছা এ পথে সম্ভব না। আসলে আদর্শের মোকাবেলায় সুশৃংখল উপায়ে বিশ্ল্বেষিত করেই অন্য আদর্শিক আক্রমণ প্রতিহত করতে হয়।

পরিশেষে ব্লগার হত্যার যে ক্যাম্পেইন শুরু করা হয়েছে, তাঁদের উদ্দ্যেশে একটি কথা বলেই এ লেখার ইতি টানতে চাই, হত্যা কখনো জয় হতে পারে না। বরং তা পরাজয়ের রাস্তা প্রশস্ত করে।



⛗ দ্রষ্টব্যঃ
এ প্রবন্ধে ইটালিক ও উদৃতাংশসমুহ ব্যতিত সব মত, আলোচনা, চিন্তা লেখকের নিজস্ব চিন্তাপ্রসূত এবং চিন্তালদ্ধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পেশ করা হলো। কোন অংশে দ্বিমত থাকলে আলোচনা করতে চাইলে আলোচনা করতে পারেন। লেখকের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে আবজালে(অনলাইনে) কিংবা কাগজে এই প্রবন্ধের কোনও অংশ বা সম্পুর্ণ অংশ নকল করা কপিরাইট আইনানুসারে অপরাধ।

⛗ মূল পোস্টে
⛗ এ সংক্রান্ত আরো নিবন্ধের লিংক, তথ্যসূত্রঃ
⛿ FFRF: The Freedom From Religion Foundation (FFRF) is an American non-profit organization based in Madison, Wisconsin with members from all 50 states.
ম্যারিয়াম ওয়েবস্টার এর ওয়েব লিংকে দেখুন
যুক্তিবাদ , বস্তুবাদ ও মুক্তমনা কি??
মুক্তমনা ব্লগের ওয়েব লিংকে দেখুন
উইকিপিডিয়াঃ মুক্তচিন্তা
উইকিপিডিয়াঃ মুক্তমনা
Cambridge এর ওয়েব লিংকে দেখুন
FFRF এর ওয়েব লিংকে দেখুন
⛿ Routledge Encyclopedia of Philosophy. Taylor & Francis. ( ISBN 978-0-415-07310-3)
⛿ OED Online, 3rd ed. Oxford University Press. September 2012. agnostic.


⛗ আরো লিংকঃ
মুক্তমনা ব্লগ
মুক্তমনা মানে কি- বাঁচতে হলে জানতে হবে!
BBC বাংলা: কি লিখতেন নিহত ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ
মুক্তমনা ও নাস্তিক্যবাদ
মুক্তমনা মানে কি, কারা - porartable.com
মুক্তমনা বিভাগের পোস্ট সমুহ - সচলায়তন
মুক্তমনা বিভাগের পোস্ট সমুহ - salekkhokon.me
মুক্তমনা বিভাগের পোস্ট সমুহ - bdtoday.net
কে-এই-অভিজিৎ-রায়ঃ prothombangladesh.net
প্রাণকাকলি তসলিমা নাসরিন, মুক্তমনা এবং তাদের অনড় প্রতিক্রিয়াশীলতা
A Murshed মুক্তমনা

⛗ মুক্তচিন্তা ও মুক্তমনা বিষয়ক সামুতে প্রকাশিত কিছু পোস্টের লিংকঃ
চাঁদগাজীঃ- 'মুক্তচিন্তা' শব্দটি বাংলাদেশে কি অবস্হায় আছে?
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাইঃ- মুক্তচিন্তা, মুক্ত আলোচনা, সাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মান্ধতা ও কট্টরপন্থি নাস্তিকতা : প্রেক্ষাপট – অভিজিৎ রায়ের হত্যা; আমাদের করণীয়
নিটোল আরন্যকঃ- অভাজনের দর্শনচিন্তা:মুক্তচিন্তা কারে কয়?
নিরন্তর যাত্রাঃ- মুক্তচিন্তার ব্যবচ্ছেদ....
ন্যানো ব্লগার ইমুঃ- "আমি ধর্মভীরু মুক্তমনা, নাস্তিক কিংবা মৌলবাদী নই"
হা...হা...হা.. মুক্তচিন্তা কি? মুক্তচিন্তা শব্দটিকে কি ভুল ভাবে ভুল লোকদের সাথে উচ্চারিত হচ্ছে?
সব্যসাচী বাঙালিঃ- মুক্তমন, মুক্তচিন্তা ও মানবিক দর্শন
জনৈক কবি২০১১ঃ- মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধি - রোগ নাকি আবশ্যকতা ?
কঙ্কনাঃ- মুক্তমনা ও ধর্ম
পিনাকী ভট্টাচার্যঃ- বস্তুবাদ, ভাববাদ, সংশয়বাদ, অজ্ঞেয়বাদ, নাস্তিক্যবাদ, যুক্তিবাদ, অভিজ্ঞতাবাদ, মুক্তমনাঃ কোনটা কী?

মন্তব্য ১৭৪ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (১৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই লেখাটি লিখার জন্য অনেক দিন ধরেই একটি তাড়না কাজ করছিল। কয়েকদিন আগে চাঁদগাজী ভাইয়ের মুক্তচিন্তা বিষয়ক পোস্টে অনুতাড়িত হয়ে এ প্রবন্ধ লিখার প্রয়াস পাই। সেজন্য উনাকে স্মরণ করছি।

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই আমি যদি বলি আমি মুক্ত ভাবে ভাবতে ভালবাসি কিন্তুক আমি আল্লাহ মানি কিন্তু অন্য ধর্মরে শ্রদ্ধা করি এবং পাশাপাশি বিজ্ঞান সম্পর্কেও জ্ঞান রাখি তাইলে কি আমি মুক্তমনা খেতাব পামু ?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাইডি!
এক্ষেত্রে মুক্তভাবে ভাবতে ভালবাসলেই খেতাব দেয়া যাইপু না। ভাবতে পারতে হইবেক। B-)

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন:

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কি লিখে কি বোঝাতে চাইলেন দাদা! :||

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

দরবেশমুসাফির বলেছেন: অসাধারন লেখা। মুক্তচিন্তার যথার্থ সংজ্ঞাই তুলে ধরেছেন।

এই বাংলায় যে কখনই সত্যিকার মুক্তচিন্তার চর্চা হয়নি তা কিন্তু সত্য নয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে কিছু প্রগতিবাদী মুসলিম তরুণরা "বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন" (free intellect movement) শুরু করেছিলেন । আমার মতে ওই আন্দোলনই বাংলার ইতিহাসে প্রথম ও শেষ ( এখন পর্যন্ত ) সত্যিকারের মুক্তচিন্তন আন্দোলন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দরবেশ ভাই, আপনার উপস্থিতিতে ভালই লাগছে। আপনার দেয়া তথ্যটি সঠিক। "বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন" যদি এখনো চলতো তবে আমাদের চিন্তাজগতে ব্যপক পরিবর্তন হতো তাতে কোনই সন্দেহ নেই।

এ প্রবন্ধে আমি চেষ্টা করলাম সাম্প্রতিক বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মুক্তচিন্তা, মুক্তমনা'র অবস্থা এবং প্রকৃত মুক্তচিন্তার ব্যাপারটা তুলে ধরতে। মনে রাখবেন, আমার লেখায় আপনার সমালোচনা সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করব।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই বাংলায় যে কখনই সত্যিকার মুক্তচিন্তার চর্চা হয়নি তা কিন্তু সত্য নয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে কিছু প্রগতিবাদী মুসলিম তরুণরা "বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন" (free intellect movement) শুরু করেছিলেন । আমার মতে ওই আন্দোলনই বাংলার ইতিহাসে প্রথম ও শেষ ( এখন পর্যন্ত ) সত্যিকারের মুক্তচিন্তন আন্দোলন।si]

আমি কিন্তু কোথাও বলিনি যে মুক্তচিন্তার চর্চা বাংলায় হয়নি। এ বিষয়ে যদিও প্রবন্ধে কিছু বলি নি তারপরও আমি যতদূর জানি কয়েক শতাব্দী আগেও বাংলাদেশের বিভিন্ন গুনীজন ছিলেন যারা মুক্তচিন্তা করতেন। এর ফলেই কিন্তু লালন, হাসন, মুর্শিদী, রাধারমন, শ্রীচৈতন্য সহ অনেক মনীষীর জন্ম হয়েছে।

এছাড়া মুক্তচিন্তার আন্দোলন কিন্তু এখনও হচ্ছে.......

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: সংজ্ঞাটা পড়লাম,ভাল লেগেছে।

প্রিয়তে নিলাম,পরে পুরোটা পড়ব।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শুভকামনা রইলো... :) :)

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: মৌলবাদীদের মূল ভয় শিক্ষা এবং সভ্যতাকে নিয়েই । তাদের পরাজয়ের বীজ যে শিক্ষার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা!

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: মুক্তচিন্তকদের নিয়ে একটা সুস্পষ্ট ধারণা হলো । ধন্যবাদ বিশ্লেষণাত্বক বিশাল পোস্ট শেয়ারে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শুভকামনা রইলো ভাই। :)

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২১

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমার যদ্দুর মনে হয় মুক্তচিন্তা, মুক্ত মনা বিষয়টা কোনভাবেই এক্সিস্ট করেনা । চিন্তা, স্বপ্ন, ভাবনা টার্ম গুলো সবসময়ই স্বাধীন, স্বাধীনের থেকে এটা অনেক বেশী স্বেচ্ছাচারী। আপনি কোনভাবেই এটাকে কোন রকম সংজ্ঞায় নিরুপন করতে পারবেন না। প্রশ্ন এসে যায়, কোনটিকে আপনি মুক্ত চিন্তা বলবেন আর কোনটিকে নয়? আপনার জন্য যেটা মুক্ত চিন্তা সেটা অন্যের জন্য পীড়াদায়ক হলেও হতে পারে। বিষোয়গুলোকে আমি খুব বেশি পোস্ট মডার্ন এপ্রোচে দেখতে আগ্রহী- 'সত্যের একক কোন রূপ নেই' টার্মে। আপনার কাছে যা সত্য তা আমার কাছে নাও হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ের মুক্তচিন্তা-মুক্তমনা বিষয়ক লেখক, দাবীকারী এবং ভাবনা গুলোকে আমি খুব বেশী পলিটিক্যাল হিসেবে দেখি। এটা একটা নির্দিষ্ট অথবা কিছু সংখ্যক পক্ষের-বিপক্ষের এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অগ্নিভাই,
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তবে দুঃখিত হলাম, কারণ একমত হতে পারলাম না।
" চিন্তা, স্বপ্ন, ভাবনা টার্ম গুলো সবসময়ই স্বাধীন, স্বাধীনের থেকে এটা অনেক বেশী স্বেচ্ছাচারী। আপনি কোনভাবেই এটাকে কোন রকম সংজ্ঞায় নিরুপন করতে পারবেন না।"
আমি বলব চিন্তা ভাবনা সাধারণত প্রভাবিত হয়। পূর্বাভিজ্ঞতা থেকে লদ্ধ তথ্য মানুষের ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করে। মুক্তচিন্তা করতে হলে প্রথম শর্তই হলো এই প্রবণতা থেকে দূরে থাকা। এটা আসলে সবার দ্বারা সমভব না।
যেকোনও চিন্তক তাঁর নিজস্ব দর্শন তথা বিঃশ্বাস বিলোপ না করে কি তা বিশ্লেষণ করা সম্ভব না? আমি যদি বলি সম্ভব। তবে যেকোন লোকই যে তা করতে পারবেন, বিষয়টি মোটেই তা নির্দেশ করে না। এটা দল, মত নির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যেকেউ মুক্তচিন্তা করতে পারেন। যদিও মুক্তচিন্তা করা সহজ নয় কিন্তু মুক্তচিন্তা সংজ্ঞায়ন করা সহজ।

"আপনার জন্য যেটা মুক্ত চিন্তা সেটা অন্যের জন্য পীড়াদায়ক হলেও হতে পারে। বিষোয়গুলোকে আমি খুব বেশি পোস্ট মডার্ন এপ্রোচে দেখতে আগ্রহী- 'সত্যের একক কোন রূপ নেই' টার্মে। আপনার কাছে যা সত্য তা আমার কাছে নাও হতে পারে।"

মানুষের চিন্তাভাবনার পদ্ধতি নিশ্চয়ই এইরকম নয় যে, সে বর্তমানে যে বিঃশ্বাস/দর্শন লালন করছে, সেটা ভিন্ন অন্য কিছুই সে ভাবতে পারবে না।
আপনার জন্য যেটা মুক্তচিন্তা আমার জন্য সেটা পীড়াদায়ক হলেও তাতে আপনার কিছুই করার নেই। আমার কাছে যা সত্য আপনার কাছে তা নাও হতে পারে। এ ব্যাপারে দ্বিমত নেই। তবে অবশ্যই আপনার মনে না হবার নির্দিষ্ট কারণ আছে। এবং সেগুলোই আলোচনায় আসবে।
মুক্তচিন্তা আপনার দর্শনকে/ভাবনাকে সম্মান জানায়। কোন সময়েই সে উত্তেজিত হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে না। এ চিন্তা মানুষকে নিজের বিঃশ্বাস/দর্শনকে বিশ্লেষণ করতে দেয়। ব্যস এটাই।

"সাম্প্রতিক সময়ের মুক্তচিন্তা-মুক্তমনা বিষয়ক লেখক, দাবীকারী এবং ভাবনা গুলোকে আমি খুব বেশী পলিটিক্যাল হিসেবে দেখি। এটা একটা নির্দিষ্ট অথবা কিছু সংখ্যক পক্ষের-বিপক্ষের এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার। "

এ ব্যাপারটা একান্তই আপনার নিজস্ব। এখানে আমি হাত চালাতে চাই না।

৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২১

বিদগ্ধ বলেছেন: বিরাট গবেষণা করেছেন। ইটালিকও পড়লাম, আপনার কথাও পড়লাম। কিন্তু মুক্তমনা হতে পারলাম না :(

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ব্যাপক দুঃখজনক। :(

১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

দরবেশমুসাফির বলেছেন: "যাইহোক, বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে এঁরা যে এগিয়ে নিতে ভূমিকা পালন করছেন সেটা মোটেও অস্বীকার করা যায় না। চাপাতির সাহায্যে যারা মুক্তমনাদের থামাতে চেয়েছেন তারা প্রকৃতপক্ষে মুক্তচিন্তা‘র পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন। তরুণেরা যোগ দিয়েছেন নতূনভাবে, তাঁদের মধ্যে সাড়া পড়ে গেছে, অভিজিত দা‘র মতো মুক্তচিন্তকের হনন"

এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করছি। চাপাতিবাজি যে ঘৃণ্য মনুষ্যত্বহীন আচরন এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু চাপাতিবাজরা যাদের আক্রমন করেছে তাদের আমি মুক্তচিন্তক বলতে পারছি না। ( কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, যেমনঃ অভিজিৎ দা )। আক্রান্ত অনেকেই যুক্তির চেয়ে আবেগকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। যেমনঃ আসিফ মহিউদ্দিন, তসলিমা নাসরিন। এঁরা ধর্ম নিয়ে যৌক্তিক আলোচনা না করে শুধু তীব্র আবেগীয় ঘৃণার প্রকাশ ঘটান। (ঠিক যেমন চাপাতিবাজরাও ধর্মের নীতির চেয়ে নিজের আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে অপকর্ম করে থাকে। ) এটা কখনই মুক্তচিন্তার উদাহরন হতে পারে না।কারন মুক্তচিন্তা মানেই হচ্ছে নিজের আবেগ ও অন্ধবিশ্বাস থেকে বুদ্ধিকে মুক্তি দিয়ে সবকিছু দেখা। চাপাতিবাজদের কাজের কারনে এসকল আবেগীয় পর্যালোচনাকে মুক্তচিন্তা বলে ভুল করছে অনেক মানুষ। আমার মতে চাপাতিবাজ এবং অইসকল আবেগীয় বদ্ধচিন্তাধারীদের মধ্যে আদর্শগত কোন পার্থক্য নেই (দুইদলই আবেগকে যুক্তির চেয়ে প্রাধান্য দেয় )। যদিও চাপাতিবাজরা বেশি বিপজ্জনক। এবং তাদের বিনাশ সবার আগে প্রয়োজন।

"তরুণেরা যোগ দিয়েছেন নতূনভাবে, তাঁদের মধ্যে সাড়া পড়ে গেছে"

দুঃখজনকভাবে তরুণরা সত্যিকার মুক্তচিন্তার বিপরীতে জড়িয়ে গিয়েছেন একধরনের অন্ধ আবেগীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে।

ফলে এর বিপরীতে কিছু সত্যিকার মুক্তচিন্তকরা ঢাকা পড়ে গেছেন। যেমনঃ অভিজিৎ রায়ের পিতা অজয় রায়। ডঃ আহমদ শরীফ প্রমুখ।

আমার মতে যুক্তির চেয়ে আবেগকে প্রাধান্য দেয়ায় শুরু হয়েছে দলাদলি, মারামারি, কাটাকাটি আর এর আড়ালে চাপা পড়ে গেছে সত্যিকারের মুক্তচিন্তা।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন:
এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করছি। চাপাতিবাজি যে ঘৃণ্য মনুষ্যত্বহীন আচরন এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু চাপাতিবাজরা যাদের আক্রমন করেছে তাদের আমি মুক্তচিন্তক বলতে পারছি না। ( কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, যেমনঃ অভিজিৎ দা )। আক্রান্ত অনেকেই যুক্তির চেয়ে আবেগকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। যেমনঃ আসিফ মহিউদ্দিন, তসলিমা নাসরিন। এঁরা ধর্ম নিয়ে যৌক্তিক আলোচনা না করে শুধু তীব্র আবেগীয় ঘৃণার প্রকাশ ঘটান। (ঠিক যেমন চাপাতিবাজরাও ধর্মের নীতির চেয়ে নিজের আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে অপকর্ম করে থাকে। ) এটা কখনই মুক্তচিন্তার উদাহরন হতে পারে না।


দরবেশ ভাই, আপনার মন্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে আমি সবাইকে এক কাতারে রেখে বিচার করতে চাই না। সবাই-ই তো আসিফ না। আবার সবাই-ই অভিজিৎ না।
প্রকৃতপক্ষে মুকতবুদ্ধির চর্চাকে এঁরা এগিয়ে নিচ্ছেন, নিজেদের কলমের সাহায্যে। অন্যের দিকে কলমের বাণী ছুঁড়ে দেয়া হলে ঐ লোকটিও কলম তুলে জবাব দিতে চাচ্ছেন না যে, বিষয়টি মোটেও সেরকম নয়।
একটা বিষয়ে লক্ষ্য করেছেন কি-না জানি না। অভি-দা'কে হত্যার পরে দেশের কলেজ ভার্সিটির অনেকেই ইবুক/পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়ছেন। অভিজিৎ দা এবং অন্যান্যদের লেখা। এতে বিজ্ঞান ও যুক্তিবিদ্যা চর্চার একটি সাড়া দেখা যাচ্ছে যেটা আমি নিজেই সাক্ষী।


০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: "কারন মুক্তচিন্তা মানেই হচ্ছে নিজের আবেগ ও অন্ধবিশ্বাস থেকে বুদ্ধিকে মুক্তি দিয়ে সবকিছু দেখা।"

সহমত পোষণ করছি।


"দুঃখজনকভাবে তরুণরা সত্যিকার মুক্তচিন্তার বিপরীতে জড়িয়ে গিয়েছেন একধরনের অন্ধ আবেগীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে।

ফলে এর বিপরীতে কিছু সত্যিকার মুক্তচিন্তকরা ঢাকা পড়ে গেছেন। যেমনঃ অভিজিৎ রায়ের পিতা অজয় রায়। ডঃ আহমদ শরীফ প্রমুখ।

আমার মতে যুক্তির চেয়ে আবেগকে প্রাধান্য দেয়ায় শুরু হয়েছে দলাদলি, মারামারি, কাটাকাটি আর এর আড়ালে চাপা পড়ে গেছে সত্যিকারের মুক্তচিন্তা।"



এ বিষয়ে আমি বলব তরুণেরা নিজেদের তারুণ্যকে ব্যবহার করতে গিয়ে মুক্তচিন্তার সীমানা থেকে সটকে গেছে। হয়তবা এদের অনেকেই বিদ্বেষবশত এসেছিল এবং পরে এই কাজের প্রতিক্রিয়াই জানিয়ে গেছে আর যাচ্ছেও। তাই বলে অনলাইনে তরুণদের একটি অংশ এখনো মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির লালন করে আসছে সেটা মোটেও অজ্ঞেয় নয়।

আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: কবিতাটা দীপন কে মারার পরেরদিন লিখি ব্লগ হত্যার স্মরনে

http://www.somewhereinblog.net/blog/debajyotikajal/30088717

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি ঘুরে এসেছি। অনেক ভাল একটি কবিতা এটি..... লাইক না দিয়ে পারলাম না। :)

১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: কবিতাটা দীপন কে মারার পরেরদিন লিখি ব্লগ হত্যার স্মরনে

http://www.somewhereinblog.net/blog/debajyotikajal/30088717

১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সুমন কর বলেছেন: বড় লেখা.....পরে সময় করে আসতে হবে !

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: নিশ্চয়ই.....

১৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ভাল লাগছে আলোচনা সমালোচনা পড়তে!!!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কিপ ইট আপ। :) :)

১৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! জানতে পারলাম অনেককিছুই । ধন্যবাদ ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সাধূ ভাইকে জানাতে পেরে বড়ই প্রীত হইলাম। ;) :)

১৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: মুক্তচিন্তা আর মুক্তচিন্তার অধিকার দুটা কিন্তু ভিন্ন । মুক্তচিন্তাশীল একজন আস্তিক হতে পারে আবার একজন নাস্তিকও হতে পারে , যেমনটি আপনি ব্যাখা করেছেন আপনার লেখায় । কিন্তু মুক্তচিন্তার অধিকার প্রণয়ন হয় সামাজিক প্রেক্ষাপট চিন্তা করে , নানান প্রকার সংঘর্ষ এড়াতে । প্রতিটি ধর্মের প্রবর্তক অথবা ধর্মীয় নেতাগন প্রত্যেকে মুক্তচিন্তার অধিকারী , তানাহলে এতো বড় বড় দর্শন , জীবনবিধান স্টাব্লিশ করা সম্ভব হতো না তাদের দ্বারা । এছাড়াও , যেকোন অন্যান্য দার্শনিক , বড় বড় লেখক , বিজ্ঞানী , ধর্মীয় চিন্তাবিদ প্রত্যেকে মুক্তচিন্তার অধিকারী । মুক্তচিন্তা ছাড়া বড় মাপের কোনকিছু সম্ভব নয়। সংকীর্ণ মনে হিংসা - বিদ্বেষ , অহংকার , প্রতিশোধ তথা পাপের জন্ম হয় ।

অপরপক্ষে, মৌলবাদী নাস্তিকও আছে আবার আস্তিকও আছে । এরা কখনোই কারোর মতকে শ্রদ্ধা দিতে জানে না । নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে দাবী করে এবং সহিংস মতবাদের প্রচারণা চালায় । এদের উদ্দেশ্য মূলত সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা ।

আপনি ঠিকি বলেছেন মুক্তচিন্তাশীল একজন মানুষ তার মতের সাথে সংঘর্ষ হলে সেটা নিয়ে বিশ্লেষণ করে শেখার জন্য জানার জন্য ।

অসাধারণ একটি পোস্ট , একেবারে মনের মতো হয়েছে । অনেক ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর মুক্তচিন্তার বিশ্লেষণধর্মী লেখাটি । অনেক সুন্দর গুছিয়ে পরিষ্কার ভাবে লিখেছেন ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চমৎকার একটি মন্তব্যের দ্বারা আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মুক্তচিন্তার অধিকার শিরোনামে কিছু আমি না লিখলেও আপনি খুঁজে নিয়েছেন সে জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাই। তবে এ ব্যাপারে আমি বলেছি যে, মুক্তচিন্তক যে কেউই হতে পারেন। তা আস্তিক/নাস্তিক/স্কেপ্টিক/অ্যাগন্যাস্টিক যেই হোন না কেন তাঁর মুক্তচিন্তা করার অধিকার রয়েছে।
আর যাইহোক, মানুষের চিন্তা ভাবনার জগতকে সীমাবদ্ধ করতে পারেন না অন্য কেউ। সে তাঁর মত ও দর্শন নিয়ে যেভাবেই দরকার ভাবুক, তবে অন্যের মতকে হেয় প্রতিপন্ন করে প্রোপাগান্ডা চালালে সেটা নিঃশ্চয়ই মানা যায় না।

ক্রমাগত অন্য মতাবলম্বীদের উপর বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার ঐ ব্যক্তির হীনতারই প্রকাশ করে যা প্রকৃতপক্ষে মুক্তমনার মানসিকতার বিরোধী।

১৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পড়লাম পোস্ট ও মন্তব্য।
অন্য দেশের মুক্তমনাদের কথা জানিনা কিন্তু আমাদের দেশে ধর্মকে নিয়ে আজেবাজে দুইচার কথা যারা শুনিয়ে দিতে পারে তারাই দেখি মুক্তমনার খেতাম পাই।
মুক্তমনাদের গবেষনার জন্য অনেক কিছুই আছে, কিন্তু আমাদের দেশের মুক্তমনারা এই এক ব্যাপার নিয়েই পড়ে থাকে।
মুক্তমনা হতে পারিনি এখনো :|

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রুহী আপা!
সামুতে আপনাকে নিয়মিত দেখে খুব ভাল লাগছে। :)
"অন্য দেশের মুক্তমনাদের কথা জানিনা কিন্তু আমাদের দেশে ধর্মকে নিয়ে আজেবাজে দুইচার কথা যারা শুনিয়ে দিতে পারে তারাই দেখি মুক্তমনার খেতাম পাই।
মুক্তমনাদের গবেষনার জন্য অনেক কিছুই আছে, কিন্তু আমাদের দেশের মুক্তমনারা এই এক ব্যাপার নিয়েই পড়ে থাকে।
"
মুক্তমনাদের ব্যাপারে আমাদের দেশে যে বাজে ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে সে ধারণার অবলোপনের জন্য আমার এ প্রয়াস।
আপনার ক্ষুদ্ধ থাকার কারণ নিশ্চয়ই মুক্তমনা পরিচয়ে ধর্মীয় কুৎসা রটনা। আসল কথা বলতে কি আপু, এরা মুক্তচিন্তার পথে হাঁটতে গিয়ে ইমোশনের দ্বারা পরিচালিত হয়ে উগ্র ও প্রতিহিংসামূলক কালিমা নিজেদের গায়ে লেপ্টে ফেলেছে। তবে সবার আগে মুক্তমনা থাকবার শর্তের বাইরে চলে গেছে। তাদের আপনি উগ্রমনা বলে যদি ডাকেন তাতে কোনই অসুবিধে নেই।

১৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এরা মুক্তচিন্তার পথে হাঁটতে গিয়ে ইমোশনের দ্বারা পরিচালিত হয়ে উগ্র ও প্রতিহিংসামূলক কালিমা নিজেদের গায়ে লেপ্টে ফেলেছে। তবে সবার আগে মুক্তমনা থাকবার শর্তের বাইরে চলে গেছে। তাদের আপনি উগ্রমনা বলে যদি ডাকেন তাতে কোনই অসুবিধে নেই।

হুম।

হা হা হা এই ব্লগে যখন চলেই এসেছি তখন নিয়মিত না হয়ে উপায় কি। অনেকে এত ভাল লিখে যে একটা মন্তব্য করার লোভ সামলানো যায় না।
সারাদিন অবসর, কাজ নাই কিছছু নাই। তাই বিভিন্নজনের লেখা দেখি, পড়ি, এই আর কি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অপু ভাইয়ের সামুর এই মাসিক সংকলন পোস্টে দেখলে বুঝাই যায় যে, সামুতে ভাল লেখা আসছে। আর অবসর থাকলে তো আর কোন কথাই নাই। :)

১৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনি ঠিকি ভেবেছেন , এতোটুকু দ্বিমত পোষণ করছি না । আমি শুধু বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে কয়েকটা কথা বলছিলাম । বাংলাদেশ একটা ট্রাঞ্জিশনাল পিরিয়ডের মধ্যে আছে , বোঝাপড়ার একটি বিশাল দ্বন্দ্বের মধ্যে আছে । সমস্যা ওভার দ্যা নাইট সমাধান হবে না , ধীরে ধীরে হবে । এজন্যই মুক্তচিন্তার অধিকার প্রণয়ন( অফিশিয়ালি ) এর কথাটা বলছিলাম । ব্লগার হত্যার জন্য ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স জড়িত থাকতে পারে ইমোশনাল ধর্মীয় ব্যক্তিদের ব্যবহারের মাধ্যমে । এখন একটা বিশাল ক্রাইসিস যাচ্ছে সারা বিশ্ব জুড়ে । এই ক্রাইসিস দূর হবে বিভিন্ন প্রকার সচেতনমূলক আক্টিভিটির মাধ্যমে । যেই চেষ্টাটি আপনি করলেন আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে ।

আপনি একটা সুন্দর টপিক নিয়ে লিখেছেন , এর মাধ্যমে অনেকের মনে মুক্তমনা নিয়ে যে সংকট রয়েছে তা দূর হবে আশা করি ( যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে ) । এরকম ভাবেই প্রগতিশীল প্রকৃত মুক্তচিন্তার অধিকারী ব্যক্তিরা সমাজকে সচেতন করে অনেক বড় বড় পরিবর্তন এনেছে এবং আনবে ।

আগের উত্তরের জন্য অনেক ধন্যবাদ । :)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: একটু দাঁড়ান। মন্তব্যে আসছি!!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: "বাংলাদেশ একটা ট্রাঞ্জিশনাল পিরিয়ডের মধ্যে আছে , বোঝাপড়ার একটি বিশাল দ্বন্দ্বের মধ্যে আছে।"

এই একটি বাক্যের মর্মার্থ যে কত বেশি তা কি জানেন? বিশ্বের কথা না হয় বাদ দিলাম, এই একটি সেন্টেন্সের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান হানাহানি, সংঘাত, কোন্দলের কারণ এবং আশ্চর্যমূলক হলেও সত্য এই সকল সংকটের সমাধানও নিহিত আছে।

আপনি খেয়াল করলে দেখবেন বাংলাদেশে চিন্তার দ্বন্দের একটা সুক্ষ আভাষ পাওয়া যায়, বিশেষত ব্লগে ও ফেসবুকে।
আমি যদি বলি সরকার নিয়ন্ত্রক(পক্ষে ও বিপক্ষে) সাধারণ মানুষ ৯০%ই ফেসবুকে বসবাস করে তবে কি খুব বাড়িয়ে বলা হবে? আমি তাদের কথা বলছি যারা সরকারের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে থাকে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেয়। তাদের পেছনে থেকে সাধারণ মানুষ লাইক, কমেন্ট শেয়ার করে।
সমস্যার কথা এটাই যে, এইসব প্রভাবশালী সোশ্যাল নেটওয়ার্কারদের বেশিরভাগই জনপ্রিয়তা ও ব্যক্তিগত স্বার্থের দিকে নজর দেন বেশি। তাঁদের অনেকেই চিন্তার জগতের সাথে বিচরণ করেন না।
বাংলাদেশের এই দ্বন্ধ নিরসনে ফেসবুকের ঐ সকল অ্যাক্টিভিস্টের দরকার ছিল। সাধারণ মানুষ তো আর এতকিছু চিন্তা করে না বা করতে পারে না তাই, আমাদেরকেই এগিয়ে আসা উচিত একটি সমঝোতার জন্য।
সমঝোতা অবশ্যই চিন্তার দিক থেকে বিভক্ত তারুণ্যের। রাজনৈতিক নয়।

২০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আমাদের দেশে মুক্তচিন্তা করা দণ্ডনীয় অপরাধ,, আর ন্যায় বা সঠিক কথা কোথাও বলা যাবে না আর ভুল করেও যদি সত্যি বলে ফেলি তাহলে গলা কাটা লাশ হতে হবে, নয়তো কারাগারে যেতে হবে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এটা আপনি আবেগ থেকে বলছেন। শুভেচ্ছা রইলো হৃদয় ভাই।

২১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:



বহুল জ্ঞান-গর্ভমূলক পোষ্ট!

দুপুরে প্রথম দিকের কিছু পড়ে লাইক দিয়ে ভেগেছিলাম। এখন এসে পুরোটা পড়লাম। প্রিয়তে জমা করে রাখলাম।

মুক্তমনার সংজ্ঞা হিসেবে অনেক কিছুই চলে এসেছে। বিশেষ করে ইটালিক ফন্টের মাঝের লেখাগুলো।

আমার মত অবশ্য, মুক্তমনা বলতে মুক্তভাবে চিন্তা করতে পারা মানুষগুলোকেই এই শ্রেণীতে ফেলা যায়। মুক্তভাবে চিন্তা মানে একজনের নিজের মত করে চিন্তা। সকল বাঁধা-বিপত্তিকে দূর করে সমাজের অলিখিত নিয়মগুলোকে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যারা যুক্তি দিয়ে যে কোন বিষয়কে তাদের নিজস্ব মত অনুযায়ী প্রকাশ করতে পারে সেগুলোই।

এর জন্য যে নাস্তিক বা ধর্মের বিরোধী হতে হবে সেটা নয়। ধর্মকে পুরোপুরি মেনেও ধর্মের প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধা রেখেও মুক্তভাবেই ধর্ম নিয়ে ভাবা যায়। এবং ভাল ভাবে ভাবলে তার অবশ্যই একজন সৃষ্টিকর্তা আছে - এই ভাবনাটা আসবেই। আর এটা আসলেই তো বলা যায় - ঐ লোকটা নাস্তিক নয়। যদি হতই - তাহলে সে কোন সৃষ্টিকর্তা আছে সেটাই মানতো না।

আমার কাছে প্রতিটা বিজ্ঞানীকেই মনে হয় মুক্তমনা। কারণ তারা ভাবে নিজেদের মত করে - ভেবেই সেটাকে বাইরে প্রকাশ করে। তারা কখনো বলেও না - এইটা নিয়ে অন্যকেও ভাবতে হবে। নিজেরা যেহেতু মুক্তমনা - তাই অন্যদেরকেও সেভাবেই ভেবে চলে।

তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, এটার মানে অন্য কিছু। নিজের মত করে ভাবা মানেই ভুল কাজ। ধর্মের বিরোধী।
কয়েকদিন আগে এক বন্ধুর সাথে কী নিয়ে যেন আলাপ হচ্ছিল মনে নেই। সেখানে কথা প্রসঙ্গে আমি আমার যুক্তি ও জ্ঞান অনুসারে বক্তব্য দিলাম - যেইটা অবশ্য সামাজিক ভাবে চলে আসা যুক্তির সাথে মিলে না।
সেই জন্য আমি মুক্তমনা নাস্তিক ট্যাগ খেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, তার জ্ঞান ঐ সমাজের চলমান অংশেই বিস্তৃত্ব এবং নাস্তিকতা সম্পর্কেও সে অজ্ঞ! এবং সে কম জানে এইটাও তার স্বীকার করতে বাঁধে। সব মিলিয়ে - আমিও নাস্তিক হয়ে গেলাম।

বাংলাদেশে এইটাই বড় সমস্যাটা। অজ্ঞতা, গোয়ার্তুমি এসবের কারণেই এদেশ থেকে চিন্তাশীল মানুষগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।

একাত্তরে বুদ্ধিজীবী মেরে যে পাকিস্তানীরা সফল - তা এতেই বুঝা যায়। কারণ, ঐ বুদ্ধিজীবী গুলো বেঁচে থাকলে আমাদের দেশে এই মুক্তমনা শব্দটা একটা গালি হিসেবে থাকতো না।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: "মুক্তমনার সংজ্ঞা হিসেবে অনেক কিছুই চলে এসেছে। বিশেষ করে ইটালিক ফন্টের মাঝের লেখাগুলো।"

রক্তিম ভাই! ইটালিক ফন্টে যে লেখাগুলো আসছি (প্রহেলিকা অংশে) সেগুলো মুক্তমনা ব্লগের ভাষ্য। আমি সেগুলো উদৃত করে ধারণা দিতে চেয়েছি যে তাঁরা কি বলেন। তাঁদের বক্তব্য কি। যাইহোক আমি চেষ্টা করেছি মুক্তমনা বলতে কাদের বোঝানো উচিত এবং এর গ্রহণযোগ্য ডেফিনেশন দেয়ার একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছি। এর সফলতা কিংবা বিফলতা নির্ভর করছে আপনাদের নিকট।

"এর জন্য যে নাস্তিক বা ধর্মের বিরোধী হতে হবে সেটা নয়। ধর্মকে পুরোপুরি মেনেও ধর্মের প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধা রেখেও মুক্তভাবেই ধর্ম নিয়ে ভাবা যায়। এবং ভাল ভাবে ভাবলে তার অবশ্যই একজন সৃষ্টিকর্তা আছে - এই ভাবনাটা আসবেই। আর এটা আসলেই তো বলা যায় - ঐ লোকটা নাস্তিক নয়। যদি হতই - তাহলে সে কোন সৃষ্টিকর্তা আছে সেটাই মানতো না। "

আপনার এই মতের সাথে একমত নই। আমি মনে করি এটা একটি বদ্ধ ধারণা।(নিচে দাগাঙ্কিত)

আপনার বন্ধুর সাথে যে আলাপ হচ্ছিল সেখানে আর দশটা অজ্ঞ ও সুশিক্ষাহীন ব্যক্তির ন্যায় আপনার বন্ধুর আচরণ পরিলক্ষিত হলো। এটা যে একটি সমস্যা আপনি চিহ্ণিত করেছেন তাতে আপনার চিন্তার স্তর পাওয়া যায়।

আহা কতনা ভাল হতো, যদি এইরকম চিন্তার মানুষে ভরে যেত এই দেশ!!

২২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬

দরবেশমুসাফির বলেছেন: উপরে গুলশান আরা আপা বলেছেন

"বাংলাদেশ একটা ট্রাঞ্জিশনাল পিরিয়ডের মধ্যে আছে , বোঝাপড়ার একটি বিশাল দ্বন্দ্বের মধ্যে আছে । সমস্যা ওভার দ্যা নাইট সমাধান হবে না , ধীরে ধীরে হবে ।"

খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা। আমরা যারা মুক্তচিন্তাকে যথাযথভাবে বুঝতে পেরেছি তাদেরকেই কিন্তু এখন এগিয়ে আসতে হবে এই সামাজিক মতাদর্শগত সঙ্কট থেকে সমাজকে বের করে আনার জন্য।

আপনি বলেছেন

" অনলাইনে তরুণদের একটি অংশ এখনো মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির লালন করে আসছে সেটা মোটেও অজ্ঞেয় নয়।"

আমরা যারা মুক্তচিন্তার স্বরূপ উপলব্ধি করেছি তাদের পবিত্র দায়িত্ব এই মুক্তবুদ্ধির তরুনদের নিয়ে একটি মতাদর্শগত আন্দোলন গড়ে তোলা। এটাই একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য।

বাঙ্গালির অন্যতম সমস্যা হচ্ছে নিজের কর্তব্য অস্বীকার করা। মানে "বুঝলাম কিন্তু কর্তব্য পালন করতে পারব না"। আমাদেরকে যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই কর্তব্যহীনতার সংস্কৃতি ভাঙতে হবে।

আর এভাবেই আসবে জনসাধারণের চিন্তার মুক্তি।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: "আমরা যারা মুক্তচিন্তার স্বরূপ উপলব্ধি করেছি তাদের পবিত্র দায়িত্ব এই মুক্তবুদ্ধির তরুনদের নিয়ে একটি মতাদর্শগত আন্দোলন গড়ে তোলা। এটাই একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য।

বাঙ্গালির অন্যতম সমস্যা হচ্ছে নিজের কর্তব্য অস্বীকার করা। মানে "বুঝলাম কিন্তু কর্তব্য পালন করতে পারব না"। আমাদেরকে যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই কর্তব্যহীনতার সংস্কৃতি ভাঙতে হবে।"

দরবেশ ভাই!
আমি এখনো আশাবাদী। মানুষ একই খাবার দিনের পর দিন যেমন খেতে চায় না, ঠিক তেমনি এইসব ভ্রান্তি থেকে অচিরেই বের হয়ে আসবে। আপনি যে কর্তব্য অস্বীকারের কথা বললেন, এই চিন্তা আমাদের জাতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে।

তাই এই ধ্বংস থেকে বের হওয়ার জন্য সচেতনতাই হোক আমাদের পন্থা। বিশেষত ব্লগের যারা অ্যাক্টিভিস্ট, আমাদের এ ক্ষত নিরাময়ে কাজ করতেই হবে।
আবারো সাধূবাদ জানাই আপনার পজিটিভ মানসিকতাকে।

২৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মুক্তমনা ব্লগ থেকে আমি অনেকটা প্রভাবিত| ওদের ভাল লাগে| খোলামেলা আলোচনা সবসময়ই আকর্ষণ করে|
আপনার পোস্টের পর আর কিছুই বলার নেই| সবই প্রায় বলেছেন|
জয় হোক মুক্তচিন্তার| দূর হোক সব বাঁধা

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মনে হচ্ছেে পোস্টের বক্তব্যের সাথে একমত আরণ্যক ভাই। সহমত পোষণ করছি, জয় হোক মুক্তচিন্তার। দূর হোক সব চিন্তার প্রতিকূলতার।

২৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০২

মোঃহাদী বলেছেন: আপনি মুক্তমনা কি না তাই বলুন (আল্লাহু আকবার)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি একজন মুক্তমনা।
আপনার প্রোফাইল ঘুরে আসলাম। ৪ মাসের মতো সামুতে আছেন। প্রোফাইলে কোনও লেখা নেই। কিন্তু কোনও পোস্ট দেন নি। আপনার দার্শনিক মতি তাই নির্ধারণ করতে পারলাম না। মাত্র ৮টি মন্তব্য করেছেন। মনে হচ্ছে আপনি সামুতে নিয়মিত না।

যদি কিছু মনে না করেন তবে বলি- সামুতে নিয়মিত থাকুন, মন্তব্য দিন, সামু পরিবারে একনিষ্ট হোন। আশা করি সময়গুলো বৃথা যাবে না।

২৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:



বদ্ধ ধারণা বলে মনে হয় না আমার - মাথা খাটালে একটা সময় এইদিকেই যাবে চিন্তাটা। কোন কিছুই দৈব ভাবে নিজ থেকে সম্পন্ন হয় না বা দৈব ভাবে সৃষ্টিও হয় না। যত ব্যাখ্যাই দেওয়া হোক না কেন - মাঝে মাঝে সৃষ্টির আসল রহস্যও পাওয়া যায় না। সেই দিক থেকে এই ভাবনাটা আসা অস্বাভাবিক না।
এইটাও অধিক ভাবনার থেকেই সৃষ্ট।

এইটা নিয়ে ২০১৩ থেকে ভাবা শুরু করেছি। এই বছর এসে এই ধারণায় উপনিত হইলাম। ব্যাপার অত্যধিক জটিল বলিয়াই এত সময় লাগলো মনে হয়।

তবে, একেক জনের ধারণা একেক রকমই থাকবে। এইটা নিয়ে মারামারির কিছু নাই। ধারণা আলাদা আলাদা দেইখাই - আলোচনা করার সুযোগটা আসে। B-)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রক্তিম ভাই,
ইদানিং বড়ই সময় সংকুলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ঠিকমত উত্তর দিতেও পারছি না। এজন্য ক্ষমা করবেন।

আপনি যে ভাবছেন সেজন্য আপনাকে বাহবা দেয়াই যায় কারণ, শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষই এটা ভাবে না। আপনি যদি ইশ্বরতত্ত্ব নিয়ে জ্ঞানার্জন করতে চান এবং মুক্তচিন্তা করতে চান তবে অবশ্যই অবশ্যই ইশ্বর আছেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিন্তা শুরু করতে পারেন না। এবং ইশ্বর নেই সিদ্ধান্ত নিয়েও চিন্তা করতে পারেন না।

২৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮

রিকি বলেছেন: “Freethinkers are those who are willing to use their minds without prejudice and without fearing to understand things that clash with their own customs, privileges, or beliefs. This state of mind is not common, but it is essential for right thinking...”

সব গুলোর মধ্যে এই ডেফিনেশন ভালো লাগলো। কয়দিন লেগেছে এই পোস্ট লিখতে আপনার?? আপনি তো পুরোই দেখি জার্নাল লিখে ফেলেছেন।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রিকিপু!
আমার জীবনে ভাললাগা যে কয়েকটি সেন্টেন্স আছে, সেটাকে এভাবে তুলে ধরার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আর কয়দিন লেগেছে সেটা বড় কথা না, বড় কথা আমি কি আমার ধারণাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারছি কি না।

(উমম.. ২৫-৩০ ঘন্টা ৪-৫ দিনের মধ্যে)

অ.ট. ইদানিং আপনাকে সামুতে কম দেখা যায়। :(

২৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আমার মতে মুক্তমনা কিংবা মুক্তচিন্তা বলে কিছুই নেই। মন, চিন্তা এসবই কিছু না কিছু দিয়ে প্রভাবিত হয়। সেটা জ্ঞানও হতে পারে কিংবা ধর্ম বা অন্যকিছু।

ব্লগার হত্যা কিংবা মুক্তমনা হত্যা নিয়ে অনেক কথা, আলচনা সসমালোচনা দেখি। একমাত্র অভিজিত্রায় ছাড়া আমার কাউকেই ভালো মনের মানুষ বলে মনে হয় নাই। ওইটা সেই থাবা বাবাই বলেন কিংবা হালের নীলাদ্রী। সমাজের ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা যেমন ক্ষতিকর, এইরকম খোচাবাদী নাস্তিক কিংবা তথাকথিত মুক্তমনারাও ক্ষতিকর। নিজের মধ্যে যা আছে তা অন্য কেউ না মানতে চাইলে জোর করে গিলানোর কিছু নাই।

আমি নিজেও এগনোস্টিক বলতে পারেন। ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, কিন্তু কোন স্পেসিফিক ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে পুরোপুরি এই দাবী করবোনা। আবার ইসলামকে তাত্ত্বিকভাবে আমার অনেক দিক থেকেই অন্য ধর্মের চেয়ে সঠিক বলে মনে হয়।

মুক্তমন কি জিনিস, কে মুক্তমনা আর কারা না এইসব নিয়ে ভাবার চেয়ে ভালো আর মন্দের পার্থক্য জানাটা বেশি জরুরী। তাহলেই দুনিয়াটা ভালোর দিকে যাবে।

শুভকামনা রইলো। :)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: নদী ভাই, আপনার সুচিন্তিত মতামত শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

"আমার মতে মুক্তমনা কিংবা মুক্তচিন্তা বলে কিছুই নেই। মন, চিন্তা এসবই কিছু না কিছু দিয়ে প্রভাবিত হয়। সেটা জ্ঞানও হতে পারে কিংবা ধর্ম বা অন্যকিছু। "

(মন, চিন্তা এসবই কিছু না কিছু দিয়ে প্রভাবিত হয়। সেটা জ্ঞানও হতে পারে কিংবা ধর্ম বা অন্যকিছু।) আপনার এ কথাটি সিংহভাগ মানুষের জন্য একদমই পারফেক্ট। তবে যারা মুক্তচিন্তা করতে পারেন তাঁদের বেলায় এটি সত্য নয়। বিশেষত যারা জাগতিক বিষয়াদির অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা করেন তাঁদের অনেকেই মুক্তমনে চিন্তা করেন। কোনভাবেই তাঁরা ভাবনাকে বিশ্বাস দিয়ে কিংবা দর্শন দিয়ে প্রভাবিত হতে দেন না।

ব্যাপারটা আসলেই জটিল। কারণ চিন্তার পরিপক্ষতার একটা বিষয় এখানে আছে।

২৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক কিছু বলে দিয়েছেন। ভালো একটি পোস্ট, গেম চেন্জার :)
মানব মনের উন্নয়নের জন্য চিন্তার স্বাধীনতার প্রয়োজন। মুক্তমনা হোক আর যা-ই হোক।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মইনুল ভাই, আপনার মন্তব্যে যেন এক চিলতে রোদ এ পোস্টকে আলোকময় করে দিল। শুভেচ্ছা রইলো ভাই। :)


(অ.ট. ফেসবুকে আপনাকে এড পাঠিয়েছি।)

২৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: কবি নদী বলেছেন ,
" আমার মতে মুক্তমনা কিংবা মুক্তচিন্তা বলে কিছুই নেই। মন, চিন্তা এসবই কিছু না কিছু দিয়ে প্রভাবিত হয়। সেটা জ্ঞানও হতে পারে কিংবা ধর্ম বা অন্যকিছু। "
তার সাথে সম্পূর্ণ রূপে দ্বিমত পোষণ করি না , কারন সম্পূর্ণ রকম দ্বিমত পোষণ করাটা আমার ধর্ম না , বিশেষ করে এরকম গুরুত্বপূর্ণ এবং বিতর্কিত বিষয়ে । আমার মতে মুক্তচিন্তা বলতে কিছু আছে , মুক্তচিন্তা এক জায়গায় স্তির থাকে না , এটা শিফট করে একজায়গা থেকে আরেক জায়গায় , খানিকটা বিজ্ঞানের মতো - যেমন বিজ্ঞান আজ যেটা বলে কাল সেটা ডিসপ্রুভ হয়ে যায় । বিজ্ঞান হোল মানুষের অব্জারভেশন , চলমান একটি বিষয় । মুক্তচিন্তাও অনুরূপ ভাবে চলমান ।

এখন হয়তো বলবেন ," ধর্ম বলতে কিছু নেই , ঈশ্বর বলতে কিছু নেই" কিন্তু একথাও একজন মুক্তচিন্তক বলবে না , কারন এখনো বিজ্ঞান ঐ পর্যায়ে প্রমাণ করার অবস্থানে যায়নি । Science is just on its way to prove it. বিজ্ঞান এখনো চলমান অবস্থানে আছে ।

উগ্রপন্থী নাস্তিক যারা তারা কিন্তু একটা গণ্ডির মধ্যে আটকে যায়, একটা পর্যায়ে গিয়ে তারা আর কিছুই চিন্তা করতে পারে না এবং বলে " ঈশ্বর বলতে কিছু নেই -ধর্ম বলতে কিছু নেই " , তারা কিন্তু মূলত মুক্তচিন্তক নন । তেমনি উগ্রপন্থী ধার্মিকও আছেন - তারা যতটুকু শেখান হয়েছে তার বাইরে চিন্তা করার ক্ষমতা রাখে না - তারা ভয়ংকর এবং হিংস্র । এই জাতিয় উগ্রপন্থী ইরেসনাল ধার্মিকদের ইমোশনটাকে আবার কিছু সুবিধাবাদী লোকজন কাজে লাগায় বিভিন্ন বাজে উদ্দেশ্যে ।

ব্লগার হত্যার ব্যপারে উগ্রপন্থী ধার্মিকরা শুধু মাত্র হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার হতে পারে আর এই হাতিয়ার চালাচ্ছে অন্য কেউ । প্রকাশ্যে হুমকিও দিতে পারে অন্য কেউ - এরা কিন্তু কোন ধর্মেরই লোক নয় - এরা শুভিধাবাদী এক শ্রেণীর অতি হিংস্র নিকৃষ্ট জাতের প্রাণী ।

৩০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: চেঞ্জার বলেছেন , " এই একটি বাক্যের মর্মার্থ যে কত বেশি তা কি জানেন? বিশ্বের কথা না হয় বাদ দিলাম, এই একটি সেন্টেন্সের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান হানাহানি, সংঘাত, কোন্দলের কারণ এবং আশ্চর্যমূলক হলেও সত্য এই সকল সংকটের সমাধানও নিহিত আছে।"

আমি বলছি , অবশ্যই বুঝি এর মর্মার্থ - এজন্যই তো বললাম । আসলে সব কিছু খোলাসা করে বোলাও যায় না - তারপরও তো অনেক কিছুই বলে ফেললাম । সুবধাবাদিদের দ্বারা টার্গেটেটও হতে পারি - ঐ ভয় অবশ্য করি না ।
আপনার প্রতি উত্তরের জন্য ধন্যবাদ । যারা যারা এখানে পুরো দমেঅংশগ্রহণ করেছেন তাদের প্রত্যেকে ধন্যবাদ ।
সামু এই পোস্টটিকে স্টিকি করলে সবচেয়ে বেশী খুশি হতাম ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনি আমি তো কিছুই না। তাই ঐ ভয় করি না। তবে এই পোস্টে চিন্তা ও গঠনমূলক আলোচনায় সীমাবদ্ধ রাখছি। আর আপনার স্টিকি করার দাবি'র প্রতি যথেষ্ট সম্মান জানিয়ে বলছি, এই পোস্ট নির্বাচিত পাতায়ই যেখানে জায়গা পায় না সেখানে......


:) :)

৩১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অতি দুঃখজনক !!!!!! অনেক জোড়ে বললাম !!!!! এটা নির্বাচিত পাতায় যাওয়া উচিত ছিল । এটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । এগুলো খোলাখুলি আলোচনা করা দরকার এবং সময়ও এসেছে বলে মনে করি । মুক্তমনা আর মুক্তচিন্তার কথা শুনলেই মানুষ এতো ভয় পায় কেন । এটা তো কোন ক্রাইম না আর আপনি তো একে সুস্পষ্ট ভাবেই বর্ণনা করেছেন ।

জানিনা বাবা , মনে হয় আমিই হাবা B:-)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনি হাবা ভাবলে মোটেও ঠিক চিন্তা হবে না। আসলে পোস্টের গুণগত মান সামুর প্রথম পাতার অনেক পোস্টের তুলনায় যাচ্ছেতাই যে এমনটিও নয়। এ ব্যাপারে তো আপনি আমি নিশ্চিত। তাই না?
প্রকৃতপক্ষে বিষয়টা আপেক্ষিক। আপনার কাছে এ বিষয়টা যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামুর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেটাকে গুরুত্বপূর্ণ নাও ভাবতে পারে। সেটায় আমি আমার কোনও মানহানি দেখি না। কারণ অন্যের মতকে ছোট করে বা নেগেটিভ সেন্সে দেখা উচিত না। মুক্তচিন্তুকরা এ ব্যাপারে খুবই সেনসিটিভ।
আপনার প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ এই পোস্টের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে। :)

৩২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

বাচ্চাকাচ্চা বলেছেন: মুক্তচিন্তার জন্য শিক্ষা জিনিসটা অনেক জরুরী। কলেজ/ভার্সিটি পাস করলেই শিক্ষিত হওয়া যায়না। মুক্তচিন্তার আরো প্রসারের প্রয়োজন। আফসোস, আমরা অন্যের লেজে আগুন জ্বালাতে যত পছন্দ করি, ততখানি সময় যদি একটু পড়াশোনা করে কাটাতাম, তবে হয়তো চাপাতি গুলোও ভোতা হয়ে যেত সময়ের ফেরে...

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধৈর্য নিয়ে এতো লম্বা পোস্ট পড়েছেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা। আপনার সাথে শতভাগ সহমত।

---

ঘুরে এলাম আপনার ব্লগবাড়িতে। খুব ভাল ফিল্ম রিভিউ লিখেছেন। আপনার সামুতে পদচারণা শুভ হোক। :) :)

৩৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫

আবু শাকিল বলেছেন: দুপুর বেলা পোষ্ট খানা পড়েছি ।মন্তব্য করা হয় নি।
পোষ্ট তৈরিতে বিশাল শ্রম দিয়েছেন । ধন্যবাদ জানবেন ।
বিশেষ কোন তর্ক ছাড়াই মুক্তমনা, মুক্তচিন্তা সম্পর্কে জানার জন্য পোষ্ট খানা যথেষ্ট বৈকি ।আপনি ত মুক্তমনা, মুক্তচিন্তা সম্পর্কে বিশাল এক জার্নাল লিখেছেন :)
ব্লগারদের নিয়ে যখন একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে তখনি মুক্তমনা, মুক্তচিন্তা সম্পর্কে ধারনা নিয়ে নিয়েছি -
"যা কিছু সর্বজনের নীরব এবং সরব সম্মতিতে কল্যাণকর বলিয়া মনে করেন তাহাকেই আমি মুক্তমনা, মুক্তচিন্তা ধরিয়া লই "

তথাকথিত নব্য সুশীল দের চিন্তা দ্বারা কে আমি কখনো মুক্তমনা করি না।
ভাল থাকবেন গেচা ভ্রাতা ।
আপনার নিক টা শর্ট করে নিয়েছি মাইন্ড খাইয়েন না কিন্তু ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাঃ হাঃ :)
নিক শর্ট করতেই পারেন। ব্যাপার না। মাইন্ড খাওয়ার কিসসু নাই। ;) তয় গেচে হতে পারে গেচা নয়। এই যাঃ

আর আপনি যাদেরকে মুক্তমনা মনে করেন না, ডেফিনিটলি তাঁরা মুক্তচিন্তার পথে নেই। ("যা কিছু সর্বজনের নীরব এবং সরব সম্মতিতে কল্যাণকর বলিয়া মনে করেন তাহাকেই আমি মুক্তমনা, মুক্তচিন্তা ধরিয়া লই ";) তবে আপনার এই সংজ্ঞায়নের সাথে একমত না। আমার ডেফিনেশন তো পোস্টে লেখাই আছে ভ্রাতা।

বিশাল আর্টিকেল যদি হয় আর সেটা পড়তে গিয়ে বেজায় বিরক্ত হোন পাঠকরা তাহলে লেখার সার্থকতা কই? আপনার প্রশংসাগুলো মনে রাখার মতো...।
ভালো থাকুন, আর সাথেই তো আছি। :)

৩৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭

রিকি বলেছেন: অ.ট. ইদানিং আপনাকে সামুতে কম দেখা যায়।

এই মাসে রেগুলার হয়ে যাব বলে আশা রাখছি!!! :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই এক কথা আর ক-বার কইবেন? নতুন কিছু বলেন। ;) ;)

৩৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ব্যাপক গবেষনা মূলক পোস্ট, সেটা পোস্ট এর আলোচনা দেখেই বোঝা যাচ্ছে! তাছাড়া মন্তব্য এবং প্রতি মন্তব্যেও অনেক অজানা বিষয় উঠে এসেছে! যদিও পোস্টটা আমি আগেই পড়েছিলাম কিন্তু অনেক ব্যস্ততার কারণে আর মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি! তাছাড়া এই ব্যাপারে আমি ততটা ইন্টারেস্টেড নই বলেই মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছিলাম! তবে লেখককে নতুন ভাবে উৎসাহ প্রদানের জন্য আবারও পোস্টে ফিরে আসলাম এবং মন্তব্য করলাম.......!!



পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!


বিঃদ্রঃ- রিকি আপুর ৩৪ নং কমেন্টে কইস্যা মাইনাচ সহ আপনার প্রতি মন্তব্যে প্লাস!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আর রিকিপু নাকি মঙলে বুক দিসে.... B-))

৩৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১০

রিকি বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই এক কথা আর ক-বার কইবেন? নতুন কিছু বলেন।

ভাই আমার মঙ্গলে যাওয়ার ইচ্ছা হয়েছে তো, তাই সেখানে যাওয়ার টিকেট প্রিন্ট করছি বাড়িতে বসে----ফল পাবো, না বিফলে যাবে সব এখনও জানিনা !!! তবে মঙ্গলে যেতে যদি সফল হয়ে যায়, আপনাদের সেলফি তুলে পাঠাবনি (এটা নতুন কথা) !!!! B-))

@ সাহসী সন্তান: আপনার উপরে লগের সূত্র আপ্লাই করব কিন্তু (ইচ্ছামত মাইনাস, প্লাস, ভগ্নাংশ হবেন), মাইনাচ মাইনাচ করলে----জানেনই তো লগ টেবিলের কত শত পা !!!! ;) ;)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মঙলে যেয়ে আর কাজ নেই। ঐখানে যেতে হলে স্পেসশীপ লাগবেক। আর সেটা নাসায় আছে। তাও যথেষ্ট না কারণ অনেক সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। জিনি ভাইয়ের কাছে নাকি স্পেস শীপ আছে শুনলাম। বেচারা কয়েকদিন ধরে লাপাত্তা। তা নাহলে আপনার ইচ্ছাপূরণে কাজে লাগতো। B-)

৩৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

শায়মা বলেছেন: এই পোস্ট পড়িয়া জ্ঞান গর্ভ আলোচনায় অংশ নিতে হইলে আমার ঠান্ডা মাথায় ঘুম্র প্রয়োজন। আপাতত মাথায় তেল দেওয়া চলিতেছে। এখন ঘুমাইতে যাই। কাল সকালে ....... :|

ততখন বাই বাই টাটা।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওকে.....ওকে.....।

৩৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৯

বনমহুয়া বলেছেন: মুক্তমনা হবার দরকার হবে ঠিক তখনই যদি আপনি চান কোনও বিষয়ে সত্যতা নিরুপণ করতে। ইশ্বর, সৃষ্টিজগত, ব্যোম, মহাশুন্য, অপরাবাস্তবতা, পরলোক, বিচার, স্বর্গ, নরক, শুন্যতা, অসীমতা, কাল্পনিক বাস্তবতা, পরম অস্তিত্ব, জীবনের লক্ষ্য, অর্থ-ব্যবসা ও বৈষয়িক জীবনের নৈতিকতা, জীবনের সার্থকতা, মানবীয় সম্পর্ক, পরিবার, সমাজ, বন্ধুত্ব সর্বোপরি পরাবাস্তবের সাথে বিশ্লেষণ।
যদি আপনি বর্তমানের বিঃশ্বাস নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন তবে আপনার মুক্তমনা হবার দরকার নেই। তবে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে সিদ্বান্ত নিতে হলেও আপেক্ষিভাবে কেবল ঐ বিষয়ে নিজেকে মুক্তমনা হিসেবে ভাবতে কোনই অসুবিধে নেই।



মুক্তচিন্তা বা মুক্তবুদ্ধির চর্চা ছাড়া সমাজ, সংস্কার ও নিজেকে পরিবর্তন বা উন্নতকরণ প্রায় অসম্ভব। দারুন লেখা গেম চেঞ্জারভাই। আপনার লেখা অন্তত খানিকটা সময় হলেও কিছু গন্ডিবদ্ধ মস্তিস্কের মানুষকে মুক্তবুদ্ধি চর্চায় উদ্ভুত করবে। আপনার কিছু উদ্যোগ ও উদ্যম সত্যি প্রশংসনীয়।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৩৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার উৎসাহে ভাললাগা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বোনটি। :)

৩৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সময় উপোযোগী পোস্ট ++++++++
শুভকামনা লেখকের প্রতি।

৪০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:

অনেক ডিফিনেশন কপি করেছেন, অনেক কিছু মিশায়ে শেষ তালগোল পাকায়েছেন; যাক, অনেকে পড়েছেন।

শাহবাগ 'বিপ্লব' ছিলো না, ছিলো এক 'প্রতিবাদ'।

কস্ট করে 'বিপল্ল'এর ডেফটাও একবার পড়ে নিয়েন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বিপল্ল জিনিসটা কি আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। আর কথা হলো শাহবাগ আন্দোলনকে আমি কোন জায়গায় বিপ্লব বললাম। আরো কথা হলো আমি তালগোল কিভাবে পাকলো তাও বুঝলাম না। আরো বড় কথা হলো ডেফিনেশন আমি কপি মারিনি, উদৃত করেছি। পরে তথ্যসূত্রও দিয়েছি। আরো উল্লেখযোগ্য হলো ডেফিনেশনের আগে আগে কিন্তু আমি কার ডেফিনেশন তাও বলেছি।

৪১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

জুন বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম গেম চেঞ্জার । শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: জুনাপ্পু..... আপনাকে অনেক কিছু জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। আর এত লম্বা পোস্টেও সাথে থাকার জন্য থ্যাংকস.... :)

৪২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: আর +++++++ এর মানে কিন্তু
হাতের এই আইকনে ক্লিক করে জানিয়ে দেওয়া। আপনাকে এবং প্রায়ই কিছু ব্লগারকে দেখি ভাললাগার কথা বলেন, ++ এর কথা বলেন অথচ ক্লিক করার দিকে সচেতন না। আপনাকে অনুরোধ করব এই পোস্টে লাইক না দেবার জন্য। কারণ আমি চেয়ে লাইক নিতে চাই না।
তাহলে কি শুধু লাইক দিলেই হবে আর + দিতে হবে না? দু'টো র একি অর্থ? আমি অনেক সিনিয়র ব্লগার কে দেখেছি পোস্ট বেশি ভাল লাগলে এমন + + দিতে। আবার অনেক পোস্ট কে + এর ভিত্তিতে র‍্যংকিং করতেও দেখলাম। ব্যপারটা আরেকটু ক্লিয়ার করে বল্লে কৃতজ্ঞ থাক্তাম প্রিয় ব্লগার।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পুরোটাই ক্লিয়ার হবার জন্য এই পোস্টে একটু যান।
সামু ব্লগের সহজ পাঠ

৪৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: সবার মন্তব্যসহ আপনার পোষ্টটি আরো বেশ কয়েকবার না পড়লে মাথায় ঢুকবে না।

প্রভাবিত হওয়া ছাড়া চিন্তা করা কি সম্ভব? আমি তখনই চিন্তা করি, যখন আমি কোনকিছু দ্বারা প্রভাবিত হয়। আবার আমি যখন প্রভাবিত তখন আমি কিন্তু মুক্ত বা স্বাধীন না।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওহে! রাতুল ভাই..... পড়া হইসে কয়েকবার। বুইললেন না তো।

আরেকখান কথা হইলো........। প্রভাবিত হওয়া ব্যাপারটা কি? আপনার কাছে সেটার ডেফিনেশন তো আছে। তা না বললে তো চলছে না যে....। :)

৪৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

শায়মা বলেছেন: মুক্তচিন্তা বা ওপেন থিংকিং। ওপেন মাইন্ডেড বা এক্সসেপ্টেবল মাইন্ডেড। এসবই আসলে একই কথা, একই শব্দ মানে সমার্থক শব্দাবলী। ক্লোজ এন্ডেড কোয়েশ্চেন বা ওপেন এন্ডেড কোয়েশ্চনের মাঝে বর্তমানকালে বা সর্বকালেই আসলে ওপেন এন্ডেড কোয়েশ্চেন বা আনসারই বেশী ফলপ্রসু বা উপোযোগী।
একইভাবে মুক্ত চিন্তা বা ওপেন থিংকিংই কিন্তু এই পৃথিবীকে আমাদেরকে বাসযোগ্য করে তুলতে বা নতুনভাবে ভাবতে ও বাঁচতে শিখিয়েছে। জগতে সবকিছুই পরিবর্তনশীল। কাজেই প্রথাগত সংস্কৃতি বা শতবছরের বদ্ধমূল ভাবনা চিন্তা বা ধারণাকেই পূঁজি করে , আঁকড়ে ধরে নতুনের সাথে সংঘর্ষ তাই কোনোভাবেই কাম্য নয়।

যারা মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী নয় তাদেরও উচিৎ এই মুক্তচিন্তাবিদ বা মুক্তমনাদের ভাবনা, চিন্তা , ধ্যান ধারণাকে প্রতিপক্ষ বা সাংঘর্ষিক না ভেবে বরং তাদের ধ্যান, ধারণা বা বিশ্বাস অবিশ্বাস দিয়ে খন্ডন করা। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তুলতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের সাথে সাথে চিন্তা ভাবনা সৃষ্টিশীল মনোভাব বা কর্মকান্ডের পরিবর্তনও অবশ্য জরুরী বলে মনে হয় আমার।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনেক সময় দিলাম আজ সামুতে একেবারে ভোর ৫টা হতে এখন পর্যন্ত। একটু ওঠতে হচ্ছে। কিছু বলার আছে। তবে সময় করেই বলবো। :)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপু!
আমি যেটা জানি অপেন থিংকিং নিয়ে----
"Open thinking is the tendency of an individual, group or institution to give preference to the adoption of open technologies or formats in regards to software, publishing, content and practice. "

মুক্তচিন্তা অপেন থিংকিং হয় আমি জানতাম না। মুক্তমনা অপেন মাইন্ডেড তাও জানতাম না। ............. :|| :|| :||
আপুনি!! কিভাবে এই ডেফিনেশন পাইলা আমাদের জানাবা একটু ........ :|| :||

৪৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

শায়মা বলেছেন: তুমি আবার ওঠোও নাকি!!!!!!!!!! B:-) আমি তো ভাবছিলাম সামুতেই আটকে গেছো!!!

চিরদিনই আমি( তুমি) যে তোমার ( সামুর), যুগে যুগে তুমি ( সামু) তোমারই!!!!!! :)


হা হা ইহাকেই বলে সামুর মজা! স্বনামে, বেনামে সর্বনামে, মুক্তমনে, বন্ধমনে অনলি সামু এ্যান্ড সামু!!!!!:)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শেষের লাইনে ম্যালা আপত্তি আছে এএএ........

৪৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেম চেঞ্জার ,



খুব সুন্দর বিশ্লেষনধর্মী একটি লেখা । নিঃসন্দেহে কঠিন একটি কাজ । পাঠকের মন্তব্যগুলিতেও তাদের ব্যক্তিগত ধ্যান ধরনার কথা উঠে এসে পোষ্টটির বিষয়বস্তুকে আরো সমৃদ্ধ করেছে । আমি আর সেদিকে যাচ্ছিনে । শুধু সহ ব্লগার অগ্নি সারথি র সাথে সাথে তার মতো করেই বলি - 'সত্যের একক কোন রূপ নেই' । আপনার কাছে যা সত্য তা আমার কাছে নাও হতে পারে।

শুভেচ্ছান্তে ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন জি.এস. ভাই। ভাল থাকবেন এই কামনায়.. :)

৪৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

শায়মা বলেছেন: হায়রে এখন আবার অপেন মাইন্ড/এক্সেস্টেবল মাইন্ড/অপেন থিংকিং নিয়ে আমাকে জ্ঞান গর্ভ লেকচার ঝাড়িতে হইবেক। X((
নাহ! এই পাগলু ভাইয়াদেরকে নিয়ে আর পারা গেলোনা!:(

জারিজুরি সব ফাঁস হয়ে গেলো! :(( আম্মা!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আম্মা কি শুনছেন?? :-B

৪৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

শায়মা বলেছেন:



হ্যঁ তোমাকে জ্ঞান দিতে বলেছেন!:)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দয়া করিয়া পাগলু কহিবেন না। আই ডোন্ট লাইক দ্যাট।

পাগলা ইজ মোর মোর মোর প্রিফারেবল। :) আর দয়া করিয়া অত্র পোস্তখানায় চক্ষু বোলাইয়া আপনার অল রাউন্ড মষ্তিষ্ক দিয়া আমাদেরকে স্বজ্ঞানেন্দ্রীয় থেকে সহমত/দ্বিমত জানাইবেন। :)

৪৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে পাগলাভাইয়া!



তবে এখন গিয়ান বিতরণের সময় নাই ভাইয়ু!:(

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার সময় হবে না কখনই। X(

৫০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

শায়মা বলেছেন: :P

৫১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

তাল পাখা বলেছেন: অনেক লম্বা লেখা।যেমন সময় দিয়ে লিখেছেন তেমনি সময় নিয়ে পড়তে হবে।লেখার শুরুটা বলছে শেষ করতে হবে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হুমম। লেখতে লেখতে মাথায় ঘুরন্তি দিয়েছিল রে ভাই। এখন যদি আপনারা পড়ে গালি না দেন তবে তো কষ্টই পাবো নাকি?

কি? অবাক হলেন? হাঃ হাঃ পড়ার পরে যদি সময়টা নষ্ট হয় তবে গালি দিবেন না? আর সময়টা কাজে লাগলে তা বলবেন না??

৫২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

পার্থিব পার্থ বলেছেন: ব্যাপারটা তলস্তয়ের কথাগুলোর মতই। কারন মুক্তভাবে এবং যৌক্তিক ভাবে ভাবতে হলে নিজের সাথেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে হবে। যারা সত্য জানতে ভয় পায় তারাই বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কারন মুক্তভাবে এবং যৌক্তিক ভাবে ভাবতে হলে নিজের সাথেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে হবে


একমত হতে পারলাম না ভাই, মুক্তভাবে ভাবতে হলে নিজের সাথে কেন সংঘাতে জড়াতে হবে। ধর্মের প্রতি বা বিশেষ কোনও মতবাদের প্রতি অহেতুক অনুরক্ততা জন্মালেই কেবল এটা হতে পারে। আমি ইশ্বরকে কেন্দ্র করে যেমন বৃত্ত আঁকতে পারি আবার ইশ্বরবিহীন ইউনিভার্স কিরুপ হতে পারে তা নিয়েও অংক কষতে পারি। আমার কিন্তু কোনই ঝামেলা হয় না।

আর সত্যকে জানতে বা নিজের বিঃশ্বাস হারানোর ভয় যারা করে তাদের নিয়ে প্রবন্ধের চিন্তার বাঁধা অংশে কিছু বলেছি।

৫৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষিতে মুক্ত চিন্তার চমৎকার পোস্ট মরটেম ।


হত্যা কখনো জয় হতে পারে না। বরং তা পরাজয়ের রাস্তা প্রশস্ত করে। সহমত ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পোস্টমর্টেম শব্দটারে ডরাই রে ভাই........। ও কথা কয়েন না। পিলিগ লাগে...... ;) ;)

৫৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপু!
আমি যেটা জানি অপেন থিংকিং নিয়ে----
"Open thinking is the tendency of an individual, group or institution to give preference to the adoption of open technologies or formats in regards to software, publishing, content and practice. "

মুক্তচিন্তা অপেন থিংকিং হয় আমি জানতাম না। মুক্তমনা অপেন মাইন্ডেড তাও জানতাম না। ............. :|| :|| :||
আপুনি!! কিভাবে এই ডেফিনেশন পাইলা আমাদের জানাবা একটু ........ :|| :||


ভাইয়ু-----
তোমার ওপেন থিংকিং এর ডেফিনেশন পড়ে আমি সত্যি কিছুক্ষণ কোমাতে গেছিলাম। তুমি যে ডেফিনেশন দিসো তা নেটে সার্চ দিয়ে আমিও পেয়েছি। তবে তোমার এই ডেফিনেশন তোমার পোস্ট কনটেন্ট বা আমার মন্তব্যের ওপেন থিংকিং বা মুক্তচিন্তা , ওপেন মাইন্ড বা মুক্তমনার সাথে যায় না।

মুক্তচিন্তা/ ওপেন থিংকিং বা ফ্রি থিংকিং বা মুক্তমনা বা ওপেন মাইন্ড সোজা ভাষায় receptive to arguments or ideas ।
এই মুক্তচিন্তা মূর্ত এবং বিমূর্ত দুই ই হতে পারে। যেমন কল্পনাও মুক্তচিন্তা। আবার একটা বিশ্বাসকে যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করাটাও মুক্তচিন্তা কারণ এখানে মুক্তমনা ব্যাক্তি ব্রেইন স্টর্ম করেন। মুক্তচিন্তা যদি এফেক্ট হয় তাহলে ওপেন মাইন্ড হলো কজ।দুটিই পারস্পারিক সম্পর্কযুক্ত।:)

তুমি নিজেই ডিকশনারী চেক করে দেখতে পারো। ওপেন মাইন্ড বা মুক্তচিন্তা বলতে আসলেই কি বলা হয়েছে।
Open mindedness is when even if you think you are right, you know that you can be wrong and are always willing to listen to and hear an opposing or contradictory view
এটাই এক্সসেপ্টেবল মাইন্ড। রং রাইটের গোড়ামীতে আটকে না থেকে নিজে চিন্তা করা ও অন্যের চিন্তাকেও যুক্তির ভিত্তিতে গ্রহনযোগ্য হলে তা গ্রহন করার মেন্টালিটি।


এইবার আসি তোমার ডেফিনেশনে, তুমি বলেছো-
লেখক বলেছেন: আপু!
আমি যেটা জানি অপেন থিংকিং নিয়ে----
"Open thinking is the tendency of an individual, group or institution to give preference to the adoption of open technologies or formats in regards to software, publishing, content and practice. "

তুমি এই ডেফিনেশন পেয়েছো https://couros.wikispaces.com হতে আর এই ডেফিনেশন দিয়েছেন Dr. Alec Couros।
এটি একটি আইসিটি টুলস বিষয়ক ওয়েব পেইজ কাজেই তোমার পোস্টের ওপেন মাইন্ডের সাথে এই আইসিটি টুলসের ওপেন মাইন্ডের কোনো সম্পর্ক নেই। ওপেনমাইন্ড বা মুক্তচিন্তা একটি ভাষা দ্বারা সংজ্ঞায়িত সংজ্ঞা। মানে আমার ডেফিনেশনটা তাই ছিলো।:)

ভাইয়ামনিতা!~~:) এবাল হাসো!!!!!!!!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: :) :) :)

আসলে ফ্রিথট ও ফ্রিথিংকিং শব্ধ দুটি ছাড়া অন্য শব্দের সাথে মোটেও হাঁটাচলা হয়নাই। আমিও ঠায় ১ মিনিট তব্দা গেছিলাম। পুরোপুরি আউট অফ টপিক। :| :|

অবশ্য এখন ঠান্ডা মাথায় ঘেটে সত্যই ঠিকঠাক পাইলাম। এজন্য থ্যাংকু..থ্যাংকু..থ্যাংকু........

রাতুল ভাই, নদী ভাই সহ অনেকেই বলছে প্রভাবিত না হয়ে ভাবা যায় না। এ বিষয়ে??

৫৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

অনিকেত-সুকন্যা বলেছেন: পড়লাম, বেশ মনোযোগ দিয়েই পড়লাম। ভাল লাগলো। আমি শুধু বুঝি একটাই কথা - এনিথিং এগেইনস্ট হিউম্যানিটি ইজ অলওয়েজ ব্যাড। আর অন্যের একটি কথা না দিয়ে পারলাম না - কি করে চিনবে কে শুদ্র, কে বৈশ্য, কে ক্ষত্রিয়, ও কে ব্রাহ্মণ ?

শুদ্র শুধুই নিজের কথা ভাবে, বৈশ্য নিজের সাথে সাথে পরিবারের কথা ভাবে, ক্ষত্রিয় দেশের কথা ভাবে তাই ধর্ম রাজ্যে প্রবেশের সুযোগ পায়, আর ব্রাহ্মণ এসব কিছুই নয় শুধুই জগৎ-এর কথা ভাবে। এবার আপনিই নির্দিষ্ট করে নিন কে কোথায় অবস্থান করে।

আর একটা কথা না বলে থাকতে পারছি না - আপনি বড্ড ভাল লেখেন। ভাল থাকবেন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। এতোটা সময় ব্যয় করেছেন এবং আমার জন্য আশাপ্রদ ব্যপার হলো আপনি অসন্তুষ্ট হননি। সত্যিই এটা বেশ ভাল একটি ব্যপার আমার জন্য।

এখন আপনার ৪টি শ্রেণি'র কথায় আসি। মানুষের মষ্তিষ্কের যে সিপিইউ রয়েছে, সেটা সব(৯৯.৯%) মানুষের জন্য সমান মেধানুশীলনের কর্মদক্ষতা নিয়েই জন্মায়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি যে, মানুষের চিন্তার চেয়ে বৈষয়িক সমৃদ্ধিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এ কারণে অধিকাংশ মানুষের নিজের মষ্তিষ্ক ব্যবহার করে না।

আসলে এ কারণেই যেটা হয়েছে, আমরা মানুষকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ফেলে দিচ্ছি। এতে মানুষের মষ্তিষ্কের সীমিত ব্যবহারে বেশি আউটপুট আসছে। আর সে কারণে এটা জনপ্রিয়তাও পেয়েছে বেশি।

তবে সার্বজনীনভাবে, সব মানুষের সমান মর্যাদা থাকা উচিত। নিজের পেশা ও মষ্তিষ্ক কোন দিকে লাগাবে সেটা ঐ মানুষের নিজের বেছে নেয়াই উচিত। তাহলেই পৃথিবীটা শান্তিময় হয়ে ওঠতে পারে।

৫৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

বনমহুয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: কারন মুক্তভাবে এবং যৌক্তিক ভাবে ভাবতে হলে নিজের সাথেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে হবে


একমত হতে পারলাম না ভাই, মুক্তভাবে ভাবতে হলে নিজের সাথে কেন সংঘাতে জড়াতে হবে।


গেমভাই আমার ধারণা পার্থ যা বলেছে তার অর্থটা এমন, একজন ব্যাক্তি যখন কোনো কিছু নিয়ে ভাবে বা চিন্তা করে সব ধরনের বাঁধা বন্ধন, কুসংস্কার বা প্রথার বাইরে তখন তার চিরায়ত সংস্কার প্রথার সাথে নিজেরই দ্বিধা দ্বন্দের সংঘাত জন্মাতে পারে। এই সংঘাত শুধু অন্যের মতের সাথে বা অন্যের আজীবন লালিত ধারণার সাথেই হবে এমনটা নয়। এ সংঘাত নিজের অতীত হতে পুষে রাখা ধ্যান ধারনার সাথেও হতে পারে। পার্থ এমনটাই বলতে চেয়েছে। আপনি এ ব্যাপারে টলস্টয়ের বাণীগুলি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করলেও এর উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি।

আমি ইশ্বরকে কেন্দ্র করে যেমন বৃত্ত আঁকতে পারি আবার ইশ্বরবিহীন ইউনিভার্স কিরুপ হতে পারে তা নিয়েও অংক কষতে পারি। আমার কিন্তু কোনই ঝামেলা হয় না।
এখানেও আপনার ঝামেলা বা অঝামেলা নিয়ে প্রশ্ন নয়। বৃত্ত আঁকার সময় যে চিন্তার বশবর্তী হয়ে আপনি আঁকছেন, পরক্ষনেই উল্টাভাবে আঁকবার সময় আপনার সংঘাত বা দ্বন্দ হোক বা না হোক আপনার চিন্তার গতীমুখ উলটা দিকে ঘোরাতে হচ্ছে। ব্যাপারটা কিছুটা তেমন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধন্যবাদ....। আগামী কালের জন্য সময় নিচ্ছি....।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: "একজন ব্যাক্তি যখন কোনো কিছু নিয়ে ভাবে বা চিন্তা করে সব ধরনের বাঁধা বন্ধন, কুসংস্কার বা প্রথার বাইরে তখন তার চিরায়ত সংস্কার প্রথার সাথে নিজেরই দ্বিধা দ্বন্দের সংঘাত জন্মাতে পারে। এই সংঘাত শুধু অন্যের মতের সাথে বা অন্যের আজীবন লালিত ধারণার সাথেই হবে এমনটা নয়। এ সংঘাত নিজের অতীত হতে পুষে রাখা ধ্যান ধারনার সাথেও হতে পারে।"

সংঘাত তখনই হবে যখন নিজের ধারণার বাইরে, নিজের জানার বাইরে কিছু একটা পাবেন। আর এটাই মুক্তমনা হবার জন্য প্রথম দ্বার।
আচ্ছা পার্থ ভাইয়ের প্রথম বাক্যটি বিশ্লেষণ করে দেখি।
এখানে দুটি নয় তিনটি অপশন-
১। একজন লোক যা ভাবে
২। ঐ বিষয়ে তাঁর প্রথা/সমাজ/ধর্ম কর্তৃক প্রদত্ত ধারণা
৩। অন্য কোনও থিওরী যা ২য় অপশনের সাথে সহমত নয়

আচ্ছা, ধরুন ধর্ম বলছে ইশ্বর আছেন, তিনি সর্বশক্তিমান। এথিজম বলছে ইশ্বর নেই। এটা ভুল। বিজ্ঞান বলছে এটা এখনো অমিমাংসিত। এছাড়া এটাও বলছে যে ইশ্বরবিহীন বিশ্ব হতে পারে। শুন্যতা থেকেও সূচনা সম্ভব।

এখানে আপনি কি করবেন তা আপনার এটিচুডের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি সত্য জানার প্রবলভাবে আগ্রহী হন তবে আপনি এথিজম ও রিলিজন উভয়কেই কাঠগড়ায় খাড়া করতে বাধ্য হবে।

তবে আপনি যদি জাস্ট জানতে চান ওখানে কি লেখা আছে, তাহলে আপনি কাঠগড়ায় যেকোনও একটি নিতে পারবেন না। কারণ আপনার পূর্বের মতের প্রতি যে নির্ভরতা তৈরি হয়েছে, যে আস্থা রয়েছে তা হারাতে আপনি চাইবেন না।

আমি মনে করি, পৃথিবীতে চিন্তার বিচারে তাই দুই প্রকারের লোক আছে। এক. যারা মুক্তচিন্তুক, দুই. যারা প্রচিন্তুক।

আপনি মুক্তচিন্তুক হলে প্রভাবের বাইরে গিয়ে অবশ্যই ভাবতে পারবেন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি ইশ্বরকে কেন্দ্র করে যেমন বৃত্ত আঁকতে পারি আবার ইশ্বরবিহীন ইউনিভার্স কিরুপ হতে পারে তা নিয়েও অংক কষতে পারি। আমার কিন্তু কোনই ঝামেলা হয় না।
এখানেও আপনার ঝামেলা বা অঝামেলা নিয়ে প্রশ্ন নয়। বৃত্ত আঁকার সময় যে চিন্তার বশবর্তী হয়ে আপনি আঁকছেন, পরক্ষনেই উল্টাভাবে আঁকবার সময় আপনার সংঘাত বা দ্বন্দ হোক বা না হোক আপনার চিন্তার গতীমুখ উলটা দিকে ঘোরাতে হচ্ছে। ব্যাপারটা কিছুটা তেমন।
উল্টোভাবে বৃত্ত আঁকা বলতে কি বুঝিয়েছেন? যদি বুঝান যে, একটি স্টেটমেন্টের গ্রহণযোগ্যতার নেগেটিভিটি/লজিক্যাল এরর/অ্যাপ্লিক্যাপাবিলিটি অনুসন্ধান করা তাহলে বলব যে একদম ভূল বলছেন। কারণ এটা যদি হতো তবে পৃথিবীতে এত মতের উদ্ভব হতো না।
একইভাবে বলব চিন্তার গতিপথ উল্টে যাবার ক্ষেত্রে। যেকোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে এর পজিটিভ ও নেগেটিভ উভয় দিক বিবেচনা না করলে কি চলে???

৫৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২

চাঁদগাজী বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিপল্ল জিনিসটা কি আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। আর কথা হলো শাহবাগ আন্দোলনকে আমি কোন জায়গায় বিপ্লব বললাম। আরো কথা হলো আমি তালগোল কিভাবে পাকলো তাও বুঝলাম না। আরো বড় কথা হলো ডেফিনেশন আমি কপি মারিনি, উদৃত করেছি। পরে তথ্যসূত্রও দিয়েছি। আরো উল্লেখযোগ্য হলো ডেফিনেশনের আগে আগে কিন্তু আমি কার ডেফিনেশন তাও বলেছি। "

-স্যরি, "কপি করেছেন' বলতে, বলতে চেয়েছিলাম যে, উদৃত করেছেন, কিন্তু ব্যাখ্যা করেননি।

যাক, লিও তলস্ত্যের ডেফিনেশন কিছুটা কাছাকাছি; বাকী ডেফিনেশগুলো পুর্ণ ডেফিনেশন নয়।

মুক্তমণের দরকার, মুক্তছিন্তা করার জন্য; সেজন্য ২ টি প্যারামিটার দরকার, ‘State of Mind’ ও ‘Logical Modelling’; যেসব তত্বের লজিক্যাল মডেলিং করা যায় না, সেটার জন্য চিন্তা বা মুক্ত চিন্তার দরকার নেই; সাথে সাথে, নতুন লজিক্যাল মডেলিং যদি নতুন পরিবর্তিত সত্যের প্রবর্তন করে, এবং লজিক্যাল এনালাইজারের মনের অবস্হা ( ‘State of Mind’ ) নতুন সতয়কে গ্রহনের অবস্হায় না থাকে, নতুন প্রাপ্ত সত্য হারিয়ে যাবে।

আপনি ব্লগিং ফ্লগিং সবকিছুতে "মুক্তমনা", "মুক্তুচিন্তা"কে নিয়ে আসায়, আমি উহাকে "তালগোল" পাকানো বলেনি; ব্লগিং হলো "ইন্টার একটিভ লেখন প্রসেস" মাত্র।

বিপ্লব হলো, এমন একটি পদক্ষেপ, যেটি 'বিবর্তনের' অনেক স্টেপকে অনুসরণ না করে, লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই,
কিছু মনে করবেন না। ভাবছিলাম আজই আনসারটা করব। কিন্তু হচ্ছে না। নেক্সট সময়ে করবো। ডোন্ট মাইন্ড প্লিজ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: লিও টলস্টয়ের ডেফিনেশনটা আমারও ভাল লাগছে। তবে বাকী ডেফিনেশনসমুহ কিন্তু ক্যাম্ব্রিজ অক্সফোর্ড থেকে নেয়া।

মুক্তচিন্তা করার জন্য কনসেপ্চুয়াল মডেলিংটা করতে তো হবেই। হ্যাঁ একমত যে নতুন প্রাপ্ত তথ্য আগের তথ্যের সাথে সংঘর্ষমুলক হলে সেটা হারিয়ে যাবে।

আর আমি এই ধ্যানধারণা নিয়ে কার ওপর চড়াও হলাম(ফ্লগিং) ঠিক বুঝতে পারলাম না। আপনি ভুল বুঝছেন।

তাহলে তালগোল পাকানো বলতে কোনটাকে বুঝিয়েছেন। বলবেন কি?

আর আমি শাহবাগ বিপ্লবের কথা বলিনি, বলেছিলাম স্বপ্ন ও সম্ভাবনার কথা।

৫৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অভিধানিক ভাবে এই " ওপেন- মাইন্ডেড" আর " ফ্রি - থিংকার" সমার্থক শব্দ অথবা ক্লোজলি রিলেটেড শব্দ কিন্তু এর ব্যবহারিক এবং বিশ্লেষণ ধর্মী ব্যাখা করলে এই দুইটি শব্দই একক ভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম অর্থ প্রকাশ করে । যেমন ফ্রি- থিংকার কোন মত দ্বারা প্রভাবিত হয় না , সে প্রমাণ চায় অথবা প্রমাণের অন্বেষণ করে । অপরপক্ষে যে ওপেন মাইন্ডেড সে খুবই রিজনেবল হয় , সে যেকোনো ধারনা বা মতকে স্বাগত জানায় , সব মেনে নেয় , যাকে বলে খোলা মনের মানুষ ।

ফ্রি-থিঙ্কার কখনোই প্রভাবিত হবে না বা মেনে নেবে না অত সহজে সবকিছু , কিন্তু ওপেন - মাইন্ডেড ব্যাক্তি সহজেই প্রভাবিত হবে -পানির মত মানুষ হয় তার ।

কাজেই , অভিধানিক দিক থেকে সায়মা আপু সঠিক বলেছেন আর বিশ্লেষণের দিক থেকে সায়মা আপুর পাগলা ভাইয়া গেম চেঞ্জার সঠিক বলেছেন । :D

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: গুলশান আপু!
এই বিষয়ে কোন রেফারেন্স লিংক/ইনফো সোর্স লিংক দিতে পারবেন?? থাকলে দিন প্লিজ.....

৫৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: এটাতে আবার সোর্স লাগবে কেন? আপনি এক কাজ করতে পারেন অক্সফোর্ড ডিকশনারি আর কেম্ব্রিজ ডিকশনারি তে চেক করে দেখতে পারেন ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আচ্ছা। ঠিক আছে, দেখছি। :) :)

৬০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: এটা খুবই সিম্পল ,
freethinker-
someone who ​forms ​their own ​opinions and ​beliefs, ​especially about ​religion or ​politics, ​rather than just ​accepting what is ​officially or ​commonly ​believed and ​taught ।

open minded -
willing to ​consider ​ideas and ​opinions that are new or different to ​your own

এটাকে বিশ্লেষণ করলেই পাবেন । খুবই সিম্পল হিসাব । এটাও যদি যথেষ্ট না হয় আমাকে রেফারেঞ্চ দিতে পারেন ;)



০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঠিক আছে। আমি কিন্তু আপুনির কথায় ৮০% আস্থা রেখেছিলাম। এখন কিছু নাড়াচাড়া করতেই হবে দেখছি। হাঃ হাঃ :)

৬১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০১

আরজু পনি বলেছেন:

আমিতো ভাবলাম এটা গুলশানের পোস্ট...এখন দেখি গেম চেঞ্জার ।
তবে পোস্ট যারই হোক...মুক্তমনা নামে এতো কচলাকচলি হইছে যে পড়তে মন চাইছে না ।

তবে পিসি থেকে দুরে থাকাবস্থায় মোবাইলে পড়ার একটা সুযোগ নিব ।
এখন ঘুমের যন্ত্রণায় পড়ে আরামও পাবো না ।
শুভরাত্রি ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাঃ হাঃ মুক্তচিন্তার বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকাটা খুবই জরুরী। আর রাতের বেলা আপনাদের ঘুমানো সবচেয়ে জরুরী। .... :)

৬২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

অনিকেত-সুকন্যা বলেছেন: মস্তিষ্ক একটা প্রসেসর বৈ আর কিছুই নয়। ওটাকে বেশি গুরুত্ব দেবার কোনোও কারন নেই। কম্পিউটারের সিপিইউ এর শক্তি সীমিত যদি না পেছনে কোনোও মানুষের শক্তি কাজ করে.। তেমনি মস্তিষ্কের শক্তিও সীমিত.. হৃদয়ের শক্তি যদি না কাজ করে.।

তবে মস্তিষ্ককেও ফেলে দেওয়া যায় না.। চাকরকে কি আর চাকরের জায়গা বাদে মালিকের আসনে বসানো যায়? মালিক স্থির করে সে কোন স্তরে থাকবে.। আপনি বস্তুবাদকে মানলে এক না মানলে অন্য কিছু..

ভাল থাকবেন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দুঃখিত ভাই, মষ্তিষ্ক একটি সিপিইউ। প্রসেসরে কোন স্মৃতি থাকে না। মষ্তিষ্কে কিন্তু থাকে।

আপনি মষ্তিষ্কের শারিরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার কথা বলছেন। অথচ আমরা আলাপ করছি মষ্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষদের শ্রেণিবিভেদ নিয়ে। আর বস্তুবাদের সবকিছুই কিন্তু লজিক্যাল। অস্বিকার করার কোন স্কোপ নেই। এটাও আমাদের টপিকের বাইরে।

৬৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৯

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: বিশাল জ্ঞান গর্ভ পোস্ট জিনিয়াস , পুরোটা পড়ে শেষ করতে পারিনি , মাথা আউলায় যাচ্ছিল লোডে । তবে পড়ে শেষ করার ইচ্ছে আছে তাই নিজ বাড়িতে নিয়ে রাখলাম ।

যাইহোক ,সেই অর্থে মুক্ত বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব আছে কিনা আমি জানিনা , আমার ধারনা প্রতিটা ম্যাটার ই কোন না কোন কিছু দিয়েই , প্রত্তক্ষ/ পরোক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় .।.।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হে অল্ড জিনিয়াস আপু!
মনে হয় অনেক দিন পরে...... সামুতে.....। আশা করি এবার যখন পড়তে বসবেন তখন আর মাথা আউলে ওভারলোডেড হবে না। এক কাপ গরম চায়ে দু চুমুক দিয়ে কিংবা এক মগ গরমাগরম কফি পেয়ে(পান করে) বসলে এইসব ঝামেলা হবে না। আপনার ব্লগ শোকেসে এই সাধারণ ব্লগারের পোস্ট থাকা নিঃসন্দেহে আনন্দের ব্যাপার। আর মুক্ত/বদ্ধ নিয়ে আলাপ হবে পোস্টে পঠনের পর......। :) :)
উইশ মিট নেক্সট এগেইন.....
টাইপোঃ জ্ঞান গর্ভ < জ্ঞানগর্ভ

৬৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: ডিকশনারীর সঙ্গা নিলে তো চিন্তাধারা ডিকশনারী কেন্দ্রিক হয়ে যাবে। যুক্তি দিয়া নিজস্ব সঙ্গা দেওয়াটা কি ভালো না। :)

যাইহোক, ভাই পোষ্টটি ২য় বারও পড়া হয় নাই। সবার মন্তব্য পড়তেছি। আশা করি পড়বো।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সবসময় যদি ডিকশনারী ডিকশোনারি করা হয় তবে আসলেই চিন্তার গতি ব্যহত হবে। আপনার সাথে সহমত জানাই রাতুল ভাই। পোস্টে এ কারণেই আমি নিজে ডেফিনেশন ২টি বের করেছি। মোটামুটি আলোচনা করার পরে। এগুলোই আমাদের আলোচনার খোরাক।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন ভাই। আর এইরকম আলোচনায় অংশ নিলে জ্ঞানের কলেবর কিন্তু বাড়ে। চর্চিত হয়ে সৃজনশীল চিন্তার সূযোগ পাওয়া যায়। :)

৬৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

লিও কোড়াইয়া বলেছেন: ভাই, কিছুদিন আগে প্যারালাল ইউনিভার্স বা মাল্টিভার্স নিয়ে একটি ডকুমেন্টারী দেখছিলাম। মাথা বিগড়িয়ে গেল। গানিতিকভাবে সঠিক তত্ত্ব, কিন্তু যেহেতু আমারে এখানে আরেকটি ইউনিভার্সের কথা বলছি, মানুষের সীমাবদ্ধতার কারনে সেটা কোনদিন প্রমাণ করা সম্ভব নয়। আমিও অনেক কিছু বুঝতে পারিনি। এই ব্ল্যাক হোল, বিগ ব্যাং, টাইম ট্রাভেল- এগুলো বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তি থাকার পরও বুঝতে কত কষ্ট হয়, তার থেকে একটি ঈশ্বর বিশ্বাস করা অনেক সহজ। কিছু কিছু বিষয় আছে যেটা আমাদের কল্পনার অতীত। সবকিছু চাইলেই আমরা বুঝতে পারবো না। এমনকি বুঝাতেও পারবো না। ঈশ্বর বিশ্বাস করে কেউ যদি শান্তিতে থাকে সেটা ভালো। কিস্তু সমস্যা হচ্ছে, যেটাকে আমরা শান্তির বাহক মনে করছি, সেটাই পৃথিবীতে সব চেয়ে বেশি অশান্তি তৈরি করছে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ লিও ভ্রাতা! :)

কিন্তু যেহেতু আমারে এখানে আরেকটি ইউনিভার্সের কথা বলছি, মানুষের সীমাবদ্ধতার কারনে সেটা কোনদিন প্রমাণ করা সম্ভব নয়। আমিও অনেক কিছু বুঝতে পারিনি।
এটা যদি চিন্তার ইউনিভার্স মিন করেন তবে এটা প্রমাণ করার তো কিছু নাই। এটা আমাদের মধ্যে বর্তমান। এখন কোন ইউনিভার্সের কথা বলছেন সেটাই বুঝতেছি না।

ঈশ্বর বিশ্বাস করা অনেক সহজ।
সহমত। তবে ইশ্বরে বিশ্বাস করা কঠিন যারা চিন্তা তথা দর্শনের সাথে জড়িত।

সমস্যা হচ্ছে, যেটাকে আমরা শান্তির বাহক মনে করছি, সেটাই পৃথিবীতে সব চেয়ে বেশি অশান্তি তৈরি করছে।

এই ব্যাপারটা নির্ভর করছে দৃষ্টিভঙির ওপর। মানুষের হাতে বন্দুক থাকলে যেমন সে শিকারী হতে পারে তেমন সে খুনীও হতে পারে। বুঝে নিন ব্যাপারটা।

৬৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

শায়মা বলেছেন: গুলশান আপুকে থ্যাংকস ওপেন মাইন্ডের সাথে ফ্রি থিংকারের পার্থক্য আরও বিশদভাবে বুঝিয়ে বলার জন্য।
গেমভাইয়াকে এইবার আমি আরও একটু বুঝাই-

মুক্তচিন্তা= ফ্রি থিংকিং / ওপেন থিংকিং

ওপেন থিংকার/ ওপেন মাইন্ড/ ব্রডমাইন্ডেড- প্রথাগত সংস্কৃতির বাইরে কিছু দেখলে/ ঘটলে/জানলে ওপেন মাইন্ডে বা ব্রড মাইন্ডে তা এক্সেপ্ট করে। অন্যের যুক্তি বা মতবাদকে স্বাগত জানাতে তার মাঝে কোনো রকম সংস্কার বা প্রথাগত বাঁধা কাজ করেনা। অবশ্যই সেও যৌক্তিকতা দেখেন বলেই তা সানন্দে মেনে নেন বা গ্রহন করে ফেলেন।

ফ্রি থিংকার- সে নিজের বিশ্বাস বা যুক্তিকে যা প্রথাগত সংস্কৃতির বাইরে তা বিশ্বাস করে বা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।তাকে কিছু বুঝাতে হলে অনেক যুক্তি দেখাতে হবে। পরীক্ষা দেখাতে হবে। এক কথা তিনি একটু গোয়ার প্রকৃতির।


ওপেন মাইন্ড যেমন আমি।:)
আর ফ্রি থিংকার যেমন তুমি গেমুভাইয়া। X(

:P


রাতুল ভাই, নদী ভাই সহ অনেকেই বলছে প্রভাবিত না হয়ে ভাবা যায় না। এ বিষয়ে??&gt;<<<<< প্রভাবিত না হয়েও ভাবা যাবে যদি তুমি পিকে হও। মানে কোথায় জন্মেছো। তোমার ধর্ম কি? তুমি ছেলে না মেয়ে এসব সম্পর্কে কোনো ধারণা ছাড়া, তোমার পরিবার, সমাজ সংস্কৃতির কোনো রকম প্রভাব ছাড়া, শিক্ষা ছাড়া একদম সব ভুলিয়ে পূর্ণ বয়স্ক বয়সে আকাশ থেকে পৃথিবীতে ফেললেই তুমি কোনো প্রভাবিত হওয়া ছাড়া ভাবতে পারবে। :)

লিওভাইয়ার কমেন্টে মুগ্ধ হলাম!:)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার সাথে ঝামেলা আছে। ম্যালা ঝামেলা। আপুনি!! :)
দাঁড়ান। অন্যান্য কাজকর্মগুলো সেরে আসছি।

৬৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

শায়মা বলেছেন: আমার সাথে ঝামেলা!!!!!!!!!!


আগেই হেরে যাও!!!!!!!!!!

ফু ফু ফু !!!!!!!!!!!!!!!!!!!! B-))

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রেগে যাওয়া মানে হেরে যাওয়া। রাগের ইমো কে জানি দিছে? হেঃ হেঃ B-))

৬৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

চোখের কাঁটা বলেছেন: মুক্তমনা নিয়ে আপনার বৃহৎ পোস্ট এবং আলোচনা সমালোচনা দেখে নিজেকে বেশ মুক্ত বিহঙ্গের মত লাগছে! অনেক কথাই বলতে মন চাচ্ছে তবে বলতে পারছি না কথা জড়তার কারণে.......!!

শায়মাপুনিকে ফাও বকবক করতে নিষেধ করেন? আমি কিন্তু ভীষণ রেগে যাচ্ছি! পরে ব্লগে কিন্তু হুলুস্থুল কান্ড ঘটিয়ে ছাড়বো?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাই, আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম। শায়মাপুনির সাথে আপনার কথাকথিকথন বেশ ভাল লাগে। :)

৬৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: আসলেই কি কোন মানুষের পক্ষে পুরোপুরি মুক্তমনা হওয়া সম্ভব ? মুক্তমনা হওয়ার জন্য প্রথমে অজ্ঞেয়বাদী হওয়া কি শর্ত নয়। আর এর পর প্রতিটা বিষয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচুর পরিমান পড়াশোনা, প্রতিটি বিষয়ের দলিল প্রমান বোঝার যোগ্যতা থাকাতো আবশ্যক।

মুক্তমনা দাবি করাটা সহজ কিন্তু এটা একেবারে শেষ প্রান্তে অসম্ভব বলে মনে হয়।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রথমেই আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

মানুষের জন্য কি সবসময় একই খাবার খেয়ে সন্তুষ্ট থাকা সম্ভব???

অজ্ঞেয়বাদীরা হলেন একটি বিশেষ মতাদর্শী চিন্তুক শ্রেণি। সংশয়বাদীরাও এই ধরণের আরেকটি মতাদর্শী। মুক্তমনা হওয়ার জন্য চিন্তার পদ্ধতি নিয়ে জ্ঞান অথবা উদার হওয়াটা শর্ত। অজ্ঞেয়বাদী হওয়া শর্ত নয়। আর নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে ভাবতে হলে এর সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান তো অবশ্যই অবশ্যই থাকা লাগবে।

আপনার শেষ কথার সাথে একমত নই।

৭০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: প্রথম স্টেজ তো অজ্ঞেয়বাদী হতেই হবে। তবে অজ্ঞেয়বাদীদের মত আটকে যাবে না এ শর্তে এবং দ্বিতীয় স্টেজে সংশয়বাদী হবে তবে আটকে যাবে না মানে তার চিন্তা এটা বলবে না যে সংশয়ই সমাধান বরং তার চিন্তা সামনে অগ্রসর হতে চাইবে এবং সে অগ্রসর হওয়ার পর কোন একটি স্টেজে এসে সে আসলে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোন একটি করবে। আপনিও খোলা মনে আমার কথাগুলো চিন্তা করে দেখবেন । আমি সঠিকই বলেছি।

যেসব বিষয় দুই আর দুই চার হয়ে যায় সে সব বিষয়ে প্রায় সব মানুষের কোন সমস্যা হয় না। বাড়তি তর্কেরও প্রয়োজন হয় না। বরং যেসব বিষয় এমন অদেখা তার উপরই বিশ্বাস বা অবিশ্বাস হয়।

আমি আমার শেষের কথাটায় সংশয়বাদী। এর মানে এ নয় যে আমি আমার প্রতিটা কথায় সংশয়বাদী।
এবং প্রকৃতই আমি শেষে যে কথাটি বলেছি সেটাতে সংশয়বাদী। আর আাপনি যদি নিজে তা হন (আপনার কোন বিষয়ে কোন চিন্তায় আপনি সংশয়বাদী নন) তবে এটি আপনার সৌন্দর্যকে ধংস করবে।

মানুষের জন্য সবসময় একই খাবারে সন্তুষ্ট থাকা সম্ভব নয় তবে কোন কোন খাবারে চিরকাল লবন সহ আবার কোন খাবারে চিরকাল লবনহীন সন্তুষ্ট থাকা সম্ভব। এতএব চিন্তার জগতে কোন বিষয়ে হয়তো মানুষ চিরকাল একই জায়গায় সন্তুষ্ট আবার কোন বিষয়ে না।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: "অজ্ঞেয়বাদীদের মত আটকে যাবে না এ শর্তে এবং দ্বিতীয় স্টেজে সংশয়বাদী হবে তবে আটকে যাবে না মানে তার চিন্তা এটা বলবে না যে সংশয়ই সমাধান বরং তার চিন্তা সামনে অগ্রসর হতে চাইবে এবং সে অগ্রসর হওয়ার পর কোন একটি স্টেজে এসে সে আসলে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোন একটি করবে। আপনিও খোলা মনে আমার কথাগুলো চিন্তা করে দেখবেন।"

আপনি Phase এর কথা বলছেন। আমি এটাকে পর্যায় বলব। জানিনা অজ্ঞেয়বাদী বলতে কি মিন করছেন। তবে এটার ডেফিনেশন এই লেখায়ই পাবেন। আর এটা মুক্তমনা হবার জন্য কোনভাবেই জরুরী নয়। ভাই, দেখেন একটু চোখ দিয়ে।
মনে করুন, আপনি একজন অজ্ঞেয়বাদী। এখন আরেকবার আপনার মনে একটি তাড়না কাজ করলো যে ইশ্বর আছেন কি নেই সেটা যাচাই করার। আপনি বিজ্ঞানের বড় বড় মনীষীদের তত্ব অধ্যয়ন করা শুরু করলেন। লজিকগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বিচার করলেন। এটাকে আপনি নিশ্চয়ই সংশয়বাদীতা বলবেন না।
অনেক পরিমাণে আরগুমেন্ট, রিফিউটিং আরগুমেন্ট এককথায় লজিক্যাল ভাবনা শেষে হয়তো একটি সমাধানে পৌছালেন। সেটাকে যদি আপনি নির্ভরতা বলেন তবে আপত্তি আছে। কারণ মুক্তমনারা কি সিদ্ধান্তে পৌছাবেন না?

"আমি আমার শেষের কথাটায় সংশয়বাদী। এর মানে এ নয় যে আমি আমার প্রতিটা কথায় সংশয়বাদী। "

আমি উপরের প্রতিমন্তব্যে কিন্তু এই কথা কোন সময়ই বলিনি।

"মানুষের জন্য সবসময় একই খাবারে সন্তুষ্ট থাকা সম্ভব নয় তবে কোন কোন খাবারে চিরকাল লবন সহ আবার কোন খাবারে চিরকাল লবনহীন সন্তুষ্ট থাকা সম্ভব। এতএব চিন্তার জগতে কোন বিষয়ে হয়তো মানুষ চিরকাল একই জায়গায় সন্তুষ্ট আবার কোন বিষয়ে না।"

এমন কোনও তথ্য/সুত্র/রেফারেন্স দিতে পারবেন??

৭১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: আমি যতটা না ডেফিনেশন অনুযায়ী ব্যক্তিকে মূল্যায়ন করতে চেয়েছি তার চেয়ে বেশী চেয়েছি ব্যক্তির বাস্তব অবস্থার মূল্যায়ন। সেটা যতটুকু ডেফিনেশনের সাথে মিলে ততটুকুই। এতএব সাময়িকভাবে হলেও তাকে অজ্ঞেয়বাদী হতে হবে এরপর সংশয়বাদী এটা কোন অর্থে তা আমি আগের মন্তব্যে পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি।

এবং অবশেষে যার পক্ষ এবং বিপক্ষে ক্ষুরধার যুক্তি আছে এবং কোনটাই বিজ্ঞান তত্ব থেকে উন্নত হয়ে প্রকৃত বিজ্ঞান হয়ে উঠতে পারেনি তা নিয়ে বিশ্বাসই করা সম্ভব হবে। সে বিশ্বাসের মাত্রা এককেজনের এককে রকম হবে এটা স্বাভাবিক।

শেষেরটার তথ্য দেয়ার কোন প্রয়োজন আছে মনে করি না। এটা এমন একটা বিষয় যা প্রতিনিয়ত মানুষ মুখোমুখি হয়। এতএব আমার এ কথাটি ঠিক বেঠিক নিরুপনের জন্য কোন সূত্র প্রয়োজন নেই। এবং এটা আমি আমার স্বাভাবিক যুক্তিবোধ থেকে বলেছি। আপনি যদি খন্ডাতে পারেন খন্ডান। আমার আপত্তি নেই।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য বিনীত ধন্যবাদ!! :)

আপনার বক্তব্যানুসারে "সাময়িকভাবে হলেও তাকে অজ্ঞেয়বাদী হতে হবে এরপর সংশয়বাদী" ব্যাপারটা কোন বিষয় নিয়ে চিন্তা করার সময়কার একটি পর্যায়। এটাকেই আপনি অজ্ঞেরবাদী বুঝাচ্ছেন। ব্যাপারটা নিয়ে আমি আর কিছু বলব না।

ভাই, মাঝের প্যারায় যা বলছেন সেখানে "বিঃশ্বাস" এর ডিফাইন আপনি কিভাবে করেন সেটা জানা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ নিয়েও আর কিছু বলছি না।

শেষের খাদ্য বিষয়টা নিয়ে বলবো এটা সেলফ রিফিউটেড।

৭২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: দেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে মুক্ত চিন্তার চমৎকার পোস্ট মরটেম । তবে এই পোষ্টে আমি লাস্ট হইলাম কেন সেই দুখে কাহিল হইতেছি। আরো আগে মন্তব্য করা উচিৎ ছিল কিন্তু ঢাকায় না থাকার কারণে চোখ পিছলাইয়া গেছে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, সামু ছড়াকার প্রামানিক ভাই! :)

৭৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই মুক্তমনা হইয়া বা নিজের ভাবনা দিয়া কথা কইয়াই বা লাভটা কী!!!

পোষ্ট দিছিলাম - সরায়া দিল। নিশ্চিতরূপে পইড়াও দেখে নাই। শুধু টাইটেলেই সরায়া দিল।

ব্যাপারটা ভাল্লাগলো না।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হায় হায়!! এ কি কন? ফিডব্যাকে মেইল করেন....... ব্যাপারটা বুঝায়া বলেন....

৭৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

ধমনী বলেছেন: মুক্তচিন্তা কি মানুষকে চিন্তামুক্ত (নিরাপদ) করে নাকি মুক্তির (জাগতিক শৃঙ্খল) চিন্তা দেয়? যদি দুটোর কোনটাই না করে তবে তা অপ্রয়োজনীয়। কেবল অনলাইন ডিকশনারি আর পূর্ববর্তীদের সংজ্ঞায়নে প্রভাবিত হলে সেটাও মুক্তচিন্তা থাকে না। প্রতিটি মানুষই জন্মগতভাবে মুক্তচিন্তার অধিকারী। তবে প্রত্যেকের চিন্তাই বিশ্বাসের কাঠামোর উপর ভিত্তি করে তৈরী, সেটা স্রষ্টার উপস্থিতির বিশ্বাসই হোক বা অনুপস্থিতির বিশ্বাসই হোক। যারা বিশ্বাসকেও সংজ্ঞায়িত করতে পারে না তারা মাঝামাঝি - অজ্ঞেয়বাদী। মুক্তচিন্তার জন্য মুক্তবিশ্বাস জরুরী। আর প্রয়োজন উগ্রবাদিতা এবং গোঁড়ামি পরিহার করা, সেটা আস্তিক বা নাস্তিক সবার ক্ষেত্রেই।
- আপনার পরিশ্রম লব্ধ পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার ভাবনার প্রতি সম্মান জানাই।
"মুক্তমনা হবার দরকার হবে ঠিক তখনই যদি আপনি চান কোনও বিষয়ে সত্যতা নিরুপণ করতে। ইশ্বর, সৃষ্টিজগত, ব্যোম, মহাশুন্য, অপরাবাস্তবতা, পরলোক, বিচার, স্বর্গ, নরক, শুন্যতা, অসীমতা, কাল্পনিক বাস্তবতা, পরম অস্তিত্ব, জীবনের লক্ষ্য, অর্থ-ব্যবসা ও বৈষয়িক জীবনের নৈতিকতা, জীবনের সার্থকতা, মানবীয় সম্পর্ক, পরিবার, সমাজ, বন্ধুত্ব সর্বোপরি পরাবাস্তবের সাথে বিশ্লেষণ।
যদি আপনি বর্তমানের বিঃশ্বাস নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন তবে আপনার মুক্তমনা হবার দরকার নেই। তবে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে সিদ্বান্ত নিতে হলেও আপেক্ষিভাবে কেবল ঐ বিষয়ে নিজেকে মুক্তমনা হিসেবে ভাবতে কোনই অসুবিধে নেই।"

এখানেই অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর আছে। তবে মুক্তবিঃশ্বাস বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন সেটা জানা দরকার ছিল।

৭৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: আমার একটা লেখা সামু সরিয়ে ফেলেছে। আমি প্রশ্নটা আপনাকে করি বোনকে বিবাহের বিরুদ্ধে মুক্তমনাদের যুক্তি কি ?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কয়েকদিন কাজের খুব ব্যস্ততায় আছি। সময় নিচ্ছি।
আমার কাছে এ ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য আছে। অ্যানসারটা আপনাকে দেয়ার চেষ্টা করব এবং অবশ্যই বেঁচে থাকলে আপনাকে বিশদভাবে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করবো।। মনে হচ্ছে আপনি ধর্মপ্রাণ মানুষ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আন্তরিকভাবে দুঃখিত,
বিষয়টা খেয়ালের বাইরে চলে গিয়েছিল।
আমি আপনাকে একটা বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, বোনকে বিবাহ করাটা মানব সভ্যতার একটা সাধারণ স্বভাব বিরুদ্ধ কাজ। এবং নীতিগত ব্যাপারটা আপেক্ষিক।
মানে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণের বাইরে গেলে একজন ছেলের ও তার বোনের যদি ঐক্যমত হয় যে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে তাতে কেউ বাধা দেয়ার দরকার নেই। কিন্তু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ব্যাপারটার বিপক্ষেই মত দিতে হয়। কারণ-

↻ বংশবৃদ্ধির উর্বরতা সমস্যা ও শুক্রাণুর টেকসই গুণাগুণের অভাব
↻ জেনেটিক ডিসঅর্ডার
↻ মুখাবয়বের প্রতিসাম্য গুণের বিনাশ
↻ নিম্ন জন্মহার
↻ একই সাথে শিশু মৃত্যুর হার অধিক হওয়া
↻ বাচ্চার বৃদ্ধি তথা শারিরিক ওজন, উচ্চতা, আকার সংক্রান্ত ক্রম অবনতি সূচক বেড়ে যাওয়া
↻ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিশাল ঘাটতি

৭৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৬

চলেপথিক বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞানগর্ভ এমন চমৎকার একটি আর্টিকেলের জন্য । সত্যি কথা বলতে কি সাধারণত অনেক বড় প্রবন্ধ হলে আমি কিছু কিছু বাদ দিয়ে পড়ি কিন্তু এক্ষেত্রে এটি আরও বড় হলেও ক্ষতি ছিল না । মুক্তচিন্তা বিষয়টা বোঝার জন্য যথেষ্ঠ ঊপাদান এর মধ্যে রয়েছে । অনেকে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন এটি অবশ্যই পক্ষপাত মূলক ভাবনার বহিঃপ্রকাশ এতে কোন ভুল নেই । মুক্তচিন্তা মানে ধর্মের বিরোধিতা নয় ধর্ম মানুষের জীবনের একটি উপসর্গ মাত্র, সব কিছু নয় ।
একজন মানুষ তার দীর্ঘ জীবনে আনেক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠে তাই জীবন সম্পর্কে তার নিজস্ব একটি মূল্যায়ন থাকতেই পারে, আর সেটি প্রকাশ করার অধিকার তার রয়েছে । আমদের মনে রাখতে হবে প্রচলিত অন্ধ বিশ্বাস আর ভ্রান্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা না করাটাই হচ্ছে অধর্ম । তাই কোনটা অন্ধবিশ্বাস আর কোনটা ভ্রান্তি আলোচনা না করলে কি ভাবে তা উদ্ঘাটিত হবে ?
সম্মানিত লেখক , আপনি ভাই বোনে বিয়ের বিষয়ে যে জবাবটি দিয়েছেন এটি শত ভাগ সঠিক ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনি ধৈর্য ধরে পড়েছেন সাথে বিষয়টার সাথে যৌক্তকতা খুঁজেছেন তাতেই লেখার সার্থকতা জড়িত। সুচিন্তিত মতামতও দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আন্তরিকতা সংরক্ষণ করার জন্য।

শুভকামনা রইল। :)

৭৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪০

জেন রসি বলেছেন: মানব মনের দুইটা বিচিত্র ব্যাপার আছে। একটা হচ্ছে যুক্তি এবং আরেকটা বিশ্বাস! এখন বলা যেতে পারে মন জিনিসটা কি? সেটাকেও বৈজ্ঞানিক ভাবে বিশ্লেষণ করলে মস্তিষ্ক এবং জীনের অনেক ব্যাপার চলে আসছে! কেউ বলে মানুষ ব্ল্যাংক স্লেট! আবার কেউ বলে মানুষের জীনে পূর্বপুরুষ থেকে পাওয়া অনেক কিছুই থেকে যায়। এসব নিয়ে এখন অনেক তর্ক বিতর্ক হচ্ছে। বিশেষ করে cultural determinism এবং genetic determinism নিয়ে দু পক্ষ আজ বিভক্ত। আমি মনে করি মুক্ত চিন্তার ব্যাপারটা cultural determinism এবং genetic determinism, এই দুইটা ব্যাপারের সাথেই সম্পর্কিত।

অনেক কিছু নিয়ে এই পোস্টে চমৎকার আলোচনা হয়েছে। মন্তব্যগুলো আরো বিস্তারিত ভাবে পড়ে বলার কিছি থাকলে বলব।

এই পোস্টে আমি আগে একটি মন্তব্য করেছিলাম। কিন্তু সেটি কেন নাই বুঝলাম না। পোস্ট আগেই প্রিয়তে নিয়েছি। এসব ব্যাপার বারবার পড়ে ক্লিয়ার হতে হয়! আমি অন্তত তাই করি। :)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি তো কোন মন্তব্য ডিলিট করি না। আর আপনার কোন মন্তব্য মুছে দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

আপনার ব্লগবাড়িতে গিয়ে দেখেছি যে এটা শোকেসে সুন্দরভাবে রাখা আছে। :)

genetic determinism এবং cultural determinism এ দুটো টার্মের কারণেই মানুষ বহুধাবিভক্ত হয়ে পড়ছে। পক্ষ কেবল দুটি যদিও নয় তবে বেসিকেলি আসলেই ২টি।

মুক্তচিন্তা কিংবা অন্য যেকোন চিন্তার প্রশ্নে মন/মানব/বুদ্ধিমত্তা এরকম অনেক টার্ম-ই চলে আসে। যুক্তি ও বুদ্ধিমত্তা পরস্পরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আবেগের সাথে বিশ্বাসও ঐভাবে পরস্পরের সাথে জড়িত।

এখন মুক্তচিন্তার জন্য অবশ্যই আবেগ ও বিঃশ্বাসকে একটা নির্দিষ্ট টার্মে সীমিত রাখতে হবে। একই সাথে যুক্তি ও বু্দ্ধিমত্তাও অন্য প্রকোষ্টে রেখে সুশৃংখলভাবে বিচার করতে হবে।

যুক্তির সাথে বিশ্বাসের মতৈক্য হলে আবেগের স্রোতে জোয়ার আসে। আর বিপরীত ঘটলে ভাটা পড়ে। তখনই মানুষকে চিন্তা করার নিজস্ব একটা পদ্ধতির তাড়না অনুভূত হয়।

মুক্তচিন্তায় উত্তরণের এটা একটি স্বাভাবিক পন্থা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

৭৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: এই পোষ্ট নিয়ে একটু গবেষণা করতে হবে, অনেক জ্ঞানী গুনীর বিচরণ লক্ষ করা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে এখানে জ্ঞান লুকিয়ে আছে তাই আপাদত প্রিয়তে রেখে দিলাম।
ধন্যবাদ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পারস্পরিক তথ্য আদান প্রদানে উভয়ের জানার পরিসর বিস্তৃত হয়। আপনার প্রিয়তে রাখার মানে এটাই যে, আপনি জানতে চান। সামুতে আপনাকে স্বাগতম!!

হ্যাপি ব্লগিং।

৭৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: এতদ্বারা সকলকে জনানেো যাইতেছে যে- পোষ্টটি গবেষণা করিয়া যাহা পাওয়া গেল তাহা নিম্নরুপ -
*মুক্ত চিন্তার নামে লেখক মুলত “ স্রষ্টা বলতে কিছু নেই” এ কথাটিই বলতে চেয়েছেন। লেখক আরও বুঝাতে চেয়েছেন যে, যাবতীয় প্রভাবের বলয় থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন এবং স্বচ্ছ ভাবে আপন মনে নিজস্ব ভাবনা দ্বারা চিন্তা করুন এবং বেশি বেশি জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করুন, তাহলেই স্রষ্টা বলতে কিছু নেই তা সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে সেই সাথে খুলে যাবে পরম অপরিসীম জ্ঞানের দুয়ার । এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের যাবতীয় রহস্য ব্যখ্যা করতে এখন আর আমাদের স্রষ্টা ও ধর্মের প্রয়োজন নেই ওগুলো সেকেলে উপকথা মাত্র। সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে ধর্ম তার উপোযোগীতা হারিয়েছে। মানব সভ্যতায় এখন আর ধর্মের কোন প্রয়োজনই নেই। যতদিন পর্যন্ত মনে স্রষ্টা নামক যুজুর সমান্যতম বিশ্বাস থাকবে ততদিন পর্যন্ত প্রকৃত মুক্ত মনা হওয়া যাবে না। পোষ্টের মূল শানে নূযুল মুলত এটাই।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

কয়েকজনের মন্তব্যে ভাল লেগেছে এবং কিছুটা একমতও বটে যেমন-
৮: নাম্বার মন্তব্য = অগ্নি সারথি
১৬: গুলশান কিবরীয়া
২৫: রক্তিম দিগন্ত
২৭: শতদ্রু একটি নদী
২৯: শতদ্রু একটি নদী - -- যদিও ২৭ নম্বারের সাথে সাংঘর্ষিক তবুও :-P
৩২: বাচ্চাকাচ্চা
৩৮: বনমহুয়া
৪৩: রাতুল_শাহ
৪৪: শায়মা
৫২: পার্থিব পার্থ
৫৫: অনিকেত-সুকন্যা
৬৫: লিও কোড়াইয়া
৬৯: ৮৩১আবীর১৯৮৩
৭০: ৮৩১আবীর১৯৮৩
৭৪: ধমনী
৭৭: জেন রসি
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মজার উক্তি
৩১: গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: জানিনা বাবা , মনে হয় আমিই হাবা । B:-)
৬৪: রাতুল_শাহ বলেছেন: ডিকশনারীর সঙ্গা নিলে তো চিন্তাধারা ডিকশনারী কেন্দ্রিক হয়ে যাবে। যুক্তি দিয়া নিজস্ব সঙ্গা দেওয়াটা কি ভালো না। :-P
---------------------------------------------------------------------------------------------------------
জ্ঞানগর্ভ এমন চমৎকার একটি আর্টিকেল আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোষ্ট সম্পর্কে "মহা সমন্বয়" এর মহা বক্তব্য পরে পেশ করা হইবে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনি যেটা স্টেটমেন্ট দিলেন যে,

*মুক্ত চিন্তার নামে লেখক মুলত “ স্রষ্টা বলতে কিছু নেই” এ কথাটিই বলতে চেয়েছেন। লেখক আরও বুঝাতে চেয়েছেন যে, যাবতীয় প্রভাবের বলয় থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন এবং স্বচ্ছ ভাবে আপন মনে নিজস্ব ভাবনা দ্বারা চিন্তা করুন এবং বেশি বেশি জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করুন, তাহলেই স্রষ্টা বলতে কিছু নেই তা সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে সেই সাথে খুলে যাবে পরম অপরিসীম জ্ঞানের দুয়ার ।

এটা হচ্ছে আপনি যেটা বুঝলেন সেটাই। মুক্তচিন্তা'র মানে নিশ্চয়ই এ সিদ্ধান্ত দেয়া নয় যে, ইশ্বর আছেন/নাই। আপনার বিঃশ্বাসকে প্রভাবিত না হতে দিয়ে যে চিন্তা করবেন, সুষ্পষ্ট ও যুক্তির আলোকে যে চিন্তা করবেন সেটাই হলো মুক্তচিন্তা। এর মানে এই না যে, আপনার বিঃশ্বাস হারিয়ে ফেলেন।

সুচিন্তিত ও প্রাণোচ্ছল একটি মন্তব্য প্রদানের জন্য আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। :)

৮০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: পোষ্ট সম্পর্কে "মহা সমন্বয়" এর মহা বক্তব্য পরে পেশ করা হইবে।

তার আর কোন পর নেই। :-P

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঠিকাছে। হাঃ হাঃ হাঃ

(তয় আপ্নারে পুরান পাপী মনে হুইতাছে)

৮১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২

শায়মা বলেছেন: ৮০. ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৩ ০
মহা সমন্বয় বলেছেন: পোষ্ট সম্পর্কে "মহা সমন্বয়" এর মহা বক্তব্য পরে পেশ করা হইবে।

তার আর কোন পর নেই। :-P


০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৬ ০
লেখক বলেছেন: ঠিকাছে। হাঃ হাঃ হাঃ

(তয় আপ্নারে পুরান পাপী মনে হুইতাছে)


আমিও মনে রাখিলাম :) :)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: :) :)

৮২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২২

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমি তো পুরান পাপীই তয় আপনি জানলেন ক্যামতে ? অবশ্যই আপনার ভাল অভিজ্ঞতা আছে একথা বলতেই হয়।
আর সামুতে না প্রথম আলো ব্লগে কয়েকটি পোষ্টও করেছিলাম আর সামুতে শুধু কমেন্ট করতাম। টেকটিউনসেও আমার পোষ্ট আছে.. কিন্তু কোন একটা একাউন্টেও আর লগিন করতে পারি না ইউজার নেম পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া এবং জিমেইল একাউন্ট ডিজেবল হওয়ার কারণে।
আসলে অনকে দিন ধরে ব্লগিং ছেড়ে ফেসবুকে ছিলাম তবে এখন আমি ফেসবুক থেকে মুক্ত এবং পুরোপুরিই মুক্ত। এখন বুঝতে পারি ব্লগ ছাড়াটা আমার ঠিক হয় নাই ।
আসলে আমি ব্লগার না আমি হলাম কমেন্টার.... সেরা কমেন্টার হিসেবে একটা ব্লগ আমাকে অনুষ্ঠান করে পুরুস্কারও দিয়েছে যদিও ব্লগটা এখন বন্ধ। :)
আমি লিখার চেয়ে পড়তে ভালবাসি বেশি। যদিও আমি গাদা গাদা পোষ্ট করতে পারি না কিন্তু সাবধান আমাকে নতুন মনে করলে ভুল করবেন। হে হে। আর ব্লগ রাজনীতি এগুলা আমি ভালই বুঝি .. ফেসবুকে কত কিছু করতাম :-P ইচ্ছে করলে্ ওগুলো ব্লগেও করা যায় একসাথে অনেকগুলো একাউন্ট করে তারপর নিজে নিজেই কমেন্ট করা আর গুরু সাজা ।
কিন্তু এখন সবাই সচেতন হয়ে গেছে এসব ভন্ড বাবাদের দিন শেষ। আর আমি এটা পরিস্কার বুঝি ফেসবুকে যেমন মানুষ আসক্তি হয় ব্লগেও তেমন আসক্তি হয় তবে ফেসবুকের চেয়ে ব্লগে আসক্তি অনকেগুন ভাল। যদিও একটা জিনিস ছাড়া পৃথিবীর কোন কিছুই আমাকে আসক্তি করতে পারে নাই আর পারবেও না।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল বলেছেন।
পুরান পাপী নিশ্চিত হয়ে ভাল্লাগলো। :)

সেটাও একটু একটু আঁচ করেছিলাম যে, আপনি পোস্টের চেয়ে কমেন্টে বেশি মনোযোগী। ফেসবুকের মতো জায়গার আগে আমি ব্লগে ছিলাম। তবে সেটা ছিল "আমার ব্লগ"।

ঐখানের পোস্ট শেয়ার করতে করতে ফেবুতে এক্টিভ হয়ে গেলাম। একটা সময় মনে হলো কি জানেন? ফেসবুকে সস্তা জনপ্রিয়তা পাচ্ছি। পারসোনাল একাউন্টে কয়েক হাজার ফ্রেন্ড মেইনটেইন করা, প্রতিদিন স্ট্যাটাস দেয়া, ছবি দেয়া। এইগুলো করে আসলে কি কোন লাভ হয়?
আমার উপলদ্ধি হলো নাথিং। কোন কিছুই নাই অর্জনে। তার চেয়ে দু একটা মানসম্পন্ন লেখা লিখে যদি এখানে একটু চর্চা করা যায় সেটাই ভাল হবে।
কিন্তু এখন সবাই সচেতন হয়ে গেছে এসব ভন্ড বাবাদের দিন শেষ। আর আমি এটা পরিস্কার বুঝি ফেসবুকে যেমন মানুষ আসক্তি হয় ব্লগেও তেমন আসক্তি হয় তবে ফেসবুকের চেয়ে ব্লগে আসক্তি অনকেগুন ভাল। যদিও একটা জিনিস ছাড়া পৃথিবীর কোন কিছুই আমাকে আসক্তি করতে পারে নাই আর পারবেও না।

ঠিক ধরেছেন। একসময় ফেবুতে একই কাজ ২/১ বার করিনি যে তা নয়। তবে নিজের আত্মসম্মানের দিকে দেখে তা বাদ দিয়ে দিই।
অনেক কথা বলে ফেললাম। যাইহোক, সাথেই থাকুন। শুভকামনা। :)

৮৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমার আর একটা অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে চাই অনকের কাজে লাগলে লাগতেও পারে। আর তা হল-
ভার্চুয়াল জগতে যে যত বড় তারকা বাস্তব জগতে সে তত বড় ব্যর্থ এবং গর্দভ এবং সমাজ চ্যুত। এটা আমার বহুত বছরের গবেষণার ফসল। সুতরাং খেয়াল কইরা। ;)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: নিজের বিজনেস অনলাইন বেজড থাকায় সমস্যা হচ্ছে না। পুটি ব্যবহার করে সার্ভার ম্যানেজ করে ফেলি খুব সহজেই। তাই আর্থিক বিষয়টা কোনই সমস্যার না।
এদিক থেকে ব্যর্থ বলার কোন ছুঁতো দেখছি না। আর একেবারে সফলও বলছি না। কারণ জাতীয় কোনও পত্রিকায়/মিডিয়ায় কোনওদিন কাভারেজে আসার মতো কাজ করিনি।
যাইহোক, ভার্চুয়াল জগত ছাড়া কেউ কি বাস্তব জীবনের পরিপূর্ণতা উপভোগ করতে পারবে?

৮৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: যাইহোক, ভার্চুয়াল জগত ছাড়া কেউ কি বাস্তব জীবনের পরিপূর্ণতা উপভোগ করতে পারবে?[/si
এর উত্তর হচ্ছে: না।
ওই যে আমার পোষ্টে আগেই বলেছি কোন কিছুই অপ্রোয়জনীয় নয়, এই বিশ্বজগতে যা কিছু আছে তার সবকিছুর প্রয়োজন রয়েছে শুধু সময় আর ক্ষেত্র বিশেষের করনে এর চাহিদা পরিবর্তীত হয়।
সমস্যা বাঁধে তখনই যখন সমন্বয়ের ব্যাঘাত ঘটে মনে, নিদ্রিষ্ট কোন একটি বিষয়ের প্রতি যখন অতি আসক্তি অথবা অতি ঘৃণার জন্ম নেয় তখনই ভারসম্যে বেঘাত ঘটে আর সংকটের সৃষ্টি হয়। আর প্রাকৃতিক ভাবেই কোন এক সময় উক্ত সংকট কেটে যায় আর এ জন্য এক পক্ষ অথবা উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় / অথবা উভয় পক্ষই লাভবান হয় যে ভাবেই হউক সংকট নিরশন হয়।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এখন ঘুমাতে যাচ্ছি। আপনাকে আগামীকাল এটার উত্তর দেব। (বেঁচে থাকলে)

৮৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: আর পোষ্ট সম্পর্কে "মহা সমন্বয়ের" মহা বক্তব্য খুব সংক্ষেপে পেশ করছি :-P
জানি একবার ব্লগ থেকে বেড়িয়ে গেলে আবার কবে আসি তার ঠিক নেই। আমার বক্তব্য সাংঘর্ষিক, স্ববিরোধী মনে হতে পারে অথবা পাগলের প্রলাপও মনে হতে পারে আর এটাই স্বাভাবিক কারণ "মহা সমন্বয়" সর্বোচ্চ তত্ব জ্ঞানী নয় আর প্রকৃত সত্যের সন্ধানও পায়নি। আর যদি কখনও এটা দাবি করি তাহলে সাক্ষী থাকুন নিঃশ্চিত ভাবেই আমি মিথ্যাবদি এবং ভন্ড।

প্রকৃত মুক্তমনা আমি এখনও হতে পারি নি অবার হতেও পারি। অথবা প্রকৃত মুক্তমনা আসলে যে কি তা আমি নিজেও জানি না।
প্রকৃত মুক্ত মনা বলতে আমি কিছুই পাইনি, আবার মনে হয় অনেক কিছু পেয়েছি।
আমি একটা কথা পরিস্কার করে বলতে চাই আর তা হচ্ছে আমি বিভ্রান্ত এবং চুরান্ত পর্যায়ের বিভ্রান্ত এবং এ ব্যাপারে আমার মধ্যে কোনই স্বংশয় নেই। আমি সবচেয়ে বড় যে সত্যের সন্ধান পেয়েছি তা হল বিভ্রান্তি আর মি যে বিভ্রান্ত সেটাই হচ্ছে আমার কাছে চরম সত্য। আর কোন ধরণের অলৌকিকতায় বিশ্বাস করি না জ্বীন,ভুত,প্রেত, যাদু,টোনা, তাবিজ,কবজ, হাবিজাবি যা আছে সব সব। আর এটাও বিশ্বাস করি যত বড় সাইকোলোজিষ্ট হউক না কেন আমাকে জানিয়ে কখনো আমাকে সম্মোহিত করতে পারবে না। এমনকি খোদ প্রবীর ঘোষও না যদিও প্রবীর ঘোষ আমার জীবনে সবচেয়ে বড় প্রভাব বিস্তারকারী ব্যাক্তি এবং আমার মনের কোনে জমে থাকা হাজার বছরে যাবতীয় অন্ধতা দুর করে দিয়েছেন। উম্মোচন করে দিয়েছেন যাবতীয় রহস্যের। শিখিয়েছেন চিন্তা করার পাগলা ঘোড়া ছুটাতে। আর এই চিন্তার পাগলা "মুক্ত মানা নামক" ঘোড়া ছুটাতে ছুটাতে বেড়িয়ে পড়লাম প্রবীর ঘোষের গন্ডি থেকে বুঝতে পাড়লাম কারও গন্ডিতে আবদ্ধ থেকে প্রকৃত মুক্ত মনা হওয়া যায় না। আমি এখন আর প্রবীর ঘোষের গন্ডিতে আবদ্ধ নই তবে উনার কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। বলতে দ্বীধা নেই আমার মহানায়কেরা চেঞ্জ হয় আর এভাবেই হয়ে উঠলাম নিজেই নিজের "মহা নায়ক"।
আর নাস্তিকতার কিছু ব্যাপার আছে তা এখানে যাবে না বলা.. নাস্তিকতা চর্চা নিয়ে যদি কোন দিন পো্ষ্ট করি তাহলে হয়ত বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে আর সেটা কবে সম্ভব হবে বা আদৌও পোষ্ট করা হবে কি না তা আমি জানি না।
আর প্রকৃত মুক্তমনা বলতে এই পৃথিবীতে আমি এখনও কাউকেই পাইনি, ঘুরে ফিরে কোন না কোন গন্ডিতে আবদ্ধ আর সগর্বে ঘোষণা করে আমিই তো পেয়ে গেছি প্রকৃত সত্যের সন্ধান আমিই তো প্রকৃত মুক্ত মনা। কিন্তু বাস্তবে তারা, হয় ধর্মের কুয়োয় নয়তো নাস্তিকতার বেড়াজালে্‌ আবদ্ধ ।
যখন ধর্মের কুয়োয় আবদ্ধ থাকে তখন তাদের কাছে নাস্তিকরা হল তাদের দুই চোখের বিষ এই দুনিয়ার যাবতীয় সমস্যার জন্য নাস্তিকরা দায়ী যে কোন মুল্যে তাদের হঠাতে হবে তাদের কল্লা ফালায়ে দিতে হবে। আর যখন নাস্তিকতার বেড়াজালে আটকা পরে তখন বলে আমারাই তো প্রকৃত জ্ঞনাী, আমরাই তো এই মহবিশ্বের সব সব রহস্যের উদঘাটন করেছি।
ধর্ম বলতে কিছু ছিল না, ইশ্বর বলতে কিছু নেই আর আমরাই তো প্রকৃত মুক্ত মনা। তাদের চোখে ধর্মের জন্যই পৃথিবী হাজার বছর পিছেয়ে রয়েছে এবং যাবতীয় সমস্যার মুলে রয়েছে ওই ধর্ম। তারা বলে ধার্মিকরা তো কিছুই জানে না তারা তো গুহা বাসী অন্ধ। আপনিই বলুন একে কি মুক্তমনা বলে ?
তাহলে মুক্তমনা কি ? আসলেই কি মুক্তমনা্‌ বলে কিছু আছে ? কোন না কোন একটি গন্ডিতে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া কি কোনই উপায় নেই ? যে-ই যে গন্ডিতে আবদ্ধ হয়ে যায় সে হয়ে উঠে উক্ত গন্ডির কট্টর সমর্থক আর বিপক্ষ গন্ডির চরম শত্রু। তাহলে তারা মুক্তমনা কিভাবে হয়?
আমার মনে হয় শুধুমাত্র বদ্ধ পাগল এবং শিশু তারাই প্রৃকৃত মুক্ত মনা। এছাড়া যারাই নিজেকে মুক্তমনা দাবি করে তারা সকলেই ভন্ড এবং মিথ্যাবাদী।
তবে আমি আমি আকাশ,বাতাস,পাতাল, অতীত,বর্তমান, ভবিষ্যত, আল্লাহ,খোদা,জ্বীন,পরী ভুত, যাদু, তাবিজ, কবজ, আস্তিকতা, নাস্তিকত,ধর্ম, অধর্ম, সত্য, মিথ্যা, সচেতন, অবচেতন মনে বহু গবেষণা করে প্রকৃত মুক্ত মনার মোটামুটি একটা সংজ্ঞা দাঁড় করিয়েছি। আর তা হল যে ব্যক্তি- সকালে মসজিতে যায় এবং বিকেলে পুজা মন্ডপে, সন্ধায় যায় গির্জায়, আর রাতে নাস্তিকদের আড্ডায় নাস্তিকতা চর্চা করে আবার সময় সুযোগ পেলে অন্যন্য ধর্ম নিয়েও চর্চা করে। সেই সাথে বিজ্ঞানের যাবতীয় শাখা প্রশাখা কার্য পদ্ধতি নিয়ে গেবেষণা করে এবং গভীর রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে চিন্তা করে আর ভাবে এবং ভাবতেই থাকে আসলে কোনটা প্র্রকৃত সত্যের পথ ? এবং সর্বশেষ তার মুখ থেকে যদি ইচ্ছা অথবা অনিচ্ছায় উচ্চারিত হয়, হায় আমি তো কিছুই জানি না আমার তো এই মহাবিশ্বের ক্ষুদ্র এক বালুকণা সমপরিমানও জ্ঞান নেই আমি তো বিভ্রান্ত এবং আমি এ বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি চাই। তাহলে একমাত্র সে ব্যক্তিই প্রকৃত মুক্ত মনা বলে গণ্য হবে। :-P

ভেবে দেখুন আমার থিউরী অনুসারে মুক্ত মনা হওয়া কতটা কঠিন.. বলা সহজ কিন্তু করা অনেক কঠিন। বললাম যে আমি প্রকৃত মুক্ত মনা আর আমি প্রকৃত মুক্ত মনা হয়ে গেলাম আসলে তা নয়।
--------------------------------------------------------------------------------------
সর্বশেষ- আমি যখন বিভ্রান্ত হতে থাকি এবং বিভ্রান্ত হতেই থাকি, বিভ্রান্ত হতে হতে কয়েক লক্ষ বছর পিছনে অথবা সামনে চলে যাই, দূরে বহুদূরে এই পুঁচকে পৃথিবী থেকে লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ দুরে চলে যাই তখনও দেখি নাই কিছু নাই আমি তো এই মহা বিশ্বের বিন্দু পরিমাণও কিছুই জানতে পারলাম না হায় হায় এখন আমার কি হপে ? হয়ে যাই দিশেহারা তখন আমাকে পেয়ে বসে চরম এবং পরমতম বিভ্রান্তি.. X(( ঠিক সেই মুহুর্তে উপায় অন্তর না দেখে আমিও আস্তিক, নাস্তিক, এবং ধার্মিকদের মত কোন এক গন্ডির ছায়াতলে আশ্রয়ের জন্য চিৎকার করতে থাকি । আমার চিৎকার শুনে তখন এগিয়ে আসেন আমার অদেখা ভিন্ন যুগের চারজন মহা নয়ক। তাদের সকলের হাতেই থাকে সুবিশাল এক ছাতা এবং চার জনই তাদের ছাতার নিচে আমাকে আশ্রয় প্রদান করেন। আর আমি তাদের ছাতার সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহন করি এবং শান্তি পাই এবং আমি ঘুমিয়ে পড়ি। :)
কারা সেই চার মহা নায়ক? যারা আমাকে চরম এবং পরম বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত করে তাদের ছাতার সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় দেয় ?
তারা হলেন।
১: সাক্রেটিস।
২: হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) (দয়া করে নাস্তিকগণ এই নামটি দেখে হাসাহাসি করবেন না তাহলে মাইর খাবেন কয়া দিলাম :-P সে যে আপনাদের শত্রু কে আছে যে তা আমার চেয়ে ভাল জানে ? ;) )
৩: নিউটন।
৪: তলস্তয়।
--------------------------------------------------------------------------
ওহহ লেখা বড় হয়ে গেল এই হচ্ছে আমার একটা সমস্যা। কিন্তু লেখা তো এখনো শেষ হয়নি ?? মহা নয়কেরা আমাকে ছাতার নিচে আশ্রয় দেয় কিভাবে দেয় ? কেন দেয় ? ছাতার নিচে আমি ঘুমিয়ে পড়ি কিন্তু ঘুম থেকে্‌ উঠে কি করি তা জানবেন না ? । তাইলে কেমনে হল ? এই পোষ্টের রহস্যের ভেদ করা তো এখনো শুরুই হয় নি।
তা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে অন্য কোন দিন অন্য কোন সময়ে আজ আর নয়।

আর বেশি বেশি করে আমার পোষ্টে কমেন্ট, লাইক করতে হবে যত বেশি কমেন্ট তত বেশি সফলতা, যত বেশি লাইক তত বেশি কামিয়াবী। LOL :-P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.