নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

✋কইতাম নাহ ☻☻

গেম চেঞ্জার

আগামীকালের দিনটা বাকি আছে। না? ধুর!! আগামীকাল কি হবে ঐটা নিয়া তো যথেষ্ট তথ্য নাই বোকা । ঐটার জন্য হা করে তাকাস না । ঐটা রহস্য । গত হয়ে গেল যে দিনটা ঐটা ইতিহাস । ঐটা নিয়া পড়ে থাকলে চলবে ?? তবে জেনে রাখ আজকে যে দিনটা চলে যাবে এটাই তোর পালা। সো বুঝে নে কি করা দরকার ☺ ☺........... ░░░░░░░░░░░░░░░░░ (gamechangerbd.blogspot.com)

গেম চেঞ্জার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিশপ্ত বটবৃক্ষ (গল্প) -২

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

আগের পর্বের লিংক

আবির্ভাব
রাত দেড়টা। বাংলা মদের স্বাদ নিতে ভুলানাথের ঘর থেকে বেরিয়ে বটিজার গাঁয়ের দিকে ফিরছে যোসেফ। এটা তাঁর দ্বিতীয় দিন এই গ্রামে।
বিখ্যাত ঐ বটগাছের নিচে এসে সে যতটা অবাক হয়েছে তার পরিমাপ করলে সেটা অতীতের সব বিস্ময়কে ছাড়িয়ে যাবে। মদ খাওয়ার কারণে সে কোনদিনও মাতালগিরি করেনি। হ্যালুসিনেশনও হয়নি। কিন্তু আজ যে-টা দেখছে সেটা কি হ্যালুসিনেশন নয়?
সম্পুর্ণ নগ্ন একটি মেয়ে। চুল অনেক দীর্ঘ। মাটিতে পড়ে যায় যায় এমন। চাকচিক্যময় যৌবন। ঠায় ১০ মিনিট দাঁড়ানোর পর তার জ্ঞান কাজ করল।
আরে, পাশেই তো সবুজ আছে। ওকে জিজ্ঞেস করলেই তো হয়? সে যা দেখছে সবুজও কি তা দেখছে?
কিন্তু পেছনে চেয়ে দেখে সবুজ ওখানে নেই। তাহলে কি ঘটলো? আমি কি স্বপ্ন দেখছি? গায়ে চিমটি কেটেও বুঝে নিল যোসেফ, যে এটা স্বপ্ন নয়, এটা বাস্তব-ই।
মেয়েটির দিকে আরো তাকিয়ে থাকতে যোসেফের মন চাইল। তার পেছনদিক দেখা যাচ্ছে। আরো এগিয়ে যেতে চাইল আর তখনই ভুপৃষ্টে পতিত সহচর সবুজের নিতম্বে হোঁচট খেয়ে ওকে আবিস্কার করলো। আর বিশাল একটা উদ্বেগ থেকেও যেন মুক্তি পাওয়া গেল।

সমস্যার কথা হলো সবুজ অজ্ঞান হয়ে গেছে। টর্চ দিয়ে দেখল মুখে ফেনা। এ নির্ঘাত ভয়ে জ্ঞান হারিয়েছে। কিন্তু যোসেফের কাছে সবুজের চেয়েও বড় ইস্যু হলো ঐ রহস্যময়ী নারীর কাছে যাওয়া।
সবুজের জ্ঞান ফেরানোর জন্য, যোসেফ যে একেবারে চেষ্টা করেনি তা নয়। মাথায় জুতা দিয়ে কয়েকবার আঘাত করেছিল ডঃ যোসেফ।
এতে করেও যখন জ্ঞান ফেরার কোন উপায় দেখলো না, তখন সে সিদ্ধান্ত নিল এটা পরে দেখা যাবে। অথবা ঐ মেয়ের কাছ থেকেই সাহায্য চাওয়া উচিত। সে লক্ষ্যেই কদম ফেলে এগুতে থাকল।

একরাশ ভয়, শংকা, উত্তেজনা, কৌতুহলমিশ্রিত মন নিয়ে অভিনব কোন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে যোসেফকে। মনে হচ্ছে আজ পৃথিবীর গুঢ় কোন রহস্যের সাথে বাস্তবিকই তার মোলাকাত হবে। এমনও হতে পারে এই মোলাকাত করতে গিয়ে সে নিঃসীম সীমান্তে মিলিয়ে যাবে। দেহ এখানে কোথাও পড়ে থাকবে। হয়তবা সুইজারল্যান্ডেও তার দেহ না পৌঁছাতে পারে। তাতে কি? একদিন তো মরতেই হবে।

দিব্যজ্ঞান থেকে মষ্তিষ্ক সচেতন রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করছে যোসেফ, কিন্তু ঘোর লাগা শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। তার চোখ এখন ঐ দীর্ঘকেশী নগ্ন কন্যা ব্যতিত কোনদিকেই যাচ্ছে না। আশপাশের কিছুই যে, চোখ দিয়ে আর অবলোকন করা যাচ্ছে না। একটা অদ্ভুত শক্তি যেন ভর করেছে তার মষ্তিষ্কে। যেটা তার দৃষ্টিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করছে।
ঢের মনে আছে নীল ট্রাউজারটি পরে বেরিয়েছিল যোসেফ যা এই আঁধারে বোঝাই যাচ্ছে না। আর গায়ে ফুলহাতা টি শার্ট। এ-দেশে গরমকাল সবে শুরু হচ্ছে। অমাবস্যা হলে থাকত ঘুটঘুটে অন্ধকার। আজও চাঁদ পুর্ণতা পায়নি। পশ্চিমদিকে ঘন্টা দুয়েক পরেই অস্ত যাবে। তাই এখনো অতোটা আঁধার না।
ঐ কনে আবার পরী টরী না-তো? না-কি কোন এঞ্জেল? কি হতে পারে? ভেতরের যত জাগরিত শক্তি আছে সেটা দিয়ে ভাবার ও জানার জন্য চেষ্টা করছে ডঃ যোসেফ। আর মন্ত্রমুগ্ধের মতো ঐ বিবসনা নারীর পিছু পিছু হাটছে।

আজ যোসেফের ভাগ্য ভালই বলতে হয়। বেশ কিছুদুর যাবার পর তার মোবাইল ফোনটি বেজে ওঠলো। আইফোন ফাইভ এস। এর চমৎকার শব্দে ঐ নারী পিছন ফিরে তাকালো। কিন্তু যোসেফ মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকায় ঐ নারীর সম্মুখ-দেশ প্রদর্শনের ভাগ্য হলো না। তবে অন্তঃচক্ষু দিয়ে সে দেখে নিল। দুইটি চিত্রও মানসপটে এঁকে ফেলল। এর একটা সুদর্শন আর অপরটি কুৎসিত।

ফোনটা কেটে দিয়ে ক্যামেরা অন করে ভিডিও রাখার মতলব করেছিল। কিন্তু এই সম্মোহন ভংগ হওয়াতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঐ নারীটি আর ওখানে ছিল না। সে কোনদিকে যে চলে গেল যোসেফ কোনভাবেই ঠাহর করতে পারলো না।

কোলাহল
সরকারী দলের বেশ প্রভাবশালী নেতা আলাল মিয়া'র সুনজর পড়েছে বটবৃক্ষের ওপর। অবশ্য নজর একদমই পড়ত না। এর কৃতিত্ব ডঃ জোসেফ এর।
কিছুদিন আগে "Effect of Different Concentrations of IAA (plant hormone) on Root Initiation" শিরোনামে প্লান্ট সায়েন্স নিয়ে গবেষণা শেষ করেছে ডঃ জোসেফ।
বটবৃক্ষের ওপর নজর পড়েছে তার এখন। আর বটিজার গাঁয়ের বটবৃক্ষের অদূরে সম্মোহিত হওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে সে খুব ইন্টারেস্টেড।
গ্রামের মানুষের কাছ থেকে ভয়াবহ সব ঘটনা জানার পর কলকাতা যাবার চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে ভিসার মেয়াদ একমাস বাড়িয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডঃ যোসেফ। আর এলাকার যে কয়জন প্রভাবশালী আছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করে এই গাছ নিয়ে গবেষণা করতে সাহায্য চাইল সে।

এখানেও আরেক বিপত্তি ঘটে গেল। সরকারী দলের স্থানীয় এম.পি. এক সাংবাদিকের কাছে বলেছেন, এই গাছটি অত্র জেলার অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ ঐতিহ্য। এটা নিয়ে ধানাই পানাই তিনি সহ্য করতে রাজি নন। এটা থাকবে এবং এজন্য উনি শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও গাছের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখবেন।
সাধারণ জনগণের কাছে এই গাছটি আলোচনার কোন বিষয়ই ছিল না এতদিন। কিন্তু পত্রিকা মারফত এখন এটা ভালই উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। চায়ের দোকানে আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে ভালই জায়গা করে নিয়েছে বটগাছটি। অন্যতম কারণ হলো জেলা প্রশাসন ও এলজিইডি চাচ্ছে এই দিকে রাস্তা সম্প্রসারণ করতে। আর এই কাজ করতে গেলে বটগাছ কাঁটা ছাড়া গত্যন্তর নেই।

সেই সাথে আরেকটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারী দলীয় নেতা আলাল মিয়া'র সাথে বিদেশী শয়তানদের নাকি একটা গোপন চুক্তি হয়েছে। একটা শয়তান নাকি ইতিমধ্যে বটগাছ নিয়ে তার যন্ত্রপাতি দিয়ে নানান পরিক্ষা নিরিক্ষা শুরু করেছে।
তাকে যাবতীয় সহায়তা করছে ঐ নেতা, তার পাতিনেতা আর গুন্ডারা। এলাকার কোন মানুষকে গাছের ধারে কাছে ভিড়তে দেয়া হচ্ছে না। তবে খোদ বটিজার গাঁয়ের মানুষ বেশিরভাগ লোকই এইসব ব্যাপারে নির্লিপ্ত মনে হচ্ছে। এর কারণ হতে পারে তাদের কেউই শিক্ষা দিক্ষায় তেমন নজর দেয় না। আর এখনো আগ্রহ জন্মায়নি। দুঃখজনক হলেও সত্য মেট্রিক পাস কোন মানুষও এই গাঁয়ে নেই।

তবে গাঁয়ের সুবিখ্যাত ছিফৎ মিয়ার চায়ের দোকানে বসে কবিরাজ সফদর আলী সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে, ধর্মের কল বাতাসে এমনিতেই নড়ে।
এই কথায় সবাই আশ্বস্ত না হলেও গুটিকয়েক বুড়ো মানুষ নিশ্চিন্ত। জোয়ান বয়সী কিছু মানুষ আবার উন্মুখ হয়ে আছে। ওরা অপেক্ষা করছে একটি বা অনেকগুলো কল্লা কাটা লাশ দেখার জন্য।

ব্যর্থ অপেক্ষা
সবুজের জ্ঞান ফিরেছে আড়াই দিন পর। সদর হাসপাতালে আইসিউতে ছিল। হৃদযন্ত্রে গোলযোগ ছিল। মষ্তিষ্কে রক্ত চলাচল অস্বাভাবিক ছিল। জ্ঞান আসার পর এক ঘন্টা কোন কথা বলতে পারেনি। এরপর তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সবুজের সাথে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার খবর ডঃ জোসেফ নিজে শুনতে চান। কেন ও এইভাবে পড়ে গিয়েছিল। সে কি দেখেছিল। আমার সাথে ঘটে যাওয়া ব্যাপারটার সাথে কি ওর মিল আছে? নাকি হ্যালুসিনেশন কেবল আমার হয়েছিল। আমি মনের ভুলে ঐ রহস্যময়ী নারী-কে দেখেছিলাম।
অনেক প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য উসখুশ করছে ডঃ যোসেফের। কিন্তু ডাক্তাররা বলেছে আগামি তিনদিন ছেলেটার সাথে কোন কথা বলা যাবে না। নিতান্তই মিঃ যোসেফ অধৈর্য হবার যন্ত্রণায়, অপেক্ষায় থাকবার কষ্টে ভুগতে থাকল।
আর যাই হোক, ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত একটি স্বভাব ধরে রেখেছে যোসেফ। রহস্য উদঘাটন করার নেশা এই পরিণত যুবক বয়সেও তাকে ভালই চেপে ধরেছে।
যোসেফ শেষমেষ সিদ্ধান্ত নিল সবুজের জন্য তিনদিন সময় নষ্ট করা বৃথা হবে। তাই ট্যুরিজম অফিসে ফোন দিয়ে আরেকজন গাইড দেয়ার জন্য ফোন করল। যথারীতি একজন মধ্যবয়সী লোকও পাওয়া সম্ভব হল। তবে লোকটা এসে যখন ভুত প্রেতের কথা শুনতে পেল তখনই একটা চিরকুট লিখে ক্ষমা প্রার্থনা করে না জানিয়েই চম্পট দিল বেচারা।
এই ঘটনার পর ডঃ যোসেফ আজ আর ফোন দিল না ট্যুরিজম অফিসে। গাইড ছাড়াই আজ রহস্য উন্মোচনে যেতে মনস্থির করলো। তবে অবশ্যই সাথে থাকবে তার নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার সব।

অতিশয় ঐ বটগাছে যাওয়ার শখানেক-গজ আগে কবরস্থান ও শাশ্মান। মুসলমান মুর্দার এলাকাকে কবরস্থান বলে, আর হিন্দু শবদেহের এলাকাকে বলা হয় শাশ্মান। মাঝখানে দুইহাত প্রস্থের একটি সরু খাল দিয়ে পৃথক করা হয়েছে।
ডঃ যোসেফ বটগাছের নিচে যেতে রওয়ানা দিয়েছে আজ রাতে আরো আগে। কবরস্থানের পাশ দিয়ে ভয়ডরহীন একটা ভংগিমায় একমনে হেটে চলছে।
রাত একটা। চাঁদের অবস্থান এখন পশ্চিমদিক থেকে হলেও বেশ ভাল। আবছা অন্ধকার আছে। তবে বটগাছের নিচে নিশ্চয়ই তা থাকবে না। আর যাই হোক, সেদিনের মতো অন্ধকার আজ আর নেই। কিন্তু একটা শব্দ শোনা যাচ্ছে কবরস্থান থেকে।
টরর-রর, টরর-র, টরর, টরর, টরর-র।
বিভিন্ন লয়ে খটখটে এই শব্দটি স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। তাও অনিয়মিতভাবে। কিন্তু ক্রমাগত বাজছেই। এত রাতে গাছের উঁচুতে কে শব্দ করতে পারে। তাও যদি হাতুড়ি'র শব্দ কিংবা কুঠারের শব্দ হতো তবে একটা কথা ছিল। এটা মনে হচ্ছে দূর্বল হাতে কেউ গাছের ফাঁটা কান্ডের দুটো টুকরোর মধ্যে শব্দ করছে। অবশ্য তা নাও হতে পারে।
যোসেফ পাঁচমিনিটের মতো দাঁড়ালো। এর মধ্যে মাত্র দুইবার ঐ শব্দটি অনুভূত হয়েছে। সে এই ব্যাপারটা নিয়ে আর এগুতে চাইল না। নির্জন এই রাস্তায় প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে রিভলভারের অস্তিত্বে পুনঃরায় নিশ্চিত হয়ে নিল।
এরপর আবারো একবার শব্দটি শোনা গেল। টরর-রর!!!
বিষয়টা নিয়ে আর ঘাঁটাতে রাজি নয় যোসেফ। সে পুনরায় হাঁটায় মন দিল। আর বেশি দুরে নয়। ঐ-তো দেখা যাচ্ছে বিশাল জায়গা জুড়ে তমসাচ্ছন্ন করে বটগাছটি দাঁড়িয়ে রয়েছে।

প্রবল উত্তেজনার মধ্যে যোসেফ অপেক্ষা করছে। বটগাছের ঠিক নিচে। কি হতে পারে। অনতিদুরে একটি চিকন সাপ তার দিকে ধেয়ে আসল। যোসেফ স্বভাবসুলভ বুদ্ধিমানের মতই কাজ করলো। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলো। কোন নাড়াচাড়া করলো না। সাপটি মাথা তুলে কয়েকমিনিট তার দিকে তাকিয়ে পর্যবেক্ষণ করলো। এরপর নিরীহ বেচারা ভেবে মাথা নামিয়ে এঁকেবেঁকে সর্পিল গতিতে চলে গেল।

সাপটি চোখের সামনে থেকে দুরে পাতার নিচে অদৃশ্য হয়ে যাবার পরপরই যোসেফ যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। গলা শুকিয়ে গেছে তার। জায়গাটা যে মোটেই নিরাপদ নয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত। কিন্তু প্রাকৃতিক এইসব রহস্যের উন্মোচন কাউকে না কাউকে তো করতেই হবে। সেটা করতে গিয়ে নাহয় আমি না-ই হয়েই গেলাম।
এইসব ভেবে আর কানে পপসংগীত শুনতে শুনতে কবে যে রাত তিনটা হয়ে গেল সে টেরই পায়নি। ব্যাপার কি? ঐ নারী আজ আর আসছে না কেন?
ধীরে ধীরে আশাহত হতে হলো ডঃ যোসেফকে। এমনকি ফযরের আজানও শুনা গেল অথচ ঐ নারী আজ রাত আর আসেনি। (চলবে)

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আমরা একটা অণুগল্প পড়ছি...

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এটা অণুগল্প না। আপনাদের বৃহৎ স্বার্থ বিবেচনা করেই গল্পটিকে বৃহৎ করা হয়েছে। :) :)

আশা করি ব্যাপারটায় মনোক্ষুন্ন হবেন না। :)

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

মিতু রহমান বলেছেন: কিন্তু যোসেফের কাছে সবুজের চেয়েও বড় ইস্যু হলো ঐ রহস্যময়ী নারীর কাছে যাওয়া।

অথবা ঐ মেয়ের কাছ থেকেই সাহায্য চাওয়া উচিত। সে লক্ষ্যেই কদম ফেলে এগুতে থাকল।

কনে আবার পরী টরী না-তো? না-কি কোন এঞ্জেল?

--- আবির্ভাব অংশে এই আন্ডারলাইন করা তিনটা টার্ম ব্যবহার করেছেন। আমার মনে হয় যে কোনো একটা শব্দ সিলেক্ট করুন। যদিও নারী,মেয়ে,কনে বলতে ফেমিনিজম ফিগারই বুঝাচ্ছে।

দেখা যাক অনুগল্পের শেষ কই হয়

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মানুষের চিন্তাভাবনা একরকম হবার কথা নয়। মনের ভাব প্রকাশের জন্য কোন বাক্যে কোন শব্দ ব্যবহার করলে কোন টাইপের অ্যাপ্লিকেশন হবে সেটা নিতান্তই পাঠকের নিকট নির্ভরশীল।

আপনাকে এখন বলি, কেন আমি তিনটি টার্ম ব্যবহার করলাম। নারী টার্মটি ইউজ করলাম যাতে ঐ সময়ে একটি বিশেষ ছাপ আপনাদের ভাবনায় এসে পড়তে পারে।
আর মেয়ে টার্মটি ঐ বাক্যে ব্যবহার করার কারণ হলো, তখনো সাধারণ কোনও মেয়ে বলে বোধ হচ্ছিল ডঃ যোসেফের কাছে, এটা বুঝাতে।

আর কনে শব্দটিও ঐ রহস্যময়ী চরিত্রের বয়স বুঝাতে ব্যবহার করা। এইসব ইচ্ছে করেই দেয়া। তবে আপনাদের কাছে আমার ভাবনার মিল না হলে এক করে দেয়াই উত্তম। এখন আপনিই প্রথমে বলুন। এই কাজটা মনযোগ কি খাপছাড়া করে দিচ্ছে?

আর ১নং প্রতিমন্তব্যটি একটু খেয়াল করে ফেলেন। হাঃ হাঃ

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হুম বুঝতে পারলাম । শিরোনামে তাহলে চেঞ্জ এসেছে !! হা হা

এই পর্বে রহস্যটা একটু দূর্বল হয়ে গিয়েছে, মনে হচ্ছে আগ্রহ কমে গেল । এটা আমার নিজস্ব পাঠক অনুভূতি, সবার ক্ষেত্রে এরকম হয়তো হবে না । আগামী পর্বটা জমজমাট হবে আশা করছি ।

বিঃদ্রঃ- পাঠক হতাশ হলে কিন্তু লেখক হতাশ হওয়া চলবে না । কারণ লেখক হতাশ হয়ে গেলে পাঠককে হতাশা থেকে উদ্ধার করবে কে !! হা হা । একটু ভারী কথা বলে ফেললাম মনে হচ্ছে !

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: গল্প অনেকটা রাবারের মতোই। টেনেটুনে লম্বা করা যায়। তবে লম্বা করতে গিয়ে কোন সময় ছিঁড়েও যায়। তখনই বিপত্তি।

গল্পটা কতটুকু লম্বা হবে জানি না। লেখার সময় মষ্তিষ্ক থেকে অটোমেটিক নানান বিষয়াদি সাপ্লাই হয়। আর ঐগুলো তা ট্রাশে ফেলে দিতে মায়া হয়। বেশিরভাগই কিবোর্ড দিয়ে টকর টকর করে আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে আগ্রহ থাকে। হাঃ হাঃ

(ভারী হালকা সব কথারই দরকার আছে আমার কাছে। সো ঐটা নিয়া কোন চিন্তাই করবেন না যেন।)

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

জেন রসি বলেছেন: সন্ধ্যা নামার আগেই পোস্ট করেছেন বলে ধন্যবাদ! :P

গল্পে কয়েকটা ব্যাপার সমান্তরাল ভাবে এসেছে। রহস্যময়ী নারী, গবেষণা করার মত বটবৃক্ষ এবং রাজনীতি। তবে এসবের মধ্যে সম্পর্কটা গল্প শেষেই বোঝা যাবে। গল্প ভালোই হচ্ছে। তবে শ্মশান এবং কবরের ধারনাটা আরোপিত মনে হয়েছে। যেমন অলৌকিক কিছু মানেই কবর এবং শ্মশান থাকবে এমন ধারনা। তবে এটা আপনার কৌশলও হতে পারে।

চলুল। অপেক্ষায় আছি। :)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি ডে বাই ডে, আপনাকে নিয়া হালকা পাতলা ঠাসকি খাচ্ছি। আজকের কারণ কি জানেন?

আমার এই আরোপনের ব্যাপারটা কেউ ধরতে পারবে সে-কথা ঘুর্ণাক্ষরেও কেউ ধরতে পারবে ভাবিনি। হাঃ হাঃ হাঃ :)

দিজ ক্রেডিট গোজ টু ইউ!!

"গল্পে কয়েকটা ব্যাপার সমান্তরাল ভাবে এসেছে। রহস্যময়ী নারী, গবেষণা করার মত বটবৃক্ষ এবং রাজনীতি। তবে এসবের মধ্যে সম্পর্কটা গল্প শেষেই বোঝা যাবে।"

এ ব্যাপারে আপনি ভুল করছেন। এই ব্যাপারটা গল্পের মধ্যভাগের পরে শেষদিকের আগে শেষ হবে। গল্পের যে নীল নকশা B-)) করেছি তাতে এমনটিই হবে।

তবে হরর কিছুই ফোকাস হবে। আর সমাজের কিছু ব্যাপার ধারে কাছেই থাকবে। দৃষ্টির সম্মুখে কিন্তু নট ইন ফোকাস। হাঃ হাঃ হাঃ

আশ্বস্ত করছি, এটা গল্পই থাকবে শেষমেষ।

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২০

মিতু রহমান বলেছেন: আমি চেষ্টা করেছি মনোযোগ দিয়ে পড়তে। তাই হয়তো চট করে আমার চোখে পড়ে গেলো। আর যদি আমি লিখতাম আমি কখনো সচেতন ভাবে নারী, কনে,মেয়ে এমন লিখতাম না।

লেখার জন্য সাব্জেক্ট বা লেখার প্যাটার্ন আমি পরীক্ষামূলক ভাবে নানারকম করতেই পারি, আপনিও সেখান থেকে পাঠকের রিফ্লেকশন পাবেন। কিন্তু যে শব্দগুলো একটা অর্থই বোঝাবে সেখানে তিন ভাবে লেখার আমি বিশেষ কারণ দেখছি না। এখানে আপনি " নারী" শব্দটা ব্যবহার করলেই মনে হয় পারফেক্ট হবে। আমি আমার মতামত দিলাম। লেখকের পূর্ণ স্বাধীনতা তো থাকবেই। আর " কনে" একেবারে বেশি রকমের খাপছাড়া হয়ে গিয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আরে!! নিঃসংকোচে বলবেন। বলবেন না কেন? এইসব ফিডব্যাকই তো আমার পাওনা আপনাদের কাছ থেকে। হাঃ হাঃ হাঃ :)

আরো দুয়েকজনের জন্য অপেক্ষা করছি। উনাদের দৃষ্টিভংগি অনুসারে ব্যাপারটা জানা দরকার। আর আপনার পরামর্শ মাথায় রেখেই নেক্সট পর্ব লিখছি।

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

মিতু রহমান বলেছেন: এটাচড ছবিতে "অনুগল্প" এখনো রয়ে গিয়েছে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঠিক করে দিলাম।

৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

কল্লোল পথিক বলেছেন: গল্পের বুনন বেশ ভাল লেগেছে।কাহীনিও বেশ চমৎকার।
গল্প শেষের অপক্ষায় থাকলাম।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অপেক্ষায় থাকা বেশ কষ্টকর ব্যাপার। :|

৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পড়েছি। লিখতে থাকুন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঠিক আছে। :)

৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভৌতিক গল্পগুলো অামি খুব অাগ্রহ নিয়ে পড়ি । শুক্রবারের অপেক্ষায় থাকি ভূত এফএম শুনবো বলে । অাপনার এই গল্পটাও ভালো লাগছে । এই গল্পের উপস্থাপনায় চমৎকার সারল্য অাছে; যা অামার মত ক্ষুদ্র মানুষকেও পড়তে ঝামেলায় ফেলছেনা- অথচ ঠিকই রহস্যে রাখছে । অাশা করি শেষ পর্যন্তই উপভোগই করবো ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: উপস্থাপনা নিয়ে ভয়ে ভয়ে ছিলাম রে ভাই, আছিও।

চেষ্টা করছি কি জানেন? রহস্যগুলো কেবল আশপাশে আঁকুপাঁকু করাতে। হাঃ হাঃ হাঃ

এত সহজে ধরিয়ে দিচ্ছি না। ;)

১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

টয়ম্যান বলেছেন: ভৌতিক গল্প লাইক করি । আগের পর্ব পরে আসলাম । ভালো হয়েছে । সাথে থাকলাম :)
+++++++্

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঠিকাছে :)

১১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবারও লটকে গেলুম ;) :):):)

বেশ রহস্যাময় করে তুলছেন ক্রমশ... চলুক

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঘনীভবন প্রক্রিয়ার তো কেবল শুরু। প্যাঁচ খালি লাগাচ্ছি ;) ;)

১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ফোনটা কে করেছিল তার নামটা শুধু বলুন। রহস্যময়ীর মুখদর্শন থেকে আমাদের বঞ্চিত করল কে?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওর নাম জ্যাক। জোসেফের ছোট ভাই। এখন কি করার আপনেই করেন ;) ;)

১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তারপর .....

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আসছে। আগামীকাল... ;) ;)

১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩০

ধমনী বলেছেন: শশ্মান-< শ্মশান।
ট-র-র শব্দটা কেমন যেন যান্ত্রিক!! ভৌতিক না!.
যা হোক, পাঠকের ইচ্ছায় গল্প চললে তা পথ হারাতে পারে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই বানান নিয়া ঘাপলায় ছিলাম। আপনার কল্যাণে দূর হলো।

শব্দটি আসলে গাছের দুটি কান্ডের মধ্যে নিঝুম রাতের শব্দ। তাই এইরকম হয়েছে। তবে প্রকাশে হয়ত সক্ষম হইনি বলেই যান্ত্রিক মনে হয়েছে। আপানর শেষের কথাটি মনে রাখব।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

১৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৯

পার্থিব পার্থ বলেছেন: ভূত প্রেতে বিশ্বাস নাই। তবে গল্প পড়তে ভালোই লাগে। প্রথম অংশ পড়া হয়নি। সেটা পড়ে এই অংশ পড়ব। অনেকদিন পর ব্লগে আসলাম। আমার পোস্টে দেখলাম কিছু মন্তব্য মুছে ফেলা হয়েছে। রুয়াসা এবং পিতলা! এরা কারা? আমাকে আক্রমন করার কারন কি?

আছেন কেমন?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সামু এইসব ইতরদের ব্যান করে দিয়েছে ভাই। খুব জঘন্য ভাষা এদের। আমার পোস্টেও আক্রমণ করেছিল। শায়মা আপুর পোস্ট এও।

আমি অবশ্য নিজেই ডিলিট করে দিয়েছিলাম। তাই পুনরুদ্ধার করে দেখাতে পারব। তবে না দেখাই ভাল। বাট মডারেশন যাদের ব্যান ও ডিলিট করছে তাদের দেখানো সম্ভব না।

আমার বেশিরভাগ পোস্ট ড্রাফটে নেয়া। এর কারণ ঐ ব্যাপারটাই।

মোটামুটি আছি। আপনাদের দেখে অনেক ভাল লাগছে। একটা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলাম। :)

১৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫০

পার্থিব পার্থ বলেছেন: হুমমমম।

আসলে আমিও ব্লগে শুধু লিখতে এবং পড়তে এসেছি। যদিও মহুয়ার জন্যই আসা। তার সাথেই কাব্য চর্চা করি। আর খুব একটা সময় পাইনা বলে অন্য ব্লগারদের সাথেও খুব একটা যোগাযোগ হয়না। তবে আমাকে আক্রমন করার মত কোন কিছু করেছি বলে মনে হয়না। কারন আমি শুধু মহুয়াকে নিয়েই থাকতাম। তবে এবার থেকে অন্যান্যদের লেখাগুলো পড়ার চেষ্টা করব। আমি নিজেও কারন ছাড়া ঝামেলা পছন্দ করিনা।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এটা ভাল। খুব ভাল ব্যাপার।

আপনারা কেমন আছেন? :)

১৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৮

আবু শাকিল বলেছেন: শশ্মান, কবরস্থান, গোরস্থান মানেই রহস্য।তারপর হাতে ভাঙা হারিকেন দিয়া বলেন-চলবে
চলুক :)
গল্পটা আমাকে টানছে ড: যোসেফ এবং নারী !!
লিখতে থাকেন।
ইয়ে মানে গল্পের স্টাইল জেন রসির মত লাগছে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: :| শাকিল ভাই,
দিলেন তো চিন্তায় ফেলে। আপনার অনুধাবন যথার্থ। অনেকটা জিনি ভাইয়ের মতই। তবে সুক্ষ অনেক পার্থক্য আছে। যেমন লেখার প্লট, চরিত্র, চরিত্রের ধরণ, বহুমাত্রিকতা, গল্পের পুর্ণতা।

তবেে দুটি বিষয়ে ভালই মিল আছে যেটা আমি নিজেও লক্ষ্য করেছি। একটি হলো বর্ণনা, আর আরেকটি হলো গল্পের এগিয়ে যাওয়ার ধরণ।

আমার আগের গল্পেও এইরকম কিছু পাবেন বোধহয়। :)

১৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৬

পথে-ঘাটে বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। পরে পড়ব। এখন ঘুম পাচ্ছে। ভাল থাকবেন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধন্যবাদ। নিজের মতো করে পড়েন। :)

১৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪

তার আর পর নেই… বলেছেন: সকালে পড়ার কারণেই তেমন কোন রহস্য মনে হয়নি।

মিতু রহমানের সাথে একমত। কনে শব্দটি খাপছাড়া লেগেছে।

ভয়ঙ্কর আর রহস্যময়ী বোঝাতে কেন নগ্ন ব্যবহার করা হয়েছে?
ঘুটঘুটে অন্ধকার, এই অন্ধকারে জ্বলজ্বল করছে অপার্থিব সৌন্দর্য, এই সৌন্দর্য কোন রং তুলি ও ধারণ করতে পারতোনা ……… ;)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: "এ-দেশে গরমকাল সবে শুরু হচ্ছে। অমাবস্যা হলে থাকত ঘুটঘুটে অন্ধকার। আজও চাঁদ পুর্ণতা পায়নি। পশ্চিমদিকে ঘন্টা দুয়েক পরেই অস্ত যাবে। তাই এখনো অতোটা আঁধার না।"

এখানে আপনিং ঘুটঘুটে অন্ধকার কই থেকে পেলেন ভ্রাতা? ;) ;)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: "ভয়ঙ্কর আর রহস্যময়ী বোঝাতে কেন নগ্ন ব্যবহার করা হয়েছে?"

এত তাড়াতাড়ি ভয়ংকর খুঁজতে গেলে তো চলবে না। ;) ;)

তবে রহস্যময়ী বলতে কিন্তু ঐ নারীকে নগ্ন রাখা হয়েছে।

ধন্যবাদ আপনাকে। :)

২০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০১

রাবার বলেছেন: ভাইসাহেব গপ্পটা কি আমার মত টাইনা টুইনা :P
চলুক........

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দুঃখের কথা কি কমু! এইটা খালি আপনার মতো লম্বাই-ই হচ্ছে... লম্বা-ই হচ্ছে..... :P :P

২১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আগ্রহ জন্মেছে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা!!

আর পর্ব-৩ রিলিজ হইছে। :)

২২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

জুন বলেছেন: যাক বাবা ঐ নারী আর আজ রাতে আসে নি গেম চেঞ্জার ;)
তবে এদেশে যে ভাবে গাছ কাটা শুরু হয়েছে আর কিছু দিন পর গাছে থাকা ভুত প্রেত আর ব্রম্মদত্যিরা সব ঘরে এসে আস্তানা গাড়বে ।
অপেক্ষায় রইলাম আপনার অনু উপন্যাসের B-)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঐ নারী আসলে কি ক্ষতি হতো অবিবাহিত যোসেফের তা পরের পর্বে বুঝতে পারবেন জুনাপু। :) তবে গাছ কাটার কথা যেটি বলছেন। সেটা আসলেই আশংকাজনক। পরের প্রজন্মকে এর জন্য পস্তাতে হবে বৈকি :(

২৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

জেন রসি বলেছেন: আবু শাকিল বলেছেন: শশ্মান, কবরস্থান, গোরস্থান মানেই রহস্য।তারপর হাতে ভাঙা হারিকেন দিয়া বলেন-চলবে
চলুক :)
গল্পটা আমাকে টানছে ড: যোসেফ এবং নারী !!
লিখতে থাকেন।
ইয়ে মানে গল্পের স্টাইল জেন রসির মত লাগছে।

আসলে গল্প যখন লেখা হয় তখন অনেকের সাথেই কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যাবে। কারন অনেক সময় মানুষের ভাবনার প্যাটার্নে কিছু মিল থাকে। আবার অমিলও থাকে। কারন মানুষ যেমন কালেকটিভ, তেমনি আবার স্বতন্ত্র। তাই কিছু মিল থাকবে। আবার অমিলও থাকবে। তবে প্যাটার্নগুলো সাধারণত অমিল থেকেই আলাদা করা হয়। তাই আমি বলব গেম ভাইয়ের একটা স্বতন্ত্র ধারা আছে, যা গভীর ভাবে পাঠ করলেই বুঝতে পারা যাবে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: "আসলে গল্প যখন লেখা হয় তখন অনেকের সাথেই কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যাবে। কারন অনেক সময় মানুষের ভাবনার প্যাটার্নে কিছু মিল থাকে। আবার অমিলও থাকে। কারন মানুষ যেমন কালেকটিভ, তেমনি আবার স্বতন্ত্র। তাই কিছু মিল থাকবে। আবার অমিলও থাকবে। তবে প্যাটার্নগুলো সাধারণত অমিল থেকেই আলাদা করা হয়।"

সহমত। মিল থাকাটা ভাল নাকি খারাপ সেটা দৃষ্টিভংগির উপর নির্ভরশীল।

২৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

আলোরিকা বলেছেন: চলুক ------------ ' একটি চিকন সাপ ' ছাড়া এ পর্বে আর কোন রোমাঞ্চ ( থ্রিল ) খুঁজে পেলাম না ! ;)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আগামী পর্বে ঠাসকি খাইছেন এইটা নিশ্চিত। ;)

২৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


"অতিশয় ঐ বটগাছে যাওয়ার শখানেক-গজ আগে কবরস্থান ও শাশ্মান। মুসলমান মুর্দার এলাকাকে কবরস্থান বলে, আর হিন্দু শবদেহের এলাকাকে বলা হয় শাশ্মান। মাঝখানে দুইহাত প্রস্থের একটি সরু খাল দিয়ে পৃথক করা হয়েছে।"

এখানে ৩টি বাক্য আছে; মাঝের বাক্যটি মেদ, "মুসলমান মুর্দার এলাকাকে কবরস্থান বলে, আর হিন্দু শবদেহের এলাকাকে বলা হয় শাশ্মান। "

আমি গল্প কবিতা লিখিনি কোনদিন, তবুও সমালোচনা করি।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সমালোচনার উদ্দ্যেশ্যেই লেখা। মুল লক্ষ্য বাহবা পাওয়া নয়। :)

"এখানে ৩টি বাক্য আছে; মাঝের বাক্যটি মেদ,"

দুঃখিত, বুঝলাম না। বাক্য মেদ? :||

২৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩২

প্রামানিক বলেছেন: পরের পর্ব কবে?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পড়ছেন? দিয়ালচি তো। ;)

২৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বুঝলাম না একজন অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে চলে গেল আর আমি কোন ভয়ই পাইনি :)

দেখি পরের পর্বে কি হয়।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাঃ হাঃ :)

দিয়ে ফেলেছি। দেখুন।

২৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ভালো লেগেছে। চালিয়ে যান।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধন্যবাদ। পর্ব ৩ রিলিজ হইছে। পড়তারেন। ;)

২৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভূতর গল্প নাকি রহস্যের গল্প, কোন কিছুই ফিল হচ্ছে না। তবে গল্প হিসেবে পড়তে মন্দ লাগছে না। চালিয়ে যান। :)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শুভেচ্ছা ভ্রাতা। এই বিভ্রমের মধ্যেই রাখতে ভাল লাগছে। হাঃ হাঃ

৩০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: পরের পর্বটা দ্রুত লিখে ফেলেন। প্রতীক্ষায় রইলাম।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ৩য় পর্ব লেখা হইছে অগ্নি ভায়া!! আমার ব্লগে যান, পাইয়া যাবেন। ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.