নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

✋কইতাম নাহ ☻☻

গেম চেঞ্জার

আগামীকালের দিনটা বাকি আছে। না? ধুর!! আগামীকাল কি হবে ঐটা নিয়া তো যথেষ্ট তথ্য নাই বোকা । ঐটার জন্য হা করে তাকাস না । ঐটা রহস্য । গত হয়ে গেল যে দিনটা ঐটা ইতিহাস । ঐটা নিয়া পড়ে থাকলে চলবে ?? তবে জেনে রাখ আজকে যে দিনটা চলে যাবে এটাই তোর পালা। সো বুঝে নে কি করা দরকার ☺ ☺........... ░░░░░░░░░░░░░░░░░ (gamechangerbd.blogspot.com)

গেম চেঞ্জার › বিস্তারিত পোস্টঃ

☺ ☺ ভাবনায় যখন (২০১৬-১৭) বাজেটঃ সে আশায় কাজ করে যাই

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৩


চিত্র-১ঃ বাজেট আয়

বাংলাদেশ সরকারের বাজেট পেশ করলেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়। জাতীয় সংসদের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অধিবেশন বাজেট অধিবেশন এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। মাননীয় মন্ত্রী জাতির জন্য এই মহান দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন বেশ কয়েক বৎসর যাবত।
আসুন আমরা যারা ইকোনমিস্ট নই অথবা সাধারণ মানুষ, আমরা বাজেট নিয়া নিজেদের চিন্তুাগুলো একটু শেয়ার করে নিই।

প্রথমত, উপরের চিত্র-১ একটু লক্ষ্য করুন। সিংহভাগ আয় রাজস্ব বিভাগ থেকেই আসছে ভাল ব্যাপার। কিন্তু এই টাকাটা দেশের কে কে দেবে একটু খতিয়ে দেখা দরকার, অন্তত আমরা যারা সচেতন নাগরিক হিসেবে থাকতে চাই।
আসুন, দেখি এই টাকাটার উৎসঃ
আয়কর থেকে যত টাকা আসছে তার থেকেও বেশি টাকা আসছে কিন্তু ভ্যাট/তথা মুল্য সংযোজন কর থেকে। আসুন এই দুটি খাত নিয়ে আমরা একটু ফুসুর ফাসুর করে নিই।
আয়কর কারা দেয় এবং ভ্যাট কারা দেয় সে ব্যাপারে আমাদের জানা উচিত। আয়কর দিচ্ছেন যাদের টাকা বেশি তথা ধনিক শ্রেনি। আর মুসক/ভ্যাট দিচ্ছে কিন্তু ধনী গরিব সবাই।
> এখন কথা হচ্ছে আয়কর কি সব ধনীরা দিচ্ছেন??
> যারা দিচ্ছেন তাঁরা কি কোন ফাঁকিবাজি করছেন না??
> দেশের জনসাধারণের মধ্যে কত শতাংশ ধনী? আর কত শতাংশ দরিদ্র??

একটু চিন্তা করে দেখুন এই দুটি প্রশ্নের উত্তরে আপনি কি বলবেন? স্বাভাবিকভাবেই উত্তর আসবে দেশে ধনীর সংখ্যা কম এবং গরিব লোকদের সংখ্যা বেশি। তাই নয় কি??
আল্টিমেটলি তাহলে গরিব মানুষরাই অর্থের যোগান দিতে হচ্ছে অধিক। কারণ এরাই ভ্যাট বেশি দিচ্ছে সরকারকে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে বাজেটে গরিব মানুষদের কন্ট্রিভিউশন আছে ভালই। আসুন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বাজেটের চার্টটা একটু দেখি।

আয়ঃ


ব্যয়ঃ


এখন আসুন, ব্যায়ের দিকে। সরকার কোন খাতে কেমন ব্যয় করবে তার একটু আভাস নেওয়া যাক। কি বলেন?



বোঝাই যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি টাকাটা চলে যাচ্ছে বেতনভাতা দিতে। এ কথা অস্বিকার করার উপায় নেই, প্রশাসনের লোকদের কারণেই এই দেশটা চলছে। কিন্তু এর মানে কি এই যে, সিংহভাগ টাকাটা দেশের অন্যান্য খাতে না দিয়ে তাদের পেটেই চালান করতে হবে??

আমার বিবেচনায়, এই দেশকে এগিয়ে নেয়ার চিন্তা করলে শিক্ষাখাতে সরকারকে সবচেয়ে বেশি আন্তরিক হওয়া উচিত। এর কারণ হলো, শিক্ষিত মানুষেরাই দেশকে এগিয়ে নিতে পারবে।
এই যেমন ধরেন, আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই। এখন দেশের কোন গবেষক যদি স্বল্প খরচের পাওয়ার প্লান্ট আবিস্কার করে ফেলতে পারেন। অথবা ধরেন, সরকারের টাকায় শিক্ষিত হয়ে একটা লোক বিদেশে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে উপার্জন করছে। সে টাকাটা রেমিটেন্স আকারে দেশে পাঠাল? এতে কি হলো?? দেশের সম্পদ/টাকা বাড়লো না?
অথবা, দেশেই ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করলো। এতেও তো দেশে ঐ টাকাটা যোগ হলো। এইরকম বহু বহু ব্যাপার আছে যা আমাদের দেশকে দ্রুত উন্নতিতে সাহায্য করতে পারতো, কেবলমাত্র শিক্ষার ম্যাজিক দিয়ে। জানেন? দেশে যত সম্পদ আছে, টাকা আছে তা দিয়ে ৯০ শতাংশ-ভাগ শিক্ষিত জাতি হতেই পারি আমরা। আমি যদি বাজেট তৈরির ক্ষমতা রাখতাম তাহলে শিক্ষাখাতে শতকরা ২০ শতাংশ ব্যয় করে ফেলতাম কিন্তু! ;) ;) ;)

বাহঃ বেশ তো শুনলাম শিক্ষা ম্যাজিকের কথা এবার আসি আমাদের সরকার এই ব্যাপারে কি করেছে তা জানি।



দেখাই যাচ্ছে, আমাদের সরকার এই ব্যাপারে মাত্র ২ শতাংশ টাকা খরচ করছে যেখানে পাকিস্তানের মতো একটি থার্ড ক্লাস জাতিও আমাদের চেয়ে অনেক বেশি খরচ করছে। আমাদের সরকার কি তাহলে সামগ্রিক উন্নতি চায় না?? সিংহভাগ ভ্যাট দানকারি এই জনগোষ্টির উন্নতিতে সরকার তাহলে হাত সংকুচিত রাখছে কেন???? তবে ধরেই রাখুন, এই প্রশ্নের উত্তর সরকারের কাছে পাওয়া যাবে না।
আমিই দিচ্ছি উত্তর, আগেকার যুগে শিক্ষাকে শত্রু হিসেবে চিহ্ণিত করেছিল ধনিক শ্রেণি। আর সারা পৃথিবীতেই কম-বেশি শিক্ষাকে এখন অস্তিত্বের শত্রু বলে ভাবে ধনিক ও শাসকগোষ্টি। এ কারণে দেখবেন শিক্ষাখাতে বাজেট সবদেশেই তূলনামূলক কম।
যেমন ভারতের মোটামুটি ৫%, মিয়ানমার(১% এর কম), দুবাই(১%), কংগো(১.৮%), আফগান(১.৯%), শ্রী লংকা(২.৬%), পাকিস্তান(২.৫%), ইসরাইল(৬%), সুইডেন(৬.৬%), নরওয়ে(৬.৮%), কিউবা(১৩%), পুর্ব তিমুর(১৬%)

রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব না। আমাদের সরকারে যারা আছেন, সিংহভাগ টাকাটাই নিজেদের বেতনভাতায়/অন্যান্য খাতে খরচ করে ফেলছেন, সামনে হয়তো এই জাতির সুদিন আসবেই......। :) আসুন! সে আশায় কাজ করে যাই!!

তথ্য সংগ্রহঃ ১ম আলো ৩ জুন ২০১৬ ও টাইমস অব ইন্ডিয়া

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৫

জেন রসি বলেছেন: বাজেট নিয়ে এমন একটি পোস্টের খুব দরকার ছিল ব্লগে। চমৎকার আয়োজন গেম ভাই। বিস্তারিত আলোচনার জন্য আবার আসব। :)

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আসলে পর্যাপ্ত সময় নাই হাতে, তাহলে আরো অনেক কিছুই তুলে নিয়ে আসতাম।

২| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৯

জেন রসি বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসলে পর্যাপ্ত সময় নাই হাতে, তাহলে আরো অনেক কিছুই তুলে নিয়ে আসতাম।

ব্লগারদের আলোচনায় অনেক কিছুই উঠে আসবে বলে আশা করছি। :)

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই যেমন ধরেন গাড়ির ট্যাক্স, ঢাকায় এমনিতেই যানজট তার ওপর গাড়ির ওপর থেকে শুল্ক কমানো হয়েছে ১৫%। এই ব্যাপারটা কি ঠিক হলো?
এটা ধনিক শ্রেণির সুবিধার জন্য যে করা হয়েছে সেটা বুঝতে তো আর বিশারদ হতে হবে না। এইভাবেই অনেক কিছুই আছে, যা নিয়ে আলাপ হয়নি! :)
আপনার মতো আমিও আশা করি ব্লগারদের মন্তব্যে অন্যান্য খাতগুলো চলে আসবে।

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তাইলে আপ্নেই দিলেন বাজেট নিয়া পোস্ট? জ্ঞানগর্ভ আলোচনা আশা করছি ।

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হ, কি আর করা!!! ফেসবুকের স্ট্যাটাস দিয়েই শুরু করেছিলম!! ;)

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

কল্লোল পথিক বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ।
এ রকম একটি সময়োপযোগী পোস্টের জন্য।

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!!

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: বাজেট নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই! অনেক শুভেচ্ছা রইল। :)

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

শায়মা বলেছেন: জেন রসি বলেছেন: বাজেট নিয়ে এমন একটি পোস্টের খুব দরকার ছিল ব্লগে। চমৎকার আয়োজন গেম ভাই। বিস্তারিত আলোচনার জন্য আবার আসব। :) :) :)










( আসলে বাপরে!!! জীবনেও আসবোনা। এত কঠিন জিনিসে মাথা ঘামানো......) B:-/

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: থাক, ভয় পেলে কিছু কিছু ব্যাপার এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়!!!!!!!! :)

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট- অবশ্যই সময়োপযোগী - অনেক ধন্যবাদ প্রিয় গেম চেঞ্জার, শুভকামনা অনিমষ ...

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই!

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাজেটে আগের মতই সদর্পে দুর্নীতির সুযোগ গেঁথে দেওয়া; নতুন কিছু হোল না। আ.মা.আ.মু. সাব হতাশ করলেন।

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পাক সরকার ডিফেন্সে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। আর বাংলাদেশ সরকার বেতন দিতেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। অভাগা জনগণের কথা কে ভাবে?
অথচ দেখেন, যদি শিক্ষিত হয়ে এরা কন্ট্রিবিউট করে তাহলে ঘুরেফিরে সরকারই টাকাটা পেত। :| :|

৯| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৭

শায়মা বলেছেন:


এইখানেও তো একই অবস্থা হলো আমার ভাইয়ু আর বাজেট শুনে পাবলিকেরও উপরের অবস্থা তাইনা? :(

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পিকচারটা কিন্তু দারুণ!!!!!!!!!!! =p~

১০| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: অটঃ গেম, বাজেটে কবি ও কবিতা নিয়ে কিছু বলা আছে কিনা?

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: নাহঃ সিরাম কিসসু নাইক্কা

১১| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৬

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: ১০০% একমত

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা!!

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৯

উল্টা দূরবীন বলেছেন: এইযে একটা ছিকারেট কিনতে এতো টাকা বাড়তি দিই, টেকা কই যায়? - প্রশ্নটার কিছু কিছু উত্তর পেলুম। তবে বেশিরভাগ কথাই মাথার উপর দিয়া গ্যাছে। মেশিনের মত টেকা গুনবার পারি কিন্তু অর্থনীতি মাথায় ঢুকে না।

সময়োপযোগী পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধইন্যাপাতা আর রুহ আফজা গেমু ভায়া।

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এইবার সিগারেটের উপ্রে সরকারের এত রাগ উঠলো কেন বুঝতারলাম্না!!!!!

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিজন রয় বলেছেন: অটঃ গেম, বাজেটে কবি ও কবিতা নিয়ে কিছু বলা আছে কিনা?" এইরাম কিছু হইলে কত্তো ভালো হইতো!

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মজা পাইলামম :-P

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: এটা হচ্ছে আমার দুই হাজার তম মন্তব্য, এই মন্তব্য কি কোন সাধারণ কোন পোস্টে দিতে পারি? নিঃশ্চই না, তাই আমি আমার দুই হাজার তম মন্তব্য আপনার এই অসাধারণ পোস্টে করে দিলাম। :)

অনেক সুন্দর পোস্ট খুব ভালা হইসে
----------
--------
-----
কি মন খারাপ করলেন? এমন একটি আলোচনা মূলক পোস্টে এমন একটি দায়সারা গোছের ফালতু কমেন্ট করলাম দেখে??
অনেকেই এই কাজটিই করেন, যারা নিয়মিত এ জাতীয় কমেন্ট করেন তাদের জন্য রইল এত্তগুলো সমালোচনা। X((
এটা ব্লগ ফেসবুক নয়, এটা আলোচনা সমালোচনা করারই জায়গা, সুতরাং সবার প্রতি অনুরোধ আলোচনা করুন, সমালোচনা করুণ ব্লগকে প্রাণবন্ত রাখুন। :)

বাজেট নিয়ে আমি আর কি বলব? আমি তো আর অর্থনীতিবিদ না আর না কোন স্টক ব্যাবসায়ী ;)
একটু ভাইবা লই পরে কমুনে। :-P

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:১১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই তো আপনি এসে পড়েছেন! এবং এবং যথারীতি প্রাণবন্ত মন্তব্য!!

আরে! আমি অর্থনীতির মানুষ নাকি? জানেনই তো আমার জনরা!! ;)

যাইহোক, অর্থনীতি না জানি, টুকটাক হিসেব তো বুঝিই। :) সো, এই এটেম্প্ট আরকি। সরকারে বসা লোকেরা চেটেপুটে সব যে খেয়ে সাবার করে ফেলছে সেটা তো একটু খেয়াল রাখা উচিৎ। নাকি?

১৫| ০৭ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৩৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: জনগনকে অশিক্ষিত রাখার পাশাপাশি আরেক ব্যাপার বোধহয় কাজ করে, তা ব্যাবসায়ী যারা মোটাদাগে পার্টি ফান্ডে টাকা দেয় তাদের জন্যও ব্যবসার ক্ষেত্র খুলে দেওয়া।। হ্যাঁ প্রাইভেট ভার্সিটিগুলির কথাই বলছি।। আজ মনে হয় পাবলিকের চেয়ে বেশী না হলেও প্রাইভেটে খুব একটা কম ছাত্র/ছাত্রী হবে না।। সরকার কি পারতো না পারে না এমন কিছু নিজের মতই করতে?? বাজেটটা একটু বেশী করেই।। মূল অংশটা তো দিচ্ছি আমরা সাধারনরাই।। দেশে-বিদেশে থেকে।। তাহলে??
সামনে আরো প্রানবন্ত আলোচনার আশায় আছি।।

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শিক্ষাকে অবলম্বন করে ব্যবসার মতো জঘন্য কাজ যারা করে তাদের প্রতি রইলো ঘৃণা।

আপনাকে ধন্যবাদ হ্যাপী ভাই!! বাজেটের মতো জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়া মানুষের আগ্রহ কম, এটা দেশের উন্নয়নকে মন্থর গতি করছে।

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:০৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাল পোস্ট দিয়েছেন।

ধন্যবাদ আপনাকে

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল রেজওয়ান ভাই!

১৭| ০৭ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:২৬

শেয়াল বলেছেন: বাজেটে পাবলিকের রক্ত/ঘাম/শ্রম/অর্থ সবকিছু বিবেচনায় নিলে প্রভাশালীরা সাধারণ মানুষের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে । ধনীরা অর্থ কম ব্যয় করার জন্য বাজেটে কারচুপি করা হয়েছে খুব সতর্কভাবে । নিম্ন ও কম আয়ের মানুষদের পকেট কাটার উত্তম ব্যবস্থ্যা রাখা হয়েছে ।
মানুষ এইসব নিয়া কোন উচ্চবাচ্যও করবে না । অথএব কলুর বলদরে নিয়া হুঢাই আপনারা মাথা ঘামান ।

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাজেট পাস করার সময় বেশি আয়ের মানুষদের জন্য অর্থ সাশ্রয়ের চিন্তা করা হয় প্রতিবারই!!!!!!!

১৮| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৪০

RifatS12345 বলেছেন: Meet singel filipina online


go to→ http://www.matchfilipina.com/

১৯| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: ভারতের বাজেটের সাথে আমাদের তুলনা করাটা সেভাবে ঠিক হবেনা। কারণ, ওখানে দুই ধরনের ট্যাক্স আর বাজেট হয়। একটা সেন্ট্রাল গভঃ বাজেট এন্ড টয়াক্স আরেকটা রাজ্য সরকারের বাজেট এন্ড ট্যাক্স। সেন্ট্রাল গভঃ টয়াক্স কেন্দ্র নির্ধারণ করে। সেটা পুরো ভারতের জন্য নির্দিস্ট। কিন্তু রাজ্যের বাজেট এবং সব রাজ্য নিয়ন্ত্রন করে। আমাদের থেকে সম্পুর্ণ আলাদা।

আয়কর বাজেটে খুব বড় কিছ দেয়না। ভ্যাট ট্যাক্স সবই ধনীদের থেকে বেশি আসে, কিন্তু আসলে প্রদান করে সাধারণ মানুষ। দেখা গেল যে গ্রামীণফোন ৫,০০০ কোটী টাকা কর দিলো, নামটা কর্পোরেট প্রতিহঠানের। কিন্তু ভ্যাট ট্যাক্স সে কিন্তু জনগনের পকেট থেকে নিয়েই দলো। আবার অনেকসময় বাজেটের শতকরা হার মুল অবস্থা বোঝায় না। চার্টে বলা কাতারের ১% শিক্ষাখাতের ব্যয় কে আপনার কম মনে হচ্ছে, কিন্তু ওদের জনসংখ্যা আর বাজেটের আকারের সাথে তুলনা করে দেখেন, অনেক অনেক বড়ো একটা অর্থ। আবার তাদের বাজেট বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় উদবৃত্ত বাজেট।

শিক্ষার বাজেট আমাদের দেশে কম, কিন্তু আমাদের অবস্থাটা এমন যে বাড়ানোর সুযোগ কম। তবে মুল ব্যয় টা আরও বেশি। উন্নয়ন পরিকল্পনা, এসেট একুইজিশন, বেতনভাতা, পেনশন, এসবের একটা বড়ো অংশও কিন্তু শিক্ষকদের পেছনে যায়।

আর কমেন্টে দেখলাম গাড়ির ট্যাক্স কমানো হয়েছে বলছেন। হ্যা, গাড়ি, কিন্তু সেটা হাইব্রিড গাড়ি। আমার তো মনে হয় হাইব্রিড গাড়ির উপর যা ট্যাক্স আছে পুরো প্রত্যাহার করা উচিত। এটা খুবই ভাল একটা পদক্ষেপ হয়েছে। প্রবলেমেটিক রিকন্ডীশনড গাড়ীর চেয়ে আমাদের মত ঘনবসতির দেশে হাইব্রিড গাড়ি উতসাহিত করা উচিত।

বাজেট নিয়ে নিজেও লেখা শুরু করেছিলাম, এমন কিছ না অবশ্য। অর্থনীতি বুঝি কম। মাথার উপর দিয়ে যায় সব।

শুভকামনা রইলো। :)

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাজার হোক, আপনে আর আমি একই জনরার সেইটা তো জানেন। অর্থনীতি না বুঝি, যারা আগের যুগে টিপসই দিয়ে জমি খুইয়েছিল সেই টাইপ জনতা না হতে চেষ্টা তো করা যায়?
এখন আসি প্রসংগে!!

//আর কমেন্টে দেখলাম গাড়ির ট্যাক্স কমানো হয়েছে বলছেন। হ্যা, গাড়ি, কিন্তু সেটা হাইব্রিড গাড়ি।//

এটা কি শুধু হাইব্রিড গাড়ি? নাকি সবধরণের? আমি নিশ্চিত না। দেখি পত্রিকায়/কোথাও খোঁজ পাওয়া যায় নাকি।

//শিক্ষার বাজেট আমাদের দেশে কম, কিন্তু আমাদের অবস্থাটা এমন যে বাড়ানোর সুযোগ কম। তবে মুল ব্যয় টা আরও বেশি। উন্নয়ন পরিকল্পনা, এসেট একুইজিশন, বেতনভাতা, পেনশন, এসবের একটা বড়ো অংশও কিন্তু শিক্ষকদের পেছনে যায়।//

সরকারের লোকদের বেতনে যদি অধিক টাকা চলে যায় তাহলে শিক্ষা বলেন/উন্নয়ন বলেন এইগুলার পেছনে ব্যয় হবে ক্যামতে???
আমি মনে করি অন্তত ১৫% ব্যয় শিক্ষার পেছনে করা দরকার। কারণ এটা না হলে আমাদের এই বিস্ফোরিত জনসংখ্যা দেশের জন্য ভারি বোঝা হয়ে ওঠবে। এরা বিভিন্ন অনৈতিক/সন্ত্রাসী/মদ্যপান করে দেশকে দোজখ বানিয়ে ছাড়বে। অথচ শিক্ষাদান করলে ক্রিয়েটিভিটি জাগাতে পারলে এরাই দেখবেন নানান অভিনব উপায়ে দেশের সম্পদ বাড়াবে। সমুদ্র সেঁচে মণিমুক্তা আনবে, নদী নিয়ে পানি নিয়ে নতুন কিছু করবে। ভারত/আমেরিকা/ইউরোপের দিকে তাকিয়ে থাকবে না।

#
আয়কর যারা যারা দেয় না, কিংবা চুরি চামারি করে সে ব্যাপারে তাদের নিরুৎসাহিত করে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে শরিক হবার জন্য উৎসাহ দিতে হবে। দেশকে ভালবাসতে ও দায়িত্ববান হতে উদ্যোগি করতে হবে। এছাড়া যারা চিটারি করবে তাদের ধরার জন্য আন্তরিক+অভিনব কৌশল নিতে হবে।

#ভারতের সাথে তুলনা
আমি একদমই তূলনা করি নি। আমি দেখাতে চেয়েছি, ভারতও শিক্ষার ওপর কিভাবে জোর দিয়েছে। এছাড়া তারা কিন্তু ধনীদের কাছ থেকেই বেশি টাকা আদায় করে। লক্ষ্য করে দেখবেন।

সুচিন্তিত মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

২০| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

সোহানী বলেছেন: এক নজর দেখলাম। ভালোভাবে পড়ে তারপর আসবো। দেশে এ মূহুর্তে না থাকার কারনে একটু মিস্ করছি বাজেট আর মন্ত্রী সাহেবের ঘুমানো। যাহোক আমার প্রিয় বিষয়....... সামনে আনার জন্য ধন্যবাদ।

০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কই আর আসলেন? হেঃ হেঃ হেঃ :)

২১| ০৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

জেন রসি বলেছেন: অর্থনীতির মারপ্যাঁচ নিয়ে খুব একটা ধারনা না থাকলেও কিছু ব্যাপার সহজেই বুঝে ফেলা যায়। যেমন ধরেন আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামো কিসের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আছে আমরা জানি। এ দেশেকে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো তাদের স্বার্থে কিভাবে ব্যবহার করতে চায় সেটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এই প্রসঙ্গগুলো টেনে আনছি, কারন বাজেটের সাথে ব্যাপারগুলো সম্পর্কিত। আমরা প্রতি বছর বাজেট পেশ করা হলেই খুব হতাশ হয়ে যাই। তারপর কিছুদিন পর আবার ভুলেও যাই। কিন্তু সরকার প্রতিবছর কেন ঠিক এমন বাজেটই পেশ করে যাচ্ছে যাতে গনমানুসের স্বার্থ প্রতিফলিত হচ্ছে না? কারন তারা যে কাঠামোর উপর ভিত্তি করে ক্ষমতায় টিকে আছে এবং যেসব গোষ্ঠী বা সংস্থাকে তাদের ক্ষমতার জন্য প্রয়োজনীয় মনে করছে তাদের স্বার্থটাই দেখছে। তারা প্রতিরক্ষা খাতে অনেক ব্যয় করছে। ব্যবসায়ীদের ছাড় দিচ্ছে। কিন্তু শিক্ষা খাতে ততটা করছেনা। কৃষকের, শ্রমিকের উন্নত জীবন নিশ্চিত করার জন্য বরাদ্দ বাড়াচ্ছে না। কারন তারা সেটাকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় মনে করছেনা। তবে তখনই করবে যখন তাদের উপর প্রেসার সৃষ্টি করা হবে। অধিকার আদায়ে চাপ প্রয়োগ করলেই শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সেদিকে দৃষ্টিপাত করবে। তাই অবহেলিত জনগন যতদিন অধিকার আদায়ে সক্রিয় না হয়ে চুপ থাকবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের দেশের সরকারগুলো এমন গনস্বার্থবিরোধী বাজেটই পেশ করে যাবে।

০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সময় পাচ্ছি না এই কয়দিন যাবত!
আপনি যেদিকে ফোকাস করেছেন সেটাও ভেবে দেখার মতো বিষয়। এই আধুনিক সময়েও যদি আমাদের সম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছে জিম্মি হয়ে থাকতে হয়, তাহলে এই অগ্রগতির মানে কী?
আমাদের সামগ্রিক উন্নতির স্বার্থে যদি বাজেট প্রণয়ণ না হয়, তাহলে ১৯৭১ সালে যে স্বপ্ন নিয়ে একদল তরুণ ঝাঁপিয়ে পড়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, তাদের সাথে বেঈমানি করা হবে।

//ব্যবসায়ীদের ছাড় দিচ্ছে। কিন্তু শিক্ষা খাতে ততটা করছেনা। কৃষকের, শ্রমিকের উন্নত জীবন নিশ্চিত করার জন্য বরাদ্দ বাড়াচ্ছে না। কারন তারা সেটাকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় মনে করছেনা।//
এটা তারা করছে, হয়তো ক্ষমতা নিজেদের হাতে থাকুক সেটাই মুখ্য। এ কারণে বেতনভাতা বাড়িয়ে প্রশাসনকে একেবারে নিজের অধীনে রাখতে হচ্ছে। সো, টাকাটা চলে যাচ্ছে বন্টনের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত লোকদের পকেট পুরতে।

২২| ০৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১০

মহা সমন্বয় বলেছেন: সমস্যার অন্ত নেই আমাদের দেশে প্রতিটি খাতেই রয়েছে ব্যাপক সমস্যা। অনেকেই বলেন এই এত এত সমস্যা দূর করা সম্ভব নয়। সত্যিই এ এক ভাবনার বিষয়, আপনি কয়টি বিষয় নিয়ে লিখবেন? চিকিৎসা,শিক্ষা,খাদ্যে ভেজাল,দূর্ণীতি,জানজট,অাবাসন সমস্যা,পরিবেশ দূষণ, চাকরি, ব্যাবসা বাণিজ্য সহ সব সবকিছুতেই এক সীমাহীন সমস্যা।
ছোট এক দেশ তার মধ্যে ১৮ কোটি মানুষ, এক সমস্যা দূর করতে যাবেন তো আরও হাজার সমস্যা মাথাচাড়া দিবে।
তাহলে উপায়!! :(
উপায় একটা আছে, হ্যাঁ একটি মাত্র উপায়ই আছে যা এই সব সমস্যা ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে পারে আর তা হচ্ছে শিক্ষা, একমাত্র সময় উপোযোগী শিক্ষাই পারে এই সকল সমস্যার সমাধাণ করতে, এছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।
অথচ দুঃখ জনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে প্রতিটি সরকারই এই শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখে সবচেয়ে কম। এটা কেন করে তা আমি জানি না।
লোকমুখে শুনতে পাই সত্য মিথ্যা জানি না, আমাদের দেশের প্রতিটি রাজনীতিবিদরাই নাকি চায় যে জনগণ শিক্ষিত না হউক, জনগন যত বেশি প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে তত বেশী তাদের গুরুত্ব কমে যাবে, তাদের জবাদিহিতা বাড়বে,তাদের স্তুতি করার লোকের অভাব হবে। যত বেশি হবাগোবা জনগোষ্ঠি ততই তাদের ফায়দা। :-P
এজন্যই প্রতিবছর বাজেটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেই শিক্ষার উপরই বরাদ্দ কম রাখে :( এটা কি ইচ্ছে কৃত নাকি আসলেই আমাদের সীমাবদ্ধতা তা এখন পর্যন্ত জানতে পারলাম না। :(

০৯ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার সাথে আমার ভাবনার মিল আছে!
শিক্ষাখাতে সরকারের ব্যয় করা উচিত। নিজে না খেয়ে হলেও পরের প্রজন্মকে শিক্ষায় শিক্ষিত করা দরকার। এরা যদি মুর্খ থেকে যায়, দৃষ্টিভংগি থেকে বিকলাংগ হয়ে পড়ে তবে একদিন রাষ্ট্র হিসেবেই আমরা ব্যর্থ হয়ে পড়ব। :| :|
ওবায়দুল কাদেরের ন্যায় মানুষ আরো বেশি দরকার আমাদের!!

২৩| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীর অন্যতম করাপটেড দেশের আবার বাজেট! ৯৭ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট কোন গরিব দেশ দেয় বলে আমার জানা নেই। সামনে ভয়ংকর ট্যাক্সের সব বোঝা আসছে আমাদের মত গরিবদের জন্য। বড়রা তো উকিল লাগিয়ে প‌্যাঁচ লাগিয়ে ঝুলাবে বছরের পর বছর! ভাল পোস্ট। ধন্যবাদ।

০৯ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ট্যাক্স দিতে দিতে কম আয়ের মানুষগুলোর অবস্থা শেষ। মোবাইলফোন কোম্পানিগুলো তো ৫% সম্পুরক শুল্ক আদায় করা শুরু করেছে ইতিমধ্যেই!!!!!!!!!

২৪| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫১

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: আমি ভাই বাজেট ফাজেট এর কিছুই বুঝি না।সমাজ বিজ্ঞানে কখনো লেটার মার্ক পেতাম না।যাই হোক,পোস্টটা ভালো লাগলো।শিক্ষাখাতের বাজেট আরো বাড়ানো উচিত ছিলো।

১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:০১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাজেট ফাজেট না বুঝলে সমস্যা নাই। বেসিক না বুঝলে তো সমস্যা!! :| :|

২৫| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

তৃতীয় পক্ষ বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। ভাল লাগল।

১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:১১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এইখানে ভাল লাগার কথা ছিল না। :| চিন্তিত হবার কথা। :)

২৬| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: হাইব্রিড গাড়ি।

বেতন কমানো সম্ভব না। বাজেটে সেটা মাস্ট। অন্যখাত থেকে টান দেবেন? প্রতিটা খাতই গুরুত্বপূর্ণ। আমার ২ থেকে ১৫ করে দিবেন? এত লাফও লাভজনক হবে না। মেঘ ছুতে গিয়ে মঙ্গলে বসে থাকবেন। শিক্ষিত জনগোশঠীকে ধরে রাখতেও দেশের অবকাঠামো, শিল্প, অর্থনৈতিক প্রতিশঠান দরকার। চাকরী করবে কোথায় তাহলে। মেধা পাচার হয়ে যাবে। বিদেশে মাইগ্রেট করবে দেশের টাকায় শিক্ষিত হয়ে। রেমিটেন্স বেশি পাঠায় শ্রমিক শ্রেনী, যারা দেশেই মরার চিন্তা করে। ইমিগ্রান্ট উচ্চিশিক্ষিত প্রজাতি বাইরে সেটেল হয়ে গেলে পুরো পরিবার আর সম্পদ সহ শিফট করে যায়। দেশ পায় টা কি? এরচেয়ে বুয়েট মেডিকেল বা ডিইউ এমনকিছুর যারা সবচেয়ে মেধাবী, তাদের জন্য দেশের আকর্ষন বাড়াতে উচ্চাভিলাষী প্রকল্প আর সুবিধার দরকার। একজন স্বপ্লশিক্ষিতের চেয়ে দেশের জন্য একজন উচ্চশিক্ষিতের প্রভাব অনেক বেশি।

ভারতের মত এদেশেও যত বেশি ধনী তত বেশি ট্যাক্স, তত বেশি সারচার্জ। কিন্তু ওদের দেশে আদায় বেশি, কারচুপি কম। সিবিআই, ইনকামট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের ক্ষমতা অনেক। অন্য জায়গায় করাপশন থাকলে এদের এ দুটা জায়গায় স্বচ্ছতা অনেক বেশি। আর আমাদের দেশে আদায়ই নাই। আমাদের মেয়র, শত গার্মেন্টসের মালিক আনিসুল হকের নিজ নামে কোনও গাড়ি নাই। সম্পদের হিসাবের দরিদ্র অবস্থা। এটা থেকেই বোঝেন।

আর কি বলবো? স্বপ্লবুদ্ধি নিয়া বেশি বললেও সমস্যা।

০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সরকারের টাকার দরকার তো?
তাহলে ইনভেস্ট করুক। এটা করতে পারবে নিশ্চয়ই, কারণ ব্যাংকসমুহে অব্যবহৃত টাকা আছে। বিশেষতঃ শিক্ষাক্ষেত্রে ইনভেস্ট করুক। এই যেমন- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়িয়ে আরো বেশি কর্মক্ষম জনগোষ্টি উৎপাদন করুক।
তাদের কাছে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিক শিক্ষার কঠোর শর্তসাপেক্ষে। প্রতিবছর ১০ লাখ এইরকম কর্মক্ষম মানুষ বের হোক। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা দেশে না হলে বিদেশে পাঠিয়ে দিক। ফিলিপাইন/থাইল্যান্ড/ইন্ডিয়া তো এইটাই(বিদেশে জনশক্তি) পলিসি মেইনটেইন করছে।
এদের অবশ্যই শিক্ষাব্যবস্থ্যায় দেশপ্রেম/দেশের প্রতি দ্বায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। এটা না করতে পারলে এই থিওরি তেমন কাজ করবে মনে হয় না। এদের বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ইমিগ্রান্ট না হবার শর্তে।
আর দুর্নিতি নিয়ে আর কি বলব, যাদের টাকা আছে তারা এটা আরো বাড়ানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টায় লিপ্ত। এটার পেছনেও আমি নৈতিকতার অভাব, উপলদ্ধির অভাব, দেশকে নিয়ে আন্তরিকতার অভাবই দেখছি বেশি। এটা কমাতেও শিক্ষার কনট্রিবিউশনের অপেক্ষা করা লাগবে। :|

২৭| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


" দেশে যত সম্পদ আছে, টাকা আছে তা দিয়ে ৯০ শতাংশ-ভাগ শিক্ষিত জাতি হতেই পারি আমরা। আমি যদি বাজেট তৈরির ক্ষমতা রাখতাম তাহলে শিক্ষাখাতে শতকরা ২০ শতাংশ ব্যয় করে ফেলতাম কিন্তু! "

-সঠিক অনুধাবন; মুহিত সাহেব, সাইফুল সাহেব ও কিবরিয়া জাতিকে পংগু করেছে; এলোকগুলো মনের দিক থেকে কেরানী ছিল ও আছে।

১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আগেই জানতাম এই ব্যাপারে আপনার আগ্রহ আছে।

২৮| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাজেট করতে হলে দরকার দক্ষতা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, ২০বছর সামনে দেখা; জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা; এগুলো মুহিত সাহেবের নেই, উনি জমিদারী ও সামন্তবাদের মানুষ

১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মুহিত সাহেবের কি আছে, কি নেই সেটা আপনি সিউর জানেন? আমি তো জানি না।

২৯| ০৯ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: ব্যাঙ্ক ঋণ নেয়া ভালো সমাধান না। অব্যবহৃত টাকা আছে এটা ঠিক না, এটা নাগরিকদের সঞ্চয়, আমানত। সুদ, লাভ এবং নিরাপত্তার আশায় রাখা। সরকারকে সেখান থেকে লোন নিলে তার সুদও দিতে হয় অনেক চড়া। সবচেয়ে ভালো উপায় যদি বৈদেশিক ঋণ পাওয়া যায়, তাতে সুদের হার হয় অনেক কম। রিজার্ভ থেকে টান দেয়া যায় নাকি আমি জানিনা, কিন্তু একটা দেশের জন্য বৈদেশক মুদ্রার রিজার্ভ স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে তিন মাসের আমদানী ব্যয় মেটাবার পরিমান অর্থ। বাংলাদেশের হাতে এখন ৮-৯ মাস মেটাবার পরিমান অরথ আছে। এই সুবিধা কাজে লাগানো যায় নাকি ভেবে দেখতে হবে। রিজার্ভ আবার কমিয়ে ফেললেও অসুবিধা। টাকার মান কমে যেতে পারে, মুদ্রাস্ফিতি বাড়তে পারে। তবে অনেকটাই ব্যবহার করা যেতে পারে হয়তো।

আপনি যদি কোনও সরকারী চেয়ারে বসতেন, তবে দেখতেন যে বাজেটের কোডের অভাব নাই। এই কোডে এত টাকা, ওই কোডে অত টাকা, এভাবে দেয়। প্রতিটাই জরুরী।

আবার কয়টা বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে ফেললেই যে সমাধান হয়ে যাবে, তাও নয়। বিশ্ববিদ্যালয় দেশে কম নেই, তবে সবগুলোর মান সমান না। বুয়েটের সাথে বিআইটি বা শাহজালালের সাথে পটুয়াখালি বিজ্ঞান এবং পযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনাই চলে না। নির্দিস্ট মানে পৌছাতে পারা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পরিকল্পনা হতে হয় সবদিক ভেবেই। আজকের পরিকল্পনার ফল পেতে ১০-১৫ বছরও লেগে যেতে পারে। শিক্ষা এমন একটা ব্যাপার, যা ওভারনাইট মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া যায়না। সবাই শিক্ষিত হয়ে যাবে তাও না। ১০০ জনে ১ জন সুপার ট্যালেন্টেড থাকবে, ১০ জন উচ্চ মেধার, ৪০ জন গড়পরতা আর বাকীরা কোনমতে পাস করলেও করতে পারে। সবাইকে নিয়েই দেশ। বর্তমানে যা আছে, সেগুলোর মান না বাড়িয়ে আরও বিশ্ববিদ্যালয় বাড়িয়ে আসলে কোনও লাভ নেই। জমি, জনবল এবং অন্যান্য নানা খরচ থাকে একটা প্রতিষ্ঠান গড়তে। আর সেটা হয় রিকারেন্ট এক্সপেন্ডীচার, এককালীন নয়। গড়তে খরচ লাগলো ১০০ কোটি, কিন্তু শক্ষক, প্রসাশনিক কর্মকর্তা, পিয়ন সহ কম করে হলেও ২০০-৩০০ মানুষের একটা স্থায়ী স্থাপনা হয়, যেটাকে আপনার পরবর্তী খরচের সাথেও যোগ করতে হবে। বুয়েটের একটা ছাত্রের পেছনে সরকারের ভর্তুকী প্রতিবছর লাখ টাকার বেশি, মেডিকেলে অংকটা ৪-৫ লাখ টাকার মতন। এদেরই গড়তে কত খরচ লাগছে ভেবে দেখেন। এদেরই আগে ধরে রাখবার ব্যবস্থা করেন। শর্ত দিয়ে কখনো কাউকে বেঁধে রাখা যায়না যদি না তার দেশের জন্য আলাদা টান থাকে।

আর দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেবার কথা বলছেন, কত টাকা ঋণ দেবেন? উচ্চশিক্ষার খরচ অনেক, সেই ঋণটাও কিন্তু নিজস্ব সম্পদ থেকেই যাবে। লাখ লাখ প্রার্থী জুটে যাবে, এইদেশের এত অর্থও নাই। সরকার বড়জোর বিএসসি বা মাস্টার্স পর্যন্ত সবচেয়ে মেধাবীদের পেছনে খরচ করতে পারে, দেশের সীমিত সামর্থ্যে করছেও। বুয়েট, মেডীকেল বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা মেধার পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হলো, তারা নামমাত্র খরচে পড়ছে। মেধার ভিত্তিতেই তারা সুযোগ পেলো। মেধার সবচেয়ে উপরে থাকারাই সুব্ধাগুলো পাচ্ছে। এর বাইরে আপনি কি যাদের মেধা কম তাদেরও ঋণ আর সুবিধা দিতে বলছেন? প্রায়োরিটি তো আগে মেধাবীদেরই হওয়া উচিত। এসবের পরিসর বাড়ানো যেতে পারে্‌ কিন্তু পরিসরের চেয়ে মানের দিকে নজর দেয়া জরুরী। একজন স্বল্পশিক্ষিত টেকনিক্যাল হ্যান্ড ৩০-৪০ হাজার টাকা বেতন পাবে দেশের বাইরে, উচ্চশিক্ষিত হলে কম করে হলেও ১০ গুন। গুনগত তফাতটা অনেক। কিন্তু আগেই বলেছি, দেশে টাকা পাঠায় শ্রমিক শ্রেনী, বেশি ভালোরা মাইগ্রেট করে স্মপর্কের ইতি টানে দেশের সাথে। এটাকে ঠেকাবার উপায় দেশে সুবিধা বাড়ানো এবং দেশের প্রতি মায়া জন্মানোর ব্যবস্থা করা। আবার সামগ্রিকভাবে মান বাড়লে অবস্থাও ভালো হবে।

আমি মনে করি প্রাথমিক নজর দেশের অবকাঠামোর রাতারাতি উন্নয়ন, শিল্প কারখানা তৈরী এবং অর্থনীতিতে গতি আনা। এসব নিশ্চিত করতে পারলে যোগ্য এবং শিক্ষিত লোকের মুল্যায়ুন বাড়বে, বিদেশমুখী না হয়ে দেশে ধরে রাখা যাবে। আর শিক্ষার বরাদ্দ অবশ্যই বাড়ানো উচিত, তবে প্রামথিকভাবে মান বাড়ানো উচিত এবং সার্বিক উন্নতির জন্য দরকার অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের মাধ্যমে সুচারু পরিকল্পনা। শুধু সার্টিফিকেটধারী মানুষ না, প্রকৃত মানবিক গুনাবলী নিয়ে দ্বায়িত্বশীল মানুষ বানাবার ফ্যাক্টরী হোক আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

ধন্যবাদ :)

১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: //ব্যাঙ্ক ঋণ নেয়া ভালো সমাধান না। অব্যবহৃত টাকা আছে এটা ঠিক না, এটা নাগরিকদের সঞ্চয়, আমানত। সুদ, লাভ এবং নিরাপত্তার আশায় রাখা।//
অব্যবহৃত টাকা আছে। এটা সরকারকে ঋণ নিতে বলছি না। এটা সাধারণ মানুষকেই বেছে বেছে ঋণ দেওয়ার কথা বলছি। শিক্ষিত বেকারদের এক্ষেত্রে চিন্তা করা যায়।

//সবচেয়ে ভালো উপায় যদি বৈদেশিক ঋণ পাওয়া যায়, তাতে সুদের হার হয় অনেক কম।//
সহমত! এইরকম আমিও চিন্তা করি!! তবে রিজার্ভ থেকে টান দেওয়া হোক সেটা চাই না।

//বাজেটের কোডের অভাব নাই। এই কোডে এত টাকা, ওই কোডে অত টাকা, এভাবে দেয়। প্রতিটাই জরুরী। //

সেটা অবশ্যই ঠিক। কিন্তু এর মানে এই নয় যে শিক্ষাখাতে বরাদ্ধ বাড়ানো + অবকাঠামো নির্মাণ + সুষ্টু পরিকল্পনা মোতাবেক উন্নয়ন সম্ভব না।


বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে ফেললেই সমাধান হবে না, একমত। তবে এটা না বানিয়ে বসে বসে বাতাস খাওয়া সমাধানের পথ নয়, বরং সেটা সমস্যা আরো বাড়িয়ে ফেলবে।
বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সাথে সাথে মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশে যে সকল সমস্যা/প্রতিকূলতা আছে সেগুলো মোকাবেলা করতে হবে। সব যে অর্থের সাথে সংশ্লিষ্ট এমনও নয়। তাই দৃষ্টিভংগি ও সততার বিকাশে কাজ আবশ্যক।

//শিক্ষা এমন একটা ব্যাপার, যা ওভারনাইট মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া যায়না। সবাই শিক্ষিত হয়ে যাবে তাও না। ১০০ জনে ১ জন সুপার ট্যালেন্টেড থাকবে, ১০ জন উচ্চ মেধার, ৪০ জন গড়পরতা আর বাকীরা কোনমতে পাস করলেও করতে পারে। //

শিক্ষা ওভারনাইট মাথায় ঢোকানোর চিন্তাও একটা ভুল পদক্ষেপ হবে। তবে আমি মনে করি ১০০ জনে ১০ জন থাকবে মেধাহীন, ২০ জন থাকবে মোটামুটি মেধাবী, ৪০ জন থাকবে গড়পড়তা মেধাবী, ২০ জন থাকবে বেশ মেধাবী, ৯ জন থাকবে খুব ভাল মেধাসম্পন্ন আর ১ জন থাকতে পারে উচ্চমেধাসমপন্ন মানুষ।
শতকরা ৯০ জনকেই কাজে লাগানো সম্ভব, যদি উপযুক্ত নার্সিং করানো হয়। সেমিস্টার পদ্ধতির আরো প্রসার করা দরকার।

//গড়তে খরচ লাগলো ১০০ কোটি, কিন্তু শক্ষক, প্রসাশনিক কর্মকর্তা, পিয়ন সহ কম করে হলেও ২০০-৩০০ মানুষের একটা স্থায়ী স্থাপনা হয়, যেটাকে আপনার পরবর্তী খরচের সাথেও যোগ করতে হবে। বুয়েটের একটা ছাত্রের পেছনে সরকারের ভর্তুকী প্রতিবছর লাখ টাকার বেশি, মেডিকেলে অংকটা ৪-৫ লাখ টাকার মতন। এদেরই গড়তে কত খরচ লাগছে ভেবে দেখেন। এদেরই আগে ধরে রাখবার ব্যবস্থা করেন। শর্ত দিয়ে কখনো কাউকে বেঁধে রাখা যায়না যদি না তার দেশের জন্য আলাদা টান থাকে। //
সহমত, টাকার দরকার। আর এজন্যই বারবার বরাদ্ধ বাড়ানোর কথা বলছি। তবে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা দরকার সেটা হলো- সততার দরকার। দেশপ্রেম, উপলদ্ধির দরকার। এইগুলো ছাড়া সব টাকাই জলে যাবে। :| :|


আর কর্মসংস্থানের কথা বলছেন তো? চীনের বিপ্লবের পরে কি হয়েছিল মনে আছে? আমাদেরও এইরকম কিছু করা দরকার। এক্ষেত্রে আমি মনে করি- পড়াশুনা শেষ করে এরা নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিজেরাই করুক।
যেমন, কেউ যদি সিএসই করে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে চায় তাহলে সে প্রোগ্রামিং করুক। কেউ যদি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয় তাহলে সে ঐ ক্ষেত্রেই কোন ফার্ম/প্রজেক্ট হাতে নিক।
আর চাকরির জায়গা যে একেবারেই নেই সেটাও নয়। বাকিদের জায়গা নাহয় চাকরিতেই হলো। আর অবশ্যই যেটা সুফল হবে সেটা হলো- জংগিবাদ/ধর্মান্ধতা/রাজাকারি/পিছুটান থেকে জাতি ধীরে ধীরে মুক্তি পাবে।

যেমন, কেউ যদি উচ্চাকাংখা করে যে সে বিলিওনিয়ার হবেই। তাহলে কিন্তু তাকে -সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সবাই-ই তো আর বিলিয়নিয়ার হতে চাইবে না। কেউ কেউ অল্পতেই সুখি থাকতে চায়। এই ব্যপারে জীবন দর্শনে চিন্তাকে সমৃদ্ধ করতে হবে। এটা অনস্বীকার্যঃ প্রকৃত জীবন দর্শনে কিন্তু টাকার চেয়ে সময়ের উপভোগই মুখ্য। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এই দৃষ্টিভংগির প্রতিফলন ঘটাতে হবে। এতে সামাজিক অসুখের অনেকটা সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। :)

শুভকামনা রইলো, :)

৩০| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সামনে হয়তো এই জাতির সুদিন আসবেই......। :) আসুন! সে আশায় কাজ করে যাই!!

সংক্ষেপে এ ছাড়া আর কিইবা বলার আছে?

দারুন বিশ্লেষন একমত।

১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধন্যবাদ রইল বিদ্রোহী ভাই!!

৩১| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৩

মুসাফির নামা বলেছেন: সবাই শিক্ষিত হলে সমস্যা, উনারা বুঝলেও আপনি বুঝেন নি,কারণ আপনি শিক্ষিত।

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:৪১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ :)

তাই হয়তো।

৩২| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




মুহিত সাহেব কিভাবে ফাইন্যান্স'এর দায়ত্ব পেলেন কে জানে, উনি সাধারণ কেরানী।

১২ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:০৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: উনি বিশ্বব্যাংকে ছিলেন। আর যেভাবে উনাকে অবমুল্যায়ণ করেছেন তাতে অবাক হচ্ছি।

৩৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি আর শিক্ষা বান্ধব পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই!

৩৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমি মিন, পড়াশোনাবান্ধব অর্থনীতি!

মিস্কুইজি হরবরাইল হে হে হে

গেমু ভাই!

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বুইজ্জা নিলামম....... ঠিংকু......... :)

৩৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: তবে আপনার বিশ্লেষণ খুব ভাল লেগেছে!

৩৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২১

আহম কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ, বাজেট নিয়ে আপনার চমৎকার 'ভাবনা' পোস্ট দেয়ার জন্য।




দেশে এখন ছাত্র রাজনীতি (ছোটো ছোটো কয়েকটি সংগঠন ছাড়া) নেই। আছে, লুটপাট-এ ভাগ বসানো ও স্থুল কায়-কারবার। যদি, ছাত্র রাজনীতি থাকতো তবে, ছাত্ররা তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে দাবী তুলতো এবং সংগ্রাম করতো।
প্রসঙ্গত, সামরিক উর্দি পড়া জেনারেল এরশাদের শাসনামলে সরবোচ্চ বাজেট ধরা হতো- সামরিক খাতে। কিন্তু, ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন-সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে এক সময় শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দেয়া হয়।

হ্যাঁ, সারা দুনিয়াকে মোকাবেলা করার জন্য-
B-) শিক্ষা খাতে বাজেট ধরা উচিত সর্বাধিক।
B-) দ্বিতীয় সরবোচ্চ বাজেট হ' তে হবে কৃষি খাতে। আমাদের কৃষি ও কৃষক ধ্বংসের মুখে। শিল্প' র মতো, কৃষিতেও প্রতি বছর আমদানি হার বাড়ছেই।
কৃষক- তাঁর উৎপাদিত শস্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। কৃষক, ফসল উৎপাদন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আমাদের দেশ এখনও কৃষিতে অপার সম্ভাবনার দেশ।
B-) গারমেন্ট শ্রমিকদের বিবেচনায় নিয়ে, তাদের পেশা, কর্মক্ষেত্র' র নিরাপত্তা, পরিবারের সুরক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তার জন্য- তাদের জন্য বাজেটে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ রাখা সময়ের দাবী।
B-) প্রবাসীদের বিবেচনায় নিতে হবে গুরুত্ব সহকারে। তাদেরকে অংশীদারীর ভিত্তিতে, তাদের পাঠানো টাকায় দেশে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে।
(সংক্ষেপিত)

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার কমেন্ট স্টাইলটা একদম ইউনিক এবং আকর্ষণীয়!!

আপনার মন্তব্য প্রসংগে আলাপ করার মালমশল্লা যথেষ্ট আছে। সিম্পলি আমাদের সম্ভাবনা হচ্ছে সরকারকে যে ট্যাক্স আমরা প্রতিদিন দিচ্ছি সেটা সরকারের পাওনা টাকা বলেই বিবেচনা করেই দেই। তেমন উচ্চবাচ্য কোনদিন শুনেছেন?
কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে যারা সরকারে আছে তারা জনগণের ঘামে ভেজা টাকাটা নিজেদের বাপের দেওয়া সম্পদের চেয়েও অধিক পরিমাণ নিজের বলে সেটা নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে রাখে যাতে ৫/১০/২০ বছর পরে আর কষ্ট করতে না হয়।

স্থুলকোণ থেকে যদি বলি তাহলে- সরকারে বসা লোকেরা চিটিং বাটপারিং করে আমাদের সাধারণ মানুষের টাকা মেরে ধনী হচ্ছে, ফু দিয়ে উড়াচ্ছে কিংবা বাইরে টাকা পয়সা নিরাপদ গন্তব্যে রেখে দিচ্ছে।

অভাগা জনগণের কোনদিনই নিজেদের সৎ সন্তান পেল না। :| :|

৩৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৩

আহম কামাল বলেছেন:




আমাদের দেশে হবে, সেই ছেলে কবে-
কথায় না বড় হয়ে, কাজে বড় হবে ।।
---কুসুমকুমারী দাশ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কাজ করতে হলেও কথা বলতে জানতে হবে। ;) তবে বেশি কথা কাজ কম হলে আবার হইলো না। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.