![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাজিম হিকমাত, ফয়েজ আহমদ ফয়েজ ও মাহমুদ দারবীশ/sb
তিন কণ্ঠে একই সুরের গান
ব্রিটিশ রোমান্টিক ঔপন্যাসিক শার্ল্ট বিংহামকে সানডে টাইমসএর পক্ষ থেকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল: আপনার প্রিয় শতাব্দি কোনটি? বিংহাম উত্তরে বলেছিলেন, ইংল্যান্ডে, সতেরোশ শতাব্দি। ওই সময়টার সবকিছু যেমন শিল্প, সাহিত্য, চিত্রকলা, ব্যক্তিত্ব, আর্কিটেকচার সব আমার প্রিয়-ইংল্যান্ডের বিকাশের জন্য এমন সুফলা শতাব্দির আরও প্রয়োজন। লেখার শুরুতেই আমি শার্ল্ট বিংহামকে উদ্ধৃতি করলাম এ জন্য যে, বড় মানুষ, বড় শক্তি ও সভ্যতার বিনির্মাণের জন্য সময় একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। একই সঙ্গে সমান গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি ফ্যাক্টর হলো দেশ মানে স্থান মানে ভৌগলিক অবস্থান। যেনতেন সময়ে, যেনতেন অঞ্চলে বড় মানুষ জন্মগ্রহণ করে না।
বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখব, সভ্যতার সুউচ্চ খিলানগুলো একএকটি বিশেষ সময়ে, একএকটি বিশেষ স্থানে গড়ে ওঠেছে আর তাদের আকাশ ছোঁয়া করে যাঁরা নির্মাণ করেছেন তাঁরা নির্দিষ্ট কিছু সময়ে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছেন। ঠিক এমনই একটি সময়, ইংল্যান্ডের সতেরোশ শতাব্দি। বিপ্লবের আগে পরে ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও আনবিক বোমা বিস্ফোরণের পরের জাপান। স্বাধীনতার আগের-পরের কয়েক দশকের বাংলাদেশ। এমনই উত্তাল সময়ের তিনটি ভিন্ন দেশের, তিনটি ভিন্ন ভাষার, তিনটি ভিন্ন পরিস্থিতির তিন মানসপুত্র তুর্কি কবি নাজিম হিকমাত, উর্দু কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজ ও ফিলিস্তিনি কবি মাহমুদ দারবীশ। তাঁরা তিনজনই কবিতা লিখে সবধরনের মানুষের বিবেকে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। হ্যাঁ, এই তিনজনকে নিয়ে যখন লিখছি আমার মাথায় উঁকি দিচ্ছে আরেকটি মহান কবি মুখ, তিনি চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদা। প্রায় একইরকম উত্তাল সময় ও রাজনৈতিক টানাপোড়েনের আরেক মহান মানসপুত্র তিনি।
নাজিম হিকমাতের জন্ম ১৯০২ সালে। ১৯৩৮ থেকে ১৯৫০, এই ১৩ বছর, তুর্কি সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্রাজ্যবাদ বিরোধী বিদ্রোহ জাগিয়ে তোলার অভিযোগে কারাভোগ করেন। পরে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে টার্কি কর্তৃপক্ষ তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পরে পুনঃরায় গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে ১৯৫১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে স্বেচ্ছা নির্বাসিনে চলে যান। রাজনৈতিক কারণে তুরস্কের পরিস্থিতি বরাবরই এমন ছিল যে, তাঁর দেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। এ অবস্থায় স্বদেশের শাসকশ্রেণীর প্রতি তীব্র ঘৃণার বহির্প্রকাশ ঘটাতে গিয়ে তিনি তাঁর টার্কি নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করেন এবং নির্বাসিত অবস্থায় সোভিয়েত ইউনিয়নের মাটিতেই ১৯৬৩ সালে মৃত্যু বরণ করেন। জেলের নির্জন সেলে বন্দিত্ব-কবি নাজিম হিকমাতের জন্য কতটা কষ্টের ছিল তা তাঁর কবিতা পাঠ করলেই বোঝা যায়।
নাজিম হিকমাতের কবিতার একটি প্রধান সুর দেশ প্রেম, দ্বিতীয় সুর সমাজতন্ত্রের আন্তর্জাতিকীকরণ। পাশাপাশি বিশ্বচিন্তা তাঁর কবিতার আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য। ক্ষেত্রবিশেষ মরমীবাদীও হয়ে উঠেছেন তিনি। আর তখন তাঁর কবিতায় যুক্ত হয়েছে সুফিবাদী চেতনা। যেমন আমার দেশকে আমি ভালোবাসি-১৯৬৮ কবিতায় আমরা দেখি-
আমার দেশকে আমি ভালোবাসি...
মনে মনে আমি নাড়িযে দিই তার অত্যুচ্চ গাছের ডালপাতা
বসে থাকি তার কারাগারে হতাশার অতলান্তে ঘোর কাটে না
কোনো কিছুই দূর করে না আমার বেদনা
আমার দেশের গান আর তামাকের মতো।
নাজিম হিকমাত তাঁর কবিতার একটি বড় অংশ রচনা করেছেন জেলে অন্তরীন অবস্থায়। ১১ নভেম্বর ১৯৩৩ সালে বসরা জেলে বসে আমার স্ত্রীর কাছে পত্র কবিতায় তিনি লিখেন,
...
বাইরে এখন বসন্ত, প্রিয়তমা স্ত্রী আমার, বসন্ত এসেছে।
বাইরের সমতলে, হঠাৎ গন্ধ
বিশুদ্ধ পৃথিবীর, পাখি গাইছে আরও কত কি।
বসন্ত এসছে, প্রিয়তমা স্ত্রী আমার,
বাইরের সমতল ঝকমক করছে...
আর ভেতরে শূন্য বিছানায় ছারপোকা হাতছানি দেয়,
জগের পানিও জমাট বেধে থাকে না বেশিক্ষণ,
এবং সকালের সূর্য বন্যা বইয়ে দেয় পাথরের মেঝে....
সূর্য-এখনো প্রতিদিন দুপুর পর্যন্ত
ওঠে আর যায় অস্তাচলে
আমার থেকে দূরে নিভে আর জ্বলে তাঁর মহিমা।
নাজিম হিকমাতের জন্য জেলখানা শুধু শাস্তিভোগের ছিল না। ছিল মৃত্যুর দিনক্ষণ গুনার জায়গা। প্রায়শই শোনা যেত তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানোর দিনক্ষণ ঠিক হয়ে আছে। আমার স্ত্রীর কাছে পত্র কবিতাতেই এ আশঙ্কার প্রতিফলন রয়েছে।
ফাঁসি মানে-
একটি দেহ দড়িতে ঝুলানো
আমার মন
এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারে না।
কিন্তু
বাজি ধরতে পার তুমি
কালো কেশওয়ালা গরীব জিপসিরা যখন,
মাকড়সার পায়ের মতো তাদের হাতে
জড়িয়ে দেবে পিচ্ছিল দড়ি
আমার গলার চারপাশে,
ভয়ে তখন নিরর্থক বিবর্ণ হবে তাদের মুখ
যখন তারা তাকাবে
নাজিমের নীল চোখে!
ফয়েজ আহমদ ফয়েজ জন্ম ১৯১১ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্বপরিস্থিতির পটভূমিতে উর্দু ভাষায় অসাধারণসব সব কবিতা রচনা করেছেন ফয়েজ আহমদ ফয়েজ (১৯১১-১৯৮৪)। পাকিস্তান ও ভারতে ব্যাপকভাবে পঠিত এই কবিকে যদিও প্রধানত প্রেমের কবি বলা হয় কিন্তু জীবন সম্পর্কিত বিচিত্র অভিজ্ঞতার বহু ইঙ্গিতপূর্ণ ব্যাখ্যা রয়েছে তাঁর কবিতায়। বৈষম্যপূর্ণ সমাজের রন্ধ্র রন্ধ্রে যে জুলুম, নিপীড়ন চলে, শাসক শ্রেণীর সীমাহীন স্বৈরাচারী মনোভাব এসবের বিরুদ্ধে যেমন প্রতিবাদমুখর তাঁর কবিতা তেমনই জীবনের নিরপত্তাহীনতা, অনিশ্চয়তা, বাস্তুচ্যুতি, জেলখানার একাকিত্ব ও মৃত্যু সর্বোপরি দুঃখবাদীতা তাঁর কবিতাকে আরও আরও বৈশিষ্ট্যে মণ্ডিত করেছে, যেমন
আমার কলম দিয়ে যদি কালির বদলে রক্ত ঝরে
অভিযোগ করব না,
বরং আঙুল ডুবিয়ে বসে থাকব
হৃৎপিণ্ড ক্ষরিত আমারই রক্তে।
অভিযোগ করব না
যদি তারা সিল-গালাও করে দেয় কণ্ঠ আমার।
শিকলের প্রতিটি ঝংকারে
এ কণ্ঠ হবে শানিত প্রতিবাদের ভাষায়।
ফয়েজ জেল খেটেছেন ১৯৫১ থেকে ১৯৫৫ এই চার বছর। নির্বাসনে থেকেছেন ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত ৪ বছর। তিনি যখন জেলে ১৯৫২ সালে অ্যালিস ফয়েজ প্রকাশ করেন তাঁরদাস্ত-ই-সাবা কাব্যগ্রন্থটি, যার কিছু কবিতায় পাকিস্তান সরকার কর্তৃক তাঁকে কারারুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন তিনি। পরে ১৯৭৯ সালে জিয়াউল হক কর্তৃক সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত হলে ফয়েজ স্বেচ্ছা নির্বাসনে বৈরুত চলে যান এবং ১৯৮২ সালে দেশে ফেরেন। আর মৃত্যুবরণ করেন ১৯৮৪ সালে। তাঁর ভাগ্য ভালো যে, নাজিম হিকমাতের মতো বিদেশের মাটিতে মরতে হয়নি তাঁকে। কারাগারের একটি সকাল কবিতায় আমরা নাজিম হিকমাতের কবিতারই প্রতিধ্বনি শুনতে পাই।
প্রতিটি নক্ষত্রই ঘণ্টা বাজায়,
যখন রাত নেমে আসে সন্ধ্যের ঘোরান সিঁড়ি বেয়ে।
পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদুমন্দ বাতাসের নিবিড় সান্নিধ্য
যেন বা কেউ হঠাৎ শুনিয়ে যায় ভালোবাসার গান।
মধ্য উঠোনে,
বিমূর্ত গাছগুলোর উদ্বাস্তু ছায়া নকশা করা মানচিত্র আঁকে
আকাশে ফেরার।
ছাদের ওপর চাঁদ,
প্রিয়ঞ্জনা, উদার
চোখ রাখে দীপ্তিমান ধূলোয় মাখা নক্ষত্রের দিকে।
প্রতিটি কোণ থেকে, কালো-সবুজ ছায়া
ফেনায়িত তরঙ্গের মতো এগিয়ে আসে আমার দিকে
যেন বা ভেঙে পড়বে মাথার ওপর-
বেদনার ঢেউ হয়ে, যা জাগে আমার কল্পনায় প্রতিটি মুহূর্তে
আমার বিছন্নতার মতো আমার ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে।
এই ভাবনা থেকে পাই আমি সান্ত্বনা:
যদিও অত্যাচারিরা আদেশ দিতে পারে যে, বাতিগুলো নিভিয়ে দাও
যে ঘরে প্রেমিক-প্রেমিকেরা মিলত হয়,
কিন্তু তারা আকাশ থেকে চাঁদ মুছে দিতে পারে নি আজও
কিংবা পারবে না আগামীকালও, কোনো স্বৈরাচার সফল হবে না কোনোদিন।
নিপীড়নের কোনো বিষই পারবে না তিক্ততায় ভরে দিতে আমার পেয়ালা
যদি কারাগারের একটি সকালও পারি মধুময় করে তুলতে হঠাৎ,
কিংবা একটি মুহূর্তও পৃথিবীর যে কোনো এক প্রান্তের।
(উর্দু থেকে ইংরেজি অনুবাদ: আগা শাহিদ আলী)
অপরদিকে মাহমুদ দারবীশের জন্ম ১৯৪১ সালে ফিলিস্তিনে। জন্মেও পরই দেখেছেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ট্যাঙ্ক চালিয়ে যখন-তখন প্রবশে করে তাঁদের গ্রামে। গুলি করে মারতে পারে যাকে ইচ্ছে তাকে। এক পর্যায়ে তারা ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে আরও চারশো গ্রামের সঙ্গে তাঁদের গ্রামটি ধ্বংস করে দেয় এবং সেই ধ্বংসাবশেষের ওপর গড়ে তুলে ইহুদি বসতি। চলমান হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচার জন্য দারবীশের পরিবার ফিলিস্তিন ছেড়ে পালায় এবং উদ্বাস্তু হিসেবে পাড়ি জমায় লেবাননে। কবির বয়স তখন মাত্র সাত বছর। পরবর্তী সময় দারবীশ সে অভিজ্ঞতা তাঁর বিভিন্ন কবিতায় তুলে ধরেছেন। যেমন ,
ভদ্রলোকেরা, আপনারা আমাদের দেশকে
পরিণত করেছেন কবরে
বুলেটের চাষ করেছেন আমাদের মাথায়
এবং সম্পন্ন করেছেন গণহত্যা
ভদ্রলোকেরা, এভাবে কিন্তু চলতে পারে না
একটি হিসাব নম্বর ছাড়া
যা কিছু করছেন আপনারা
আমাদের লোকদের সঙ্গে-মনে রাখবেন
তারা সব লিখে রাখছে নোটখাতায় ।
কিন্তু ফিলিস্তিনি জনগণ সত্যি সত্যি নোট খাতা থেকে বুলেট বের করতে পারেনি। দারবীশে বুলেট বের করতে না পারলেও বুলেটের চেয়ে শক্তিশালী কবিতা বের করেছেন, যেসব কবিতা বিশ্বের বিবেকবান মানুষকে একইসঙ্গে আহত ও আলোড়িত করেছে। ফয়েজ নাজিম হিকমাতের মতো এত দীর্ঘ সময় ধরে জেলখানায় অন্তরীণ থাকেননি। মাহমুদ দারবীশ আরও কম। জীবনে বহুবার কারারুদ্ধ হলেও অন্তরীণ হয়ে বেশিদিন থাকতে হয়নি তাঁকে। তবে জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন নির্বাসনে। ফলে দেশ, দেশের মানুষের সঙ্গে বিচ্ছেদ, তাদের ওপর চলমান নিপীড়ন তাঁকে প্রতিমুহূর্তে বেদনার্ত করে রেখেছে। নির্বাসিত জীবনকে তিনি সবসময় কারাগার হিসেবেই দেখেছেন। এ অবস্থায় যখন যেখানেই থেকেছেন দখল হয়ে যাওয়া জন্মভূমির ক্ষতবিক্ষত বুকে নিজের অবস্থান মনে রেখেছেন। তাই তাঁর কবিতার প্রধান বিষয় নির্বাসন, যদিও তাঁর সৃষ্ট সকল কাব্যিক রূপালঙ্কার তাঁর দেশ ফিলিস্তিনকে ঘিরে। তাঁকে বলা হয়ে থাকে ফিলিস্তিনের ম্যাটাফর। যেমন
আই ক্যাম ফ্রম দিয়ার (আমি ওখান থেকে এসেছি) কবিতায় তিনি লিখেছেন,
... আমার আছে ভাই, বন্ধু
এবং একটি ঠাণ্ডা দরজাওয়ালা কারাকক্ষ।
একটি তরঙ্গ আমি, সমূদ্রচিলরা ঝাঁপ দেয় আমার বুকে,
নিজস্ব একটি উদ্দেশ্যও রয়েছে আমার ,
আর রয়েছে ঘাসের ডোগার বাড়তি ক্ষুর।...
আবার দি প্রিজন সেল (কারাকক্ষ) কবিতায় তিনি লিখেছেন,
এটা সম্ভব কারাগারের দেয়ালগুলো
অদৃশ্য হওয়া;
আর কারাকক্ষটির দূরবর্তী একটি দেশে পরিণত হওয়া
কোনো সীমানা ছাড়া।
সীমানা প্রাচীর দিয়ে কী করবে তুমি
আমি ওগুলো পাথরে পরিণত করব;
এবং পাটাতন দিয়ে কী করবে তুমি
আমি ওটাকে একটি গদিতে পরিণত করব।
আর তোমার শিকল ?
আমি ওটি দিয়ে একটি পেন্সিল বানাব।
দেশ প্রেমিক দারবীশ ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরাইলের সঙ্গে সহাবস্থান মেনে নিয়েছিলেন। এ জন্য হামাসের লোকজন তাঁকে পছন্দ করত না। এডওয়ার্ড সাঈদের সঙ্গে মিলে তিনি যেভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলেন সেটি হয়নি। ফলে দারবীশ দূর থেকে তাঁর দেশকে ভালোবেসেছেন। তাঁর ভালোবাসা স্বরূপে বিকশিত হয়েছে ফিলিস্তিনের প্রেমিক কবিতায়। তিনি লিখেছেন,
তার চোখ ফিলিস্তিনীয়
তার নাম ফিলিস্তিনীয়,
তার পোশাক, তার অশ্রু ফিলিস্তিনীয়
তার রুমাল, তার পা, তার শরীর ফিলিস্তিনীয়
তার কথা তার নিরবতা ফিলিস্তিনীয়
তার উচ্চারণ ফিলিস্তিনীয়
তার জন্ম ও মৃত্যু ফিলিস্তিনীয়।
আরও এক জায়গায় আমরা এই কবির মধ্যে মিল দেখতে পাই। তাহলো, তিনজনই শেষ জীবনে সুফিবাদী চিন্তার দিকে ঝুঁকেছেন। ভবিষ্যতে তাঁদের সুফিবাদী চিন্তাজাত কবিতাগুলোর আলোকে নিছু লেখার ইচ্ছে রইল।
Note & translation: Gazi SaifuL Islam
ঠিকানা/
গাজী সাইফুল ইসলাম
অগত্যা, তৃতীয়তলা
কাঁচিঝুলি মোড়
ময়মনসিংহ-২২০০।
ফোন-০১৯১১-৭১৫৮৩৫।
©somewhere in net ltd.