![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হঠাত করেই আপনার সামনে এসে হাজির হবে অপরূপ পার্বত্য বন এবং প্রমত্তা তিস্তা নদী। এখান থেকেই শুরু হবে
পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা। তিস্তা নদী আপনাকে সঙ্গ দেবে তিস্তাবাজার পর্যন্ত। সেখান থেকে শুরু হবে পথ চলার দ্বিতীয় পর্ব। এ সময় তিস্তা নদী আপনার সঙ্গে না থাকলেও আপনি নিঃসঙ্গ বোধ করবেন না। কারণ আকাশের সুবিস্তৃত ক্যানভাসে তখন যে আপনি দেখতে পাবেন অপরূপ সুন্দরী ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’কে! চারপাশে ঘন সবুজ বন।
একদিকে হিমালয়ের আকর্ষণ, অন্যদিকে বিস্তৃত উপত্যকার হাতছানি। আর সঙ্গে আছে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া। হ্যাঁ, বলছি প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কালিম্পংয়ের কথা। প্রবীণরা বলেন, ব্রিটিশরা ভারত ভাগের সময় নিরপেক্ষ থাকলে গোটা দার্জিলিং-কালিম্পং বাংলাদেশেরই হতে পারত।
কালিম্পং যাওয়ার পথে প্রকৃতি তার অপরূপ সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে আপনার সাথী হবে। কাছের বড় শহর শিলিগুড়ি থেকে যাওয়ার পথেই পড়বে ‘মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি’। প্রায় পুরোটা স্যাংচুয়ারির ভেতর দিয়েই যেতে হবে। তবে এই অভয়ারণ্যের ভেতর গাড়ি চালাতে হবে খুব সাবধানে, যেন হাতি, বাইসন বা বাঘের শান্তি বিনষ্ট না হয়। এই সতর্কতার পুরস্কার হিসেবে আপনি উপভোগ করতে পারবেন অরণ্যের প্রকৃতি, ভাগ্য সহায় থাকলে দেখতে পাবেন দৌড়ে যাওয়া হরিণের পাল বা উড়ন্ত টিয়াপাখি। অভয়ারণ্যের ভেতর দিয়ে এই পথ শেষ হবে ‘সেভক’-এ। এ সময় হঠাত্ করেই আপনার সামনে এসে হাজির হবে অপরূপ পার্বত্য বন এবং প্রমত্তা তিস্তা নদী।
আমাদের প্যাকেজের বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
প্রকৃতির অসাধারণ সৃষ্টি এই কালিম্পং। দার্জিলিংয়ের পুবে ভুটান-তিব্বত-সিকিম সীমান্ত এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ মিটার উচ্চতায় এর অবস্থান। তিব্বত, ভুটান ও সিকিমের মাঝে যখন বাণিজ্যপথ চালু ছিল তখন কালিম্পং ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য শহর। কালিম্পংয়ের চমত্কার আবহাওয়াই ব্রিটিশদের এখানে শহর গড়ে তুলতে আকৃষ্ট করেছিল। এখানকার পুরনো গির্জা, গ্রাহামস হোম, মরগান হাউস, গলফ কোর্স প্রভৃতি সেই ব্রিটিশ ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
কালিম্পং এখন পর্যটকদের তীর্থস্থান। নানা জাতের অর্কিড আর ফুল বাগানের জন্য বিখ্যাত কালিম্পং। সেসব তো দেখবেনই, আরও দেখবেন দূরবীণ দিয়ে। আসলে এটি একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এখান থেকে পুরো হিমালয় পর্বতমালাকে একনজরে দেখে নেওয়া যায়। এ ছাড়া দেখবেন ওই সুদূরের তিস্তা নদী ও সমতল ভূমি।
কালিম্পংয়ের আরেক দর্শনীয় স্থান ড. গ্রাহামস হোম। পাহাড়ের ওপর প্রায় ৫০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এক বিশাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্যাম্পাসের ভেতরেই এর নিজস্ব ফার্ম হাউস, বেকারি, পোল্ট্রি খামার এবং হাসপাতাল রয়েছে। ঘুরে দেখার জন্য একটি উপভোগ্য স্থান এটি।
এ ছাড়াও আছে শহরের ২ কিলোমিটার দূরে ‘কালীবাড়ি’ এবং অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন ‘মঙ্গলধাম’। সবচেয়ে বড় কথা হইহুল্লোড় এড়িয়ে কালিম্পংয়ের পাহাড়ে বসে দেখবেন দূরের হিমালয়। সন্ধ্যায় চারদিকে নেমে আসবে সুনসান নীরবতা, হোটেল বা বাংলোর বারান্দায় অলস শরীর এলিয়ে দিয়ে শুনবেন পাহাড়ি বনে ঝিঁঝিঁ পোকার গান।
বাংলাদেশ থেকে কালিম্পং যাওয়া বেশ সোজা। ঢাকা থেকে বাসে চেপে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর পার হয়ে চলে যান পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি। সেখান থেকে গাড়িতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার পথ কালিম্পং। ঢাকা থেকে রাতে রওনা দিলে পরদিন দুপুরে শিলিগুড়ি হয়ে বিকেলেই কালিম্পং পৌঁছে যাবেন। থাকার জন্য কমদামি থেকে বেশি দামি সব ধরনেরই হোটেল আছে। ঢাকা থেকে শ্যামলী পরিবহনের সরাসরি টিকেট পাবেন শিলিগুড়ি পর্যন্ত।হঠাত করেই আপনার সামনে এসে হাজির হবে অপরূপ পার্বত্য বন এবং প্রমত্তা তিস্তা নদী। এখান থেকেই শুরু হবে
পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা। তিস্তা নদী আপনাকে সঙ্গ দেবে তিস্তাবাজার পর্যন্ত। সেখান থেকে শুরু হবে পথ চলার দ্বিতীয় পর্ব। এ সময় তিস্তা নদী আপনার সঙ্গে না থাকলেও আপনি নিঃসঙ্গ বোধ করবেন না। কারণ আকাশের সুবিস্তৃত ক্যানভাসে তখন যে আপনি দেখতে পাবেন অপরূপ সুন্দরী ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’কে! চারপাশে ঘন সবুজ বন।
একদিকে হিমালয়ের আকর্ষণ, অন্যদিকে বিস্তৃত উপত্যকার হাতছানি। আর সঙ্গে আছে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া। হ্যাঁ, বলছি প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কালিম্পংয়ের কথা। প্রবীণরা বলেন, ব্রিটিশরা ভারত ভাগের সময় নিরপেক্ষ থাকলে গোটা দার্জিলিং-কালিম্পং বাংলাদেশেরই হতে পারত।
কালিম্পং যাওয়ার পথে প্রকৃতি তার অপরূপ সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে আপনার সাথী হবে। কাছের বড় শহর শিলিগুড়ি থেকে যাওয়ার পথেই পড়বে ‘মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি’। প্রায় পুরোটা স্যাংচুয়ারির ভেতর দিয়েই যেতে হবে। তবে এই অভয়ারণ্যের ভেতর গাড়ি চালাতে হবে খুব সাবধানে, যেন হাতি, বাইসন বা বাঘের শান্তি বিনষ্ট না হয়। এই সতর্কতার পুরস্কার হিসেবে আপনি উপভোগ করতে পারবেন অরণ্যের প্রকৃতি, ভাগ্য সহায় থাকলে দেখতে পাবেন দৌড়ে যাওয়া হরিণের পাল বা উড়ন্ত টিয়াপাখি। অভয়ারণ্যের ভেতর দিয়ে এই পথ শেষ হবে ‘সেভক’-এ। এ সময় হঠাত্ করেই আপনার সামনে এসে হাজির হবে অপরূপ পার্বত্য বন এবং প্রমত্তা তিস্তা নদী।
আমাদের প্যাকেজের বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
প্রকৃতির অসাধারণ সৃষ্টি এই কালিম্পং। দার্জিলিংয়ের পুবে ভুটান-তিব্বত-সিকিম সীমান্ত এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ মিটার উচ্চতায় এর অবস্থান। তিব্বত, ভুটান ও সিকিমের মাঝে যখন বাণিজ্যপথ চালু ছিল তখন কালিম্পং ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য শহর। কালিম্পংয়ের চমত্কার আবহাওয়াই ব্রিটিশদের এখানে শহর গড়ে তুলতে আকৃষ্ট করেছিল। এখানকার পুরনো গির্জা, গ্রাহামস হোম, মরগান হাউস, গলফ কোর্স প্রভৃতি সেই ব্রিটিশ ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
কালিম্পং এখন পর্যটকদের তীর্থস্থান। নানা জাতের অর্কিড আর ফুল বাগানের জন্য বিখ্যাত কালিম্পং। সেসব তো দেখবেনই, আরও দেখবেন দূরবীণ দিয়ে। আসলে এটি একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এখান থেকে পুরো হিমালয় পর্বতমালাকে একনজরে দেখে নেওয়া যায়। এ ছাড়া দেখবেন ওই সুদূরের তিস্তা নদী ও সমতল ভূমি।
কালিম্পংয়ের আরেক দর্শনীয় স্থান ড. গ্রাহামস হোম। পাহাড়ের ওপর প্রায় ৫০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এক বিশাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্যাম্পাসের ভেতরেই এর নিজস্ব ফার্ম হাউস, বেকারি, পোল্ট্রি খামার এবং হাসপাতাল রয়েছে। ঘুরে দেখার জন্য একটি উপভোগ্য স্থান এটি।
এ ছাড়াও আছে শহরের ২ কিলোমিটার দূরে ‘কালীবাড়ি’ এবং অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন ‘মঙ্গলধাম’। সবচেয়ে বড় কথা হইহুল্লোড় এড়িয়ে কালিম্পংয়ের পাহাড়ে বসে দেখবেন দূরের হিমালয়। সন্ধ্যায় চারদিকে নেমে আসবে সুনসান নীরবতা, হোটেল বা বাংলোর বারান্দায় অলস শরীর এলিয়ে দিয়ে শুনবেন পাহাড়ি বনে ঝিঁঝিঁ পোকার গান।
বাংলাদেশ থেকে কালিম্পং যাওয়া বেশ সোজা। ঢাকা থেকে বাসে চেপে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর পার হয়ে চলে যান পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি। সেখান থেকে গাড়িতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার পথ কালিম্পং। ঢাকা থেকে রাতে রওনা দিলে পরদিন দুপুরে শিলিগুড়ি হয়ে বিকেলেই কালিম্পং পৌঁছে যাবেন। থাকার জন্য কমদামি থেকে বেশি দামি সব ধরনেরই হোটেল আছে। ঢাকা থেকে শ্যামলী পরিবহনের সরাসরি টিকেট পাবেন শিলিগুড়ি পর্যন্ত।
©somewhere in net ltd.