![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারা ৩৩ কোটি ভগবানের পূজারী
তারা সবই করতে পারে।
তবে একজন আদর্শ শিক্ষক
সব করতে পারে না।
=======>=========
হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমার কোন বিদ্বেষ নেই। তাদেরকে নিয়ে মনের মধ্যেও কোন আক্রোষ নেই। তাদের ভগবানের সংখ্যা হল ৩৩ কোটি। তারা ৩৩ কোটি ভগবানের পূজারী। তাদের বাড়ীর পাশে থাকা শতবর্ষ বয়সী বটগাছ / গাবগাছও তাদের ভগবানের আসন দখল করে বসতে পারে।
এর মাঝে তারা যদি ইচ্ছা করে তাহলে দু চার জন ভগবানের সংখ্যা বৃদ্ধিও করতে পারে। ৩৩ কোটির সাথে দু চার যোগ করা কোন ব্যাপার না।
কিন্তু একজন শিক্ষক ইচ্ছা করলেও সব কিছু করতে পারে না। শিক্ষা একটা প্রদীপ । শিক্ষার এ প্রদীপ যার মাঝে থাকবে তাকে আলোকিত করে তুলবে। সে ইচ্ছা করলেও সব কিছু করতে পারবে না। তার মধ্যে নৈতিকতা থাকবে। তার মধ্যে আদর্শ থাকবে।
সে চাইলেও যার তার সামনে মাথা নত করতে পারবে না। যাকে তাকে ভগবানের আসনে বসাতে পারবে না। যার তার পায়ে লুটিয়ে পরতে পারবে না।
তার থাকতে হবে আদর্শ। তাকে নৈতিকতার মূর্তপ্রতীক হতে হবে। তার সর্বোচ্ছ পর্যায়ের ব্যাক্তিত্ব থাকতে হবে। ব্যাক্তিত্বহীন, আদর্শহীন ব্যাক্তি কখনো শিক্ষকতার মত মর্যাদাপুর্ণ চেয়ারে বসে চেয়ারের সম্মান বিনষ্ট করতে পারে না।
এ ব্যাপারে ইমামে আজম আবু হানীফা রহ, এর আমলের একটি ঘটনা প্রসিদ্ধ রয়েছে। জনৈক ব্যাক্তি কিছু একটা খুঁজতে ছিলেন । খুঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লোকটি একটা উঁচু জায়গায় গিয়ে বসল।
লোকটা ঐ এলাকায় নবাগত হওয়ায় স্থানীয় একজন ইমাম সাহেবের নিকট লোকটির পরিচয় ও তার খুঁজাখুজি সম্পর্কে জানতে চাইল। ইমাম সাহেব রহ, বল্লেন- খুঁজ নিয়ে দেখুন লোকটি কোথাও শিক্ষকতা করে। আর তার কোন ছাত্র হয়তো হারানো গিয়েছে, যার একটি চোখ কিছুটা ট্যারা ছিল।
লোকটির নিকট যখন তার পেশা আর খুঁজাখুঁজি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হল তখন ইমাম সাহেব রহ, এর কথার সাথে তার কথা পুরা মিলে গেল।
ইমাম সাহেবের নিকট আবার জানতে চাওয়া হল যে, সে শিক্ষকতা করে আর একজন হারিয়ে যাওয়া ট্যারা ছাত্র তালাশ করে এটা আপনি কিভাবে বুঝতে পারলেন?.
ইমাম সাহেব বল্লেন, সে যখন বসতে চাচ্ছিল তখন বসার জন্য একটা উঁচু জায়গা তালাশ করছিল। আর সমাজের শিক্ষকশ্রেনীর মানুষগুলোই বসার ক্ষেত্রে উঁচু জায়গা তালাশ করে। তাদের মন- মানষিকতা যেমন উঁচু তাদের সব কাজ কর্মও উঁচু মাপের হয়ে থাকে ।
কিন্তু বেটা শ্যামল কান্তি যা করল তা কোন ভাবেই একজন শিক্ষকের কাজ হতে পারে না । একজন শিক্ষক তার চাকুরীর জন্য কখনো সেলিম ওসমানকে, কখনো নাসিম সাহেবকে ভগবানের মর্যাদা দিতে পারে না । এটা শিক্ষকতা পেশার মানহানী। বাকী শিক্ষকদের মর্যাদাহানী।
শিক্ষক সে তো সমাজে বুক টান করে চলবে।মাথা উঁচু করে হাটবে। তার সম্মান সবার উপর। সে মানব গড়ার কারিগর।
দেড় টাকার চাকুরীর জন্য সে তার ভগবানের সংখ্যা বাড়াতে পারে না। সে ২৩ বসরের শিক্ষক হলে তার হাতের গড়া ছাত্ররা কোথায়? তার ক্রান্তিকালে তার ছাত্ররাইতো এগিয়ে আসার কথা ছিল। তাহলে কি দীর্ঘ এ সময়ে কোন ছাত্রই গড়তে পারেনি? তার এ ২৩ টি বছরই বৃথা গেল? যারা শিক্ষকতার এ তেইশটি বসরের কাজের হিসাব দিতে পারে না তারা আবার শিক্ষক হয় কিভাবে?
©somewhere in net ltd.