নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়টা ১৮৫৭ , সিপাহী বিদ্রোহ সবে শেষ হয়েছে । মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঠিক করলেন যে তিনি এবার সংসার ত্যাগ করবেন । প্রথম কাশি গেলেন, কাশিতে মন বসল না, তাই কালকা হয়ে শিমলার কাছে নরকান্দায় গিয়ে পৌঁছালেন । হিমালয়ের কোলে দীর্ঘ তিন বৎসর ধ্যান যোগ এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় দিন যাপনের পড় এক দিন ভোরে দেখলেন ক্ষর স্রোতা নদী সমতলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে , এই দৃশ্য দেখে দেবেন্দ্রনাথ আর থাকতে পারলেন না ১৮৫৯ সালে কলকাতার পথে রউনা হয়ে গেলেন । কলকাতায় আসার পর দেবেন্দ্র নাথের স্ত্রীর গর্ভে রবীন্দ্রনাথের আগমন এবং ১৮৬১ সালে তাঁর জন্ম । দীর্ঘ কয়েক বছর হিমালয়ের আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে বসবাস এবং যোগ সাধনার ফলে মহর্ষির মধ্যে যে অপার শক্তি সঞ্চয় হয়েছিল তাঁর ফলশ্রুতি হিমালয়ের মত বিশাল বিস্তৃত তাঁর পুত্র রবীন্দ্রনাথ ।
এবার আরেকটি ঘটনা বন্ধুদের সামনে তুলে ধরব , এই ঘটনাটি স্টোক সাহেবের । স্টোক সাহেব বিদেশ থেকে উত্তরাখণ্ডে খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তনের জন্য এসেছিলেন । উত্তরাখণ্ডে এসে স্টোক সাহেব খুব কাছ থেকে দেখলেন ধ্যান মগ্ন যোগী পুরুশদের, তাঁদের সংস্পর্শে এসে তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করলেন, তাঁরপর তিনি দীর্ঘ ৫ বছর কঠোর তপস্যা করার পর তিনি হিন্দু ধর্মের প্রচারে নিবেদিত প্রাণ হলেন … । তাঁর নাম হল স্টোক সত্যানন্দ মহারাজ ।
আমার মনে হয় হিন্দুত্ব এক অনুভূতি, এ এমন এক গভীর আধ্যাত্মিক অনুভূতি যা অন্তর থেকে অনুভব করতে হয় , সত্যি যদি তা অনুভব করা যায় তাহলে সেই ব্যক্তির মধ্যে এক সামগ্রিক পরিবর্তন আসা সম্ভব । কপালে লাল টীপ আর কাপালিকদের মত লাল বস্ত্র পড়ে “আমি হিন্দু আমি হিন্দু “ বলে চিৎকার করলেই হিন্দু হওয়া যায় না । অন্য ধর্ম গ্রন্থ পড়ার আগে আমাদের বেদ, বেদান্ত, বেদান্ত দর্শন, আরণ্যক, উপনিষদ ভালো করে পড়ে নিজের ধর্মকে আগে অনুভব করা প্রয়োজন , আদি অনন্ত কাল ধরে আমাদের ধর্ম গ্রন্থ গুলি বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা দিয়ে আসছে, তা গ্রহণ না করে শুধু মাত্র লৌকিক আচার এবং কুসংস্কারের ওপর ভিত্তি করে হিন্দু হওয়া যায় না । এ এক গভীর আধ্যাত্মিক অনুভূতি , পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে কিছু ক্ষনের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে গভীর ভাবে তা অনুভব করতে হয় । ঈশ্বরের ওপর সব কিছু ছেড়ে তাকে গভীর ভাবে অনুসরণ করলে সঠিক পথের দিশা তিনি দেবেন । যেমন দেবেন্দ্রনাথ এবং স্টোক সাহেব কে দিয়েছিলেন ।
- সৌজন্য :: দেবশ্রী চক্রবর্তী
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৭
গেছো দাদা বলেছেন: আপনি আমার আপনজন .... আপনি এমনিই পড়বেন । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৯
আখেনাটেন বলেছেন: কোনো ধর্মই মানুষকে খারাপ পথে চালিত করা শেখায় না। মানুষই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দুনিয়াতে নরক গুলজার করে। আপনার কপি-পেস্ট কাহিনি সত্য হলে ভালো।
**তবে এখনকার মহামানব ভারতভাগ্যবিধাতা মোদী-শাহ-যোগীরা হিমালয়ের কোন পাদদেশে আধ্যাত্মিক সাধনা করেছিল।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৩
গেছো দাদা বলেছেন: যথার্থই বলেছেন । ধন্যবাদ ।
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৮৫১ সাল থেকে আজ অবধি প্রায় ১৮০ কোটীর বেশী হিন্দু নরনারী জন্মেছেন, তার মাঝে ২ জন ( দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুর, ও স্টোক সাহেব) বিধাতার অনুগ্রহ পেয়ে শান্তি লাভ করেছেন, সফল হয়েছেন; বাকীদের অবস্হা কি?
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৫
গেছো দাদা বলেছেন: বলতে পারবো না । ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আজকের বিশ্বে, ৫০ জন বড় বিলিওনিয়ারের মাঝে ১০ জন ভারতে; সেখানে আবার ৪০ কোটী দরিদ্র; ধর্ম কি এই ৪০ কোটীকে প্রশান্তি এনে দিতে পারবে?
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:২২
গেছো দাদা বলেছেন: টাকা ই কি মনের প্রশান্তি এনে দিতে পারে ? আপনি কি তাই ভাবেন ? তাহলে,আমি আপনার সাথে একমত নই । আপনি কি
প্রাতিস্ঠানিক religion ও spirituality কে একই জিনিস মনে করেন ? আপনি নিজের মনের গভীরে এগুলো প্রশ্নের উত্তর খূুঁজুন । এগুলোর উত্তর তর্ক বিতর্ক করে পাওয়া যাবে না ।
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৫
কানিজ রিনা বলেছেন: বেদ্ব চারখানা ঋগবেদ্ব সামবেদ্ব জজুরবেদ্ব
অথর্বেদ্ব এইবেদ্ব গুল পড়লে হিন্দু ধর্মের
মাহাত্ব হিন্দুরা বুঝত। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই
বেদ্ববগুল ব্রাম্মন ছাড়া নীচু জাতের হিন্দুরা
রবিন্দ্রনাথের আমলেও পড়ার সাহস হয় নাই।
বইঘরে নিশিদ্ধ ছিল ছোট জাতের হিন্দুরা
কিনতে পারবে না।
হিন্দুদের এই ছোট জাতের বিভাজন বড়
অমানবতা বলে আমি মনে করি। এই জাতের
বিভেদ ভারতবর্ষে মানুষ মুল ধর্মগ্রন্হ থেকে
বঞ্চিত। এখন সব ছোট জাতের হিন্দরাও
অনেক শিক্ষিত তারা ইচ্ছা করলে গ্রন্থগুল
পড়তে পারে। ধন্যবাদ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:২৬
গেছো দাদা বলেছেন: আপনি হিন্দু ধর্মের কিছুই জানেন না । আপনি আগে মন খোলা রেখে জানুন ...তারপরই না হয় লিখবেন !!
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৮
গেছো দাদা বলেছেন: হিন্দু ধর্মের কিছু তথ্য রাখছি ,সবার জানার জন্য । ব্রাহ্মন,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শুদ্র .... এগুলো গুনবাচক বা কর্মবাচক শব্দ । প্রাচীন কালে ক্ষত্রিয় সন্তান ঋষি বিশ্বামিত্র তার তপস্যা বা জ্ঞানচর্চার দ্বারা ব্রাহ্মনত্ব লাভ করেছিলেন । ব্রাহ্মন সন্তান রাবন তার কর্মকুশলতার জন্য লঙ্কার রাজা(ক্ষত্রিয়) হয়েছিলেন ।শুদ্র সন্তান বাল্মীকী তার তপস্যা বা জ্ঞানচর্চার দ্বারা ব্রাহ্মনত্ব লাভ করেছিলেন । এরকম প্রচুর উদাহরন রয়েছে । সন্ত রবিদাস (শুদ্র থেকে ব্রাহ্মন),সন্ত কবীর(মুসলমান থেকে ব্রাহ্মন) ... এরা মধ্যযুগের উজ্জ্বল উদাহরন । বিদেশি বর্বরদের আক্রমন ও তাদের দীর্ঘকালীন অত্যাচারের ফলে হিন্দু সমাজে একরকম স্থবিরতা,নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার ফলে বেশ কিছু কুরীতির জন্ম হয় । যেমন বংশানুক্রমিক জাতপ্রথা । তবে আনন্দের কথা এই যে ...হিন্দু সমাজের সংস্কার হয়ে চলেছে ,তার প্রাচীন গৌরব পুনরায় ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে । ভারতের কেরালা রাজ্যের বিখ্যাত তিরুপতি মন্দিরে সন্মানীয় পূজারী হিসাবে ২৩ জন শুদ্র সন্তান কে নিযুক্ত করা হয়েছে প্রায় ৩ মাস আগে । এরা সবাই সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেদ,উপনিষদ শিক্ষাতে উচ্চ ডিগ্রী লাভ করেছেন । অর্থাৎ এই ২৩ জন শুদ্র সন্তান, বর্তমানে ব্রাহ্মন হিসাবে গন্য হিন্দু সমাজে । আশা করি আপনাদের এই তথ্য গুলি ভালো লাগবে । সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০০
শামচুল হক বলেছেন: হিন্দু ধর্মে ব্রাহ্মণদের একছত্র মাতব্বারি আর ছুঁয়া ছুঁয়াভাব দূর না হলে হিন্দু ধর্ম বিশ্বে প্রসার পাবে না, কোন ঠাসা হয়ে ভারতেই পড়ে থাকবে। হিন্দু ধর্মের বেদ বেদান্ত শুধু ব্রাহ্মণদের না হয়ে সবার পড়ার জন্য উন্মুক্ত হওয়া দরকার।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩০
গেছো দাদা বলেছেন: আপনি কোনো মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের অপপ্রচারের শিকার । আগে নিজে ঠিকমতো জানার চেষ্টা করুন । ধন্যবাদ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৯
গেছো দাদা বলেছেন: হিন্দু ধর্মের কিছু তথ্য রাখছি ,সবার জানার জন্য । ব্রাহ্মন,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শুদ্র .... এগুলো গুনবাচক বা কর্মবাচক শব্দ । প্রাচীন কালে ক্ষত্রিয় সন্তান ঋষি বিশ্বামিত্র তার তপস্যা বা জ্ঞানচর্চার দ্বারা ব্রাহ্মনত্ব লাভ করেছিলেন । ব্রাহ্মন সন্তান রাবন তার কর্মকুশলতার জন্য লঙ্কার রাজা(ক্ষত্রিয়) হয়েছিলেন ।শুদ্র সন্তান বাল্মীকী তার তপস্যা বা জ্ঞানচর্চার দ্বারা ব্রাহ্মনত্ব লাভ করেছিলেন । এরকম প্রচুর উদাহরন রয়েছে । সন্ত রবিদাস (শুদ্র থেকে ব্রাহ্মন),সন্ত কবীর(মুসলমান থেকে ব্রাহ্মন) ... এরা মধ্যযুগের উজ্জ্বল উদাহরন । বিদেশি বর্বরদের আক্রমন ও তাদের দীর্ঘকালীন অত্যাচারের ফলে হিন্দু সমাজে একরকম স্থবিরতা,নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার ফলে বেশ কিছু কুরীতির জন্ম হয় । যেমন বংশানুক্রমিক জাতপ্রথা । তবে আনন্দের কথা এই যে ...হিন্দু সমাজের সংস্কার হয়ে চলেছে ,তার প্রাচীন গৌরব পুনরায় ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে । ভারতের কেরালা রাজ্যের বিখ্যাত তিরুপতি মন্দিরে সন্মানীয় পূজারী হিসাবে ২৩ জন শুদ্র সন্তান কে নিযুক্ত করা হয়েছে প্রায় ৩ মাস আগে । এরা সবাই সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেদ,উপনিষদ শিক্ষাতে উচ্চ ডিগ্রী লাভ করেছেন । অর্থাৎ এই ২৩ জন শুদ্র সন্তান, বর্তমানে ব্রাহ্মন হিসাবে গন্য হিন্দু সমাজে । আশা করি আপনাদের এই তথ্য গুলি ভালো লাগবে । সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩৭
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আপনি কি রবীন্দ্রনাথের গোরা উপন্যাস পড়েছেন? পড়ে থাকলে কানিজ রিনা আর শামচুল হকের প্রতিউত্তর এভাবে দিতেন না।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৪৫
গেছো দাদা বলেছেন: ধন্যবাদ...আমি গল্প উপন্যাস দিয়ে ধর্মবিচার করি না । ধর্ম দর্শন পড়ে ধর্মবিচার করি ।
৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৪৯
শামচুল হক বলেছেন: আপনার কথাই মানলাম, ধরেন অন্য যে কোন ধর্মের লোক হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করল, তখন তাকে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ, শুদ্র এই চার ক্যাটাগরীর কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবেন?
আপনি নিশ্চয় তাকে ব্রাহ্মণ হিসাবে গ্রহণ করবেন না, আপনি যদি তাকে আপনার ধর্মে ব্রাহ্মণ হিসাবে গ্রহণ না করে শুদ্র হিসাবে গ্রহণ করেন তাহলে কোন গাধায় ইচ্ছা করে ধর্মান্তরিত হয়ে মুচি মেথর হতে যাবে?
সোনিয়া গান্ধি জীবনটাই কাটিয়ে দিলেন হিন্দু ধর্মে তারপরেও তাকে মন্দিরে ঢুকতে দেয়া হয় না। সোনিয়া গান্ধির ঐ ঘটনার পরে কি করে হিন্দু ধর্মকে উদার ধর্ম মনে করি?
আপনার কাছে উপরের তিনটা প্রশ্নের জবাব চাই?
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:০৪
গেছো দাদা বলেছেন: আমি ধর্মগুরু নই ।এগুলোর উত্তর ধর্মগুরুরা দেবেন । আমি তর্কবিতর্কে যেতেই চাই না । ধর্ম অনুভবের বিষয় । এটুকু বলতে পারি ...আপনার সমস্ত প্রশ্নের সুন্দর সমাধান হিন্দু ধর্মে রয়েছে । আপনি উপনিষদ পড়ে দেখতে পারেন । শুধু দুটো মন্ত্র লিখছি .."শৃন্বন্তু বিশ্বে অমৃতস্য পূত্রা "। "বসুধৈব কুটুম্বকম" । মানে গুলো জেনে নেবেন গুগল করে। আশা করি,আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন ।ধন্যবাদ।
৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:০৯
শামচুল হক বলেছেন: গেছো দাদা, যদি প্রশ্নগুলো আপনার কাছে খারাপ মনে হয় তাহলে আমার মন্তব্যগুলো মুছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আমি কোন ধর্মকেই ছোট করে দেখি না, প্রত্যেক ধর্মই এসেছে মানুষের কল্যানে - -- - - --
১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " টাকা ই কি মনের প্রশান্তি এনে দিতে পারে ? আপনি কি তাই ভাবেন ? তাহলে,আমি আপনার সাথে একমত নই । আপনি কি
প্রাতিস্ঠানিক religion ও spirituality কে একই জিনিস মনে করেন ? আপনি নিজের মনের গভীরে এগুলো প্রশ্নের উত্তর খূুঁজুন । এগুলোর উত্তর তর্ক বিতর্ক করে পাওয়া যাবে না । "
-টাকার কথা আমি বলিনি; দারিদ্রতা মানুষের মান-সন্মান, সুখ- প্রশান্তি সব কেড়ে নেয়। আপনি অর্থনৈতিকভাবে ভালো আছেন, মনে হয়; তাই এসব ম্যাঁওপ্যাঁও করে বেড়াচ্ছেন!
১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৪৩
স্বপ্ন কুহক বলেছেন: ধর্ম অনুভবের বিষয় সেটা যে ধর্ম হোক না কেনো ।
১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:০২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে কিন্তু আপনার প্রতিমন্তব্যগুলো ভালো লাগছে না; আপাতদৃষ্টিতে গোঁড়া হিন্দু মনে হচ্ছে! হিন্দু ধর্মকে যতটা মহান করে তুলছেন, আদতে কি এটা অতটা মহান? কোন ধর্মই আজকাল মহান মনে হয় না আমার। মানুষের মধ্যে বিভেদের বেড়াজাল তৈরি করতে ধর্মের জুড়ি নেই।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৯
গেছো দাদা বলেছেন: //কোন ধর্মই আজকাল মহান মনে হয় না আমার।//....এটা একান্তই আপনার সমস্যা । ভালো থাকুন । ধন্যবাদ ।
১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:০৪
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: প্রত্যকেই যদি নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলত তাহলে সমাজে এতো কুসংস্কার, আনাচার আর অপরাধ প্রবণতা থাকতো না।
আমি কামনা করি, যারা উগ্র হিন্দু তারা উগ্রতা পরিহার করে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং স্টোক সাহেবের মত হউক। ধন্যবাদ।
১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০৪
ক্স বলেছেন: @শামচুল হক, অভিনেত্রী জয়া আহসান হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। কই তার তো কোন মন্দিরে যেতে বাধা নেই। দুর্গাপূজার সময় নিজ বাড়িতে তিনি পূজামন্ডপ স্থাপন করেছেন, নিজেই পূজা দিচ্ছেন। কেউ কোন আপত্তি করছে বলে তো আমার জানা নেই।
বর্তমান সময়ে হিন্দু ধর্ম অনেক উদার। আপনি এখন কনভার্ট হলে ব্রাহ্মণও হতে পারবেন। কোলকাতায় এক ব্রাহ্মণ পুরোহিতের ছেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পরের সমানে বিয়ের মন্ত্র পড়িয়ে যাচ্ছে। যাদের বিয়ে পড়াচ্ছে, তাদের কোন অশুদ্ধি হচ্ছেনা।
১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমার পরিবারের একটা প্রবোক্স গাড়ি আছে। আমি অফিস থেকে আরেকটু উন্নত মানের একটা গাড়ি পেয়েছি। অনেকেই আমাকে আমার গাড়ির মডেল নিয়ে প্রশ্ন করে। আমি তাদের বলি... আমিতো সেখান থেকে আসা যেখানে টেম্পুতে একটা সিট পেলেই নিজেকে সুখি মনে হয়!!!
১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮
অগ্নিবেশ বলেছেন: সৎ পথে জীবন যাপন করলেই তো হয়, হিন্দু-মুসলমান হওয়ার কি দরকার? ধর্ম থেকে যখন মানুষ নৈতিকতা শিখছে না তখন জোর করে নরকের ভয় দেখিয়ে কি হবে? পৃথিবীর সবাই যদি হিন্দু বা ইসলামের যে কোনো একটা বেছে নেয় তাহলে কি শান্তি ফিরবে?
ধর্ম ধর্ম না করে কর্ম কর্ম করেন, পৃথিবীতে শান্তি আনুন।
১৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪১
অগ্নিবেশ বলেছেন: মিস্টার ক্স, একটা দুইটা ভালো উদাহরণ সব খানেই পাওয়া যায়। উত্তরপ্রদেশ ঘুরে আসুন, উত্তর পেয়ে যাবেন।
১৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৮
টারজান০০০০৭ বলেছেন: অধ্যাত্বিকতার রাস্তা দুরূহ বটে! ইহার পদে পদে প্যারাডক্স আর ধোঁয়াশা! ইহা অতিক্রম করিয়া খুব কম মানুষই সত্যের দেখা পাইয়া থাকে, কিন্তু ভেক ধরে শতকরা ১০০ ভাগই ! সাধারণ মানুষ ভেদাভেদ বুঝিতে পারেনা বিধায় রজ্জুকেই সর্প বলিয়া ভীত হয়, ভক্তি করে।
১৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
শামচুল হক বলেছেন: মিঃ ক্স আপনার কথা ঠিক আছে, ইদানিং হিন্দুরা ধর্ম সংস্কার করে অন্য ধর্মের লোকজনকে হিন্দু ধর্মে কনভার্ট করার চেষ্টা করছে, সেই কারণে জয়া আহসান হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে নিজের বাড়িতে মন্দীর বানিয়ে নিয়মিত পুজা করছেন, আপনার বর্ননা সত্য। তবে আমার প্রশ্ন হলো-- ভারত বা নেপালের পুরানো মন্দীর যেমনঃ নেপালের পশুপতিনাথ মন্দীর বা ভারতের কাসি বিশ্বনাথ মন্দীর বা মীনাক্ষী মন্দীর এগুলোতে কি তার ঢোকার অনুমতি আছে?
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২১
গেছো দাদা বলেছেন: হিন্দু ধর্মের কিছু তথ্য রাখছি ,সবার জানার জন্য । ব্রাহ্মন,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শুদ্র .... এগুলো গুনবাচক বা কর্মবাচক শব্দ । প্রাচীন কালে ক্ষত্রিয় সন্তান ঋষি বিশ্বামিত্র তার তপস্যা বা জ্ঞানচর্চার দ্বারা ব্রাহ্মনত্ব লাভ করেছিলেন । ব্রাহ্মন সন্তান রাবন তার কর্মকুশলতার জন্য লঙ্কার রাজা(ক্ষত্রিয়) হয়েছিলেন ।শুদ্র সন্তান বাল্মীকী তার তপস্যা বা জ্ঞানচর্চার দ্বারা ব্রাহ্মনত্ব লাভ করেছিলেন । এরকম প্রচুর উদাহরন রয়েছে । সন্ত রবিদাস (শুদ্র থেকে ব্রাহ্মন),সন্ত কবীর(মুসলমান থেকে ব্রাহ্মন) ... এরা মধ্যযুগের উজ্জ্বল উদাহরন । বিদেশি বর্বরদের আক্রমন ও তাদের দীর্ঘকালীন অত্যাচারের ফলে হিন্দু সমাজে একরকম স্থবিরতা,নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার ফলে বেশ কিছু কুরীতির জন্ম হয় । যেমন বংশানুক্রমিক জাতপ্রথা । তবে আনন্দের কথা এই যে ...হিন্দু সমাজের সংস্কার হয়ে চলেছে ,তার প্রাচীন গৌরব পুনরায় ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে । ভারতের কেরালা রাজ্যের বিখ্যাত তিরুপতি মন্দিরে সন্মানীয় পূজারী হিসাবে ২৩ জন শুদ্র সন্তান কে নিযুক্ত করা হয়েছে প্রায় ৩ মাস আগে । এরা সবাই সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেদ,উপনিষদ শিক্ষাতে উচ্চ ডিগ্রী লাভ করেছেন । অর্থাৎ এই ২৩ জন শুদ্র সন্তান, বর্তমানে ব্রাহ্মন হিসাবে গন্য হিন্দু সমাজে । আশা করি আপনাদের এই তথ্য গুলি ভালো লাগবে । সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
২০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩
ক্স বলেছেন: @শামচুল হক, আপনার কথার সাথে একমত না। হিন্দু ধর্মে কোন সংস্কার হয়নি। হিন্দু ধর্মকে বিশ্ববাসীর কাছে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করার জন্য একে উৎসবের রংয়ে রাঙ্গানো হয়েছে, এজন্যে যখন যা করা দরকার, তাই করছে। জয়া হিন্দু হয়েছেন কোলকাতার মানুষের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে - তার দেখাদেখি বাংলাদেশের আরও কিছু তারকা যদি হিন্দু হয়ে যায় (যতদূর জানি নুসরাত এই লাইনে চেষ্টা করছে) তাহলে একসময় দেখবেন তাদেরকেও পশুপতি বা মীনাক্ষী মন্দিরে দাওয়াত করে নিয়ে যাবে। সোনিয়ার সময়ের হিন্দু ধর্ম এবং এখনকার হিন্দু ধর্মে আকাশ পাতাল তফাৎ।
২১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: শুনেছি দেবেন্দ্রনাথ হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ করে ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন। উইকিপেডিয়াতেও তাই রয়েছে। ব্রাহ্ম এখন হিন্দু ধর্মের শাখা হলেও হতে পারে, তবে সেসময়টাতে ব্রাহ্ম সনাতনী হিন্দুদের দিয়ে ভীষনভাবে প্রতিহত হয়েছিল।
২২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শামচুল হক বলেছেন: মিঃ ক্স আগে হিন্দু ধর্মে সহমরণ প্রথা বাধ্যতামূলক ছিল সেটা আইন করে বন্ধ করা হয়েছে, বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ ছিল সেটাও ঈশ্বরচন্দ বিদ্যাসাগর অনেক কষ্টে প্রচলন করেছেন, মন্দীরে ম্লেচ্ছ এবং নমঃশূদ্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধ এটাও যদি চালু হয় তাহলে তো হিন্দু ধর্ম সংষ্কার হওয়া বুঝায়, আর যদি সংস্কার না হয়ে ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ী হয়ে থাকে তাহলে বোঝা গেল মূল ধর্মগ্রন্থকে আড়াল করে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল ফায়দা লুটেছে।
আমার প্রশ্নটা কিন্তু এগুলি নিয়ে নয় আমার প্রশ্নটা হলো অন্য ধর্মের লোক যদি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে তাহলে তাকে সমাজে কোন অবস্থানে রাখা হবে?
যেমনঃ অন্য ধর্মের কোন লোক যদি মুসলিম বা খ্রীষ্টান হয় তাহলে সে তার যোগ্যতা দিয়ে সর্বোচ্চ পদেও (মুসলমানদের মসজিদের ইমাম বা খ্রীষ্টান হলে খ্রীষ্টানদের ফাদার) যেতে পারে, হিন্দু ধর্মে কি অন্য ধর্মের লোক হিন্দু হয়ে মন্দীরের পুরোহিত হতে পারবে? ব্রহ্মণরা কি এটা মেনে নিবে?
২৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
ক্স বলেছেন: শামচুল হক, হিন্দু ধর্মে জাতপাতের ব্যাপারটা এখনও অনেক কষ্টে ধরে রেখেছে। খুব বেশিদিন নেই এই প্রথা বিলুপ্ত হতে। বিশ্বব্যাপী হিন্দু ধর্ম মানুষের কাছে আকর্ষণীয় একটা সেন্সে - এটা উৎসবের ধর্ম। গুরুগম্ভীর সনাতনী ছেড়ে হিন্দু ধর্ম উৎসবের ধর্মে পরিণত হয়েছে কেবল টিকে থাকার জন্য। কাজেই বুঝা যাচ্ছে, টিকে থাকার জন্য যা যা করা দরকার - কোন কিছু করতেই বাকি রাখবেনা এই হিন্দু ধর্ম। কাজেই খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবেনা যখন দেখবেন দলিত সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা কেউ মন্দির কিনে নিয়ে সেখানে নিজের ভাই বা ভাতিজাকে পুরোহিত হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে। হিন্দু ধর্মের আকর্ষণ বাড়াতে জাতধর্মের খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসা এখন সময়ের দাবি।
২৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫০
শামচুল হক বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে, হয়তো একদিন হিন্দু দলিত সম্প্রদায় জাতপাতের বৈষম্য তুলে দিবে তাতে বর্ন হিন্দুরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ কোন এক রিপোর্টে দেখেছিলাম সারা ভারতে বর্ন হিন্দু মাত্র ১৩%। এই ১৩% বর্ন হিন্দরাই পুরো দেশটা শাসন করে। বিশাল জনগোষ্ঠি যদি বর্ন বৈষম্য তুলে দেয়ার চেষ্টা করে তখন হিন্দুদের দীর্ঘ দিনের জাত আর থাকবে না।
২৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৩
ইমরান আল হাদী বলেছেন: কানিজ রিনার সাথে সহমত। এক সময় বেদ শূদ্রদের ধরা, পাঠ করা এমন কি শোনা নিষিদ্ধ ছিল।
বৈশ্যদের শুধু শোনার অধিকার ছিল, ক্ষত্রিয়দের পড়ার ও শোনার অধিকার ছিল।
শুধু ব্রাহ্মণরা স্পর্শ করতে,পাঠ করতে, এবং শুনতে পারতো।এখন কি অবস্থা তা আপনি একটু বলবেন
প্লিজ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৮
গেছো দাদা বলেছেন: হিন্দু ধর্মের কিছু তথ্য রাখছি ,সবার জানার জন্য । ব্রাহ্মন,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শুদ্র .... এগুলো গুনবাচক বা কর্মবাচক শব্দ । প্রাচীন কালে ক্ষত্রিয় সন্তান ঋষি বিশ্বামিত্র তার তপস্যা বা জ্ঞানচর্চার দ্বারা ব্রাহ্মনত্ব লাভ করেছিলেন । ব্রাহ্মন সন্তান রাবন তার কর্মকুশলতার জন্য লঙ্কার রাজা(ক্ষত্রিয়) হয়েছিলেন ।শুদ্র সন্তান বাল্মীকী তার তপস্যা বা জ্ঞানচর্চার দ্বারা ব্রাহ্মনত্ব লাভ করেছিলেন । এরকম প্রচুর উদাহরন রয়েছে । সন্ত রবিদাস (শুদ্র থেকে ব্রাহ্মন),সন্ত কবীর(মুসলমান থেকে ব্রাহ্মন) ... এরা মধ্যযুগের উজ্জ্বল উদাহরন । বিদেশি বর্বরদের আক্রমন ও তাদের দীর্ঘকালীন অত্যাচারের ফলে হিন্দু সমাজে একরকম স্থবিরতা,নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার ফলে বেশ কিছু কুরীতির জন্ম হয় । যেমন বংশানুক্রমিক জাতপ্রথা । তবে আনন্দের কথা এই যে ...হিন্দু সমাজের সংস্কার হয়ে চলেছে ,তার প্রাচীন গৌরব পুনরায় ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে । ভারতের কেরালা রাজ্যের বিখ্যাত তিরুপতি মন্দিরে সন্মানীয় পূজারী হিসাবে ২৩ জন শুদ্র সন্তান কে নিযুক্ত করা হয়েছে প্রায় ৩ মাস আগে । এরা সবাই সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেদ,উপনিষদ শিক্ষাতে উচ্চ ডিগ্রী লাভ করেছেন । অর্থাৎ এই ২৩ জন শুদ্র সন্তান, বর্তমানে ব্রাহ্মন হিসাবে গন্য হিন্দু সমাজে । আশা করি আপনাদের এই তথ্য গুলি ভালো লাগবে । সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
২৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৬
গেছো দাদা বলেছেন: হিন্দু ধর্মের কিছু তথ্য রাখছি ,সবার জানার জন্য । ব্রাহ্মন,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শুদ্র .... এগুলো গুনবাচক বা কর্মবাচক শব্দ । প্রাচীন কালে ক্ষত্রিয় সন্তান ঋষি বিশ্বামিত্র তার তপস্যা বা জ্ঞানচর্চার দ্বারা ব্রাহ্মনত্ব লাভ করেছিলেন । ব্রাহ্মন সন্তান রাবন তার কর্মকুশলতার জন্য লঙ্কার রাজা(ক্ষত্রিয়) হয়েছিলেন ।শুদ্র সন্তান বাল্মীকী তার তপস্যা বা জ্ঞানচর্চার দ্বারা ব্রাহ্মনত্ব লাভ করেছিলেন । এরকম প্রচুর উদাহরন রয়েছে । সন্ত রবিদাস (শুদ্র থেকে ব্রাহ্মন),সন্ত কবীর(মুসলমান থেকে ব্রাহ্মন) ... এরা মধ্যযুগের উজ্জ্বল উদাহরন । বিদেশি বর্বরদের আক্রমন ও তাদের দীর্ঘকালীন অত্যাচারের ফলে হিন্দু সমাজে একরকম স্থবিরতা,নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার ফলে বেশ কিছু কুরীতির জন্ম হয় । যেমন বংশানুক্রমিক জাতপ্রথা । তবে আনন্দের কথা এই যে ...হিন্দু সমাজের সংস্কার হয়ে চলেছে ,তার প্রাচীন গৌরব পুনরায় ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে । ভারতের কেরালা রাজ্যের বিখ্যাত তিরুপতি মন্দিরে সন্মানীয় পূজারী হিসাবে ২৩ জন শুদ্র সন্তান কে নিযুক্ত করা হয়েছে প্রায় ৩ মাস আগে । এরা সবাই সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেদ,উপনিষদ শিক্ষাতে উচ্চ ডিগ্রী লাভ করেছেন । অর্থাৎ এই ২৩ জন শুদ্র সন্তান, বর্তমানে ব্রাহ্মন হিসাবে গন্য হিন্দু সমাজে । আশা করি আপনাদের এই তথ্য গুলি ভালো লাগবে । সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
২৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩১
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: অনেকেই ধর্মের সংস্কারের কথা বলেছেন। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন ধর্মের মৌলিক করণীয় কাজগুলো কি চাইলেই পরিবর্তন (সংস্কার) করা যায়? অন্তত ইসলাম ধর্মে নয়। আর এটাই হচ্ছে ইসলাম সহিহ হবার প্রধান দলিল। ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বিরা তাদের স্বার্থে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের যখন তখন পরিবর্তন আনতে দ্বিধা তরেন না। এটা গোমরাহি ছাড়া আর কিছু নয়।
ইসলামই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ দ্বীন, অন্য কিছু নয়। বিদায় হজ্বের ভাষণে রাসুল (সঃ) তাই বলে গেছেন। এখানে শৈথিল্যের কোন সুযোগ ননেই। কেউ মানে বা না মানে সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু বার বার এটাই বৈজ্ঞানীক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, ইসলামই একমাত্র সর্বসময়ের মানব ধর্ম, অন্য কোনটি নয়। আল্লাহ বলেন " আমার কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম হলো ইসলাম।"
২৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:০৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: কপি পেষ্ট মন্তব্যেই উত্তর কেন?
আলোচনা আরও সুসংহত হওয়া উচিত, আশা করি ধীরে ধীরে শিখে যাবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ভাইজান/দাদ..........
আমার কথা বল্লেন না?
আমি হিন্দু বা অহিন্দু কোন কোটায় পড়ি না।
আমি সিম্পলি, মানুষ।