নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোদি ভক্ত ! এটা জেনে আপনি দুঃখ পেলে আমি আনন্দিত হব।

গেছো দাদা

গেছো দাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানতে চান, কারা হিন্দু ও কারা হিন্দু নয় ?? হিন্দুরা এই ব্লগটি পড়লে , সুসভ্য প্রাচীন জাতি হিসাবে গর্ব অনুভব করবেন ।।

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১:০৪


আপনি বেদ পড়েছেন ? চার খণ্ড বেদ, প্রতি বেদে চারটি অংশ, প্রতিঅংশে - বেশ কয়েকটি মন্ডল, প্রতি মন্ডলে অনেক শুক্ত, প্রতি শুক্তে অনেক......অনেক.... মন্ত্র, পড়েছেন ? গীতা পড়েছেন ? আঠারো অধ্যায়ে সাতশত শ্লোকের গীতা, পড়েছেন ? আঠারো অধ্যায়ের এক লক্ষ শ্লোকের মহাভারত, পড়েছেন ? সাত খন্ডের, চব্বিশ হাজার শ্লোকের রামায়ণ, পড়েছেন ? আঠারোটি পুরাণ - আরও আঠারোটি উপপুরাণ, পড়েছেন ? একশত আটটি(মতান্তরে 112 টি) উপনিষদ - পড়েছেন ? বেদান্ত শাস্ত্র পড়েছেন ? বহু বহু সংখ্যক সংহিতা পড়েছেন ? এরপর চৈতন্য ভাগবত, শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত, বিবেকানন্দ রচনা সমগ্র আরও আরও যত গ্রন্থ আছে - পড়েছেন ? কিংবা এর যে কোন একটাও গ্রন্থ পড়েছেন ?

যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় - আপনি হিন্দু, যদি আপনার উত্তর না হয় - তাতেও আপনি অবশ্যই হিন্দু !

আপনি প্রতিমা পূজা করেন না বা পছন্দ করেন না ? কোন সমস্যা নেই - বেদ নিরাকার ভগবানের আরাধনাই করতে বলেছে ! আপনি অবশ্যই হিন্দু ! আপনি প্রতিমা(মূর্তি) পূজা করেন ? তাতে ভক্তি রাখেন ? কোন সমস্যাই না - ভগবান নিজেই বলেছেন - "একং সদ্বিপ্রা বহুধা বদন্তি", একই ভগবানকে বিভিন্ন ভাবে ডাকাই যায় ! এবং ভাষ্যকারগণ বিশ্লেষণ করেছেন - "ভগবান = ভ+গ+ব+আ+ন, ভ এ ভূমি, গ এ গগন মানে আকাশ, ব এ বায়ু, আ এ আগুন বা অগ্নি, ন এ নীর মানে জল, অর্থাৎ - ক্ষিতি, অপঃ, তেজঃ, মরুৎ এবং ব্যোম(বোম নয় কিন্তু) এই পঞ্চভূতেই উৎপত্তি এবং এই পঞ্চভূতেই বিলীন ! তাই, প্রথম ভূমি তথা মাটি দিয়ে তৈরী প্রতিমা(মূর্তি) শেষে নীর তথা জলেই বিসর্জন দেওয়া হয় !" এছাড়াও স্বামীজী বলেছেন - " পুতুল পূজা করে না হিন্দু, কাঠ-মাটি দিয়ে গড়া ! মৃন্ময় মাঝে চিন্ময় হেরে, হয়ে যায় - আত্মহারা !!"

আপনি মন্দিরে যান ? উপোস করেন - ভক্তিভরে পূজা করেন ? যদি হ্যাঁ বলেন - তাতেও আপনি হিন্দু, যদি না বলেন - তাতেও আপনি হিন্দু ! শিব চতুর্দশীতে উপোস করেন - দুর্গা পুজোর অষ্টমীতে অঞ্জলি দেন ? কেনো না - ভক্তগণ বলে থাকেন - "পাগলার চৌদ্দ - পাগলীর আট, এই নিয়েই তুই জীবন কাট" ! যদি কোনটাই আপনার দ্বারা সম্ভব হয় - আপনি হিন্দু, যদি সম্ভব না হয় - সমস্যা নেই, আপনি হিন্দু !

আপনি সর্ববিশ্বাসে(রিলিজিয়নে) সমভাব রাখতে চান ? সব বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সবাই কে সমান দেখতে চান ? অবশ্যই দেখুন - "বসুধৈব কুটুম্বকম - স্বদেশ ভুবনত্রয়ম" ! জগতের সকল প্রাণী আপনার আত্মীয় ! ভগবানও বলেছেন - "শ্রীনয়ন্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রাঃ" ! জগতের সকল জীবই অমৃতের সন্তান ! আপনি তারই অংশ বিশেষ !

আপনি প্রকৃতি প্রেমী ? গাছ ভালোবাসেন ? সমস্যা নেই ! "বৃক্ষশালী আমরা সয়ারে", গাছ বন্ধুই ! আরও অবাক হবেন - যে সময় এই পৃথিবী বন-জঙ্গলে পরিপূর্ণ, যখন প্রকৃতি শান্তিতে বিরাজমান, যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে লিখতে হয়নি - "দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এই নগর", তখনও আপনার সংস্কৃতি হাজার হাজার বছর পূর্বে - আপনি ও আপনার পরিবেশের কথা চিন্তা করেছে ! হাজার হাজার বছর পূর্বে এই সত্যকে উপলব্ধি করেছেন - আমাদের পূণ্যভূমি'র মুনি-ঋৃষিগণ ! তাঁরা কয়েক হাজার বছর পূর্বে উপদেশ দিয়েছেন - "বৃক্ষরোপণ"র ! পুরাণে কথিত আছে "অশ্বত্থম্ একং পিচুমন্দম্ একং
ন্যগ্রোধম্ একং দশচিঞ্চিণীকম্।
কপিত্থবিল্বামলকীত্রয়ং চ
পঞ্চাম্ররোপী নরকং না পশ্যেৎ।।"
একটি অশ্বত্থ, একটি নিম, একটি বট, দশটি তেঁতুল, একটি করে কয়েতবেল, বেল ও আমলকী এবং পাঁচটি আম গাছ যিনি রোপণ করেন তাকে কদাচ নরক(অবস্থা) দর্শন করতে হয় না।(ভবিষ্যোত্তর পুরাণ)!

সব ছেড়ে দিয়ে আপনি - কর্ম কে ধর্ম বলতে চান ? অবশ্যই "কর্মই ধর্ম" "যোগস্চ কর্মাসা কৌশলম" ! ইহাও হিন্দু সংস্কৃতির ঐতিয্য !

আপনি মনে করেন - পিতা-মাতাই পরম আরাধ্য, বন্ধুত্বই ধর্ম, বিদ্যাই দেবতা ? ঠিকই তো " ত্বমেব মাতা চ পিতা ত্বমেব, ত্বমেব বন্ধুশ্চ সখা ত্বমেব ! ত্বমেব বিদ্যা দ্রবিণং ত্বমেব, ত্বমেব সর্বং মম দেবদেব" !

দেশ ও দেশমাতৃকা কে ভালোভাসা আপনার ধর্ম বলে মনে করেন ? ঠিক "জননী জন্মাভূমিচঃ স্বর্গাদপি গরিয়সী" তো আপনার সংস্কৃতিরই অংশ, আপনি গর্বিত হিন্দু হতেই পারেন !!!!

আপনি এমন এক সংস্কৃতির প্রতিনিধি - যাঁদের শুরুই "ওঁম শান্তি" ! তাই, আলাদা করে শান্তির পরিচিতি দিতেই হয় না কখনো !

উপসংহারে বলি - "সর্বৈ ভবেন্তু সুখীনঃ, সর্বৈসন্তু নীরাময়াঃ, সর্বৈ ভদ্রানি পশ্যন্তু, মা কশ্চিৎ দুঃখ ভাগ ভবেৎ" ! জগতের সকলে যেন সুখী হয়, জগতের সবাই যেন নীরোগ থাকে - কেউ যেন কষ্ট না পায় !

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি মহাভারত ও রামায়ন পড়েছি, এগুলো মানব সভ্যতার মণিমুক্তা, বিশাল সম্পদ। আমি তাদের অনুসারীদের দেখছি, যারা ভাইয়ের পানি বন্ধ করে দিচ্ছে! মহাভারত ও রামায়ন আজ শুধু সাহিত্য!

২| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: বেদ নিরাকার ভগবানের আরাধনাই করতে বলেছে !
তাহলে তো ডঃ জাকির নায়েকের কথাই ঠিক।

৩| ১১ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৫৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: সবাই যখন হিন্দু, তখন হিন্দু হিন্দু করে ফাল পাড়ার দরকার কি?

৪| ১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "অগ্নিবেশ বলেছেন: সবাই যখন হিন্দু, তখন হিন্দু হিন্দু করে ফাল পাড়ার দরকার কি?"

চমৎকার মন্তব্য।

৫| ১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

শাহ আজিজ বলেছেন: বিজেপি যেহারে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে খড়গ হাতে মিছিল করছে তাতে করে বেদ বানীকে স্যাটেলাইটের সাথে মহাকাশে পাঠানো উচিত।

আপনার লেখা ভালো লাগল ।

৬| ১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

কানিজ রিনা বলেছেন: সৃষ্টির সব কিছুতে আল্লাহর হাত আছে তিনি
নিরাকার। তাই সব কিছুই আল্লাহর।
ঋগবেদে বলে সৃষ্টি কর্তা নিরাকার তার
কোনও আকার নাই তার সমকক্ষ কেউনা
তিনি এক।
তাই বস্তুবাদী পুজারী মনে করে সব কিছুতে
আল্লাহ্ আছে। আসলে সৃষ্টির মহাজগত ওই
আল্লাহর তিনি নিরাকার তাই সৃষ্টিকে প্রশংসা
করি আল্লাহর উদ্দেশ্যে। চন্দ্র সুর্য তিনিই সৃষ্টি
করেছেন আমাদের মনুষ্য কূলের জন্য অতএব
তারই কাছে মাথা নত করি তিনি এক অদ্বিতীয়। চারখানা বেদ সব হিন্দু পড়া উচিৎ।
জাতপাত ভুলে মানুষ মানুষে মিশে হিন্দু
মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান আমরা আল্লাহর সৃষ্টি
তিনি সকল কিছু সৃষ্টি করিয়াছেন। সবার
উপর মানুষ সত্য তার উপর নাই। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.