নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১১ টা ৫৫ . . ১১ টা ৫৬ . . .১১ টা ৫৭ . . ১১ টা ৫৮ . . ১১ টা ৫৯ . .দ্রিম দ্রিম . .রমেন বাবুর বুকের ভেতর ঢাক বাজছে . .জিভটা কেমন শুকিয়ে আসছে . .পেট টা গুলিয়ে উঠছে. .বুকের ভেতরটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে . .
.
বেশ কিছু বছর আগের কথা . .আমাদের পাড়ার রমেন বাবুর ছোট্ট
ছেলেটার ভেতর অদ্ভুত ভাবে কিছু অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা
দেখা গেছিলো . .অনেকটা ঔ এক্স
ম্যান সিনেমার মিউট্যান্ট দের মতো . .
.
আচ্ছা খুলেই বলি ঘটনাটা . .ছেলেটা তার
জীবনে প্রথম যে শব্দ মুখ থেকে
উচ্চারণ করেছিল তা হল মামা . .অস্বাভাবিক
ঘটনা সন্দেহ নেই . .বাচ্চারা প্রথমে মা
বলে ডাকবে এটাই স্বাভাবিক . .পরপর দুবার
মা মা বলে ডাকলে সে সবার নজরে
পড়বে বইকি! আর কি আশ্চর্য ! এই ঘটনার
ঠিক সাত দিন পরে রমেন বাবুর শালা মানে
শ্যালক মানে ঐ বাচ্চাটার মামা দুম করে
মরে গেলো . .
.
সবারই অল্প বেশি অস্বস্তি হল বটে.
.কিন্ত দীর্ঘ বিন্পি শাসনের কারণে
প্রত্যেকেই অত্যন্ত বিজ্ঞানমনস্ক
হওয়ায় কেউই দুটো ঘটনার
ভেতর কোনো সংস্রব মানতে
চাইলোনা . . তাই এটাকে একটা কো
ইন্সিডেন্ট বলে চালিয়ে দিলো . .
.
এর মাস ছয় পর বাচ্চাটা আবার কাকা বলে
ডাকল আর সাত দিন পর রমেন বাবুর ভাই দুম
করে মরে গেলো .
.
আরও মাস ছয় পর বাচ্চাটা আবার দাদু বলে
ডাকল আর সাত দিন পর রমেন বাবুর শ্বশুর মশাইও
দুম করে মরে গেলো . .
.
ততদিনে সবাই হাড়ে হাড়ে বুঝে গেছে এই বাচ্চা কি
চীজ . .কেউ বলল বাচ্চাটার ভেতর
যাদুবিদ্যা আছে ‚কেউ বলল একে শয়তানে
পেয়েছে ‚তো কেউ বলল শনির
দৃষ্টি পড়েছে . .শুধু এলাকার আম্লীগ
নেতা চার মাথার মোড়ে দাড়িয়ে চিৎকার
করে ঘোষণা করল ‚বাচ্চার মা
বিন্পির আমলে প্রেগন্যান্ট
হয়েছিল ‚তাই এই বাচ্চার কোনো দায় তার সরকার
নেবেনা . .
.
যাইহোক ‚ এর আবার ৬ মাস পরে বাচ্চাটা
আবার দিদা ডাকল আর সাত দিন পরে ‚বলাই
বাহুল্য. !
.
এরও ছয় মাস পরের ঘটনা . .বাচ্চাটা একদিন ছাদে
শুয়ে আকাশে
ঘুড়ির কাটাকাটি দেখতে দেখতে হঠাৎ বাবা
বলে ডাকল . .
.
ব্যস রমেন বাবুর মাথায় এবার যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল . .তার দুচোখে অন্ধকার
‚দৃষ্টি অস্বচ্ছ ‚মাথা চক্রায়মান . তিনি নিশ্চিত
তার আয়ু আর মাত্র ৭ দিন . .তারপরই তাকে
এই ধরাধামের আশা ত্যাগ করতে হবে ..
.
তবু আশায় মরে চাষা . . রমেনবাবু বাঁচার
জন্যে কোনো চেষ্টাই ছাড়লেন না .
.ডাক্তার ‚কবিরাজ‚হোমিওপ্যাথি ‚ওঝা
‚গুনীন কোনো কিছুই বাদ গেলোনা
তার সম্ভাব্য জীবনদায়ী তালিকা থেকে ..
এমনকি তিনি সারাদিন মশারির ভেতর বসে
থাকেন যাতে ডেঙ্গি -ম্যালেরিয়া হয়ে
না মরেন . .গাড়ি চড়েননা যাতে
অ্যাক্সিডেন্ট না হয় . .পুকুরে নাবেন না
যাতে ডুবে না যান . .নিজে রান্না করে
খান যাতে কেউ বিষ খাইয়ে মারতে না
পাতে .
.এইভাবে এককভাবে মানুষের দ্বারা
যতভাবে সম্ভব তিনি বাকি সাতদিন
কোনোরকমে বেঁচে থাকতে
সচেষ্ট হলেন . .
.
এভাবেই দিন যায় ‚একদিন -দুদিন -তিনদিন. .
যত দিন এগিয়ে আসে রমেন বাবুর
দুশ্চিন্তা বাড়ে . .তার সময় শেষ হয়ে
আসছে . .এই পৃথিবী তাকে ত্যাগ করে
যেতে হবে . .এখনো কত কাজ বাকি
‚প্রায় কিছুই তো করা হলোনা . . হায় কপাল .
.মানুষ ছেলে জন্ম দিয়ে এমন বিপদেও
পড়ে? এর থেকে নপুংসক হলেই বরং ভাল ছিলো ..
.
ঠিক সাত দিনের দিন . .রমেন বাবু তার
অন্তিম মূহুর্তের সাক্ষী থাকার জন্যে
তার সব আত্মীয় -স্বজন ‚বন্ধুবান্ধব
সবাইকে ডেকে এনেছেন .
.মরতেই যখন হবে তখন সবার মুখ শেষ
বারের মতো দেখে নিয়ে তবেই
মরবেন ..
.
বাচ্চাটা দুপুর ১২ টায় বাবা বলে ডেকেছিল
. . কাটায় কাটায় সময় এগিয়ে যাচ্ছে ১২ টার
দিকে . .ঠিক ১২ টায় ৭ দিন পূর্ণ হবে আর
রমেন বাবুরও. .
.
১১ টা ৫৫ . . ১১ টা ৫৬ . . .১১ টা ৫৭ . . ১১ টা
৫৮ . . ১১ টা ৫৯ . .
.
দ্রিম দ্রিম . .রমেন বাবুর বুকের ভেতর
ঢাক বাজছে . .জিভটা কেমন শুকিয়ে
আসছে . .পেট টা গুলিয়ে উঠছে. .
বুকের ভেতরটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা
লাগছে . .আহা! আর মাত্র কয়েক
সেকেন্ড তার আয়ু .. .তারপরই তিনি . .মা
গো . .ঘড়ির কাটা ১২ এর ঘর ছুতেই তিনি
আর্তনাদ করে উঠলেন . .
.
আর ঠিক তক্ষুনি ‚ বরিশালের এক
রাজনৈতিক জলহস্তীর মত উপস্থিত
সবাইকে একটা চার অক্ষরের গালাগালি
বানিয়ে রমেন বাবুর অত্যন্ত প্রিয় বন্ধু
ভবেশ মন্ডল দুম করে মরে গেলো .
.
বিদ্রঃ গল্পের ভাষা আমার হলেও মূল ভাব আমার না . .কোনো একদিন ফেসবুকে এমন কিছু একটা পড়েছিলাম . .কিন্তু কার লেখা -কবে লেখা কিছুই মনে নেই . .সেই জিস্ট কেই নিজের ভাষায় লিখলাম আরকি . .
তবে মোট কথা এইযে ‚এই পোস্ট এর কপিরাইট আমার না . .কারওরই না . .
২| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার!
৩| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: বাহ, বেশ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮
শহীদ আম্মার বলেছেন: দাদা আপনার টা পইড়া টেনশন দূর করলাম। এবার নিচে গিয়ে আমারটা পরে আপনার টেনশন দূর করেন।
স্বপ্ন হলো সত্যি, মহাকাশে বাংলাদেশ