নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিক্ষত শরীরটাকে ক্রমাগত টেনে নিয়ে চলে অবশেষে চূড়ায় পৌঁছায় সে। বহুদিনের সাথী তরবারীটায় ভর দিয়ে নিজের অশক্ত শরীরকে স্থির করে টেনে নেয় বুকভরা নিশ্বাস।
তরবারী বলে ওঠে, "এবার আমায় ছুটি দাও।"
"একেবারেই চলে যাবে?" বলে সে।
"হ্যাঁ.." বলে তরবারী, "তোমার বিজয়ের সাথী হতে হতে আমি ক্লান্ত হে যোদ্ধা। মুকুট তো তোমারই শিরে।"
যোদ্ধা চুপ করে থাকে। তারপর বলে, "কখনো ভালোবাসোনি?"
"বেসেছিলাম..." বলে তরবারি, "যে বাহুর নিখুঁত চালনায় অস্ত্র হয়ে ওঠে শস্ত্র, ছিনিয়ে আনে বিজয়, তাকে ভাল না বাসার সাধ্য কি আমার ছিল?"
"তবে?" জিজ্ঞাসা করে যোদ্ধা।
তরবারি বলে, "কিন্তু আমার ভালবাসায় প্রতিদ্বন্দ্বী এল। সাফল্য। তুমি তাকে বরণ করলে। আমাকে নয়। অস্বীকার করতে পারো?"
যোদ্ধা নিরুত্তর রইল। তরবারি মিথ্যা বলেনি।
"আমি মুক্তি চাই হে যোদ্ধা। তুমি শিখরে পদার্পণ করেছ। সাফল্য তোমার কন্ঠলগ্না। আমাকে মুক্তি দাও।" তরবারি বলল।
যোদ্ধার হাতের মুষ্টি আলগা হল। তরবারি খসে পড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল অতল গিরিখাতে।
কয়েকমুহুর্ত চোখ বুজে আত্মমগ্ন শিখরে দাঁড়িয়ে রইল একাকী যোদ্ধা। তারপর....
"আসছি আমিও..." বলে ঝাঁপ দিল সেও।
সাফল্য ক্ষণিকা। যোদ্ধা জেনেছে তার আসল পরিচয় রচনা করেছে তরবারি। সে ছাড়া যোদ্ধার অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৪
গেছো দাদা বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: বাহ!