নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কড়া নাড়তে দরজা খুলল এক খুনখুনে বুড়ি।
সদা আর বাপ্পার খাকি পোশাক।
সদা বলল, "আমরা কর্পোরেশান থেকে এসেছি ইঁদুর মারতে। শুনেছেন তো ইঁদুর থেকে অসুখ হচ্ছে। তাই আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে ইঁদুর মারছি।"
বুড়ি বলল, "এসো বাবা এসো। কিন্তু আমার ঘরে তো ইঁদুর দেখিনি।"
বাপ্পার হাতে বড় একটা ব্যাগ। বুড়ির সমস্ত খবর জোগাড় করে এনেছে বাপ্পাই। বুড়ি একা থাকে। একটা কাজের মেয়ে সকাল থেকে এসে বাজার করে রান্নাবান্না করে খাইয়ে-দাইয়ে সন্ধ্যেবেলায় চলে যায়।
বুড়ি বলল, "তোমরা তো দিনের বেলায় এলেই পারতে। রমা থাকত। তোমাদের সুবিধা হত।"
সদা বলল, "প্রচুর চাপ মাসিমা। দিন রাত কাজ করতে হচ্ছে। এই বাপ্পা, লেগে পড়।"
বসার ঘরে বুড়ি আর সদা বসল। বাপ্পা বাড়িটা চষা শুরু করল। আর মাঝে মাঝেই একটা করে মরা ইঁদুর এনে বুড়ির সামনে ফেলতে লাগল।
মরা ইঁদুরগুলো ওরা ব্যাগে করেই এনেছে। বুড়ির ক্রমশ চোখ ছানাবড়া হতে শুরু করল। বলল, "আমার ঘরে এত ইঁদুর? কখনও তো চোখে পড়েনি?"
.
সদা আর বাপ্পা পেশায় ছিঁচকে চোর। যেসব ঘরে বুড়ো বুড়ি একা থাকে, সেইসব ঘর ওদের টার্গেট। নানান বাহানায় ঘরে ঢুকে যা পায় হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।
বাপ্পা সদাকে ফিসফিসিয়ে বলল, "সারা বাড়িতে নেওয়ার মতো কিচ্ছু নেই।"
সদা বুড়িকে বলল, "আপনার আলিমারিটাও একটু খুলতে হবে। ওখানেও ইঁদুর থাকতে পারে।"
বুড়ি বলল, "শোবার ঘরে খাটের পাশে খোলাই আছে। যাও না দেখো গে।"
সদা গিয়ে আলমারি খুলল। গোটা কয়েক শাড়ি আর দুটো শীতের চাদর। ব্যাস আর কিচ্ছু নেই।
বুড়ি বসার ঘরে চেয়ারে বসে পা দোলাচ্ছে। সদাকে দেখে বলল, "ইঁদুর আছে?"
-- "না নেই। আচ্ছা আপনার ছেলে মেয়ে নেই? আর রোজগারপাতি... "
-- "হ্যাঁ ছেলে আছে। বড় ফ্ল্যাট কিনেছে। বউ মেয়ে নিয়ে সেখানেই থাকে। এটাতো ভাড়ার বাড়ি। তবে ভাড়া দিতে হয়না। কীসব কোর্ট-কাছারি হয়েছে। ছেলে-বউ এ বাড়িতে আসে না বলতে গেলে। রমা প্রতি মাসে ছেলের কাছে যায়। ওর হাতে কিছু টাকা দিয়ে দেয়। তাতেই আমার চলে।"
.
নাহ, দারুণ ঠকা ঠকল সদারা। পুরো খাটনি বেকার হল। বাপ্পার মাথা গরম হয়ে গেছে, জোরে জোরে বলে উঠল, "শালা ভিখিরিরও অধম। ঘরে দশ-বিশ টাকাও নেই?"
বুড়ি চেয়ারে বসে পা নাচাতে নাচাতে বলল, "টাকা থাকে তো রমার কাছে। শোন না, একটা আইসক্রিম এনে দে না রে, খেতে খুব ইচ্ছে করে, রমা দেয় না।"
সদার মনটা কেমন করে উঠল। পিসির কথা মনে পড়ে গেল। ছোটতে বিধবা হয়ে তাদের বাড়িতেই থাকত। তাকে খুব ভালবাসত। মাস কয়েক আগেই টুপ করে মরেগেল।
মোড়ের দোকান থেকে একটা আইসক্রিম এনে বুড়ির হাতে দিল। আনন্দে বুড়ি বাচ্চাদের মতো লাফিয়ে উঠল। বাপ্পা রাগতে গিয়েও রাগতে পারল না।
বলল,"শাল্লা..বাটপাড় বুড়ি কোথাকার..."
১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮
গেছো দাদা বলেছেন: প্রথম মন্তব্যকারী হিসাবে আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
নিজেই লিখেছেন? ঘটি ঘটি ভাব আছে!
১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
গেছো দাদা বলেছেন: আরে দাদা , আমি পশ্চিমবঙ্গ বাসী ভারতীয় বাঙ্গালী ।
৩| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। পড়ে অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন সবসময়।
১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:১৯
গেছো দাদা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা ।
৪| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: গেছো দাদা,
হা...হা...
শেষে আর একটু রম্য থাকলে ভালো হতো।
১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:২২
গেছো দাদা বলেছেন: হা...হা... সেই রবী ঠাকুরের ভাষায় ....শেষ হয়েও হইল না শেষ ।।
৫| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: আগে পরেছি এটা মনে হচ্ছে!!
১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৫
গেছো দাদা বলেছেন: হতেও পারে .... আমি প্রায় ৩ বছর আগে এই গল্পটি আমার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম লিখে ছিলাম ।
৬| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন:
১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৬
গেছো দাদা বলেছেন: হা...হা...
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম