নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোদি ভক্ত ! এটা জেনে আপনি দুঃখ পেলে আমি আনন্দিত হব।

গেছো দাদা

গেছো দাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প : অ্যাসিড

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৫

রায়া আজ কলেজ যায়নি। কোনো কারণ নেই। এমনিই। এক একদিন এমন হয়! কিছুই করতে ইচ্ছে করে না। মনে হয় শুধু ল্যাদ খাই। আজ সেইরকম একটা দিন।
আজ শমীকের কথা খুব মনে পড়ছে। কেমন পালটে গেল শমীক। কী সব থার্ডক্লাস বন্ধু হয়েছে এখন। পড়া ছেড়ে দিল। সারাদিন কটা বদ ছেলের সঙ্গে ঠেক মারছে। একসময় কী ভালো ছেলেই ছিল। শমীকের বাবা হুট্ করে মারা গেলেন। তারপরেই শমীক কেমন দ্রুত বদলে গেল। ওর মা, ওর বাবার চাকরিটা পেল। একা ঘরে থাকত। যত বাজে ছেলেদের সেইসময় ঘরে ডেকে নিয়ে মস্তি করত।
রায়া অনেক বারণ করেছে। শোনেনি শমীক। কলেজ যাওয়াও বন্ধ করে দিলো। মদের নেশা ধরল। যথারীতি তাদের বাল্যকালের সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়ল। রায়া শমীকের থেকে দূরে সরে যেতে থাকল। শমীক ভাবত রায়া তারই থাকবে। রায়া থাকতেও চেয়েছিল। অনেক বুঝিয়েছিল প্রথম প্রথম। তারপর যখন বুঝল এ ছেলে বোঝার নয়, তখন রায়া নিজেকে সরিয়ে নিল।
.
শমীক খারাপ ছেলে। সারাদিন মদ খায়। কিন্তু রায়াকে সে প্রচন্ড ভালোবাসে। রায়া তার না হয়ে অন্য কারুর হবে, এটা সে ভাবতেই পারে না।
রায়া সেটাই করছে। তার চোখের সামনে অন্য ছেলেদের সঙ্গে ঢলাঢলি করছে। প্রায় দিনই সে একটা ছেলের বাইকের পিছনে বসে বাড়ি ফেরে। মাথায় আগুন জ্বলে যায় শমীকের। রায়া তার.. শুধুমাত্র তার। রায়া বেইমানি করছে তার সঙ্গে। রায়াকে শাস্তি দিতে হবে। খতরনাক শাস্তি।
.
কলেজ থেকে ফিরছে রায়া অনয়ের বাইকের পেছনে বসে। সে আসতে চায় না। কিন্তু অনয় এমন বাচ্চা ছেলের মতো জোর করে যে নাও বলতে পারে না। দেখল গলির মুখে শমীক দাঁড়িয়ে আছে। কী খারাপ হয়ে গেছে শরীর। বড় মায়া হলো তার। আহারে এই ছেলেটা একসময় তাকে কী ভালোবাসত।
.
একটা কাঁচের শিশি হাতে নিয়ে গলির মুখে দাঁড়িয়ে আছে শমীক।
তার কপাল ভালো, আজ গলি শুনশান। আজ সেই দিন। হিসাব চুকতা করার দিন। রায়া আর ওই ছেলেটাকে সবক শিখাবে সে।
হাত তুলে বাইকটা দাঁড় করাল। ছেলেটা বলল, "কী হলো?"
হাতের শিশিটা দেখিয়ে শমীক বলল, "এটা কী জানো? অ্যাসিড। তোমাদের মুখে ঢালব আজ। শালা পিরিত করা আজই বের করে দিচ্ছি।"
অনয় রায়াকে ধাক্কা মেরে ঠেলে দিয়ে বাইক ঘুরিয়ে হাওয়া হয়ে গেল। সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাটা ঘটল। রায়া হুমড়ি খেয়ে পড়ে আবার সোজা হয়ে দাঁড়াল। ভয়ে -আতঙ্কে রায়া থরথর করে কাঁপছে। চিৎকার করলেই এক্ষুনি যদি মুখে ঢেলে দেয!! হায় ভগবান! এ কেমন বিপদে পড়ল সে। দরদর করে ঘামছে রায়া।
.
হঠাৎ রায়াকে হতবাক করে দিয়ে শিশির তরলটা গলায় ঢেলে নিলো শমীক। ভয়ে চোখ বন্ধ করল রায়া।
হাসির শব্দ শুনে চোখ খুলল। বিস্ফারিত চোখে দেখল শমীক হাসছে।
শমীক বলল, "এটা অ্যাসিড নয় লিমকা... খাবে?"
কী করবে.. কী করবে না বুঝতে পেরে শমীকের বুকে দুমদুম করে ঘুসি মারল, মারতেই থাকল রায়া... কতদিন কতদিন পর...

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:২৪

মিরোরডডল বলেছেন: পড়ছি আর ভাবছি এতো একটা কমন স্টোরি ।
But there is a twist at the end.
Liked it :-)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৪

গেছো দাদা বলেছেন: মেনি মেনি থ্যাঙ্কস টু ইউ।

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২৫

ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে........বিশেষ করে শেষটা খুব সুন্দর।
সুপ্রভাত

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

গেছো দাদা বলেছেন: ধন্যবাদ দাদাভাই।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: শমীক অসুস্থ। এধরনের ছেলে থেকে দূরে থাকাই ভালো।
রায়া নির্বোধ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১২

গেছো দাদা বলেছেন: প্রেমেতে মজিলে মন .... কিবা হাড়ি কিবা ডোম !! (প্রাচীন প্রবাদ)

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫

হাবিব বলেছেন: এসিড দেখলে ভীষন ভয় করে আমার

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

গেছো দাদা বলেছেন: আমারো...... স্য্যর !!!

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

কনফুসিয়াস বলেছেন: ডর লাগিয়ে দিলেন ভাই। যাক, সকলেই জীবনের খারাপ সময়গুলো থেকে এমন আশ্চার্য ভেলকি পাক, সেই কামনা। ধন্যবাদ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০১

গেছো দাদা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.