নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোদি ভক্ত ! এটা জেনে আপনি দুঃখ পেলে আমি আনন্দিত হব।

গেছো দাদা

গেছো দাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবাক ইতিহাস : ইফতার !

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩৬

একটা ঘটনা ঘটেছিলো কাশ্মীরে‚ ঔরঙ্গজেবের আমলে! সেটাই আজ বলছি।

একেই তো সেটা মধ্যযুগ! চারিদিকে কুসংস্কার! তারউপর খোদ সিংহাসনে যে বসে আছে সে ধর্মান্ধ তাহলে প্রজাদের চোখ আর খোলে কিভাবে?
ফলে কাশ্মীর ( এবং সারা ভারত ) ছিলো কুসংস্কার আর অশিক্ষায় ডুবে।
তা এমন এক সময় মানে ১৬৯২ সালের মে মাসের ঘটনা এটা। রমজান মাস চলছে তখন। সবাই রোজা রাখছে। হঠাৎ মীর হসেন নামে কোনো এক আগন্তুক এসে ( সম্ভবত পীর টাইপ কেউ হবে) ঘাঁটি গাড়ল তখত-ই-সুলাইমান পাহাড়ে। সেখানেই তার আশ্রম হলো। স্বাভাবিকভাবেই নতুন কেউ আসায় আশেপাশের এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য আর কৌতুহল শুরু হল।

তা একদিন সে হঠাৎ বলল তার আশ্রমে সে আলো দিয়ে সাজাবে। সম্ভবত দীপাবলীর অনুকরণ করতে চেয়েছিল বেচারা। তা যেদিন তার আশ্রমে আলোকসজ্জা করার কথা ছিলো‚ সেদিন বিকেলের কিছু আগে হঠাৎ শুরু হলো তুমুল ঝড়, বৃষ্টি আর বজ্রপাত! পুরো উপত্যকা অন্ধকারে ছেয়ে গেলো।

ফলে সূর্য ডুবে গেছে ভেবে ইফতার করে নিলো উপত্যকার সবাই।
আর এদিকে ঘন্টা দুই পরে ঝড় থেমে‚ মেঘ কেটে সূর্য উঠে গেলো! ব্যস সবার মাথায় হাত। সবাই রাগে - দুঃখে - ভয়ে পাগল হয়ে গেলো।
আর এই সব রাগ গিয়ে পড়ল সেই মীর হুসেনের উপরে। যে‚ ওই হতভাগা হিন্দুদের মতো আচরণ করার চেষ্টা করেছিল বলেই সেই গুনাহে ( পাপে) এমন হয়েছে। সবাই দলে দলে আক্রমণ চালালো মীর হুসেনের দরগায়। মুমিনদের ধর্মপালনে আঘাত হানার অভিযোগ করা হল মীর হুসেনের বিরুদ্ধে!

এবং এই অভিযোগ মেনে নিয়ে মুঘল প্রশাসন হুসেনকে কাশ্মীর থেকে বের করে দিলো। B:-/

[ source - এ শর্ট হিস্ট্রি অফ আওরঙ্গজেব‚ যদুনাথ সরকার ]

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:



দাদা তো মোদীর হনুমান।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৩

গেছো দাদা বলেছেন: হ বাই । :-P

২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: মুসলমানেরা আসলেই ভয়াবহ বেকুব জাতি।
এদের কোন টাইম জ্ঞানের হিসাব ছিলনা- ভরদুপুরে কোন দুর্যোগে আকাশ অন্ধকার হয়ে গেলে, এরা সুর্য ডুবে গেছে ভেবে ইফতার সেরে নেয়।
আর কিছু অতি বুদ্ধিমান মানুষ তাই অবলীলায় বিশ্বাস করে একবিংশ শতাব্দীতে এইসব গপ্পো ব্লগ আর ফেসবুকে পোস্ট করে।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

গেছো দাদা বলেছেন: //শেরজা তপন বলেছেন: মুসলমানেরা আসলেই ভয়াবহ বেকুব জাতি।//

আপনাদের দেশের দিকে তাকালেই এমন অনেক উদাহরন পাবেন । B-)

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৪

ধুলো মেঘ বলেছেন: শেরজা তপন, কোন ঐতিহাসিক রেফারেন্স ছাড়াই এক আবাল যা মনে আসলো, তা দিয়ে গপ্পো বানিয়ে সামুতে পোস্ট করে দিল, আর তার বেসিসে আপনি মুসলিম জাতির বুদ্ধিমত্তা পরিমাপ করে ফেললেন?

সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে দেশ অনেক উন্নত ছিল। হাতঘড়ির প্রচলন তখন না থাকলেও সময় পরিমাপের অনেক পদ্ধতি তখন মানুষের জানা ছিল। আর মেঘ কখনও আকাশকে এত অন্ধকার করতে পারেনা যে, সূর্য ডুবে যাবার মত অবস্থা হবে। বেকুবগুলো গালগপ্পো বানানোর জন্য ব্রেনের সাধারণ ব্যবহার করতেও ভুলে গেছে।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

গেছো দাদা বলেছেন: ঐতিহাসিক রেফারেন্স পোস্টের শেষ লাইনে লেখা আছে। :-P

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: @ধুলো মেঘ আপনি একটু ভুল বুঝেছেন- ভাল করে ফের মন্তব্যটা পড়ুন!
এক ধর্মের মানুষ আরেক ধর্মের মানুষদের চরম হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আজো কিছু মানুষ মধ্যযুগীয় মানুষদের মত এসব গাল-গপ্পো শুনিয়ে যাচ্ছে।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪১

গেছো দাদা বলেছেন: এগুলো ইতিহাস। গাল-গপ্পো নয়। B:-/

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

ধুলো মেঘ বলেছেন: স্যরি, আমি আসলেই ভুল বুঝেছি। মুসলিম জাতির সঙ্গে যুগে যুগে শক্তিতে না পেরে গেছো দাদার কওম এখন নানা রকম গালগপ্পো পয়দা করছে। এর কিছু কিছু কাহিনী নিয়ে বলিউডে সিনেমাও বানাচ্ছে। সেগুলো আবার হিটও হচ্ছে।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

গেছো দাদা বলেছেন: মুসলিম জাতির সঙ্গে যুগে যুগে শক্তিতে....

মুসলিম আবার জাতি হল কবে ? আমি তো ধর্ম জানতাম ! =p~

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫

নাহল তরকারি বলেছেন: হিন্দুরা তো মুসলিমদের পছন্দ করে না। তাই আপনার এই ঘটনাকে বিশ্বাস করবো কেন? তবে আপনার পোস্টে একটা উপকার হয়েছে যে ইফতারির সময় তুফান আসলে, মেঘে অন্ধকার হয়ে গেলে, মাগরিবের আযান দিয়েছে ভাবা যাবে না।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৭

গেছো দাদা বলেছেন: হিন্দুরা তো মুসলিমদের পছন্দ করে না।

এটা আপনার ভূল ধারনা। B:-/

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আজিব ব্যাপার স্যাপার!!

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৮

গেছো দাদা বলেছেন: হ। সত্যিই আজিব ব্যাপার ! B:-)

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এগুলো ইতিহাস। গাল-গপ্পো নয়।
আপনি আমি প্রতিদিন ইতিহাস বানাচ্ছি- যে যার মত করে ইতিহাস লিখছি ...
দয়া করে আমার এই ধারাবাহিকের দিকে নজর রাখলে খুশী হব;
ভুলে ভরা ইতিহাস!

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫৪

গেছো দাদা বলেছেন: যদুনাথ সরকার এর লেখা ইতিহাস এটা। উনার সম্পর্কে গুগল করে জেনে নিতে পারেন। :-B

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: এইতো সেই 'যদুনাথ সরকার' যে সব মুসলিম ও মুসলিম শাসকদের সন্মন্ধে নিন্মোক্ত ধারনা পোষণ করেন। তো আপনি তাঁর চ্যালা হয়ে আর ভাল কি ভাববেন????

সলামিক ধর্মতত্ত্ব অনুসারে একজন বিশ্বাসী মুসলিমের প্রধান কর্তব্য হল আল্লাহের পথে জিহাদ করে যাওয়া, যতক্ষণ না একটি দারুলহারব (অবিশ্বাসী শাসিত রাষ্ট্র) দারুলইসলামে (শরিয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র) পরিণত হচ্ছে। ইসলাম বিজয়ের পর অবশ্যই একজন বিশ্বাসীর উচিত হবে সমস্ত অবিশ্বাসীকে ক্রীতদাসে পরিণত করা। পুরুষকে ক্রীতদাস করে বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হত, আর নারী ও শিশুদেরও ছাড়া হত না, তাদের দাসত্বের শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করা হত। (দ্য হিস্ট্রি অফ আওরঙ্গজেব, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৬৩-৬৪)

একজন বিশ্বাসী হবার প্রধান যোগ্যতা হল তাকে যেভাবেই হোক একজন অবিশ্বাসীকে হত্যা করতে হবে, এমনকি সে যদি নিরীহ, নির্দোষ, নিরস্ত্র হয়; তাহলেও। তার সবসময়েই অধিকার আছে অবিশ্বাসীদের হত্যা করার, তার সম্পত্তি লুট করার, তার জমি হাতিয়ে নেওয়ার; একমাত্র এই পথেই সে স্বর্গে (জন্নত) পেটে পারে। যে ধর্ম তার অনুসরণকারীদের কেবলমাত্র অন্যদের সম্পত্তি লুণ্ঠন করা বা হত্যা করা ধর্মীয় কর্তব্য হিসাবে শেখায়, তার পক্ষে বিশ্বে শান্তি আনা বা মানব সভ্যতাকে প্রগতির পথে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। (প্রাগুক্ত)

যখন একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ কেবল নিজের ধর্ম পালনের কারণে অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অধীনে থাকার সময়ে প্রকাশ্যে নির্যাতনের, অপমানিত হতে বাধ্য হয়, তখন তারা নিজেদের পশুদের চেয়ে বেশী উন্নত বলে ভাবতে পারে না। মুসলিম শাসনে হিন্দুরা ঠিক এটাই ভাবত। (অ্যা শর্ট হিস্ট্রি অফ আওরঙ্গজেব, ১৫৩ পৃষ্ঠা)ইসলামিক ধর্মতত্ত্ব অনুসারে একজন বিশ্বাসী মুসলিমের প্রধান কর্তব্য হল আল্লাহের পথে জিহাদ করে যাওয়া, যতক্ষণ না একটি দারুলহারব (অবিশ্বাসী শাসিত রাষ্ট্র) দারুলইসলামে (শরিয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র) পরিণত হচ্ছে। ইসলাম বিজয়ের পর অবশ্যই একজন বিশ্বাসীর উচিত হবে সমস্ত অবিশ্বাসীকে ক্রীতদাসে পরিণত করা। পুরুষকে ক্রীতদাস করে বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হত, আর নারী ও শিশুদেরও ছাড়া হত না, তাদের দাসত্বের শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করা হত। (দ্য হিস্ট্রি অফ আওরঙ্গজেব, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৬৩-৬৪)

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৪

গেছো দাদা বলেছেন: কি নিদারুন সত্য কথা লিখেছেন উনি। উনাকে প্রণাম জানাই।

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:১৮

আলামিন১০৪ বলেছেন: গেছো দাদা, মুসলিম বিরোধী মনোভাব ত্যাগ করুন। পূর্বকালে সনাতন ধর্ম একেশ্বরবাদী ছিল, আর তাই মুসলিমরাই সনাতন ধর্মের উত্তরসুরী, আপনারা মুর্তিপুজারী নন।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৩

গেছো দাদা বলেছেন: আপনাকে কে বললো যে সব সনাতনি ই মুর্তিপুজারী ? B:-)

১১| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৯

ধুলো মেঘ বলেছেন: মুসলিম কোন ধর্ম নয় রে দাদা। মুসলিম হল একটা জাতি, যারা ধর্ম হিসেবে 'ইসলাম' পালন করে। কাজেই 'ইসলাম' হল ধর্মের নাম, মুসলিম নয়।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৫

গেছো দাদা বলেছেন: তইিলে বাংগালি কি ? জাতি নয় ?? B:-/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.