নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্ক্যাম বললেই যে স্ক্যামটা মনে আসে এটা এই ধরণের স্ক্যাম নয়।ফলে মফস্বল জায়গায় সরকারি অফিসে ক্লার্কের চাকরি করা রতনদা ব্যাপারটা ধরতে পারেন নি।
ছুটির দিনে সকাল সকাল সাহেব বাঁধের পাড় দিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন । হটাৎ হোয়াটস অ্যাপে টুং করে একটা মেসেজ এলো।
একটা অজানা নম্বর থেকে একটা সুন্দরী মেয়ের ফটো এল। লাল একটা শাড়ি পরা । স্বর্গের পরী মনে হচ্ছে। রতনদা হাঁটা থামিয়ে, ছবিটা জুম করে দেখতে আরম্ভ করলেন। ইতিমধ্যে আরো একটা ছবি এলো। নীল শাড়ি, অন্য একটা মেয়ে । ব্যাকলেস ব্লাউজ পরে কোনাকুনি দাঁড়িয়ে আছে । হাসছে মুক্তোর মতো। রতনদা এবার ওই ফটোটা জুম করে দেখতে আরম্ভ করলেন। আহা , কি মিষ্টি হাসি , হারিয়ে যাচ্ছিলেন ফটোটার মধ্য, হটাৎ ওই একই নাম্বার থেকে আর একটা ফটো এলো। হট প্যান্ট পড়া আর সাথে একটা মিনি টপ। মাঝখানে পুরো অনাবৃত।
রতনদার তখন মনে বসন্ত এসে গেছে। সাহেব বাঁধের পাড়ে পচে যাওয়া কচুরিপানার গন্ধ তখন মনে হচ্ছে ভোরের শিউলির গন্ধ! চারপাশটা দেখে মনে হচ্ছে কচুরিপানা নয়, এ তো পুরুলিয়ার বসন্তের পলাশ! যা রতনদার মনেও এসে দোলা দিতে শুরু করেছে। সাহেব বাঁধের কচুরিপানার মাঝে আটকা পড়া নৌকা দেখে তখন আর সাহেব বাঁধ না, মনে হচ্ছে কাশ্মীরের ডাল লেক!
ভাবতে ভাবতে ফোনে একটা মেসেজ এলো।
"দাদা, কোনটা পছন্দ ?"
মানে টা কি ? রতনদা ভাবছেন। ওদিকে মনে পলাশ ফুল আগুন লাগিয়েছে । এবার ভালো করে তিনটে ছবি একের পর এক দেখতে আরম্ভ করলেন।
অনেক ভেবে জিজ্ঞেস করলেন কত খরচ? হার্ট রেট তখন প্রায় 120।
ফোনটা কিছুক্ষণ নিস্তব্ধ। একটু পর টুং করে মেসেজ এলো।
"দাদা, আগে পছন্দ বলুন। তার পরে দাম।"
রতনদা মনের গ্লানি কাটিয়ে বললেন, "প্রথম শাড়ি পরা আর লাস্টের প্যান্ট পরা।"
ওপার থেকে আবার টুং।
একটা লিংক এলো ফোনে , বললো 6000 পাঠিয়ে দিন। রতনদা একটুও ভাবলেন না। 6000 আর এমন কি? লাল পলাশের স্বপ্নে বিভোর হয়ে পাঠিয়েই দিলেন জিপে করে।
টাকা সেন্ট হতেই রতনদার বুক ধড়ফড় করা শুরু। ওদিক থেকে আর কোনো সাড়া শব্দ নেই! শেষে না পেরে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে হোয়াটস অ্যাপে ওই নাম্বারটায় কল করলেন ।
রিং হয়ে যাচ্ছে। দুবার রিং করার পরে একটা মেয়ে ফোনটা তুলল।
রতনদা অমায়িক গলায় জিজ্ঞেস করলেন,
"দয়া করে যদি একটু বলেন আমার নাম্বার আপনি কি করে পেলেন ?"
ওদিকের গলাটা ওদিক থেকে উত্তর দিলো,
"দাদা আপনার নাম্বারটা আপনার স্ত্রী দিয়েছে। আমি ওর বন্ধু। আমি বুটিক থেকে বলছি। আমার লেডিস গার্মেন্টস এর ব্যবসা আছে। আপনার স্ত্রী বললেন, আপনাকে দিয়ে পছন্দ করিয়ে তার পর আপনার থেকে টাকা নিতে।"
রতনদার নাকে হঠাৎ আবার কচুরিপানার পচা গন্ধ ভেসে এলো। বড়ন্তির পলাশ রাঙা জঙ্গল থেকে আবার সাহেব বাঁধের কচুরিপানার মাঝে নেমে এলেন। মাথাটা ঝিমঝিম করছে। ফোনটা কেটে দিলেন।
ফোনটা কিছুক্ষণ পর আবার বেজে উঠলো।
রতনদা ফোনের স্ক্রিনে দেখলেন, ওনার বউ , মাধুরী কলিং।
ফোন তুলতেই বউ আদুরে গলায় ওদিক থেকে বলে উঠলো, "ধন্যবাদ সোনা। খুব ভালো পছন্দ তোমার। তবে পরের ড্রেসটা কেন অর্ডার দিয়েছ? ওটা পরার আমার আরো বয়স আছে নাকি? দুষ্টু!"
রতনদা বুকের ওপর পাথর চেপে বললো ,
"না না , তোমাকে ভেবেই তো পছন্দ করলাম। এই গরমের ছুটিতে দীঘা যাবো বলেছিলাম না। তখন তুমি ঐ ড্রেসটা পরবে!"
বলেই ফোন কেটে দিলো রতনদা।
তার পরে ফোনে বউয়ের নামটা এডিট করে "জামতাড়া গ্যাং মেম্বার" লিখে সেভ করে রাখলেন।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৯
গেছো দাদা বলেছেন: হুমমমম....
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:১৮
নিমো বলেছেন: মোদীজি কি উন্নয়নের নমুনা!
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৯
গেছো দাদা বলেছেন: জয় হো মোদীজি !
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আফসোস!
বড়ই আচানক ঘটনা।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩০
গেছো দাদা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: না হেসে পারলাম না।