নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপলকে দেখে সবাই ফিক ফিক করে হাসছে। উপল জানে কেন হাসছে সবাই।
ওর প্যান্টের চেন খোলা। আসলে খোলা ঠিক নয়। ছিঁড়ে গেছে। হাঁটছিল সে, হঠাৎ খেয়াল হল প্যান্টের চেন টানতে ভুলে গেছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে জোরে চেন টানতে গিয়ে পটাং করে ছিঁড়ে গেল। আর আজই দেখে দেখে টি-শার্ট আর স্কিন টাইট জিন্স পরেছে। জামা হলে, ছেড়ে দিলে, ঢাকা থাকত। কিন্তু ছোট টি-শার্ট। ফলে...
একজন পুরুষমানুষের জন্য এর চেয়ে বিড়ম্বনার আর কিছু নেই!
.
এক গম্ভীর টাইপ চল্লিশ প্লাস মহিলা যেতে যেতে দাঁড়ালেন, তারপরে একটা সেফটিপিন উপলের হাতে দিয়ে বললেন, "দেখুন এটা দিয়ে যদি কিছু হয়।"
জিন্সের প্যান্টে সেফটিপিন!
চেষ্টা করতেই হয় ভদ্রতার খাতিরে। ভদ্রমহিলা দাঁড়িয়ে রইলেন। উপল নর্দমার দিকে মুখ করে লাগানোর চেষ্টার ভান করল।
মাঝবয়েসি ভদ্রমহিলার চোখে কালো ফ্রেমের মোটা লেন্সের চশমা। বললেন, "খুব সাবধানে। জায়গাটা বিপজ্জনক।"
সে কী আর উপল জানে না!
কিন্তু এরকম গায়ে পড়া মানুষ জন্মে দেখেনি সে। যেন গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া! একে প্যান্টের চেন ছিঁড়ল, তার ওপর এই রকম চিটানি মহিলা!
সেফটিপিন ফেরত দিয়ে উপল বলল, "হবে না।"
ভদ্রমহিলা বললেন, "বাড়ি কত দূরে?"
.
বেশ ঝামেলায় পড়ল তো! এখন এই চিটানির হাত থেকে রেহাই পাওয়াই তো মুস্কিল!
বলল, "একটু দূর আছে।"
মহিলা বললেন, "এভাবে হাসির খোরাক না হয়ে একটা ট্যাক্সি-ফ্যাক্সি নিয়ে বাড়ি চলে যান।"
এইবার মাথা গরম হয়ে গেল উপলের। বলল, "আমাকে নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যথা কেন বলুন তো?"
মহিলা আপনি থেকে তুমিতে নেমে বললেন, "সবাই তোমাকে দেখে হাসছে, খারাপ লাগল আমার।"
উপল জোড় হাত করে বলল, "আপনি প্লিজ আপনার কাজে যান। আমি ঠিক চলে যাব।"
.
ভদ্রমহিলা চশমা খুলে চশমার মোটা কাঁচ আঁচলে মুছলেন। চোখও মুছলেন। তারপর বললেন, "ঠিক তোমার মতো আমার এক ভাই ছিল। সাইকেলে করে যাচ্ছিল, পেছন থেকে অটো ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়ে দূরে। মাথায় আঘাত লেগে স্পট ডেথ। এখনও এক বছরও হয়নি।"
শুনে উপল জোর ধাক্কা খেল। ও এই ব্যাপার! বলল, "আচ্ছা, এবার বুঝলাম। ঠিক আছে আমি একটা টোটো ধরে বাড়ি চলে যাচ্ছি। কিছু মনে করবেন না, আমি আসলে..."
ভদ্রমহিলা থামিয়ে দিয়ে বললেন, "আমি কিছু মনে করিনি। আচ্ছা চলি।"
.
ভদ্রমহিলা একটু গিয়ে ফিরে এসে বললেন, "ওর সঙ্গে আর একজন বন্ধুও ছিল। ওরা কোচিং পড়তে যাচ্ছিল যে যার সাইকেলে। ওর বন্ধু পরে বলেছিল, ভাই নাকি সেদিন প্যান্টের চেন লাগাতে ভুলে গিয়েছিল। উল্টোদিক থেকে আসা কয়েকজন ওর চেন খোলা প্যান্ট দেখে এমন হেসে উঠেছিল যে ভাই হঠাৎ ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল কেন হাসছে দেখার জন্য। আর তখনই পেছন থেকে অটোটা সজোরে ধাক্কা মেরে দিয়েছিল।"
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
গেছো দাদা বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভেতরে কি আছে তা তো সবাই জানে।
তাহলে চেইন থাকলেই কি আর না থাকলেই কি
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৭
গেছো দাদা বলেছেন: হা হা হা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রম্য ভালো হয়েছে।