নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ যদি বলে কলকাতার কি কি জিনিস বিখ্যাত তাহলে নিশ্চয় বলা হবে কলকাতার রসগোল্লা, কলকাতার স্ট্রীট ফুড ইত্যাদি। আমার মতে তার মধ্যে অবশ্যই আসা উচিত কলকাতার পকেটমার।
এটাও একটা কলকাতার বিশেষ শিল্প। ভিড় বাসে চাদরের তলা দিয়ে সোনার বোতাম খুলে নেওয়া কলকাতার পকেটমারদের বাঁহাত কা খেল ছিল একসময়।
মেটিয়াবুরুজ না কোথায় যেন পকেটমারদের রিক্রুটিং আর ট্রেনিং সেন্টার ছিল। বড় বড় ওস্তাদরা ট্রেনিং দিতেন। জানিনা এখনও সেই ট্রাডিশন বজায় আছে কিনা!
আমি একটা ঘটনার কথা শুনেছিলাম পকেটমারি নিয়ে যদিও তার সত্যি মিথ্যে জানি না।
ব্যস্ত চৌরঙ্গী অঞ্চলে মহানগর সিনেমার শুটিং চলছে। বহুলোকজন, পথচারী এমনকি কয়েকজন পুলিশও ভিড় করেছে।
সত্যজিৎ রায় স্বয়ং সেখানে উপস্থিত। শুটিং নিয়ে ক্যামেরা নিয়ে উনি ব্যস্ত সেই ফাঁকে ওঁর পকেট থেকে কলম চুরি হয়ে গেল। দামের জন্য না, কোনো বিখ্যাত ব্যক্তির উপহারের কলম, সত্যজিৎ রায় খুব দুঃখ পেলেন।
লালবাজারে খবর গেল। লালবাজারের নাকের ডগায় এরকম ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে লালবাজার তৎপর হল। খুঁজিয়াল বা সোর্সদের ডাকা হল। কয়েক ঘন্টার মধ্যে বমাল সহ পকেটমার পাকড়াও হল।
রোগা পাজামা পড়া একটা মাঝবয়সী মানুষ। কলকাতা পুলিশের এক ডিসির খুব কৌতূহল হল লোকটার সাথে কথা বলার। পকেটমার কে আনা হল ডিসির ঘরে। ডিসি প্রশ্ন করলেন "এত লোকজন, পুলিশ, তার মধ্যে দিনদুপুরে তুমি সত্যজিৎ রায়ের পকেটমারি করলে কি করে ?"
তার জবাবে পকেটমার নাকি বলেছিল "স্যার, ওটাই তো দুঃখ সবাই সত্যজিৎ রায়ের শিল্পটাই দেখে আমার শিল্পের কেউ কদর দেয় না"।
২| ২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:২৩
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: আমার’তো মনে হয়, পকেটমার আর মলম পার্টির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেনা পৃথিবীর কোন দেশ.... ! তবে, সত্যজিৎ রায়ের পকেটমার ভদ্রলোকের হাতের দু’আঙ্গুলের শৈল্পিক কারসাজির প্রশংসাতো করতেই হয় বিখ্যাত ব্যক্তির পকেট মারার জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:৪১
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমার মতে তার মধ্যে অবশ্যই আসা উচিত কলকাতার পকেটমার।
.................................................................................................
অনেকবার তো ভারতে গেলাম কলকাতার পকেটমার, দেখলাম না ।
তবে সবসময় ভীর থেকে দুরে চলেছি ।
আর মেট্রোতে পকেটমার আছে কিনা জানিনা ।
এটা সত্য যে ঐ সময়ে কৌশল খাটায়ে পকেটমারকে বাহবা দেয়া উচিৎ ছিলো।