নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জেনারেশন একাত্তর

জেনারেশন একাত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের মুলশক্তি ছিলো গ্রামের ছাত্ররা

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৮



১ নং সেক্টর: ফেনী থেকে টেকনাফ; হেড কোয়ার্টার হরিণা গ্রাম ( ত্রিপুরা )। সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া (এপ্রিল-জুন ), মেজর রফিক ( জুন-ডিসেম্বর )।

অফিসার: মেজর রফিক, মেজর জিয়া, মেজর মীর শওকত আলী, ক্যা: শামসু (শহীদ ), ক্যা: মাহফুজ, ক্যা: ভুঁইয়া, ক্যা: আলী, ক্যা: হামিদ, ক্যা: এনাম, লে: খালিদ, ফেনী এলাকার ১ জন ক্যা: ছিলেন, উনার নাম ভুলে গেছি।

২০ হাজারের বেশী মানুষকে ট্রেনিং দিয়েছিলো ১ নং সেক্টর; ১ নং সেক্টরের যুদ্ধের সমস্ত আয়োজন হয়েছে হরিণা গ্রামে : ট্রেনিং'এর ব্যবস্হা , অস্ত্র সরবরাহ, থাকার ব্যবস্হা, গেরিলাদের দেশে প্রেরণ। এই সেক্টরটা ছিলো সবচেয়ে শক্তিশালী সেক্টর এবং যোদ্ধাদের ৭০ ভাগই ছিলো ছাত্র ও গ্রামের তরুণ যুবকরা ( সময়ের স্কুল/কলেজ ড্রপ-আউট )। যদিও চাষী পরিবারের যুবক, কিছু শ্রমজীবিও অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু ছাত্ররাই ছিলো মুল শক্তি।

কলেজ, স্কুলের ৯ম/১০ম শ্রেণীর ছাত্ররা, ড্রপ-আউটরা ছিলো বেশী; চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির ছাত্ররাও ছিলো; আমি তাদের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাইনি।

১ নং সেক্টরে রাজাকারের সংখ্যাও ছিলো প্রচুর। রাজাকারদের মাঝে কলেজের ছাত্রই ছিলো সবচেয়ে বেশী; এদের পরেই মাদ্রাসার ছাত্র; স্কুলের ছাত্র ছিলো না বললেই চলে। একা হাটহাজারী মাদ্রাসা অনেক ছাত্র দিয়েছিলো।

ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট ও আনসার মিলে ৬/৭ শত ছিলো ( শুরুতে, আমার দেখা ); সময়ের সাথে কিছু চলে গিয়েছিলো ৬ নং সেক্টরে ( সিলেট ) ও কিছু পালিয়ে গিয়েছিলো।

আমি আগে এসব নিয়ে লিখিনি; জামাত শিবির দেশ দখল করার পর, ও শিবির ডাকসু ও জাকসু'তে জয়ী হওয়ার পর, এসব নিয়ে ভাবার দরকার।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: জামাত শিবির দেশ দখল করার পর, ও শিবির ডাকসু ও জাকসু'তে জয়ী হওয়ার পর, এসব নিয়ে ভাবার দরকার।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১০

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



যুদ্ধের আগে ও যুদ্ধের সময় শিবিরের নাম ছিলো "ইসলামী ছাত্র সংঘ"; এরা জাতির পংগু সন্তান, আবর্জনা।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: রাজাকার ওবায়দুল হক গেরামের মাদরাসার আরবি টিচার ছিলেন। তিনি রাজাকারের কমানডার ছিলেন। হেদু বাড়ি সব জালিয়ে দিয়েছেন । ৭১ সালের পর হিলটেক্স লজিং ছিলেন । শেখ মুজিবুর রহমান মারা যাওয়ার পর গরতো থেকে বের হয়েই নিজের গেরামে ফিরত যান । এরপর চলে যান সোদি আরব । বহুবছর থাকার পর দেশে এসে বিয়ে করেন । এরশাদের আমলে চেয়ারমেন ছিলেন। কতো আরামে লাইফ কাটিয়েছেন ।

ধোলাই খাইসেন কেবল জয়নাল হাজারির হাতে একবার ফেনি মাসটার পাড়ায় । ওয়ারের সময় উহাকে খুজতে গিয়েছিলো মুকতিযোদধারা । রাজাকার ইলিয়াস কে ধরতে পারলেও ওবায়দুল হক পালিয়ে যান । এদের কে বহু আগেই শেষ করে ফেলা উচিত ছিলো।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



ইসলামী ছাত্র সংঘ থেকে রাজাকর ও আলবদর হওয়ায়, উহার নাম বদলায়ে শিবির করেছে।

ইপিআর'দের সাথে, ছাগলনাইয়া হয়ে, মুহুরী নদী পার হয়ে, আমি সোনাগাজী গিয়েছিলাম; যুদ্ধ করতে হয়নি, ফিরে এসেছিলাম।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সকল গেরামের রাজাকার দের বিচার হওয়া জরুরি ছিলো । এরা পরে এলাকার তরুণদের কেডার বানিয়েছে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৪

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



রাজাকারে দিয়েছিলো গরীব পরিবারের ছেলেদের; অনেকের মা/বাবার মতের বিপক্ষে জামাত এদেরকে পাঠায়েচিলো; সর্বোপরি, শেখ ও তাজউদ্দিন দয়ালু ছিলেন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




যুদ্ধের মাঝে ঈদের রাতে আমরা ( ১ সেকশন ষ্টুডেন্ট ) মিরসরাই থানা হয়ে ফাজিলপুর যাচ্ছিলাম; ছেলেরা ১ রাজাকারকে অস্ত্রসহ ধরে; ছেলেরা আমাকে বলে যে, একে সাথে নেয়া যাবে না, এখুনি শুট করেন। কথা বলে জানলাম যে, ১ বিধবার সন্তান; আমি পরিচিত ১ গেরিলা কমান্ডারকে দিলাম পথে ও বলে দিলাম হত্যা না'করতে। বললাম, হত্যা করলে যুদ্ধের পর তোমার বিচার হবে।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: চান্দাবাজিরা সব শেষ করে দিয়েছে

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চুরি-ডাকাতী করে, জংগী ও আমরিকান ক্যু'এর কারণে পালিয়ে গেছে; আমরা, স্বাধীনতাকামীরা জংগীদের ভিকটিম।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


কেবল কি মুক্তিযুদ্ধ!
পুরো দেশটাকে বাঁচিয়ে রাখে গ্রামের মানুষ।
অথচ তাদের জন্য সরকারগুলো কিছুই করে না

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৭

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



করার কথা ছিলো শেখের ও তাঝউদ্দিনের; ২ জনই বড় ধরণের বুদ্ধিহীন মানুষ ছিলেন; ২ জনেই প্রাণ হারায়ে সেটাই প্রমাণ করে গেছেন।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সামুতে জাশির দালাল হিসাব নেই কতজন আছে। সব গুলা ছুপা । ভাব ধরে খুব বিএনপি কিনতু সময়মতো আসল রুপ দেখিয়ে দিতেসে। এটা তো মুনাফিকি ।

বিএনপির একজন আমাকে উনার লেখায় কমেনট করতে দেন না । আরেকজন আছে কেবল কবিতা লিখেন । খুবই হতাশাজনক ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৯

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



পংগুরা জামাত, চোরডাকাতরা বিএনপি ও জাপা।

আওয়ামী লীগ ছিলো বাংগালীদের দল; তারা অবশেষে ডাকাত ও লাঠিয়ালে পরিণত হয়ে পরাজিত হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.