নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জেনারেশন একাত্তর

জেনারেশন একাত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশকে কাহারা কক্ষচ্যুত করেছে?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৮



বিএনপি, জামাত-শিবির ও মোল্লা ব্লগারেরা শেখ সাহেবকে দোষী করে লিখেন যে, শেখ সাহেব ভালো এডমিনিষ্ট্রেটর ছিলেন না, উনার সময়ে আওয়ামী লীগারেরা দেশের সম্পদ ডাকাতী করেছে!

এটা যদি সঠিক হয়, বেগম জিয়া কিভাবে ১০ বছর দেশ চালালেন? তিনি শেখ সাহেব থেকে কত হাজার গুণ বড় এডমিনিষ্ট্রেটার ছিলেন? উনার সময় বিএনপি'র কে কে ডাকাতী করেনি? উনি নিজে ডাকাতী করেছেন, উনার ২ ছেলে ডাকাতী করেছে, ২ বোন ডাকাতী করেছে, ২ ভাই ডাকাতী করেছে!

যারা বলে যে, শেখ সাহেব ভালো এডমিনিষ্ট্রেটর ছিলেন না, তারা সঠিক হতো, তারা যদি নিজেরাই আমেরিকান কিংবা কমপক্ষে জাপানীজ মানুষ হতেন। ব্লগে যারা ৫ লাইন সঠিকভাবে লিখতে পারে না, তারা কিভাবে বুঝে, কে ভালো ছিলেন, কে ভালো ছিলো না?

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনা কি ছিলো এটা কি সকল মুক্তিযোদ্ধারা বুঝতেন? নাকি অনেক সেনা মুক্তিযোদ্ধারা পাকিদের মতো বাংলাদেশেও শাসন করতে চেয়েছিলেন? সে সময় বাংলার সেনাদের মাঝে মৌলবাদি চেতনা ছিলো?

এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার কারণ হলো ৭৫ এর ঘটনার পর ইসলামিক রিপাবলিক কেন ষড়যন্ত্রকারীরা ঘোষণা দিলো? তারা না গণতন্ত্রের জন্য বলে শেখ কে হত্যা করলো? বাকশাল থেকে গণতন্ত্রে ফেরত গেলাম বলেই তো সব শেষ করা যেত।

বিদেশি শক্তি কে বাহিরে রেখে কেবল দেশিয় ষড়যন্ত্রকারীদের মাথায় কি চলছিলো সেটার উপর ভিত্তি করে উত্তর দিবেন। তৎকালীন অনেকের আচরণে ঘাপলা ছিলো।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৩

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



ঘাপলা ছিলো বলেই রাজাকার বাহিনী গঠন করতে সমর্থ হয়েছিলো পাকীরা।

মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন মুলত: গ্রামের কলেজের গরীব ঘরের ছাত্ররা; এরা জাতির কষ্ট বুঝতেন। কোন স্কুলে কলেজের সামান্য ভালো অবস্হা সম্পন্ন পরিবারের ছেলেরাও যুদ্ধে যায়নি। ফলে, মুক্তিযোদ্ধাদের ছিলো বুদ্ধিমত্তা ও জাতির প্রতি দায়িত্বশীলতা যা আজকের কোন ছাত্রের মাঝে নেই।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৫

কামাল১৮ বলেছেন: শেখ সাহেবের দেশপ্রেম ছিলো।সে একজন গ্রেট জাতিয়তাবাদী নেতা।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৪

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আমেরিকান-কেনা মিলিটারী উনাকে হত্যা করে আমাদেরকে কক্ষচ্যুত করেছে; ইডিয়ট বিএনপি-জামাত-মোল্লারা উনার সরকার ও দক্ষতা নিয়ে কথা বলে!

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: গ্রামের ছেলেরা রাজাকারিতেও ডুকেছে। আপনার মন্তব্য অতিমাত্রায় সরলীকৃত । সরকারি ইউনিভার্সিটিতে সব গরীবের ছেলেরাই পড়তো। তারা কি মুক্তিযুদ্ধ করেনি?

গ্রামের মাদরাসা থেকে মুক্তিযুদ্ধে প্রায় কেউ যায় নি। আমার প্রশ্ন ভিন্ন জায়গায় : ইসলামিক রিপাবলিক করতে গেলো কেন? গণতন্ত্রে ফেরত গেলো না কেন? উহার কারণে না ১৫ আগস্ট ঘটলো।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৯

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



বাংলাদেশকে কোনদিন ইসলামিক রিপাবলিক করা হয়নি।

গণতন্ত্র সব সময় ছিলো, বাংগালীদের গণতন্ত্র; সবাই বলে গণতন্ত্র জানেন: জিয়া জানতো, এরশাদ জানতো, বেগম জিয়া জানতো।
প্রকৃত গনতন্ত্রে কোন বাংগালীর কোন অভিজ্ঞা আজো নেই।

রাজাকারে শহরের লোকজন বেশী যায়নি; তাদের লোকজন মাদ্রাসায় কম ছিলো।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের আমলাদের যে করাপশন বেতন লিগালি বাড়ালে কমবে ? গরিবের ছেলে ডাকতার , ইনজিনিয়ার, টিচার , আমলা হলে কি হবে ? তারা যখন সুসময়ে আসে সব ভুলে যায়। বাকিদের জননো পথ বানিয়ে যায় না । একশত জনের মাঝে আশি জনের সেইম কেইস ।

সততা কে এদেশে বোকামি হিসাবে দেখা হয় । কিনতু আমরা তো ওভারওল ভালো করছি না । কোনো ministry তে রেসপনসিবিলিটি পাইলে নিজের রিলেটিভ দিয়ে ভরিয়ে ফেলা হয় । নেপোটিজমে আমরাই সেরা । এর সাথে আছে মোলবাদ , রেসিজম , রেড টেপিজম। কারো ভালো করার interest নাই । :-B

০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:১৬

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



দেশকে এখানে এনেছে জিয়া, পাকিস্তান ও স্বাধীনতা-বিরোধীরা। এখান থেকে বের করার জন্য যেই মগজের দরকার বাংগালীদের নেই, মনে হয়।

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:১৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি যে ইশকুলে পড়েছি সেখানে একজন টিচার ছিলো নাম আওলাদ হোসেন। তিনি ছিলেন একেবারে হত দরিদ্র পরিবারের ছেলে। মেধার জোরে ময়মনসিংহ এগরিকালচারে পড়েছেন । তিনি science এর টিচার হিসাবে জয়েন করেছিলেন । দুই লাইন রিডিং তিনি কোনোদিন বুঝাতেন না । বিহেভিয়ার ছিলো খারাপ। কেবল বলতো আমি তোদের মত সুযোগ পেলে আর বেশি পড়ালেখা করতাম । কিনতু নিজের কাজটা ঠিকভাবে করতেন না । তিনি সেই ইশকুলের এখনো টিচার আছেন । মাসে বেতন ৯৫্ হাজারের কাছাকাছি । এখনো সঠিক ভাবে দুই লাইন পড়ান না । এমন না শেখ হাসিনার আমলে তিনি চাকুরি পেয়েছেন । কিসের performance এ তিনি এতো বেতন পান কে জানে । কামাল আহমেদ মজুমদার এই ইশকুলের সভাপতি করেছিলেন তার বোন কে । এরপর ইশকুলের বেতন বাড়ে টিচারদের বেতন বাড়ে । বেতন বাড়িয়ে লাভ কি হলো ? :-B

০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:২১

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




শিক্ষা ডিপার্টমেন্ট হলো জাতির নার্ভ-সেন্টার; ওখানে এখন ভাইরাস বাস করছে। আপনি তো কায়কোবাদ-বিরোধী; সে কিন্তু পড়ালেখার মান বুঝতো।

সে একবার আমেরিকা এসেছিলো বুয়েটের ছাত্রদের নিয়ে; তারা মাইক্রোসফট'এর অলিমপিয়ার্ডে অংশ নিয়েছিলো; আমি কিছু সময় দিয়েছিলাম; অনেক জ্ঞানী মানুষ।

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ ভোর ৪:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



শেখ সাহেব একজন মহান নেতা।
তাঁর কাছে এই দেশের মানুষ ঋণী।
এই ঋণ কখনোই শোধ হবে না।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ ভোর ৬:১১

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



কোটী ইডিয়ট পাকিস্তানকে মাজারের মতো পুন্যভুমি মনে করতো; এই ভুমিকে ২ ভাগ করায় কয়েক কোটী ইডিয়টের মগজ নষ্ট হয়ে গেছে।

৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কায়কোবাদ বিরোধি কারণ তিনি আর জাফর ইকবাল মিলে ২০১০ সালে নতুন কারিকুলাম চালু করতে শেখ হাসিনাকে এডভাইস দিয়েছিলেন । Australia তখন সে কারিকুলাম কেমন কাজ করে তার উপর trial দিতে চেয়েছিলো। বাংলাদেশ কে তারা গিনিপিগ হিসাবে ইউজ করলো। এর পর থেকে এডুকেশনের মান আরো খারাপ হলো। কোচিং বিজনেস জমজমাট হলো। নোট গাইড এর বিশাল industry গড়ে ্উঠলো। পুরো এডুকেশন সিসটেম লাইফ সাপোরটে চলে গেল।

বিদেশি কারিকুলাম যে বাংলাদেশের জননো ভালো হবে এবং যা আগে কোথাও চালু করে দেখা হয়নি তা আপনি দেশে চালু করে দিলেন ? এমন জ্ঞানী মানুষ নিয়ে আপনি কি করবেন ? এখন মজা বুঝেন । কোনো assessment করা হয় নি ।

কায়কোবাদ এবং জাফর ইকবাল জ্ঞানী মানুষ হতে পারেন কিনতু লিড করার মতো জ্ঞানী না । আমাদের দরকার ছিলো কালামের মতো মানুষ ।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৫

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



কালামের মত মানুষ ভারতে হবে, বাংলায় হবে না।

আপনি যখন ১০ম শ্রেনীতে পড়তেন, ছাত্র কতজন ছিলো? কতজন পড়ালেখা শিখে ক্লাশে আসতো?

৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ৬৫ জন ছিলো এক ক্লাশে । টিচার রোল ডাকতে ডাকতে ৪৫ মিনিট ক্লাশের ১৫/২০ মিনিট শেষ । বাকি সময় হালকা রিডিং , ১/২ টা গণিত করানো হতো । ইংরেজি টিচার পেয়েছিলাম ভালো। সবার পড়া ধরতেন । Science টিচাররা একটা টপিক বুঝাতে বুঝাতে সময় শেষ ।

কে পড়েছে না পড়েছে সেটা বোঝা যেত কম। রেজালট দিলে দেখতাম শেষ সারির এরা বেশি ভালো করতো না । আমার রোল ২০ ছিলো।

ইনটারে কলেজে ১০০ জন এক ক্লাশে পড়তো। যেহেতু ইনটারে পড়া বেশি ক্লাশ টাইম ১ ঘনটা করে ছিলো। কিছু টিচার খুব ভালো পড়াতেন । কিনতু students দের Question নিতেন না । আবার কেউ কেউ রিডিং পড়াতেন , বুঝাতে পারতেন না । এগুলো বললে আপনাকে হয়রানি করা হবে । Practical lab এর টিচারদের একটার বেশি question করলে তোমাকে দিয়ে কিছছু হবে না টাইপ আতেল মারকা কথা বলে খতম করে দিতেন । যারা private পড়তো তারাই এগিয়ে থাকতো । আমি science এর বায়োলজি বাদে বাকি গুলোতে ভালো ছিলাম। :(

০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আপনার অবস্হা মোটামুটি, ৬৫ জনে ২০। আমার সময় ৫২ জনের মাঝে রোল ১ -৮ পড়ালেখা পারতো, বাকীরা এসএসসি'তে ৩য় বিভাগে ছিলো।

৫২ জনে ৮ জন ভালো করলে, ইহা যেকোন জাতির জন্য ভয়ংকর। এখন ১০০ জনের ক্লাশে ৬/৭ জন ভালো করছে।

৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কালামের মত মানুষ ভারতে হবে, বাংলায় হবে না

বাংলায় ও ছিলো । আপনারা সুযোগ পান নি। :-B

০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২২

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আমাদের সময়, পড়ালেখার কথা ভাবতো না মানুষ, ছেলেদেরকে পরিবারের জন্য খাবারের সন্ধানে বের হতে হতো, চাষ ছিলো একমাত্র ভরসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.