![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রয়োজনে মেইল করুন [email protected] । অথবা ফেসবুকে আসুন https://www.facebook.com/projonmo.chiyashi আমি একজন দর্শক মাত্র।কিছু দেখলে বাকি সবাই কে দেখাতে ইচ্ছে জাগে তাই ব্লগ লেখার ইচ্ছা
শুনলাম নাস্তিক ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন নাকি ব্যাক্তিস্বাধীনতার সমর্থনে অবাধ যৌনাচার সমর্থন করতে করতে পরিবারের সদস্যদের সাথে যৌনাচারকেও সমর্থন করছে।
তো সকল নাস্তিক ভাইয়েরা, পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্যরা যদি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় তো সেই ক্ষেত্রে আপনাদের মতামত কি?
আপনারা কি এর বিরোধীতা করবেন?
নাকি এটিকে মেনে নিবেন?
নাকি এর সমর্থন করবেন?
যদি এর সমর্থন করেন তাহলে এর কারনগুলো বলুন
যদি এর বিরোধীতা করেন তাহলেও এর কারনগুলো বলুন, দয়া করে।
আলোচনার বিষয়টা শুনতে খুবই অস্বাভাবিক লাগলো?? জানি এই টপিকটাই অস্বাভাবিক তবুও মনে হয় নাস্তিকদের সাথে একটু আলোচনা হওয়া উচিৎ এ বিষয়ে। কারন, এই বিষয়ে কিছু কথা শুনা যাচ্ছে যেমন, নাস্তিকরা (আসিফ মহিউদ্দিন) একে সমর্থন করে আবার পারভেজ আলম বলছে না সবাই করে না ইত্যাদি তবে কোন কিছুই পরিষ্কার নয়। তাই এই আলোচনার আহবান। Click This Link ১৭ নম্বর কমেন্ট!
তাছাড়াও এই আলোচনার মাধ্যমে আমাদের নৈতিকতার উৎস ও ব্যাপ্তি সম্পর্কেও ধারনা লাভ করতে পারি।
আস্তিক-নাস্তিকদের মুক্ত আলোচনায় সবার অংশগ্রহন কামনা করি।
আলোচনায় অংশগ্রহনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। মন্তব্যে আমরা পরস্পরের সাথে যুক্তিপুর্ণ আলোচনায় করতে পারি। অযথা ঝামেলা সৃষ্ঠি করতে চাইলে, দুঃখিত আপনার অংশ গ্রহন চাই না।
৩১ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:০৫
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আবার জেনারেল আপনে?
ধন্যবাদ মশিউর মামা, আপনে আহেতুক গালি দেন না বলেই জানি আর এই ব্লগটা আলোচনার ব্লগ, যেহেতু এই বিষয়ে কথা উঠলো তাই আলোচনা হওয়াটা নাস্তিকদের জন্যও ভাল আর আস্তিকদের জন্যও ভাল কারন নইলে এরকম ধোঁয়াটে বিষয়ে সম্প্রীতি নষ্ট হবে আগামীতে। এটা সবার ভালর জন্যই।
আশা করি এমন উদ্যোগ গ্রহনের জন্য আমাকে জেনারেল করা হবে না!
২| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:১৪
রােসল আহেমদ বলেছেন: আপনার মনে হচ্ছে চুলকানী একটু বেশিই। এখন যখন নাস্তিকরা এসে নবী রাসুল নিয়ে খারাপ কথা বলবে তখন তার দায় কি আপনি নেবেন? আপনারাই সুযোগ করে দেন তাদের.. পাব্লিক ক্যান যে আপনাদের ধরে পেদায় না তা আল্লা মালুম।
একজন নাস্তিক কি বলছে তা দিয়ে পোস্ট দেয়ার কি হইল
৩১ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:২৫
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিনের নাস্তিক হিসেবে অনেক পরিচিতি এবং তিনি একটি বিষয় নিয়ে মতামত জানিয়েছে যা একটি সোশ্যাল ট্যাবু। এই বিষয়ে আলোচনার ব্যাপক ক্ষেত্র রয়েছে এবং আলোচনা মানে আলচনাই কোন ফালতু ঝগড়া নয়। এছাড়াও এর মাধ্যমে নাস্তিকরা ওনাদের নৈতিকতার মানদন্ডকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবে।
আশা করি বুঝেছেন।
আপনি আশরাফুলদের জন্য তো কোচ খুজে পেয়েছেন এবার নিজের জন্য ভাল একজন শিক্ষক খুজুন।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৫৮
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: projommo @ vai kishar pisone khattasen ? Oti biddan & oti chalak prani der sathe jukti dekhanoi uchit na . Upni akjon hindu-r sathe dhormo neA torko korun,akjon kishchan ar sathe dhormi-o alochona korun,paAr nichay mati upnar r hindu/kishchan/onno dhormer bisshashi der asay.but nastik der kotha-e hoilo "amra kono dhormoi manbo na",tago kotha hoilo "dhormo ar aeta vul oeta vul,so dhormo mani na,ame jaida bujhi shaitai r8t".nastikota kintu kono dhormo na,shokol dhormo ar birodita kora. Nastikota purotai ghar terami , r kisu na ... akjon ondho+poth harar kokhonoi shothik poth dekhatay paray na ...
৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:০৮
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধর্ম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না তো ভাই। টপিক হলো, নাস্তিকরা ইনসেস্টকে সমর্থন করে নাকি বিরোধীতা করে?
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:১৫
েরজা , বলেছেন:
ধুর মিয়া আজাইরা ক্যাচাল লাগাল ক্যালা ?
পোস্ট দেবার ভাল কোন বিযয় না পেলে অন্যের লেখা পড়েন ।
৩১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:১১
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন:
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:২৭
শূভ্র আকাশ বলেছেন:
৩১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ?
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৫৮
প্রমিথিউস22 বলেছেন: এই ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ পাই না। মুসলমান হিসেবে চেষ্টা করি, কোরআনে নির্দেশিত বিধিবিধান মেনে চলতে। কোরআনের কোন বিধান বা মহানবী (সা.) কে নিয়ে কে কী মনে করে, তাতে আমার কোন আগ্রহ নাই। আমি বুঝি বা না বু্ঝি, বোঝাতে পারি বা না পারি, কোরআনে যা আছে তা সঠিক; এ ব্যাপারে আমার কারো ব্যাখ্যা প্রয়োজন নেই।
ইসলামে বিয়ে ছাড়া যৌন সম্পর্ক স্থাপন নিষেধ। আবার কাদেরকে বিয়ে করা যাবে তা পবিত্র কোরআন শরীফে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। সুতরাং বিষয়টি মিমাংসিত। এখানে মনে করার কোন সুযোগ মুসলমানদের নেই। সুতরাং এই পোস্টে ইসলাম বিশ্বাসীদের অংশ গ্রহণের সুযোগ আছে বলে মনে করি না। কেউ ইসলামে সংজ্ঞায়িত অজাচার সমর্থন করলেও, বিষয়টি শুধুমাত্র ইসলাম বিরুদ্ধ বলেই আমি তার বিরোধীতা করব।
ইসলামে যাদেরকে বিয়ে করা নিষেধ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে পালক ছেলের বউ নেই। সুতরাং মুহাম্মদ (সা.) কোনভাবেই ইসলামের দৃষ্টিতে অজাচার করেন নি। আমাদের সমাজেও কেউ পালক ছেলের বউকে বিয়ে করলে কেউ আইনসম্মতভাবে বা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে তার বিরোধীতা করতে পারবে না। এ ব্যাপারে যারা নিজস্ব মতামত দিয়ে মুহাম্মদ (সা.)কে সমালোচনা করে, সেই দায়িত্ব একান্তই তাদের। তাতে আমি কান দেব না।
মুহাম্মদ (সা.), যিনি এক জীবনে কোনদিন মিথ্যে বলেননি, কোন দুর্নীতি করেননি, হাজারবার নির্যাতিত হয়েও হাসি মুখে মানুষকে ক্ষমা করেছেন, সারাজীবন বিলাস-বহুল জীবন-যাপন থেকে বিরত থেকেছেন, আজীবন মানুষের মঙ্গলের চিন্তা করে গেছেন, তার সম্বন্ধে আমি যার তার মন্তব্য শুনব না।
মহানবী (সা.) এর সময়ে বহু মানুষ মহানবী (সা.) কে অপছন্দ করতো, তাকে হত্যা করতে চাইতো। কিন্তু এসব মানুষের যারাই মহানবী (সা.)এর সান্নিধ্যে এসেছে, তারাই মহানবী (সা.) এর আদর্শে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছে। আজ যারা ব্লগে মহানবী (সা.)কে সমালোচনা করছেন, তারাও যদি মনোযোগ দিয়ে মহানবী (সা.)কে বোঝার চেষ্টা করেন, আমার বিশ্বাস, তারাও মহানবীর (সা.) আদর্শে মুগ্ধ হবেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন চাইলে এমনও হতে পারে যে, একদিন আসিফ মহিউদ্দীন, আলবার্ট_আইনস্টাইন, পারভেজ আলম - এরাও ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে নিজেদেরকে খুঁজে পাবেন। তবে, কিছু লোক আছে যাদের অন্তরে মোহর মেরে দেওয়া, তারা কখনও সত্যকে গ্রহণ করবে না। আমি চাই কারো যেন এ রকম না হয়।
যারা না বুঝে, বা নিজেদের মত করে বুঝে ইসলামের বিধিবিধানকে সমালোচনা করছেন, তাদেরকে আমি গালি দেব না। কেউ অনৈসলামিকভাবে ইসলামকে আক্রমণ করলেও তার প্রতিবাদ ইসলাম সম্মতভাবেই করতে হবে। অর্থাৎ, কোন মুসলমানের ইসলামের সীমা লংঘন করার কোন অধিকার নেই।
ইসলামের আলোকে সবার জীবন সুন্দর হোক। আমীন।
৩১ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৪১
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ইসলামের আলোয় আপনি আলোকিত হউন এই দোয়া করি। অন্যরাও ভাল থাকুক এই দোয়া করুন।
৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:০০
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: যৌনতার বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে যেটা বিবেচ্য
১) দুজনকেই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে, এই বয়সটা শারীর এবং মনোবিজ্ঞান হিসেবে আঠারো বা তার কাছাকাছি
২) দুজনের স্বেচ্ছা সম্মতি
৩) সাধারণভাবে প্রকাশ্যস্থান এড়িয়ে যাওয়া নিশ্চিত করা কারণ এতে দর্শক হিসেবে অন্য কাউকে এনে ফেলাটা সাংস্কৃতিকভাবে এর গোপনীয়তার মানদণ্ডকে লঙ্ঘন করবে আর অন্যর ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে।
৪) এর বাইরে অপ্রকাশ্যে পারস্পরিক সম্মতিতে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক কীভাবে যৌনতায় সামিল হবেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় ও সমাজ বা ধর্ম বা রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের বাইরের ব্যাপার হওয়া উচিৎ।
৩১ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৪৩
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: তার মানে অজাচারকে আপনি সমর্থন করছেন?
৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৩৯
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: Incest ekta sexual offence.tobe legal relationship e eta offence er porjaye pore na.patrnal blood rltv s der sathe marriage e offspring er congenital prblm hote pare.evn bloof relatd disordr hbar chance besi.ASIF MAHITDDIN VAI k bolbo sob bepar e islam tene anen kno?islam sara bki rlgm gula k apni kom highlight koren.prithibi te onk muslin onk kukaj kore gese seta to islam er dosh na.r MOHANOBI (SM) niye jeta bollen seta islam anujayi legal n bd law teu legal.ami incest suport kri na.eta chronic social offns. WRITTR K BOLSI amar mone hoy esob ajaira post na diye karo thought janar issa thkle tadr blog e jaye comnt koren.
৩১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:০০
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: জ্বী স্যার, আপনার হাতের লেখা খুব সুন্দর। আপনি যা যা বললেন এবং বলবেন সেসব ইংরেজীতে মুগ্ধ হয়ে পড়ছি।
৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৫৮
অিপ্রয়ংবদা বলেছেন: প্রথমে আসিফ মহিউদ্দিনকে বলছি " কথা হচ্ছে অজাচার সম্পর্কে এবং এর সামাজিক দিক সম্পর্কে। আপনি সেখানে উদাহারন দেয়ার জন্য ইসলাম ধর্মের নবীদের নাম উল্লেখ করেন কেন ? এটা তো ধর্মীয় আলোচনা না ? আপনি ইসলাম ধর্মে আজাচারের যে সব উদাহারন তুলে ধরেছেন তার দুই রকমের সদুত্তর আছে। এক হলো ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কুরআন আর হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে। কিন্তু সেটা আপনার মানার কথা না যেহেতু আপনি কুরআন, হাদিস বিশ্বাস করেন না। তাই সেদিকে আমি গেলাম না। তবে এটি মনে রাখুন ইসলামের কোন নবী আজাচার করেননি। সেটি অন্য জায়াগায় আলোচনা হবে। এখানে নয়।
দুই হলো সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি। সেটিই চালাইয়া যান। তাই অজাচারের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি কি ? আপনার কথা শুনে আমার যা মনে হয় আপনি এটা বলতে চাচ্ছেন যে সম্মতির ভিত্তিতে যে কোন কাজ করা হোক তাতে আপনার বলার কিছু নেই। তাহলে দুটি ব্যপার হতে পারে। হয়তো আপনি সামাজিক নন। কারন কোথায় কি হলো তাতে আপনার কি ? আর যদি সামাজিক জীব হন তাহলে সমাজের কোথাও কোন অপরাধ হলে আপনার সেখানে চিন্তা করার ব্যাপার থাকতে হবে। আপনার সাথে তা জড়িত না হলেও।
আপনার দৃষ্টিতে অপরাধ মানে কি ? ক্রেতা আর বিক্রেতার সম্মতিতেই মাদক বিক্রয় হয় আর লোক মাদকাসক্ত হয়। আপনি হয়তো বলবেন যেহেতু দুজনের সম্মতি আছে সেহেতু আপনার কিছু বলার নেই। কিন্তু আমাদের বলার আছে। দুজনের সম্মতিতে আমরা কোন অপরাধকে আমরা সমর্থন করতে পারিনা। প্রভা আর রাজীব নিজ সমইততেই তাদের ভিডিও করেছিলো। এটাতেও আপনার বলার কিছু না থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের বলার আছে। বলপ্রয়োগে বন্ধ করতে না পারি তো অন্তরে ঘৃনা তো করতে হবে। সমর্থন কিভাবে করি ?
আইনষ্টাইন বলেছেন ঘরে ঘরে সিসি টিভি বসানো ছাড়া সম্ভব নয়।
ভাই কেন সম্ভব নয়। ব্লগ এখন অনেক শক্তিশালী। ভিখারুননিসার সমস্যা সমাধানে ব্লগার বোমা হামলা করে নায়। তারা লেখনীর মাধ্যমে জনমত গঠন করেছিলো। এ ব্যাপার নিয়েও নিরুৎসাহিত মূলক আলোচনা হলে , লেখালেখি হলে এর বিরুদ্ধে জনমত গঠন হবে।
আজ থেকে দশ বছর আগেও এ বিশ্রি, কুৎসিত ব্যাপারটা কারও মাথায় ছিলোনা। ভবিষ্যতেও একদিন হয়ত সবার মাথা থেকে চলে যাবে ইনশাআল্লাহ।
৩১ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫৫
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। অজাচার একটা মানসিক ব্যাধি, এর কু-প্রভাব তো শুধু শারীরিক ক্ষতিসাধনের মাঝেই সীমাবদ্ধ না। এর ক্ষতি বহুমুখী। তাই একে কঠোর নিয়ন্ত্রন করা প্রয়োজন। আসলে আলোচনা ওয়ার্ম আপ লেভেলে রয়েছে। নাস্তিকরা চাইলে খুব ভাল আলোচনা হতে পারে ওনাদের নৈতিকতার লেভেল এবং ভিত্তি নিয়ে। দেখা যাক কি হয়।
১০| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:১৩
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: দেখে গেলাম। আজকে ব্যাপক তামাশার মুডে আছি, তাই কিছু বললাম না। সম্ভবত কিছু বলার দরকারও হবে না।
৩১ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫৬
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: নিজের মতামতটাও জানিয়ে যাবেন আশা করি। অজাচার সমর্থন করেন নাকি বিরোধীতা করেন?
১১| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩১
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনি নাস্তিকদের জন্য খুব উৎসাহমুলক একটা বিষয়ের অবতারনা করেছেন। ওনারা যৌনাচারের ব্যাপারে কোন ধরনের বিধি নিষেধ মানতে রাজি নন। দুনিয়ায় ঐ জিনিসই ওনাদের সর্বাধিক কাম্য - যেভাবে যতটুকু উপভোগ করে নেয়া যায় জীবন ততই সফল। কাজেই এ ক্ষেত্রে ধর্ম তো নয়ই এমনকি সামাজিক বা রাস্ট্রীয় বিধানও ওনারা মানতে রাজি নন। শুধুমাত্র বিকলাঙ্গ শিশুর দ্বায়িত্ব নিতে যা আপত্তি - অর্থাৎ ওনারা চান দ্বায়িত্বহীন ভোগের অবাধ সুযোগ। এ'জন্যই একটা প্রবাদ আছে - মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত আর নাস্তিকের দৌড় গনিকালয় পর্যন্ত।
যাই হোক, আসিফ মহিউদ্দিন ও অন্যান্য নাস্তিকরা ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে যেভাবে বড় করে দেখে তাতে প্রশ্ন এসে যায় - যদি ব্যাক্তি স্বাধীনতাই চুড়ান্ত হয় তাহলে তারা যে দুজনের সম্মতির কথা বলছে অন্যরা তা মানতে বাধ্য কেন? ধরুন মুহাম্মদ(স.) কোরআনের মাধ্যমে যে বিধান দিয়েছেন তা মানলে যদি ব্যাক্তি স্বাধীনতা খর্ব হয় তাহলে আসিফ মহিউদ্দীন যা বলছে তা মানলে কেন ব্যাক্তি স্বাধীনতা খর্ব হবে না? আসিফ মহিউদ্দীন বলছে যৌনাচারের ব্যাপারে দুজনের সম্মতি থাকতে হবে - অন্য একজন ব্যাক্তি সেই ব্যাক্তি স্বাধীনতার জোরে এই মত অগ্রাহ্য করে বলতেই পারে যে জোর করে যৌনাচারও বৈধ। তখন নাস্তিকরা কিসের ভিত্তিকে তার বিরোধীতা করবে? নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দীনও একজন মানুষ আর জোর করে যৌনকামী/অজাচারকামী/শিশু নির্যাতনকামী ব্যাক্তিও একজন মানুষ - আসিফ মহিউদ্দীন বা অন্য কোন নাস্তিকের কী এমন বৈশিস্ট আছে যে তার মতামত অন্যদের মানতে হবে??
আসলে নাস্তিকতা বা অবাধ ব্যাক্তি স্বাধীনতা কখনই গ্রহনযোগ্য কোন সমাধান নয়। একটা না একটা নীতিমালা মানুষকে মানতেই হয়। আমরা মুসলমানরা আল্লাহর কুরআন ও তাঁর রাসুল(স.) এর সুন্নাহ মানি আর অন্যরা তাদেরইমত কোন মানুষের তৈরী নীতিমালা মানে। পুর্ণ স্বাধীন, সকল প্রথাবিরোধী নাস্তিক - কার পক্ষেই হওয়া সম্ভব নয়। তাই নীতিমালা যখন মানতেই হবে তখন অতী সীমিত জ্ঞানের মানুষের তৈরী নিতির চেয়ে অসীম/পরম জ্ঞানের আল্লাহর দেয়া নীতিমালা মানা এবং তার ভিত্তিতে অজাচারেরমত সামাজিক ব্যাধি প্রতিহত করাই মঙ্গল জনক নয় কি?
৩১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩৯
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: বিষয়টা মুলত নাস্তিকদের নৈতিক দর্শন সংশ্লিষ্ট তাই আমিও আশা করছি ভাল আলোচনা হবে।
বিকলাঙ্গ শিশু অথবা নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব সেজন্য বিবেচ্য হলো যে, ওনারা একে সমর্থন করবে নাকি বিরোধীতা করবে? এবং কিসের ভিত্তিতে করবে?
আস্তিকদের জন্য তাদের ধর্মীয় বিধান নৈতিকতার অন্যতম স্তম্ভ। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না ওনাদের মানে নাস্তিকদের নৈতিকতার উৎস এবং মানদ্ন্ড কি হতে পারে! সেজন্যই পোস্ট আশা করি আমি বাদেও অন্যান্য আস্তিক ও নাস্তিকরা নিজেরাই এই আলোচনাকে গভীরে নিয়ে যাবে!
১২| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৪১
মামুণ বলেছেন: আস্তিকতা ও নাস্তিকতার সাথে এখন অজ্ঞেয় বাদীদের যুক্ত হতে হচব দেখছি । আমরা যারা নিরিহ আম জনতার কাতারে আছি তারা এই ধরনের সর্ম্পক যেমন সর্মর্থন করিনা। তেমনি আবার কেউ করলে যে আবার গিয়া তার বাড়ীতে আগুন দিমু তাও মানতে পারিনা। আমার মতে কেউ যদি পাপ করে তো তার বিচার করার দায়িত্ব আপনি আমি নিয়ে বসে নাই । প্রত্যেক্ই তার কর্শ ফল ভোগ করবে । আজ অথবা কাল এখানে অথবা ওখানে ।
৩১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৫৪
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ভাল বলেছেন। আমি একটু বাইরে যাচ্ছি, আপনারা আলোচনা করতে থাকুন। আলোচনা ফলপ্রসু হোউক।
১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৫৮
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
এই মুহুর্তে আমার দুটো উপন্যাসের কথা মনে পড়ছে- সত্যেন সেন এর পাপের সন্তান এবং আবুল বাশারের ফুল বউ।
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১:১৯
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: বই ২টি এখনই পড়ার ইচ্ছা করছে কিন্তু উপায় নেই! আপনি যদি এ বিষয়ে কিছু বলতেন খুব ভাল হতো। ধন্যবাদ।
১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: লেখক@ পোস্ট যখন আপনি দিয়েছেন তখন আপনার মতামত আগে জানতে পারলে ভালো হত। আপনি কি সমর্থন করেন? কিসের ভিত্তিতে সমর্থন বা বিরোধিতা করেন?
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১:২৬
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আমার মতামতের ধর্মীয় এবং পারিবারিক নৈতিকতার ভিত্তিতে তৈরী। যৌনতা একটি বিষয় যেটার নিয়ন্ত্রন দরকার এবং আমার চোখে যৌনতার সাথে এভিল ইনফ্লুয়েন্স কানেকশন রয়েছে। অবাধ যৌনাচারের মাধ্যমে, ব্যাক্তি, পরিবার এবং সর্বোপরী সমাজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আসিফের ও আলবার্টের বলা সমস্যাগুলো তো আছেই সেই সাথে বেআইনী যৌনতাই আমি সমর্থন করি না আর অজাচার হলো বেআইনী অবাধ যৌনতার সর্বশেষ সোপান তাই এটিকে সমর্থন করার কোন প্রশ্নই আসে না।
সামাজিক ভাবে আমি এ সম্পর্কিত প্রচলিত আইন মেনে চলবো তবে এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে দেখতে চাই সবসময়।
১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৭
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: আমার উত্তরটা একটু লম্বা হতে পারে। এখন সিরিয়াস লম্বা লেখার মুড নাই। পরে একসময়ে টেরাই করব।
১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪৭
হায় ঈশ্বর! বলেছেন: দেখুন অনেক সমাজে চাচাতো ভাই বোনের মধ্যে বিয়ে কেও অজাচার ধরা হয়। কারনটা আসিফ ব্যখ্যা করেছে বিকলাঙ্গ শিশু ।
আমার সোজা কথা আমি এই ধরনের সম্পর্ক সমর্থন করি না , কারন একটাই বিকলাঙ্গ শিশু ।
এইডা মিছা কথা কারন আমার পরিবার থেকে আমারে একটা সংস্কার দিসে সেইটা থেইকা সহজে বের হয়ে আসা সম্ভব না । সংস্কার যুক্তি মানে না ।
তবে শুইনা রাখেন সময়ের প্রয়োজনে সকল সংস্কারের পরিবর্তন হয় ।
এইডাও ঠিক কেও যদি এইরাম করে আমি তার কল্লা চামু না ।
তবে আমি এই সংস্কার রাখার পক্ষপাতি কারন এর কিছু উপকারী দিক আছে ।
আচ্ছা কিছু কঠিন জিনিস কল্পনা করি যেমন ক এবং তার বোন গ একটা দ্বীপে বন্দী একাকী । এইরকম যদি বেশকিছু স্পেসিমেন নেয়া যায় তাহলে দেখা যাবে ওই অজাচার অনেক জায়গায় হবে সময়ের প্রয়োজনে ।
সংস্কার জিনিসটা ভাঙ্গা খুব কঠিন কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ঠিকই ভেঙ্গে যায় , যাচ্ছে যাবে ।
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৫৬
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনি তাহলে এই বিষয়ে আস্তিকদের মতই রক্ষনশীল দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহন করতেই সাচ্ছন্দ বোধ করবেন কারন আপনার সংস্কার তবে এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে দেখেন না কারন ব্যাক্তিস্বাধীনতা।
কল্পদৃশ্য যেটা রচনা করলেন সেটা ঠিক সামান্জস্যপূর্ন মনে হলো না, কারন এখানে "এসেনশিয়াল বা স্পেশাল সিচুয়েশন " দেখছি না। সমকামের মতই অজাচারের সামাজিক বিস্তার নিয়ে ভাবছি। কারন আন্ডারগ্রাউন্ড লেভেলে এবং অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া সহ কিছু দেশে এটা দিন দিন বেড়ে চলছে!
শেষ লাইনে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, তার উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন করতে চাই যে, আপনি কি সংস্কারের পরিবর্তন ঠেকাতে বা তরান্বিত করতে কোন পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী?
১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৪
অনিক আহসান বলেছেন: মানুষরে একটা প্রানী মানলে সব মানুষের ভিতরেই একটা করে ইদিপাস ও ইলেক্ট্রা বাস করে..
কেউ পছন্দ করুক আর নাই করুক প্রানী জগতের অংশ হিসাবে মানুষ এই প্রবৃত্তির অধীন...
দুনিয়া ভরা এত্ত এত্ত ইনসেস্ট গল্প চটি ক্যানো লেখা হচ্ছে..শুধু কি বিকৃত উন্মাদ আর অসুস্থ যৌন আচরন না এই আচরনের পিছনে মানুষের আদিম উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া কোন প্রবৃত্তি আছে?
সাধারন লজিজ ব্যাবহার করেন...ফ্রয়েড বা জাং হোয়া লাগবো না... এইটা মানুষের ইন্সটিংট এর একটা অংশ...।
তবে যেহেতু আমরা যথেস্ট সভ্য অর্থাৎ যথেস্ট পরিমান চিনির কোটেট নিজেদের আদিম সত্তার উপর দিতে সক্ষম হয়েছি..সেহেতু আমি ব্যাক্তিগত ভাবে আদিম কমিউনিজমে ফিরা যাওয়ার বিরোধি..
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০১
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: অনিক ভাই, দুনিয়া ভরা যেই অসুস্থ যৌন আচরন চলতেছে এটাকে তো উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া আদিম প্রবৃত্তি বললেও হচ্ছে না। বিষয়টা দাড়িয়েছে যে এটাকে কি চলতে দেয়া যাবে কি না?
বিষয়টা ব্যাপক। এর সাথে ধর্ম এবং সোশ্যাল এথিকস ও এসে পরে তবে এই মুহুর্তে আলোচনা নিদৃষ্ট রাখার উদ্দেশ্যেই শুধু অজাচার সম্পর্কে নাস্তিকদের মতামত জানতে চাচ্ছি।
তাহলে আপনি অজাচারের বিরোধীতা করেন?
১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৪৪
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: নাস্তিকেরা ভাল মন্দের পার্থক্য করবে কিভাবেঃ-
কোনো কাজ ভাল অথবা মন্দ তার সহজ বিচার হল সেই কাজের ফলাফল বা প্রভাব ভাল নাকি মন্দ। নাস্তিকেরা ইতিহাস থেকে জেনে নেয় অতীতে এই রকম কাজের প্রভাব কেমন হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় সেই কাজের ফলাফল কেমন হতে পারে সেটা বের করার মতন জ্ঞানবুদ্ধিও অনেক মানুষেরই আছে। এর পরেও যদি কোনো একটা বিষয় ভাল বা মন্দ নির্ভূলভাবে বোঝা না যায় তখন পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত সময়ে সেটার বাস্তব প্রয়োগ করে দেখে তার ফলাফল বিচার করা হয়।
উদাহরণঃ- যেকোনো নতুন শস্যবীজ বা ওষুধ থেকে শুরু করে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, নতুন নিয়ম সবকিছুর ক্ষেত্রেই প্রথমে সম্ভাব্য ফলাফলের অনুমান করা হয়। সেই সম্ভাব্য ফলাফলের জন্য উপযুক্ত প্রস্তুতি নিয়ে সীমিত পরিসরে সেটা প্রয়োগ করা হয়। সেই প্রয়োগের থেকে যে তথ্য পাওয়া যায় তার ভিত্তিতে নতুন মূল্যায়ন, সংশোধন সবই করা হয়। এর পরেই কোনো কিছুর ভালমন্দ নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত করা হয়ে থাকে। তার পরেও সেইটাকে আরো ভাল করার চেষ্টা বা তার চাইতেও ভাল কিছু করার চেষ্টা সব সময়েই চালু থাকে।
এবার এই স্কেলে আপনার টপিকের আলোচনা করা যাক। এটা নিয়ে অনেক কাল থেকেই অনেক রকম পরিবর্তন হয়েছে। মিশরের অনেক পরিবারেই এক সময়ে ভাইবোনের বিয়ে হত। তার ফলে ফলাফল কি হয়েছিল তার কোনো রেকর্ড পাওয়া যায় না। তবে ব্যাপারটা অনেক প্রাণীর মধ্যেই আছে আর তার ফলে সন্তানতের জেনেটিক সমস্যার কথাটা প্রমাণিত। জেনেটিক রিলেশনের অনুপাত যত বেশি হয় সমস্যার সম্ভাবনা ততই বাড়ে।
মানুষের মধ্যেও ব্যাপারটা অনেক কাল ধরেই ছিল। এক সময়ে সেটা বন্ধ করা হয়েছে। এই বন্ধ করার সময়ে সম্পর্কের কতদুর অবধি বন্ধ করা উচিত তা নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নিয়ম হয়েছে। সবগুলোর কথা বলতে গেলে অনেক লম্বা হবে। প্রাচীন ভারতে এসব নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছিল বলে জানা যায়, কিন্তু সেই গবেষণার থেকে সিদ্ধান্তের ব্যাপারটা গোলমেলে। উত্তর ভারতের যারা আর্য বলে পরিচিত তাদের মধ্যে মামা ভাগ্নার পরিবারে সাত পুরুষ অবধি বিয়ে নিষেধ। আবার দক্ষিণ ভারতে মামা ভাগ্নীর বিয়ে চালু।
গবেষণার ডাটা কিছুই নাই, সিদ্ধান্ত একাধিক। সেই সিদ্ধান্ত যে গবেষণার ফলের থেকেই নেওয়া তারও কোনো ঠিক নেই, নেহাত ফালতুও হতে পারে।
আরবে চাচাতো মামাতো বোনেদের সাথে বিয়ে নিষেধ ছিল। মুহম্মদ একখানা আয়াত নামিয়ে সেটা চালু করে ফেলে। নিষেধ করার পিছনে কি যুক্তি ছিল তাও জানা যায় না আবার চালু করার পিছনেও কোনো যুক্তি নাই। এইখানে একটা চুলকানিমূলক কথা বলতে বাধ্য হলাম, মুহম্মদের যখন যা করার ইচ্ছা হয়েছে সাথে সাথে আল্লায় তা হালাল করেছে। নিজের বোন থাকলে আর তাকে পছন্দ হয়ে গেলে হয়তো সেটাও আয়াত নামিয়ে বৈধ করে দেওয়া হত। বন্ধ করার পিছনে যুক্তি ছিল কিনা জানা নাই তবে চালু করার পিছনে কোনো যুক্তি ছিল না। এইসব “ভগবান গড বা আল্লা কহেন” টাইপের কথার মূল্য যুক্তির কাছে শুন্য। আল্লা বলুক আর আইনস্টাইন বলুক তাতে কিছুই যায় আসে না। সেই কথার পিছনে কি প্রমাণ দেওয়া হল সেটাই একমাত্র বিবেচ্য, কে বলেছেন সেটা পুরোই ফালতু।
দেখা যায় যে অজাচার একদা চালু ছিল। যেহেতু সেই প্রাচীন কালে গাদা গাদা বাচ্চা পয়দা করে সংখ্যা বাড়ানোটা খুব পুণ্যের কাজ ছিল তাই ব্যাপারটা বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু কতদুর অবধি বন্ধ করা উচিত তা নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। সিদ্ধান্তও একাধিক।
নিকট সম্পর্কের জীন সংযোগের ফলে জেনেটিক কম্বিনেশনের সমস্যা হওয়াটা প্রমাণিত। এইটা বাদ দিয়ে বাকিটা ভালো না খারাপ তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার মতন কোনো তথ্যপ্রমাণ নাই। কাজেই এটি ভালো বা খারাপ কোনোটাই মনে করার পিছনে কোনো যুক্তি পেলাম না।
আমার নিজের বিশ্বাসের মূল্য আমার নিজের কাছেও প্রমাণিত তথ্যের চাইতে বেশি নয়। বিশ্বাসের পিছনে যতক্ষণ সলিড কারণ না থাকবে ততক্ষণ সেই বিশ্বাসের স্কেল দিয়ে অন্যের কাজের মাপ নিতে যাওয়াটা নিতান্তই বাজে কাজ। তাই এ নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কোনো বিশ্বাস বা মতামত শুধুমাত্র আমার জন্যেই থাকুক। সেটা সঠিক কিনা জানার পরেই তা দিয়ে অন্যকে বিচার করার চেষ্টা করব।
সঠিক সিদ্ধান্ত একমাত্র সঠিক তথ্য থেকেই সম্ভব। যেখানে তথ্য পাই না, সেখানে সিদ্ধান্ত করি না। ক্লিয়ার?
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০৫
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: সবই বললেন কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তটাই বললেন না !!!!!!!
অল-ক্লিয়ার!!!
১৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:০০
বাল্মীকি বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়েন --এই লাইনের পর থেকে ৩ নাম্বার কমেন্টে আসিক মহিউদ্দীন যা বলেছেন সেটাই আমার বক্তব্য
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:২৮
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: তাহলে আপনিও অজাচারকে বিরোধীতা করবেন না !!!
২০| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:০০
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: আর একটা কথা যোগ করি। ভাল মন্দ ব্যাপারটা সবসময়েই তুলনামূলক কথা। যেখানে একটাই অপশন থাকে সেখানে সেটা ভাল বা মন্দ বলে ডিফাইন করা যায় না। সেই হিসাবে আদমের ব্যাটাদের কাজকে ভাল বা মন্দ কোনোটাই বলা যাবে না, কারণ তাদের কাছে কোনো সেকেন্ড অপশন ছিল না। কিন্তু আল্লার কাজটা নিয়ে ভালমন্দ বিচার করা যায়, তাঁর অনেক অপশন ছিল। তিনি তো চাইলেই হাজার খানেক মানুষ বানিয়ে পাঠাতে পারতেন।
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:২৯
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: তিনি চাইলে অনেক মানুষকেও সত্যিকারের গাধা বানিয়ে পাঠাতে পারতেন যেমন অনেক গাধাকেও মানুষ হিসেবে পাঠিয়েছে।
২১| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:২২
জয়কৃষ্ণ বলেছেন:
প্রায় বেড়িয়েই যাচ্ছিলাম। শেষমেষ একটু ক্লিক করতেই দেখি এই অবস্থা। এখন তো কিছু না বলে পার পেতে পারি না।
যাই হোক এই অজাচার বিষয়ে আমি একমত নই। এটা আমার রুচির সাথে কোন ভাবেই মেলে না। আর আমার সংস্কৃতি আমাকে এ বিষয়ে পৃথক হতে বলেছে এমন কি রুচিকেও নির্মান করেছে। যেমন আমি শুনেছি কোরিয়াতে কুকুরের মাংস বেশ উপাদেয় খাবার হিসেবে চলে। কিন্তু আমি ইচ্ছে করেও সেটা গ্রহণ করতে পারবো না।
আগামীদিন আরো বলবো। আজ বিদ্যুৎ চলেগেছে।].'
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩৫
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: তাহলে এই বিষয়ে আপনিও রক্ষনশীল। আমিও।
২২| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩৭
বাল্মীকি বলেছেন: অবশ্যই আমি এর বিরোধী, কিন্তু আমার মত কারো উপর চাপিয়ে দেয়ার পক্ষে না। প্রাপ্ত বয়স্ক কেউ যদি ইনসেস্ট করে, তাদেরকে বাধা দেয়ার আমি কেউ না।
ব্যক্তিগতভাবে এই ব্যপারটাকে আমি ঘৃণা করি। এমনকি চাচাতো-মামাতো ভাই-বোনের ভিতরকার শারিরীক সম্পর্ককেও আমি ঘৃণা করি, যেটা এদেশে আইগতভাবে স্বাভাবিক ব্যাপার। আশা করি আমার অবস্থান বুঝতে পেরেছেন।
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৪২
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য।
২৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৫১
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: এই পর্যন্ত বিভিন্ন জনের মন্তব্যে যা বুঝলাম যে, প্রায় সব নাস্তিকই অজাচারের বিরোধী। ব্যাক্তিগতভাবে প্রায় সবাই এর বিস্তার রোধ চায়। তবে ব্যাক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসের ফলে তারা এটিকে প্রতিরোধ করতে সংশয়ে রয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্ক ২জন অজাচারে লিপ্ত হলে এটিকে খারাপ চোখে দেখছেন না কিন্তু নিজেরা এই সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী না।
এই বিষয়ে আস্তিক ও নাস্তিকদের মাঝে পার্থক্য পেলাম না। ২ পক্ষই ইনসেস্ট বা অজাচারকে খারাপ বলে। পার্থক্য ১টাই যে আস্তিকরা এই খারাপ প্রতিরোধ করতে চায় আর নাস্তিকরা একে যার যার তার তার বলে কিছু করতে চায় না।
আশা করি আমরা এপর্যন্ত একমত??
এখন আলোচনার পরবর্তী ধাপে যাই চলুন,
সমকামের মত অজাচার / ইনসেস্ট যদি বিস্তার লাভ করে তখন আপনাদের মতামত কি হবে?
আপনারা কি ইনসেস্ট রিলেশনকে সমকামীদের মত বৈধতা দিতে রাজী আছেন??
২৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৫৭
মশিউর মামা বলেছেন: কোনো দেশের আইনে যদি ইনসেস্ট অপরাধ হয় তবে মুক্তমনারা কোনটাকে প্রাধান্য দেবে | আইন নাকি ব্যক্তিস্বাধীনতা ??????????????????????????/
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:০৬
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: অথবা আমাদের দেশেই যদি পরবর্তীতে অজাচারকে বৈধতা দেয়ার জন্য জনমত গঠনের উদ্যোগ আসে তখন মুক্তমনাদের অবস্থান কি হবে?
২৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩৮
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: অজাচার, সমকামিতা, অবাধ যৌনাচার - এর সবগুলির পরিনতি হচ্ছে নির্বংশ বা ধ্বংস হওয়া। কারণ নিয়মতান্ত্রিক পারিবারিক পরিবেশ ছাড়া সন্তানের জন্ম ও সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠা তথা উন্নত পরবর্তি প্রজন্ম গঠন কখনই সম্ভব নয়। তাই মানব প্রজাতির ক্রমউন্নতির প্রয়োজনে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ভাবে গড়ে তোলার জন্যই সুস্থ স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রিত যৌনাচারের ভিত্তিতে পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধন ও পরিবেশ রক্ষা করা খুবই জরুরী। যারাই এর ব্যাতিক্রম করবে তাদেরই পরবর্তি প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং তারাই ক্রমান্ময়ে বিলুপ্তির পথে চালিত হবে। সুতরাং যারা ব্যাক্তি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে জীবনকে উপভোগ করার নামে পারিবারিক বন্ধন ও পরিবেশ নস্ট করতে চায় তারা মুলত মানব জাতির ধ্বংসের পথই উম্মুক্ত করে। মানব জাতির টিকে থাকা ও উন্নতির লক্ষেই এদের প্রতিহত করা জরুরী।
২৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৫৮
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আইন স্টাইন এর বানী হচ্ছে আদর্শ অবস্থার বর্ণনা কিন্তু তার বাস্তব প্রয়োগ কেমন হয় দেখুন -
নাস্তিকদের ভাল মন্দ কল্যান অকল্যান বিচার করার কোন সার্বজনীন মানদন্ড নাই। প্রত্যেকে তার নিজের জ্ঞান বুদ্ধি অনুযায়ী ভাল মন্দ নির্ধারণ করে এবং নিজের বুদ্ধিতে যা কল্যানকর মনে করে তাই করার অবাধ স্বাধীনতা লাভ করে। এই নিজের বুদ্ধিতে কল্যান অকল্যান ভাল মন্দ নির্ধারণের পরিনতি কেমন হয় তার দৃস্টান্ত দেখুন -
১. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার ও তার অনুসারীগন নিজেদের জ্ঞান বুদ্ধির ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন যে ইহুদীদের হত্যা করা জার্মান জাতির জন্য কল্যানকর - তাই তারা অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ ইহুদীকে হত্যা করেছিলেন এবং সে জন্য তাদের কোন অপরাধ বোধ ছিল না। আপনি কোন নৈতিকতার মানদন্ডে তাদের সেই কাজের প্রতিবাদ করবেন?
২. ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের সৈন্যরা এবং তাদের এ'দেশীয় সহযোগীরা নিজেদের বুদ্ধিতে পুর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতাকামীদেরকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ও তাদের হত্যা করা বৈধ কল্যানকর মনে করেছিল - তাই তারা নির্বিচারে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করতে পেরেছিল যার জন্য এখনও ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন বোধ করে নি - কোন নৈতিকতাবোধ দিয়ে আপনি বলবেন তাদের কাজ অন্যায় ছিল? কারণ তারা তো সেটাকেই কল্যানকর মনে করেছিল।
৩. সমকামীতা / অজাচার নি:সন্দেহে মানব জাতির জন্য ধ্বংসাত্মক - কিন্তু যারা এ'গুলো করে তারা তাদের নিজ জ্ঞান বুদ্ধিতে এ'গুলোকে কল্যানকর ভেবেই করে এবং এ'গুলোকে সমাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রামও করে - আপনি কোন নৈতিকতার মানদন্ডে তাদের প্রতিহত করবেন - আপনার তত্ব অনুসারে তারাতো এ'গুলোকে কল্যানকর ভেবেই করছে ?
৪. ঘুষখোর দুর্নিতিবাজ চোর ডাকাত মাদকসেবী যৌন নির্যাতনকারী - তথা যেকোন অপরাধীকেই যদি আপনি তার অপরাধের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন দেখবেন তার পক্ষে বহু যুক্তি সে দেখাবে - বস্তুত কল্যানকর অন্তত তুলনামুলক ভাবে কল্যানকর বিবেচনা না করে মানুষ কোন কাজই করতে পারে না।
সকল অপরাধী তার অপরাধ কর্মকে নিজের জন্য কল্যানকর জেনেই তা করে - কাজেই কল্যান-অকল্যানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহনের সর্বময় ক্ষমতা মানুষের নিজের উপর ছেড়ে দিলে আপনি কোন অপরাধের বিরুদ্ধেই কথা বলতে পারবেন না। আপনি আমি একজন মানুষ হিসেবে যেমন কল্যান-অকল্যান বিচার করতে পারি - একজন অপরাধীওতো একজন মানুষ হিসেবে অনুরুপ ভাবে কল্যান অকল্যান বিবেচনার অধিকার রাখে - আমার আপনার কল্যান-অকল্যানের বিবেচনা অপরাধীদের উপর প্রয়োগ করার অধিকার আপনি-আমি কোথায় পাব??
এ'জন্যই মানুষের কল্যান-অকল্যান, পাপ-পুন্য, ভাল-মন্দ বিবেচনার সার্বভৌম ক্ষমতা মানুষের নিজের হাতে তুলে নেয়া কখনই নিরাপদ নয় - বরং স্রস্টার বিধান/নিতিমালাকে নিজের মতামতের উপরে স্থান দিয়ে তার পরিসীমার ভেতরে থেকে নিজের কল্যান-অকল্যান বিবেচনা করাই বিপথগামী হওয়া থেকে নিরাপদ থাকার সর্বোত্তম উপায়।
২৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:০৪
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: কাঙাল মুরশিদ@
মনে করা, বিশ্বাস করা ইত্যাদি আর সেই মনে করার পিছনে যথেষ্ট কারণ থাকা, দুটোর মাঝে তফাত আছে। সেই তফাতটা বুঝতে পারার পরে আলোচনায় নাক গলালে ভালো করবেন। আপনি কি মনে করেন সেটা দিয়ে আলোচনা হয় না, মারামারি অবশ্য চাইলেই করতে পারেন। মারামারি করার জন্য আপনার মনে হওয়াটাই যথেষ্ট, সেই মনে হবার পিছনে কোনো সলিড কারণ না থাকলেও চলবে।
২৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৪২
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @দু-পেয়ে গাধ
উল্লেখিত উদাহরণগুলিতে নিজেদের কাজকে কল্যানকর ভাবার পিছনে কি কি সলিড কারণ ছিল? না কি তারা ওগুলোকে কল্যানকর না ভেবেই করেছে বলে আপনার ধারনা? আর আপনি যে মতামত দিচ্ছেন তার পিছনেই বা কি কি সলিড কারণ আছে? মনে রাখবেন কারনের পিছনেও কিন্তু কারণ থাকে - কারণের পিছনের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকলে অসীম লুপে ঘুরতে থাকা ছাড়া মুক্তির পথ কোন দিনও খুঁজে পাবেন না।
মানুষ যে নিজের জন্য কল্যানকর চিন্তা না করে কোন কাজ করতে পারে না তার একটা বাস্তব উদাহরণ পড়েছিলাম ইমাম গাজ্জালির বই -এ। ধরুন একজন মানুষ দুই তলা বাড়ির ছাদে দাড়িয়ে আছে। সে কি চাইলেই ছাদ থেকে নিচে লাফ দিতে পারবে? পারবে না - কারণ সে জানে সেটা তার জন্য কল্যানকর নয়। কিন্তু সেই মানুষকেই যদি ঐ ছাদের অন্য প্রান্ত থেকে এক খুনি ডাকাত রাম দা নিয়ে তেড়ে আসে - তাহলে সে অনায়াসে ছাদ থেকে লাফিয়ে পরতে পারবে - কেন? কারণ সে বিবেচনা করবে রাম দায়ের কোপের চেয়ে লাফ দিয়ে নিচে পরা তুলনামুলক ভাবে কল্যানকর। সুতরাং মানুষ যতক্ষন কোন কাজকে নিজের জন্য কল্যানকর অন্তত তুলনামুলক ভাবে কল্যানকর ভাবতে না পারে ততক্ষন কোন কাজই করতে পারে না। জেনে শুনে আগুনে হাত দেয়া যেমন অসম্ভব তেমনি অসাবধানে হাত পরে গেলে জানার আগেই তা সরে আসে। অথচ অপরাধীরা অপরাধ করার পরও তা স্বীকার করে না - বরং তার পক্ষে সাফাই গায়।
আর এ'জন্যই শুধুমাত্র নিজের বিবেচনায় কল্যান-অকল্যান ভাল-মন্দ হিসেব করার সার্বভৌম স্বাধীনতা মেনে নিলে কোন অপরাধীকেই প্রতিরোধ করা বা স্বাস্তি দেয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেকে তার নিজের কাজকে নিজের জন্য কল্যানকরই মনে করে - এবং তার পিছনে বহু সলিড কারণ দেখাতে পারে। এ'জন্যই গর্ভপাতের নামে নিরপরাধ দুর্বল শিশু হত্যা, সমকামিতা/অজাচারেরমত জঘন্য প্রজন্ম বিলুপ্তকারী কাজের অধিকারের জন্যও মানুষ আন্দোলন করতে পারে - এর পিছনেও বহু সলিড কারণ তারা খুঁজে পায়।
২৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৫০
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন:
লেখক বলেছেন: সবই বললেন কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তটাই বললেন না !!!!!!!
অল-ক্লিয়ার!!!
=================
বুঝলাম এত লম্বা করে যা লিখেছিলাম তার সবটাই বৃথা গেছে। তাই আরো একটু কিলিয়ার করি।
বিশ্বাসনির্ভর সিদ্ধান্ত আর যুক্তিনির্ভর সিদ্ধান্তের মধ্যে কিছু মৌলিক তফাত আছে। যুক্তিনির্ভর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তথ্যপ্রমাণ দরকার হয়। সেই তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়। পরে যদি কোনো ঘটনা সেই সিদ্ধান্তের বিরোধী কোনো তথ্য দেয় তবে সেই তথ্য এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত দুটিকেই পরীক্ষা করে দেখা হয়।
অন্যদিকে বিশ্বাসনির্ভর চিন্তায় প্রথমেই একটা থিওরি বানিয়ে সেটার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা হয়। তার পরে যেসব তথ্যপ্রমাণ সেই সিদ্ধান্তের পক্ষে যায় সেগুলোকে গ্রহণ করা হয় আর যেসব তথ্য প্রমাণ যুক্তি তার বিরুদ্ধে যায় সেগুলো সবই বেকুবের, শয়তানের, নিকৃষ্ট পশুর অথবা ষড়যন্ত্রকারীর কাজ বলে বাতিল করা হয়।
এবার একটা উদাহরণ দিই আপনার বিশ্বাসনির্ভর ধর্ম থেকে।
একদা মুহম্মদের কাছে এক অমুসলিম অতিথি এলেন। মুহম্মদ তাঁকে ছাগলের দুধ খেতে দিলেন। সেই অতিথি সাতটি ছাগলের দুধ খেয়ে ফেললেন।
পরের দিন সকালে সেই অতিথি ইসলামে দীক্ষা নিলেন। তারপর মুহম্মদ তাঁকে আবার দুধ খাওয়াতে গেলেন। তিনি মাত্র একটি ছাগলের দুধ খেতে পারলেন।
অতঃপর মুহম্মদ বললেন "একজন মুসলিম খায় একটি অন্ত্র দিয়ে, সেখানে একজন অমুসলিম খায় সাতটি অন্ত্র দিয়ে।"
বিস্তারিত পাবেন এইখানে Click This Link
যেকোনো স্বাভাবিক বুদ্ধির মানুষের কাছে এই সিদ্ধান্ত পাগলামি বলেই মনে হবে। (মনে হবার কারণ আছে বলে মনে হবে।) লোকটি সারাদিন পথের পরিশ্রমে হজম করে রাত্রিবেলায় যতটা খাবেন পরদিন সকালে উঠে ততটা খেতে পারবেন না এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তার পরেও এটা বাদ দিলেও কিন্তু প্রশ্ন হল যে মুহম্মদ তো আল্লার বাণী শুনে মুসলিম হয়েছিলেন। তার আগে কি তিনি সাতগুণ খেতেন? তাঁর বিবি খাদিজা, চাচা আবু তালিব সমেত আরো হাজার হাজার অমুসলিম কি সাতগুণ খেত? তাঁর যেসব সাহাবী ছিল তারা কি মুসলিম হবার আগে সাতগুণ খেত?
এইসব গাদাগুচ্ছের তথ্যকে সম্পূর্ণ বাতিল করে একটিমাত্র ঘটনার ভিত্তিতে মুহম্মদ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিলেন যে অমুসলিমরা সাতটি অন্ত্র দিয়ে খায়। কারণ তিনি আগে থেকেই বিশ্বাস করেন মুস্লিম সর্বদাই অমুস্লিমের চাইতে শ্রেষ্ঠ। তাঁর এই বিশ্বাসনির্ভর থিওরির বিরুদ্ধে হাজার খানেক তথ্য থাকলেও সেগুলি তিনি দেখতে পাবেন না। বিশ্বাসীর সিদ্ধান্ত নেবার উদ্দেশ্য শুধু নিজের বিশ্বাসকে মজবুত করা।
উপরের উদাহরণের থেকে যুক্তিবাদী সিদ্ধান্ত হয় যে মুহম্মদের মাথায় ছিট ছিল বলেই এমন একটা কথা বলে ফেলেছেন। আর বিশ্বাসবাদী সিদ্ধান্ত হবে যে মুহম্মদকে ছিটেল বলে সে বেকুব শয়তান ইত্যাদি। কারণ এমন সিদ্ধান্ত করলে তবেই বিশ্বাসীর ঈমান মজবুত হয়।
আমি বলেছিলাম সিদ্ধান্ত নেবার মতন পর্যাপ্ত তথ্য নাই। তার পরেও আপনি সিদ্ধান্ত চাইছেন। কারণ আপনার বিশ্বাসনির্ভর মানসিকতা এতেই অভ্যস্ত। আপনার চাই একটা সিদ্ধান্ত, যেটাতে আপনি বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করতে পারবেন। কিন্তু আপনার ধারণায় সিদ্ধান্ত বলতে যা বোঝায় আমার বিজ্ঞানে সিদ্ধান্ত শব্দটা তা বোঝায় না। পর্যাপ্ত তথ্য ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়াকে আমার কাছে নিছক পাগলামি। কাজেই আপনার আশা পূরণ করতে পারলাম না।
০২ রা আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৬
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: জয়প্রকাশ যেই পরিমানে আল্লাহ-খোদা'র নাম নিতেছেন কবে আবার মুসলিম হয়ে যান সেই চিন্তায় আছি।
৩০| ০২ রা আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:০৩
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: আর হ্যাঁ, "অবিশ্বাসীরা সাতটি অন্ত্র দিয়ে খায় এটা একটা ফালতু পাগলামি কথা" বলে যে সিদ্ধান্তটা দিলাম সেটা যুক্তিবাদী সিদ্ধান্ত। তাই আপনার এটায় বিশ্বাস করার দরকার নাই। চাইলেই একবার ছেড়ে পঞ্চাশবার যাচাই করতে পারেন।
৩১| ০২ রা আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২২
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: এখানে যদি তথ্যপ্রমাণ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত (আপনি যেটা চাইছেন) দেওয়া হয় তবে তার মূল্য কেবল বিশ্বাসীর ঈমান মজবুত করা ছাড়া আর কিছুই না। যদি তাদের বিশ্বাসের সাথে মিলে যায় তবে ঈমান মজবুত হবে। আর যদি না মেলে তবে নাচতিকেরা বেকুব শয়তান ছোটোলোক ইত্যাদি বলে যে বিশ্বাস আছে সেটা মজবুত হবে। মূল টপিকের কোনো কাজে আসবে না।
৩২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৫৯
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: খিকজ...
আমারো একই চিন্তা হয়। যেভাবে যুক্তিতর্কে আসছেন তাতে আপনারা না নাচতিক হয়ে যান।
০৩ রা আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৮
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: যদি নাস্তিক হইও সেদিন কারো জন্য বিরক্তিকর জিনিস হবো না এবং কথা বার্তা সরাসরিই বলবো।
৩৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩৭
জয়কৃষ্ণ বলেছেন:
অজাচারে স্বীকৃতির প্রশ্নটা তখনই আসবে যখন তা থেকে মৃত ব্যক্তির সম্পদের প্রশ্ন জড়িত হবে, উত্তরাধিকার জড়িত হবে। সমকামিদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির অর্থ একে অপরের প্রতি যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক দায়-দায়িত্ব গ্রহণ তাকে আইন অনুযায়ী বিধিবদ্ধ করা। এ কারণেই সমকামিদের বিয়ের স্বীকৃতির প্রয়োজন ছিল বা দেয়া হয়েছে। এখানে ''ভবিষ্যত প্রজন্ম গঠন করার জন্যই আমরা পরিবার গড়ে তুলি'' এই আপাত নৈয়ায়িক ব্যাখ্যা অনুপস্থিত।
কিন্তু সমকামিতা নিয়ে রাষ্ট্রের ঐ পর্যন্ত কোন মাথা ব্যথ্যার কারণ নেই যে পর্যন্ত তা কেবলমাত্র ব্যক্তিগত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকে। অর্থাৎ সমকামিদের ভেতর সামাজিক ও অর্থনৈতিক দায়-দায়িত্ব তৈরী হয় না।
বাংলাদেশে অজাচারে কখন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির প্রয়োজন দেখা দেবে? তা তখনই দেখা দেবে যখন সমাজে অজাচার একটা স্বাভাবিক যৌন আচড়ন হয়ে উঠবে; এবং অজাচারে লিপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয় এবং উত্তরাধিকারী আইনের প্রয়োজন দেখা দেবে।
এক সময়ে দুজন নর-নারীর মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক আমাদের দেশে সামাজিক অপরাধ হিসেবে গন্য করা হতো, এ সম্পর্ক সাধারণ্যে প্রকাশ হয়ে পড়লে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সাথে সাথে সমাজে ধিকৃত বিষয় হিসেবে পরিগনিত হতো। কিন্তু বর্তমানে বিষয়টা বেশ স্বাভাবিক ভাবে আমরা মেনে নিচ্ছি। প্রেমের সম্পর্কের কারণে জন্মনেয়া সন্তানকে বর্তমান আদালত উত্তরাধিকারের স্বীকৃতি দিচ্ছে।
সুতরাং অজাচার যদি কোন সময়ে সমাজের স্বাভাবিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাড়ায় তবে তাকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হবে। কারণ স্বীকৃতির অর্থ হলো আইন মারফত তাদের বৈষয়িক বিষয়াদির বিহিত করা।
তাই অজাচার বিষয়ে নাস্তিক সিদ্ধান্ত নিবে সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে কল্যাণকর বিধিব্যবস্থার উপর।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০০
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: হুমম, তাহলে সমকামীদের মত নিদৃষ্টসংখ্যক অজাচারী সমাজে তৈরী হয়ে গেলেই নাস্তিকরা অজাচারকে গ্রহন করে নিবে যেমনটা সমকামীদের বিষয়ে হয়েছে???
দ্বীমত থাকলে জানাবেন।আর সহমত হলে তো হলই।
৩৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:১৮
জয়কৃষ্ণ বলেছেন:
@কাঙ্গাল মুরশিদ,
প্রজন্ম বিলুপ্তকারী কি বর্ধনকারী হিসেবে মানুষ পৃথিবীতে কিভবে টিকে থাকবে তা সম্ভবত ধর্মীয় পুস্তক গুলিতে নাই। তাই বিষয়টা আপনার কাছে খটকা লাগছে।
মানুষের ইতিহাসে সেই 'হোমো ইরেক্তুস' মানুষ থেকে 'হোমো সাপিয়েন্স' মানুষে ক্রমপরিণতির বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষ কখনো তার গড়ে তোলা সংস্কৃতিকে হারিয়ে ফেলেছে, কখনো ধ্বংস করেছে আবার কখনো উন্নীত করেছে নতুন ছাঁচে। এটা মানুষ এবং প্রকৃতির নিজস্ব সমীকরণেই হয়ে আসছে। মানব প্রকৃতি নিজেকে সময়ের সাথে উপযোগী করে নেয়।
সুতরাং সমকামিতাই বলুন আর অজাচারই বলুন সেটাও স্বাভাবিক আচড়ন হবার বিষয়টিও অস্বাভাবিক নয়। প্রকৃতির প্রতিটি একক-এর সহজাত পরিবর্তনই প্রকৃতিকে করে তুলেছে বহুরূপ আর বৈচিত্রে ভরা। একই মানুষ কিন্তু কত রকম তার রুপ-রঙ-চেহারা, একই প্রজাতির গাছপালা, একই প্রজাতির প্রাণী বিভিন্ন ভবে আলাদা জেনেটিক বৈশিষ্ট্যে বর্তমান। মানুষ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এই বৈশিষ্ট্য নিয়ে সৃষ্টিকুলকে আরও কত বৈচিত্রে নিয়ে যাচ্ছে তা ভেবে দেখবার নয়? কিভাবে? সেটাকে কি আপনি অজাচার বলবেন?
অজাচার আপনার মনস্তত্বে। গতানুগতিকতা পরিবর্তন আনে না, শুধু পরিণত করে পুরাতনকে আঁকড়ে ধরতে। তাই যদি প্রজন্মের খানিক অংশ বিলুপ্ত হয়েই যায় তবে তাও প্রকৃতির নিজস্ব খেয়ালে নিজের টিকে থাকার জন্যও।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:২৬
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনি কি অজাচার'কে এখনই একটি প্রাকৃতিক রুপ দেবার চেষ্টা করছেন নাকি?
৩৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:১০
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
@জয়কৃষ্ণ
আপনি যেভাবে নিজেকে এবং মানব জাতিকে 'প্রকৃতির' হাতে সঁপে দিচ্ছেন আমরা বিশ্বাসিরাও ঠিক একই ভাবে নিজেদেরকে স্রস্টার হাতে সঁপে দেই। পার্থক্য হচ্ছে আপনাদের পুজনীয় প্রকৃতি মুলত বুদ্ধি বিবেক চেতনাহীন জড়বস্তু ও শক্তির সমস্টি - আর আমাদের আল্লাহ সকল বস্তু, শক্তি, বুদ্ধি ও চেতনার স্রস্টা মহাচেতনার ধারক।
আপনি যেমন প্রকৃতির কাছে নিজেকে অসহায় হিসেবে দেখছেন আমরাও আল্লাহর বিধানকে নিজেদের উপর কার্যকর দেখছি। কিন্তু আমরা দেখছি প্রকৃতির উপাদানগুলি সৃস্টিগত ভাবে আমাদের অনুগত ও নিম্ন স্তরের বুদ্ধিহীন জড় বস্তু ও শক্তি - পক্ষান্তরে আমরা বুদ্ধিমান বিবেক ও চেতনাধারী উন্নত প্রজাতি - তাই নিজেদের চেয়ে নিম্ন মানের সৃস্টির আনুগত্য মেনে নিয়ে প্রকৃতির হাতে নিজেকে সঁপে দেয়ার পরিবর্তে আমরা বরং প্রকৃতির স্রস্টা মহাচেতনার ধারক আল্লাহকে মেনে নেয়াই যৌক্তিক মনে করি। আর পবিত্র কোরআনেও এই কথাই বার বার বলা হয়েছে যে তোমরা তোমাদের অনুগত তোমাদের চেয়ে নিম্ন শ্রেনীর সৃস্টির পুজা কর না বরং সকল সৃস্টির স্রস্টা মহাচেতনার ধারক আল্লাহকে মেনে নাও।
৩৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৫৮
জয়কৃষ্ণ বলেছেন:
@কাঙ্গাল মুরশিদ,
প্রকৃতির কথা শুনেই মনে হলো কিভাবে আমি বা আমরা নাস্তিকরা নিজেকে প্রকৃতির হাতে সঁপে দেই? আবার বলছেন সেই প্রকৃতি আমাদের 'পুজনীয়'?
জনাব, অনেকদিন যাবত নাস্তিকদের সাথে বিতর্ক করে চলছেন তবু নাস্তিকদের চিন্তার ক্ষেত্রকে বুঝবার চেষ্টা করেননি বলেই আপনার তর্কের পরিধি ঘুরে ফিরে একই অবস্থানে। আপনি ঠিক কি বিশ্বাস করবেন তা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়, কিন্তু যাদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হচ্ছেন তাদের চিন্তার বৃত্তে যদি না-ই প্রবেশ করতে পারলেন তাহলে তো যুক্তিগুলোও ঘুরে ফিরে ঐ একই স্থান নির্দেশ করবে। এ তো বাস্তব।
সে যাই হোক, যদি নাস্তিকরা পুজোই করতো তাহলে সে আর নাস্তিক হয় কিভাবে? আপনার সাথে অন্য আর একটি পোষ্টে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সম্পর্কিত বিষয়াবলী নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। তো সেখানে আমি বলেছিলাম, আমি অর্থাৎ মানুষ নিজেই এই প্রকৃতির একটি অংশ মাত্র, তা হলে প্রকৃতির কাছে আমাকে কোন অবস্থানে ব্যখ্যা করবেন? আমি নিজেই প্রকৃতির একটি রূপ; প্রকৃতির যে বর্ণাঢ্য রূপবৈচিত্র তাতে আমি উন্নত চেতনার একটি অংশ যা আপনার কাছে সৃষ্টির সেরা বলে বিবেচিত।
এ ক্ষেত্রে প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করতে যেয়ে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার যে পৃথক ব্যক্তিত্ব আস্তিকেরা কল্পনা করে এবং আরোপিত গুণে তাকে মহিমান্নিত করে তোলে নাস্তিকের নিকট তা এক ভ্রান্ত যুক্তি; কেননা স্রষ্টা বলে যাকে কল্পনা করা হয় তার সৃষ্টির পেছনেও অন্য আরএকটি স্রষ্টার প্রয়োজন।
৩৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৬
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: ইস! গরম একটা আলোচনা মিস করেছি! এখন তো সবাই ঝিমিয়ে পড়েছে! আপনি আমাকে একটু জানাবেন না এই পোস্ট দেবার পরে!
৩৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৫
আমি রুবেল বলেছেন: @রাকাই, সামুরাই, ছিয়াশি ভাই, ওনাদের আর নাস্তিকদিগের চোখ পায়ুর চিপায় আটকে গেছে। আপনাদের কথা জানি না, অন্তত আমি ঐ দুর্গন্ধময় এবং জীবানুপূর্ণ জায়গায় তাদের চক্ষুদ্ধার করতে যেতে রাজী নই
৩৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৬
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: নাইস ট্র্যাপ ডুড।
ঝাঁকে ঝাঁকে বিদ্বানরা আটকেছে। খারাপ লাগছেনা দেখতে।
কিপিটাপ। মজা পেলাম বহুদিন পরে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:০১
মশিউর মামা বলেছেন: ঠিক আছে গালি দিলাম না | তয় অগ্রিম জেনারেল মুবারক | শালার সেফ হইয়া এক মাস ও থাকতে পারলাম না | আফসুস ......................|