নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার যৌথখামার

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

প্রজন্ম৮৬

প্রয়োজনে মেইল করুন [email protected] । অথবা ফেসবুকে আসুন https://www.facebook.com/projonmo.chiyashi আমি একজন দর্শক মাত্র।কিছু দেখলে বাকি সবাই কে দেখাতে ইচ্ছে জাগে তাই ব্লগ লেখার ইচ্ছা

প্রজন্ম৮৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সহজ ইতিহাস : ২য় বিশ্বযুদ্ধ

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩১

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানী পরাজিত হলেও ফিরে আসার আশা ত্যাগ করে নাই। প্রথম বিশ্বযুদ্ধটা যেমন হঠাৎ করে হয়ে গেল, ২য় বিশ্বযুদ্ধ তেমন ছিল না। বরং এটা ছিল পূর্ব পরিকল্পিনার ফসল! জার্মানী-ইটালি এবং জাপান পরিকল্পিতভাবে তৎকালীন বিশ্ব ব্যাবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে এই যুদ্ধ বাধায়!



বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই যুদ্ধটি সহজ ভাবে বুঝার চেষ্টা করবো আজকে! যথারীতি তথ্যভিত্তিক নয় বরং বিশ্লেষনমুলক আলোচনা করবো। কি কারনে, কোন পরিস্থিতিতে এবং কিভাবে যুদ্ধ লাগে সেটারই একটি নিরপেক্ষ বিশ্লেষন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো!





১ম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নতুন বিশ্বব্যাবস্থা এবং মনে রাখার মত একটি ফ্যাক্ট :



-------১ম বিশ্বযুদ্ধ শেষে অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয়ান সাম্রাজ্য, অটোমান সাম্রাজ্য এবং রাশিয়ান সম্রাটের পতনের পর আন্তর্জাতিক রাজনীতির ময়দানে খেলোয়াড় বদল হয়। মানচিত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসন্ন হয়ে পড়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের আগমনে সবমিলিয়ে নেতৃত্ব উঠে যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের হাতে! ওদিকে লেনিনের নেতৃত্বে রাশান রাজনীতিও ভিন্ন পথে চলে যায়।



উইলসন ছিলো আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে, গণতন্ত্র এবং লিবেরালিজমের প্রবক্তা ও বাস্তবায়নের অন্যতম নায়ক।



যুদ্ধপরবর্তীকালীন নেতারা সবাই এই মর্মে একমত হয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যুদ্ধ একটা অভিশাপ। সবাই ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়ানোর লক্ষ্যে একমত হয়ে উইলসনের সাথে একমত হয় যে, যেহেতু যুদ্ধের পুরো ক্ষতিটাই বহন করে জনগণ তাই জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। যদিও তাদের কাজকর্ম সেই সময়ের তুলনায় বেশ "ইউটোপিয়ান" ছিল, কিন্তু তারা বেশ কিছু সমস্যার সঠিক কারন খুজে বের করে , গোপন সামরিক চুক্তি এবং গোপন আন্তর্জাতিক রাজনীতি যুদ্ধের সহায়ক ধারনা করে, "ওপেন ডিপ্লোম্যাসি"র প্রচলন শুরু হয়।



সরকারব্যাবস্থায় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সচ্ছতার নিশ্চয়তা করার লক্ষ্যেই জন্ম নেয় "লীগ অব নেশন্স"! সহজ ভাষায় যেটার দায়িত্ব ছিল বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধ প্রতিরোধে একটি "মুরুব্বী" কাউন্সিল হিসেবে কাজ করা! পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক সংস্থা যা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে গঠিত হয়!



আজকের " জাতিসংঘ" এর পুরানো বা ব্যার্থ ভার্সনই হলো এই "লীগ অব নেশন্স"



এক কথায় বলা যায়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পুরো আন্তর্জাতিক রাজনীতি উল্টো পথে চলা আরম্ভ করে। রাষ্ট্রগুলো শতাব্দী প্রাচিন "রিয়েলিজম" Click This Link দর্শনকে খারিজ করে বিশ্বব্যাপী " লিবেরাল" দর্শন গ্রহনে পদক্ষেপ নেয়।







জেনেভায় লীগ অব নেশন্সের সদর দপ্তর।















১ম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ঘটনা যা ২য় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছিল :



সহজ ইতিহাসকে সহজ রাখার উদ্দেশ্যে সংক্ষেপে পরবর্তী ঘটনাবলী : সহজ ইতিহাসের ক্ষেত্রে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ের চেয়ে যুদ্ধের আগের ঘটনাবলী বেশী গুরুত্বপূর্ণ।



যুদ্ধে পরাজিত জার্মানীকে ২৬৯ বিলিয়ন "গোল্ড মার্ক" জরিমানা করা হয়ে। এবং ১৮৭২ এর যুদ্ধে জার্মান দখলকৃত "আলসাক-লরেন" এলাকা ফ্রান্স নিয়ে নেয়! জার্মানীকে অস্ত্রহীন করে ফেলা হয়। এবং অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয়ান সাম্রাজ্যকে একদম খন্ড খন্ড করে ফেলা হয়।



অটোমান সাম্রাজ্যের উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য বেদখল করা হয় এবং তুরস্কের নানা অংশ দখল করার লক্ষ্যে ব্রিটেন-ফ্রান্স-ইটালী-গ্রিস তুর্কী ভুখন্ডে ঢুকে যায় ( যদিও কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে তুরস্ক নিজেদের ভুমি রক্ষা করতে সক্ষম হয় )।



সবচেয়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে , যুদ্ধ পরবর্তী মূল নেতা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট উইলসনের সাথে! মার্কিন নেতৃত্বে পুরো দুনিয়া বদলে দেবার স্বপ্ন দেখিয়ে ইউরোপ থেকে দেশে ফেরার পর মার্কিন কংগ্রেস উইলসনের সমস্ত প্ল্যান খারিজ করে দেয়, এবং নিজেদের ইউরোপীয়ান ঝামেলা থেকে দুরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়!!!!! ( যেটা শুরুতেই বর্ণিত নতুন বিশ্ব ব্যাবস্থা সফল করার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে যায় )



এই অবস্থায়, ১০ বছর পেরিয়ে যায়। তখনো বিশ্ব জুড়ে ব্রিটিশ ও ফ্রেঞ্চ সাম্রাজ্য ছিল এবং নিদৃষ্ট যোগ্য কোন নেতৃত্ব না থাকায় দেশগুলো নব্য লিবেরাল আইডিয়া ঠিক মত আত্মস্থ করতে ব্যার্থ হওয়ায়, ফলে "লীগ অব নেশন" কার্যত কাজ করতে পারছিল না! এবং রাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ স্বার্থ রক্ষা করার নীতি এবং সামগ্রিক চিন্তার অভাবে ধীরে ধীরে এটা পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়ে



এই অবস্থায়, বিজয়ী ব্রিটেন বা ফ্রান্স আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ন্ত্রনে অনাগ্রহী হয়ে নিজ নিজ হিসাব ঠিক রাখায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। ফ্রান্সের লক্ষ্যে ছিল জার্মানীর ভবিষ্যত যুদ্ধ করার ক্ষমতা সম্পূর্ণ নিশ্চিন্হ করে ফেলতে, কিন্তু ব্রিটেন হয়তো "নেপোলিয়ান" যুগের কথা স্বরন করে "ব্যালেন্স অব পাওয়ার" ঠিক রাখার জন্যই জার্মানীর সামরিক উপস্থিতির সমর্থন করে! এবং জার্মানী আবার নিজেদের সামরিক বাহিনী গঠনের অনুমুতি পায়! ( এটা একটা মহা গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, কারন ১ম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত জার্মানীর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ফিরে আসার পথ উন্মুক্ত হয় এর দ্বারাই)



এরই মাঝে বিশ্বজুড়ে দেখা দেয় "অর্থনৈতিক মহামন্দা" ( বর্তমান সময়ের মতই অবস্থা! ) করুন অর্থনৈতিক পরিবেশে ইটালীতে ফ্যাসিস্ট মুসলিনির আবির্ভাব ঘটে এবং জার্মানীতে নির্বাচিত হয়ে যায় এডলফ হিটলার!!!



অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলায় সব দেশই নিজ নিজ স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল এবং চিরসত্য হলো, সামাজিক-অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খল পরিবেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির চেয়ে স্বৈরাচারী শাষন বেশী কার্যকর। তাই ফ্রান্স-ব্রিটেনের তুলনায় জার্মানী-ইটালী'র অর্থনীতি দ্রুত সংগঠিত হচ্ছিল!



প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম পক্ষ, তুর্কী এইবার নিজেদের বেশ কৌশলে যুদ্ধ থেকে দুরে রাখে। যদিও তুর্কি জনগণ জার্মানদের প্রতি সহানুভুতিশীল ছিল, কিন্তু তুর্কি সরকার মিত্র বাহিনীর সাথে মিত্রতা রক্ষা করে চলে পুরো সময়জুড়ে!



এবং এশিয়ার শক্তি জাপানও যখন ফ্যাসিস্ট নীতি গ্রহন করে তখন, জার্মানী-ইটালী ও জাপান ৩টি দেশ মিলে সারা বিশ্বে তৎকালীন আর্থ-সামাজিক ব্যাবস্থা বদলে "জাতিভিত্তিক" নতুন ব্যাবস্থা প্রণোয়নের পরিকল্পনা গ্রহন করে।



এবং সেই লক্ষে কাজ করা শুরু করে দেয় শীঘ্রই!











যুদ্ধের নিরেট ইতিহাস :



পরবর্তী ইতিহাস বেশ সহজ!



ফ্যাসিস্ট ইটালি এবং জার্মানীর সাথে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আংশিক জয়ী জাপানও সামরিক বাহিনীর প্রভাব বৃদ্ধি পেয়ে ফ্যাসিস্ট রিজিম কায়েম হয়!



এবং এই ৩ দেশ তৎকালীন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তনের পরিকল্পনা করে। ওদের দাবী ছিল, তৎকালীন ব্যাবস্থা সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেন এবং ফ্রান্সেরই সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করছে, অন্যদের ঠকাচ্ছে ঐ ব্যাবস্থা!



প্রথম আগ্রাসী হয় জাপান, ১৯৩১ সালে চীনের মাঞ্চুরিয়া, ১৯৩৭ সালে চীনের মুল ভুখন্ড দখল করে।



ইটালী ১৯৩৫ সালে আবিসিনিয়া এবং ১৯৩৯ আলবানিয়া দখল করে।



এবার এ্যাকশন শুরু করে হিটলার! তারও স্বপ্ন ছিল তৎকালীন বিশ্বব্যাবস্থা বদলে দিয়ে একটি জাতিভিত্তিক ব্যাবস্থা প্রনোয়ন করা। তার মতে তৎকালীন ব্যাবস্থা বদলে জার্মান জাতির সন্মান পুনরুদ্ধার এবং শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়!



১৯৩৮ সালে অস্ট্রিয়াকে জার্মানীর সাথে একীভুত করা হয়। ( যদিও অস্ট্রিয়ানরা বলে হিটলার এমনটা জোর করে করেছিল , কিন্তু আমার মনে হয় ঘটনা ভিন্ন )



১৯৩৯ সালে চেকোস্লোভাকিয়ায় বসবাসরত জার্মানদের নিরাপত্তার অজুহাতে চেকোস্লোভাকিয়া দখল করে ফেলে!



ব্রিটেন এবং ফ্রান্স ততদিনে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হতে শুরু করেছে। কিন্তু জার্মান শক্তির কথা মাথায় রেখে ধৈর্য্য ধরে পর্যবেক্ষন করে যাচ্ছিল এবং নাৎসিদের চেক দখল পর্যন্ত মেনে নিয়েছিল।



কিন্তু নাৎসীদের পরবর্তী সম্ভাব্য শিকার পোল্যান্ডের উপর নজর রাখছিল! এই অবস্থায় ২৩ আগস্ট ১৯৩৯ সালে দুনিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়ে নাৎসি হিটলারের সাথে রাশিয়ার কম্যুনিস্ট নেতা স্ট্যালিন একটি অনাগ্রাসন চুক্তি সম্পন্ন করে!



রাশিয়ার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যাবার পর ব্রিটেন এবং ফ্রান্স এখন কিছুই করার ক্ষমতা রাখে না চিন্তা করে জার্মানী একসপ্তাহ পরই ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সালে পোল্যান্ড আক্রমন করে!



কিন্তু নাৎসীদের অবাক করে দিয়ে, পোলিশদের পাশে দাড়ায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স এবং তারা জার্মানীর বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষনা করে দেয়!



হিটলার দ্রুতই প্রচন্ড শক্তিশালী জার্মান সেনাবাহিনীকে বলকান অঞ্চল, উত্তর আফ্রিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ অভিমুখে যাত্রা করায়। তারা নরওয়ে, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, হল্যান্ড দখল করে নেয়। ফ্রেঞ্চ-ব্রিটিশ সব প্রতিরোধ উড়ে যায়! ১৯৪০ সালেই জুলাই মাসের মধ্যে প্যারিস পর্যন্ত দখল করে ফেলে নাৎসি জার্মানী! এবং ব্রিটেনের উপর ভয়াবহ বিমান হামলা চালায়!



এরপরই ঘটে অদ্ভুদ সেই ভুল! কোন এক অজানা কারনে ব্রিটেন সম্পুর্ণ দখল না করেই সদ্য মিত্র রাশিয়া আক্রমন করে বসে! ( একই ভুল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে করেছিল করেছিল জার্মান কাইজার দ্বিতীয় উইলহেইম )



এরপর অপেক্ষা করছিল তারচেয়ে বড় ভুল! জাপান পার্ল হার্বারে তখন পর্যন্ত যুদ্ধের বাইরে থাকা মার্কিন ঘাটি আক্রমন করে বসে!

( একই ভুল এর আগে করেছিল জার্মানি মার্কিন জাহাজ ডুবিয়ে)



এবং একই সময়ে জার্মানীও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষনা করে!



জাপানী আক্রমন এবং জার্মান যুদ্ধ ঘোষনার প্রেক্ষিতে একঘরে নীতি বাদ দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন রুজভেল্ট ব্রিটেন ও সোভিয়েত বাহিনীর সাথে মিত্রতা করে যুদ্ধে যোগ দেয়!



এরপর আরো ৪ বছর জার্মানী চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়া ফ্রন্টে যুদ্ধ করে যায় এবং কনসান্ট্রেশন ক্যাম্পে ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ হত্যা করে! রাশিয়ায় ব্যাপক সৈন্য হারিয়ে এবং মিত্র বাহিনীর বিমানহামলায় জার্মানীর অভ্যন্তর বিদ্ধস্ত হয়ে ব্যাপক শক্তি হারিয়ে এক পর্যায়ে ১৯৪৫ সালে আত্মসমর্পন করে!



এরপর পরাজয়ের দাড়প্রান্তে দাড়িয়ে থাকা জাপান সাধ্যমত লড়ে যাচ্ছিল কিন্তু জার্মানীর আত্মসমর্পনের ৩ মাস পর হিরোশিমা ও নাগাসাকির ২ টা এ্যাটম বোমার বিস্ফোরন তাদেরও আত্মসমার্পন তড়ান্বিত করে!



এবং ৫ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষের প্রানের বিনিময়ে ৬ বছরের যুদ্ধ শেষে দুনিয়ার রাজনৈতিক ব্যাবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধ পরিবর্তনকামীদের পরাজয়ের মাধ্যমে শেষ হয়!







বিজয়ের স্বাদ এরাই পেয়েছিল!







শেষ কথা :



২য় বিশ্বযুদ্ধের পেছনে প্রধান কারন ছিল, হিটলারের উচ্চাভিলাষী, আগ্রাসী স্বপ্ন। ২য় বিশ্বযুদ্ধের কারন হিসেবে হিটলারের "ইল এ্যাডভাইসড ডিসিশন" কে চিন্হিত করা হয়। এছাড়াও প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি এবং কঠিন চুক্তির হাত থেকে মুক্তি লাভের আকাঙ্খা! এবং তৎকালীন সমাজে ফ্যাসিজমের জনপ্রিয়তা ( মুসোলিনি, হিটলার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত স্বৈরাচার ছিল! )



জার্মানী এমন সুযোগ পায় মূলত তৎকালীন বিশ্বে কোন একক ক্ষমতার উপস্থিতি ছিল না, যে মুরুব্বী রোল প্লে করতে পারবে। এবং "লীগ অব নেশন্স" গঠিত হলেও রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যমত না থাকায় এর অকার্যকর ভূমিকা শান্তিকামী মানুষদের হতাশ করেছিল!



ভাল অবস্থানে থেকেও "অক্ষ শক্তি"র ( জার্মানী-ইটালী-জাপান) যুদ্ধে পরাজয়ের মূল কারন আমার চোখে, ভুল স্ট্র‌্যাটেজি! ব্রিটেনের পতন নিশ্চিত করার আগেই রাশিয়ার শক্তিকে খাটো চোখে দেখে কাইজার উইলহেইমের মতই ভুল উপায়ে শীতকালে রাশিয়া আক্রমন করা। এর ফলে , পূর্ব-পশ্চিম উভয় ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে হয়! তবে, জাপানের কারনে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে আগমন, ছিল সবচেয়ে বড় ভুল!



এছাড়াও নাৎসীদের চুড়ান্ত বর্বর উপায়ে মানুষ হত্যার একটি এফেক্টও ছিল হয়তো!











পরশিষ্ট : এমন একটি বিজয়ের পর বিশ্ব আর আগের ভুল করে নাই। যুক্তরাষ্ট্র আবার তার খোলশে গিয়ে ঢুকে নাই বরং আগ বাড়িয়ে এসে নেতৃত্ব নিজ হাতে তুলে নিয়েছে। "জাতিসংঘ" প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ব শান্তির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।



কিন্তু ততদিনে সোভিয়েত রাশিয়াও শক্তিশালী ইন্ডাস্ট্রিয়াল হয়ে গেছে! আর ততদিনে আক্ষরিক অর্থে "গ্লোবাল" দুনিয়ায় কম্যুনিস্ট সোভিয়েত এবং পুঁজিবাদী যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী নিজ আদর্শ ও স্বার্থ সংরক্ষন এবং প্রসারের লক্ষ্যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই একে অপরের প্রতি সন্দেহবাদী হয়ে উঠে!



তাই তো, বিজয়ীদের মিত্রদের মাঝে সবচেয় শক্তিশালী ২টি রাষ্ট্রের ভেতরেই শুরু হয় স্নায়ু যুদ্ধ / কোল্ড ওয়ার! যা পৃথিবীকে কাঙ্খিত শান্তির স্পর্ষ থেকে দুরে রেখেছিল প্রায় ৪৪ বছর!



আগামীতে স্নায়ু যুদ্ধ / কোল্ড ওয়ার নিয়ে লিখবো!





আসলে ইতিহাস জানানো নয় বরং ইতিহাস বিশ্লেষনের উদ্দেশ্যে লেখা হচ্ছে এই সিরিজ। যেকোন তথ্যগত বা বিশ্লেষনজনিত ভুল পেলে জানাবেন দয়া করে, অথবা প্রশ্ন থাকলে সেটাও আলোচনার জন্য পেশ করুন। সবাই মিলে মিশে "সহজ ইতিহাস ও সহজ রাজনীতি"র উপর বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করা গেলে এর চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে ?



সহজ ইতিহাস : প্রথম বিশ্বযুদ্ধ --- Click This Link



কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৮৫ টি রেটিং +২৭/-০

মন্তব্য (৮৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৮

বাদ দেন বলেছেন: ভুল ছিল না রাশিয়া আক্রমন করা,
সমুদ্র পথে আক্রমণে হিটলারের অনীহা ছিল। আসল ভুল টা ছিল
মস্কোর দিকে অগ্রসর না হয়ে তেলসম্রদ্ব উজবেক অঞ্চলে আক্রমণ করা, ফলে মস্কো দিকে আগানোর আগেই ভয়াবহ শীত এসে পড়ে।

আর লেনিনগ্রাদ হুদাই অবরোধ শক্তিক্ষয় করে জার্মান বাহিনী।

তবে ২য় বিশ্বযুদ্ধ্বের আসল ফয়সালা হয় স্ট্যালিনগ্রাদেই

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আমি এভাবে দেখি না।

ব্রিটেন ধ্বংসের আগে মৈত্রি চুক্তিতে আবদ্ধ রাশিয়া আক্রমন করা অবশ্যই স্ট্র‌্যাটেজিক ভুল। এবং যুদ্ধ এক-দুই বছরের ঘটনা না, এটা চলমান প্রক্রিয়া, সুতরাং এখানে আবহাওয়া বা খাবার বা যাতায়েত সংকট এসব মূল্যায়ন করছি না! জার্মানের জন্য পূর্ব-পশ্চিম ২ ফ্রন্টে যুদ্ধের সিদ্ধান্ত এবং যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে আগমনই পরাজয়ের কারন বলে মনে করি।

ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪১

বাদ দেন বলেছেন: আর রাশিয়া যুদ্ধ্বের ২ বছর আগে ফিনল্যান্ডে যে ভাবে মাইর খাইছিল তাতে তাদের শক্তির দূর্বলটা বুঝা গিয়েছিল, কিন্তু জার্মান বাহীনির শীতের কারণে ব্লীজ ক্রিগ বন্ধ হওয়া ব্যপক ভাবে রাশিয়া পূর্নঘটিত হয়ে পড়ে

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: জার্মানী পুরো রাশিয়া দখল করলেও, রাশানরা আবার সংগঠিত হতো। নাৎসীরা ফ্রান্স এবং উত্তর ইউরোপ তো দখল করেছিল, আসলে যুদ্ধে এলাকা দখল করাই শেষ কথা না।

দখলে যারা সফল, যুক্তরাষ্ট্র বা সোভিয়েত ইউনিয়ান, তাদের স্ট্র‌্যাটেজি দেখলে বিষয়টা ক্লিয়ার হয়, তারা কিন্তু শক্তিশালী কোন দেশেই আগ্রাসন চালিয়ে সেখানে স্থায়ী হবার চেষ্টাও করে নাই! বরং নিজ আদর্শের সরকারকে সমর্থন ও সাহায্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করে।

কিন্তু নাৎসীরা সরাসরি হস্তক্ষেপ করে, যা আমার কাছে ওদের ওভার সেল্ফ কনফিডেন্স বলেই মনে হয়।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৪

বাদ দেন বলেছেন: আর জাপান পার্ল হারবারে আক্রমন না করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় কিভাবেই বা আগাত? জার্মান সাবমেরিন ত বিট্রিশ দের অই এলাকায় মোতায়েন করা সেরা দুই জাহাজ ই ডুবাই দেয়, ফলে যুক্তরাষ্ট্র রে নিষ্ক্রিয় করতে পারলেই পূরা সমুদ্রে জাপানের হাতে চলে আসে।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৫

বাদ দেন বলেছেন: যাক শেষ কথা পইড়াই কমেন্ট করসি , এবাএ পুরা লেখা টা পড়ি :)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: দুঃখজনক! ওকে, শুভপাঠ!

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৪

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: আপনারা দুই জনে এখন মারামারি কইর‍্যা ঠিক করেন কোনটা সঠিক, নাইলে বুঝতাছি না ঠিক। :(


হা হা সত্যি সত্যি আবার কইর‍্যেন না। তথ্যবহুল পোস্ট আর মন্তব্য দুইটা থেকেই অনেক কিছুই জানলাম।

অপেক্ষা পরবর্তী সিরিজের জন্য। :)


১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

হা হা হা , এটা তো তর্ক-বিতর্কের বিষয় না, আলোচনার বিষয়! তবে নানা জনের বিশ্লেষন নানা রকমের হবে এটাই স্বাভাবিক। নিজগুনে বুঝে নিতে হবে কষ্ট করে :)

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৪

মুন্ডুহীন বলেছেন: আশা করি এবার চীন-আমেরিকার মধ্যে কোল্ড ওয়ার হবে। :B

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: চায়নিজদের ইতিহাসে কোনদিন ওদের নিজ এলাকার বাইরে আগ্রহী হতে দেখা যায় নাই। দেখা যাক, এবার সাহস পায় কি না :)

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সিরিজটি ভাল্লাগছে। যথারীতি প্লাস ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৫

দূর্যোধন বলেছেন: দারুন পোস্ট।

আপনি জার্মানীর রাশিয়া আক্রমনকে ভুল স্বিদ্ধান্ত মনে করছেন,কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন না এই ডিসিশন ভুল ছিলো। এখানে যেটা ভুল ছিলো বলে ধারনা করা হয় তা হলো রাশিয়ার শীত ও ঐসময়কার জলবায়ু সম্পর্কে ঠিকঠাক ধারনা না রাখা।ঐ মূলতঃ শীতেই জার্মান বাহিনী পর্যুদস্ত হয়।

তবে জাপানের পার্ল হারবার আক্রমনে ঠিকঠাক ব্যাখ্যা এখনও জানি না :) বোকামিই বলা উচিত।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আসলে রাশিয়া আক্রমনকে ভুল বুঝাই নাই। ব্রিটেনে চলমান আক্রমন বন্ধ করে দিয়ে, সেই সময়টাতে মৈত্রী চুক্তিবদ্ধ থাকা অবস্থা রাশিয়া আক্রমন করাকে ভুল মনে করছি।

১৮৭০ এর দশকে জার্মানী প্রুসিয়া থেকে জার্মানী হয়ে অস্ট্রিয়া, ফ্রান্সের মত ২টা পরাশক্তিকে হারাইছে। কারন বিসমার্ক, পূর্ব-পশ্চিমে একই সাথে যুদ্ধের বিষয়ে সচেতন ছিল!

ভৌগলিক কৌশলগত একই রকমের ভুল কাইজার উইলহেইম করেছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে, রাশানদের দৌড়ায়ে রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে, কিন্তু রাশান ঠান্ডায় অভ্যস্ত রাশানদের তুলনায় জার্মানরা বিপদে পড়ে আর পশ্চিম থেকে ফ্রান্স ও ব্রিটেন পাল্টা আক্রমনে সফল হয়ে যায়!

তাই দ্বিতীয় বারের মত একই ধরনের সিদ্ধান্তকে ভুল বলছি।

আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্র ঠিকই যু্দ্ধে আসতো তখন নইলে কয়েকদিন পরে, ফিলিপাইন সহ প্যাসিফিকে ওদের স্বার্থ ছিল। জাপান বোধহয় আন্ডার এস্টিমেটই করে ওদের। ভেবেছিল, মাইর দিয়ে তাড়ায়ে দিবে :)

:) অবশ্য এগুলো আমার কথা, সুতরাং এর মাঝে ব্যাপক ভুল থাকতেই পারে। ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন আশা করি।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০০

বাদ দেন বলেছেন: এটা ঠিক যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে জয়েন করাই পরাজইয়ের চূড়ান্ত কারন বলা যায়, এবং এটা সত্য ১৯৪৩ তে জার্মানীর পক্ষে দুই ফ্রন্টে লড়াই করা পসিবল ছিল না কিন্তু ১৯৪০ তে ছিল।

আর মুসোলিনী হুদাই আফ্রিকায় গিয়া ব্রিটিশ দের হাতে মাইর না খাইলে, হিটলার তার পুরা শক্তি রাশিয়ায় দিতে পারত। রোমেলে এ মত জেনারেল রে মরুভুমিতে পাঠাইতে হইত না

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: জার্মান শক্তি যে নিশ্চিত এগিয়ে ছিল সেটা প্রমানিত, তাই তো, হিটলার যখন অস্ট্রিয়া এবং চেকোস্লোভাকিয়া দখল করে তখন আগের যুদ্ধে জয়ী ব্রিটেন-ফ্রান্স সেটা মেনে নেয় এবং স্ট্যালিনও শান্তিচুক্তিতে আসে! :)

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০২

অদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বলেছেন: শেষের ২ টা ছবির ৪ জনের একসাথে একটা ছবি থাকলে ভাল হত। তবে ৩ জনের এমন ছবি আছে , জানতাম না। শুধু এই জন্যই পোস্ট প্রিয়তে।

হিটলার ছিল এক খ্যাপাটে লোক। জেনারেল দের কথা না মেনে মস্কো দখল না করে মারানির এক ইউক্রেন দখল করতে গেছিল। আর এতেই নষ্ট হয় সময় , এমন শীত পড়ে যে ট্যাঙ্কের তেল জমে যায়। আমি একটা ডকুমেন্টারি তে ব্লিজারড এর তোড়ে এক জার্মান সৈনিক কে উড়ে যেতে দেখেছি , মজা না সত্যি !

আর ওদিকে জাপান হুদাই , আমেরিকা আক্রমন করে বসে । কর , একটু গুচিয়ে নিয়ে কর। সব একলগে খাওয়া যায় না , এ কথা পাগলেও বোঝে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৪

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: হিটলার সহ ছবি তো পাওয়া যাবে না, তবে শার্ল দ্যা গল সহ বাকী ৩ নেতার ছবি আছে বোধহয়। তবে রুজভেল্টের মৃত্যুর ফলে সেখানে রুজভেল্টের বদলে ট্রুম্যানকে পাবেন।

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৩

বাদ দেন বলেছেন: @দূর্যোধন , প্রথম বিশ্বযুদ্ধ্ব কিংবা নেপোলিয়নে যুদ্ধ্বের ক্ষেত্রে জএনেরেল শীতের ব্যপার টা সত্যি, জার্মান রা জানত ঠিকই কিন্তু স্ট্যালিন গ্রাদের মানব বর্ম আর লেনিন গ্রাদের অবিস্বাস্য প্রতিরোধ তাদের শীত পূর্যন্ত আটকায় রাখে

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৭

বাদ দেন বলেছেন: নাৎসীরা সরাসরি হস্তক্ষেপ করে, যা আমার কাছে ওদের ওভার সেল্ফ কনফিডেন্স বলেই মনে হয়।

এটা চিন্তা কইরা দেখসেন কত কম সময়ের মধ্যে এরা পোলান্ড রে হারাইল, বিখ্যাত ম্যাজিনো লাইন রে উড়াই দিয়া ফ্রান্স দখল কইরা নিল। ওভার কনফিডেন্স ত হইবই।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: পোল্যান্ডরে আমি নিজেও অবশ্য গনায় ধরতাম না! হিটলার তো হিটলারই :) ৯ নম্বরের উত্তরটাই এখানে আবার আসবে।

সাথে নাৎসীদের অধীনে জার্মান বাহিনীর তৎকালীন শক্তি আসলেই সবার জন্য বিস্ময় ছিল!

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৭

অদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বলেছেন: আমি শুনেছি , একটা আমেরিকান রেডিও বার্তার ভুল এংলিশ-জাপানিজ ট্রান্সলেসন এর ফলে জাপান পার্ল হারবার আক্রমন করে বসে। ভুল ত্রান্সলেসন টা নাকি এমন হয়ে গেছিল যে , আমেরিকা পার্ল হারবার এর ফ্লীট নিয়ে খুব সিঘ্রী জাপান আক্রমন করবে!

একটু বেশিই সরল হয়ে যায় কথাটা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৯

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: স্ট্র‌্যাটেজিক্যালী দেখলে , গণতান্ত্রিক দেশ এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ক মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগে-পরে যুদ্ধে ফ্রান্স-ব্রিটেনের পক্ষে আসতোই।

প্যাসেফিকে মার্কিন স্বার্থও ছিল তাই প্যাসেফিক দখলে মনোনিবেশ করা জাপানের সাথে মার্কিন সংঘর্ষের একটা সম্ভাবনা সবসময়ই ছিল, কিন্তু আবার রিয়েলিস্ট আইডিয়ায় ভেবে দেখলে ইতিহাস অন্যরকমও হতে পারতো!

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১০

অদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বলেছেন: যায় হোক জার্মানি হেরেছে কারন , It had to be like this .

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: হুমম, এটাই কারন।

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৭

ফয়সাল তূর্য বলেছেন: এইখানে দেখি ৩য় বিশ্বযুদ্ধ লাইগা গেছে! :| :|

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ক্যামনে?

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৮

মোঃ জুলকার নাঈন বলেছেন: post prote-- barbar porbo-- jotodin mukhosto na hoiche. :-B =p~ =p~ =p~

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: :) মুখস্ত করার কি উদ্দেশ্য ? ;)

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এখানে কমেন্টগুলি লক্ষ্য করেছেন ? জার্মানী/জাপান/ইটালী পক্ষেই কমেন্টগুলি যাচ্ছে। কেন জার্মানী বা ইটালী বা জাপান এই ভুলটা করল এই রকম আফসোস আরকি !

তবে ভাই যে যাই বলুন আমার কাছে হিটলারকেই সর্বসময়ের নায়কই মনে হয়। কেউ মাইন্ড কইরেন না। ও যদি চালে ভুল না করতো তাহলে আজ ইতিহাস অন্যরকম হইতো।

আর একটা কথা আমাদের নেতাজী শুভাষ বোস কিন্তু তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজকে নিয়ে জাপানী সাপোর্টে হিটলারের আগ্রহে মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। যার স্মৃতি চট্টগ্রামের ওয়ার সিমেট্রির কবরগুলি। সে আরেক ইতিহাস।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: :) এটার কয়েকটা কারন , - জার্মানী / জাপান / ইটালী আমাদের অঞ্চলে সাম্রাজ্য স্থাপন করে নাই, আমাদের সাথে সরাসরি স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন সংঘর্ষের ইতিহাসও নাই উল্টো ব্রিটেনে সাথে যুদ্ধ করছে। সো, শত্রুর শত্রু = আমার বন্ধু।

- আমরা চিরকালই বিজয়ী ও বর্তমান শাষকদের ঘৃণা এবং পরাজিতের প্রতি সমবেদনা জানাই।

- বর্তমানে সকলের কমন শত্রু যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ওরা পরাজিত হইছে, এবং যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রূপ দেখে, আমরা মার্কিনীদের বদলে জার্মানদের কল্পনা করে স্বস্তি পাই, আর সুভাষ বোসের বিষয়টা তো আছে।

তবে কেউ মাইন্ড খাইয়েন না :) আমার ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষন বলে, "অক্ষ শক্তি"র জয় হইলে বর্তমান পরিস্থিতি আরো খারাপ হইতো! হয়তো আমরা সুবিধা পাইতাম কিন্তু অন্য কারো জন্য ভয়াবহ হইতো!

১৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৫

বাদ দেন বলেছেন: @ মেঘনা পাড়ের ছেলে, অক্ষ শক্তির জয় হইলে আমরা দাস হইয়া থাকতাম।

একমত হইয়া গেলে তর্ক করুম কেমনে দূররররররররররর X(( X(( X(( X(( X((

১৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪১

সাদামাটা ছেলে বলেছেন: @ বাদ দেন ভাই, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ইতিহাস আমি পুরটা পড়েছি বলেই আপনাকে বলছি, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে জয়েন করাটাই অক্ষশক্তির পরাজয়ের মুল কারন নয়, বরং সোভিয়েত ইউনিয়ন এর কাছে জার্মানির পরপর বড় বড় কয়েকটি পরাজয় অক্ষশক্তির পরাজয়ের মুল কারন। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে যুদ্ধে আমেরিকার জয়েন করাটা অক্ষশক্তির পরাজয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ কারন। কিন্তু এটাই মুল কারন নয়। আমেরিকার আসল ক্রেডিট জাপানকে পরাস্ত করা। বলতে গেলে জাপানের সাথেই আমেরিকার আসল লড়াইটা হয়েছে। জার্মানির বিপক্ষে আমেরিকা মাঠে নামে ১৯৪৪ সালের ৬ জুন নরম্যান্দি আবতরনের মাধ্যমে। ততদিনে জার্মানির শক্তি অনেকটাই ক্ষয়ে গিয়েছিল। আপনি হয়ত আমাকে এর জন্য রুশপন্থি ভাবতে পারেন, কিন্তু সেটা হবে ভুল। কারন ২য় মহাযুদ্ধ্যের পূরনাঙ্গ ইতিহাস পড়লে আমার কথার সত্যতা আপনি পাবেন। অবশ্য এ ব্যাপারেও সাবধান। কারন, ২য় বিশ্বযুদ্ধ্যের নিরপেক্ষ ইতিহাসের বই খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টকর। ইতিহাস বিক্রিতি শুধু আমাদের দেশেই হয় না, ওদের ওখানেও হয়। বিশেষত এ বিষয়ের ওপর ইউরোপ আমেরিকার ইতিহাসবিদদের ভুমিকা বেশিরভাগক্ষেত্রেই ন্যাক্কারজনক। মুস্কিল এটাই যে এ বিষয়ের উপর যে বইগুলো বাজারে আছে তার প্রায় সবই তাদের রচনা। আমি বহু কষ্ট করে মুটমাট নিরপেক্ষ একটি বই পেয়েছিলাম। সেখান থেকেই পড়েছি।
আর আপনার শেষের প্যারার মন্তব্য আমার ভাল লাগে নি। দয়া করে আপনার বক্তব্যের মাজেজাটা একটু পরিস্কার বলবেন?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৪

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: বাদ দেন এর আগের মন্তব্যগুলোতে এবং আপনার এই আলোচনাটায় আমি কিছুটা হতাশ।

বাদ দেন অথবা ভাই আপনি, মন খারাপ করবেন না প্লিজ।

আপনারা বড় সরল করে দেখছেন বিষয়টা, এটা রাস্তার মারামারি না যে, পেটে মারার আগে চোখে মেরে দিলেই বিজয় হয়ে যেত!

এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। জার্মানী-জাপান-ইটালী ৩টা দেশই ক্ষুদ্র এবং সাম্রাজ্যহীন! ব্রিটেন-ফ্রান্স-যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একই রকম বা কিছুটা উন্নত শক্তি নিয়ে কতদিন? ( কারো কাছেই এ্যাটম বোমার মত বিশেষ কিছু ছিল না )

রাশানদের আক্রমনে জার্মানদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে যেমন সঠিক, তেমনই মার্কিন নৌ-বাহিনীর সাহায্য ছাড়া রাশানরা এটা করতে পারতো না! আবার ব্রিটিশ বিমানবাহিনী হামবুর্গ শহর ধুলায় মিশিয়ে না দিতে পারলে, জার্মান যুদ্ধাস্ত্র এত দ্রুত শেষ হতো না! কমপ্লেক্স সিচুয়েশন!

কিন্তু ফ্রান্স বা রাশিয়ার মুল ভুখন্ডে ঢুকে পড়া এবং চীন ও প্রশান্ত মহাসাগরে চলে আসা অক্ষ শক্তি'র পরাজয় নিশ্চিত ছিলই! শুধু সময়ের ব্যাপার ছিল!

নেভার মাইন্ড, আমি বোধহয় কিছুটা হতাশ তাই এভাবে লেখলাম। শিশুসুলভ আলোচনা কেন যেন ভাল লাগলো না!

মন্তব্যের শেষ লাইন ২টি কার উদ্দেশ্যে?

২০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৩২

স্বাধীকার বলেছেন:
পোস্ট ভাল হয়েছে, পোস্টটির ধারাবাহিক পর্ব চলতে থাকুক।

আমি ইতিহাস জানিনা। শুধু এটুকু জানি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ভার্সাই চুক্তিটি ছিলো জার্মানীর জন্য চরম চরম অবমাননাকর। এরকম অবমাননাকর একটি চুক্তির বেড়াজালে জার্মানদের মতো জাতীয়তাবাদীদের আবদ্ধ রাখার চেষ্টাটাও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর একটি কারন হতে পারে।
জার্মান চুক্তি করার পরও রাশিয়া আক্রমন করলে জার্মানীর বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক। সোভিয়েতে না গিয়ে বরং বৃটেনকে একেবারে করতলগত করে তারপর অন্য কিছু ভাবা উচিত ছিলো। জাপানের পার্ল হারবার আক্রমণ না করলে, যুক্তরাষ্ট্র মিত্রপক্ষে শেষ পর্যন্ত থাকলেও তেমন সুবিধা যুদ্ধাকালীন সময়ে করতে পারতোনা। জাপানের ঐ আক্রমনটি আমেরিকাকে যুদ্ধে আনে এবং জাপানকে এ্যাটমবোমা পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসাবে চিহ্নিত করার যৌক্তিকতা দেয়।

সময় এবং প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া সুবিধাও যুদ্ধে অন্যতম বিবেচ্য বিষয়-এটা তখন তেমন বিশ্লেষনে না আসলেও ইতিহাসে এর জায়গা হয়েছে ঠিকই।

ভালো থাকবেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ স্বাধীকার, আগামীতে কোল্ডওয়ার নিয়ে কন্টিনিউ করবো।

ভাল থাকবেন।

২১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৫৮

বাদ দেন বলেছেন: হিটলার নিজেই বলছিল, যে যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে একটা ঘুমন্ত সিংহ তাকে জাগাইয়ে যাওয়ার তর্ক নেই। জাপান ঠিক সেই কাজ টা করে,

যুক্তরাষ্ট্র কে ছাড়া পশ্চিম ফ্রন্টে যুদ্ধ্ব শুরু করা ব্রিটেন্এর পক্ষে সম্ভব ছিল না।
২য় ফ্রন্টে যুদ্ধ্ব শুরু না হলে , রাশিয়া একা জার্মানীর সাথে পারত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে, কারন তখন জাপানের আক্রমণে রাশিয়ারই ২ ফ্রন্টে যুদ্ধে নামতে হত। এই জন্য এটাকেই মূল কারন বলি।

তবে স্ট্যালিনগ্রাদের পরাজয়ই যুদ্ধের ফল নির্ধারক ছিল

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: এটাই ঘটনা!

২২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০৩

বাদ দেন বলেছেন: বললেন সরল ইতিহাস তাই সরল কইরাই দেখতাসি।
:)

হিটলার বলশেভিক দের ঘৃনা করতেন, তাই রাশিয়া তার কাছে ব্রিটেনের চাইনে বেশী খারাপ ছিল :P , যুদ্ধ্বে নেতার ব্যক্তি গত দূর্বলতার মূল্য দিতে হয়।

অথবা ভাই, নিরপেক্ষ বই টা নাম কন, তবে কমন পড়ার চান্স বেশী,

২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৪

মজলুম বলেছেন: বরাবরের মতই পোস্ট ভালো লাগলো। চলুক।

জাপানের আমেরিকা আক্রমনের কারন হলো, জাপান কতৃক চীনের মূল ভুখন্ড সহ প্যাসিফিক এলাকগুলো দখল করতে থাকলে জাপানের বিরুদ্বে আমেরিকা তেল সহ অন্যান্য রসদের উপর অবরোধ জারি করে। সল্প রিসোর্সের অধিকারী জাপান এই সিদান্তে পাগল হয়ে উঠে তারপর আমেরিকা হামলা চালায়।

এটা দেখতে পারেন, Japan's Decision for War in 1941: Some Enduring Lessons Click This Link

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ মজলুম ভাই।

এখন যাইতেছি ফরেন পলিসি এ্যানালাইসিস পরিক্ষায়। দোয়া কইরেন!

২৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৯

Observer বলেছেন: ওরে ওরে এত তথ্য!!!! :) :) :)
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অবসারভার ভাই। দোয়া রাইখেন।

২৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৪

সাদামাটা ছেলে বলেছেন: আমি যেহেতু ২য় মহাযুদ্ধের ইতিহাস পুরোটা পড়েছি তাই এখানে কিছু বলার লোভ সামলাতে পারছি না। অবশ্য এখানে কোন পয়েন্ট থেকে বলব সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। কারন এটা এমনই বিশাল একটা ইতিহাস যেটা পুরোপুরি ভাবে জানতে আলাদা কোন 'মহাভারত' এর বয়ান করতে হবে।
এ পোস্ট এর লেখক্ কে উদ্দেশ্য করে বলছি, আমি আপনার উপর খুব খুশি যে এত গুরুত্বপূর্ণ এক্ টি বিষয় নিয়ে আপনি লিখতে শুরু করেছেন। কারন, ২য় মহাযুদ্ধ্যের মত এত মহাগুরত্বপূর্ণ অধ্যায় এর উপর বাংলা ভাষায় লেখালেখি খুব কমই হয়েছে। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থাকে ভাল করে বুঝতে হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ্যের ইতিহাস এবং এ মহাযদ্ধ্য বাঁধার পূর্বের ইতিহাস অর্থাৎ ১ম মহাযুদ্ধের সময় থেকে এ যুদ্ধ্য লাগার মাঝামাঝি সময়ের ইতিহাস জানাটা খুব প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
আর আমার আগের লেখায় আপনি শিশুসুলভ কি পেলেন এবং কেন আপনি আমার উপর হতাশ কারনটা দয়া করে কি বলবেন?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আসলে আমি শুধু মাত্র নিরেট ইতিহাস হিসেবে লেখি নাই।

যুদ্ধকালীন ফ্যাক্টসের চেয়ে, এর আগে পরের এবং সমসাময়িক পলিসি মেকিং স্ট্র‌্যাটেজিক বিষয়ে আমি বেশী গুরুত্ব দেই। কোন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ কেন লাগলো, কি উদ্দেশ্যে যুদ্ধ লাগে, কি ফলাফল এলো, ইত্যাদি।

তাছাড়া পরিক্ষার আগের রাতে এই লেখাটা লিখেও একটু হতাশ ছিলাম বোধহয়, এর মাঝে পোস্টের প্রথম ৪টা মন্তব্যে হতাশা আরো বৃদ্ধি পায়।

যাইহোক, আমার উচিৎ ছিল নিজেকে নিয়ন্ত্রন করা এবং পাঠক চাহিদা বুঝা। আশা করি বুঝবেন, মনক্ষুন্ন হবেন না প্লিজ।

২৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৯

আশার রাজ্যে নিরাশার মেঘ বলেছেন: খুব ভাল লাগল..... আরও লিখুন....

সবার বিতর্ক থেকে অনেক কিছু জানা যাচ্ছে... আমি ২য় মহাযুদ্ধের কোন বই পড়িনি, তবে যা জেনেছি তা ডকুমেন্টারী (বিবিসি) দেখে দেখে... ওই ডকুমেন্টারীতে অবশ্য প্রচন্ড শীত আর তুষার ঝড়কে জার্মানীর রাশিয়া ফ্রন্টে যুদ্ধের একটা বড় পয়েন্ট হিসেবে দেখানো হয়েছে।

তবে হিটলারের জাতীয়তাবোধ কে আমার খারাপ লাগে না। কিন্তু, যে রকম নৃশংস ছিল, তাতে তার জাতীয়তাবোধ যে খুব উগ্র ছিল তা অনায়াসে বলা যায়।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ডকুমেন্টরীগুলো অনেক তথ্য দেয় কিন্তু নির্ভর করে ওদের ফোকাস কিসের উপর। তবে, ২য় বিশ্বযুদ্ধ বিরাট ইতিহাস সুতরাং নিয়মিত ডকুমেন্টারী, আর্টিকেল, বই পেলেই গ্রহন করুন, অনেক লাভ হবে :)

২৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪

বাদ দেন বলেছেন: ২য় মহাযুদ্ধ্যের মত এত মহাগুরত্বপূর্ণ অধ্যায় এর উপর বাংলা ভাষায় লেখালেখি খুব কমই হয়েছে

আসলেই বিবেকানন্দ মুখোপধ্যায়ের ২য় বিশ্ব যুদ্ধ্বের ইতিহাস এর ২ পাত্তর খন্ড ছাড়া বাংলায় আর ভালো কোন বই পাই নাই

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: তাইলে , আগামী ৩ বছরের মাঝে কেউ না লেখলে আমিই লেখুম!

২৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৬

আপেল বেচুম বলেছেন: ''মুসোলিনি, হিটলার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত স্বৈরাচার ছিল!''
এই বিষয় নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলামহিটলার :: একনায়ক/স্বৈরাচারী ? না কি গণতান্ত্রিক নেতা?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনার পোস্টটা যথাযত। তবে প্রশ্ন করেছেন হিটলার কিভাবে স্বৈরাচারী, একনায়ক।

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেও ফ্যাসিজম আসতে পারে। ওরা শুধু নির্বাচিত হয় গণতন্ত্রের দ্বারা কিন্তু সরকার পরিচালনা করে এককভাবে! তাই ওরা একনায়ক।

২৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: ১৯৩৮ সালে অস্ট্রিয়াকে জার্মানীর সাথে একীভুত করা হয়। ( যদিও অস্ট্রিয়ানরা বলে হিটলার এমনটা জোর করে করেছিল , কিন্তু আমার মনে হয় ঘটনা ভিন্ন
----

জার্মান সৈন্য মার্চ করে ঢুকে , অস্ট্রিয়ার ততকালীন অবস্থা জার্মান থেকে খারাপ ছিল, হিটলার অস্ট্রিয়ান,
সব বিবেচনায় তারা ৮৫% জনগন সগৌরবে হিটলারকে গ্রহন করে ।

তবে ১৫% ০৫ কোড নামে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন তৈরী করে । যারা নিজ দেশকেই শুধু বুঝত !

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: অস্ট্রিয়া সম্পর্কে আমার অনেক আগ্রহ আছে। দেশটা এবং বেশ কিছ মানুষের সাথে আমার বেশ ভাল সম্পর্কও হইছে তবে, আমার মনে হয় সুযোগ-সুবিধা পাইলে ওরা আবারও একই কাহিনী ঘটাবে।

সব অস্ট্রিয়ানই কমবেশী হিটলার ( কৌতুক করে বলা ) :|

৩০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ১৮ নং কমেন্টে বাদ দেন বলেছেন: @ মেঘনা পাড়ের ছেলে, অক্ষ শক্তির জয় হইলে আমরা দাস হইয়া থাকতাম।

আমি একমত নই।

কেন নই তা ব্যাখ্যা করছি, ধরুন আপনি একজনকে পছন্দ করে বিয়ে করলেন। প্রেম পর্ব এবং বিয়ে পর্ব যেহেতু এক নয় তাই অনেকেই পরে হতাশ হয়। তখন যার সাথে বিয়ে হয় নি তার কথা জীবন চলার পথে ধাক্কা খেলেই মনে পড়াই স্বাভাবিক। তখন মনে হতেই পারে আহা উহার সহিত যদি বিবাহ হইতো তা হইলে কতই না সুখে দিনাতিপাত করিতাম !

গুরুগম্ভীর একটা বিষয়কে কি খানিকটা হালকা করে দিলাম ? :P

যে যাই বলুন হিটলার হিটলারই । নামট যেমন ব্যাক্তিত্বও তেমন। হিস্টরী চ্যানেলে তার স্পীচ দেখা আমার একটা হবি। ;)

বলে রাখি, কিছুটা আপনার সাথে একমতও :(

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ব্যাখ্যা চমৎকার, এমনটাই ঘটনা, যা নাই সেটাই উত্তম মনে হয়, কিন্তু এটা মনে রাখা দরকার যা আছে সে যোগ্য বলেই টিকে আছে!

যদিও বিষয়টা বড়ই আপেক্ষিক!

হিটলার একটা নাম নয়, একটা ইতিহাস!

তাই ওর প্রতি মুগ্ধ মানুষের সংখ্যাও কম না।

৩১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: অস্ট্রিয়া সম্পর্কে আমার অনেক আগ্রহ আছে। দেশটা এবং বেশ কিছ মানুষের সাথে আমার বেশ ভাল সম্পর্কও হইছে তবে, আমার মনে হয় সুযোগ-সুবিধা পাইলে ওরা আবারও একই কাহিনী ঘটাবে।

---------------

অস্ট্রিযার পক্ষে হিটলারী চাল মনে হয় আর চালা সম্ভব না । কারণ তারা এখন নয়ট্রাল হিসেবে রয়েছে । টাকা আছে কিন্তু সেনাবাহিনীর প্রতি তারা এত উদার নয় ।

যদিও হিটলারী কর্মীদের অভাব নাই ;)

কিন্তু এদের মাঝেই কিছু ভাল লোক আছে যারা বিপরীত হিটলারী :)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: অস্ট্রিয়ানদের ভালই লাগে আমার কাছে। বেশ স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড আর এ্যাভারেজ স্মার্ট পাবলিকের সংখ্যা বেশ ভালো।

তবে আশ্চর্যজনক বা দুঃখজনকভাবে জীবনে একবারই ডিস্ক্রিমিনেট ব্যাবহারের শিকার হইছিলাম, ঐটা সালজবুর্গ সেন্ট্রাল স্টেষনের সামনে!

এক গরীব এবং সম্ভবত পাগল মহিলা বলতেছিল যেন, ইউরোপকে ছেড়ে দেশে চলে যাই, হেন তেন! আমি ডয়েচ বুঝি না আর পরে লোকাল কয়েকজন ফ্রেন্ড মহিলারে ব্যাপক ঝাড়ি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়!

৩২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। আমার জানা ইতিহাসের সাথে মিলে যায়। আমার মনে হয় হিটলার মানুষকে নিজের দিকে আনতে যতটা পটু ছিলেন, সামরিক দিকে ততটা নয়। এজন্য তার ভুল সিদ্ধান্তের মুল্য দিয়েছে জার্মানী।

জার্মানী যদি ৪০-৪২ এর মধ্যে পূর্ণ শক্তিতে ব্রিটেন দখলে চেষ্টা চালাতো, তবে সেটাই ঠিক হত। রাশিয়াকে জার্মানী পরেও দেখে নিতে পারতো। জাপান নিজেদের শক্তি আরো বাড়িয়ে জার্মানীর সাথে মিলে রাশিয়া দখল করতে পারতো ব্রিটেন দখল শেষ হলে। আর সবকিছু শেষ হলে আমেরিকার দিকে আগানো যেত হয়তো, কিন্তু সেটা সত্যি খুব কঠিন হত। আমেরিকা অনেক দূর আর অবস্থানও এমন যে আক্রমন করাটা খুবই কঠিন। আমেরিকাকে নিজের মত থাকতে দিলেই ভাল করতো জাপান। অন্তত নিজেদের আমেরিকার চেয়ে শক্তিশালী না করে আক্রমনে যাওয়াটাই ভুল হয়েছে। জাত্যাভিমান দিয়ে জীবন দান করা যায়, যুদ্ধ জয় না।

পোস্ট ভালোলাগলো। +++

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমিও আপনার মূল্যায়নের সাথে একমত।

পোল্যান্ড আক্রমনের পর ব্রিটেন আর ফ্রান্স যারা জার্মানীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষনা করেছিল তাদের যদি গুড়িয়ে দিয়ে সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকতো তবে ইতিমধ্যেই (অনাগ্রাসন) মৈত্রিচুক্তিতে আবদ্ধ রাশিয়ার সমস্যা হবার কথা নয়।

আর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগির লক্ষ্যে আলোচনায় বসলে দুই পক্ষের মাঝে সমাধান হতোই! প্রতিটা দেশ চায় নিজ নিরাপত্তা এবং সম্পদের নিশ্চয়তা। সে ক্ষেত্রে হয়তো আজকের জার্মানী-জাপানের মত ফ্রান্স-ব্রিটেন ব্যাকহ্যান্ডেই পড়ে থাকতো।
আর সামনের কাতারে ( জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে) পেতাম জার্মান-জাপান-যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া-ইটালি'কে :)

পলিসি এ্যানালাইজারদের মতে, আমার এই বিষয়ের প্রফেসরের মতেও জার্মানী-জাপানের সবচেয়ে বড় সমস্যা ওরা ইর‌্যাশনাল প্লেয়ার ছিল। র‌্যাশনাল চিন্তা করার ব্যার্থতাই ওদের পতনের কারন।

আগামীতে কোল্ডওয়ার নিয়ে লেখবো, সেখানে দেখা যাবে, যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত রাশিয়া কত ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝে দিয়ে গেছে কিন্তু ওরা শেষ পর্যন্ত র‌্যাশনাল ছিল বলেই সরাসরি যুদ্ধ এড়াতে পেরেছে!

ভাল থাকবেন, আপনার মন্তব্যেও অনেক ভাল লাগলো।

৩৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন:। আমেরিকাকে নিজের মত থাকতে দিলেই ভাল করতো জাপান। অন্তত নিজেদের আমেরিকার চেয়ে শক্তিশালী না করে আক্রমনে যাওয়াটাই ভুল হয়েছে।


.............

সমর্থন করলাম না, পার্ল হারবার এর আক্রমণ কি আপনি ভুলে গেছেন ?

কি রকম ভয়ংকর কচু কাটা করেছে ?

সম্পূর্ণ কয়েকটা ফ্লিট আজ পানির নীচে !

আমেরিকাকে সুপার পাওয়ার ভাবা ধারনাটা ভুল ।

জার্মান যথেষ্ট শক্তিশালীই ছিল কিন্তু রণকৌশলে ডেজার্ট ফক্স এর মৃত্যুতে সব উলট পালট এর দিকে চলে যায় ।

আশা করি আপনি ডেজার্ট ফক্স কে ! তাকে চিনেন ।

আমেরিকা যে শক্তিতে জার্মান সীমানায় আসে তার তিন গুন শক্তিতে জাপান ঝটিকা অভিযান চালায় পার্ল হারবার এ !

যা আমেরিকা আজও ভুলতে পারে নাই !

তাই তো এ্যাটম বোমা !



১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, মার্কিন ভুমিতে একটা বোমাও কিন্তু ফেলতে পারে নাই। পার্ল হারবার আর মার্কিন মাটি অনেক আলাদা।

আমেরিকা আক্রমন করে তাদের স্ট্রাকচার ধ্বংস করা অথবা মার্কিন মাটিতে আগ্রাসন জাপানিরা জীবনেও করতে পারতো বলে মনে করেন?

হিট আর টেক ওভার ২টা সম্পুর্ণ আলাদা।

কিন্তু মার্কিনরা জাপানের মাটিতে হামলা করেছে। এ্যাটম বোমার আগেই যুদ্ধ বিজয় নিশ্চিত করেছে! এবং আজ পর্যন্ত বেস নিয়ন্ত্রন করছে!

৩৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩১

রিফাত হোসেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, মার্কিন ভুমিতে একটা বোমাও কিন্তু ফেলতে পারে নাই। পার্ল হারবার আর মার্কিন মাটি অনেক আলাদা।

আমেরিকা আক্রমন করে তাদের স্ট্রাকচার ধ্বংস করা অথবা মার্কিন মাটিতে আগ্রাসন জাপানিরা জীবনেও করতে পারতো বলে মনে করেন?

হিট আর টেক ওভার ২টা সম্পুর্ণ আলাদা।

কিন্তু মার্কিনরা জাপানের মাটিতে হামলা করেছে। এ্যাটম বোমার আগেই যুদ্ধ বিজয় নিশ্চিত করেছে! এবং আজ পর্যন্ত বেস নিয়ন্ত্রন করছে!

-----------

জনবলও একটা বড় ব্যাপার !!! :)

রাশিয়া যদি শত্রু পক্ষের থাকত, আই মিন হিটলার এর পক্ষে তাহলে আজ বিশ্বের মানচিত্র অন্য রকম হত ।

আর পার্ল হারবার এর কঠিন ধ্বংস যজ্ঞ আজও তারা চোখের পানির সাথে স্মরণ করে !


আর ব্রিটিশদের নৌ বহর তো জাপানীদের আগ্রসনে কঠিনভাবে বিধ্বস্ত হয় সেটা কিন্তু ভোলার নয় !

আমি মনে করি, রাশিয়ার কারনেই পৃথিবীর ২য় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস পরিবর্তন হয়েছে । :)

আমি মনে করি সেটা আপনিও মনে করেন । :)

আমি সময় পেলে,

অস্ট্রিয়ান সমর মিউজিয়াম এর হিটলারী কাজ কারবার চিত্র হয় প্রকাশ করার চেষ্টা করব :)

কতটুকু সাফল্য তারা পাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তারা বিফলে গিয়েছে একমাত্র রাশিয়া বিরোধী হবার কারনে !

২০ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৩৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: রাশিয়া অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্টর , ওরা যদি অক্ষ শক্তি'তে যোগ দিত তাহলে ইতিহাস অন্যরকম হবার সম্ভাবনাই বেশী ছিল।

তবে, আমি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া ভূমিকাটারেই বড় করে দেখি। কারন মার্কিন ভৌগলিক অবস্থান একটা ব্যাপক ব্যাপার। অর্থনৈতিক শক্তিও ছিল।

তবে এটাও সত্য রাশিয়া-জার্মান-ইটালি-জাপান মিত্র হলে যুক্তরাষ্ট্র ওদের সাথে সন্ধি করার কথা, কারন ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্রিটেন আর ফ্রান্স ছাড়া ইউরোপের মাটিতে যাবার সাহস যুক্তরাষ্ট্রের হইতো না।

ইতিহাসে অস্ট্রিয়া একটা ব্যাপক ফ্যাক্টর, আপনি লেখেন ভাই, অপেক্ষায় থাকবো।

৩৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩৫

বাদ দেন বলেছেন: রাশিয়ার কারনেই পৃথিবীর ২য় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস পরিবর্তন হয়েছে

Stalingrad where the faith of the earth has decided

২০ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৩৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আইচ্ছা।

৩৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:০১

রিফাত হোসেন বলেছেন: অস্ট্রিয়ার স্কুলে থাকতে অনেক জেনেছিলাম, এখন হয়তো সব মনে নাই, তবে যতটুকু আছে ততটুকু শেয়ার করার চেষ্টা করব । ধন্যবাদ ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫২

সাদামাটা ছেলে বলেছেন: কেন মার্কিনদের ভুমিকা আপনি বড় করে দেখেন এ্কটু বিশদভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

২০ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: মার্কিন ভূমিকা বড় করে দেখছি কারন রসদ যোগান দেয়ার জন্য মার্কিনদের ছিল অক্ষত এবং বিশাল আয়তনের একটি ভূমি, সামরিক শক্তির যোগানের জন্য শক্তিশালী অর্থনীতি, এবং অক্ষত সামরিক শক্তি।

যা শুধু চলমান যুদ্ধে পার্থক্যই গড়ে দেয় নাই বরং দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধে বিজয়ও নিশ্চিত করে।

৩৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সাদামাটা ছেলে বলেছেন: এখানে ২য় মহাযুধ্য বাধার পেছনের কারন যেগুলো খুবই গুরুত্ব পূর্ণ সেগুলো আমি একটু তুলে আনতে চাই। বেশির ভাগ পাঠকই একটী বিষয়ে একমত হবেন যে, জার্মানির হিটলারের কারনেই ২য় মহাযুদ্ধ বেধেছিল। সরল চোখে এটি সবাই দেখে থাকেন। কিন্তু, বিজ্ঞানসম্মতভাবে বিচার করলে এ্কথা আসলে ভুল। কেননা কেবলমাত্র হিটলার এর জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী নন। তৎকালীন দুনিয়াতে বিশেষত ১ম মহাযুদ্ধের পরবর্তী দুনিয়ার রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ঔপনিবেশিক সংঘাতগুলিই এ যুদ্ধের দিকে দুনিয়াকে ঠেলে দিয়েছে। হিটলার সেখানে একজন বড় খেলোয়াড় ।
হিটলার তার 'মাইন কাম্ফ' বইতে একটী নাৎসি রাষ্ট্রের যে সমস্ত নীতি ও লক্ষ্যর কথা বলেছিলেন সেগুলো পুরন করতে কিছু কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। যেমন,
[১]চিরন্তন সংগ্রামে মানুষ হয়েছে সর্বাপেক্ষা শ্রেশ্ষ্ঠ, আর চিরন্তন শান্তিতে মানুষ হবে ধ্বংস।
[২] যদি যুদ্ধের উদ্দশ্যে কোন মৈত্রী অনুস্থিত না হয় তবে তা নিতান্ত বাজে এবং অর্থহীন।
[৩] ইউরোপে কখনও দুটি রাষ্ট্রশক্তিকে মাথা তুলে দাড়াতে দিও না। জার্মানির পাশে ইতমধ্যে এমন কোন রাষ্ট্রশক্তি থাকলে অথবা ভবিষ্যতে গড়ে উঠার সম্ভাবনা থাকলে তাকে ধ্বংস করাই হবে মহত্তম কাজ।
[৪] বিশ্বরাষ্ট্রসঙ্ঘ বা ঈশ্বরের কাছে আবেদন করলেও জার্মানির দখল করা রাজ্যগুলো ফেরত পাওয়া যাবে না, একমাত্র সশস্ত্র বলপ্রয়োগ ছাড়া। তিব্র প্রতিবাদের দ্বারাও নয়, একমাত্র তরবারির শক্তিতেই এ সমস্ত দেশের পুনরুদ্ধার সম্ভব। সুতরাং পররাষ্ট্র নীতিতেও এ তরবারির সহযোগিতা খুজতে হবে।
[৫] পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য হল জার্মানির সমস্ত ভূমি ও দেশগুলো ফেরত পাওয়া।
[৬] কেবলমাত্র ১৯১৪ সালের জার্মান রাষ্ট্রসীমানার উদ্ধারই জার্মানির দাবী নয়।
[৭] পূর্ব ইউরোপ ও বিশেষভাবে সোভিয়েত রাশিয়া থেকে নতুন দেশ কেড়ে নিয়ে জার্মান সাম্রাজ্য বিস্তার করতে হবে।
[৮] বর্তমানে ব্রিটেন ও ইতালিকে হাতে রেখে ফ্রান্সকে ধ্বংস করতে হবে। এ দ্বারা ইঙ্গ-ফরাসী 'আঁতাত' বা মৈত্রী ভেঙ্গে যাবে। ফলে, জার্মানির গতি স্বছন্দ, পা্শ্বদেশ সুরক্ষিত ও কাঁচামালের পথ সুগম হবে।
[৯] যে রাষ্ট্র জাতির শ্রেষ্ঠত্ব বিকাশের উপাদানগুলো এভাবে পরিপুষ্ট করে সে রাষ্ট্র একসময় বিশ্ব এর প্রভু হতে পারবে।
এই ছিল তৎকালীন নাৎসি জার্মানির স্পস্ষ্ট উদ্দেশ্য ও নীতি।
জার্মানির ভারসাই সন্ধি ভঙ্গ, পররাজ্যগ্রাস সাম্রাজ্য বিস্তার, ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ তৈরি এবং যুদ্ধযাত্রার কোন 'মতলব' হিটলার গোপন করেন নি।
সবাই এক্ষেত্রে প্রপ্শ্ন করতে পারেন যে, হিটলারি জার্মানির এ সমস্ত মতলব জানার পরও ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকার মত শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো হিটলারকে বাধা দিলেন না? কেন এতবড় যুদ্ধের দিকে দুনিয়াকে ঠেলে দিলেন?
এর প্রধান কারন হচ্ছে ইউরোপে নবগঠিত রাষ্ট্র সোভিয়েত রাশিয়ার প্রতি ধনতান্ত্রিক পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর তীব্র বিদ্বেষ এবং তাদের নিজেদের মধ্যকার স্বার্থসঙ্ঘাত ও বিরোধ।
রাশিয়ায় কমিউনিজম যাতে মাথা তুলে দাড়াতে না পারে সেজন্য পশ্চিমা দেশগুলো অনেক আগ থেকেই অর্থাৎ গোঁড়া থেকেই চেষ্টা করছিলো। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী Lloyd George ১৯৩৩ সালে এক বক্ত্রিতায় স্পস্তভাবে বলেন যে যদি শক্তিবর্গ জামানিতে নাৎসিদের পতন ঘটায় তাহলে নিশ্চয় কোন রক্ষণশীল, সমাজতান্ত্রিক বা উদারনৈতিক শাসন প্রতিস্থিত হবে না। হবে চরম সাম্যবাদ বা Extreme Communism এর প্রতিষ্ঠা। কমিউনিস্ট রাশিয়ার চেয়ে কমিউনিস্ট জার্মানি অনেক বেশি বিপজ্জনক হবে। ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ পারলামেন্টের হাউস অব কমন্স এর সভায় তিনি আরও স্পস্ত করে বলেন ইউরোপে কমিউনিজমের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ রক্ষণশীলদের একমাত্র বড় আশ্রয় জার্মানি এবং ২/১ বছরের মধ্যেই এজন্য জার্মানির দিকে আমাদের তাকাতে হবে। জার্মানি ইউরোপের ঠিক মাঝখানে। সুতরাং জার্মানির আত্মরক্ষার প্রাছির যদি ভেঙ্গে যায় এবং কমিউনিস্টরা যদি তাকে পেয়ে বসে তাহলে গোটা ইউরোপ সাম্যবাদী হয়ে পড়বে। সুতরাং জার্মানিকে নিন্দা না করে বরং তাকে সাদর আহবান জানানো উচিৎ।
এভাবে ব্রিটিশরা হিটলারি জার্মানিকে বন্ধুর মত গ্রহন করল এবং তারা হিটলারের পক্ষপাতি হয়ে উঠল । ব্যংক অব ইংল্যান্ড জার্মানির অস্ত্রসজ্জার জন্য অর্থের যোগান দিতে শুরু করল। Vikers Armstrong Company জার্মানিকে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করল।
[সুত্রঃ 'দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ইতিহাস' - বিবেকানন্দ মুখপাধ্যায়, ১ম খণ্ড]

২০ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: যথাযত পর্যবেক্ষন। সমাজতন্ত্রকে আটকে দেবার জন্য জার্মানী বাফার জোনের কাজ দিয়েছে। এবং একই কারনে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরেও জার্মানীকে নিশ্চিন্হ ( ডিসমেন্টাল ) করা হয় নাই।

তাছাড়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানীর উপর সামরিকায়নের নিষেধাজ্ঞা ছিল কিন্তু ফ্রান্স এবং রাশিয়ার কাউন্টার ওয়েট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্রিটেন ওদের সামরিকায়নের অনুমুতি দেয়।

এজন্যই এটা সবসময় মনে রাখতে হবে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি হচ্ছে "ব্যালেন্স অব পাওয়ার" এর খেলা। এর নিয়মের উপরই নির্ভর করবে কে কখন কার বন্ধু হবে!

ধন্যবাদ বিশ্লেষনটি শেয়ার করার জন্য।

৩৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৫

ক্রন্দসী বলেছেন: ভাইয়া জাস্ট এক নিশ্বাসে পড়লাম।আর রিভিশন দিলাম।ভাই।দেরী হয়ে গেলো আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে।আমার ধারনাতে ভুল থাকলে শুধরে দিবেন দয়া করে
১ম টার পর পৃথিবীতে চলছে বাজার সন্কট,সব উন্ণত দুনিয়া তে উপচে পড়া ঊৎপাদন কিন্তু বাজার সীমিত,জর্মনের এমনিতেই উপনিবেশ কম।অপর দিকে, ফ্রান্স ইটালিয়া ইংল্যান্ড এর ডিফল্ট বাজার হলো উপনিবেশ সমুহ।আমেরিকা এতদিনে সবচাইতে উন্নত রাষ্ট্র।গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সভিয়ট রাষ্ট্রের নতন ভাবে আগমন।এজন্য মিলিয়ন মার্ক ঋণ থাকা সত্বেও আমেরিকার পরোক্ষ সমর্থনে জর্মনির ফুলে ফেঁপে উঠা।অপর দিকে আমেরিকা গ্রেট ডিপ্রেশনে।জাপান মেজি রেস্তোরেশনের পর জাপান আর ইউরোপকে জ্যাঠা আংগুল দেখান। বাজারের প্রয়োজনে আমেরিকার দরকার উপনিবেশ ঠেকানো।এ জন্য রাশিয়াকে কামড় দেবার জন্য তৈরি করা জর্মনকে ব্যবহার করে।আখেরে লাভ আমেরিকার
১।উপনিবেশ গুলো মু্ক্ত-উনারা নব্য উপনিবেশ হিশেবে ওদের পেল
২।আমেরিকা মহামন্দা কাটানো
৩।রুশিদের ঠান্ডা করতে অবশ্য ৯০ সাল পর্যন্ত সময় নিয়ে ফেলেছিলো

২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: :) খুব সুন্দর। আসলেই, আমি এভাবে দেখি যে, ইউরোপের ব্যালেন্স অব পাওয়ার ঠিক রাখতেই ব্রিটেন আর যুক্তরাষ্ট্রই জার্মানীকে ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়। পরে অবশ্য মহামন্দার ধাক্কায় জার্মানীর উপর নিয়ন্ত্রন হারায় ওরা। এরপর জার্মান-জাপান "নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার" প্রতিষ্ঠায় পরিকল্পনা গ্রহন করে। যেটা তাদের মিত্র ছাড়া সবাইকেই আতংকিত করে। এবং সংঘর্ষ অবধারিত হয়ে পড়ে।

হিটলার আর জাপানের "ইল এ্যাডভাইসড" আক্রমন অক্ষ শক্তির পরাজয়ের কারন হয়ে দাড়ায় কিন্তু আপনার বিশ্লেষন সঠিক যে, যুদ্ধ থেকে সর্বোচ্চ লাভবান হয় যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপের প্রাক্তন উপনিবেশগুলো এখন স্বাধীনরূপে পুঁজিবাদের আওতায় পেয়ে যায়। ইউরোপের পুনর্গঠনের জন্য পণ্য এবং ঋন প্রদান, সামরিক ঘাটি তৈরী, বিশ্বজুড়ে বাজার প্রতিষ্ঠা সহ শত শত সুবিধা শুধু যুক্তরাষ্ট্রই ভোগ করে।

ধন্যবাদ আপনাকে , বিশ্লেষনটা ভাল লাগলো।

৪০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৩

ক্রন্দসী বলেছেন: ৪ ভুলে গেছিলাম বোমা গুলার টেস্ট নিশ্চিত করা

২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: সবাই অবশ্য তখন এ্যাটম বোমা'র লক্ষ্যে কাজ করছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রই সফল হয়। তাই তারা এর প্রয়োগ দেখার সুযোগ মিস করে নাই!

৪১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৭

ক্রন্দসী বলেছেন: জানিনা এখানে প্রাসংগিক কি না,উপনিবেশ মুক্ত করতে হবে এশর্তে স্তালিন ২য় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়।পুঁজির বিকাশ আর বাজার দখলের যুদ্ধ,মারক্সিস্ট তত্বে এ যুদ্ধে আসার কারণ নাই,কিন্তু রুশি দের সাথে অনাক্রমণ চুক্তি থাকা সত্বেও জর্মন কর্তৃক সভিয়ট যখন আক্রান্ত হলো তখন কিছু করার ছিলোনা।উপনিবেশ মুক্ত করলো কে আর বাজার পেল কে?স্তালিনের মৃত্যুরপর সভিয়ট হাজির হয় পুঁজিবাদের নতুন চরিত্রে ,এ চরিত্রের নাম দিলো সংশোধন বাদি ধারা। ব্রজেনভ(গাঁধার বাচ্চা)এখানে বিশাল ভুল করলেন।ফলে আমেরিকা ৯০ এ সভিয়ত ভেন্গে যাই।
পোরেষ্ত্রেইকার পর বুশ এর বাবা বুশ বল্লেন সমাজবাদিদের কফিনে শেষ পরেরেক আমি ঠুকলাম।পেরেক মারা শুরু ৬৩ তে শেষ হলো ৯০ এ।আরেকটা বিষয় ইহুদিদের মারার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস কারী ইহুদিরা জড়িত(এটা আমি মনে করি ,ভুল হতে পারে)।৬০লাখ মরার পর ওরা দুনিয়াত ওরা আবার কামব্যাক করলো?মোদ্দাকথা পূঁজির বিকাশে বাধা আসলে যুদ্ধ আর যুদ্ধের ছুঁতার জন্য উগ্র জাতিয়তাবাদ কে উস্ক্ে দেয়া

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আমি আসলে রাশানদের লেখা ইতিহাস এখনো পড়ি নাই সেজন্য রাশান মোটিভ সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ। তবে আপনার সাথে একমত যে ৬২-৬৩ থেকেই সোভিয়েত পতনের সূচনা, এরপর শুধু টিকে থাকার লড়াই করে গেছে।

কিন্তু ব্রেজনেভের হাতে অন্য কোন উপায় ছিল কি?
সোভিয়েত পতন নিয়ে কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে একটা পোস্ট ছিল আমার, Click This Link

ইহুদিদের বিষয়টাও বিরাট ঘোলাটে অধ্যায়, তবে আপাতত যতটুকু জানি তার উপর ভিত্তি করে ২য় বিশ্বযুদ্ধটাকে পশ্চিমা ইঞ্জিনিয়ারিং বলার চেয়ে নাৎসী উচ্চাভিলাষের ফলই মনে হয়!

৪২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩০

ক্রন্দসী বলেছেন: ধন্যবাদ ঐ লিনকে আমার মন্তব্য ত আপনার সদয় উপস্থিতি কামনা করছি

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: কোন লিংক ভাই?

৪৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৬

ক্রন্দসী বলেছেন: ইমেডিয়েট আগের কমেন্টের লিংকটা

২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ওকে!

৪৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম...ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য

৪৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম...ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য

৪৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ইঙ্গ্যাল বলেছেন: এ বিষয়ে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের কিছু অংশ শেয়ার করি,
জার্মানরা রাশিয়াতে পর পর ৪টা যুদ্ধে হেরেছিল। মস্কো, লেনিনগ্রাদ, স্ট্যালিনগ্রাদ এবং ক্রুস্ক। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর ছিল ক্রুস্কের যুদ্ধ। যেটাতে জার্মানীরা হেরে একদম পর্যুদস্ত হয়ে পরে।
কারণ যাই হোক জাপানের পার্ল হারবার এ্যাটাকও ভুল ছিল কারণ এর পর জাপানিজরা আমেরিকানদের আর কিছুই করতে পারে নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.