নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তাহাই লেখি যখন চাহে এ মন যা...

ঘরহীন

পথে পথে ঘুরে পথ খুঁজি...ঘর পালিয়ে আমি ঘর খুঁজি...

ঘরহীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই আলোচনাঃ গন ফর গুড - হারলান কোবেন

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বইয়ের পাতা থেকেঃ

এগারো বছর আগের কথা। প্রতিবেশী এক মেয়ে, জুলি মিলারকে ধর্ষণ শেষে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে যায় উইল ক্লেইনের বড় ভাই, কেইন। সেই থেকে, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ সে। ধারণা করা হয় মারা গিয়েছে কেইন।



কিন্তু, মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে উইলের মা ফিসফিস করে বলে গেলেন, বেঁচে আছে কেইন! অবিশ্বাসের দোলাচলে দুলছে উইলের মন, তারই প্রথম প্রেমকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ যে ভাইয়ের বিরূদ্ধে, সারাজীবন তার নাম কিংবা বদনামের আড়ালেই ঢাকা পড়ে থাকতে হয়েছে তাকে। এখন কি করবে সে? কার কাছে খুলে বলবে এই অসম্ভব সত্যটাকে? পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলে মায়ের মৃত্যুর পরপরই কিছু না বলে উধাও হয়ে গেল উইলের বর্তমান প্রেমিকা শিলা রজার্স।

ঐদিকে, এফবিআই এর অন্যতম সেরা গোয়েন্দা জোসেফ পিস্টিলো এখনো জোঁকের মতন লেগে আছে কেইনের খোঁজে। ব্যাপারটা যে তার কাছে একেবারেই ব্যক্তিগত। উইলের হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকা শিলাকেও সন্দেহের তালিকায় রাখছে সে, কারণ তার রহস্যময় অতীত যা নিয়ে কখনোই মুখ খুলে নি শিলা; এমনকি উইলের কাছেও।

জুলির ছোটবোন কেটি আর বন্ধু স্কয়ার-কে সাথে করে উইল খুঁজতে শুরু করল কেইন আর শিলাকে। একদিকে পিস্টিলো ভয় দেখাচ্ছে আইনের নিয়ম-কানুনের, অন্যদিকে কেনের এককালের সহপাঠীরা হুমকি দিচ্ছে এই খোঁজ থেকে সরে আসতে, তা না হলে নিজের প্রাণটাও হারিয়ে বসতে পারে উইল।



কিন্তু, বহু বছর পর নিজের ভাইয়ের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা উইল এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, শেষ না দেখে ছাড়বে না এই রহস্যের। রাস্তার পাশে পড়ে থাকা শিলার মৃতদেহ উইলের কানে কানে বলে গেল, ছুটতে হবে আরও দ্রুত যদি বাঁচাতে চায় নিজের ভাইকে, কেটিকে কিংবা নিজেকেও- এই মরণফাঁদ থেকে!!!

কেমন লাগলোঃ

কোবেন দারুনভাবে কাহিনীর জট খুলেছেন। চোখ আটকে থাকতে বাধ্য হয়েছে বইয়ের পাতায়। সেই সাথে দমবন্ধ করা অনুভূতি, কি হয় কি হয়! আর, টুইস্ট - মুখ হাঁ করে ফেলতে বাধ্য হয়েছি। তাও, একটা-দুটা নয়, একের পর এক টুইস্ট এসে চমকে দেয়। কোবেনের বই খুবই আস্তে রহস্য ছড়িয়ে যায়, যা আমার খুবই পছন্দ। সময় নিয়ে পড়া যায়, ভাবা যায়। কারণ, শুরুতেই খুনী কে বা রহস্যটা কি তা ধারণা করার মতন উপায় থাকে না। কাহিনীর সাথে সাথে প্রধান আর অপ্রধান চরিত্রগুলো লেখাতেও দারুন মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন কোবেন, প্রতিটা চরিত্র নিজের জায়গায় উজ্জ্বল। খুন-জখমের মারমার-কাটকাট বর্ণনা, পাতা উলটে যাওয়ার তাগিদ, শেষ জানার আগ্রহ - সব মিলিয়ে দারুণ একটি বই 'গন ফর গুড।'

বইয়ের বিস্তারিতঃ

বইঃ গন ফর গুড
লেখকঃ হারলান কোবেন
অনুবাদকঃ সালমান হক
প্রকাশনীঃ চিরকুট
প্রচ্ছদঃ সজল চৌধুরী
মূল্যঃ চারশত পঞ্চাশ টাকা

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর কাহিনী। শেয়ারে ধন্যবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৯

ঘরহীন বলেছেন: জ্বি, নিঃসন্দেহে অসাধারণ একটি বই। পড়ে দেখতে পারেন।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৭

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: কাহিনী তো বেশ মজার। সালমান হকের অনুবাদ কেমন??? ওনার অনুবাদ আগে পড়া হয়নি।
নতুন একটা থ্রিলারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩০

ঘরহীন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। সালমান হক এই মুহূর্তে দেশ সেরা পাঁচ অনুবাদকের একজন - থ্রিলার জনরায়। কোবেনের লেখা আগে না পড়ে থাকলে, ট্রাই করে দেখুন।

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন। কারন বইটা আমার পড়ার ইচ্ছা জেগেছে।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩২

ঘরহীন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টের জন্য। আমি চেষ্টা করেছি কাহিনীর মূল পয়েন্টগুলো লিখতে, যাতে আগ্রহ সৃষ্টি হয় নতুন পাঠকদের মনে। পড়ে দেখবেন, ভালো লাগার কথা।

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৯

শায়মা বলেছেন: খুনাখুনির গল্প পড়লে আমি তো ভয়ে মরে যাই! :(

কেমনে পড়বো ভাইয়া???

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৩০

ঘরহীন বলেছেন: একটা উপায় আছে বটে। চোখ বন্ধ কইরা পইড়া ফেলেন। ব্যস। B-)

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪১

অন্তরা রহমান বলেছেন: কোবেনের বই মানেই পারিবারিক কোনো ঘটনা থেকে কাহিনী শুরু। তারপর একের পর এক টুইস্ট, শেষে মাথায় হাত দেয়া সমাপ্তি। সুন্দর রিভিউ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৩১

ঘরহীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, আপনাকে এসব বইয়ের কথা বলা মানে তো মা-র কাছে মামা-র বাড়ির গল্প!

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২১

শায়মা বলেছেন: ঘরবাড়ি পরিষ্কার করো ভাইয়া। টিপস দিয়েছি! তারপর বই পড়ো!!!!!!!!

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

ঘরহীন বলেছেন: :(( :(( :((

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমি বরাবরই থ্রিলার বা গোয়েন্দা কাহিনী অপছন্দ করি। কেন যে ভাল লাগে না জানিনা!

তবে আপনার রিভিউ ভাল হয়েছে।
জীবনে অনেক কিছু পড়ার,অনেক কিছু করার বাকি আছে , কতটুকু কি পারব...

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

ঘরহীন বলেছেন: আসলেই, কত বই যে পড়া বাকি। আমি আসলে থ্রিলার ভক্ত, বিদেশি-দেশি সবই পড়ি; তাই শেয়ার দেয়া। পড়ে দেখতে পারেন, ভালো লাগার কথা।

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: নারে ভাইয়া হবে না আর হবে না- আমার সামনে ২৫ খানা বই পরে আছে মাসের পর মাস, পড়ব বলে- হাত দিয়েও ছুয়ে দেখিনা :(

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

ঘরহীন বলেছেন: এটা কিন্তু রিডার্স ব্লক থেকে মুক্তি পাওয়ার মহৌষধ। যে ধরনের বই সচরাচর পড়া হয় না সেটাই হাতে নেয়া। আমি অবশ্য সবসময় একই সাথে তিন কি চারটা বই পড়ি। অনেকে শুনলে অবাক হয়, কিন্তু এটাই আমার অভ্যাস।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বুক রিভিও পড়ে বই পড়ার খুবই আগ্রহ অনুভব করছি। আমি বইটি সংগ্রহ করবো এবং অবস্যই অবস্যই পড়বো। বাই দ্য ওয়ে আপনার বই আলোচনা চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩১

ঘরহীন বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই। ফেসবুকে চিরকুট বা বিবিধ বুক শপ থেকে সহজেই পাবেন, তুলনামূলক কম খরচেই। কোবেন ইজ এ ব্রিলিয়ান্ট রাইটার। চিরকুট থেকেই আরেকটা বই এসেছে, রিভিউ দিব এরপর সেটার। পড়ে দেখবেন।

১০| ২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: কোন স্পয়লার ছাড়াই অল্প কথায় চমৎকার একটি রিভিউ দিয়েছেন।
পোস্ট ভাল লেগেছে। + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.