নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুনে পোকা

এই পোলা ব্লগিং করা ও শুরু করল......কোন কিছু আর বাদ দিব না!!!!!!!!!

ঘূণে পোকা

লিখতে পছন্দ করি তাই যা মনে আসে তাই লিখি

ঘূণে পোকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোনালদোর গোল মৃত্যুকেও হার মানিয়েছে

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

একটা গোল খুব বেশি হলে কী করতে পারে? একটা ম্যাচে জয়, হয়তো কোনো রেকর্ড কিংবা একটা ট্রফি—এই তো। সে ট্রফি হতে পারে কোনো লিগের, কোনো মহাদেশীয় শিরোপা, এমনকি হয়তো বিশ্বকাপও। কিন্তু এ সবকিছুর মূল্য কি একটা জীবনের চেয়ে বেশি? একটা গোল কি পারে কোনো জীবন বাঁচাতে? পারে, যদি সেটি হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোল! সিনেমার গল্প নয়, এ একেবারে জীবন থেকে নেওয়া। ডেভিড পলেকজিক নামের এক পোলিশ কিশোর সাইকেল চালাতে গিয়ে আঘাত পেয়েছিল গাড়ির ধাক্কায়। সেই দুর্ঘটনা কিশোরকে ঠেলে দিল কোমায়। জীবন- মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে তাকে ফিরিয়ে আনতে চিকিৎসকের কাছে একটাই উপায় ছিল—শব্দ থেরাপি। পছন্দের শব্দগুলো নিয়মিত শুনিয়ে যেতে হবে কানের কাছে, সে শব্দ শুনে যদি চেতনা ফিরে পলেকজিকের। রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থক ১৪ বছরের পলেকজিক ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অন্তঃপ্রাণ। বাবা-মা তাই ভাবলেন ছেলের কানের কাছে রোনালদোর ম্যাচের ধারাভাষ্য বাজালে কেমন হয়! গত নভেম্বরে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে পর্তুগাল-সুইডেন প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগ চলছিল। হাসপাতালের বিছানায় তখনো কোমায় পলেকজিক। রেডিওটা এনে রাখা হলো কানের কাছে। একটা করে গোল করে যান রোনালদো, ধারাভাষ্যকারের চিৎকার বাজে পলেকজিকের কানে। নিজের তৃতীয় গোলটা করে ওদিকে রোনালদো নিশ্চিত করলেন পর্তুগালের বিশ্বকাপ খেলা, এদিকে চোখ মেলে তাকাল পলেকজিক। শেষ গোলটা কোমা থেকে জাগিয়ে তুলেছে কিশোর পলেকজিককে! পোলিশ দৈনিক ফাকট-এ অবিশ্বাস্য এ ঘটনা ছাপা হওয়ার পর তা পৌঁছায় রোনালদোর কাছেও। আবেগাপ্লুত হয়ে যান রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। পলেকজিক এবং তার বাবা- মাকে আমন্ত্রণ জানান সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে রিয়াল-ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটা দেখার জন্য। পোলিশ কিশোরের কাছে এ তো স্বপ্নের চেয়েও বেশি! স্বচক্ষে রোনালদোর খেলা দেখাই হলো না শুধু, পলেকজিক পেল এর চেয়েও বড় কিছু। ম্যাচের পর তাকে ডেকে জড়িয়ে ধরেছেন রোনালদো, উপহার দিয়েছেন নিজের স্বাক্ষর করা জার্সি। রোনালদোর এমন মহানুভবতা আর ছেলে পলেকজিকের উচ্ছ্বাস কাঁদিয়েছে তার মা ইসাবেলাকেও, ‘কতবার সে (পলেকজিক) আমাদের বলেছে ওকে মাদ্রিদ নিয়ে যেতে। আমরা পারিনি। যখন রোনালদোর কাছ থেকে আমন্ত্রণ এল সে খুশিতে কান্না থামাতে পারছিল না। বিশ্বাস করতে পারছিল না এটা সত্যি। রোনালদো, আপনার হূদয় সত্যিই বিশাল। আমরা আপনার কাছে ঋণী।’ গোল করে জীবনে কত পুরস্কার পেয়েছেন রোনালদো নিজেও। এর চেয়ে বড় কিছু কি কখনো পেয়েছেন?



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল। মানুষ মানুষের জন্য!

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

কবি সাহেব বলেছেন: ইমোশনাল হয়ে গেলাম ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.