নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুনে পোকা

এই পোলা ব্লগিং করা ও শুরু করল......কোন কিছু আর বাদ দিব না!!!!!!!!!

ঘূণে পোকা

লিখতে পছন্দ করি তাই যা মনে আসে তাই লিখি

ঘূণে পোকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুব বিপদে পরেছি, একটা ভালো পরামর্শ দিলে খুশি হব

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৪

আজ থেকে প্রায় ৬ বছর আগের ঘটনা । স্কুল-কলেজ জীবনের গণ্ডি শেষ করে তখন মাত্রই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই । স্কুল কলেজ বয়েজ শাখায় পড়ার কারনে মেয়েদের সাথে কথা খুব কম বলতাম । বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ক্লাশেই আমার পাশে এক সুন্দরী রমণী বসে। সে আমার সাথে আলাপ শুরু করে দেয় আমি খুব সংকোচবোধ করছিলাম কথা বলতে কিন্তু তার সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কথা যতই শুনছিলাম ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম । এভাবে চলতে চলতে আমি তার অনেক ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম । সে প্রত্যেকদিনই আমার সাথে খুব রাগ হত আমি ঠিকভাবে পরিপাটি থাকি না, চুল ঠিকভাবে আচরাই না আরও যে কত কিছু , কিন্তু আমি তার এসব আচরন দেখেও বুঝতে পারি নি সে আমাকে পছন্দ করে। এভাবে সময় গড়াতে গড়াতে এক বছর অতিক্রম হয়ে যায় । আমাদের পরবর্তী ব্যাচের নবীন বরনের রিহার্সালের সময় আমি একটা জুনিয়ার মেয়ের নাচ দেখে মুগ্ধ হয়ে আমার বান্ধবীকে বলি তার ক্যামেরা সংযুক্ত মোবাইলে ওই নানেওয়ালির একটা ছবি তুলে আমাকে দিতে, কিন্তু সাথে সাথে পারব না বলে দিয়ে সে খুব দ্রুত রুম ছেড়ে বের হয়ে যায় আমি তাকে অনুসরণ করা শুরু করলে আমাকে সে ঝাড়ি দিয়ে পাঠিয়ে দেয় । এর পর দিন থেকে আমি যতই তার কাছে যাই সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে যায় । সে আমাকে ফেসবুকেও ব্লক মেরে দেয় । এভাবে আরও ২ বছর কেটে যায় সে আর আমার সাথে কথা বলে না। চতুর্থ বর্ষে পড়াকালীন সময় আমাদের বিভাগের শিক্ষাসফরে আমরা ৮ দিনের জন্য বান্দরবান, কক্সবাজার, ও সেইন্টমারটিন সফরে যাই । সে এবং আমার আর এক বান্ধবী বাসে আমাদের সামনের সিটে বসে। ওই দিন রাতে ২ বছর পর আবার আমাদের কথা হয়। এরপর যতই সময় গড়াতে থাকে আমাদের মাঝে আগের মত বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হতে থাকে। যেখানেই সে যায় আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া শুরু করে । ক্লাসের সবাই বলতে শুরু করে বন্ধু তোর মনে হয় এবার একটা গতি হয়েই গেল। সমস্যা হয়ে দাড়ায় আমার এক বিভাগের বড় ভাই, দ্বিতীয় বর্ষে আমার সাথে রাগ করার পর আমার বান্ধবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাই এর সাথে সম্পরকে জড়ায়
যা আমরা কেউ জানতাম না। কক্সবাজার বসে একদিন সে তার রুমে আমাকে ডেকে পাঠায় আমি যাওয়ার পর সে আমার হাত ধরে কেঁদে ফেলে। সে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে আমায় বলে আমি কেন আরও আগে তার সাথে সম্পর্ক টা তৈরি করলাম না কারন ওই ভাই এর সাথে তার কোর্ট ম্যারেজ করা হয়ে গেছে। আমি ওইদিন তাকে বুঝালাম যা হওয়ার তা হয়ে গেছে এ নিয়ে ভেবে আর মনে কষ্ট পাওয়ার কোন মানে হয় না। আজকে হঠাৎ ফোন দিয়ে বলে আগামি ৫ দিন পর তার বিয়ে , আমাকে যেতেই হবে, কিন্তু আমি তাকে যতই বলি আমার চাকরীর পরীক্ষা আছে সে বুঝতে চাচ্ছে না , সে বলে আমি তোমার অপেক্ষায় থাকব , তুমি আসবেই আসবে অবশ্যই আসবে। আমি কি করব বুঝে উঠতে পারতেছি না , আপনারা দয়া করে একটা ভাল পরামর্শ দিন এই অবস্থায় আমি কি করতে পারি :( :( :(

যারা যারা কষ্ট করে আমার লেখাটা পড়েছেন সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ ।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২০

প্রামানিক বলেছেন: পুরোটা্ই তো পড়লাম। ঘটনাও বুঝলাম। কিন্তু কি সমাধান দেব বুঝতে পারছি না।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪২

ঘূণে পোকা বলেছেন: কবি নীরব তাই না ভাই ???? @প্রামািনক

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০১

নতুন বলেছেন: ১টা দিন কস্ট করে বিয়েতে যেতে আপনি পারবেন... সেই টুকু মানুষিক শক্তি আপনার আছে...

আর আপনারা যেহেতু বন্ধুই ছিলেন অতএব যেতে কোন বাধানেই...

থিংস হ্যাপেন্ড ইন লাইফ... :) ব্যাপার না...

যাবেন... একবার চেহারা দেখাবেন... তারপরে খেয়ে চলে আসবেন... ৪৫মিনিটের ব্যাপার...

আর বিয়ের পরে অবশ্যই কখনো যোগাযোগের চেস্টা করবেন না....

পরকিয়া খুবই বাজে জিনিস

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০৩

ঘূণে পোকা বলেছেন: আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ :) :) ;)

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

ঘূণে পোকা বলেছেন: আপনার কথা শুনে গিয়েছিলাম বিয়ে খেতে ক্লাশের আমাদের সার্কেলের বন্ধুরা ছিল তাই তেমন খারাপ লাগেনি ...তবে ও কয়েকবার আমার দিকে খুব করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল, তখন আমার বুকের ভিতরের ব্যথা চিন চিন করে উঠে । ওর বড় আপুর সাথে হঠাৎ দেখা আমি বললাম আপু আমাকে চিনতে পেরেছেন , বলে তোমাকে চিনি আমি হাড়ে হাড়ে :( :(

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩০

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: না যাওয়াটাই ভালো কারণ, সম্পর্কটা এখানেই ইতি টানতে পারবেন, গিফটের টাকা বাচবে, বধুবেশে তাকে দেখার কষ্টটা পাবেন না, তারও মানিয়ে নিতে সহজ হবে । আর বিয়ের পর যোগাযোগটা না করাই ভালো ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৫৩

ঘূণে পোকা বলেছেন: আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ :) :)

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার কাহিনী তো ভাই সেই লেভেলের।

তবে ব্যাপার হইল- সামনে যদি সত্যিই চাকরীর ইন্টারভিউ থাকে, তাহলে চাকরীর জন্য আগে পড়াশোনা করুন। সামান্য একটা মেয়ের ছবি দেখার জন্য দুই বছর যিনি পছন্দের মানুষের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেন, তিনি বুদ্ধিমতী নন নিশ্চিত। সুতরাং এখন এই সব কান্নাকাটি অর্থহীন এবং বিভ্রান্তিমূলক। সুতরাং আপনার উচিত নিজের কাজে মন দেয়া।

আর যদি চাকরীর ইন্টারভিউ না থাকে, তাহলে আপনার ইচ্ছা। দুই একজন বন্ধুবান্ধব নিয়া বিয়ে খেয়ে আসেন। কাউরে না পাইলে আমারে জানায়েন। এই বছর একটাও বিয়ে খাই না। :P বিয়ে খেয়েও আসবো, সব কিছু দেখেও আসবো।

নতুন ভাই বলেছেন, থিংস হ্যাপেন্ড ইন লাইফ... :) ব্যাপার না...
এটা মনে রাখবেন। আর হ্যাঁ, দয়া করে বিয়ের পর পরকীয়া টাইপের ব্যাপারে জড়ায়েন না। খুব খ্রাপ।


৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: বিয়েতে না যাওাটাই বেটার। কারণ গেলে আপনার সাথে তার পুরনো সম্পর্কের কথা মনে করে কষ্ট পেতে পারে। না গেলেও কষ্ট পাবে, কিন্তু বিয়ের অন্যান্য ফর্মালিটির কারণে সেটা তাকে বেশিক্ষণ ভোগাবে না। তবে না গেলে দুঃখ প্রকাশ করে অবশ্যই একটা এসএমএস অথবা কল দেবেন। পারলে তার নতুন বরের সাথে কথা বলে ওদের সম্পর্ক যাতে আরও দৃঢ় হয়, সে ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পারেন।

তবে পরবর্তীতে ফেসবুক ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে তার সাথে আর কোন যোগাযোগ রাখবেন না। যদি দাওয়াত করে খাওয়াতে চান, তবে অবশ্যই স্বামীসহ করবেন। বিয়ের পর কোন অবস্থাতেই, আই রিপিট - কোন অবস্থাতেই তার সাথে একা দেখা করবেন না।

দোয়া করি, খুব দ্রুত আল্লাহ আপানার জন্য একটা যোগ্য জীবনসঙ্গিনী মিলিয়ে দেন!

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ঐসব বাদ দিয়া চাকরীতে মন দেন, ওগুলান ভুলে যান। ভিমরতিতে পেয়েছে নাকি?

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

মোঃ আবুল হোসেন (হাবিব) বলেছেন: না যাওয়াটাই ভালো কারণ, সম্পর্কটা এখানেই ইতি টানতে পারবেন, বধুবেশে তাকে দেখার কষ্টটা পাবেন না, তারও মানিয়ে নিতে সহজ হবে । আর বিয়ের পর যোগাযোগটা না করাই ভালো, শুধু ভালো না, সবচেয়ে ভাল।

একটা বিশাল জাহাজ ডুবে যাবার জন্য একটা ছোট্ট ছিদ্রী থাকাই যথেষ্ট, আস্তে আস্তে কখন যে তলিয়ে যায় বুৃঝে ওঠা যায়না। আর যখন বুঝবেন তখন হয়ত অনেক দেরি হয়ে যাবে। আমি বলছিনা যে এমনটা হবেই। কিন্তু যেহেতু সম্ভাবনা থেকে যায়, তাই আগে থেকেই সাবধান হওয়া। স্বামি সংসাার নিয়ে সে যখন ব্যাস্ত থাকবে, মনের ভেতর সূক্ষ্ম একটা ব্যাথা থাকলেও তা সে খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবে। দাওয়াতে যাওয়াটা আমার কাছে একই ভুল দুবার করার মত হচ্ছে। এটা বললাম এই জন্য যে,
অনেক দেরিতে বুঝতে পারার মত ভুল আপনি ইতিমধ্যেই একবার করেছেন। কি দরকার দুজনেরই কষ্ট বাড়াবার। সে অন্তত ভাল থাকুক। চাকুরী বা কাজের ব্যাস্ততায় একসময় আপনিও ভাল থাকতে পারবেন।
এটা সম্পুর্নই আমার ব্যাক্তিগত মতামত। সবার ব্যাক্তিত্ব বা দৃষ্টিভঙ্গী একনা। এক একজন একএক রকম ব্যাক্তিত্বের অধীকারি। তাই মতামত ভিন্ন হতেই পারে, তবে আমি সবার মতামতকেই শ্রদ্ধা করি।

(অবিবাহিত ছেলে এর মন্তব্য থেকে কিছুটা ভাষা কপি করলাম)

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

আজিজার বলেছেন: যদি সত্যিই চাকরীর ইন্টারভিউ থাকে, তাহলে চাকরীর জন্য আগে পড়াশোনা করুন

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

আহমেদ রশীদ বলেছেন: গল্পটি কাল্পনিক!!!!!!!!মজা নিচ্ছেন তাইনা?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

ঘূণে পোকা বলেছেন: আপনি চাইলে আমার পুরা ব্লগ চেক করে দেখতে পারেন ...প্রায় ৩- ৪ বছর ধরে ব্লগ লিখছি কখনঅ এরকম লেখা দিয়েছি কিনা...নিজের জিবনের চরম বাস্তবতা ব্রাদার :( :( :( আর কিছু বলার নাই

১০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কথা শুনে গিয়েছিলাম বিয়ে খেতে ক্লাশের আমাদের সার্কেলের বন্ধুরা ছিল তাই তেমন খারাপ লাগেনি ...তবে ও কয়েকবার আমার দিকে খুব করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল, তখন আমার বুকের ভিতরের ব্যথা চিন চিন করে উঠে । ওর বড় আপুর সাথে হঠাৎ দেখা আমি বললাম আপু আমাকে চিনতে পেরেছেন , বলে তোমাকে চিনি আমি হাড়ে হাড়ে :( :(

আশা করি খুব বেশি খারাপ লাগেনাই... ( ব্যাপার না ছোটো বেলায় নিমপাতা বা চিরতার রস খেয়েছেন মনে হয়... অনেক সময় ইচ্ছা না থাকলেও আমাদের অনেক কিছু করতে হয়)

এখন ব্যপার টা ভুলে যান... ( মানে এই বিষয়ে আর চিন্তা করার দরকার নাই) নিজের চাকুরি আর ভবিষ্যতের পরিকল্পনার দিকে নজর দিন...

একটা কথা মনে রাখবেন..>>

Time Heals everything.... and Life goes on...

সামনে আপনি হয়তো এমন কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাবেন যে আপনাকে আরো বেশি ভালবাসবে...

১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩২

ছ্যাকামাইছিন বলেছেন: বিয়েতে অবশ্যই যাবেন । যাবার সময় একটা পান্জাবী আর চাদর গায়ে দিয়ে যাবেন । এই কয়েকদিন শেভ করা বাদ দেন , একটু খোচা খোচা দাড়ি থাকতে হবে ।
অনুষ্ঠানের সময় এই গান্টা গাইতে পারেন .....

চলে যদি যাবি দুরে স্বার্খপর , তবে কেন তুই জোছনা দেখালি ....

এইটা্ও খারাপ না
https://www.youtube.com/watch?v=wcBeEMCkB0A

১২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

ছ্যাকামাইছিন বলেছেন:

১৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

ছ্যাকামাইছিন বলেছেন:

১৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

ছ্যাকামাইছিন বলেছেন:

১৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৬

ঘূণে পোকা বলেছেন: chakamycin haha valoi bolechen

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.