নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুনে পোকা

এই পোলা ব্লগিং করা ও শুরু করল......কোন কিছু আর বাদ দিব না!!!!!!!!!

ঘূণে পোকা

লিখতে পছন্দ করি তাই যা মনে আসে তাই লিখি

ঘূণে পোকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিরকালের বাংলাদেশ!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

কোন এক মফস্বল শহরের এক কোণায় এক বৃদ্ধ চাচা চায়ের দোকান চালিয়ে সংসার চালায় ।
অন্য একটি শহরে উঠতি বয়সি একজন ছেলে নিজের পরিশ্রমে কিছু টাকা উপার্জন করে সিএনজি রাস্তায় নামিয়েছিল ।
এই দুটি ঘটনার মধ্যে মেটাফোরিক মিল আছে ।আছে বর্তমান অবস্থা ও রাজনৈতিক শক্তির অহমিকা ।আছে হতাশা ও ক্রোধের উন্মত্ততা ।
চাচার চায়ের দোকানে আমি চা পান করতে যেতাম তার গলায় বাউল গান এবং তার রসাত্মক কথা-বার্তা শোনার জন্য ।রসিয়ে রসিয়ে উনি বাংলাদেশের ইতিহাস বলেন ।এই যেমন- একদিন জাম খেয়ে মুখ রাঙিয়ে তার দোকানে গেলাম । আমার মুখ দেখে উনি বলল,"তোর মুখে কি পাকিস্তানি মুরগী হাগু করে দিছে নাকি?"
আমি বললাম,"হ । সেই মুরগীরে তুমি লাগাইছিলা !!!"
হাসির রোল শুরু হয়ে গেল ।
তারপর চাচা বলল,"৭১ সালে আমরা দল বাইন্ধা জাম খাইতে যাইতাম । একদিন একটা জঙ্গি বিমান আইসা জাম গাছে বিধস্ত হইল। জাম গাছটা মইরা গেল ।ঐ যে দেখতাছোস, ঐখানে আগে জাম গাছ ছিল। "
আমি বললাম,"তোমার মাইয়ারে (শেখ হাসিনা)এই ঢপ কেত্তন শুনাইছিলা?কল দিয়ে এখনি বলে দাও। ইতিহাসের পাতায় তোমার নাম লিখে দিবে । তুমি রচনা লিখবা--জাম পাতা জোড়া জোড়া ,ধবংস হইবে বিমানের বারা ......"
উল্লেখ্য, চাচা শেখ হাসিনাকে নিজের মেয়ে বলে পরিচয় দিতেন । আর উনি ছিলেন মুজিবের ডাই হার্ট ভক্ত ।
যা হোক, কিছুদিন আগে চাচার দোকানে আবার গিয়েছিলাম।চাচাকে এই কথা সেই কথা বলার পরেও তার মুখ বন্ধ ছিল । উনাকে বললাম,"তোমার মেয়ে আমার মারফত খবর পাঠাইছে ।"
চাচা বলল,"দোকানে রাজনৈতিক আলাপ নিষিদ্ধ ।"
আমি খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ভেবেছিলাম চাচার মুড অফ ।কিছুক্ষণ পর, দোকান ফাঁকা হয়ে গেল ।
চাচা প্রচন্ড গালাগালি শুরু করে দিল ।
আমি জিজ্ঞেস করলাম ,কী হয়েছে?
চাচা বলল, ঐ দেখ! কুত্তাগুলোর সাথে এত ভালো সম্পর্ক। এখানে বসে ছিল দুইশ টাকা নেবার জন্য । সারাদিন চায়ের দোকানে থাকি, আর সন্ধ্যা হলেই তাদের দুইশ টাকা দিতে হয় ।তারা স্বেচ্ছাসেবক লীগ করে ।
আমি বললাম, তুমি ল** ভাইয়ের কাছে বিচার দাও ।তাকে বলে দাও ।
চাচা বলল, বিচার দিছিলাম। সে বলছে ওরা তার লোক নয় ।সে কিছু করতে পারবে না ।
আমি হাসতে হাসতে বললাম, তোমার মাইয়ার কাছে বিচার দাও ।
চাচা এবার খিস্তি খেউর দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিল ।

সিএনজির মালিক ছেলেটা বাস্তববাদি ।হিসাব-নিকেষে খুব কাঁচা ছিল মনে হয় । দিন সাড়ে চারশ টাকা পাবে এই আশায় সি এন জি কিনেছিল শ্রমের টাকায় ।
বিপত্তিটা বেঁধেছিল তখন, যখন রাস্তায় নামাতে যাবে ।
এক এক রুটে এক এক ভাই । এক এক জনকে এক এক রকম এককালিন দিতে হবে । দিনে সিরিয়ালের আলাদা টাকা ।পৌরসভার ট্যাক্স ,হ্যান-ত্যান ।পুলিশ তো আছেই । সেই সি এন জি নিয়ে বিপত্তি বেঁধে গেল । ছাড়াতে গিয়ে তার কম্বল উজার হয়ে গেছে ।
তার সিএনজি এখন নিজ বাসায় পরে আছে ।
এখানেও যুব-স্বেচ্ছার কাহিনি বিস্তর লম্বা ।
এই ছেলেটাও লীগের ভোটার । এখন পরিত্রাণ চায় ।তার ধারণা, সরকার পরিবর্তন হলে তার সমস্যার সমাধান হবে ।টিভিতে শেখ হাসিনাকে দেখালে চ্যানেল পালটায় ।
এবার, একটা তিক্ত ইতিহাসের দিকে আলোকপাত করি ।
৭৫ এ শেখ মুজিব নিহত হবার পর বরগুনা জেলায় আনন্দ মিছিল হয়েছিল । এই মিছিলে শামিল হয়েছিল সাধারণ জনগণ ।
তারা কেউ মুজিবকে অপছন্দ করত না ।কিন্তু, মুজিবের নামে যে সব অপকর্ম করেছিল দলবাজরা,তাদের পাপ মুজিবের ঘাড়ে সওয়ার হয়েছিল ।
সমগ্র বাংলাদেশ ৫ টন । এগুলো এখন আর ট্রাকে লেখা থাকে না । ট্রাক গুলো উন্নত হয়েছে । দেশের সব সেক্টর উন্নত হয়েছে ।চাঁদাবাজির থাবা এখন গ্রাস করে ফেলেছে সমগ্র বাংলাদেশ ।
আমার নিজ জেলায় ইদের পরে সমাবেশ দেখলাম । এক পক্ষ আরেকপক্ষের লুঙ্গি কাছা খুলে দিচ্ছে। কে কোন সেক্টরে চাঁদাবাজি করে তার বয়ান হচ্ছে ।
শেখ হাসিনার ঘাড়টা অনেক বড় । সেখানে কারা-কারা বানর হয়ে উঠে পেচ্ছাব করে দিচ্ছে, তা সবাই দেখতেছে ।বাকিটা শেখ হাসিনার হাতে ।
(সব চরিত্রই কাল্পনীক)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন হলে কম হয়ে যায়। সাত টন হলে ভালো হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.