![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত কয়েকদিনের সহিংসতায় রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের বাইরে যারা আহত, নিহত হচ্ছেন তাদের বেশীরভাগই হলো রিক্সাওয়ালা, সিএনজি ড্রাইভার, টেম্পোচালক, সবজি বিক্রেতা, ব্যাংকের অফিসারদের জন্য খাদ্য বহনকারী, এরা, অর্থাৎ খেটে খাওয়া মানুষ, পেটের দায়ে যারা ঘর থেকে বের হয়। কেন? এরাই কেন এই ক্ষমতালোভীদের রোশানলে পুড়ে মরছে? গত ২২ বছর ধরে ক্ষমতালোভীদের হানাহানিতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে এই খেটে খাওয়া মানুষগুলির, এদের অনেকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। একজনের মৃত্যু মানে পুরো একটি পরিবারের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।
এই দেশটাকে নানাজনে নানা ভাগে ভাগ করতে চায়। কেউ ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ, কেউ ভাগ করে ইসলামের পক্ষ-বিপক্ষ অথবা আস্তিক-নাস্তিক। কিন্তু এই যে বোমা মেরে, আগুনে পুড়িয়ে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলিকে হত্যা করা হচ্ছে তাদের কি দোষ? তারা কি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে না ইসলামের বিপক্ষে? যে মানুষটি সত্যি সত্যি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সে যেমন কখনো নিপীড়কের ভুমিকা পালন করতে পারে না একইভাবে যে মানুষটি ইসলামের আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে সেও কখনোই নিপীড়কের ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখি? যারা নিজেদের মুক্তিপক্ষের শক্তি বলে দাবী করে তাদের মধ্যে যেমন রয়েছে অসংখ্য নিপীড়কের সমাবেশ একইভাবে যারা নিজেদের ইসলামের পক্ষের শক্তি বলে দাবী করে তাদের মধ্যেও আমারা অসংখ্য নিপীড়ককে দেখতে পাই, অর্থাৎ যারা নিজেদের মুক্তিপক্ষের শক্তি বলে দাবী করে তারা যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না একইভাবে যারা নিজেদের ইসলামের পক্ষের শক্তি বলে দাবী তা্রাও ইসলামের আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে না।
যে বিভাজনটি সত্য এবং শ্বাশত সেটি হচ্ছে, 'নিপীড়ক' এবং 'নিপীড়িত', এছাড়া অন্য সব বিভাজনই রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য তৈরি করা কৃত্রিম বিভাজন। তাই, এইসব ক্ষমতালোভীদের দালালী না করে নিপীড়িতের পক্ষে এবং নিপীড়কের বিরুদ্ধে কাজ করাটাই প্রতিটি বিবেকবান মানুষের কর্তব্য।
©somewhere in net ltd.