![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন জানতাম ঈশ্বরের ইচ্ছা ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না। এই যে মানুষ ধনী-গরীব এই সবই ঈশ্বরের ইচ্ছায় হয়ে থাকে।
"..এছাড়া আমি তোমাকে এমন ধন, সম্পদ ও সম্মান দেব যা তোমার আগে কোন রাজার ছিল না এবং তোমার পরেও থাকবে না।” (২ বংশাবলি ১ঃ১২)
সয়ং ঈশ্বর এই কথা বলছেন রাজা সলোমনকে। অর্থাৎ ঈশ্বরই মানুষকে ধন সম্পদ দিয়ে থাকেন। এটা যদি সত্য হয় তাহলে এর উল্টোটাও সত্য। অর্থাৎ, যাদের ধন সম্পদ নেই ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই নেই। কিন্তু, জেগে উঠে দেখি, পৃথিবীতে যে পরিমাণ সম্পদ আছে তার সুষম বন্টন হলে কারোই অভাবে, অনাহারে থাকার কথা না। এক শ্রেণীর মানুষই মানুষকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করে বৈষম্য তৈরী করছে, আর বঞ্চিত শ্রেণীকে বলছে, "ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই তোমরা দরিদ্র"। আর তাই দরিদ্র মানুষ গুলোও এটাই তাদের নিয়তি হিসেবে মেনে নিচ্ছে। তারা তাদের দারিদ্র্যের কারণ খুঁজে না, সংঘবদ্ধ হয় না, তাদের উপর অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না। শুধু কঠোর পরিশ্রম করে যায়, কিন্তু দারিদ্র্যের চক্র থেকে বের হতে পারে না। ফলে এই বৈষম্যমূলক সমাজ ব্যবস্থা টিকে আছে হাজার বছর ধরে।
যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন জানতাম, প্রতিটা শিশুর সাথে স্বর্গদূত থাকে। সেই দূত তাকে নানা ধরণের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে। এই বিশ্বাসের পক্ষে দুই একটা বাস্তব উদাহরণও মিলে যেতো বটে। কিন্তু, জেগে উঠে দেখি, পৃথিবীর প্রতিটা দুর্যোগে, হোক সেটা মানুষের তৈরী অথবা প্রাকৃতিক, সেখানে সবচেয়ে বেশী হতাহত হয়, নারী, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। সমস্ত পরিসংখ্যানই তাই বলে। অর্থাৎ, যে কোনো দুর্যোগে সবলেরা টিকে থাকবে আর দুর্বলের বিলুপ্তি ঘটবে এটাই চরম সত্য।
যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন জানতাম, অসুখ-বেসুখ ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই হয়, তাঁরই ইচ্ছায় সেরেও যায়, আর না সারলেও সেটা তাঁরই ইচ্ছা। কিন্তু, জেগে উঠে দেখি পৃথিবীর যে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা যত উন্নত তাদের মৃত্যুর হারও তত কম।
যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন টেবিলে খাবার দেখে আনন্দে ভরে যেত আমার মন। কৃতজ্ঞ চিত্তে প্রার্থনা করতাম,
"হে উদার হৃদয় প্রভু, এ খাদ্য তোমারই দান, তোমার এই দান আশীর্বাদ করো, আমাদিগকে আশীর্বাদ করো। আমেন।"
জেগে উঠার পর, খাবার ভরা টেবিলের সামনে গেলেই আমার জাগ্রত বিবেক আমাকে প্রশ্ন করে, "ঈশ্বর কেবল তোমার ক্ষেত্রেই এত উদার হলো কেন? যারা এই মুহুর্তে অর্ধাহারে, অনাহারে আছে কি দোষ তাদের? কোন পাপের শাস্তি ভোগ করছে তারা?"
যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন দিন শেষে বিছানায় গেলে আরো একবার কৃতজ্ঞতায় মন ভরে যেত, কত আরামদায়ক আর নিরাপদ বিছানা দিয়েছেন তিনি আমাকে। এখন শুতে গেলে ফার্মগেট পার্কের পাশে পলিথিনের তাবু টানিয়ে থাকা মানুষ গুলোর কথা মনে পরে, মনে পরে খোলা আকাশের নিচে শুয়ে থাকা মানুষগুলো কথা। আমার ঘুম আসে না...
আহা কি শান্তির আর সুখের ঘুম ছিল আমার! হঠাৎ জেগে উঠার পর কোথায় মিলিয়ে গেল আমার সেই শান্তির ঘুম? এত যন্ত্রণা, এত কষ্ট সইবো কেমনে? হে ঈশ্বর, তুমি আবার আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দাও, শান্তির ঘুম, সুখের ঘুম, স্বস্তির ঘুম...
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮
নিপীড়িত বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২
বিজন রয় বলেছেন: দারুন লিখেছেন?
অসাম।
++++
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮
নিপীড়িত বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: "যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন টেবিলে খাবার দেখে আনন্দে ভরে যেত আমার মন। কৃতজ্ঞ চিত্তে প্রার্থনা করতাম, "হে উদার হৃদয় প্রভু, এ খাদ্য তোমারই দান, তোমার এই দান আশীর্বাদ করো, আমাদিগকে আশীর্বাদ করো। আমেন। "জেগে উঠার পর, খাবার ভরা টেবিলের সামনে গেলেই আমার জাগ্রত বিবেক আমাকে প্রশ্ন করে, ঈশ্বর কেবল তোমার ক্ষেত্রেই এত উদার হলো কেন? যারা এই মুহুর্তে অর্ধাহারে, অনাহারে আছে কি দোষ তাদের? কোন পাপের শাস্তি ভোগ করছে তারা?" - খুউব সুন্দর লিখেছেন।
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নিপীড়িত বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনার পোস্টটিতে আরও কিছু পাঠক আশা করেছিলাম। এখানকার বেশিরভাগ পাঠক যে ঠিক কী আশা করেন তা এখনও বুঝতে পারি নি। একটি পরামর্শ থাকবে যে শিরনামগুলোকে আকর্ষনীয় করার বিষয়ে একটু বেশি মনোযোগ দিন। এবং ব্লগে ব্লগে ঘুরে বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে নিজেকে পরিচিত করানোর জন্যও কিছুটা সময় দিতে হবে। আর লিখে যান। তবে শুধু লেখার জন্য নয়, সত্য-সুন্দর-ন্যায়কে তুলে ধরার জন্য লিখুন। ভাল থাকুন।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩
নিপীড়িত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: নমঃস্কার নমঃস্কার শতবার ভাই। অনেকদিন পর এতসুন্দর বাস্তবধর্মী প্রমানসাপেক্ষ পোষ্ট পেলাম। আপনার সৌজন্যে আজকে পেলাম। এজন্য আর একবার কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ দিলাম। ভাল থাকুন ভাল লিখুন বারবার এই কামনা করি।।